Bongo Tuner
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
Bongo Tuner
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT

হজ কাকে বলে? নিয়ম ও জরুরি তথ্য!

Mushfiqur Rahman by Mushfiqur Rahman
February 18, 2025
in Education
0
হজ কাকে বলে? নিয়ম ও জরুরি তথ্য!

হজ কাকে বলে? নিয়ম ও জরুরি তথ্য!

0
SHARES
7
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter
ADVERTISEMENT
Get Latest Updates

আসসালামু আলাইকুম! হজ, ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম, যা প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য জীবনে একবার ফরজ। কিন্তু হজ আসলে কী? কেন এটি এত গুরুত্বপূর্ণ? চলুন, আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা হজের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো সহজ ভাষায় জেনে নেই।

হজ শুধু একটি ইবাদত নয়, এটি একটি আধ্যাত্মিক যাত্রা, যা একজন মুমিনকে আল্লাহ্‌র আরও কাছে নিয়ে যায়। হজের প্রতিটি পদক্ষেপ গভীর তাৎপর্যপূর্ণ।

Table of Contents

Toggle
  • হজ কাকে বলে? (Hajj Kake Bole?)
    • হজের সংজ্ঞা (Hajj er Songgga)
  • হজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য (Hajj er Gurutto o Tatporjo)
    • কুরআনে হজের বর্ণনা (Quran e Hajj er Bornona)
    • হাদিসে হজের ফজিলত (Hadise Hajj er Fojilot)
  • হজের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত (Hajj er Foroj, Wajib o Sunnat)
    • হজের ফরজসমূহ (Hajj er Foroj Somuho)
    • হজের ওয়াজিবসমূহ (Hajj er Wajib Somuho)
    • হজের সুন্নতসমূহ (Hajj er Sunnat Somuho)
  • হজের নিয়মাবলী (Hajj er Niyomaboli)
    • ইহরাম বাঁধার নিয়ম (Ihram Badhar Niyom)
    • তাওয়াফ করার নিয়ম (Tawaf Korar Niyom)
    • সাঈ করার নিয়ম (Sa’i Korar Niyom)
    • আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের নিয়ম (Arafat er Moydane Obosthan er Niyom)
    • মুজদালিফায় অবস্থানের নিয়ম (Muzdalifa e Obosthan er Niyom)
    • কঙ্কর নিক্ষেপের নিয়ম (Konkor Nikkheper Niyom)
    • কোরবানি করার নিয়ম (Korbani Korar Niyom)
  • হজের প্রকারভেদ (Hajj er Prokarভেদ)
  • হজের শর্তসমূহ (Hajj er Sortosomuho)
  • হজের মাসআলা (হজ্জের জরুরি মাসায়েল)
  • হজ বিষয়ক কিছু জরুরি প্রশ্ন ও উত্তর (Hajj Bishoyok Kichu জরুরী প্রশ্ন ও উত্তর)
  • উপসংহার (Conclusion)

হজ কাকে বলে? (Hajj Kake Bole?)

হজ শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো ‘ইচ্ছা করা’ বা ‘সংকল্প করা’। ইসলামে হজ মানে হলো, আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে (জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ) মক্কা মুকাররমা ও এর আশেপাশে অবস্থিত কিছু পবিত্র স্থানে (যেমন: আরাফাত, মুজদালিফা, মিনা) বিশেষ কিছু নিয়ম-কানুন ও শর্তের মাধ্যমে ইবাদত করা। এই ইবাদতগুলো হলো তাওয়াফ, সাঈ, উকূফ এবং অন্যান্য আরও কিছু কাজ।

হজ শুধু একটি ভ্রমণ নয়, এটি বিশ্বাস, ত্যাগ, এবং আল্লাহ্‌র প্রতি আত্মসমর্পণের এক অপূর্ব সমন্বয়।

হজের সংজ্ঞা (Hajj er Songgga)

ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায়, হজ হলো শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম মুসলিম নর-নারীর জন্য জিলহজ মাসের নির্দিষ্ট দিনগুলোতে পবিত্র কাবাঘর ও এর সংলগ্ন স্থানে আল্লাহ্‌র নির্দেশিত পদ্ধতিতে ইবাদত করা।

হজ এমন একটি ইবাদত, যেখানে ধনী-গরিব, সাদা-কালো, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই একই পোশাকে আল্লাহ্‌র দরবারে হাজির হয়।

হজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য (Hajj er Gurutto o Tatporjo)

হজের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি কেবল একটি ইবাদতই নয়, বরং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির প্রতীক। হজের মাধ্যমে একজন মুসলমান তার জীবনের পাপ মোচন করে নতুন জীবন শুরু করার সুযোগ পায়।

হজের তাৎপর্য অনেক গভীরে প্রোথিত। এটি কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এটি একটি আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা, যা একজন মানুষের জীবনকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করে দিতে পারে।

কুরআনে হজের বর্ণনা (Quran e Hajj er Bornona)

কুরআনে হজের গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক আয়াত রয়েছে। সূরা আল-ইমরানের ৯৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্‌ বলেন, “মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ ঘরের হজ করা তার অবশ্য কর্তব্য।”

হজ শুধু একটি নির্দেশ নয়, এটি আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে মুমিনদের জন্য এক বিশেষ অনুগ্রহ।

Read More:  "(reflexive pronoun কাকে বলে)?" রিফ্লেক্সিভ প্রোনাউন চেনার সহজ উপায়!

হাদিসে হজের ফজিলত (Hadise Hajj er Fojilot)

হাদিসে হজের ফজিলত সম্পর্কে অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়। একটি হাদিসে বলা হয়েছে, “যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ করে এবং অশ্লীল ও গুনাহের কাজ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে, সে যেন মায়ের পেট থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে যায়।” (বুখারী ও মুসলিম)

হজ এমন একটি সুযোগ, যা একজন মানুষকে তার অতীতের সব পাপ থেকে মুক্তি দিতে পারে।

হজের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত (Hajj er Foroj, Wajib o Sunnat)

হজের কিছু অপরিহার্য বিষয় আছে, যা পালন করা ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত। এগুলো সঠিকভাবে আদায় না করলে হজ পরিপূর্ণ হয় না।

হজের ফরজসমূহ (Hajj er Foroj Somuho)

হজের ফরজ তিনটি:

  1. ইহরাম বাঁধা (Ihram Badha): হজের নিয়তে নির্দিষ্ট পোশাক পরিধান করে হজের কার্যক্রম শুরু করা। ইহরামের কাপড় পুরুষদের জন্য সেলাইবিহীন দুটি সাদা কাপড় এবং নারীদের জন্য শালীন পোশাক।

  2. আরাফাতের ময়দানে অবস্থান (Arafat er Moydane Obosthan): জিলহজ মাসের ৯ তারিখে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা। এটি হজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফরজ।

  3. তাওয়াফে যিয়ারত (Tawaf e Ziyarat): জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ফজর থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের মধ্যে কাবার চারপাশে তাওয়াফ করা।

হজের এই তিনটি ফরজ যথাযথভাবে আদায় না করলে হজ সম্পন্ন হবে না।

হজের ওয়াজিবসমূহ (Hajj er Wajib Somuho)

হজের ওয়াজিব কাজগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:

  1. সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে সাঈ করা (Safa o Marwa Pahader Moddhe Sa’i Kora): সাফা পাহাড় থেকে মারওয়া পাহাড়ে এবং মারওয়া পাহাড় থেকে সাফা পাহাড়ে সাতবার দৌড়ানো বা হেঁটে যাওয়া।

  2. মুজদালিফায় রাত যাপন (Muzdalifay Raat Japon): জিলহজের ৯ তারিখ রাতে মুজদালিফায় অবস্থান করা।

  3. মিনায় কঙ্কর নিক্ষেপ (Minay Konkor Nikkhep): মিনায় জামারাতে (শয়তানের প্রতীকী স্তম্ভ) কঙ্কর নিক্ষেপ করা।

  1. মাথা মুণ্ডানো বা চুল ছাঁটা (Matha Mundano ba Chul Chata): হজ শেষে মাথা মুণ্ডানো অথবা চুল ছোট করে ছাঁটা।

  2. বিদায়ী তাওয়াফ (Bidayi Tawaf): মক্কা থেকে বিদায় নেওয়ার আগে কাবা শরীফ প্রদক্ষিণ করা।

ওয়াজিবগুলোর কোনো একটি ছুটে গেলে দম (পশু কোরবানি) দিতে হয়।

হজের সুন্নতসমূহ (Hajj er Sunnat Somuho)

হজের সুন্নতগুলো হলো:

  1. তাওয়াফের আগে ইজতিবা ও রমল করা (দি শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য): ইজতিবা হল ইহরামের কাপড় এমনভাবে পরা যাতে ডান কাঁধ খোলা থাকে এবং রমল হল ছোট পদক্ষেপে দ্রুত হাঁটা।

  2. মিনাতে রাত্রি যাপন করা।

  3. আইয়ামে তাশরিকের প্রত্যেক নামাযের পর তাকবির পাঠ করা।

সুন্নতগুলো পালন করা উত্তম, তবে ছুটে গেলে হজের কোনো ক্ষতি হয় না।

হজের নিয়মাবলী (Hajj er Niyomaboli)

হজের প্রতিটি কাজের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। এই নিয়মগুলো অনুসরণ করেই হজ আদায় করতে হয়।

ইহরাম বাঁধার নিয়ম (Ihram Badhar Niyom)

  • হজের নিয়ত করে ইহরামের কাপড় পরিধান করা।
  • পুরুষদের জন্য সেলাইবিহীন সাদা কাপড় ব্যবহার করা উত্তম।
  • “লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক” – এই তালবিয়া পাঠ করা।
Read More:  সমবাহু ত্রিভুজ কাকে বলে? জানুন!

তাওয়াফ করার নিয়ম (Tawaf Korar Niyom)

  • হাজরে আসওয়াদ (কালো পাথর) থেকে তাওয়াফ শুরু করা।
  • কাবা শরীফের চারপাশে সাতবার ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘোরা।
  • প্রতিবার হাজরে আসওয়াদকে চুমু দেওয়া বা ইশারা করা।

সাঈ করার নিয়ম (Sa’i Korar Niyom)

  • সাফা পাহাড় থেকে সাঈ শুরু করা।
  • মারওয়া পাহাড়ে গিয়ে এক চক্কর শেষ করা।
  • এভাবে সাত চক্কর দেওয়া।

আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের নিয়ম (Arafat er Moydane Obosthan er Niyom)

  • জিলহজের ৯ তারিখে দুপুরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা।
  • আল্লাহর কাছে দোয়া ও ইস্তেগফার করা।

মুজদালিফায় অবস্থানের নিয়ম (Muzdalifa e Obosthan er Niyom)

  • আরাফাত থেকে ফিরে মুজদালিফায় রাত যাপন করা।
  • ফজরের নামাজ আদায় করে দোয়া করা।

কঙ্কর নিক্ষেপের নিয়ম (Konkor Nikkheper Niyom)

  • মিনায় জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপ করা।
  • প্রথমে বড় জামারায়, তারপর মেজো জামারায় এবং শেষে ছোট জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপ করা।

কোরবানি করার নিয়ম (Korbani Korar Niyom)

  • হজ পালনকারীরা মিনাতে কোরবানি করেন।
  • কোরবানির পশু জবাই করে তার মাংস বিলি করা হয়।

হজের প্রকারভেদ (Hajj er Prokarভেদ)

হজ মূলত তিন প্রকার:

  1. হজে ইফরাদ (Hajj e Ifrad): শুধু হজের নিয়তে ইহরাম বাঁধা এবং শুধু হজের কাজগুলো সম্পন্ন করা।

  2. হজে কিরান (Hajj e Qiran): একই ইহরামে হজ ও ওমরাহ করা। প্রথমে ওমরাহ করে ইহরাম না খুলে হজের কাজ শুরু করা।

  3. হজে তামাত্তু (Hajj e Tamattu): ওমরাহ করার পর ইহরাম খুলে ফেলা এবং হজের সময় আবার নতুন করে ইহরাম বাঁধা।

হজের এই প্রকারভেদগুলো মূলত নিয়তের ভিন্নতার কারণে হয়ে থাকে।

হজের প্রকার বিবরণ সুবিধা অসুবিধা
হজে ইফরাদ শুধু হজের নিয়তে ইহরাম বাঁধা এবং হজের কাজগুলো সম্পন্ন করা। সহজ ও সরল। ওমরাহর আলাদা সুযোগ থাকে না।
হজে কিরান একই ইহরামে হজ ও ওমরাহ করা। ওমরাহ করে ইহরাম না খুলে হজের কাজ শুরু করা। একই সাথে হজ ও ওমরাহর সাওয়াব পাওয়া যায়। নিয়মকানুন কিছুটা জটিল।
হজে তামাত্তু ওমরাহ করার পর ইহরাম খুলে ফেলা এবং হজের সময় আবার নতুন করে ইহরাম বাঁধা। এটি সহজ এবং এতে হজ ও ওমরাহ উভয়টির সুযোগ থাকে। দুটি ভিন্ন সময়ে ইহরাম বাঁধতে হয়।

হজের শর্তসমূহ (Hajj er Sortosomuho)

হজ ফরজ হওয়ার কিছু শর্ত আছে। এই শর্তগুলো পূরণ হলেই একজন মুসলিমের উপর হজ ফরজ হয়।

  1. মুসলিম হওয়া (Muslim Hoya): হজ করার জন্য সর্বপ্রথম শর্ত হলো মুসলিম হতে হবে।

  2. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া (Praptoboyosko Hoya): সাবালক হওয়া হজের অন্যতম শর্ত। নাবালক বা অপ্রাপ্তবয়স্কদের ওপর হজ ফরজ নয়।

  3. জ্ঞানবান হওয়া (Gyanban Hoya): সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী হতে হবে। পাগল বা মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির ওপর হজ ফরজ নয়।

  1. স্বাধীন হওয়া (Swadhin Hoya): আজাদ বা স্বাধীন হতে হবে। কোনো ক্রীতদাস বা বন্দীর ওপর হজ ফরজ নয়।

  2. আর্থিকভাবে সক্ষম হওয়া (Arthik Vabe Sokkhom Hoya): হজের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ বহন করার সামর্থ্য থাকতে হবে।

  3. শারীরিকভাবে সক্ষম হওয়া (Sharirik Vabe Sokkhom Hoya): হজের শারীরিক কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে।

  1. মহিলাদের জন্য অতিরিক্ত শর্ত (Mohilader Jonno Ottirikto Sorto): নারীদের জন্য হজের সফরে মাহরাম (স্বামী অথবা এমন কোনো পুরুষ আত্মীয় যার সঙ্গে বিবাহ হারাম) থাকা আবশ্যক।
Read More:  আর্থিক পরিকল্পনা কাকে বলে? জানুন সহজ ভাষায়!

h3> হজে যাওয়ার নিয়ম (Hajje Jawar Niyom)

হজে যাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। নিচে এগুলো আলোচনা করা হলো:

  1. নিয়ত করা (Niyot Kora): প্রথমে হজের নিয়ত করতে হবে।

  2. পাসপোর্ট ও ভিসা তৈরি করা (Passport o Visa Toiri Kora): হজের জন্য পাসপোর্ট ও ভিসার আবেদন করতে হয়।

  3. হজের প্রশিক্ষণ নেওয়া (Hajj er Proshikkhon Nwa): হজের নিয়মকানুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য প্রশিক্ষণ নেওয়া জরুরি।

  1. প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করা (Proyojonio Jinis Potro Songgroho Kora): ইহরামের কাপড়, personal জিনিসপত্র, প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র ইত্যাদি সংগ্রহ করা।

  2. হজের প্যাকেজ নির্বাচন করা(Hajj er Package Nirbachon Kora): নিজের সামর্থ অনুযায়ী ভালো হজ এজেন্সি থেকে প্যাকেজ নির্বাচন করা।

হজের মাসআলা (হজ্জের জরুরি মাসায়েল)

হজের বিভিন্ন মাসআলা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা আলোচনা করা হলো:

  1. মাসআলা: হায়েয অবস্থায় তাওয়াফ ( হায়েজ অবস্থায় হজ্জ কিভাবে করব): নারীদের হায়েয (মাসিক) অবস্থায় তাওয়াফ করা নিষেধ। তাই, হায়েয বন্ধ হওয়ার পর গোসল করে তাওয়াফ করতে হবে।

  2. মাসআলা: ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজ (ইহরাম অবস্থায় কি কি নিষেধ): ইহরাম অবস্থায় কিছু কাজ নিষিদ্ধ, যেমন: সেলাই করা কাপড় পরা, চুল বা নখ কাটা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, স্ত্রী সহবাস করা, শিকার করা ইত্যাদি।

  3. মাসআলা: অসুস্থ অবস্থায় হজ (অসুস্থ অবস্থায় হজ্জ করার নিয়ম): অসুস্থ অবস্থায় হজে যেতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র সাথে রাখতে হবে। যদি এমন হয় যে অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করা সম্ভব নয়, তবে অন্য কারো সাহায্য নিতে পারবে।

হজ বিষয়ক কিছু জরুরি প্রশ্ন ও উত্তর (Hajj Bishoyok Kichu জরুরী প্রশ্ন ও উত্তর)

হজ নিয়ে অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে। এখানে কিছু জরুরি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:

ADVERTISEMENT
  • প্রশ্ন: হজ্জ ফরজ হওয়ার শর্ত কয়টি?

    • উত্তর: হজ্জ ফরজ হওয়ার শর্ত সাতটি।
  • প্রশ্ন: হজ্জ কত প্রকার ও কি কি?

    • উত্তর: হজ্জ তিন প্রকার – হজে ইফরাদ, হজে কিরান ও হজে তামাত্তু।
  • প্রশ্ন: হজ্জের ফরজ কয়টি ও কি কি?

*   **উত্তর:** হজ্জের ফরজ তিনটি - ইহরাম বাঁধা, আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা ও তাওয়াফে যিয়ারত করা।
  • প্রশ্ন: হজ্জের ওয়াজিব কয়টি ও কি কি?

    • উত্তর: হজ্জের ওয়াজিব সাতটি।
  • প্রশ্ন: হজে তামাত্তু কাকে বলে?

    • উত্তর: হজে তামাত্তু হলো ওমরাহ করার পর ইহরাম খুলে ফেলা এবং হজের সময় আবার নতুন করে ইহরাম বাঁধা।
  • প্রশ্ন: হজে কিরান কাকে বলে?

*   **উত্তর:** হজে কিরান হলো একই ইহরামে হজ ও ওমরাহ করা। প্রথমে ওমরাহ করে ইহরাম না খুলে হজের কাজ শুরু করা।
  • প্রশ্ন: হজে ইফরাদ কাকে বলে?

    • উত্তর: হজে ইফরাদ হলো শুধু হজের নিয়তে ইহরাম বাঁধা এবং শুধু হজের কাজগুলো সম্পন্ন করা।
  • প্রশ্ন: হজ করার জন্য কত টাকা লাগে? (hajj korte koto taka lage)

    • উত্তর: হজের খরচ প্যাকেজের ওপর নির্ভর করে। সাধারণত, সরকারি প্যাকেজে খরচ কম হয়, তবে বেসরকারি প্যাকেজে সুযোগ-সুবিধা বেশি থাকে। প্যাকেজ ভেদে খরচ ৪ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
  • প্রশ্ন: হজ কত দিন লাগে? (hajj koto din lage)

*   **উত্তর:** সাধারণত, হজের পুরো প্রক্রিয়াটি প্রায় ৪০ দিনের মতো হয়ে থাকে। এর মধ্যে মক্কা ও মদিনায় অবস্থান, হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা এবং ভ্রমণ অন্তর্ভুক্ত।
  • প্রশ্ন: হজের সময় মক্কা মদিনা তাপমাত্রা কেমন থাকে?

    • উত্তর: হজের সময় মক্কা ও মদিনার তাপমাত্রা সাধারণত বেশ উষ্ণ থাকে, প্রায় ৩০° সেলসিয়াস থেকে ৪৫° সেলসিয়াস পর্যন্ত।
  • প্রশ্ন: হজে গিয়ে মারা গেলে কি হয়?

    • উত্তর: হজে গিয়ে কেউ মারা গেলে, আল্লাহ্‌র রাস্তায় মৃত্যুবরণকারী হিসেবে গণ্য করা হয় এবং এর অনেক ফজিলত রয়েছে।

উপসংহার (Conclusion)

হজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা একজন মুসলমানের জীবনে একবার হলেও পালন করা উচিত। হজের নিয়মকানুন, ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখা জরুরি। আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে হজ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এই ব্লগ পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং হজ বিষয়ক অন্য কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনার হজ যাত্রা সুন্দর ও সফল হোক, এই কামনায় শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।

Previous Post

স্বরবর্ণ কাকে বলে? সহজ উদাহরন ও সংজ্ঞা!

Next Post

সমৃদ্ধ সংখ্যা কাকে বলে? জানুন + উদাহরণ

Mushfiqur Rahman

Mushfiqur Rahman

I am Mushfiqur Rahman Swopnil, owner of Bongo Tuner and an experienced SEO and Digital Marketing professional with a deep understanding of affiliate marketing and link building. Running my own marketing agency, I offer strategic digital solutions to boost brand visibility and drive tangible results. My extensive experience covers all aspects of online marketing, helping businesses achieve their growth objectives through data-driven SEO and effective link-building strategies.

Next Post
সমৃদ্ধ সংখ্যা কাকে বলে? জানুন + উদাহরণ

সমৃদ্ধ সংখ্যা কাকে বলে? জানুন + উদাহরণ

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন
Education

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন

by Mushfiqur Rahman
May 5, 2025
0

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য মনে করুন, পরীক্ষার আগের রাতে আপনি সব পড়ে শেষ করেছেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে...

Read more
মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

May 5, 2025
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

May 5, 2025
ADVERTISEMENT
Bongo Tuner

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Navigate Site

  • Home
  • About Us
  • Privacy Policy
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy

Follow Us

No Result
View All Result
  • About Us
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy
  • Privacy Policy

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Table of Contents

×
  • হজ কাকে বলে? (Hajj Kake Bole?)
    • হজের সংজ্ঞা (Hajj er Songgga)
  • হজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য (Hajj er Gurutto o Tatporjo)
    • কুরআনে হজের বর্ণনা (Quran e Hajj er Bornona)
    • হাদিসে হজের ফজিলত (Hadise Hajj er Fojilot)
  • হজের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত (Hajj er Foroj, Wajib o Sunnat)
    • হজের ফরজসমূহ (Hajj er Foroj Somuho)
    • হজের ওয়াজিবসমূহ (Hajj er Wajib Somuho)
    • হজের সুন্নতসমূহ (Hajj er Sunnat Somuho)
  • হজের নিয়মাবলী (Hajj er Niyomaboli)
    • ইহরাম বাঁধার নিয়ম (Ihram Badhar Niyom)
    • তাওয়াফ করার নিয়ম (Tawaf Korar Niyom)
    • সাঈ করার নিয়ম (Sa’i Korar Niyom)
    • আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের নিয়ম (Arafat er Moydane Obosthan er Niyom)
    • মুজদালিফায় অবস্থানের নিয়ম (Muzdalifa e Obosthan er Niyom)
    • কঙ্কর নিক্ষেপের নিয়ম (Konkor Nikkheper Niyom)
    • কোরবানি করার নিয়ম (Korbani Korar Niyom)
  • হজের প্রকারভেদ (Hajj er Prokarভেদ)
  • হজের শর্তসমূহ (Hajj er Sortosomuho)
  • হজের মাসআলা (হজ্জের জরুরি মাসায়েল)
  • হজ বিষয়ক কিছু জরুরি প্রশ্ন ও উত্তর (Hajj Bishoyok Kichu জরুরী প্রশ্ন ও উত্তর)
  • উপসংহার (Conclusion)
← সূচিপত্র দেখুন