Bongo Tuner
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
Bongo Tuner
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT

গ্যাস কাকে বলে? প্রকারভেদ ও ব্যবহার জানুন!

Mushfiqur Rahman by Mushfiqur Rahman
February 22, 2025
in Education
0
গ্যাস কাকে বলে? প্রকারভেদ ও ব্যবহার জানুন!

গ্যাস কাকে বলে? প্রকারভেদ ও ব্যবহার জানুন!

0
SHARES
3
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter
ADVERTISEMENT
Get Latest Updates

আচ্ছা, গ্যাস! নামটা শুনলেই কেমন একটা হালকা, উড়ন্ত ভাব আসে, তাই না? কিন্তু গ্যাস আসলে কী? শুধু কি রান্নার কাজে লাগে, নাকি এর বাইরেও এর কোনো রহস্য আছে? চলুন, আজ আমরা গ্যাসের অন্দরমহলে ডুব দিয়ে আসি!

গ্যাস নিয়ে আমাদের চারপাশে নানা প্রশ্ন ঘোরে। “গ্যাস কি কঠিন পদার্থ?” নাকি “গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য কী?” – এই সব প্রশ্নের উত্তর আজ আমরা খুঁজে বের করব। তাই, বসুন জম্পেশ করে, আর পড়তে থাকুন!

Table of Contents

Toggle
  • গ্যাস: এক ঝলকে
    • গ্যাসের সংজ্ঞা
    • গ্যাসের বৈশিষ্ট্য
  • গ্যাসের প্রকারভেদ: চেনা অচেনা জগৎ
    • প্রাকৃতিক গ্যাস (Natural Gas)
      • প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদান
    • তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (LPG)
      • এলপিজির ব্যবহার
    • শিল্প গ্যাস (Industrial Gas)
      • কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিল্প গ্যাস ও তাদের ব্যবহার
    • বিষাক্ত গ্যাস
      • বিষাক্ত গ্যাসের উৎস ও ক্ষতিকর প্রভাব
  • গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য: কেন এরা এত আলাদা?
    • আন্তঃআণবিক দূরত্ব
    • চাপ (Pressure)
    • ব্যাপন (Diffusion)
    • সান্দ্রতা (Viscosity)
  • গ্যাসের ব্যবহার: আমাদের দৈনন্দিন জীবনে
    • রান্নার কাজে
    • বিদ্যুৎ উৎপাদনে
    • শিল্প কারখানায়
    • পরিবহন
    • চিকিৎসা ক্ষেত্রে
  • গ্যাস এবং পরিবেশ: আমাদের দায়িত্ব
    • গ্রিনহাউস গ্যাস
    • বায়ু দূষণ
    • আমাদের করণীয়
  • গ্যাস বিষয়ক কিছু জরুরি প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)
      • ১. গ্যাস কি কঠিন পদার্থ? গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য কী?
      • ২. কোন গ্যাস সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়?
      • ৩. গ্যাসীয় দূষণ কিভাবে কমানো যায়?
      • ৪. CNG এবং LPG এর মধ্যে পার্থক্য কী?
      • ৫. প্রাকৃতিক গ্যাস কিভাবে তৈরি হয়?
      • ৬. রান্নার গ্যাসে কী থাকে?
      • ৭. গ্যাসীয় পদার্থের ঘনত্ব কম কেন?
      • ৮. গ্যাস লিক হলে কী করতে হবে?
  • শেষ কথা

গ্যাস: এক ঝলকে

গ্যাস হলো পদার্থের এমন একটি অবস্থা, যার নির্দিষ্ট কোনো আকার বা আয়তন নেই। একে যেখানে রাখা হয়, সে সেই পাত্রের আকার ধারণ করে। গ্যাসের অণুগুলো একে অপরের থেকে অনেক দূরে অবস্থান করে এবং তারা সবসময় ছোটাছুটি করে। এই ছোটাছুটির কারণেই গ্যাস চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

গ্যাসের সংজ্ঞা

সহজ ভাষায়, গ্যাস হলো সেই পদার্থ, যা চাপ ও তাপমাত্রার পরিবর্তনে সহজেই সংকুচিত বা প্রসারিত হতে পারে। এর নিজস্ব কোনো আকার বা আয়তন নেই।

গ্যাসের বৈশিষ্ট্য

  • অনির্দিষ্ট আকার ও আয়তন: গ্যাসের কোনো নির্দিষ্ট আকার বা আয়তন নেই।
  • সংনমনযোগ্যতা: গ্যাসকে সহজেই সংকুচিত করা যায়।
  • প্রসারণশীলতা: গ্যাসকে প্রসারিত করা যায় এবং এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
  • কম ঘনত্ব: গ্যাসের ঘনত্ব কঠিন ও তরল পদার্থের তুলনায় অনেক কম।
  • অণুগুলোর দ্রুত গতি: গ্যাসের অণুগুলো খুব দ্রুত গতিতে চারিদিকে ছোটাছুটি করে।

গ্যাসের প্রকারভেদ: চেনা অচেনা জগৎ

গ্যাস শুধু এক রকমের নয়, এরও আছে নানান রূপ। এদের বৈশিষ্ট্য আর ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে এদের আলাদা করা হয়। চলুন, কিছু পরিচিত গ্যাসের সঙ্গে পরিচিত হই:

Read More:  ব্যবসায় কাকে বলে? লাভজনক ব্যবসার সংজ্ঞা ও ধারণা

প্রাকৃতিক গ্যাস (Natural Gas)

প্রাকৃতিক গ্যাস হলো মিথেন (Methane) ও অন্যান্য হাইড্রোকার্বনের মিশ্রণ। এটি সাধারণত ভূপৃষ্ঠের নিচে পাওয়া যায়। রান্নার কাজে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে এটি বহুল ব্যবহৃত। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার অনেক বেশি।

প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদান

উপাদান শতকরা পরিমাণ
মিথেন (CH4) 70-90%
ইথেন (C2H6) 5-15%
প্রোপেন (C3H8) 3-7%
বিউটেন (C4H10) 1-3%

তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (LPG)

এলপিজি হলো প্রোপেন (Propane) ও বিউটেনের (Butane) মিশ্রণ। একে চাপ প্রয়োগ করে তরল করা হয় এবং সিলিন্ডারে ভরে ব্যবহার করা হয়। এটি মূলত রান্নার গ্যাস হিসেবে পরিচিত।

ADVERTISEMENT

এলপিজির ব্যবহার

  • বাসাবাড়িতে রান্নার কাজে
  • গাড়ির জ্বালানি হিসেবে (অটোগ্যাস)
  • শিল্প কারখানায়

শিল্প গ্যাস (Industrial Gas)

শিল্প গ্যাস বিভিন্ন শিল্প কারখানায় ব্যবহার করা হয়। যেমন – অক্সিজেন (Oxygen), নাইট্রোজেন (Nitrogen), আর্গন (Argon), কার্বন ডাই অক্সাইড (Carbon Dioxide) ইত্যাদি।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিল্প গ্যাস ও তাদের ব্যবহার

  • অক্সিজেন: ইস্পাত তৈরিতে, ওয়েল্ডিং-এ এবং হাসপাতালে শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • নাইট্রোজেন: সার তৈরিতে, খাদ্য প্যাকেটজাত করতে এবং ইলেকট্রনিক শিল্পে ব্যবহৃত হয়।
  • আর্গন: ওয়েল্ডিং-এ এবং বৈদ্যুতিক বাতিতে ব্যবহৃত হয়।
  • কার্বন ডাই অক্সাইড: কোমল পানীয়তে, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে এবং খাদ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়।

বিষাক্ত গ্যাস

কিছু গ্যাস আছে যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। যেমন – কার্বন মনোক্সাইড (Carbon Monoxide), সালফার ডাই অক্সাইড (Sulfur Dioxide), ক্লোরিন (Chlorine) ইত্যাদি। এগুলো শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

বিষাক্ত গ্যাসের উৎস ও ক্ষতিকর প্রভাব

  • কার্বন মনোক্সাইড: যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া থেকে নির্গত হয়। এটি শ্বাসরোধ করে মৃত্যু ঘটাতে পারে।
  • সালফার ডাই অক্সাইড: শিল্প কারখানা ও জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো থেকে নির্গত হয়। এটি শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতি করে এবং অ্যাসিড বৃষ্টির কারণ হতে পারে।
  • ক্লোরিন: এটি সাধারণত পানি বিশুদ্ধকরণে ব্যবহার করা হয়, তবে অতিরিক্ত ক্লোরিন গ্যাস শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করতে পারে।

গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য: কেন এরা এত আলাদা?

গ্যাসীয় পদার্থের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে, যা এদের কঠিন ও তরল পদার্থ থেকে আলাদা করে। এই বৈশিষ্ট্যগুলো গ্যাসের গঠন এবং অণুগুলোর মধ্যেকার সম্পর্কের কারণে তৈরি হয়। আসুন, এই বৈশিষ্ট্যগুলো একটু বিস্তারিতভাবে জেনে নিই:

আন্তঃআণবিক দূরত্ব

গ্যাসের অণুগুলোর মধ্যে অনেক বেশি দূরত্ব থাকে। এই কারণে এদের আন্তঃআণবিক শক্তি খুবই কম। অণুগুলো প্রায় স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে। কঠিন বা তরল পদার্থের অণুগুলো অনেক কাছাকাছি থাকে, তাই তাদের নির্দিষ্ট আকার থাকে, কিন্তু গ্যাসের ক্ষেত্রে তা হয় না।

Read More:  শিশিরাঙ্ক কাকে বলে?🌡️আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানুন!

চাপ (Pressure)

গ্যাসের অণুগুলো পাত্রের দেয়ালের সাথে ধাক্কা দেয়। এই ধাক্কার ফলে চাপের সৃষ্টি হয়। গ্যাসের চাপ তাপমাত্রা এবং আয়তনের উপর নির্ভর করে। তাপমাত্রা বাড়লে গ্যাসের চাপ বাড়ে, কারণ অণুগুলোর গতি বেড়ে যায়।

ব্যাপন (Diffusion)

গ্যাস স্বতঃস্ফূর্তভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই প্রক্রিয়াকে ব্যাপন বলে। গ্যাসের অণুগুলোর দ্রুত গতি এবং আন্তঃআণবিক স্থানের কারণে ব্যাপন খুব দ্রুত ঘটে। কোনো ঘরের এক কোণে সুগন্ধি স্প্রে করলে মুহূর্তের মধ্যে পুরো ঘরে সেই গন্ধ ছড়িয়ে পরে, যা ব্যাপনের একটি উদাহরণ।

সান্দ্রতা (Viscosity)

গ্যাসের সান্দ্রতা খুব কম। সান্দ্রতা হলো কোনো পদার্থের প্রবাহে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা। গ্যাসের অণুগুলোর মধ্যে দুর্বল আকর্ষণ বল থাকায় এরা সহজে প্রবাহিত হতে পারে।

গ্যাসের ব্যবহার: আমাদের দৈনন্দিন জীবনে

গ্যাসের ব্যবহার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমরা কোনো না কোনোভাবে গ্যাসের উপর নির্ভরশীল। নিচে কয়েকটি প্রধান ব্যবহার উল্লেখ করা হলো:

রান্নার কাজে

আমাদের দেশে রান্নার কাজে এলপিজি (LPG) বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া, প্রাকৃতিক গ্যাসও সরাসরি রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। গ্যাসের চুলা ব্যবহার করে খুব সহজে এবং দ্রুত রান্না করা সম্ভব।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে

প্রাকৃতিক গ্যাস বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। গ্যাস টারবাইন ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এটি পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী।

শিল্প কারখানায়

শিল্প কারখানায় বিভিন্ন ধরনের গ্যাস ব্যবহার করা হয়। যেমন – অ্যামোনিয়া সার তৈরিতে নাইট্রোজেন, বিভিন্ন ধাতু নিষ্কাশনে অক্সিজেন এবং ওয়েল্ডিং-এর কাজে অ্যাসিটিলিন গ্যাস ব্যবহার করা হয়।

পরিবহন

সিএনজি (CNG) বা কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস এখন অনেক গাড়ির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি পেট্রোল এবং ডিজেলের চেয়ে পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে

চিকিৎসা ক্ষেত্রে অক্সিজেন জীবন রক্ষাকারী গ্যাস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া, অ্যানেস্থেসিয়ার কাজে নাইট্রাস অক্সাইড (Nitrous Oxide) ব্যবহার করা হয়।

গ্যাস এবং পরিবেশ: আমাদের দায়িত্ব

গ্যাসের ব্যবহার একদিকে যেমন আমাদের জীবনকে সহজ করেছে, তেমনি এর কিছু ক্ষতিকর প্রভাবও আছে। গ্যাস নিঃসরণের ফলে পরিবেশ দূষিত হয় এবং গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই, গ্যাস ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত।

গ্রিনহাউস গ্যাস

মিথেন একটি শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস। প্রাকৃতিক গ্যাস এবং এলপিজি ব্যবহারের ফলে মিথেন গ্যাস নির্গত হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি করে।

বায়ু দূষণ

গ্যাস পোড়ানোর ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড এবং অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত হয়। এগুলো বায়ু দূষণ করে এবং শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।

Read More:  আহিত বস্তু কাকে বলে? সহজ ভাষায় উদাহরণ সহ

আমাদের করণীয়

  • গ্যাসের অপচয় রোধ করতে হবে।
  • নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে।
  • পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।
  • গ্যাস নিঃসরণ কমাতে নিয়মিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

গ্যাস বিষয়ক কিছু জরুরি প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)

গ্যাস নিয়ে আমাদের মনে অনেক প্রশ্ন জাগে। এখানে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:

১. গ্যাস কি কঠিন পদার্থ? গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য কী?

উত্তর: না, গ্যাস কঠিন পদার্থ নয়। গ্যাসীয় পদার্থের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর কোনো নির্দিষ্ট আকার বা আয়তন নেই। এটি সহজেই সংকুচিত বা প্রসারিত হতে পারে এবং এর অণুগুলো দ্রুত গতিতে চারিদিকে ছড়াতে পারে। কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন থাকে এবং এর অণুগুলো খুব কাছাকাছি থাকে।

২. কোন গ্যাস সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়?

উত্তর: রান্নার কাজে এলপিজি (LPG) এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাকৃতিক গ্যাস সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, শিল্প কারখানায় অক্সিজেন, নাইট্রোজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বহুল ব্যবহৃত গ্যাস।

৩. গ্যাসীয় দূষণ কিভাবে কমানো যায়?

উত্তর: গ্যাসীয় দূষণ কমানোর জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে:

  • গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো।
  • পরিবহন ব্যবস্থায় সিএনজি বা ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার উৎসাহিত করা।
  • শিল্প কারখানায় উন্নতমানের ফিল্টার ব্যবহার করা, যাতে ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত না হয়।
  • গাছ লাগানো এবং বনভূমি সংরক্ষণ করা, যা কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করতে পারে।
  • ব্যক্তিগতভাবে সচেতন হওয়া এবং অন্যদের সচেতন করা।

৪. CNG এবং LPG এর মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তর: CNG (কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) হলো মিথেন গ্যাসের প্রধান অংশ। এটি প্রাকৃতিক গ্যাসকে সংকুচিত করে তৈরি করা হয় এবং সাধারণত পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, LPG (লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস) হলো প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রণ। একে চাপ প্রয়োগ করে তরল করা হয় এবং রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়।

৫. প্রাকৃতিক গ্যাস কিভাবে তৈরি হয়?

উত্তর: প্রাকৃতিক গ্যাস তৈরি হয় মূলত কয়েক মিলিয়ন বছর ধরে জমে থাকা উদ্ভিদ এবং প্রাণীর অবশিষ্টাংশ থেকে। উচ্চ চাপ এবং তাপের কারণে এই অবশিষ্টাংশগুলো ধীরে ধীরে গ্যাসে রূপান্তরিত হয়। এই গ্যাস সাধারণত ভূপৃষ্ঠের নিচে শিলাস্তরের মধ্যে জমা থাকে।

৬. রান্নার গ্যাসে কী থাকে?

উত্তর: রান্নার গ্যাসে মূলত বিউটেন (Butane) এবং প্রোপেন (Propane) গ্যাসের মিশ্রণ থাকে। এই গ্যাসগুলো সহজেই জ্বলে এবং তাপ উৎপন্ন করে, যা রান্নার জন্য উপযোগী।

৭. গ্যাসীয় পদার্থের ঘনত্ব কম কেন?

উত্তর: গ্যাসীয় পদার্থের ঘনত্ব কম হওয়ার প্রধান কারণ হলো এর অণুগুলোর মধ্যে অনেক বেশি দূরত্ব থাকে। কঠিন এবং তরল পদার্থের অণুগুলো খুব কাছাকাছি থাকে, ফলে তাদের ঘনত্ব বেশি হয়। গ্যাসের অণুগুলো স্বাধীনভাবে চলাচল করে এবং এদের মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ শক্তি খুবই কম থাকে।

৮. গ্যাস লিক হলে কী করতে হবে?

উত্তর: গ্যাস লিক হলে দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি:

  1. চুলা এবং অন্যান্য গ্যাসের উৎস বন্ধ করুন।
  2. ঘর থেকে দ্রুত বেরিয়ে যান এবং অন্যদের সতর্ক করুন।
  3. বিদ্যুৎ সুইচ বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন, কারণ এটি স্পার্ক তৈরি করতে পারে।
  4. অবিলম্বে ফায়ার সার্ভিস বা গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থাকে খবর দিন।
  5. নিরাপদ দূরত্বে থাকুন এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসরণ করুন।

শেষ কথা

গ্যাস আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর বহুমুখী ব্যবহার আমাদের জীবনকে করেছে সহজ ও উন্নত। তবে, গ্যাসের ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান এবং সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। পরিবেশের সুরক্ষায় আমাদের সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে।

তো, গ্যাস নিয়ে আপনার মনে আর কোনো প্রশ্ন আছে কি? নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন! আর যদি এই লেখাটি ভালো লেগে থাকে, তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

Previous Post

সরল দোলন গতি কাকে বলে? সহজ ভাষায় বুঝুন!

Next Post

জরিপ কাকে বলে? প্রকারভেদ ও ব্যবহার জানুন!

Mushfiqur Rahman

Mushfiqur Rahman

I am Mushfiqur Rahman Swopnil, owner of Bongo Tuner and an experienced SEO and Digital Marketing professional with a deep understanding of affiliate marketing and link building. Running my own marketing agency, I offer strategic digital solutions to boost brand visibility and drive tangible results. My extensive experience covers all aspects of online marketing, helping businesses achieve their growth objectives through data-driven SEO and effective link-building strategies.

Next Post
জরিপ কাকে বলে? প্রকারভেদ ও ব্যবহার জানুন!

জরিপ কাকে বলে? প্রকারভেদ ও ব্যবহার জানুন!

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন
Education

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন

by Mushfiqur Rahman
May 5, 2025
0

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য মনে করুন, পরীক্ষার আগের রাতে আপনি সব পড়ে শেষ করেছেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে...

Read more
মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

May 5, 2025
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

May 5, 2025
ADVERTISEMENT
Bongo Tuner

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Navigate Site

  • Home
  • About Us
  • Privacy Policy
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy

Follow Us

No Result
View All Result
  • About Us
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy
  • Privacy Policy

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Table of Contents

×
  • গ্যাস: এক ঝলকে
    • গ্যাসের সংজ্ঞা
    • গ্যাসের বৈশিষ্ট্য
  • গ্যাসের প্রকারভেদ: চেনা অচেনা জগৎ
    • প্রাকৃতিক গ্যাস (Natural Gas)
      • প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদান
    • তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (LPG)
      • এলপিজির ব্যবহার
    • শিল্প গ্যাস (Industrial Gas)
      • কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিল্প গ্যাস ও তাদের ব্যবহার
    • বিষাক্ত গ্যাস
      • বিষাক্ত গ্যাসের উৎস ও ক্ষতিকর প্রভাব
  • গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য: কেন এরা এত আলাদা?
    • আন্তঃআণবিক দূরত্ব
    • চাপ (Pressure)
    • ব্যাপন (Diffusion)
    • সান্দ্রতা (Viscosity)
  • গ্যাসের ব্যবহার: আমাদের দৈনন্দিন জীবনে
    • রান্নার কাজে
    • বিদ্যুৎ উৎপাদনে
    • শিল্প কারখানায়
    • পরিবহন
    • চিকিৎসা ক্ষেত্রে
  • গ্যাস এবং পরিবেশ: আমাদের দায়িত্ব
    • গ্রিনহাউস গ্যাস
    • বায়ু দূষণ
    • আমাদের করণীয়
  • গ্যাস বিষয়ক কিছু জরুরি প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)
      • ১. গ্যাস কি কঠিন পদার্থ? গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য কী?
      • ২. কোন গ্যাস সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়?
      • ৩. গ্যাসীয় দূষণ কিভাবে কমানো যায়?
      • ৪. CNG এবং LPG এর মধ্যে পার্থক্য কী?
      • ৫. প্রাকৃতিক গ্যাস কিভাবে তৈরি হয়?
      • ৬. রান্নার গ্যাসে কী থাকে?
      • ৭. গ্যাসীয় পদার্থের ঘনত্ব কম কেন?
      • ৮. গ্যাস লিক হলে কী করতে হবে?
  • শেষ কথা
← সূচিপত্র দেখুন