আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “
অতিবাড় বেড়ো না, ঝড়ে পড়ে যাবে, অতি ছোট থেকো না, ছাগলে মুড়াবে“। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
অতিবাড় বেড়ো না, ঝড়ে পড়ে যাবে, অতি ছোট থেকো না, ছাগলে মুড়াবে
মূলভাব: পরিমিতিবোধ জীবনে একান্ত প্রয়োজন। বেশি বাড়াবাড়ি যেমন ব্যক্তির ও সমাজের জন্যে ক্ষতিকর, তেমনি নিজের যোগ্যতা থেকে ছোট হয়ে থাকাও ব্যক্তি ও সমাজের জন্যে ক্ষতিকর। সবকিছুর একটা সীমা থাকে।
সম্প্রসারিত ভাব : সীমার মাঝেই মানুষকে তার নিজের কর্মপন্থা, স্বভাব-চরিত্র নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। বস্তুত, ষ্টির নিয়মের ভেতরেই সীমার ব্যাপারটি নিহিত। একটি গাছ যদি শুধু ওপরের দিকে উঠতে থাকে, তাহলে ঝড়ে কবলিত হয়ে সে গাছটি একসময় পড়ে যায়। আবার কোনো গাছ যদি নিজের স্বরূপ থেকে মাত্রাতিরিক্ত ছোট হয় তাহলে তৃণভোজী প্রাণী গাছটিকে খেয়ে ফেলে। মানবজীবনেও এ নিয়ম প্রযোজ্য। যার যেমন ক্ষমতা, যোগ্যতা ও গুণাবলি, তার তেমনই হওয়া উচিত। ক্ষমতার বাইরে, যোগ্যতার বাইরে, গুণাবলির বাইরে গেলেই তার সমূহ বিপদ, এমনকি অস্তিত্ব সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। আবার যোগ্যতার নিচে, ক্ষমতার পরিমাপের নিচে, গুণাবলির নিষ্ক্রিয়তায় অবস্থানকারী মানুষের মূল্যায়ন হয় না। সমাজের নানারকম বাধা-বিঘ্ন, অসুবিধা, বিপদ-আপদ এসে গ্রাস করতে চায় তাকে। মানুষকে তার নিজের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা অর্জন করতে হবে। সে ধারণার ব্যবহারিক প্রক্রিয়াতেই তার কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা উচিত। বিরাটত্বের অহংকার, আর ক্ষুদ্রত্বের হীনম্মন্যতা থেকে বেরিয়ে নিজের অবস্থান অনুযায়ী নিজেকে উপস্থাপিত করতে পারলেই মানবজীবন সার্থক হয়ে উঠবে।
মন্তব্য : সমাজের মধ্যে অতি বাড়াবাড়ি ও ঔদ্ধত্য যেমন কাম্য নয় তেমনি অতিদীনতাও অনাকাঙ্ক্ষিত । পরিমিতিবোধই জীবনের সুষ্ঠ অগ্রগতির সহায়ক।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।