Bongo Tuner
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
Bongo Tuner
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT

(এনজাইম কাকে বলে) ও এর প্রকারভেদ? জানুন!

Mushfiqur Rahman by Mushfiqur Rahman
February 21, 2025
in Education
0
(এনজাইম কাকে বলে) ও এর প্রকারভেদ? জানুন!

(এনজাইম কাকে বলে) ও এর প্রকারভেদ? জানুন!

0
SHARES
1
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter
ADVERTISEMENT
Get Latest Updates

আসুন, হজমের জটিল ধাঁধা থেকে শুরু করে ত্বকের যত্নে—এনজাইমের দুনিয়ায় ডুব দেই! আপনি কি জানেন, আমাদের শরীরের ভেতরের কল-কব্জাগুলো ঠিকঠাক চালাতে এই এনজাইমগুলো কত গুরুত্বপূর্ণ? ভাবছেন, “এনজাইম কাকে বলে?” তাহলে আজকের লেখাটি আপনার জন্যই।

এনজাইম: জীবনের স্পার্ক প্লাগ!

এনজাইম হলো সেই জাদুকরী অণু, যা আমাদের শরীরের প্রায় সকল জৈবিক প্রক্রিয়াকে দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। এদের ছাড়া জীবনযাত্রা প্রায় অচল! একটু সহজ করে বলি, ধরুন আপনি একটি তালা খুলতে চান। চাবি যেমন তালা খোলার কাজটিকে সহজ করে দেয়, তেমনই এনজাইমগুলো শরীরের বিভিন্ন বিক্রিয়াকে কয়েকগুণ দ্রুত করে তোলে।

Table of Contents

Toggle
  • এনজাইম কী? (What is Enzyme?)
    • এনজাইমের গঠন (Structure of Enzyme)
      • কোফ্যাক্টর ও কোএনজাইম (Cofactor and Coenzyme)
  • এনজাইমের প্রকারভেদ (Types of Enzyme)
    • ১. অক্সিডোরেডাক্টেজ (Oxidoreductases)
    • ২. ট্রান্সফারেজ (Transferases)
    • ৩. হাইড্রোলেজ (Hydrolases)
    • ৪. লাইয়েজ (Lyases)
    • ৫. আইসোমারেজ (Isomerases)
    • ৬. লাইগেজ (Ligases)
  • এনজাইমের কাজ (Functions of Enzyme)
    • হজমে সাহায্য (Helps in Digestion)
      • অ্যামাইলেজ (Amylase)
      • প্রোটিয়েজ (Protease)
      • লাইপেজ (Lipase)
    • কোষের কার্যকারিতা (Cellular Function)
    • ডিএনএ তৈরি ও মেরামত (DNA Replication and Repair)
    • রোগ প্রতিরোধ (Immunity)
  • এনজাইমের ব্যবহার (Uses of Enzyme)
    • খাদ্য শিল্পে (In Food Industry)
    • কাপড় কাচা ডিটারজেন্টে (In Laundry Detergents)
    • ঔষধ শিল্পে (In Pharmaceutical Industry)
    • কৃষি ক্ষেত্রে (In Agriculture)
  • এনজাইম কিভাবে কাজ করে? (How Enzymes Work?)
    • ১. সাবস্ট্রেট যুক্ত হওয়া (Substrate Binding)
    • ২. এনজাইম-সাবস্ট্রেট কমপ্লেক্স (Enzyme-Substrate Complex)
    • ৩. বিক্রিয়া (Reaction)
    • ৪. উৎপাদ নির্গমন (Product Release)
  • তাপমাত্রা ও pH এর প্রভাব (Effect of Temperature and pH)
    • তাপমাত্রা (Temperature)
    • pH
  • কো-ফ্যাক্টর ও কো-এনজাইম কী? এদের কাজ কী?
  • এনজাইমের অভাবে কি কি রোগ হতে পারে?
    • ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স (Lactose Intolerance)
    • ফেনাইলকেটোনুরিয়া (Phenylketonuria – PKU)
    • গাউচার ডিজিজ (Gaucher Disease)
    • সিস্টিক ফাইব্রোসিস (Cystic Fibrosis)
  • কোথায় এনজাইম পাওয়া যায়? (Sources of Enzyme)
    • ফল ও সবজি (Fruits and Vegetables)
    • প্রাণিজ উৎস (Animal Sources)
    • ফার্মেন্টেড খাবার (Fermented Foods)
  • কিভাবে এনজাইম খাবারের হজমে সাহায্য করে?
    • মুখের লালা (Saliva)
    • পাকস্থলী (Stomach)
    • অগ্ন্যাশয় (Pancreas)
    • ক্ষুদ্রান্ত্র (Small Intestine)
  • এনজাইম সাপ্লিমেন্ট কি প্রয়োজনীয়? (Are Enzyme Supplements Necessary?)
    • কখন প্রয়োজন? (When is it Needed?)
    • সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে সতর্কতা (Precautions Before Taking Supplements)
  • এনজাইম এবং হরমোনের মধ্যে পার্থক্য কী?
  • এনজাইমের শিল্পোৎপাদন (Industrial Production of Enzymes)
    • ফার্মেন্টেশন (Fermentation)
    • পরিশোধন (Purification)
    • ফর্মুলেশন (Formulation)
  • এনজাইম নিয়ে কিছু মজার তথ্য (Fun Facts About Enzymes)

এনজাইম কী? (What is Enzyme?)

এনজাইম হলো প্রোটিন দিয়ে তৈরি জৈব অনুঘটক (organic catalyst)। অনুঘটক মানে কী? এরা কোনো বিক্রিয়ায় অংশ না নিয়েও বিক্রিয়ার গতি বাড়িয়ে দেয়। অনেকটা যেন নীরব দর্শকের মতো, কিন্তু কাজের কাজটা ঠিকই করে দেয়!

এনজাইমের গঠন (Structure of Enzyme)

এনজাইম মূলত অ্যামিনো অ্যাসিডের লম্বা শিকল দিয়ে গঠিত। এই শিকলগুলো পেঁচিয়ে ত্রিমাত্রিক গঠন তৈরি করে। এই ত্রিমাত্রিক গঠনের একটি বিশেষ স্থান থাকে, যাকে বলে অ্যাক্টিভ সাইট (active site)। এই অ্যাক্টিভ সাইটেই সাবস্ট্রেট (substrate) এসে যুক্ত হয় এবং বিক্রিয়াটি ঘটে।

Read More:  আর্গুমেন্ট কাকে বলে? সহজ ভাষায় উত্তর জেনেনিন

কোফ্যাক্টর ও কোএনজাইম (Cofactor and Coenzyme)

কিছু এনজাইমকে কাজ করার জন্য অন্য কোনো অণু বা আয়নের সাহায্যের প্রয়োজন হয়। এদেরকে কোফ্যাক্টর (cofactor) বলে। যদি কোফ্যাক্টর কোনো জৈব অণু হয়, তবে তাকে কোএনজাইম (coenzyme) বলা হয়। ভিটামিনগুলো প্রায়শই কোএনজাইম হিসেবে কাজ করে থাকে।

এনজাইমের প্রকারভেদ (Types of Enzyme)

এনজাইমকে তাদের কাজের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। নিচে প্রধান কয়েকটি শ্রেণী আলোচনা করা হলো:

১. অক্সিডোরেডাক্টেজ (Oxidoreductases)

এই এনজাইমগুলো জারন (oxidation) ও বিজারণ (reduction) বিক্রিয়ায় অংশ নেয়। সহজ ভাষায়, এরা একটি অণু থেকে ইলেকট্রন সরিয়ে অন্য অণুতে যুক্ত করে।

২. ট্রান্সফারেজ (Transferases)

এরা এক অণু থেকে অন্য অণুতে কার্যকরী মূলক (functional group) স্থানান্তর করে। ধরুন, একটি বিল্ডিং থেকে অন্য বিল্ডিংয়ে ইট সরিয়ে নেওয়ার মতো।

৩. হাইড্রোলেজ (Hydrolases)

এই এনজাইমগুলো পানির সাহায্যে বড় অণুগুলোকে ভেঙে ছোট করে। অনেকটা যেন দেয়াল ভাঙার মতো। উদাহরণ: অ্যামাইলেজ, প্রোটিয়েজ, লাইপেজ।

৪. লাইয়েজ (Lyases)

এরা ছোট অণু সরিয়ে দ্বিবন্ধন (double bond) তৈরি করে বা দ্বিবন্ধন ভেঙে ছোট অণু যুক্ত করে।

৫. আইসোমারেজ (Isomerases)

এরা একটি অণুর ভেতরের পরমাণুগুলোর পুনর্বিন্যাস করে আইসোমার তৈরি করে। অনেকটা যেন একটি রুবিকস কিউব মেলানোর মতো।

৬. লাইগেজ (Ligases)

এরা দুটি ছোট অণুকে জুড়ে একটি বড় অণু তৈরি করে। অনেকটা যেন দুটি ইটের গাঁথুনি করে একটি দেয়াল তৈরির মতো।

এনজাইমের কাজ (Functions of Enzyme)

এনজাইমের কাজের পরিধি বিশাল। আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষ থেকে শুরু করে হজম প্রক্রিয়া পর্যন্ত, এদের বিচরণ সর্বত্র। চলুন, কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ জেনে নেই:

হজমে সাহায্য (Helps in Digestion)

আমরা যে খাবার খাই, তা জটিল অণু দিয়ে তৈরি। এনজাইম এই জটিল অণুগুলোকে ভেঙে সরল অণুতে পরিণত করে, যা আমাদের শরীর সহজে শোষণ করতে পারে।

অ্যামাইলেজ (Amylase)

এটি শর্করা (carbohydrate) ভেঙে গ্লুকোজ তৈরি করে। আপনার মুখের লালাতেও এই এনজাইম থাকে!

প্রোটিয়েজ (Protease)

এটি প্রোটিন ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি করে।

লাইপেজ (Lipase)

এটি ফ্যাট বা চর্বি ভেঙে ফ্যাটি অ্যাসিড ও গ্লিসেরল তৈরি করে।

কোষের কার্যকারিতা (Cellular Function)

কোষের ভেতরে হাজারো রাসায়নিক বিক্রিয়া প্রতিনিয়ত ঘটছে। এনজাইম এই বিক্রিয়াগুলোকে সঠিক পথে পরিচালনা করে কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখে।

ডিএনএ তৈরি ও মেরামত (DNA Replication and Repair)

ডিএনএ (DNA) তৈরি এবং মেরামতের জন্য এনজাইম অত্যাবশ্যকীয়। ডিএনএ পলিমারেজ (DNA polymerase) নামক এনজাইম ডিএনএ প্রতিলিপনে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ (Immunity)

কিছু এনজাইম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন, লাইসোজাইম (lysozyme) ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর ভেঙে এদের ধ্বংস করে।

এনজাইমের ব্যবহার (Uses of Enzyme)

দৈনন্দিন জীবনে এনজাইমের ব্যবহার ব্যাপক। খাদ্য শিল্প থেকে শুরু করে ঔষধ শিল্প পর্যন্ত, এদের চাহিদা সর্বত্র।

খাদ্য শিল্পে (In Food Industry)

  • পনির উৎপাদনে রেনেট (rennet) নামক এনজাইম ব্যবহার করা হয়।
  • রুটি তৈরিতে অ্যামাইলেজ ব্যবহার করা হয়, যা স্টার্চকে ভেঙে চিনিতে পরিণত করে এবং রুটিকে নরম করে।
  • ফলের রস (juice) পরিষ্কার করতে পেকটিনেজ (pectinase) ব্যবহার করা হয়।
Read More:  পরিমাণ কাকে বলে? প্রকারভেদ ও ব্যবহার জানুন!

কাপড় কাচা ডিটারজেন্টে (In Laundry Detergents)

ডিটারজেন্টে প্রোটিয়েজ ও লাইপেজ এনজাইম ব্যবহার করা হয়, যা কাপড় থেকে প্রোটিন ও ফ্যাটের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

ঔষধ শিল্পে (In Pharmaceutical Industry)

  • বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় এনজাইম ব্যবহার করা হয়। যেমন, স্ট্রেপ্টোকিনেজ (Streptokinase) রক্ত জমাট বাঁধা (blood clot) দূর করতে ব্যবহৃত হয়।
  • ডায়াগনস্টিক কিট (diagnostic kit) তৈরিতে এনজাইম ব্যবহার করা হয়।

কৃষি ক্ষেত্রে (In Agriculture)

মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং জৈব সার তৈরিতে এনজাইম ব্যবহার করা হয়।

এনজাইম কিভাবে কাজ করে? (How Enzymes Work?)

এনজাইমের কার্যকারিতা বুঝতে হলে “অ্যাক্টিভেশন এনার্জি” (activation energy) সম্পর্কে জানতে হবে। কোনো বিক্রিয়া শুরু করার জন্য যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয়, তাকে অ্যাক্টিভেশন এনার্জি বলে। এনজাইম এই অ্যাক্টিভেশন এনার্জি কমিয়ে দেয়, ফলে বিক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন হয়।

ADVERTISEMENT

১. সাবস্ট্রেট যুক্ত হওয়া (Substrate Binding)

এনজাইমের অ্যাক্টিভ সাইটে সাবস্ট্রেট এসে যুক্ত হয়। এই যুক্ত হওয়াটা অনেকটা চাবি যেমন তালার সাথে মিলে যায়, তেমনই।

২. এনজাইম-সাবস্ট্রেট কমপ্লেক্স (Enzyme-Substrate Complex)

সাবস্ট্রেট যুক্ত হওয়ার পর এনজাইম এবং সাবস্ট্রেটের মধ্যে একটি অস্থায়ী কমপ্লেক্স তৈরি হয়।

৩. বিক্রিয়া (Reaction)

কমপ্লেক্স তৈরির পর এনজাইম সাবস্ট্রেটকে উৎপাদে (product) রূপান্তরিত করে।

৪. উৎপাদ নির্গমন (Product Release)

উৎপাদ তৈরি হয়ে গেলে তা এনজাইম থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং এনজাইম পুনরায় অন্য সাবস্ট্রেটের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়।

তাপমাত্রা ও pH এর প্রভাব (Effect of Temperature and pH)

এনজাইমের কার্যকারিতার ওপর তাপমাত্রা ও pH এর বিশেষ প্রভাব রয়েছে। প্রতিটি এনজাইমের একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও pH এ সবচেয়ে ভালো কাজ করে।

তাপমাত্রা (Temperature)

সাধারণত, ২৫-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এনজাইম সবচেয়ে ভালো কাজ করে। তাপমাত্রা খুব বেশি হলে এনজাইমের গঠন নষ্ট হয়ে যায় (denature) এবং এটি কাজ করতে পারে না।

pH

বিভিন্ন এনজাইমের জন্য অপটিমাম pH ভিন্ন হয়। যেমন, পেপসিন (pepsin) নামক এনজাইম অ্যাসিডিক (acidic) pH এ ভালো কাজ করে, যা পাকস্থলীতে (stomach) পাওয়া যায়। আবার ট্রিপসিন (trypsin) ক্ষারীয় (alkaline) pH এ ভালো কাজ করে, যা ক্ষুদ্রান্ত্রে (small intestine) পাওয়া যায়।

কো-ফ্যাক্টর ও কো-এনজাইম কী? এদের কাজ কী?

কিছু এনজাইমের কার্যকারিতার জন্য অতিরিক্ত অণু বা আয়নের প্রয়োজন হয়, এদেরকে কো-ফ্যাক্টর বলা হয়। এই কো-ফ্যাক্টরগুলো এনজাইমের সাথে যুক্ত হয়ে একে সক্রিয় করে তোলে। যদি কো-ফ্যাক্টর কোনো জৈব অণু হয়, তবে তাকে কো-এনজাইম বলা হয়। ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অনেক ভিটামিন কো-এনজাইম হিসেবে কাজ করে। কো-ফ্যাক্টর বা কো-এনজাইম ছাড়া এনজাইম তার কাজ সঠিকভাবে করতে পারে না।

এনজাইমের অভাবে কি কি রোগ হতে পারে?

শরীরে এনজাইমের অভাব হলে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য রোগ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:

ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স (Lactose Intolerance)

ল্যাকটেজ (lactase) নামক এনজাইমের অভাবে দুধ হজম হতে সমস্যা হয়। এটি ল্যাকটোজকে (lactose) ভাঙতে পারে না, ফলে পেটে গ্যাস, ব্যথা এবং ডায়রিয়া হতে পারে।

Read More:  ভাইরাস কাকে বলে? জানুন খুঁটিনাটি!

ফেনাইলকেটোনুরিয়া (Phenylketonuria – PKU)

ফেনাইলঅ্যালানিন হাইড্রোক্সিলেজ (phenylalanine hydroxylase) নামক এনজাইমের অভাবে শরীরে ফিনাইলঅ্যালানিন (phenylalanine) জমা হতে থাকে, যা মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে।

গাউচার ডিজিজ (Gaucher Disease)

গ্লুকোসিসেরেব্রোসিডেজ (glucocerebrosidase) নামক এনজাইমের অভাবে গ্লুকোসিলসেরামাইড (glucosylceramide) নামক ফ্যাট জাতীয় পদার্থ লিভার, প্লীহা ও হাড়ের মধ্যে জমা হতে থাকে।

সিস্টিক ফাইব্রোসিস (Cystic Fibrosis)

এটি একটি বংশগত রোগ, যেখানে বিভিন্ন এনজাইমের অভাবে শরীরের তরল পদার্থগুলো ঘন হয়ে যায়, যা শ্বাসকষ্ট ও হজমের সমস্যা সৃষ্টি করে।

কোথায় এনজাইম পাওয়া যায়? (Sources of Enzyme)

এনজাইম আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে। বিভিন্ন খাবার ও উদ্ভিদ থেকে আমরা এটি পেতে পারি।

ফল ও সবজি (Fruits and Vegetables)

  • পেঁপেতে প্যাপেইন (papain) নামক এনজাইম থাকে, যা প্রোটিন হজমে সাহায্য করে।
  • আনারসে ব্রোমেলিন (bromelain) নামক এনজাইম থাকে, যা প্রদাহ (inflammation) কমাতে সাহায্য করে।
  • আম, কলা, অ্যাভোকাডোতে বিভিন্ন ধরনের এনজাইম পাওয়া যায়।

প্রাণিজ উৎস (Animal Sources)

  • দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যে ল্যাকটেজ (lactase) নামক এনজাইম থাকে।
  • মাংসে প্রোটিয়েজ (protease) নামক এনজাইম থাকে।

ফার্মেন্টেড খাবার (Fermented Foods)

দই, কেফির, কিমচি-এর মতো ফার্মেন্টেড খাবারে প্রচুর পরিমাণে এনজাইম এবং প্রোবায়োটিকস (probiotics) পাওয়া যায়, যা হজমক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

কিভাবে এনজাইম খাবারের হজমে সাহায্য করে?

খাবার হজম একটি জটিল প্রক্রিয়া, যেখানে এনজাইম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা যখন খাবার খাই, তখন আমাদের শরীর বিভিন্ন এনজাইম নিঃসরণ করে, যা খাদ্য উপাদানগুলোকে ছোট ছোট অংশে ভেঙে দেয়। এই ছোট অংশগুলো শরীর সহজেই শোষণ করতে পারে।

মুখের লালা (Saliva)

মুখের লালাতে অ্যামাইলেজ (amylase) নামক এনজাইম থাকে, যা শ্বেতসার বা কার্বোহাইড্রেটকে (carbohydrate) ভেঙে সরল শর্করায় (simple sugar) পরিণত করে।

পাকস্থলী (Stomach)

পাকস্থলীতে পেপসিন (pepsin) নামক এনজাইম প্রোটিনকে পেপটাইড (peptide) -এ ভাঙে। এছাড়াও হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (hydrochloric acid) খাদ্যকে নরম করে এবং এনজাইমের কার্যকারিতা বাড়ায়।

অগ্ন্যাশয় (Pancreas)

অগ্ন্যাশয় থেকে অ্যামাইলেজ, লাইপেজ ও প্রোটিয়েজ নামক এনজাইম নিঃসৃত হয়। অ্যামাইলেজ শর্করা, লাইপেজ ফ্যাট এবং প্রোটিয়েজ প্রোটিনকে ভাঙে।

ক্ষুদ্রান্ত্র (Small Intestine)

ক্ষুদ্রান্ত্রে বিভিন্ন এনজাইম, যেমন ল্যাকটেজ, সুক্রেজ ও মালটেজ শর্করাকে আরও সরল করে তোলে, যা শোষণযোগ্য।

এনজাইম সাপ্লিমেন্ট কি প্রয়োজনীয়? (Are Enzyme Supplements Necessary?)

অনেকেই হজমের সমস্যা বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানের জন্য এনজাইম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করে থাকেন। তবে, এটি সবার জন্য প্রয়োজনীয় নাও হতে পারে।

কখন প্রয়োজন? (When is it Needed?)

  • যদি আপনার শরীরে কোনো বিশেষ এনজাইমের অভাব থাকে।
  • যদি আপনার হজম সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকে, যেমন ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS)।
  • যদি আপনার অগ্ন্যাশয় (pancreas) পর্যাপ্ত এনজাইম তৈরি করতে না পারে।

সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে সতর্কতা (Precautions Before Taking Supplements)

  • ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো এনজাইম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা উচিত নয়।
  • সাপ্লিমেন্টের গুণগত মান (quality) সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া ভালো।
  • কিছু সাপ্লিমেন্টের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (side effects) থাকতে পারে।

এনজাইম এবং হরমোনের মধ্যে পার্থক্য কী?

এনজাইম এবং হরমোন উভয়েই আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ জৈব রাসায়নিক উপাদান হলেও এদের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। নিচে এই পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো:

বৈশিষ্ট্য এনজাইম (Enzyme) হরমোন (Hormone)
গঠন (Structure) প্রোটিন দিয়ে গঠিত প্রোটিন, পেপটাইড, অ্যামিনো অ্যাসিড বা স্টেরয়েড দিয়ে গঠিত হতে পারে
কাজ (Function) জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়াকে দ্রুত করে শরীরের বিভিন্ন অংশে সংকেত পাঠায় এবং কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে
উৎপত্তিস্থল (Origin) কোষের মধ্যে তৈরি হয় বিশেষ গ্রন্থি (gland) থেকে নিঃসৃত হয়
কার্যকারিতা (Action) একটি নির্দিষ্ট সাবস্ট্রেটের উপর কাজ করে শরীরের বিভিন্ন কোষে রিসেপ্টরের মাধ্যমে কাজ করে
ধ্বংস (Destruction) বিক্রিয়ার পর অপরিবর্তিত থাকে, কিন্তু ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায় কাজ করার পর ভেঙে যায় বা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়

এনজাইমের শিল্পোৎপাদন (Industrial Production of Enzymes)

বর্তমানে, বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহারের জন্য বিপুল পরিমাণে এনজাইম উৎপাদন করা হয়। এই উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সাধারণত মাইক্রোঅর্গানিজম (microorganisms), যেমন ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক ব্যবহার করা হয়।

ফার্মেন্টেশন (Fermentation)

ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ায় মাইক্রোঅর্গানিজমকে একটি নির্দিষ্ট মাধ্যমে (medium) চাষ করা হয়, যেখানে তারা এনজাইম তৈরি করে।

পরিশোধন (Purification)

উৎপাদিত এনজাইমকে পরিশোধন (purification) করে অন্যান্য উপাদান থেকে আলাদা করা হয়।

ফর্মুলেশন (Formulation)

পরিশোধিত এনজাইমকে বিভিন্ন রূপে (যেমন, তরল বা পাউডার) প্রস্তুত করা হয়, যা ব্যবহার উপযোগী।

এনজাইম নিয়ে কিছু মজার তথ্য (Fun Facts About Enzymes)

  • আমাদের শরীরে প্রায় কয়েক হাজার ধরনের এনজাইম রয়েছে।
  • এনজাইম ছাড়া আমাদের হজম প্রক্রিয়া ৫০ বছরের বেশি সময় নিতে পারত!
  • কিছু এনজাইম এতটাই শক্তিশালী যে তারা প্রতি সেকেন্ডে কয়েক মিলিয়ন বিক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে।

আজ আমরা এনজাইম নিয়ে অনেক কিছু জানলাম। এনজাইম আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে জড়িয়ে আছে। এদের গুরুত্ব উপলব্ধি করে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রা অনুসরণ করলে আমরা সুস্থ থাকতে পারি।

তাহলে, এনজাইম নিয়ে আপনার কেমন লাগলো? কোনো প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন!

Previous Post

(দর্পণ কাকে বলে)? প্রকারভেদ ও ব্যবহার জানুন!

Next Post

Grammar কাকে বলে? সহজ ভাষায় গ্রামার শিখুন!

Mushfiqur Rahman

Mushfiqur Rahman

I am Mushfiqur Rahman Swopnil, owner of Bongo Tuner and an experienced SEO and Digital Marketing professional with a deep understanding of affiliate marketing and link building. Running my own marketing agency, I offer strategic digital solutions to boost brand visibility and drive tangible results. My extensive experience covers all aspects of online marketing, helping businesses achieve their growth objectives through data-driven SEO and effective link-building strategies.

Next Post
Grammar কাকে বলে? সহজ ভাষায় গ্রামার শিখুন!

Grammar কাকে বলে? সহজ ভাষায় গ্রামার শিখুন!

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন
Education

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন

by Mushfiqur Rahman
May 5, 2025
0

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য মনে করুন, পরীক্ষার আগের রাতে আপনি সব পড়ে শেষ করেছেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে...

Read more
মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

May 5, 2025
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

May 5, 2025
ADVERTISEMENT
Bongo Tuner

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Navigate Site

  • Home
  • About Us
  • Privacy Policy
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy

Follow Us

No Result
View All Result
  • About Us
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy
  • Privacy Policy

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Table of Contents

×
  • এনজাইম কী? (What is Enzyme?)
    • এনজাইমের গঠন (Structure of Enzyme)
      • কোফ্যাক্টর ও কোএনজাইম (Cofactor and Coenzyme)
  • এনজাইমের প্রকারভেদ (Types of Enzyme)
    • ১. অক্সিডোরেডাক্টেজ (Oxidoreductases)
    • ২. ট্রান্সফারেজ (Transferases)
    • ৩. হাইড্রোলেজ (Hydrolases)
    • ৪. লাইয়েজ (Lyases)
    • ৫. আইসোমারেজ (Isomerases)
    • ৬. লাইগেজ (Ligases)
  • এনজাইমের কাজ (Functions of Enzyme)
    • হজমে সাহায্য (Helps in Digestion)
      • অ্যামাইলেজ (Amylase)
      • প্রোটিয়েজ (Protease)
      • লাইপেজ (Lipase)
    • কোষের কার্যকারিতা (Cellular Function)
    • ডিএনএ তৈরি ও মেরামত (DNA Replication and Repair)
    • রোগ প্রতিরোধ (Immunity)
  • এনজাইমের ব্যবহার (Uses of Enzyme)
    • খাদ্য শিল্পে (In Food Industry)
    • কাপড় কাচা ডিটারজেন্টে (In Laundry Detergents)
    • ঔষধ শিল্পে (In Pharmaceutical Industry)
    • কৃষি ক্ষেত্রে (In Agriculture)
  • এনজাইম কিভাবে কাজ করে? (How Enzymes Work?)
    • ১. সাবস্ট্রেট যুক্ত হওয়া (Substrate Binding)
    • ২. এনজাইম-সাবস্ট্রেট কমপ্লেক্স (Enzyme-Substrate Complex)
    • ৩. বিক্রিয়া (Reaction)
    • ৪. উৎপাদ নির্গমন (Product Release)
  • তাপমাত্রা ও pH এর প্রভাব (Effect of Temperature and pH)
    • তাপমাত্রা (Temperature)
    • pH
  • কো-ফ্যাক্টর ও কো-এনজাইম কী? এদের কাজ কী?
  • এনজাইমের অভাবে কি কি রোগ হতে পারে?
    • ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স (Lactose Intolerance)
    • ফেনাইলকেটোনুরিয়া (Phenylketonuria – PKU)
    • গাউচার ডিজিজ (Gaucher Disease)
    • সিস্টিক ফাইব্রোসিস (Cystic Fibrosis)
  • কোথায় এনজাইম পাওয়া যায়? (Sources of Enzyme)
    • ফল ও সবজি (Fruits and Vegetables)
    • প্রাণিজ উৎস (Animal Sources)
    • ফার্মেন্টেড খাবার (Fermented Foods)
  • কিভাবে এনজাইম খাবারের হজমে সাহায্য করে?
    • মুখের লালা (Saliva)
    • পাকস্থলী (Stomach)
    • অগ্ন্যাশয় (Pancreas)
    • ক্ষুদ্রান্ত্র (Small Intestine)
  • এনজাইম সাপ্লিমেন্ট কি প্রয়োজনীয়? (Are Enzyme Supplements Necessary?)
    • কখন প্রয়োজন? (When is it Needed?)
    • সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে সতর্কতা (Precautions Before Taking Supplements)
  • এনজাইম এবং হরমোনের মধ্যে পার্থক্য কী?
  • এনজাইমের শিল্পোৎপাদন (Industrial Production of Enzymes)
    • ফার্মেন্টেশন (Fermentation)
    • পরিশোধন (Purification)
    • ফর্মুলেশন (Formulation)
  • এনজাইম নিয়ে কিছু মজার তথ্য (Fun Facts About Enzymes)
← সূচিপত্র দেখুন