আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “
পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি এ জীবন মন সকলি দাও, তার মত সুখ কোথাও কি আছে, আপনার কথা ভুলিয়া যাও“। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি এ জীবন মন সকলি দাও, তার মত সুখ কোথাও কি আছে, আপনার কথা ভুলিয়া যাও
মূলভাব: জগতে অনেকেই আত্মসুখ লাভ করতে চায়। নিজের, পরিবার-পরিজনের এবং আত্মীয়-স্বজনের সুখ-সুবিধা ও আয়-উন্নতির দিকেই কেবল তাদের নজর।
সম্প্রসারিত ভাব : মানুষ কেবল নিজের স্বার্থরক্ষার জন্যে জগতে আসেনি। মানবজন্মের উদ্দেশ্য অনেক মহৎ। অপরের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করাতেই তার সার্থকতা। অন্যকে বাদ দিয়ে একার পক্ষে মানুষের চলা সম্ভব নয়। কারণ সামাজিক জীব হিসেবে মানুষের জীবন ধারণ নির্ভর করে সকলের সহযোগিতা ও যোগাযোগের ওপর। কিন্তু স্বার্থপর মানুষ তা ভুলে যায়। সে কেবল নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে । প্রকৃত মনুষ্যত্বের লক্ষণই হলো সমাজের সকলকে নিয়ে বাঁচা। সকলের উন্নতি হলে নিজেরও উন্নতি হবে এ বোধ নিয়ে কাজ করা। অন্যের স্বার্থের জন্যে নিজের স্বার্থ ত্যাগ করতে পারাটাই প্রকৃত মনুষ্যত্বের পরিচয় । এ জগতে যারা বড়ো মাপের মানুষ, তাঁরা মানবসমাজের জন্যেই কাজ করে গেছেন। নিজের স্বার্থকে তাঁরা মোটেও প্রাধান্য দেননি। এর মধ্য দিয়েই তাঁরা জীবনের সার্থকতা খুঁজে পেয়েছেন। যারা মনে করে আত্মসুখই বড়ো সুখ, তারা প্রকৃতপক্ষে সুখী হয় না। কারণ ব্যক্তিগত ভোগে ইন্দ্রিয় পরিতৃপ্ত হয়, কিন্তু তাতে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় না। তাই এ ধরনের জীবনযাপন অর্থহীন।
মন্তব্য : যে নিজের স্বার্থ ভুলে অন্যের জন্যে কাজ করে, সবার ভালোবাসায় তার জীবন হয়ে ওঠে সার্থক ও আনন্দময়।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।