Bongo Tuner
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
Bongo Tuner
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT

জারণ বিজারণ বিক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ ও ব্যাখ্যা

Mushfiqur Rahman by Mushfiqur Rahman
February 23, 2025
in Education
0
জারণ বিজারণ বিক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ ও ব্যাখ্যা

জারণ বিজারণ বিক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ ও ব্যাখ্যা

0
SHARES
6
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter
ADVERTISEMENT
Get Latest Updates

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া: রসায়নের এক মজার খেলা!

আচ্ছা, আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন লোহাতে কেন মরিচা ধরে? কিংবা শ্বাস নেওয়ার সময় আমাদের শরীরে কী ঘটে? এই সবকিছুর পেছনেই রয়েছে রসায়নের এক মজার খেলা – জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া! শুনতে কঠিন লাগলেও, আসলে এটা খুবই সহজ। আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা এই মজার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব, যাতে আপনিও রসায়নের এই খেলাটি বুঝতে পারেন।

Table of Contents

Toggle
  • জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া কী? (What is Redox Reaction?)
    • জারণ (Oxidation) এবং বিজারণ (Reduction): একটু গভীরে
  • জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার উদাহরণ (Examples of Redox Reaction)
    • দৈনন্দিন জীবনে জারণ-বিজারণ
    • রাসায়নিক পরীক্ষাগারে জারণ-বিজারণ
  • জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার প্রকারভেদ (Types of Redox Reaction)
    • সরাসরি সংযোগ বিক্রিয়া (Direct Combination Reaction)
    • বিয়োজন বিক্রিয়া (Decomposition Reaction)
    • প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া (Displacement Reaction)
      • ধাতু প্রতিস্থাপন (Metal Displacement)
      • অ-ধাতু প্রতিস্থাপন (Non-metal Displacement)
    • অসমানুপাতন বিক্রিয়া (Disproportionation Reaction)
  • জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার কৌশল (Mechanism of Redox Reaction)
  • জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া চেনার উপায় (How to Identify Redox Reaction)
  • জারণ-বিজারণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ জারক ও বিজারক পদার্থ (Important oxidizing and reducing agents)
  • জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার প্রভাব (Effects of Redox Reaction)
    • পরিবেশের উপর প্রভাব
    • শিল্পক্ষেত্রে প্রভাব
    • চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রভাব
    • কৃষিক্ষেত্রে প্রভাব
  • জারণ-বিজারণ বিষয়ক কিছু দরকারি টিপস (Some useful tips for Redox Reaction)
  • সাধারণ জিজ্ঞাসা (Frequently Asked Questions – FAQs)
    • জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া কিভাবে ঘটে?
    • জারক পদার্থ কি?
    • বিজারক পদার্থ কি?
    • জারণ এবং বিজারণ একই সাথে ঘটে কেন?
    • জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার গুরুত্ব কী?
    • জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া চেনার সহজ উপায় কি?
    • “জারক বিজারককে জারিত করে, নিজে বিজারিত হয়” – ব্যাখ্যা করুন।
    • প্রাত্যহিক জীবনে জারণ বিজারণের ব্যবহারিক প্রয়োগগুলো কী কী?
    • জারণ-বিজারনের উদাহরণস্বরূপ “পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট” এর ভূমিকা কী?
    • জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারকারী কারণগুলো কী কী?
    • জারণ-বিজারণের তুলনামূলক আলোচনা – রাসায়নিক এবং জৈবিক প্রক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্যগুলো কী?
    • রেডক্স টাইট্রেশন (Redox Titration) কী এবং এর ব্যবহারগুলো কী কী-
  • শেষ কথা (Conclusion)

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া কী? (What is Redox Reaction?)

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া, যা রেডক্স বিক্রিয়া (Redox reaction) নামেও পরিচিত, রসায়নের সেই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যেখানে একই সাথে জারণ (Oxidation) এবং বিজারণ (Reduction) ঘটে। জারণ মানে হলো কোনো পরমাণু, অণু বা আয়ন ইলেকট্রন ত্যাগ করে, আর বিজারণ মানে হলো ইলেকট্রন গ্রহণ করা। এই দুটি প্রক্রিয়া সবসময় একসাথে চলে। একটি ছাড়া অন্যটি ঘটতে পারে না!

সহজ ভাষায়, ধরুন একজন বন্ধু আপনাকে একটি চকলেট দিল (ইলেকট্রন দান করল), আর আপনি সেই চকলেটটি নিলেন (ইলেকট্রন গ্রহণ করলেন)। এখানে আপনার বন্ধু জারিত হয়েছে (কারণ সে চকলেট দিয়েছে), আর আপনি বিজারিত হয়েছেন (কারণ আপনি চকলেট নিয়েছেন)। রসায়নের জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া অনেকটা এমনই!

জারণ (Oxidation) এবং বিজারণ (Reduction): একটু গভীরে

জারণ এবং বিজারণকে আলাদাভাবে দেখলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে:

  • জারণ (Oxidation): যখন কোনো পদার্থ ইলেকট্রন ত্যাগ করে, তখন সেটির জারণ ঘটে। জারণ হলে পদার্থের জারণ সংখ্যা বাড়ে। অক্সিজেনের সংযোগ হওয়া, হাইড্রোজেনের অপসারণ হওয়া অথবা ইলেকট্রন বর্জন করা – এগুলো সবই জারণ প্রক্রিয়ার অংশ।

  • বিজারণ (Reduction): যখন কোনো পদার্থ ইলেকট্রন গ্রহণ করে, তখন সেটির বিজারণ ঘটে। বিজারণ হলে পদার্থের জারণ সংখ্যা কমে। হাইড্রোজেনের সংযোগ হওয়া, অক্সিজেনের অপসারণ হওয়া অথবা ইলেকট্রন গ্রহণ করা – এগুলো সবই বিজারণ প্রক্রিয়ার অংশ।

মনে রাখার সহজ উপায়: OIL RIG (Oxidation Is Loss, Reduction Is Gain)। অর্থাৎ, জারণ মানে ইলেকট্রন হারানো এবং বিজারণ মানে ইলেকট্রন পাওয়া।

Read More:  (দশা পার্থক্য কাকে বলে) - সহজ ভাষায় বুঝুন!

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার উদাহরণ (Examples of Redox Reaction)

দৈনন্দিন জীবনে জারণ-বিজারণ

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া আমাদের চারপাশে সবসময় ঘটছে। এর কিছু সাধারণ উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:

  • লোহাতে মরিচা ধরা: লোহা যখন বাতাসের অক্সিজেন এবং জলের সংস্পর্শে আসে, তখন জারণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মরিচা (Iron Oxide) তৈরি হয়। এটি একটি খুব পরিচিত জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া।
  • শ্বসন (Respiration): আমরা শ্বাস নেওয়ার সময় অক্সিজেন গ্রহণ করি, যা আমাদের শরীরের গ্লুকোজের সাথে বিক্রিয়া করে শক্তি উৎপন্ন করে। এই প্রক্রিয়াতেও জারণ-বিজারণ ঘটে।
  • দহন (Combustion): কাঠ, কয়লা বা গ্যাস পোড়ানোর সময় অক্সিজেনের সাথে তাদের দ্রুত বিক্রিয়া ঘটে, যা তাপ এবং আলো উৎপন্ন করে। এটিও একটি জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া।

রাসায়নিক পরীক্ষাগারে জারণ-বিজারণ

রাসায়নিক পরীক্ষাগারেও জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার অনেক উদাহরণ দেখা যায়:

  • পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট (Potassium Permanganate) এর বিক্রিয়া: পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট একটি শক্তিশালী জারক পদার্থ। এটি বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ইলেকট্রন গ্রহণ করে এবং অন্য পদার্থকে জারিত করে।
  • জিঙ্ক (Zinc) এবং কপার সালফেট (Copper Sulfate) এর বিক্রিয়া: জিঙ্কের একটি টুকরাকে কপার সালফেট দ্রবণে ডুবালে জিঙ্ক কপারকে প্রতিস্থাপন করে এবং জিঙ্ক সালফেট তৈরি করে। এখানে জিঙ্ক জারিত হয় এবং কপার বিজারিত হয়।

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার প্রকারভেদ (Types of Redox Reaction)

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। তাদের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকারভেদ নিচে আলোচনা করা হলো:

সরাসরি সংযোগ বিক্রিয়া (Direct Combination Reaction)

এই বিক্রিয়ায় দুটি ভিন্ন মৌল সরাসরি যুক্ত হয়ে একটি নতুন যৌগ তৈরি করে। উদাহরণস্বরূপ, হাইড্রোজেন গ্যাস (H2) এবং অক্সিজেন গ্যাস (O2) এর মিশ্রণকে উত্তপ্ত করলে তারা যুক্ত হয়ে পানি (H2O) তৈরি করে।

2H2 + O2 → 2H2O

বিয়োজন বিক্রিয়া (Decomposition Reaction)

এই বিক্রিয়ায় একটি যৌগ ভেঙে একাধিক সরল পদার্থে পরিণত হয়। উদাহরণস্বরূপ, পানিকে (H2O) তড়িৎ বিশ্লেষণ করলে এটি হাইড্রোজেন (H2) এবং অক্সিজেন গ্যাসে (O2) বিভক্ত হয়ে যায়।

2H2O → 2H2 + O2

প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া (Displacement Reaction)

এই বিক্রিয়ায় একটি মৌল অন্য একটি মৌলকে তার যৌগ থেকে প্রতিস্থাপন করে। উদাহরণস্বরূপ, কপার সালফেট (CuSO4) দ্রবণে জিঙ্ক (Zn) যোগ করলে জিঙ্ক কপারকে প্রতিস্থাপন করে জিঙ্ক সালফেট (ZnSO4) তৈরি করে এবং কপার (Cu) আলাদা হয়ে যায়।

Zn + CuSO4 → ZnSO4 + Cu

ধাতু প্রতিস্থাপন (Metal Displacement)

এই ক্ষেত্রে, একটি সক্রিয় ধাতু তার চেয়ে কম সক্রিয় ধাতুকে তার লবণ দ্রবণ থেকে সরিয়ে দেয়।

অ-ধাতু প্রতিস্থাপন (Non-metal Displacement)

সাধারণত, এই বিক্রিয়াগুলোতে হ্যালোজেন (Halogen) বা হাইড্রোজেন (Hydrogen) এর মতো অধাতু অন্য অধাতুকে প্রতিস্থাপন করে।

অসমানুপাতন বিক্রিয়া (Disproportionation Reaction)

এই বিক্রিয়ায় একটি পদার্থের একই সাথে জারণ এবং বিজারণ ঘটে। অর্থাৎ, একটি উপাদান একই সাথে ইলেকট্রন গ্রহণ ও বর্জন করে। উদাহরণস্বরূপ, কপার (+1) আয়ন দ্রবণে থাকলে তা কপার (+2) আয়ন এবং ধাতব কপারের (0) তে পরিণত হয়।

2Cu+ → Cu2+ + Cu

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার কৌশল (Mechanism of Redox Reaction)

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার কৌশল বুঝতে হলে ইলেকট্রন স্থানান্তরের বিষয়টি ভালোভাবে জানতে হবে। এই প্রক্রিয়ায়, একটি পদার্থ ইলেকট্রন ত্যাগ করে (জারিত হয়) এবং অন্য পদার্থ সেই ইলেকট্রন গ্রহণ করে (বিজারিত হয়)।

1. ইলেকট্রন স্থানান্তর: জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার মূল ভিত্তি হলো ইলেকট্রনের স্থানান্তর। যে পদার্থ ইলেকট্রন ত্যাগ করে, তার জারণ ঘটে এবং যে ইলেকট্রন গ্রহণ করে, তার বিজারণ ঘটে।

2. জারণ অর্ধ-বিক্রিয়া (Oxidation Half-Reaction): এই অংশে দেখানো হয় কিভাবে একটি পদার্থ ইলেকট্রন ত্যাগ করে জারিত হচ্ছে।

Read More:  সাধু ভাষা কাকে বলে উদাহরণ দাও? জানুন এখানে!

3. বিজারণ অর্ধ-বিক্রিয়া (Reduction Half-Reaction): এই অংশে দেখানো হয় কিভাবে অন্য একটি পদার্থ ইলেকট্রন গ্রহণ করে বিজারিত হচ্ছে।

4. সমগ্র বিক্রিয়া (Overall Reaction): জারণ এবং বিজারণ অর্ধ-বিক্রিয়া দুটিকে একত্রিত করে সম্পূর্ণ জারণ-বিজারণ বিক্রিয়াটি দেখানো হয়। এই ক্ষেত্রে, ইলেকট্রন সংখ্যা সমান করতে হয়।

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া চেনার উপায় (How to Identify Redox Reaction)

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া চেনা খুব কঠিন নয়। কিছু লক্ষণ দেখে সহজেই এই বিক্রিয়া শনাক্ত করা যায়:

  • জারণ সংখ্যার পরিবর্তন: কোনো মৌলের জারণ সংখ্যা বাড়লে সেটি জারিত হয়েছে এবং জারণ সংখ্যা কমলে সেটি বিজারিত হয়েছে।
  • ইলেকট্রনের আদান-প্রদান: যদি কোনো বিক্রিয়ায় ইলেকট্রনের আদান-প্রদান ঘটে, তবে সেটি জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া।
  • অক্সিজেন বা হাইড্রোজেনের সংযোজন বা অপসারণ: কোনো পদার্থে অক্সিজেন যুক্ত হলে বা হাইড্রোজেন অপসারিত হলে সেটি জারণ এবং এর বিপরীত হলে বিজারণ।

জারণ-বিজারণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ জারক ও বিজারক পদার্থ (Important oxidizing and reducing agents)

| জারক পদার্থ (Oxidizing agents) | বিজারক পদার্থ (Reducing agents) |
|——————————|——————————–|
| অক্সিজেন (O2) | হাইড্রোজেন (H2) |
| পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট (KMnO4) | সোডিয়াম বোরোহাইড্রাইড (NaBH4) |
| হাইড্রোজেন পারক্সাইড (H2O2) | লিথিয়াম অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রাইড (LiAlH4) |
| ক্লোরিন (Cl2) | কার্বন মনোক্সাইড (CO) |

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার প্রভাব (Effects of Redox Reaction)

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার প্রভাব ব্যাপক ও বিস্তৃত। আমাদের জীবন এবং প্রকৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

পরিবেশের উপর প্রভাব

  • দূষণ: কিছু জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া পরিবেশ দূষণের কারণ হতে পারে। যেমন, জীবাশ্ম জ্বালানির দহন থেকে সৃষ্ট নাইট্রোজেন অক্সাইড (NOx) এবং সালফার ডাই অক্সাইড (SO2) অ্যাসিড বৃষ্টির জন্য দায়ী। অন্যদিকে, কিছু রেডক্স বিক্রিয়া দূষণ কমাতে সাহায্য করে, যেমন বর্জ্য জল পরিশোধন (Waste water treatment) ।
  • জলবায়ু পরিবর্তন: কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) এর মতো গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো রেডক্স বিক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয় এবং জলবায়ু পরিবর্তনে অবদান রাখে।

শিল্পক্ষেত্রে প্রভাব

  • ধাতু নিষ্কাশন: রেডক্স বিক্রিয়া ব্যবহার করে বিভিন্ন খনিজ আকরিক থেকে ধাতু নিষ্কাশন করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, আয়রন অক্সাইড থেকে লোহা নিষ্কাশন একটি বিজারণ প্রক্রিয়া।
  • রাসায়নিক উৎপাদন: অনেক রাসায়নিক শিল্পে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যৌগ তৈরি করা হয়।

চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রভাব

  • জীবাণু ধ্বংস: আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রেডক্স বিক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করে। শ্বেত রক্তকণিকা (White blood cells) জীবাণু ধ্বংস করার জন্য অক্সিজেন ব্যবহার করে, যা একটি জারণ প্রক্রিয়া।
  • ঔষধ তৈরি: অনেক ঔষধ রেডক্স বিক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি (Vitamin C) শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র‍্যাডিক্যাল (Free radicals) কে প্রশমিত করে, যা একটি বিজারণ প্রক্রিয়া।

কৃষিক্ষেত্রে প্রভাব

  • মাটির উর্বরতা: মাটিতে থাকা বিভিন্ন জৈব পদার্থ রেডক্স বিক্রিয়ার মাধ্যমে ভেঙে গিয়ে গাছের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে।
  • সার উৎপাদন: অ্যামোনিয়া (NH3) থেকে নাইট্রেট (NO3-) সার তৈরি করা হয়, যা একটি জারণ প্রক্রিয়া এবং উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।

জারণ-বিজারণ বিষয়ক কিছু দরকারি টিপস (Some useful tips for Redox Reaction)

  • জারণ সংখ্যা মনে রাখা: জারণ সংখ্যা মনে রাখলে কোনো পদার্থ জারিত হচ্ছে না বিজারিত হচ্ছে, তা সহজেই বোঝা যায়।
  • অর্ধ-বিক্রিয়া লেখা: জারণ এবং বিজারণ অর্ধ-বিক্রিয়া আলাদাভাবে লিখলে বিক্রিয়া বোঝা সহজ হয়।
  • অনুশীলন করা: যত বেশি উদাহরণ অনুশীলন করবেন, জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া তত সহজে বুঝতে পারবেন।

সাধারণ জিজ্ঞাসা (Frequently Asked Questions – FAQs)

এখানে জারণ-বিজারণ নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:

Read More:  নেটওয়ার্ক কাকে বলে? জানুন + সুবিধা!

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া কিভাবে ঘটে?

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া ইলেকট্রন স্থানান্তরের মাধ্যমে ঘটে। একটি পদার্থ ইলেকট্রন ত্যাগ করে (জারিত হয়) এবং অন্যটি গ্রহণ করে (বিজারিত হয়)।

জারক পদার্থ কি?

জারক পদার্থ হলো সেই পদার্থ, যা অন্য পদার্থ থেকে ইলেকট্রন গ্রহণ করে এবং নিজে বিজারিত হয়। যেমন – অক্সিজেন, পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট ইত্যাদি।

বিজারক পদার্থ কি?

বিজারক পদার্থ হলো সেই পদার্থ, যা অন্য পদার্থকে ইলেকট্রন দান করে এবং নিজে জারিত হয়। যেমন – হাইড্রোজেন, কার্বন মনোক্সাইড ইত্যাদি।

জারণ এবং বিজারণ একই সাথে ঘটে কেন?

জারণ এবং বিজারণ একই সাথে ঘটে, কারণ ইলেকট্রন একা থাকতে পারে না। যখন একটি পদার্থ ইলেকট্রন ত্যাগ করে, তখন অন্য একটি পদার্থকে সেই ইলেকট্রন গ্রহণ করতে হয়।

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার গুরুত্ব কী?

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খাদ্য উৎপাদন, শক্তি উৎপাদন, শিল্প, চিকিৎসা, পরিবেশ – সব ক্ষেত্রেই এই বিক্রিয়ার প্রভাব বিদ্যমান।

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া চেনার সহজ উপায় কি?

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া চেনার সহজ উপায় হলো জারণ সংখ্যার পরিবর্তন লক্ষ্য করা। যদি কোনো মৌলের জারণ সংখ্যা বাড়ে, তবে সেটি জারিত হয়েছে এবং কমলে বিজারিত হয়েছে।

“জারক বিজারককে জারিত করে, নিজে বিজারিত হয়” – ব্যাখ্যা করুন।

এর মানে হলো, জারক পদার্থ অন্য একটি বিজারক পদার্থের সংস্পর্শে এলে, জারক নিজে ইলেকট্রন গ্রহণ করে বিজারিত হয় এবং বিজারককে ইলেকট্রন ত্যাগ করতে বাধ্য করে জারিত করে।

প্রাত্যহিক জীবনে জারণ বিজারণের ব্যবহারিক প্রয়োগগুলো কী কী?

প্রাত্যহিক জীবনে জারণ বিজারণের কিছু ব্যবহারিক প্রয়োগ হলো:

ADVERTISEMENT
  • খাদ্য হজম: আমাদের শরীরে খাদ্য হজম একটি জারণ বিজারণ প্রক্রিয়া।
  • ব্যাটারি: ব্যাটারিতে রাসায়নিক শক্তিকে বিদ্যুতে রূপান্তরিত করা হয়, যেখানে জারণ বিজারণ বিক্রিয়া ঘটে।
  • ছবি তোলা: পুরোনো দিনের ফটোগ্রাফিতে, আলোক সংবেদনশীল রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হতো, যা জারণ বিজারণের মাধ্যমে ছবি তৈরি করত।

জারণ-বিজারনের উদাহরণস্বরূপ “পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট” এর ভূমিকা কী?

পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট (KMnO4) একটি শক্তিশালী জারক পদার্থ। এটি সাধারণত পরীক্ষাগারে এবং শিল্পক্ষেত্রে জারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হলো:

  • রাসায়নিক বিশ্লেষণ: বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য জারক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
  • জীবাণুনাশক: এটি জীবাণুনাশক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি জীবাণুর কোষের উপাদানকে জারিত করে ধ্বংস করে।
  • জৈব রসায়ন: জৈব রসায়নে বিভিন্ন জৈব যৌগকে জারিত করতে এটি ব্যবহৃত হয়।

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারকারী কারণগুলো কী কী?

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার গতি এবং প্রকৃতি বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে:

  • তাপমাত্রা: তাপমাত্রা বাড়ালে সাধারণত বিক্রিয়ার গতি বাড়ে, কারণ অণুগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের হার বৃদ্ধি পায়।
  • ঘনত্ব: বিক্রিয়কের ঘনত্ব বাড়ালে বিক্রিয়ার হার বাড়ে, কারণ বেশি সংখ্যক অণু বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য উপলব্ধ থাকে।
  • অনুঘটক (Catalyst): অনুঘটক ব্যবহার করলে বিক্রিয়ার গতি অনেক বেড়ে যায়, কারণ এটি বিক্রিয়ার জন্য বিকল্প পথ তৈরি করে, যার সক্রিয়ণ শক্তি (Activation energy) কম।
  • pH: কিছু রেডক্স বিক্রিয়া pH দ্বারা প্রভাবিত হয়, বিশেষ করে জলীয় দ্রবণে। অ্যাসিডিক বা ক্ষারীয় পরিবেশ বিক্রিয়ার গতি পরিবর্তন করতে পারে।
  • আলো: কিছু রেডক্স বিক্রিয়া আলো দ্বারা শুরু বা ত্বরান্বিত হতে পারে, যেমন ফটোগ্রাফিক ফিল্মের ডেভেলপমেন্ট।

জারণ-বিজারণের তুলনামূলক আলোচনা – রাসায়নিক এবং জৈবিক প্রক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্যগুলো কী?

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া রাসায়নিক এবং জৈবিক উভয় প্রক্রিয়াতেই ঘটে, তবে তাদের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে:

  • রাসায়নিক প্রক্রিয়া:

    • সাধারণত উচ্চ তাপমাত্রা এবং চাপের প্রয়োজন হয়।
    • অনুঘটক (Catalyst) হিসেবে অজৈব পদার্থ ব্যবহৃত হয়।
    • দ্রুত গতিতে ঘটে।
  • জৈবিক প্রক্রিয়া:

    • সাধারণত শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা এবং চাপে ঘটে।
    • অনুঘটক হিসেবে এনজাইম (Enzyme) ব্যবহৃত হয়।
    • ধীর গতিতে ঘটে এবং নিয়ন্ত্রিত উপায়ে সম্পন্ন হয়।

রেডক্স টাইট্রেশন (Redox Titration) কী এবং এর ব্যবহারগুলো কী কী-

রেডক্স টাইট্রেশন (Redox Titration) হলো একটি পরিমাণগত বিশ্লেষণ পদ্ধতি, যা জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই পদ্ধতিতে, একটি জানা ঘনত্বের জারক বা বিজারক দ্রবণ ব্যবহার করে একটি অজানা দ্রবণের ঘনমাত্রা নির্ণয় করা হয়।

  • রাসায়নিক বিশ্লেষণ: কোনো দ্রবণে কোনো নির্দিষ্ট উপাদানের পরিমাণ নির্ণয় করতে এটি ব্যবহৃত হয়।
  • শিল্পক্ষেত্রে: বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে, যেমন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ঔষধ শিল্প এবং পরিবেশ সুরক্ষায় এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
  • গবেষণা: বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ার গবেষণা এবং উন্নয়নে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

শেষ কথা (Conclusion)

জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া রসায়নের একটি মৌলিক ধারণা, যা আমাদের চারপাশের জগৎকে বুঝতে সাহায্য করে। দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে শিল্প এবং প্রযুক্তি পর্যন্ত, এই বিক্রিয়ার প্রয়োগ সর্বত্র। আশা করি, আজকের আলোচনা থেকে আপনি জারণ-বিজারণ সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন। রসায়নের এই মজার খেলাটি ভালোভাবে বুঝতে পারলে, আপনিও হয়ে উঠতে পারেন একজন রসায়ন expert!

যদি আপনার মনে জারণ-বিজারণ নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর যদি এই ব্লগ পোস্টটি ভালো লেগে থাকে, তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না!

Previous Post

ঘাত কাকে বলে গণিত? সংজ্ঞা, প্রকারভেদ ও উদাহরণ

Next Post

(দাবানল কাকে বলে) ? কারণ ও প্রতিরোধের উপায় জানুন!

Mushfiqur Rahman

Mushfiqur Rahman

I am Mushfiqur Rahman Swopnil, owner of Bongo Tuner and an experienced SEO and Digital Marketing professional with a deep understanding of affiliate marketing and link building. Running my own marketing agency, I offer strategic digital solutions to boost brand visibility and drive tangible results. My extensive experience covers all aspects of online marketing, helping businesses achieve their growth objectives through data-driven SEO and effective link-building strategies.

Next Post
(দাবানল কাকে বলে) ? কারণ ও প্রতিরোধের উপায় জানুন!

(দাবানল কাকে বলে) ? কারণ ও প্রতিরোধের উপায় জানুন!

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন
Education

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন

by Mushfiqur Rahman
May 5, 2025
0

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য মনে করুন, পরীক্ষার আগের রাতে আপনি সব পড়ে শেষ করেছেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে...

Read more
মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

May 5, 2025
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

May 5, 2025
ADVERTISEMENT
Bongo Tuner

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Navigate Site

  • Home
  • About Us
  • Privacy Policy
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy

Follow Us

No Result
View All Result
  • About Us
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy
  • Privacy Policy

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Table of Contents

×
  • জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া কী? (What is Redox Reaction?)
    • জারণ (Oxidation) এবং বিজারণ (Reduction): একটু গভীরে
  • জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার উদাহরণ (Examples of Redox Reaction)
    • দৈনন্দিন জীবনে জারণ-বিজারণ
    • রাসায়নিক পরীক্ষাগারে জারণ-বিজারণ
  • জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার প্রকারভেদ (Types of Redox Reaction)
    • সরাসরি সংযোগ বিক্রিয়া (Direct Combination Reaction)
    • বিয়োজন বিক্রিয়া (Decomposition Reaction)
    • প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া (Displacement Reaction)
      • ধাতু প্রতিস্থাপন (Metal Displacement)
      • অ-ধাতু প্রতিস্থাপন (Non-metal Displacement)
    • অসমানুপাতন বিক্রিয়া (Disproportionation Reaction)
  • জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার কৌশল (Mechanism of Redox Reaction)
  • জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া চেনার উপায় (How to Identify Redox Reaction)
  • জারণ-বিজারণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ জারক ও বিজারক পদার্থ (Important oxidizing and reducing agents)
  • জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার প্রভাব (Effects of Redox Reaction)
    • পরিবেশের উপর প্রভাব
    • শিল্পক্ষেত্রে প্রভাব
    • চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রভাব
    • কৃষিক্ষেত্রে প্রভাব
  • জারণ-বিজারণ বিষয়ক কিছু দরকারি টিপস (Some useful tips for Redox Reaction)
  • সাধারণ জিজ্ঞাসা (Frequently Asked Questions – FAQs)
    • জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া কিভাবে ঘটে?
    • জারক পদার্থ কি?
    • বিজারক পদার্থ কি?
    • জারণ এবং বিজারণ একই সাথে ঘটে কেন?
    • জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার গুরুত্ব কী?
    • জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া চেনার সহজ উপায় কি?
    • “জারক বিজারককে জারিত করে, নিজে বিজারিত হয়” – ব্যাখ্যা করুন।
    • প্রাত্যহিক জীবনে জারণ বিজারণের ব্যবহারিক প্রয়োগগুলো কী কী?
    • জারণ-বিজারনের উদাহরণস্বরূপ “পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট” এর ভূমিকা কী?
    • জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারকারী কারণগুলো কী কী?
    • জারণ-বিজারণের তুলনামূলক আলোচনা – রাসায়নিক এবং জৈবিক প্রক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্যগুলো কী?
    • রেডক্স টাইট্রেশন (Redox Titration) কী এবং এর ব্যবহারগুলো কী কী-
  • শেষ কথা (Conclusion)
← সূচিপত্র দেখুন