Bongo Tuner
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
Bongo Tuner
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT

ওয়ার্ড কাকে বলে? প্রকারভেদ ও ব্যবহার জানুন!

Mushfiqur Rahman by Mushfiqur Rahman
February 24, 2025
in Education
0
ওয়ার্ড কাকে বলে? প্রকারভেদ ও ব্যবহার জানুন!

ওয়ার্ড কাকে বলে? প্রকারভেদ ও ব্যবহার জানুন!

0
SHARES
0
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter
ADVERTISEMENT
Get Latest Updates

ওয়ার্ড কাকে বলে? শব্দ নিয়ে হাজারো প্রশ্নের উত্তর!

আচ্ছা, কখনো কি মনে হয়েছে, কথা বলার সময় আমরা কত সহজে শব্দ ব্যবহার করি? কিন্তু এই “শব্দ” জিনিসটা আসলে কী? ছোটবেলায় ব্যাকরণের ক্লাসে নিশ্চয়ই পড়েছেন, কিন্তু এখন হয়তো সবটা মনে নেই। চিন্তা নেই, আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা ওয়ার্ড বা শব্দ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। সহজ ভাষায়, মজার উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দেব, যাতে “ওয়ার্ড কাকে বলে” – এই প্রশ্নটা আর কেউ করলে আপনি চট করে উত্তর দিতে পারেন!

Table of Contents

Toggle
  • ওয়ার্ড বা শব্দ: একদম বেসিক থেকে শুরু
    • শব্দের প্রকারভেদ: কত রকমের শব্দ হয়?
    • শব্দ কিভাবে তৈরি হয়?
    • বাংলা ভাষায় শব্দের ভান্ডার: এত শব্দ এলো কোথা থেকে?
    • শব্দ এবং বাক্য: এদের সম্পর্ক কী?
  • শব্দ নিয়ে কিছু মজার তথ্য
  • ওয়ার্ড বা শব্দ নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন (FAQ)
      • ১. শব্দ কাকে বলে উদাহরণ সহ বুঝিয়ে বলুন।
      • ২. বাংলা ভাষায় শব্দের প্রকারভেদ আলোচনা করো।
      • ৩. মৌলিক শব্দ কাকে বলে? কয়েকটি মৌলিক শব্দের উদাহরণ দিন।
      • ৪. সাধিত শব্দ কিভাবে গঠিত হয়?
      • ৫. শব্দ এবং পদের মধ্যে পার্থক্য কী?
      • ৬. বাংলা ভাষায় বিদেশি শব্দ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা কী?
      • ৭. যোগরূঢ় শব্দ এবং রূঢ়ি শব্দের মধ্যে পার্থক্য কী?
      • ৮. শব্দ ভাণ্ডার বলতে কী বোঝায়?
      • ৯. ক্রিয়া শব্দ কাকে বলে? উদাহরণ দিন।
      • ১০. বিশেষ্য শব্দ কাকে বলে? উদাহরণ দিন।
  • শেষ কথা: শব্দই শক্তি!

ওয়ার্ড বা শব্দ: একদম বেসিক থেকে শুরু

“ওয়ার্ড” বা শব্দ হলো কিছু বর্ণের সমষ্টি, যা একটি অর্থ প্রকাশ করে। মানে, কয়েকটি অক্ষর পাশাপাশি বসে যদি মনের ভাব বোঝাতে পারে, তাহলেই সেটা শব্দ। যেমন: “আমি”, “তুমি”, “ভাত”, “যাই” – এগুলো সবই এক একটা শব্দ।

শব্দের প্রকারভেদ: কত রকমের শব্দ হয়?

বাংলা ব্যাকরণে শব্দকে নানাভাবে ভাগ করা যায়। অর্থের বিচারে, উৎসের বিচারে, গঠনের বিচারে – এরকম বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে শব্দের প্রকারভেদ করা হয়। চলুন, কয়েকটা പ്രധാന ভাগ দেখে নেওয়া যাক:

  • উৎপত্তি বা উৎস অনুসারে শব্দ:

    • তৎসম শব্দ: যে শব্দগুলো সরাসরি সংস্কৃত ভাষা থেকে বাংলায় এসেছে এবং অবিকৃতভাবে ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে তৎসম শব্দ বলে। যেমন: সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্র, ভবন, পাত্র।
    • তদ্ভব শব্দ: যে শব্দগুলো সংস্কৃত ভাষা থেকে পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় এসেছে, সেগুলোকে তদ্ভব শব্দ বলে। যেমন: হাত (হস্ত থেকে), চাঁদ (চন্দ্র থেকে), কান (কর্ণ থেকে)।
    • দেশী শব্দ: বাংলাদেশের আদিবাসীদের ভাষা বা স্থানীয় ভাষা থেকে যে শব্দগুলো বাংলা ভাষায় এসেছে, সেগুলোকে দেশী শব্দ বলে। যেমন: কুড়ি, পেট, চোঙ্গা, টপর।
    • বিদেশী শব্দ: বিভিন্ন বিদেশী ভাষা থেকে যে শব্দগুলো বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে, সেগুলোকে বিদেশী শব্দ বলে। যেমন: টেবিল, চেয়ার, স্কুল, কলেজ (ইংরেজি), আলমারি, কামান, কুলি (তুর্কি), চিনি, চা (চীনা), আনারস, আলপিন (পর্তুগিজ), আল্লাহ, ইসলাম (আরবি), ফারসি (দোকান, শহর)।
  • গঠন অনুসারে শব্দ:

    • মৌলিক শব্দ: যে শব্দগুলোকে ভাঙা যায় না, বা বিশ্লেষণ করা যায় না, সেগুলোকে মৌলিক শব্দ বলে। যেমন: মা, বাবা, বই, কলম, জল।
    • সাধিত শব্দ: যে শব্দগুলো অন্য শব্দ বা শব্দাংশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তৈরি হয়, সেগুলোকে সাধিত শব্দ বলে। যেমন: চলন্ত (চল + অন্ত), গরমিল (বে + গরমিল)।
  • অর্থের বিচারে শব্দ:

*   **যৌগিক শব্দ:** যে শব্দগুলোর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ একই, সেগুলোকে যৌগিক শব্দ বলে। যেমন: গায়ক (গাই+অক্)।
*   **রূঢ়ি শব্দ:** যে শব্দগুলোর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ আলাদা, সেগুলোকে রূঢ়ি শব্দ বলে। যেমন: বাঁশি (বাঁশ দিয়ে তৈরি)।
*   **যোগরূঢ় শব্দ:** যে শব্দগুলো একাধিক শব্দের মিলনে তৈরি হয় এবং একটি বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে, সেগুলোকে যোগরূঢ় শব্দ বলে। যেমন: পঙ্কজ (পঙ্কে জন্মায় যা - পদ্ম)।

শব্দ কিভাবে তৈরি হয়?

শব্দ তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়াটা বেশ মজার। কয়েকটি বর্ণ (অক্ষর) পাশাপাশি বসে যখন একটি অর্থ তৈরি করে, তখনই সেটা শব্দ হয়ে যায়। এই বর্ণগুলো হতে পারে স্বরবর্ণ (অ, আ, ই, ঈ) অথবা ব্যঞ্জনবর্ণ (ক, খ, গ, ঘ)।

Read More:  দায় কাকে বলে? জানুন আইনি খুঁটিনাটি

উদাহরণস্বরূপ:

  • ক + ল + ম = কলম (লেখার উপকরণ)
  • ব + ই = বই (পড়ার জন্য)
  • আ + ম = আম (একটি ফল)

বাংলা ভাষায় শব্দের ভান্ডার: এত শব্দ এলো কোথা থেকে?

বাংলা ভাষার শব্দভান্ডার বেশ সমৃদ্ধ। এখানে বিভিন্ন ভাষা থেকে শব্দ এসে মিশেছে। এর কারণ হলো, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাতি ও সংস্কৃতির মানুষ এই অঞ্চলে এসেছে, ব্যবসা করেছে, শাসন করেছে। তাদের ভাষার প্রভাব বাংলা ভাষায় পড়েছে। তাই বাংলা শব্দভান্ডারে আপনি পাবেন:

  • সংস্কৃত শব্দ
  • ফার্সি শব্দ
  • আরবি শব্দ
  • ইংরেজি শব্দ
  • পর্তুগিজ শব্দ
  • তুর্কি শব্দ
  • এবং আরও অনেক ভাষার শব্দ

শব্দ এবং বাক্য: এদের সম্পর্ক কী?

শব্দগুলো যখন একটি নির্দিষ্ট নিয়মে সাজানো হয় এবং একটি সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করে, তখন সেটা বাক্য হয়ে যায়। অর্থাৎ, বাক্য তৈরি করতে শব্দের প্রয়োজন।

উদাহরণ:

  • আমি ভাত খাই। (এখানে “আমি”, “ভাত”, “খাই” – এই তিনটি শব্দ মিলে একটি বাক্য তৈরি হয়েছে।)
  • সে স্কুলে যায়। (এখানে “সে”, “স্কুলে”, “যায়” – এই তিনটি শব্দ মিলে একটি বাক্য তৈরি হয়েছে।)

শব্দ নিয়ে কিছু মজার তথ্য

  • বাংলা ভাষায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত শব্দ কোনটি জানেন? যদিও এর সঠিক উত্তর দেওয়া কঠিন, তবে সাধারণভাবে “এবং” শব্দটা অনেক বেশি ব্যবহৃত হয়।
  • “অ” দিয়ে শুরু হওয়া অনেক শব্দই বাংলা ভাষায় প্রচলিত। যেমন: আকাশ, আলো, আশা, আনন্দ।
  • কিছু শব্দ আছে, যেগুলো দেখতে এবং শুনতে একই রকম, কিন্তু তাদের অর্থ আলাদা। এদেরকে সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ বলে। যেমন: জল (পানি) আর জ্বল (আগুনের শিখা)।

ওয়ার্ড বা শব্দ নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন (FAQ)

এখানে ওয়ার্ড বা শব্দ নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন এবং তার উত্তর দেওয়া হলো:

১. শব্দ কাকে বলে উদাহরণ সহ বুঝিয়ে বলুন।

কয়েকটি বর্ণ বা অক্ষর মিলিত হয়ে যখন কোনো অর্থ প্রকাশ করে, তখন তাকে শব্দ বলে। যেমন: “মা”, “বাবা”, “ভাই”, “বোন”, “নদী”, “আকাশ”, “পাখি” ইত্যাদি। প্রতিটি শব্দই কোনো না কোনো অর্থ বহন করে।

২. বাংলা ভাষায় শব্দের প্রকারভেদ আলোচনা করো।

বাংলা ভাষায় শব্দকে প্রধানত পাঁচটি ভাগে ভাগ করা যায়:

  • তৎসম শব্দ: যেমন – চন্দ্র, সূর্য, नक्षत्र।
  • তদ্ভব শব্দ: যেমন – চাঁদ, হাত, কান।
  • দেশী শব্দ: যেমন – কুড়ি, পেট, চোঙ্গা।
  • বিদেশী শব্দ: যেমন – টেবিল, চেয়ার, আলমারি।
  • মিশ্র শব্দ: যেমন – হেড মৌলভী (headmaster + মৌলভী)।

৩. মৌলিক শব্দ কাকে বলে? কয়েকটি মৌলিক শব্দের উদাহরণ দিন।

যে শব্দগুলোকে ভাঙা বা বিশ্লেষণ করা যায় না, সেগুলোকে মৌলিক শব্দ বলে। এই শব্দগুলো নিজে থেকেই গঠিত হয় এবং এদের কোনো উৎস বা মূল শব্দ থাকে না।

কয়েকটি মৌলিক শব্দের উদাহরণ:

ADVERTISEMENT
  • মা
  • বাবা
  • ভাই
  • বোন
  • জল
  • মাটি
  • আলো
  • বাতাস
  • ফুল
  • ফল

এই শব্দগুলো অবিভাজ্য এবং এদেরকে বিশ্লেষণ করে আলাদা কোনো অর্থপূর্ণ অংশে ভাগ করা যায় না।

Read More:  মুক্তিবেগ কাকে বলে? সহজ ভাষায় বুঝুন!

৪. সাধিত শব্দ কিভাবে গঠিত হয়?

সাধিত শব্দ গঠিত হয় যখন কোনো মৌলিক শব্দ বা শব্দের অংশের সাথে উপসর্গ, অনুসর্গ, প্রত্যয় ইত্যাদি যুক্ত হয়ে নতুন একটি শব্দ তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়াটিকে শব্দ গঠন বলা হয়। সাধিত শব্দগুলো সাধারণত মৌলিক শব্দের চেয়ে জটিল এবং ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে।

সাধিত শব্দ গঠনের কয়েকটি উপায়:

  • উপসর্গ যোগে: প্র + হার = প্রহার (এখানে “প্র” একটি উপসর্গ)
  • প্রত্যয় যোগে: চল + অন্ত = চলন্ত (এখানে “অন্ত” একটি প্রত্যয়)
  • সমাস যোগে: বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয় (এখানে “বিদ্যা” এবং “আলয়” দুটি শব্দ মিলিত হয়েছে)
  • ধাতুর সাথে প্রত্যয় যোগে: √পঠ + অক = পাঠক (এখানে “√পঠ” ধাতু এবং “অক” প্রত্যয়)

৫. শব্দ এবং পদের মধ্যে পার্থক্য কী?

শব্দ এবং পদের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো তাদের ব্যবহার এবং অবস্থানে।

  • শব্দ: শব্দ হলো কতগুলো বর্ণ বা ধ্বনির সমষ্টি যা একটি নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে। শব্দ একটি ভাষার মৌলিক উপাদান। এটি বাক্যে ব্যবহৃত হওয়ার আগে পর্যন্ত একটি সাধারণ শব্দ হিসেবেই থাকে।

  • পদ: যখন একটি শব্দ বিভক্তি যুক্ত হয়ে বাক্যে ব্যবহৃত হওয়ার যোগ্য হয়, তখন তাকে পদ বলে। বিভক্তি যুক্ত হওয়ার পরে একটি শব্দ বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া ইত্যাদি রূপে কাজ করতে পারে। পদ ছাড়া কোনো বাক্য গঠিত হতে পারে না।

উদাহরণ:

  • শব্দ: বই
  • পদ: বইটা (এখানে “টা” বিভক্তি যুক্ত হয়েছে)
  • বাক্য: আমি বইটি পড়ছি।

সংক্ষেপে, শব্দ হলো একটি অর্থবোধক ধ্বনি বা বর্ণ সমষ্টি, যা বাক্যে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত। আর পদ হলো সেই শব্দ যা বিভক্তি যুক্ত হয়ে বাক্যে ব্যবহৃত হয় এবং বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে।

৬. বাংলা ভাষায় বিদেশি শব্দ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা কী?

বাংলা ভাষায় বিদেশি শব্দ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা অনেক। নিচে কয়েকটি প্রধান কারণ উল্লেখ করা হলো:

  • ভাষার সমৃদ্ধি: বিদেশি শব্দ বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে। বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ভাষার শব্দ যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে ভাষার প্রকাশ ক্ষমতা বাড়ে।
  • যোগাযোগের সুবিধা: অনেক বিদেশি শব্দ আছে যেগুলোর বাংলা প্রতিশব্দ নেই অথবা ব্যবহার কঠিন। যেমন: telephone, internet, computer ইত্যাদি শব্দগুলো সরাসরি ব্যবহার করা সহজ এবং বোধগম্য।
  • আধুনিকতা: আধুনিক যুগে নতুন নতুন ধারণা ও প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য বিদেশি শব্দ ব্যবহার অপরিহার্য। এই শব্দগুলো দ্রুত এবং সহজে নতুন আইডিয়া প্রকাশ করতে সাহায্য করে।
  • সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান: বিদেশি শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কৃতি একে অপরের সাথে পরিচিত হয় এবং ভাষার মাধ্যমে সংস্কৃতির আদান-প্রদান ঘটে।
  • পেশাগত প্রয়োজন: বিভিন্ন পেশায়, যেমন বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, বাণিজ্য, ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিদেশি শব্দের ব্যবহার প্রায় অনিবার্য। এই শব্দগুলো কাজের পরিধি বাড়াতে এবং যোগাযোগ সহজ করতে সাহায্য করে।

৭. যোগরূঢ় শব্দ এবং রূঢ়ি শব্দের মধ্যে পার্থক্য কী?

যোগরূঢ় শব্দ এবং রূঢ়ি শব্দের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো তাদের গঠন এবং অর্থের উৎপত্তির প্রক্রিয়া।

  • যোগরূঢ় শব্দ: যোগরূঢ় শব্দ একাধিক শব্দ বা পদের সমন্বয়ে গঠিত হয়, কিন্তু এর অর্থ সরাসরি সেই শব্দগুলোর অর্থের সাথে সম্পর্কিত নয়। এই শব্দগুলো একটি নতুন, বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে।

    • গঠন: একাধিক শব্দ বা পদের মিলন।
    • অর্থ: নতুন এবং বিশেষ অর্থ।
    • উদাহরণ: পঙ্কজ (পঙ্কে জন্ম যা) = পদ্ম ফুল। এখানে “পঙ্ক” (কাদা) এবং “জ” (জন্ম) শব্দ দুটি মিলে “পঙ্কজ” শব্দটি তৈরি হয়েছে, যার অর্থ পদ্ম ফুল।
  • রূঢ়ি শব্দ: রূঢ়ি শব্দ প্রত্যয় বা উপসর্গ যোগে গঠিত হয় এবং এর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ পরিবর্তিত হয়ে একটি নির্দিষ্ট অর্থে ব্যবহৃত হয়। এই শব্দগুলোর মূল অর্থের সাথে বর্তমানে প্রচলিত অর্থের সরাসরি মিল থাকে না।

    • গঠন: প্রত্যয় বা উপসর্গ যোগে গঠিত।
    • অর্থ: পরিবর্তিত এবং নির্দিষ্ট অর্থ।
    • উদাহরণ: বাঁশি (বাঁশ দিয়ে তৈরি) = একটি বাদ্যযন্ত্র। “বাঁশি” শব্দটি “বাঁশ” থেকে এলেও বর্তমানে এটি একটি বিশেষ বাদ্যযন্ত্রকে বোঝায়, যা বাঁশ বা অন্য কোনো উপাদান দিয়ে তৈরি হতে পারে।
Read More:  বাংলা ব্যাকরণ কাকে বলে ও কত প্রকার? জানুন!

সংক্ষেপে, যোগরূঢ় শব্দ একাধিক শব্দের সমন্বয়ে গঠিত হয়ে একটি বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে, যেখানে রূঢ়ি শব্দ প্রত্যয় বা উপসর্গ যোগে গঠিত হয়ে তার মূল অর্থ থেকে সরে এসে একটি নতুন অর্থ ধারণ করে।

৮. শব্দ ভাণ্ডার বলতে কী বোঝায়?

শব্দ ভাণ্ডার বলতে কোনো ভাষা বা ব্যক্তির নিজস্ব শব্দ সংগ্রহকে বোঝায়। একটি ভাষার শব্দ ভাণ্ডারে সেই ভাষায় ব্যবহৃত সমস্ত শব্দ অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা কালের বিবর্তনে তৈরি হয়েছে এবং ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শব্দ ভাণ্ডার একটি ভাষার সম্পদ এবং এটি সেই ভাষার ব্যবহারকারীদের জ্ঞান, সংস্কৃতি এবং অভিজ্ঞতার প্রতিফলন ঘটায়।

শব্দ ভাণ্ডারের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শব্দ থাকতে পারে, যেমন:

  • মৌলিক শব্দ: যে শব্দগুলো ভাঙা যায় না (যেমন: মা, বাবা, জল)।
  • সাধিত শব্দ: উপসর্গ, প্রত্যয় বা সমাস যোগে গঠিত শব্দ (যেমন: চলন্ত, প্রহার, বিদ্যালয়)।
  • তৎসম শব্দ: সংস্কৃত থেকে আসা শব্দ (যেমন: চন্দ্র, সূর্য)।
  • তদ্ভব শব্দ: সংস্কৃত থেকে পরিবর্তিত হয়ে আসা শব্দ (যেমন: চাঁদ, হাত)।
  • দেশী শব্দ: স্থানীয় উৎস থেকে আসা শব্দ (যেমন: কুড়ি, পেট)।
  • বিদেশী শব্দ: অন্য ভাষা থেকে আসা শব্দ (যেমন: টেবিল, চেয়ার)।

একটি সমৃদ্ধ শব্দ ভাণ্ডার একটি ভাষাকে আরও বেশি প্রকাশক্ষম এবং কার্যকর করে তোলে।

৯. ক্রিয়া শব্দ কাকে বলে? উদাহরণ দিন।

ক্রিয়া শব্দ হলো সেই শব্দ যা কোনো কাজ করা, হওয়া, বা ঘটা বোঝায়। এটি বাক্যের একটি অপরিহার্য অংশ, যা কর্তা (subject) কী করছে বা কী ঘটছে তা নির্দেশ করে। ক্রিয়া শব্দ ছাড়া কোনো বাক্য সম্পূর্ণ হতে পারে না।

ক্রিয়া শব্দের উদাহরণ:

  • করা: আমি কাজটি করি। (I do the work.)
  • খাওয়া: সে ভাত খায়। (He eats rice.)
  • যাওয়া: তারা বাজারে যায়। (They go to the market.)
  • দেখা: আমরা সিনেমা দেখি। (We watch a movie.)
  • হওয়া: আজ বৃষ্টি হবে। (It will rain today.)
  • পড়া: সে বই পড়ে। (He reads a book.)
  • লেখা: আমি চিঠি লিখি। (I write a letter.)
  • আঁকা: সে ছবি আঁকে। (He draws pictures.)
  • গাওয়া: পাখি গান গায়। (The bird sings songs.)
  • নাচা: মেয়েরা নাচে। (The girls dance.)

এই উদাহরণগুলোতে “করি”, “খায়”, “যায়”, “দেখি”, “হবে”, “পড়ে”, “লিখি”, “আঁকে”, “গায়”, “নাচে” শব্দগুলো ক্রিয়া, যা কোনো কাজ বা ঘটনা নির্দেশ করছে।

১০. বিশেষ্য শব্দ কাকে বলে? উদাহরণ দিন।

বিশেষ্য শব্দ হলো সেই শব্দ যা কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, জাতি, গুণ, অবস্থা বা কাজের নাম বোঝায়। বিশেষ্য শব্দ বাক্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা কোনো কিছুর পরিচয় বা ধারণা দেয়।

বিশেষ্য শব্দের উদাহরণ:

  • ব্যক্তি:
    • নাম: রিতা, করিম, শিক্ষক, ডাক্তার
    • উদাহরণ: রিতা একটি ভালো মেয়ে। (Rita is a good girl.)
  • বস্তু:
    • নাম: বই, কলম, টেবিল, চেয়ার
    • উদাহরণ: টেবিলটি কাঠের তৈরি। (The table is made of wood.)
  • স্থান:
    • নাম: ঢাকা, লন্ডন, বিদ্যালয়, মাঠ
    • উদাহরণ: ঢাকা একটি বড় শহর। (Dhaka is a big city.)
  • জাতি:
    • নাম: মানুষ, পাখি, গরু, মাছ
    • উদাহরণ: মানুষ সামাজিক জীব। (Man is a social being.)
  • গুণ:
    • নাম: দয়া, সাহস, সততা, বুদ্ধি
    • উদাহরণ: সততা একটি মহৎ গুণ। (Honesty is a great virtue.)
  • অবস্থা:
    • নাম: শৈশব, তারুণ্য, বার্ধক্য, সুখ, দুঃখ
    • উদাহরণ: শৈশব খুব মধুর সময়। (Childhood is a very sweet time.)
  • কাজ:
    • নাম: পড়া, লেখা, খেলা, গান
    • উদাহরণ: পড়া একটি ভালো অভ্যাস। (Reading is a good habit.)

এই উদাহরণগুলোতে “রিতা”, “টেবিল”, “ঢাকা”, “মানুষ”, “সততা”, “শৈশব”, “পড়া” শব্দগুলো বিশেষ্য, যা কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, জাতি, গুণ, অবস্থা বা কাজের নাম বোঝাচ্ছে।

শেষ কথা: শব্দই শক্তি!

তাহলে, “ওয়ার্ড কাকে বলে” – আশা করি এতক্ষণে আপনি ভালো করে বুঝে গেছেন। শব্দ শুধু কতগুলো অক্ষরের সমষ্টি নয়, এটা আমাদের মনের ভাব প্রকাশের প্রধান মাধ্যম। তাই শব্দকে ভালোবাসুন, শব্দের সঠিক ব্যবহার করুন, আর নিজের ভাবনাগুলোকে সুন্দর করে প্রকাশ করুন। দেখবেন, আপনার কথা বলার ভঙ্গি বদলে গেছে!

Previous Post

(adjectives কাকে বলে) সহজ ভাষায়! প্রকারভেদ ও উদাহরণ

Next Post

(পূর্ণজা কাকে বলে) ও এর ব্যবহার | জানুন বিস্তারিত

Mushfiqur Rahman

Mushfiqur Rahman

I am Mushfiqur Rahman Swopnil, owner of Bongo Tuner and an experienced SEO and Digital Marketing professional with a deep understanding of affiliate marketing and link building. Running my own marketing agency, I offer strategic digital solutions to boost brand visibility and drive tangible results. My extensive experience covers all aspects of online marketing, helping businesses achieve their growth objectives through data-driven SEO and effective link-building strategies.

Next Post
(পূর্ণজা কাকে বলে) ও এর ব্যবহার | জানুন বিস্তারিত

(পূর্ণজা কাকে বলে) ও এর ব্যবহার | জানুন বিস্তারিত

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন
Education

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন

by Mushfiqur Rahman
May 5, 2025
0

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য মনে করুন, পরীক্ষার আগের রাতে আপনি সব পড়ে শেষ করেছেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে...

Read more
মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

May 5, 2025
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

May 5, 2025
ADVERTISEMENT
Bongo Tuner

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Navigate Site

  • Home
  • About Us
  • Privacy Policy
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy

Follow Us

No Result
View All Result
  • About Us
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy
  • Privacy Policy

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Table of Contents

×
  • ওয়ার্ড বা শব্দ: একদম বেসিক থেকে শুরু
    • শব্দের প্রকারভেদ: কত রকমের শব্দ হয়?
    • শব্দ কিভাবে তৈরি হয়?
    • বাংলা ভাষায় শব্দের ভান্ডার: এত শব্দ এলো কোথা থেকে?
    • শব্দ এবং বাক্য: এদের সম্পর্ক কী?
  • শব্দ নিয়ে কিছু মজার তথ্য
  • ওয়ার্ড বা শব্দ নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন (FAQ)
      • ১. শব্দ কাকে বলে উদাহরণ সহ বুঝিয়ে বলুন।
      • ২. বাংলা ভাষায় শব্দের প্রকারভেদ আলোচনা করো।
      • ৩. মৌলিক শব্দ কাকে বলে? কয়েকটি মৌলিক শব্দের উদাহরণ দিন।
      • ৪. সাধিত শব্দ কিভাবে গঠিত হয়?
      • ৫. শব্দ এবং পদের মধ্যে পার্থক্য কী?
      • ৬. বাংলা ভাষায় বিদেশি শব্দ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা কী?
      • ৭. যোগরূঢ় শব্দ এবং রূঢ়ি শব্দের মধ্যে পার্থক্য কী?
      • ৮. শব্দ ভাণ্ডার বলতে কী বোঝায়?
      • ৯. ক্রিয়া শব্দ কাকে বলে? উদাহরণ দিন।
      • ১০. বিশেষ্য শব্দ কাকে বলে? উদাহরণ দিন।
  • শেষ কথা: শব্দই শক্তি!
← সূচিপত্র দেখুন