প্রিয় পাঠক আপনি যদি ইতিমধ্যে অনুসন্ধান করে থাকেন বায়ান্নর দিনগুলো প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে তবে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনায় সিলেবাস ভুক্ত এই কবিতাটি। চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই এই দাবিতে ধর্মঘট
বরকত সালামের খুনে লাল ঢাকা রাজপথ ।।
স্মৃতিসৌধ ভাঙিয়াছ জেগেছে পাষাণের প্রাণ
মােরা কি ভুলিতে পারি খুনে রাঙা জয় নিশান ।।
ক. বায়ান্নর দিনগুলাে প্রবন্ধে ডেপুটি জেলারের নাম কী?
খ. “বাবার কালের জীবনটা যেন রাস্তায় না যায়।” – বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকের রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই এই দাবিতে ধর্মঘট উক্তিটির আলােকে বায়ান্নর দিনগুলাে’ রচনার সাদৃশ্য বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকের ঘটনার আলােকে বায়ান্নর দিনগুলাে রচনার মূলভাব বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ ‘বায়ান্নর দিনগুলাে প্রবন্ধে ডেপুটি জেলারের নাম মােখলেসুর রহমান।
খ উত্তরঃ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সঙ্গীকে যে ফরিদপুর জেলে পাঠানাে হচ্ছে এ বিষয়টি যাতে কাউকে জানাতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে কালক্ষেপণের জন্য তিনি ট্যাক্সিচালককে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেন।
১৯৫২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহিউদ্দিন আহমদকে ফরিদপুর জেলে পাঠানাের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নারায়ণগঞ্জ থেকে জাহাজে করে তাদের ফরিদপুর জেলে পাঠানাে হবে। তাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য একজন আর্মড পুলিশ ট্যাক্সি রিজার্ভ করে দাড়িয়ে ছিল। সে ট্যাক্সিওয়ালাকে দ্রুত ট্যাক্সি চালাতে নির্দেশ দেয়।
তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্যাক্সি জোরে চালাতে নিষেধ করেন এবং সাবধানে ট্যাক্সি চালানাের জন্য সতর্ক করে চালককে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেন। মূলত সময় ক্ষেপণ হয়ে কারও সঙ্গে দেখা হােক, এ প্রত্যাশা থেকেই তিনি ঐ কথা বলেছিলেন ।
সারকথা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সঙ্গীকে ফরিদপুর জেলে পাঠানাের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়টি যাতে কাউকে জানাতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে কালক্ষেপণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্যাক্সিচালককে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেন ।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই এই দাবিতে ধর্মঘট’- উক্তিটির আলােকে বায়ান্নর দিনগুলাে’ রচনায় প্রতিফলিত ভাষা আন্দোলনের চেতনার দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ। ১৯৫২ সালে মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ২১শে ফেব্রুয়ারি এদেশের বীর সন্তানেরা রাজপথে মিছিল করেন। সেই মিছিলে নূরুল আমিনের পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। এতে ছাত্র-জনতার অনেকেই শহিদ হন।
উদ্দীপকে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের কথা স্মরণ করা হয়েছে। ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ এই স্লোগানে ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজ পূর্ব বাংলায় ধর্মঘট পালন করে। এ সময় রাজপথের মিছিলে পুলিশের গুলি চালানাের কথা বলা হয়েছে। এতে সালাম, রফিক, জব্বারসহ আরও অনেকে শহিদ হন।
উদ্দীপকে সেই ভাষাশহিদ বরকত ও সালামের কথা বলা হয়েছে। এই চেতনার কথা বায়ান্নর দিনগুলাে’ রচনাতেও লক্ষ করা যায়। ভাষা আন্দোলনের দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর জেলে রাজবন্দি। জেলে বসেই তিনি বাইরের খবর পান। তিনি লিখেছেন- “মাতৃভাষা আন্দোলনে পৃথিবীতে এই প্রথম বাঙালিরাই রক্ত দিল ।
১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলেও গুলি না করে গ্রেফতার করলেই তাে চলত। তবে রক্ত যখন আমাদের ছেলেরা দিয়েছে তখন বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা না করে আর উপায় নাই।” এভাবে উদ্দীপকের ভাষা আন্দোলনের প্রসঙ্গ ও চেতনা বায়ান্নর দিনগুলাে রচনায় প্রতিফলিত হয়েছে।
সারকথা : উদ্দীপক ও বায়ান্নর দিনগুলাে রচনা উভয় ক্ষেত্রেই ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলনের কথা রয়েছে। উভয় ক্ষেত্রে অধিকার আদায়ের সংগ্রামী চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে ।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের ঘটনা বায়ান্নর দিনগুলাে’ রচনার ভাষা আন্দোলনের ভাবকে নির্দেশ করে। পৃথিবীতে বাঙালি একমাত্র জাতি যারা মাতৃভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেছে। ১৯৫২ সালে বাংলার সাহসী তরুণরা রাষ্ট্রভাষা বাংলার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে মিছিলে নামেন।
একুশে ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। এতে সালাম, বরকত, রফিকসহ নাম না-জানা অনেকেই শহিদ হন। | বায়ান্নর দিনগুলাে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচারণমূলক রচনা। এখানে ১৯৫২ সালের সংগ্রামী চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে।
উদ্দীপকেও ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সংগ্রামী চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে। এ দিক থেকে উদ্দীপক ও বায়ান্নর দিনগুলাে রচনায় ভাষা আন্দোলনের বিষয়টি সাদৃশ্যপূর্ণ। ভাষা আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজবন্দি হিসেবে ফরিদপুর জেলে অবস্থান করেন। জেলখানায় বসেই তিনি ভাষা আন্দোলনকারীদের অনুপ্রাণিত করেন।
বায়ান্নর দিনগুলাে রচনায় ১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেলজীবন ও জেল থেকে মুক্তিলাভের স্মৃতি বিবৃত হয়েছে। স্মৃতিচারণে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে ঢাকায় ভাষার দাবিতে একুশে ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব লাভ করেছে। কারণ এ প্রসঙ্গে তিনি যা ভেবেছেন তা পরবর্তী সময়ে যথার্থভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
উদ্দীপকেও ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবির বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। সেখানে ভাষা আন্দোলনে শহিদদের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতে শহিদ মিনার গড়ে তােলার কথা বলা হয়েছে। এভাবে উদ্দীপকের ঘটনা বায়ান্নর দিনগুলোে’ রচনার ভাষা আন্দোলন প্রসঙ্গটিকে নির্দেশ করেছে।
সারকথা : বায়ান্নর দিনগুলাে রচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জেলজীবনের নানা ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ১৯৫২ সালের যা একুশে ফেব্রুয়ারিতে ছাত্রদের মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণের কথা বলেছেন। এ বিষয়টিই উদ্দীপকের কবিতাংশে প্রতিফলিত হয়েছে।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২
“মাগাে, ভাবনা কেন? আমরা তােমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে লড়তে জানি। তােমার ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।” এভাবেই এই দেশকে ভালােবেসে এদেশের প্রতিবাদী মানুষ ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়েছেন।
ক. বায়ান্নর দিনগুলাে প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থে সংকলিত?
খ. “মানুষের যখন পতন আসে তখন পদে পদে ভুল হতে থাকে”- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের শেষ বাক্যটি বায়ান্নর দিনগুলাে প্রবন্ধে কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে? আলােচনা কর ।
ঘ. উদ্দীপকের তাৎপর্য বায়ান্নর দিনগুলাের চেতনার আলােকে বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ বায়ান্নর দিনগুলাে প্রবন্ধটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে সংকলিত।
খ উত্তরঃ তৎকালীন সরকারের ভাষা আন্দোলনকারীদের হত্যা করে চরম ভুল করা প্রসঙ্গে লেখক এ কথা বলেছিলেন। তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিন তার চূড়ান্ত পতনের আগে বেশকিছু অপরিণামদর্শী কাজ করে গেছেন। তার সর্বশেষ ভুল ছিল ভাষা আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানাের নির্দেশ।
মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদায় উন্নীত করার দাবিতে তল্কালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাড়া বিশ্বের আর কোথাও এ ঘটনা ঘটেনি। এছাড়াও আন্দোলন দমানাের জন্য বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ নির্বিশেষে যেকোনাে মানুষকেই তিনি অযথা গ্রেফতার করে নির্যাতন চালিয়েছেন।
মূলত মানুষ তার পতনের আগ মুহূর্তে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে একের পর এক ভুল করতে থাকে। বায়ান্নর দিনগুলাে প্রবন্ধের লেখক সেই প্রসঙ্গেই প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।
সারকথা : একের পর এক গণবিরােধী ও ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য কর্মকাণ্ড পরিচালনার কারণে নূরুল আমিনের পরিণাম চিন্তা না করে লেখক বলেছিলেন, মানুষের যখন পতন আসে তখন পদে পদে ভুল হতে থাকে।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের শেষ বাক্যটি বায়ান্নর দিনগুলাে প্রবন্ধে আলােচিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কষ্টময় জেলজীবনের চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে । | দেশপ্রেমিক মানুষের কাছে সবকিছুর উর্ধ্বে থাকে তার দেশ। মাতৃভূমি ও মাতৃভাষার প্রতি থাকে তার গভীর আবেগ।
দেশপ্রেমিক মানুষ দেশের সংকটময় মুহূর্তে জীবন বিসর্জন দিতেও কুণ্ঠাবােধ করেন না। উদ্দীপকে দেশের সংকটময় মুহূর্তে দেশপ্রেমিক মানুষের প্রতিবাদী চেতনার দিকটি বর্ণিত হয়েছে। দেশ মায়ের মতাে, তাই মায়ের বিপদে দেশের এই শান্তিপ্রিয় মানুষ অস্ত্র হাতে লড়তে জানে। দেশকে ভালােবেসে এদেশের প্রতিবাদী মানুষ নিজেদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দেয়।
বায়ান্নর দিনগুলাে’ প্রবন্ধে দেখা যায়, বাঙালি জাতির অবিসংবাদী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বারবার কারাবরণ করেন। দেশের সংকটময় মুহূর্তে তিনি ছিলেন আপসহীন, নির্ভীক। তিনি জেলে থাকা অবস্থায় রাজবন্দিদের বিনাবিচারে জেলে আটক রাখার প্রতিবাদে অনশন ধর্মঘট পালন করেন।
নিজের পরিবার-পরিজনদের কাছ থেকে দূরে থেকেছেন দিনের পর দিন। দেশের স্বার্থে নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যও বিসর্জন দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের এ দিকটি বায়ান্নর দিনগুলাে প্রবন্ধের মতাে উদ্দীপকের শেষ বাক্যটিতেও প্রতিফলিত হয়েছে।
সারকথা : উদ্দীপকের শেষ বাক্যটি বায়ান্নর দিনগুলাে প্রবন্ধে আলােচিত বাঙালি জাতির অবিসংবাদী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জনের দিকটিকে প্রতিফলিত করে।
ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকে আলােচিত দেশের সংকটময় মুহূর্তে দেশের জন্য কাজ করার দিকটি বায়ান্নর দিনগুলাে’ রচনায় আলােচিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্ভীক ও আপসহীন চেতনাকে ফুটিয়ে তুলছে।
একটি দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে যােগ্য নেতার নেতৃত্বের ওপর। একজন দেশপ্রেমিক নেতা দেশ ও জাতির স্বার্থে তার জীবন উৎসর্গ করতেও পিছপা হন না। যুগে যুগে পৃথিবীতে মানুষের সংকটকালে এ ধরনের অনেক নেতার আবির্ভাব হয়েছে। উদ্দীপকে দেশের সংকটময় মুহূর্তে দেশের মানুষের এগিয়ে আসার কথা বর্ণিত হয়েছে।
দেশের জন্য তারা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করতেও প্রস্তুত। দেশকে মায়ের মতাে ভালােবেসে দেশের মানুষ প্রতিবাদী চেতনায় নিজেদের ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিতে কুণ্ঠিত নয়। তারা যেকোনাে মূল্যে দেশমাতাকে রক্ষা করবে এমন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বায়ান্নর দিনগুলাে প্রবন্ধে আলােচিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমনই একজন দেশপ্রেমিক নেতা। তিনি দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে আপসহীন, নির্ভীক। দেশের জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে তিনি যৌবনের অধিকাংশ সময় কারা প্রকোষ্ঠের নির্জনে কাটান।
রাজবন্দিদের কারাগারে আটক রাখার প্রতিবাদে ১৯৫২ সালে অনশন ধর্মঘট পালন করেন। দীর্ঘদিন তাঁকে পিতামাতা-স্ত্রী-সন্তানদের কাছ থেকে দূরে থাকতে হয়েছে। দেশের স্বার্থে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়েছেন। | দেশের প্রয়ােজনে দেশকে ভালােবেসে প্রতিবাদী চেতনায় এগিয়ে আসার দিকটি উদ্দীপকে বর্ণিত হয়েছে।
এক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থের দিকে না তাকিয়ে দেশের জন্য নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দেওয়ার কথাও উদ্দীপকে রয়েছে। বায়ান্নর দিনগুলাে প্রবন্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাঝেও উদ্দীপকে আলােচিত এই তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়গুলাের প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায়।
সারকথা : উদ্দীপকে আলােচিত তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলাে দেশের সংকটময় সময়ে দেশকে ভালােবেসে ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দেওয়া। উদ্দীপকের 2 তাৎপর্য ‘বায়ান্নর দিনগুলাে রচনায় বাঙালির অবিসংবাদী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেতনার বিষয়টি সার্থকভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।