Bongo Tuner
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
Bongo Tuner
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT

স্ফুটনাঙ্ক কাকে বলে উত্তরসহ?🌡️সহজ ভাষায় বুঝুন!

Mushfiqur Rahman by Mushfiqur Rahman
February 23, 2025
in Education
0
স্ফুটনাঙ্ক কাকে বলে উত্তরসহ?🌡️সহজ ভাষায় বুঝুন!

স্ফুটনাঙ্ক কাকে বলে উত্তরসহ?🌡️সহজ ভাষায় বুঝুন!

0
SHARES
0
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter
ADVERTISEMENT
Get Latest Updates

আচ্ছা, বলুন তো, গরমের দিনে ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে যখন ক্লান্ত, তখন ঠান্ডা শরবতের গ্লাসে বরফের কুচিগুলো দেখলে কেমন লাগে? ঠিক তেমনই, কঠিন একটা বিষয়কে সহজ করে বুঝিয়ে দেওয়াটাও একটা শিল্প। আজ আমরা কথা বলব তেমনই একটা বিষয় নিয়ে – স্ফুটনাঙ্ক। ভয় নেই, জটিল সংজ্ঞা বা কঠিন শব্দ ব্যবহার করব না। বরং, স্ফুটনাঙ্ক কী, তা আমরা দৈনন্দিন জীবনের উদাহরণ দিয়ে বুঝব। তৈরি তো? চলুন, শুরু করা যাক!

Table of Contents

Toggle
  • স্ফুটনাঙ্ক: জলের ভেতর লুকানো ম্যাজিক
    • স্ফুটনাঙ্ক কেন হয়? ভেতরের কলকব্জা
    • চাপের ভূমিকা: প্রেসার কুকারের জাদু
  • দৈনন্দিন জীবনে স্ফুটনাঙ্কের ব্যবহার
    • স্ফুটনাঙ্ককে প্রভাবিত করার বিষয়গুলো
      • স্ফুটনাঙ্ক: কিছু মজার তথ্য
  • স্ফুটনাঙ্ক সম্পর্কিত কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর (FAQ)
    • স্ফুটন কাকে বলে? (স্ফুটনাঙ্ক কাকে বলে এবং স্ফুটন কি একই?)
    • জলের স্ফুটনাঙ্ক কত?
    • প্রমাণ চাপ ও তাপমাত্রায় পানির স্ফুটনাঙ্ক কত?
    • স্ফুটনাঙ্কের উপর চাপের প্রভাব আলোচনা কর।
    • গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্কের মধ্যে পার্থক্য কি?
    • ঊর্ধ্বপাতন কাকে বলে?
    • বাষ্পীভবন কাকে বলে?
    • স্ফুটনাঙ্ক নির্ণয় করার পদ্ধতি কি?
    • বিভিন্ন পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক তালিকা
    • তরলের স্ফুটনাঙ্ক কিসের উপর নির্ভর করে?
    • সাধারণ লবণ মিশ্রিত জলের স্ফুটনাঙ্ক কত?
    • স্ফুটনাংক ও বাষ্পীভবনের মধ্যে পার্থক্য কি?
    • কোনটির স্ফুটনাঙ্ক বেশি- ইথার নাকি অ্যাসিটোন?
  • শেষ কথা: স্ফুটনাঙ্ক – ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ

স্ফুটনাঙ্ক: জলের ভেতর লুকানো ম্যাজিক

স্ফুটনাঙ্ক (Boiling Point) হলো সেই জাদু-স্পর্শ, যেখানে তরল পদার্থ গ্যাসীয় পদার্থে রূপান্তরিত হতে শুরু করে। সহজ ভাষায়, যখন কোনো তরলকে তাপ দেওয়া হয় এবং সেটি বুদ্‌বুদ তুলে গ্যাস হয়ে উড়তে শুরু করে, সেই মুহূর্তের তাপমাত্রাই হলো স্ফুটনাঙ্ক।

তাহলে, স্ফুটনাঙ্ক আসলে কী দাঁড়ালো? নির্দিষ্ট চাপে কোনো তরল পদার্থ যে তাপমাত্রায় গ্যাসীয় বা বাষ্পীয় অবস্থায় পরিবর্তিত হওয়া শুরু করে, সেটাই হলো ঐ তরলের স্ফুটনাঙ্ক।

বিষয়টা আরেকটু খোলসা করে বলা যাক। ধরুন, আপনি একটি পাত্রে জল গরম করছেন। প্রথমে দেখবেন জল সামান্য গরম হচ্ছে, তারপর ছোট ছোট বুদ্‌বুদ উঠছে। এরপর একটা সময় আসবে যখন জল টগবগ করে ফুটতে শুরু করবে এবং প্রচুর পরিমাণে বাষ্প তৈরি হবে। এই যে টগবগ করে ফোটা শুরু হলো, এটাই স্ফুটনাঙ্ক। জলের ক্ষেত্রে এই তাপমাত্রা সাধারণত 100 ডিগ্রি সেলসিয়াস (212 ডিগ্রি ফারেনহাইট)।

Read More:  তরঙ্গদৈর্ঘ্য কাকে বলে? সহজ ভাষায় সংজ্ঞা ও ব্যবহার জানুন!

স্ফুটনাঙ্ক কেন হয়? ভেতরের কলকব্জা

এবার একটু গভীরে যাওয়া যাক। কেন একটা তরল পদার্থ ফুটতে শুরু করে? এর পেছনে রয়েছে অণুগুলোর কারসাজি। তরলের অণুগুলো সবসময় ছোটাছুটি করে। যখন তাপ দেওয়া হয়, তখন তাদের ছোটাছুটির গতি আরও বেড়ে যায়। একটা সময় আসে যখন এই গতি এতটাই বেড়ে যায় যে অণুগুলো নিজেদের মধ্যেকার আকর্ষণ বল ভেঙে মুক্ত হয়ে যায় এবং বাষ্পে পরিণত হয়।

বিষয়টা অনেকটা এমন, ধরুন আপনি একটি ক্লাসরুমে বসে আছেন। প্রথমে সবাই চুপচাপ, কিন্তু টিফিন পিরিয়ড শুরু হলেই সবাই আনন্দে ছোটাছুটি শুরু করে, কেউ ক্লাসরুমের বাইরে চলে যায়, কেউবা বন্ধুদের সাথে গল্প করে। স্ফুটনাঙ্কের সময় তরলের অণুগুলোর অবস্থাও অনেকটা তেমনই হয়।

চাপের ভূমিকা: প্রেসার কুকারের জাদু

স্ফুটনাঙ্কের ওপর চাপের একটা বড় প্রভাব আছে। চাপ বাড়লে স্ফুটনাঙ্ক বাড়ে, আর চাপ কমলে স্ফুটনাঙ্ক কমে। এই কারণেই প্রেসার কুকারে খুব সহজে রান্না করা যায়। প্রেসার কুকারের ভেতরে চাপ বেশি থাকার কারণে জলের স্ফুটনাঙ্ক বেড়ে যায়, ফলে খাবার তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়।

পাহাড়ের উপরে চাপ কম থাকার কারণে জলের স্ফুটনাঙ্ক কমে যায়। তাই সেখানে ডিম সেদ্ধ করতে বেশি সময় লাগে। যারা এভারেস্ট জয় করতে যান, তারা নিশ্চয়ই এই সমস্যার সম্মুখীন হন!

দৈনন্দিন জীবনে স্ফুটনাঙ্কের ব্যবহার

আমরা হয়তো সবসময় খেয়াল করি না, কিন্তু স্ফুটনাঙ্ক আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজে লাগে। নিচে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো:

  • রান্না করা: রান্নার সময় জলের স্ফুটনাঙ্ক ব্যবহার করে খাবার সেদ্ধ করা হয়। ডিম সেদ্ধ, ভাত রান্না – সবকিছুই স্ফুটনাঙ্কের ওপর নির্ভরশীল।

  • জীবাণু ধ্বংস করা: জল ফুটিয়ে পান করলে জলের জীবাণু মরে যায়। কারণ, স্ফুটনাঙ্কে পৌঁছালে অনেক ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বাঁচতে পারে না।

  • শিল্পকারখানা: বিভিন্ন শিল্পকারখানায় স্ফুটনাঙ্ক ব্যবহার করে তরল পদার্থ থেকে প্রয়োজনীয় উপাদান আলাদা করা হয়।

  • ডিস্টিলেশন: অ্যালকোহল তৈরিতে ডিস্টিলেশন প্রক্রিয়ায় স্ফুটনাঙ্ক ব্যবহার করা হয়।

স্ফুটনাঙ্ককে প্রভাবিত করার বিষয়গুলো

স্ফুটনাঙ্ক কয়েকটি জিনিসের উপর নির্ভর করে। নিচে সেগুলো আলোচনা করা হলো:

  • চাপ: আগেই বলেছি, চাপের পরিবর্তনে স্ফুটনাঙ্কের পরিবর্তন হয়। চাপ বাড়লে স্ফুটনাঙ্ক বাড়ে, আর চাপ কমলে কমে।

  • আন্তঃআণবিক শক্তি: তরলের অণুগুলোর মধ্যেকার আকর্ষণ শক্তি যত বেশি, স্ফুটনাঙ্ক তত বেশি হবে। কারণ, অণুগুলোকে আলাদা করতে বেশি তাপের প্রয়োজন হবে।

  • দ্রবণের বিশুদ্ধতা: বিশুদ্ধ তরলের স্ফুটনাঙ্ক নির্দিষ্ট থাকে। কিন্তু যদি কোনো তরলে অন্য কিছু মেশানো হয়, তাহলে স্ফুটনাঙ্কের পরিবর্তন হতে পারে।

Read More:  লিপিড কাকে বলে? প্রকারভেদ ও কাজ জানুন!

স্ফুটনাঙ্ক: কিছু মজার তথ্য

  • সবচেয়ে কম স্ফুটনাঙ্ক হিলিয়ামের (-268.93 °C)।

  • সবচেয়ে বেশি স্ফুটনাঙ্ক টাংস্টেনের (5555 °C)।

  • ভিনেগারের স্ফুটনাঙ্ক জলের চেয়ে সামান্য বেশি (প্রায় 118 °C)।

স্ফুটনাঙ্ক সম্পর্কিত কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর (FAQ)

এখানে স্ফুটনাঙ্ক নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন এবং তার উত্তর দেওয়া হলো:

স্ফুটন কাকে বলে? (স্ফুটনাঙ্ক কাকে বলে এবং স্ফুটন কি একই?)

স্ফুটন (Boiling) হলো সেই প্রক্রিয়া, যেখানে কোনো তরল পদার্থ তাপ পেয়ে গ্যাসীয় অবস্থায় পরিবর্তিত হয়। আর স্ফুটনাঙ্ক হলো সেই নির্দিষ্ট তাপমাত্রা, যেখানে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাই, স্ফুটন হলো প্রক্রিয়া আর স্ফুটনাঙ্ক হলো তাপমাত্রা। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে। ধরুন, জল যখন ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায় এবং বুদ্‌বুদ্‌ তুলে বাষ্প হতে শুরু করে, তখন সেটা হলো স্ফুটন। আর জলের স্ফুটনাঙ্ক হলো ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জলের স্ফুটনাঙ্ক কত?

সাধারণ অবস্থায় জলের স্ফুটনাঙ্ক হলো 100 ডিগ্রি সেলসিয়াস (212 ডিগ্রি ফারেনহাইট)। তবে, চাপের পরিবর্তনের সাথে সাথে এর পরিবর্তন হতে পারে। যেমন, পাহাড়ের উপরে জলের স্ফুটনাঙ্ক 100 ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে কম হবে।

প্রমাণ চাপ ও তাপমাত্রায় পানির স্ফুটনাঙ্ক কত?

প্রমাণ চাপ (Standard Pressure) বলতে 1 atm (অ্যাটমোস্ফিয়ার) চাপকে বোঝানো হয়। এই চাপে জলের স্ফুটনাঙ্ক 100 ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রমাণ তাপমাত্রা সাধারণত 25 ডিগ্রি সেলসিয়াস ধরা হয়, তবে স্ফুটনাঙ্কের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা মুখ্য নয়, চাপটাই আসল।

স্ফুটনাঙ্কের উপর চাপের প্রভাব আলোচনা কর।

চাপ বাড়লে স্ফুটনাঙ্ক বাড়ে, আর চাপ কমলে স্ফুটনাঙ্ক কমে। এর কারণ হলো, চাপ বাড়লে তরলের অণুগুলোর মুক্ত হওয়ার প্রবণতা কমে যায়, তাই বেশি তাপের প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে, চাপ কমলে অণুগুলো সহজে মুক্ত হতে পারে, তাই কম তাপেই স্ফুটন শুরু হয়।

গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্কের মধ্যে পার্থক্য কি?

গলনাঙ্ক (Melting Point) হলো সেই তাপমাত্রা, যেখানে কোনো কঠিন পদার্থ গলে তরলে পরিণত হয়। আর স্ফুটনাঙ্ক হলো সেই তাপমাত্রা, যেখানে কোনো তরল পদার্থ ফুটে গ্যাসে পরিণত হয়। গলনাঙ্ক কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্য, আর স্ফুটনাঙ্ক তরল পদার্থের বৈশিষ্ট্য।

Read More:  Modal Verb কাকে বলে? প্রকারভেদ ও ব্যবহার জানুন
বৈশিষ্ট্য গলনাঙ্ক (Melting Point) স্ফুটনাঙ্ক (Boiling Point)
পদার্থের অবস্থা কঠিন থেকে তরল তরল থেকে গ্যাস
সংজ্ঞা যে তাপমাত্রায় কঠিন পদার্থ গলে তরল হয় যে তাপমাত্রায় তরল পদার্থ ফুটে গ্যাস হয়
উদাহরণ বরফের গলনাঙ্ক 0°C জলের স্ফুটনাঙ্ক 100°C

ঊর্ধ্বপাতন কাকে বলে?

ঊর্ধ্বপাতন (Sublimation) হলো সেই প্রক্রিয়া, যেখানে কোনো কঠিন পদার্থ সরাসরি গ্যাসীয় অবস্থায় রূপান্তরিত হয়, তরল অবস্থা ছাড়াই। যেমন, কর্পূর বা ন্যাপথলিন গরম করলে সরাসরি বাষ্প হয়ে যায়।

বাষ্পীভবন কাকে বলে?

বাষ্পীভবন (Vaporization) হলো সেই প্রক্রিয়া, যেখানে কোনো তরল পদার্থ ধীরে ধীরে বাষ্পে পরিণত হয়। স্ফুটনের সময় দ্রুত বাষ্প তৈরি হয়, কিন্তু বাষ্পীভবন ধীরে ধীরে ঘটে। যেমন, ভেজা কাপড় শুকাতে দেওয়া হলে জল ধীরে ধীরে বাষ্প হয়ে উড়ে যায়।

ADVERTISEMENT

স্ফুটনাঙ্ক নির্ণয় করার পদ্ধতি কি?

স্ফুটনাঙ্ক নির্ণয় করার জন্য সাধারণত একটি থার্মোমিটার এবং একটি হিটিং ডিভাইস ব্যবহার করা হয়। প্রথমে তরল পদার্থটিকে একটি পাত্রে নিয়ে ধীরে ধীরে গরম করা হয়। যখন তরলটি ফুটতে শুরু করে, তখন থার্মোমিটারের সাহায্যে তাপমাত্রা মেপে নেওয়া হয়। এই তাপমাত্রাই হলো স্ফুটনাঙ্ক।

বিভিন্ন পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক তালিকা

এখানে কয়েকটি সাধারণ পদার্থের স্ফুটনাঙ্কের তালিকা দেওয়া হলো:

পদার্থ স্ফুটনাঙ্ক (°C)
জল 100
ইথানল 78.37
মিথানল 64.7
অ্যাসিটোন 56
ইথার 34.6
পারদ 356.7
অ্যামোনিয়া -33.34

তরলের স্ফুটনাঙ্ক কিসের উপর নির্ভর করে?

তরলের স্ফুটনাঙ্ক প্রধানত তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে:

  1. চাপ: তরলের উপর চাপ বাড়লে স্ফুটনাঙ্ক বাড়ে এবং চাপ কমলে স্ফুটনাঙ্ক কমে।
  2. আন্তঃআণবিক শক্তি: তরলের অণুগুলোর মধ্যে আকর্ষণ শক্তি যত বেশি, স্ফুটনাঙ্ক তত বেশি হবে। কারণ অণুগুলোকে গ্যাসীয় অবস্থায় নিতে বেশি শক্তি প্রয়োজন।
  3. আণবিক ভর: সাধারণত, একই ধরনের রাসায়নিক গঠন ધરાવતા তরলগুলোর মধ্যে আণবিক ভর বাড়লে স্ফুটনাঙ্কও বাড়ে৷

সাধারণ লবণ মিশ্রিত জলের স্ফুটনাঙ্ক কত?

জলে লবণ মেশালে স্ফুটনাঙ্ক বেড়ে যায়। সাধারণ লবণ মিশ্রিত জলের স্ফুটনাঙ্ক 100 ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে একটু বেশি হবে। লবণের পরিমাণ যত বাড়বে, স্ফুটনাঙ্কও তত বাড়বে।

স্ফুটনাংক ও বাষ্পীভবনের মধ্যে পার্থক্য কি?

স্ফুটনাঙ্ক (Boiling Point) একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা, যেখানে তরল পদার্থ দ্রুত বাষ্পে পরিণত হয়, বুদবুদ তৈরি করে। এটি একটি দ্রুত প্রক্রিয়া এবং পুরো তরল জুড়ে ঘটে। অন্যদিকে, বাষ্পীভবন (Evaporation) যেকোনো তাপমাত্রায় ধীরে ধীরে ঘটে, শুধুমাত্র তরলের উপরিভাগে। স্ফুটনাঙ্কে তরলকে তাপ দিতে হয়, কিন্তু বাষ্পীভবন প্রাকৃতিকভাবেও হতে পারে।

কোনটির স্ফুটনাঙ্ক বেশি- ইথার নাকি অ্যাসিটোন?

অ্যাসিটোনের চেয়ে ইথারের স্ফুটনাঙ্ক বেশি। ইথারের স্ফুটনাঙ্ক ৩৪.৬° সেলসিয়াস, যেখানে অ্যাসিটোনের স্ফুটনাঙ্ক ৫৬° সেলসিয়াস। এর কারণ হলো ইথারের তুলনায় অ্যাসিটোনের আন্তঃআণবিক শক্তি বেশি, তাই একে বাষ্পীভূত করতে বেশি তাপ লাগে।

শেষ কথা: স্ফুটনাঙ্ক – ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ

স্ফুটনাঙ্ক হয়তো ছোট একটা বিষয়, কিন্তু এর গুরুত্ব অনেক। দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে শিল্পকারখানা পর্যন্ত, সর্বত্র এর ব্যবহার রয়েছে। আশা করি, এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার পর স্ফুটনাঙ্ক নিয়ে আপনার মনে আর কোনো প্রশ্ন নেই। যদি থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আর হ্যাঁ, বিজ্ঞানকে ভালোবাসুন, নতুন কিছু শিখতে থাকুন!

Previous Post

সরল ছন্দিত স্পন্দন কাকে বলে? সহজ ভাষায় বুঝুন!

Next Post

ধাতব ধর্ম কাকে বলে? বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার জানুন

Mushfiqur Rahman

Mushfiqur Rahman

I am Mushfiqur Rahman Swopnil, owner of Bongo Tuner and an experienced SEO and Digital Marketing professional with a deep understanding of affiliate marketing and link building. Running my own marketing agency, I offer strategic digital solutions to boost brand visibility and drive tangible results. My extensive experience covers all aspects of online marketing, helping businesses achieve their growth objectives through data-driven SEO and effective link-building strategies.

Next Post
ধাতব ধর্ম কাকে বলে? বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার জানুন

ধাতব ধর্ম কাকে বলে? বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার জানুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন
Education

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন

by Mushfiqur Rahman
May 5, 2025
0

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য মনে করুন, পরীক্ষার আগের রাতে আপনি সব পড়ে শেষ করেছেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে...

Read more
মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

May 5, 2025
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

May 5, 2025
ADVERTISEMENT
Bongo Tuner

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Navigate Site

  • Home
  • About Us
  • Privacy Policy
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy

Follow Us

No Result
View All Result
  • About Us
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy
  • Privacy Policy

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Table of Contents

×
  • স্ফুটনাঙ্ক: জলের ভেতর লুকানো ম্যাজিক
    • স্ফুটনাঙ্ক কেন হয়? ভেতরের কলকব্জা
    • চাপের ভূমিকা: প্রেসার কুকারের জাদু
  • দৈনন্দিন জীবনে স্ফুটনাঙ্কের ব্যবহার
    • স্ফুটনাঙ্ককে প্রভাবিত করার বিষয়গুলো
      • স্ফুটনাঙ্ক: কিছু মজার তথ্য
  • স্ফুটনাঙ্ক সম্পর্কিত কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর (FAQ)
    • স্ফুটন কাকে বলে? (স্ফুটনাঙ্ক কাকে বলে এবং স্ফুটন কি একই?)
    • জলের স্ফুটনাঙ্ক কত?
    • প্রমাণ চাপ ও তাপমাত্রায় পানির স্ফুটনাঙ্ক কত?
    • স্ফুটনাঙ্কের উপর চাপের প্রভাব আলোচনা কর।
    • গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্কের মধ্যে পার্থক্য কি?
    • ঊর্ধ্বপাতন কাকে বলে?
    • বাষ্পীভবন কাকে বলে?
    • স্ফুটনাঙ্ক নির্ণয় করার পদ্ধতি কি?
    • বিভিন্ন পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক তালিকা
    • তরলের স্ফুটনাঙ্ক কিসের উপর নির্ভর করে?
    • সাধারণ লবণ মিশ্রিত জলের স্ফুটনাঙ্ক কত?
    • স্ফুটনাংক ও বাষ্পীভবনের মধ্যে পার্থক্য কি?
    • কোনটির স্ফুটনাঙ্ক বেশি- ইথার নাকি অ্যাসিটোন?
  • শেষ কথা: স্ফুটনাঙ্ক – ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ
← সূচিপত্র দেখুন