প্রিয় পাঠক আপনি যদি ইতিমধ্যে অনুসন্ধান করে থাকেন বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে তবে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনায় সিলেবাস ভুক্ত এই কবিতাটি। চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১
রক্তে জ্বলছে লক্ষ সূর্যশিখা; পশুরা ছিড়েছে আমার মাতৃভূমি। এ দুঃসময়ে পেছনে ডেকো না কাউকে ভুলেও তুমি। একদিকে জ্বলে চেতনা অন্যদিকে জ্বলে জনপদ সােনার বাংলা জ্বলছে আগুনে চারদিকে শুধু হিংস্র শাপদ পথে প্রান্তরে মাংসাশী নেকড়েরা; ধর্মের নামে পাশবিকতায় উন্মত্ত যে পঙ্গপালেরা এখন এদেশে এইসব পশু হত্যার মওসুমী। এ দুঃসময়ে কাউকে পেছনে কখনাে ডেকো না তুমি।।
ক. মহা-বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত’-এর পরের লাইন কী?
খ. কবি কখন শান্ত হবেন বলে জানিয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি ‘বিদ্রোহী’ কবিতার কোন দিককে নির্দেশ করেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মিল থাকলেও উদ্দীপকে ‘বিদ্রোহী কবিতার চেতনার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি। মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ ‘মহা-বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত’-এর পরের লাইন হচ্ছে আমি সেই দিন হব শান্ত।
খ উত্তরঃ মহা-বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত হওয়ার পর কবি শান্ত হবেন বলে জানিয়েছেন। ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি সমস্ত অনিয়মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘােষণা করেছেন। এতে একজন বিদ্রোহীর স্বভাববৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে। যত দিন পৃথিবীতে অন্যায় থাকবে তত দিন এর বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।
যত দিন শাসকরা তাদের অন্যায় নিয়ম-কানুন দ্বারা মানুষের ন্যায্য অধিকার হরণ করতে থাকবে, তত দিন কবি তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে যাবেন। পৃথিবীতে অন্যায়-অবিচার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাঁর সেই বিদ্রোহ থামবে না। কবি তাই বলছেন, মহা-বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত, আমি সেই দিন হব শান্ত।’ শান্ত বলতে এখানে মুক্তি, অধিকার ও ন্যায্যতা প্রাপ্তির পর বিদ্রোহের পথ থেকে সরে দাঁড়ানােকে বােঝানাে হয়েছে।
গ উত্তরঃ মিল থাকলেও উদ্দীপকে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার চেতনার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি। মন্তব্যটি যথার্থ। বীরের ধর্ম দেশ ও দেশের মানুষকে অশুভ শক্তির কবল থেকে মুক্ত করা। বীর এই লক্ষ্যে শাসক-শােষকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘােষণা করেন। বীর তার উচ্চাসন মূল্য ও মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও আত্মবিশ্বাসী। তাঁর বিদ্রোহী চেতনায় জাতির আত্মজাগরণ ঘটে। উদ্দীপকে জন্মভূমির শত্রুদের নিশ্চিহ্ন করে ন্যায্য অধিকার ফিরে পাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত হয়েছে।
কবির মনে তীব্র ক্ষোভ শত্রুকে শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত তার স্বস্তি নেই। রক্তে তাঁর লক্ষ সূর্যশিখার তেজ। জন্মভূমির ওপর শােষকদের পাশবিক আচরণ তিনি সহ্য করতে চান না। এই দুঃসময়ে কেউ যেন তাঁকে পেছন থেকে না ডাকেন। তাঁর অভিযান সামনে এগিয়ে যাওয়া, পেছনে ফিরে তাকানাে নয়।
উদ্দীপকের এই সংগ্রামী চেতনার সঙ্গে ‘বিদ্রোহী কবিতায় প্রতিফলিত সংগ্রামী চেতনার মিল রয়েছে। তবে তা ‘বিদ্রোহী কবিতার সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করেনি। ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি বিদ্রোহের কারণ, উদ্দেশ্য এবং জাতীয় জাগরণে একজন প্রকৃত বীরের ভূমিকা তুলে ধরেছেন। কবি। এখানে বারবার ‘আমি’ শব্দটি ব্যবহার করে আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে মানুষকে অধিকার সচেতন করেছেন। আর সেই অধিকার বুঝে নেওয়ার সংগ্রামী চেতনার গুরুত্ব নির্দেশ করেছেন।
উদ্দীপকে এ বিষয়টি যথাযথভাবে প্রকাশ পায়নি। বিদ্রোহী কবিতায় মানুষের মুক্তি ও কল্যাণের জন্য কবির বিদ্রোহী হয়ে ওঠার সঙ্গে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও পুরাণের নানা ঘটনা-চরিত্রকে স্মরণ করে নিজের বীরত্ব দিয়ে অন্যায় প্রতিরােধ করার কথা বলেছেন। এতে যে জাতীয় জাগরণ সূচিত হয়েছে তা উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়নি। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবির বিদ্রোহী চেতনা, আত্মবিশ্বাস ও আত্মশক্তির যে জাগরণ লক্ষ করা যায় তার পূর্ণ প্রতিফলন উদ্দীপকে য় নেই। কবি নিপীড়িত মানুষের পক্ষে যে কথা বলেছেন তা উদ্দীপকে স্পষ্ট হয়ে ওঠেনি।
ঘ উত্তরঃ মিল থাকলেও উদ্দীপকে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার চেতনার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি। মন্তব্যটি যথার্থ। বীরের ধর্ম দেশ ও দেশের মানুষকে অশুভ শক্তির কবল থেকে মুক্ত করা। বীর এই লক্ষ্যে শাসক-শােষকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘােষণা করেন। বীর তার উচ্চাসন মূল্য ও মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও আত্মবিশ্বাসী। তাঁর বিদ্রোহী চেতনায় জাতির আত্মজাগরণ ঘটে। উদ্দীপকে জন্মভূমির শত্রুদের নিশ্চিহ্ন করে ন্যায্য অধিকার ফিরে পাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত হয়েছে।
কবির মনে তীব্র ক্ষোভ শত্রুকে শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত তার স্বস্তি নেই। রক্তে তাঁর লক্ষ সূর্যশিখার তেজ। জন্মভূমির ওপর শােষকদের পাশবিক আচরণ তিনি সহ্য করতে চান না। এই দুঃসময়ে কেউ যেন তাঁকে পেছন থেকে না ডাকেন। তাঁর অভিযান সামনে এগিয়ে যাওয়া, পেছনে ফিরে তাকানাে নয়।
উদ্দীপকের এই সংগ্রামী চেতনার সঙ্গে ‘বিদ্রোহী কবিতায় প্রতিফলিত সংগ্রামী চেতনার মিল রয়েছে। তবে তা ‘বিদ্রোহী কবিতার সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করেনি। ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি বিদ্রোহের কারণ, উদ্দেশ্য এবং জাতীয় জাগরণে একজন প্রকৃত বীরের ভূমিকা তুলে ধরেছেন। কবি এখানে বারবার ‘আমি’ শব্দটি ব্যবহার করে আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে মানুষকে অধিকার সচেতন করেছেন। আর সেই অধিকার বুঝে নেওয়ার সংগ্রামী চেতনার গুরুত্ব নির্দেশ করেছেন। উদ্দীপকে এ বিষয়টি যথাযথভাবে প্রকাশ পায়নি।
বিদ্রোহী কবিতায় মানুষের মুক্তি ও কল্যাণের জন্য কবির বিদ্রোহী হয়ে ওঠার সঙ্গে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও পুরাণের নানা ঘটনা-চরিত্রকে স্মরণ করে নিজের বীরত্ব দিয়ে অন্যায় প্রতিরােধ করার কথা বলেছেন। এতে যে জাতীয় জাগরণ সূচিত হয়েছে তা উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়নি। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবির বিদ্রোহী চেতনা, আত্মবিশ্বাস ও আত্মশক্তির যে জাগরণ লক্ষ করা যায় তার পূর্ণ প্রতিফলন উদ্দীপকে স্থা নেই। কবি নিপীড়িত মানুষের পক্ষে যে কথা বলেছেন তা উদ্দীপকে স্পষ্ট হয়ে ওঠেনি।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২
অধিকারবতি মানুষকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শেখানাে-এর আলােকে প্রণীত। নারী তুমি বিদ্রোহ করাে। সমাজের সভ্যতার গভীরে বিদ্রোহ করাে। অকরুণ পৃথিবীতে বহু যুগ কতাে যুগ শুধু অশ্রুজলে তুমি আর এ জীবন নিঃশেষে দিও না— জ্বলে উঠে অশুহীন কঠিন শপথে পৃথিবীকে একবার পদাঘাত করাে, তুমি আজ একবার বিদ্রোহ করাে।
ক. ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
খ. কবি নিজেকে মহা-প্রলয়ের নটরাজ বলেছেন কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি ‘বিদ্রোহী কবিতার কোন দিকটিকে নির্দেশ করেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “আত্মজাগরণের চেতনার দিক থেকে উদ্দীপকের মূলভাব ‘বিদ্রোহী’ কবিতার মূলভাবের সঙ্গে একসূত্রে গাঁথা।” মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ
ক উত্তরঃ ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি ১৯২২ সালে প্রকাশিত হয়।
খ উত্তরঃ কবি তাঁর বিদ্রোহী চেতনাশক্তির তীব্রতা বােঝাতে নিজেকে মহা-প্রলয়ের নটরাজ বলেছেন।
‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি বিভিন্ন অনুষঙ্গে তাঁর বিদ্রোহের স্বরূপ নির্দেশ করেছেন। তিনি বিদ্রোহী বীরের শক্তিমত্তাকে নানা কিছুর সঙ্গে তুলনা করে প্রকাশ করেছেন। অন্যায়, অকল্যাণ, অমঙ্গলের অবসানকল্পে কবির বিদ্রোহ মহা-প্রলয় সদৃশ। কবির মতে তা প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে ধ্বংস করে চলা ঘূর্ণিঝড়ের মতাে। সেই ঘূর্ণিঝড় নটরাজের তাণ্ডবের মতাে।
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে নটরাজ বেশে শিবের মূর্তি মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। নটরাজ নৃত্যনাট্য ও নৃত্যকলার প্রবর্তক। তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত দুটি নৃত্যের নাম হলাে তাণ্ডব ও লাস্য। তাণ্ডব নাচ ধ্বংসের উদ্দেশ্যে করা হয়। এক্ষেত্রে নটরাজ যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হন ‘বিদ্রোহী কবিতার কবিও তেমনই অন্যায়-অত্যাচারীর ধ্বংস নিশ্চিত করতে সমস্ত অপশক্তির বিরুদ্ধে সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ। এ কারণেই কবি নিজেকে মহা-প্রলয়ের নটরাজ বলেছেন।
সারকথা : অন্যায় ও অপশাসনের অবসানের জন্য নটরাজের তাণ্ডব নৃত্যের সঙ্গে কবি নিজের বিদ্রোহের তুলনা করে নিজেকে মহা-প্রলয়ের ও নটরাজ বলেছেন।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি ‘বিদ্রোহী কবিতার সংগ্রামী চেতনার দিকটিকে নির্দেশ করেছে। যুগে যুগে বাঙালি জাতি বিভিন্ন শাসকগােষ্ঠীর শােষণ-বঞ্চনার শিকার হয়েছে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে তারা বহুবার সেসব অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে। তবুও অন্যায়ের কাছে তারা মাথা নত করেনি।
উদ্দীপকে সমাজ-সভ্যতার গভীরে নারীর প্রতি যে অবহেলা ও অমর্যাদার স্রোত প্রবহমান, তার বিরুদ্ধে নারীকে বিদ্রোহ করার আহ্বান জানানাে হয়েছে। কারণ নারীরা যুগ যুগ ধরে পুরুষশাসিত সমাজে নানাভাবে শােষণ-বঞ্চনার শিকার হয়ে অশ্রুসিক্ত হয়েছে। তাদের সেই করুণ অবস্থা থেকে মুক্তির একটাই পথ— বিদ্রোহ।
বিদ্রোহের পথ ধরেই তারা তাদের অধিকার ও আত্মমর্যাদা ফিরে পাবে। পুরুষশাসিত সমাজের অন্যায়-অত্যাচার থেকে মুক্তি পাবে। নারীকে তার অধিকার বুঝে নেওয়ার যে সংগ্রামী চেতনা উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে তা ‘বিদ্রোহী’ কবিতার সংগ্রামী চেতনাকে নির্দেশ করেছে।
বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি নিপীড়িতের পক্ষ নিয়ে শাসকের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন এবং সমস্ত অন্যায়-অবিচার ও দুঃশাসনের অবসানকল্পে। বিদ্রোহ করেছেন। তার সেই বিদ্রোহ উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রােল বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন। কারণ তিনি জানেন শােষকের হাত থেকে জাতিকে মুক্ত করার জন্য বিদ্রোহের পথ ছাড়া অন্য কোনাে পথ নেই। তাই তাঁর বিদ্রোহী সত্তার শক্তিকে তিনি সকলের করে তুলতে চেয়েছেন।
সারকথা : ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি শাসকদের শােষণ-বঞ্চনা থেকে নিপীড়িতদের রক্ষার জন্য বিদ্রোহ করেছেন। এই বিদ্রোহ চেতনার দিকটি উদ্দীপকেও প্রতিফলিত হয়েছে।
ঘ উত্তরঃ “আত্মজাগরণের চেতনার দিক থেকে উদ্দীপকের মূলভাব ‘বিদ্রোহী’ কবিতার মূলভাবের সঙ্গে একসূত্রে গাঁথা।”- মন্তব্যটি যথার্থ । যুগ যুগ ধরে সাধারণ মানুষ অশুভ শক্তি দ্বারা নানাভাবে শােষণ-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। শােষকের নির্যাতন ভােগ করতে করতে একসময় তারা প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে। সময়ের প্রয়ােজনে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে শােষকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে।
উদ্দীপকে ন্যায্য অধিকারের দাবিতে নারীকে সমাজের প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার আহ্বান ধ্বনিত হয়েছে। এখানে নারীদের জাগরণের প্রত্যাশা করা হয়েছে। উদ্দীপকের কবিতাংশে প্রতিফলিত নারীর আত্মমর্যাদার জন্য এই জাগরণের বিষয়টি ‘বিদ্রোহী’ কবিতার কবির বাঙালির আত্মজাগরণের প্রত্যাশার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
আত্মবিশ্বাসী কবি আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বলেছেন। এই লক্ষ্যে তিনি বীরকে সমস্ত শক্তির ধারক হিসেবে তুলে ধরেছেন। তাঁর বিদ্রোহ সমাজে অবহেলিত, বঞিত, নিপীড়িত মানুষের অধিকার হরণকারীদের বিরুদ্ধে। তাঁর লক্ষ্য সমস্ত অন্যায় ও অত্যাচারের । বিরুদ্ধে লড়াই করে মানুষের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে কল্যাণ সাধন করা।
‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি অসত্য, অমঙ্গল ও অকল্যাণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। তার এই বিদ্রোহ উৎপীড়িতের পক্ষে, তাদের মুক্তি ও কল্যাণ সাধনের জন্য। বতিদের অধিকার বুঝে পাওয়ার জন্য কবি তাঁর বিদ্রোহ চেতনা সবার মাঝে বিস্তার করতে চেয়েছেন। তিনি ‘আমি’ শব্দের মাধ্যমে নিজের আত্মবিশ্বাস তথা বীরের শক্তিমত্তার যে পরিচয় তুলে ধরেছেন তা সমস্ত বঞ্চিত মানুষের অধিকার চেতনা। বিদ্রোহী’ কবিতায় বীর জাতীয় বিদ্রোহের প্রতিনিধি জাতীয় চেতনার প্রতীক। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সারকথা : ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি সত্য ও কল্যাণের জন্য অসত্য ও অকল্যাণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। বিদ্রোহী বীর সমস্ত অনিয়ম তা ভেঙেচুরে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চান। উদ্দীপকেও এই চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে।