ধরুন আপনি ফ্রান্স দেশে ট্রাভেল করতে চান। সেখানে কাজের জন্য আপনাকে অবশ্যই ভিসা নিতে হবে। কিন্তু কোন কাজের জন্য ফ্রান্সে বেশি চাহিদা আছে এবং বিভিন্ন কাজের বেতন কত সে বিষয়ে আপনার জানা থাকা উচিত।
ফ্রান্স হলো ইউরোপের একটা উন্নত দেশ। সেখানকার স্ট্যান্ডার্ড অব লিভিং খুবই ভালো। তাই বাংলাদেশের অনেক মানুষই ফ্রান্সে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু যাওয়ার আগে ফ্রান্সের বেতনের বিষয়ে সম্পূর্ণ আইডিয়া থাকা জরুরি।
ফ্রান্সে বসবাসের জীবনযাত্রার খরচ অনেক বেশি। এখানে বেতন পাওয়া গেলে উচ্চ মানের জীবনযাপন করা সম্ভব। এজন্য প্রতিটি ক্যারিয়ারের জন্য বেতনের পরিমাণ জেনে রাখা উচিত। জব ফিল্ড অনুযায়ী বেতন আলাদা আলাদা হতে পারে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রান্সে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কোন কাজের বেতন কত।
ফ্রান্সে কোন কাজের চাহিদা বেশি
বাংলাদেশের অনেক মানুষই ফ্রান্সে কাজের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু অনেকেই জানেন না সেখানে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ফ্রান্স একটা ডেভেলপড কান্ট্রি। সেখানে বিভিন্ন সেক্টরে কাজের চাহিদা থাকলেও কিছু নির্দিষ্ট কাজের ক্ষেত্রে চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে।
ফ্রান্সে যে সব কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সেগুলো হলো কনস্ট্রাকশন, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, হোটেল/রেস্টুরেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ড্রাইভিং, নার্সিং, পাইপ ফিটিং, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, অফিস/মেডিকেল ক্লিনিং, এবং কৃষি ও ফলচাষের কাজ।
কনস্ট্রাকশন সেক্টরে যেহেতু প্রায়ই নতুন নতুন বিল্ডিং, রাস্তাঘাট ও অন্যান্য স্ট্রাকচারাল উন্নয়ন কাজ চলে, সেখানে শ্রমিকদের প্রচুর চাহিদা থাকে। আবার নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার ও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদাও বেশি কারণ বর্তমান যুগে টেকনোলজি ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
পর্যটন খাতও ফ্রান্সের একটা বড় অর্থনৈতিক সেক্টর। এজন্য হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগের চাহিদা থাকে। সাধারণত ড্রাইভার এবং নার্সদের চাহিদাও খুব বেশি থাকে। কারণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সবসময় এই দুটি পেশার লোকজনের প্রয়োজন হয়।
পাইপ ফিটিং, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, অফিস/মেডিকেল ক্লিনিংয়ের কাজে শ্রমিকদের চাহিদা থাকলেও এগুলোর তুলনায় আরো বেশি চাহিদা রয়েছে কৃষিকাজ ও বিভিন্ন ফলের বাগানে কাজ করার। কারণ এই সেক্টরগুলোতে সবসময় কাজের লোক লাগে।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে, ফ্রান্সে প্রায় সব ধরনের কাজেরই চাহিদা রয়েছে। তবে যে সব কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি, সেগুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। যারা ফ্রান্সে কাজের জন্য যাবেন, তাদের এই কাজগুলোর উপর মনোযোগ দেয়া উচিত।
ফ্রান্সে কোন কাজের বেতন বেশি
ফ্রান্সে বিভিন্ন কাজের বেতন আলাদা আলাদা। একই ধরনের কাজের জন্যও কোম্পানি ভেদে বেতনের পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে। তবুও সাধারণভাবে বলা যায়, ফ্রান্সে কোন কোন কাজের বেতন বেশি।
সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া যায় কনস্ট্রাকশন, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায়। এসব পেশায় বর্তমানে মাসিক বেতন পাওয়া যায় ৩,৫০০ ইউরো থেকে ৫,০০০ ইউরো পর্যন্ত। বাংলাদেশি টাকায় হিসেব করলে এটা হবে প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত।
যারা হোটেল ও রেস্টুরেন্টে কাজ করবেন বা ড্রাইভিং এর কাজ করবেন, তাদের বেতন একটু কম। এসব পেশায় বর্তমানে মাসিক বেতন পাওয়া যায় ২,৫০০ ইউরো থেকে ৩,২০০ ইউরো পর্যন্ত। বাংলাদেশি টাকায় হিসাব করলে এটা হয় প্রায় ৩ লাখ থেকে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
যারা পাইপ ফিটিং, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, অফিস/মেডিকেল ক্লিনিং, নার্সিং, কৃষিকাজ বা ফলচাষের কাজ করবেন, তাদের বেতনও ভালো। এসব পেশায় বর্তমানে মাসিক বেতন পাওয়া যায় ১,৫০০ ইউরো থেকে ২,২০০ ইউরো পর্যন্ত। বাংলাদেশি টাকায় এটা হবে প্রায় ১ লাখ ৭৭ হাজার থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
উপরের বেতনগুলো ধরে নেওয়া হয়েছে ফ্রিল্যান্সিং বা কনট্রাক্ট বেসিস এ কাজের ক্ষেত্রে। যারা কোনো বড় কোম্পানিতে পার্মানেন্ট জব পাবেন, তাদের বেতন আরও বেশি হতে পারে। আবার যারা ফ্রেশ এন্ট্রি লেভেলে জব শুরু করবেন, তাদের বেতন কিছুটা কম হতে পারে।
বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা এবং দক্ষতাও বড় ভূমিকা রাখে। যে কোনো পেশাতেই প্রথম থেকেই উচ্চ বেতন পাওয়া যায় না। কিছু সময় কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়। তারপর ধীরে ধীরে বেতনও বেড়ে যায়।
সুতরাং বলা যায়, ফ্রান্সে প্রায় সব ধরনের পেশাতেই ভালো বেতনের সুযোগ রয়েছে। তবে কোন কোন পেশায় বেতন কিছুটা বেশি, সেটা উপরে আলোচনা করা হয়েছে। যারা ফ্রান্সে যাবেন, বেতন বিষয়টা মাথায় রেখে পেশা বেছে নিতে পারেন।
ফ্রান্সে বেতনের পরিমাণ
ফ্রান্সে যে কোনো কাজের বেতন পাওয়া যায় না। সেখানে নির্দিষ্ট একটা সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো রয়েছে, যা সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী নির্ধারিত। এই সর্বনিম্ন বেতনের নিচে কোনো কর্মচারীকে বেতন দেওয়া যায় না।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশের মতোই ফ্রান্সেও কর্মঘন্টার হিসাব রাখা হয়। সপ্তাহে কর্মচারীরা সর্বোচ্চ ৩৫ ঘন্টা কাজ করতে পারবেন। এর বেশি সময় কাজ করলে সেটাকে ওভারটাইম হিসেবে গণ্য করা হবে। আর ওভারটাইমের জন্য বাড়তি বেতন প্রদান করতে হবে। কর্মচারীরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১০ ঘন্টা ওভারটাইম করতে পারবেন।
এছাড়াও নিয়মানুযায়ী সপ্তাহে একদিন ছুটি দিতে হবে। যদি কর্মচারীকে ছুটির দিন কাজ করতে হয়, তাহলে সেদিনের বেতন ডબল হিসাবে প্রদত্ত হবে। শুধু তাই নয়, প্রতি বছর সরকারি নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যক ছুটি দিতে হবে প্রতিটি কর্মচারীকে।
এসব শর্তাবলী পূরণ করে, ফ্রান্সের সর্বনিম্ন বেতন বর্তমানে নির্ধারিত হয়েছে ঘন্টাপ্রতি ১১.২৭ ইউরো। এর মানে হচ্ছে, যদি এক মাসে সর্বোচ্চ ১৫১.৬৭ ঘন্টা (৩৫ x ৪.৩৩ সপ্তাহে গড়) কাজ করা হয়, তাহলে সর্বনিম্ন মাসিক বেতন পাওয়া যাবে ১,৭০৭.২০ ইউরো।
সব মিলিয়ে বলা যায়, বর্তমানে ফ্রান্সের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন প্রায় ২ লক্ষ টাকা বাংলাদেশী মুদ্রায়। তবে এটা শুধুমাত্র সর্বনিম্ন মাত্র। বেশিরভাগ পেশাতেই এর চেয়ে অনেক বেশি বেতন পাওয়া যায়। আমরা আগের দুইটি অনুচ্ছেদেই দেখেছি যে অভিজ্ঞতা ও পেশা অনুযায়ী ফ্রান্সে মাসিক ৪-৫ লাখ টাকা বা তারও বেশি বেতন পাওয়া সম্ভব।
কিন্তু সর্বনিম্ন বেতন কাঠামোটি দেখলে বোঝা যায় যে, এই দেশে শ্রমিকদের কিছুটা অধিকার ও সুবিধা রয়েছে। সরকার নিশ্চিত করেছে যে সর্বনিম্ন মজুরিটাই যথেষ্ট জীবনযাত্রার খরচ মেটাতে। এতে করে জীবনযাত্রার উচ্চ মান বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে ফ্রান্সে।
তাই বলা যায়, আর্থিক দিক থেকে ফ্রান্সে কাজ করার সুযোগ অনেক বেশি রয়েছে। শিক্ষিত ও দক্ষ কর্মীদের জন্য এখানে মোটামুটি উন্নততর বেতনের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। অনেকেই বলেন ফ্রান্সের মতো দেশে থাকা এবং কাজ করার সুযোগ পাওয়াই বড় ব্যাপার। কারণ এখানে জীবনযাত্রার উচ্চ মানের সাথে প্রচুর অর্থোপার্জনের সুযোগ থাকে।
ফ্রান্সের ১ ইউরো বাংলাদেশের কত টাকা
ফ্রান্সে কাজ করার পর যখন বেতন বাংলাদেশে পাঠাতে হবে, সেক্ষেত্রে কনভারশন রেট জানা খুবই জরুরি। ফ্রান্সের মুদ্রা ইউরো। বাংলাদেশের মুদ্রা টাকা। অর্থাত্ ইউরো থেকে বাংলাদেশী টাকায় রুপান্তর করতে হবে।
রুপান্তরের ক্ষেত্রে কনভারশন রেট বলতে বোঝায় একক ইউরোর বিনিময়ে কত বাংলাদেশী টাকা পাওয়া যাবে। কনভারশন রেট স্থায়ী নয়, প্রতিদিনই পরিবর্তিত হয়। বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় কাউন্টার এবং ব্যাংকগুলোর মধ্যে এই রেটেও কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে। তবুও গড়পড়তা একটা রেট মেনে চলা হয়ে থাকে।
বর্তমানে (২০২৪ সালের মার্চ মাসে) এক ইউরোর বিনিময়ে বাংলাদেশী টাকা পাওয়া যাচ্ছে গড়প্রায় ১১৯ টাকা। অর্থাৎ ফ্রান্স থেকে যদি কেউ ১০০০ ইউরো বাংলাদেশে পাঠায়, তাহলে টাকার পরিমাণ হবে ১১৯,০০০ টাকা।
এই কনভারশন রেট সব সময় একই থাকে না। বরং বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণে এটা প্রায়ই পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই যারা ফ্রান্স থেকে বাংলাদেশে অর্থ পাঠাবেন বা বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সে অর্থ রেমিট করবেন, তাদের সর্বশেষ কনভারশন রেট সম্পর্কে জানা থাকা প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক বাজারে ইউরোর বিপরীতে ডলারের দাম বেশি বলেই মনে করা হয়, ইউরোর দাম ডলারের চেয়ে কম। কিন্তু বাংলাদেশের মত দেশগুলোর জন্য ইউরো অনেক সময় ডলারের চেয়ে খরচ বেশি হয়। কারণ অনেক সময় ইউরোর কনভারশন রেট টাকার বিপরীতে বেশি হয়ে থাকে।
যাই হোক, বর্তমানে ফ্রান্স থেকে বাংলাদেশে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে একটি ইউরোর বিনিময়ে প্রায় ১১৯ টাকা পাওয়া যায়। আশা করা যায়, ভবিষ্যতে কনভারশন রেট আরও বেড়ে বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য সুবিধাজনক হবে।
যদিও ফ্রান্সে থাকার সময় খরচও বেশি হবে। কিন্তু এই দেশে কাজ করলে তা অনেকটাই কভার করা সম্ভব হবে ভাল বেতন পাওয়ায়। সুতরাং শুধু কনভারসন রেট না, বরং কাজের ধরন, বেতনের পরিমাণ এবং খরচের বিষয়গুলোও বিবেচনায় রাখতে হবে ফ্রান্সে যাওয়ার আগে। তাহলেই সর্বোচ্চ সুবিধা নেওয়া সম্ভব হবে।
শেষ কথা
সারা বিশ্বজুড়েই ফ্রান্স বিশেষভাবে পরিচিত একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে। এখানে শিল্প, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি সবক্ষেত্রেই উন্নয়ন ঘটেছে। বহু প্রাচীন ঐতিহ্যের পাশাপাশি আধুনিকতাকেও কাজে লাগিয়েছে ফ্রান্স। ফলে এই দেশটিতে বসবাস করা এবং কাজ করার জন্য বিশ্বের প্রতিটি প্রান্ত থেকেই মানুষের ঝাঁক পড়ে।
বাংলাদেশের বহু মানুষও ফ্রান্সে কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখেন। যারা ফ্রান্সে যাওয়ার পূর্বে দেশটির বিভিন্ন তথ্য ও প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেন, তারাই সফলতার সাথে লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন।
এই প্রসঙ্গে আমরা আগেই আলোচনা করেছি ফ্রান্সে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি আছে এবং বিভিন্ন পেশার বেতনের পরিমাণ কত। এছাড়াও আমরা জেনেছি দেশটির সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো কেমন এবং বাংলাদেশি টাকার সাথে ইউরোর বিনিময় হার কত।
এসব তথ্য যারা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন, তারা নিশ্চয়ই ফ্রান্সে যাওয়ার আগেই প্রস্তুত হয়ে যাবেন। কোন কাজে তাদের দক্ষতা আছে, সেই অনুযায়ী তারা নিজেদের জন্য কাজের পছন্দ করতে পারবেন। আর বেতন সম্পর্কিত তথ্যগুলো থাকায় তাদের ভবিষ্যত আয়ের ধারণাও পাকা হয়ে যাবে।
একজন যখন বিদেশে কাজের উদ্দেশ্যে যাবেন, তখন তার নিজের এবং পরিবারের ভবিষ্যতের কথাও ভাবতে হবে। সেই লক্ষ্যেই ফ্রান্সে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়গুলোও আমরা এই নিবন্ধে আলোচনা করেছি। যদি সম্ভব হয়, নাগরিকত্ব নিয়ে কাজ করলে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে ভবিষ্যতে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, ফ্রান্স নিশ্চয়ই এমন একটি দেশ যেখানে যাওয়া মানেই স্বপ্নের দেশে পৌঁছানো। উন্নত জীবনযাপন এবং কর্মসংস্থান এই দুইটি বিষয়ই এখানে পূরণ হবে বলে আশা করা যায়। তবে সেজন্য ঠিকমতো তথ্য জানা এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া অবশ্যই জরুরি। এই নিবন্ধের মাধ্যমে আমরা সেই প্রস্তুতি নেওয়ার পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। আশা করি এর সাহায্যে ফ্রান্সে যাওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে অনেকের।
FAQ
প্রশ্নঃ ফ্রান্সে সবচেয়ে বেশি কোন কোন কাজের চাহিদা আছে?
উত্তরঃ ফ্রান্সে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে কনস্ট্রাকশন, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, হোটেল/রেস্টুরেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ড্রাইভিং, নার্সিং, পাইপ ফিটিং, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, অফিস/মেডিকেল ক্লিনিং এবং কৃষি ও ফলচাষের কাজের।
প্রশ্নঃ ফ্রান্সে সবচেয়ে বেশি বেতন কোন কোন পেশায় পাওয়া যায়?
উত্তরঃ ফ্রান্সে সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া যায় কনস্ট্রাকশন, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায়। এসব পেশায় মাসিক বেতন ৩,৫০০-৫,০০০ ইউরো বা ৪-৬ লাখ টাকার মতো হতে পারে।
প্রশ্নঃ ফ্রান্সের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন কত?
উত্তরঃ ফ্রান্সের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন বর্তমানে প্রায় ১,৭০০ ইউরো বা ২ লাখ টাকার মতো।
প্রশ্নঃ ফ্রান্স থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠালে কনভারশন রেট কী?
উত্তরঃ বর্তমানে (২০২৪ সালে) ১ ইউরোর বিনিময়ে বাংলাদেশি টাকা পাওয়া যায় প্রায় ১১৯ টাকা।
প্রশ্নঃ ফ্রান্সে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য কতদিন বসবাস করতে হবে?
উত্তরঃ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিক না হলে ফ্রান্সে ৫ বছর বসবাস করলে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিক হলে সময় কম লাগে।
প্রশ্নঃ ফ্রান্সে কর্মচারীরা সপ্তাহে কতঘন্টা কাজ করতে পারবেন? উত্তরঃ ফ্রান্সে কর্মচারীরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৩৫ ঘন্টা কাজ করতে পারবেন। এর বেশি হলে ওভারটাইম হিসেবে গণ্য হবে।
প্রশ্নঃ ফ্রান্সে কাজ করতে ফ্রেঞ্চ ভাষা জানা লাগবে কি?
উত্তরঃ হ্যাঁ, ফ্রান্সে কাজ করার জন্য ফ্রেঞ্চ ভাষা জানা খুবই জরুরি। কাজেই ফ্রান্সে যাওয়ার আগে এই ভাষাটি শিখে নেওয়া উচিত।
প্রশ্নঃ ফ্রান্সে গিয়ে কাজ করলে বাংলাদেশে বাড়ি ভাড়া দিতে পারব কিনা?
উত্তরঃ ভাল বেতন পাওয়া সাপেক্ষে হ্যাঁ, ফ্রান্স থেকে বাংলাদেশে বাড়ি ভাড়া দেওয়া সম্ভব হবে। কনস্ট্রাকশন বা ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় বেশি বেতন থাকায় তা সহজ হবে।
প্রশ্নঃ ফ্রান্সে জন্মানো সন্তান কি ফ্রেঞ্চ নাগরিকত্ব পাবে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, যদি কোনো শিশুর জন্ম ফ্রান্সে হয়, তাহলে সেই শিশুটি স্বাভাবিকভাবেই ফ্রেঞ্চ নাগরিকত্ব পাবে।
প্রশ্নঃ ফ্রান্সে নারীদের অবস্থান কেমন?
উত্তরঃ ফ্রান্স হল একটি উন্নত ও সুসভ্য দেশ। এখানে নারী-পুরুষ সমানাধিকার প্রতিষ্ঠিত। নারীরা পুরুষদের সমান সুযোগ পান সব ক্ষেত্রে।