আসসালামু আলাইকুম, ভোজন রসিক বাঙালি!
সকালটা যদি হয় দারুণ একটা নাস্তার সাথে, তাহলে পুরো দিনটাই যেন আনন্দে ভরে ওঠে, তাই না? আর সেই নাস্তা যদি হয় ঘরে তৈরি, তাহলে তো আর কথাই নেই! কিন্তু প্রতিদিন কী নাস্তা বানাবেন, সেটা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। তাই আপনাদের জন্য আজ আমি নিয়ে এসেছি কিছু সহজ ও মুখরোচক নাস্তার রেসিপি, যা তৈরি করতে খুব বেশি সময়ও লাগবে না। তাহলে চলুন, শুরু করা যাক!
সকালের নাস্তার সহজ রেসিপি
সকালের নাস্তা মানেই যেন তাড়াহুড়ো। কম সময়ে পুষ্টিকর কিছু তৈরি করতে পারাটাই আসল। এখানে কিছু দারুণ বিকল্প দেওয়া হলো:
ডিম টোস্ট – ঝটপট এবং পুষ্টিকর
ডিম টোস্ট একটি জনপ্রিয় এবং সহজ নাস্তা। এটা তৈরি করতে আপনার লাগবে:
- ডিম – ২টি
- পাউরুটি – ৪টি
- পেঁয়াজ কুচি – ১ টেবিল চামচ
- কাঁচামরিচ কুচি – স্বাদমতো
- ধনে পাতা কুচি – ১ টেবিল চামচ
- লবণ – স্বাদমতো
- গোলমরিচ গুঁড়ো – সামান্য
- তেল – ভাজার জন্য
যেভাবে তৈরি করবেন:
- প্রথমে একটি পাত্রে ডিম, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, ধনে পাতা, লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে ফেটিয়ে নিন।
- এবার ডিমের মধ্যে পাউরুটি ডুবিয়ে গরম তেলে ভেজে নিন।
- পাউরুটি সোনালী হয়ে এলে নামিয়ে সস দিয়ে পরিবেশন করুন।
ডিম টোস্টের স্বাদ বাড়াতে আপনি এর সাথে চিজ এবং সবজিও যোগ করতে পারেন।
সুজি উপমা – স্বাস্থ্যকর একটি বিকল্প
সুজি উপমা একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু নাস্তা। এটি তৈরি করতে আপনার দরকার হবে:
- সুজি – ১ কাপ
- পেঁয়াজ কুচি – ১/২ কাপ
- সবজি (গাজর, মটর) – ১/২ কাপ
- রাই ও কারি পাতা – ১ চা চামচ
- সর্ষের তেল – ১ টেবিল চামচ
- লবণ – স্বাদমতো
- জল – ২ কাপ
কিভাবে বানাবেন:
- প্রথমে একটি কড়াইয়ে সুজি হালকা করে ভেজে তুলে নিন।
- এবার তেলে রাই ও কারি পাতা দিয়ে পেঁয়াজ কুচি ভাজুন।
- সবজি যোগ করে কিছুক্ষণ ভেজে জল ও লবণ দিন।
- জল ফুটে উঠলে সুজি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
- জল শুকিয়ে গেলে পরিবেশন করুন।
সুজি উপমা হজম করাও সহজ, তাই এটি ছোট বাচ্চাদের জন্যও একটি চমৎকার খাবার।
আলুর পরোটা – সকলের পছন্দের
আলুর পরোটা একটি জনপ্রিয় এবং মুখরোচক নাস্তা। এটা তৈরি করতে আপনার প্রয়োজন:
- আলু সেদ্ধ – ২টি
- আটা – ২ কাপ
- পেঁয়াজ কুচি – ১ টেবিল চামচ
- কাঁচামরিচ কুচি – স্বাদমতো
- ধনে পাতা কুচি – ১ টেবিল চামচ
- লবণ – স্বাদমতো
- তেল – ভাজার জন্য
তৈরির নিয়ম:
- আলু সেদ্ধ করে মেখে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, ধনে পাতা ও লবণ দিয়ে মিশিয়ে পুর তৈরি করুন।
- আটা মেখে ছোট ছোট লেচি কেটে পুর ভরে পরোটা বেলে নিন।
- গরম তেলে সোনালী করে ভেজে পরিবেশন করুন।
আলুর পরোটা গরম গরম পরিবেশন করলে এর স্বাদ আরও বেড়ে যায়।
বিকেলের নাস্তার সহজ রেসিপি
বিকেল মানেই হালকা খিদে। এই সময়ের জন্য কিছু চটজলদি নাস্তার আইডিয়া দেওয়া হলো:
নুডলস – বাচ্চাদের প্রিয়
বিকেলে বাচ্চাদের জন্য নুডলস একটি দারুণ খাবার। এটা তৈরি করতে আপনার দরকার:
- ইনস্ট্যান্ট নুডলস – ১ প্যাকেট
- পেঁয়াজ কুচি – ১/২ কাপ
- ক্যাপসিকাম কুচি – ১/২ কাপ
- গাজর কুচি – ১/২ কাপ
- সয়াসস – ১ চা চামচ
- তেল – ১ টেবিল চামচ
যেভাবে তৈরি করবেন:
- প্রথমে তেলে পেঁয়াজ কুচি ভেজে ক্যাপসিকাম ও গাজর কুচি দিন।
- সবজি নরম হয়ে এলে নুডলসের মশলার প্যাকেট যোগ করুন।
- এবার পরিমাণ মতো জল দিয়ে নুডলস সেদ্ধ করুন।
- সয়াসস দিয়ে মিশিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
আপনি চাইলে ডিম এবং মাংসও যোগ করতে পারেন, এতে নুডলসের পুষ্টিগুণ বাড়বে।
ঝালমুড়ি – ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার
ঝালমুড়ি একটি জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী খাবার। এটি তৈরি করতে আপনার লাগবে:
- মুড়ি – ২ কাপ
- পেঁয়াজ কুচি – ১/২ কাপ
- কাঁচামরিচ কুচি – স্বাদমতো
- ধনে পাতা কুচি – ১ টেবিল চামচ
- চানাচুর – ১/২ কাপ
- শসা কুচি – ১/২ কাপ
- সর্ষের তেল – ১ টেবিল চামচ
- লবণ – স্বাদমতো
- লেবুর রস – ১ চা চামচ
কিভাবে বানাবেন:
- একটি পাত্রে মুড়ি, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, ধনে পাতা, চানাচুর ও শসা মিশিয়ে নিন।
- সর্ষের তেল ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মেখে লেবুর রস মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
ঝালমুড়িতে আপনি নিজের পছন্দমতো উপকরণ যোগ করতে পারেন।
পাকোড়া – বৃষ্টির দিনের জন্য পারফেক্ট
পাকোড়া একটি মুখরোচক এবং জনপ্রিয় খাবার। এটি তৈরি করতে আপনার প্রয়োজন:
- বেসন – ১ কাপ
- পেঁয়াজ কুচি – ১/২ কাপ
- আলু কুচি – ১/২ কাপ
- পালং শাক কুচি – ১/২ কাপ
- কাঁচামরিচ কুচি – স্বাদমতো
- লবণ – স্বাদমতো
- হলুদ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ
- তেল – ভাজার জন্য
তৈরির পদ্ধতি:
- একটি পাত্রে বেসন, পেঁয়াজ, আলু, পালং শাক, কাঁচামরিচ, লবণ ও হলুদ মিশিয়ে জল দিয়ে ঘন ব্যাটার তৈরি করুন।
- গরম তেলে ছোট ছোট করে পাকোড়া ভেজে সোনালী হয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
পাকোড়া সস অথবা চাটনির সাথে পরিবেশন করলে খেতে আরও ভালো লাগে।
স্বাস্থ্যকর নাস্তার রেসিপি
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া শরীরের জন্য খুবই জরুরি। তাই কিছু স্বাস্থ্যকর নাস্তার রেসিপি নিচে দেওয়া হলো:
ওটস – স্বাস্থ্যকর এবং সহজ
ওটস একটি স্বাস্থ্যকর এবং সহজ নাস্তা। এটি তৈরি করতে আপনার লাগবে:
- ওটস – ১/২ কাপ
- দুধ – ১ কাপ
- মধু – ১ টেবিল চামচ
- ফল (কলা, আপেল) – পরিমাণ মতো
কিভাবে বানাবেন:
- একটি পাত্রে ওটস ও দুধ মিশিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন।
- এবার মধু ও ফল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
ওটস আপনার হজমক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং এটি ওজন কমাতেও বেশ কার্যকর।
ফল এবং বাদাম – চটজলদি একটি নাস্তা
ফল এবং বাদাম একটি স্বাস্থ্যকর এবং চটজলদি নাস্তা। এটা তৈরি করতে আপনার তেমন কিছুই করার নেই। শুধু কিছু ফল কেটে নিন এবং তার সাথে কিছু বাদাম মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
উপকরণ:
- বিভিন্ন ধরনের ফল (আপেল, কলা, আঙুর) – ১ কাপ
- বাদাম (কাজু, কাঠবাদাম, পেস্তা) – ১/২ কাপ
ফল এবং বাদাম আপনার শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি যোগায় এবং এটি ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী।
ছোলার চটপটি – প্রোটিন সমৃদ্ধ
ছোলার চটপটি একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তা। এটি তৈরি করতে আপনার প্রয়োজন:
- সেদ্ধ ছোলা – ১ কাপ
- পেঁয়াজ কুচি – ১/২ কাপ
- টমেটো কুচি – ১/২ কাপ
- কাঁচামরিচ কুচি – স্বাদমতো
- ধনে পাতা কুচি – ১ টেবিল চামচ
- লেবুর রস – ১ টেবিল চামচ
- চাট মসলা – ১/২ চা চামচ
- লবণ – স্বাদমতো
তৈরির নিয়ম:
- একটি পাত্রে সেদ্ধ ছোলা, পেঁয়াজ, টমেটো, কাঁচামরিচ ও ধনে পাতা মিশিয়ে নিন।
- লেবুর রস, চাট মসলা ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মেখে পরিবেশন করুন।
ছোলার চটপটি শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে এবং এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
কিছু ভিন্ন স্বাদের নাস্তার রেসিপি
একঘেয়েমি কাটাতে মাঝে মাঝে ভিন্ন স্বাদের নাস্তা তৈরি করা যেতে পারে। তেমনই কিছু রেসিপি এখানে দেওয়া হলো:
পোহা – মহারাষ্ট্রের জনপ্রিয় খাবার
পোহা মহারাষ্ট্রের একটি জনপ্রিয় খাবার, যা এখন বাংলাদেশেও বেশ পরিচিত। এটি তৈরি করতে আপনার লাগবে:
- পোহা (চিঁড়ে) – ১ কাপ
- পেঁয়াজ কুচি – ১/২ কাপ
- রাই ও কারি পাতা – ১ চা চামচ
- সর্ষের তেল – ১ টেবিল চামচ
- লবণ – স্বাদমতো
- চিনি – ১/২ চা চামচ
- লেবুর রস – ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ
কিভাবে বানাবেন:
- প্রথমে চিঁড়ে ধুয়ে নরম করে নিন।
- এবার তেলে রাই ও কারি পাতা দিয়ে পেঁয়াজ কুচি ভাজুন।
- হলুদ গুঁড়ো, লবণ ও চিনি দিয়ে মিশিয়ে চিঁড়ে যোগ করুন।
- ভালোভাবে মিশিয়ে লেবুর রস দিয়ে পরিবেশন করুন।
পোহা একটি হালকা এবং সুস্বাদু খাবার, যা সকালের নাস্তার জন্য উপযুক্ত।
সবজির কাটলেট – স্বাস্থ্যকর এবং মুখরোচক
সবজির কাটলেট একটি স্বাস্থ্যকর এবং মুখরোচক নাস্তা। এটি তৈরি করতে আপনার প্রয়োজন:
- আলু সেদ্ধ – ১ কাপ
- গাজর কুচি – ১/২ কাপ
- বিনস কুচি – ১/২ কাপ
- পেঁয়াজ কুচি – ১/২ কাপ
- আদা বাটা – ১ চা চামচ
- কাঁচামরিচ কুচি – স্বাদমতো
- বিস্কুটের গুঁড়ো – ১ কাপ
- লবণ – স্বাদমতো
- তেল – ভাজার জন্য
তৈরির নিয়ম:
- আলু সেদ্ধ করে মেখে সব সবজি, পেঁয়াজ, আদা, কাঁচামরিচ ও লবণ দিয়ে মিশিয়ে কাটলেটের আকার দিন।
- কাটলেটগুলো বিস্কুটের গুঁড়োতে গড়িয়ে গরম তেলে সোনালী করে ভেজে পরিবেশন করুন।
সবজির কাটলেট সস অথবা চাটনির সাথে পরিবেশন করলে খেতে আরও ভালো লাগে।
মালপোয়া – মিষ্টি প্রেমীদের জন্য
মালপোয়া একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি নাস্তা। এটি তৈরি করতে আপনার লাগবে:
- ময়দা – ১ কাপ
- সুজি – ১/২ কাপ
- চিনি – ১/২ কাপ
- দুধ – ১ কাপ
- এলাচ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ
- তেল – ভাজার জন্য
- চিনি সিরা – ১ কাপ
কিভাবে বানাবেন:
- ময়দা, সুজি, চিনি, দুধ ও এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে ঘন ব্যাটার তৈরি করুন।
- গরম তেলে ছোট ছোট করে মালপোয়া ভেজে সোনালী হয়ে এলে নামিয়ে চিনির সিরায় ডুবিয়ে পরিবেশন করুন।
মালপোয়া গরম অথবা ঠান্ডা দুভাবেই পরিবেশন করা যায়।
নাস্তা নিয়ে কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
এখানে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো, যা নাস্তা তৈরি করার সময় আপনার কাজে লাগতে পারে:
-
প্রশ্ন: স্বাস্থ্যকর নাস্তা হিসেবে কী কী খাওয়া যেতে পারে?
- উত্তর: ওটস, ফল, বাদাম, ছোলার চটপটি ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর নাস্তা হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।
-
প্রশ্ন: বাচ্চাদের জন্য সহজ নাস্তার রেসিপি কী আছে?
- উত্তর: নুডলস, ডিম টোস্ট, সুজি উপমা বাচ্চাদের জন্য সহজ নাস্তার রেসিপি।
-
প্রশ্ন: বিকেলের জন্য চটজলদি কী নাস্তা বানানো যায়?
- উত্তর: ঝালমুড়ি, পাকোড়া, নুডলস বিকেলের জন্য চটজলদি নাস্তা হিসেবে তৈরি করা যায়।
-
প্রশ্ন: নাস্তা তৈরিতে কম তেল ব্যবহার করার উপায় কী?
- উত্তর: এয়ার ফ্রায়ারে ভাজা, সেদ্ধ করা অথবা গ্রিল করে নাস্তা তৈরি করলে কম তেল ব্যবহার করা যায়।
-
প্রশ্ন: সুজি দিয়ে কী কী নাস্তা তৈরি করা যায়?
- উত্তর: সুজি দিয়ে উপমা, ইডলি, ধোসা ইত্যাদি নাস্তা তৈরি করা যায়।
-
প্রশ্ন: ডিম দিয়ে কী কী নাস্তা তৈরি করা যায়?
- উত্তর: ডিম দিয়ে ডিম টোস্ট, অমলেট, ডিম পরোটা ইত্যাদি নাস্তা তৈরি করা যায়।
-
প্রশ্ন: আলুর পরোটা কিভাবে নরম করা যায়?
- উত্তর: আলুর পুরের সাথে সামান্য ময়দা মিশিয়ে এবং পরোটা ভাজার সময় অল্প আঁচে ভাজলে পরোটা নরম হয়।
-
প্রশ্ন: ওটস কিভাবে রান্না করতে হয়?
- উত্তর: ওটস দুধ অথবা জলের সাথে মিশিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে মধু ও ফল দিয়ে পরিবেশন করা যায়।
-
প্রশ্ন: চিঁড়ে দিয়ে কি কি নাস্তা বানানো যায়?
- উত্তর: চিঁড়ে দিয়ে পোহা, চিঁড়ের পোলাও এবং চিঁড়ের কাটলেট তৈরি করা যায়।
-
প্রশ্ন: স্বাস্থ্যকর নাস্তার জন্য কোন তেল ব্যবহার করা ভালো?
- উত্তর: স্বাস্থ্যকর নাস্তার জন্য অলিভ অয়েল, রাইস ব্রান অয়েল অথবা সানফ্লাওয়ার অয়েল ব্যবহার করা ভালো।
শেষ কথা
তাহলে এই ছিল কিছু সহজ ও মুখরোচক নাস্তার রেসিপি। আমি আশা করি, এই রেসিপিগুলো আপনাদের সকাল-বিকালের নাস্তার চিন্তা দূর করবে এবং আপনারা সহজেই ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার উপভোগ করতে পারবেন। আপনার পছন্দের রেসিপিটি বেছে নিন এবং আজই তৈরি করে ফেলুন!
আর হ্যাঁ, আপনার কেমন লাগলো তা জানাতে ভুলবেন না! আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন!