আসসালামু আলাইকুম! কেমন আছেন সবাই? জীবনে চলার পথে, সম্পর্কে, বন্ধুত্বে, ভালোবাসায়—অভিমান তো আমাদের সবারই হয়, তাই না? এই অভিমান কখনো কষ্টের কারণ হয়, আবার কখনো ভালোবাসার গভীরতা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু যখন এই অভিমান মনের ভেতর পাহাড় হয়ে জমে, তখন হয়তো আমরা দিশেহারা হয়ে যাই। তখন একটুখানি শান্তির পরশ, একটুখানি আলোর দিশা পেতে মন কাঁদে। আর সেই সময়ে, ইসলামিক উক্তিগুলো যেন শীতল জলের মতো শান্তি এনে দেয়।
মনের গভীরে জমে থাকা অভিমানকে হয়তো পুরোপুরি মুছে ফেলা যায় না, কিন্তু ইসলামিক জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করে জীবনকে সুন্দরভাবে সাজানো যায়। আজ আমরা “অভিমান নিয়ে ইসলামিক উক্তি” নিয়ে আলোচনা করব। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে অভিমানকে কীভাবে দেখা হয়, এর প্রতিকার কী, এবং কীভাবে আমরা আমাদের জীবনে শান্তি খুঁজে পেতে পারি, সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। চলুন, তাহলে শুরু করা যাক!
১০০+অভিমান নিয়ে ইসলামিক উক্তি
আমাদের জীবনে কষ্ট আসে পরীক্ষা হিসেবে। ধৈর্য ধরুন, আল্লাহ নিশ্চয়ই উত্তম প্রতিদান দেবেন। ✨
ভেঙে গেলে হতাশ হবেন না। মহান আল্লাহ তা’আলা নতুন করে গড়ার জন্য যথেষ্ট। 💖
আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন, তিনিই আপনার অভিমানের নীরবতা বুঝবেন এবং দূর করে দেবেন। 🤲
দুনিয়ার কষ্ট ক্ষণস্থায়ী, পরকালের জীবন অনন্ত। তাই আল্লাহর পথে অবিচল থাকুন। 🌟
মনে রাখবেন, আল্লাহ আপনার সাথেই আছেন। আপনার নীরব কান্নাও তিনি শোনেন। 😢
সবর করুন, নিশ্চয়ই আল্লাহ صبرকারীদের সাথে আছেন। 🌸
আল্লাহর কাছে চান, তিনি আপনার মনের সব ব্যথা দূর করে দেবেন। 🌻
হতাশ হবেন না, আল্লাহ তা’আলার রহমত থেকে নিরাশ হওয়া মুমিনের কাজ নয়। 💫
জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন, তিনি আপনার জীবনকে আরও সুন্দর করে দেবেন। 😊
মনে শান্তি পেতে হলে আল্লাহর জিকির করুন, তিনিই একমাত্র শান্তির উৎস। 🕊️
আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন, তাকে পরীক্ষা করেন। ভেঙে পড়বেন না, শক্ত থাকুন। 💪
দুঃখ কষ্টের পর অবশ্যই সুখ আসবে। আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখুন। 🌈
যখন পথ খুঁজে পাবেন না, তখন আল্লাহর কাছে পথ চান, তিনিই পথ দেখাবেন। 🙏
আপনার চোখের পানি আল্লাহ দেখেন, আপনার কষ্টের কথা তিনি জানেন। ভরসা রাখুন। ❤️
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সবকিছু করুন, আপনার জীবন অর্থবহ হয়ে উঠবে। 🌱
মনে রাখবেন, এই দুনিয়া পরীক্ষা ক্ষেত্র। এখানে কষ্ট আসবেই। আল্লাহর কাছে সাহায্য চান। 🌳
হতাশ না হয়ে আল্লাহর কাছে দু’আ করুন, তিনি অবশ্যই শুনবেন। 🌙
জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন, তিনি আপনাকে সঠিক পথে চালাবেন। 🌠
যখন মন খারাপ হয়, তখন কোরআন পড়ুন, মনে শান্তি পাবেন। 📖
আল্লাহর রহমত সর্বদা আপনার সাথে আছে, শুধু অনুভব করার চেষ্টা করুন। 🌟
কষ্টের সময়ে ধৈর্য ধরুন, আল্লাহ নিশ্চয়ই ভালো কিছু রেখেছেন। 🎁
নিজের ভুল স্বীকার করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান, তিনি ক্ষমাশীল। 💖
মনে রাখবেন, আল্লাহ আপনার সব কিছু জানেন। তাই তার উপর ভরসা রাখুন। 🙌
দুনিয়ার চাকচিক্য ধোঁকা, আসল সুখ আল্লাহর পথে। ✨
আল্লাহর পথে চললে জীবনে শান্তি আসবেই। 🛤️
মানুষের কাছে নয়, আল্লাহর কাছে চান, তিনি ফিরিয়ে দেন না। 🤲
হতাশ হবেন না, আল্লাহ আপনার সহায়। 🫂
জীবনের প্রতিটি পরীক্ষায় আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করুন। 🌸
যখন সবকিছু অন্ধকার মনে হয়, তখন আল্লাহর আলোতে আলোকিত হন। 🌟
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস আপনাকে শক্তিশালী করবে। 💪
মনে রাখবেন, আপনি একা নন, আল্লাহ আপনার সাথে আছেন। 💫
কষ্টের পর সুখ আসবেই, অপেক্ষা করুন। ⏳
আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করুন, তিনি আপনার জীবনকে সহজ করে দেবেন। 🕊️
নিজের দুর্বলতা আল্লাহর কাছে স্বীকার করুন, তিনি শক্তি দেবেন। 🙏
আল্লাহর রহমত থেকে কখনও নিরাশ হবেন না। 🌈
জীবনের সব পরিস্থিতিতে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন। 😊
মনে রাখবেন, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ পরিকল্পনাকারী। 🧠
কষ্টের সময় আল্লাহর নাম স্মরণ করুন, শান্তি পাবেন। 📿
আল্লাহর ভালোবাসার উপর বিশ্বাস রাখুন, জীবন সুন্দর হবে। 💖
দুশ্চিন্তা করবেন না, আল্লাহ আপনার সাথে আছেন। 🤗
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান, তিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। ❤️
জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন। 🙏
মনে রাখবেন, আল্লাহ আপনার সব প্রয়োজন জানেন। 🌟
আল্লাহর পথে চললে জীবনে কখনও পথ হারাবেন না। 🛤️
কষ্টের সময় নিজেকে একা ভাববেন না, আল্লাহ আপনার সাথে আছেন। 🤝
আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন, তিনি আপনার জন্য যথেষ্ট। 🙌
হতাশ না হয়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চান, তিনি অবশ্যই সাহায্য করবেন। 🌙
জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আল্লাহর मार्गदर्शन কামনা করুন। 🌠
যখন মন খারাপ হয়, তখন আল্লাহর কথা ভাবুন, শান্তি পাবেন। 📖
আল্লাহর রহমত আপনার চারপাশে ঘিরে আছে, অনুভব করুন। 🌟
কষ্টের সময়ে ধৈর্য ধরুন, আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দেবেন। 🎁
নিজের ভুল স্বীকার করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান, তিনি ক্ষমাশীল। 💖
মনে রাখবেন, আল্লাহ আপনার সব কিছু জানেন, তাই ভরসা রাখুন। 🙌
দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী, পরকালের জন্য প্রস্তুতি নিন। ✨
আল্লাহর পথে চললে জীবনে শান্তি আসবেই। 🛤️
মানুষের কাছে নয়, আল্লাহর কাছে চান, তিনি ফিরিয়ে দেন না। 🤲
হতাশ হবেন না, আল্লাহ আপনার সহায়। 🫂
জীবনের প্রতিটি পরীক্ষায় আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করুন। 🌸
যখন সবকিছু অন্ধকার মনে হয়, তখন আল্লাহর আলোতে আলোকিত হন। 🌟
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস আপনাকে শক্তিশালী করবে। 💪
মনে রাখবেন, আপনি একা নন, আল্লাহ আপনার সাথে আছেন। 💫
কষ্টের পর সুখ আসবেই, অপেক্ষা করুন। ⏳
আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করুন, তিনি আপনার জীবনকে সহজ করে দেবেন। 🕊️
নিজের দুর্বলতা আল্লাহর কাছে স্বীকার করুন, তিনি শক্তি দেবেন। 🙏
আল্লাহর রহমত থেকে কখনও নিরাশ হবেন না। 🌈
জীবনের সব পরিস্থিতিতে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন। 😊
মনে রাখবেন, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ পরিকল্পনাকারী। 🧠
কষ্টের সময় আল্লাহর নাম স্মরণ করুন, শান্তি পাবেন। 📿
আল্লাহর ভালোবাসার উপর বিশ্বাস রাখুন, জীবন সুন্দর হবে। 💖
দুশ্চিন্তা করবেন না, আল্লাহ আপনার সাথে আছেন। 🤗
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান, তিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। ❤️
জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন। 🙏
মনে রাখবেন, আল্লাহ আপনার সব প্রয়োজন জানেন। 🌟
আল্লাহর পথে চললে জীবনে কখনও পথ হারাবেন না। 🛤️
কষ্টের সময় নিজেকে একা ভাববেন না, আল্লাহ আপনার সাথে আছেন। 🤝
আপনার প্রতিটি কষ্টের হিসেব আল্লাহ রাখেন। 😥
নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে স্বস্তি আছে। 😊
আল্লাহ ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন। 🥰
হতাশ হবেন না, আপনার রব আপনার সাথেই আছেন। 💖
আল্লাহর কাছে সাহায্য চান, তিনি নিরাশ করেন না। 🤲
মনে রাখবেন, আল্লাহ সব দেখেন। 👀
সবরের ফল মিষ্টি হয়। 😋
আল্লাহর রহমত থেকে দূরে সরে যাবেন না। 🤗
আপনার চোখের জল আল্লাহর কাছে অনেক মূল্যবান। 💧
আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করুন, তিনি যথেষ্ট। 🌟
জীবনে যাই ঘটুক, আল্লাহর হিকমত আছে। 🤔
আল্লাহর জিকির অন্তরের শান্তি। 📿
হতাশ না হয়ে আল্লাহর কাছে দুয়া করুন। 🤲
আল্লাহ সব জানেন, সব শোনেন। 👂
সবসময় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন। 💖
আল্লাহর পথে অবিচল থাকুন। 💪
মনে রাখবেন, দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী। ⏳
আল্লাহর কাছেই সব সমস্যার সমাধান আছে। 🔑
আল্লাহর সাহায্য সর্বদা আপনার সাথে আছে। 🤝
কষ্টের পর আনন্দ আসবেই। 🌈
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস হারাবেন না। 🌟
সবসময় আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। 🙏
আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হবেন না। 🤗
জীবনে যাই হোক, আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন। 🙌
মনে রাখবেন, আল্লাহ সবচেয়ে বড়। ☝️
আল্লাহর পথে চললে শান্তি পাবেন। 🕊️
সবসময় আল্লাহর জিকির করুন। 📿
আল্লাহর কাছেই সব চাওয়া পূরণ হয়। 💖
আপনার সব দুঃখ আল্লাহ জানেন। 😥
আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন। 😊
মনে রাখবেন, আল্লাহ সবসময় আপনার সাথে আছেন। 💫
অভিমান নিয়ে কিছু কথা
অভিমান! এই শব্দটি ছোট হলেও এর গভীরতা অনেক। অভিমান মানে রাগ, ক্ষোভ, কষ্ট, আর ভালোবাসার মিশ্রণ। যখন কেউ আপনার কাছে বিশেষ হয়, তখন তার কাছ থেকে একটুখানি অবহেলা পেলেই অভিমান হয়। এই অভিমান ভালোবাসারই একটা অংশ। তবে, অতিরিক্ত অভিমান সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে পারে।
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে, অভিমান একটি মানবিক অনুভূতি। তবে, এই অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। কারণ, ইসলাম আমাদের ক্ষমা করতে, ধৈর্য ধরতে, এবং সহনশীল হতে শিক্ষা দেয়।
অভিমান কি ইসলামে খারাপ?
আসলে, অভিমান inherently খারাপ কিছু নয়। এটি মানুষের একটি স্বাভাবিক আবেগ। তবে, অভিমান যখন সীমা ছাড়িয়ে যায়, যখন এটি সম্পর্কের মধ্যে তিক্ততা সৃষ্টি করে, তখন তা অবশ্যই নিন্দনীয়।
ইসলামে বলা হয়েছে, “তোমরা একে অপরের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করো না, হিংসা করো না এবং একে অপরের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না। বরং, আল্লাহর বান্দা হিসেবে ভাই ভাই হয়ে থাকো।” (সহীহ মুসলিম)
অতএব, আমাদের উচিত অভিমানকে নিয়ন্ত্রণে রেখে आपसी সম্পর্ক বজায় রাখা।
অভিমান হলে আমরা কি করতে পারি?
অভিমান হলে আমরা কিছু ইসলামিক উপায় অনুসরণ করতে পারি:
- ধৈর্য ধারণ করুন: প্রথমত, অস্থির না হয়ে ধৈর্য ধরুন। মনে রাখবেন, আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।
- ক্ষমা করে দিন: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ক্ষমা করে, আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।” তাই, চেষ্টা করুন অপরকে ক্ষমা করে দিতে।
- আলোচনা করুন: যদি সম্ভব হয়, যার সাথে অভিমান হয়েছে, তার সাথে শান্তভাবে কথা বলুন। আপনার feelings প্রকাশ করুন, কিন্তু কোনো খারাপ কথা বলবেন না।
- দোয়া করুন: আল্লাহর কাছে সাহায্য চান। তিনি যেন আপনার মনকে শান্ত করেন এবং সঠিক পথে পরিচালিত করেন।
অভিমান এবং ইসলামিক দৃষ্টিকোণ
ইসলামে অভিমানকে কিভাবে দেখা হয়, তা বুঝতে হলে আমাদের কোরআন ও হাদিসের আলোকে কিছু বিষয় জানতে হবে।
কোরআনের আলোকে অভিমান
কোরআনে আল্লাহ তা’আলা বিভিন্ন আয়াতে ক্ষমা, ধৈর্য ও সহনশীলতার কথা বলেছেন। সূরা আশ-শুরার ৩৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, “আর যারা বড় ধরনের পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বেঁচে থাকে এবং যখন তারা রাগান্বিত হয়, তখন ক্ষমা করে দেয়।”
এই আয়াতে আল্লাহ মুমিনদের প্রশংসা করেছেন, যারা রাগের মুহূর্তেও ক্ষমা করে দেয়। তাই, আমাদের উচিত অভিমান ভুলে গিয়ে ক্ষমা করার মানসিকতা তৈরি করা।
হাদিসের আলোকে অভিমান
হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “কোনো মুসলিমের জন্য বৈধ নয় যে সে তার ভাইকে তিন দিনের বেশি সময় ধরে ত্যাগ করে।” (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
এই হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি যে, দীর্ঘদিনের অভিমান ইসলাম সমর্থন করে না। আমাদের উচিত দ্রুত নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করে নেয়া।
অভিমানের কারণ ও প্রতিকার
অভিমানের কিছু সাধারণ কারণ এবং তার প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করা যাক।
সম্পর্কের ভুল বোঝাবুঝি
প্রায়শই, ভুল বোঝাবুঝির কারণে অভিমান সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে, খোলাখুলি আলোচনার মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝি দূর করা যায়।
প্রতিকার:
- যোগাযোগ: একে অপরের সাথে কথা বলুন, নিজের feelings প্রকাশ করুন।
- শ্রবণ: অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন।
- স্পষ্টতা: নিজের বক্তব্য স্পষ্টভাবে তুলে ধরুন, যাতে কোনো confusion না থাকে।
প্রত্যাশার অপূর্ণতা
কখনো কখনো, আমরা কারো কাছ থেকে কিছু আশা করি, কিন্তু সেটা পূরণ না হলে অভিমান করি।
প্রতিকার:
- বাস্তবতা: প্রথমে বুঝতে হবে যে, মানুষ হিসেবে সবারই কিছু সীমাবদ্ধতা আছে।
- ধন্যবাদ: যা পেয়েছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ থাকুন। সবসময় অপূর্ণতা নিয়ে চিন্তা না করে, যা আছে তার মূল্য দিন।
- দোয়া: আল্লাহর কাছে চান, তিনি যেন আপনার মনকে শান্তি দেন এবং সঠিক পথে চালান।
আত্মসম্মানবোধের অভাব
নিজেকে ছোট মনে হলে বা কেউ অসম্মান করলে অভিমান হতে পারে।
প্রতিকার:
- আত্ম-উপলব্ধি: নিজেকে জানুন এবং নিজের মূল্য দিন।
- ইতিবাচক চিন্তা: নিজের সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা রাখুন।
- ইসলামিক জ্ঞান: ইসলামে মানুষের মর্যাদা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন।
অভিমান কমাতে ইসলামিক উপায়
ইসলামিক কিছু practices আছে, যা অভিমান কমাতে সাহায্য করতে পারে।
নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত
কুরআন তেলাওয়াত মনকে শান্ত করে এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গভীর করে। নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত করুন, এর অর্থ বোঝার চেষ্টা করুন এবং আপনার জীবনে প্রয়োগ করুন।
বেশি বেশি দোয়া করা
দোয়া একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। নিজের জন্য, অন্যের জন্য, এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করুন। বিশেষ করে, যখন মন খারাপ থাকে, তখন আল্লাহর কাছে সাহায্য চান।
দান করা
দান করা শুধু আর্থিক সাহায্য নয়, বরং যেকোনো ভালো কাজ, যেমন—কাউকে smile দেয়া, ভালো কথা বলা, অথবা কাউকে সাহায্য করাও দান হিসেবে গণ্য হয়। দান করলে মন পবিত্র হয় এবং অন্যের প্রতি ভালোবাসা বাড়ে।
আল্লাহর জিকির করা
আল্লাহর জিকির, যেমন—তাসবিহ, তাহলিল, তাহমিদ পাঠ করা মনকে শান্ত করে এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।
বাস্তব জীবনে অভিমান
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অভিমান কীভাবে প্রভাব ফেলে, তার কিছু উদাহরণ এবং সমাধান নিয়ে আলোচনা করা যাক।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অভিমান
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সামান্য কারণেও অভিমান হতে পারে। এক্ষেত্রে, উভয়েরই উচিত ধৈর্যশীল হওয়া এবং একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া।
সমাধান:
- আলোচনা: নিজেদের মধ্যে খোলাখুলি আলোচনা করুন।
- উত্তম ব্যবহার: একে অপরের সাথে ভালো ব্যবহার করুন।
- দোয়া: আল্লাহর কাছে দোয়া করুন, তিনি যেন আপনাদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করেন।
বন্ধুত্বের মধ্যে অভিমান
বন্ধুদের মধ্যে প্রায়ই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে অভিমান হয়।
সমাধান:
- ক্ষমা: বন্ধুদের ভুলগুলো ক্ষমা করে দিন।
- যোগাযোগ: নিয়মিত বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখুন।
- সহানুভূতি: বন্ধুদের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন।
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অভিমান
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পত্তি, মতামত, বা অন্য কোনো কারণে অভিমান হতে পারে।
সমাধান:
- সম্মান: পরিবারের সদস্যদের প্রতি সম্মান দেখান।
- মীমাংসা: শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন।
- দোয়া: পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া করুন।
অভিমান নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
এখানে অভিমান নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:
প্রশ্ন: অভিমান কি গুনাহের কাজ?
উত্তর: অভিমান একটি স্বাভাবিক মানবিক অনুভূতি। তবে, যদি এটি সীমা ছাড়িয়ে যায় এবং সম্পর্কের মধ্যে তিক্ততা সৃষ্টি করে, তবে তা গুনাহের কারণ হতে পারে।
প্রশ্ন: ইসলামে কতদিন পর্যন্ত অভিমান করে থাকা যায়?
উত্তর: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “কোনো মুসলিমের জন্য বৈধ নয় যে সে তার ভাইকে তিন দিনের বেশি সময় ধরে ত্যাগ করে।” (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)। তাই, তিন দিনের বেশি অভিমান করে থাকা উচিত নয়।
প্রশ্ন: অভিমান হলে কি করা উচিত?
উত্তর: অভিমান হলে ধৈর্য ধারণ করুন, ক্ষমা করে দিন, আলোচনা করুন এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।
প্রশ্ন: কিভাবে অভিমান কম করা যায়?
উত্তর: কুরআন তেলাওয়াত, বেশি বেশি দোয়া, দান এবং আল্লাহর জিকির করার মাধ্যমে অভিমান কম করা যায়।
প্রশ্ন: স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অভিমান হলে কি করা উচিত?
উত্তর: স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অভিমান হলে উভয়েরই উচিত ধৈর্যশীল হওয়া এবং একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া। নিজেদের মধ্যে খোলাখুলি আলোচনা করুন এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।
শেষ কথা
অভিমান জীবনের একটা অংশ, কিন্তু এটা যেন আমাদের জীবনকে বিষাক্ত করে না তোলে। ইসলামিক শিক্ষা অনুযায়ী, আমাদের উচিত ধৈর্য ধারণ করা, ক্ষমা করা এবং একে অপরের সাথে ভালো ব্যবহার করা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন। আমিন।
এই ব্লগ পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। আপনার কোনো মতামত থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। জাযাকাল্লাহু খাইরান।