শ্রমজীবী: কারা তারা, কেমন তাদের জীবন?
আচ্ছা, কখনো কি ভেবেছেন, এই যে আমরা প্রতিদিন এতকিছু ব্যবহার করছি, খাচ্ছি, পরছি – এগুলো কারা তৈরি করছেন? কারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্থনীতির চাকা সচল রাখছেন? এদেরকেই বলা হয় শ্রমজীবী। চলুন, আজ আমরা শ্রমজীবী কারা, তাদের জীবনযাপন কেমন, এবং তাদের অধিকারগুলো কী কী, সেসব নিয়ে একটু খোলামেলা আলোচনা করি।
শ্রমজীবী বলতে কী বোঝায়?
সহজ ভাষায়, যারা শারীরিক ও মানসিক শ্রম দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন, তারাই শ্রমজীবী। একজন কৃষক, একজন নির্মাণ শ্রমিক, একজন পোশাক শ্রমিক, একজন রিকশাচালক, একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী – এরা সবাই শ্রমজীবী। তারা তাদের শ্রমের মাধ্যমে উৎপাদন এবং সেবামূলক কাজে অবদান রাখেন।
শ্রমজীবীর সংজ্ঞা আরও একটু গভীরে
শ্রমজীবী শব্দটা শুনলেই হয়তো আমাদের চোখের সামনে কিছু নির্দিষ্ট পেশার ছবি ভেসে ওঠে। তবে এর সংজ্ঞাটা কিন্তু বেশ বিস্তৃত। যেকোনো ব্যক্তি, যিনি নিজের শারীরিক বা মানসিক পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেন এবং জীবন ধারণ করেন, তিনিই শ্রমজীবী। এখানে কয়েকটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষণীয়:
- শারীরিক ও মানসিক শ্রম: শ্রমজীবী হতে হলে শারীরিক বা মানসিক, অথবা উভয় ধরনের শ্রম দিতে হতে পারে। একজন কায়িক শ্রমিক যেমন শারীরিক শ্রম দেন, তেমনই একজন প্রোগ্রামার বা শিক্ষক মানসিক শ্রম দিয়ে থাকেন।
- জীবিকা নির্বাহ: শ্রমের বিনিময়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে নিজের এবং পরিবারের ভরণপোষণ করতে হয়।
- উৎপাদন ও সেবা: শ্রমজীবীরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উৎপাদন এবং সেবামূলক কাজে জড়িত থাকেন।
শ্রমজীবীদের প্রকারভেদ (Types of Workers)
শ্রমজীবীদের বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। কাজের ধরন, দক্ষতার স্তর, এবং কর্মক্ষেত্রের ওপর ভিত্তি করে এই বিভাজন করা হয়। নিচে কয়েকটি প্রধান প্রকার উল্লেখ করা হলো:
- শারীরিক শ্রমজীবী: এরা মূলত কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। যেমন – নির্মাণ শ্রমিক, কৃষক, রিকশাচালক, দিনমজুর, ইত্যাদি।
- মানসিক শ্রমজীবী: এরা বুদ্ধিবৃত্তিক কাজের মাধ্যমে উপার্জন করেন। যেমন – শিক্ষক, প্রোগ্রামার, ডাক্তার, প্রকৌশলী, হিসাবরক্ষক, সাংবাদিক, ইত্যাদি।
- দক্ষ শ্রমজীবী: এদের কোনো বিশেষ কাজে দক্ষতা থাকে। যেমন – ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, মেকানিক, দর্জি, ইত্যাদি।
- অদক্ষ শ্রমজীবী: এদের কোনো বিশেষ দক্ষতা থাকে না। সাধারণত এরা শারীরিক শ্রমের মাধ্যমে কাজ করেন। যেমন – পরিচ্ছন্নতাকর্মী, কুলি, হেল্পার, ইত্যাদি।
- ** formal শ্রমজীবী:** যারা নিয়মিত বেতন ও সুযোগ-সুবিধা সহ একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।
- Informal শ্রমজীবী: যাদের চাকরির সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপত্তা কম থাকে।
বিভিন্ন প্রকার শ্রমজীবীদের তালিকা
শ্রেণি | উদাহরণ |
---|---|
শারীরিক শ্রমজীবী | নির্মাণ শ্রমিক, কৃষক, রিকশাচালক, দিনমজুর, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, কুলি |
মানসিক শ্রমজীবী | শিক্ষক, প্রোগ্রামার, ডাক্তার, প্রকৌশলী, হিসাবরক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী |
দক্ষ শ্রমজীবী | ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, মেকানিক, দর্জি, কাঠমিস্ত্রি, ওয়েল্ডার |
অদক্ষ শ্রমজীবী | হেল্পার, নিরাপত্তা প্রহরী, মালী, বয় |
Formal শ্রমজীবী | ব্যাংক কর্মকর্তা, সরকারি চাকরিজীবী, কর্পোরেট কর্মচারী |
Informal শ্রমজীবী | রাস্তার হকার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, মৌসুমী কৃষি শ্রমিক, গৃহকর্মী |
শ্রমজীবীদের জীবনযাত্রা: একটি কঠিন বাস্তবতা
শ্রমজীবীদের জীবনযাত্রা সাধারণত খুব একটা সহজ হয় না। তাদের নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিন কাটাতে হয়।
- দারিদ্র্য: অধিকাংশ শ্রমজীবী দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন। তাদের আয় খুব কম হওয়ায় মৌলিক চাহিদা পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক সময় তারা মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হন।
- অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ: শ্রমজীবীদের কাজের কোনো নিশ্চয়তা থাকে না। বিশেষ করে যারা দিনমজুর বা অস্থায়ী শ্রমিক, তাদের প্রতিদিন কাজ খুঁজে বের করতে হয়। কাজ না পেলে তাদের পরিবার নিয়ে কষ্টের মধ্যে দিন কাটাতে হয়।
- স্বাস্থ্য সমস্যা: শারীরিক পরিশ্রম বেশি হওয়ায় এবং পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার না পাওয়ার কারণে শ্রমজীবীরা নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন। এছাড়া, অনেক কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ না থাকায় দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকে।
- সামাজিক বৈষম্য: সমাজে শ্রমজীবীদের প্রায়ই অবজ্ঞা করা হয়। তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ তাদের জন্য সীমিত থাকে। ফলস্বরূপ, তারা সামাজিক উন্নয়নের মূল স্রোতধারা থেকে পিছিয়ে থাকেন।
- বাসস্থানের অভাব: বিশেষ করে শহরাঞ্চলে, অনেক শ্রমজীবী মানবেতর পরিবেশে বসবাস করেন। বস্তি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করার কারণে তারা নানা রোগে আক্রান্ত হন।
শ্রমজীবী নারীদের বিশেষ সমস্যা
নারী শ্রমজীবীদের পরিস্থিতি আরও কঠিন। পুরুষদের তুলনায় তারা কম মজুরি পান। এছাড়া, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও শিশু পরিচর্যার সুবিধা খুব কম কর্মক্ষেত্রেই পাওয়া যায়। কর্মস্থলে যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার ঝুঁকিও তাদের বেশি।
শ্রমিক অধিকার: যা জানা দরকার
শ্রমজীবী হিসেবে আপনার কিছু আইনগত অধিকার রয়েছে। এই অধিকারগুলো সম্পর্কে জানা আপনার জন্য খুবই জরুরি।
- ন্যায্য মজুরি: প্রত্যেক শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি পাওয়ার অধিকার আছে। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি অবশ্যই দিতে হবে।
- নিরাপদ কর্মপরিবেশ: কর্মক্ষেত্রকে নিরাপদ রাখা মালিকের দায়িত্ব। ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে শ্রমিকদের সুরক্ষা দিতে হবে।
- স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা: অসুস্থ বা আহত হলে চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার শ্রমিকের রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
- কাজের সময়: দৈনিক কাজের সময় ৮ ঘণ্টার বেশি হওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত কাজের জন্য অতিরিক্ত মজুরি দিতে হবে।
- ছুটি: প্রত্যেক শ্রমিককে সাপ্তাহিক ছুটি, উৎসব ছুটি এবং নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
- সংগঠন করার অধিকার: শ্রমিকরা নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে পারেন।
- মাতৃত্বকালীন সুবিধা: নারী শ্রমিকরা মাতৃত্বকালীন ছুটি ও অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার অধিকারী।
- বৈষম্যহীনতা: জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, বা অন্য কোনো কারণে কোনো শ্রমিকের সাথে বৈষম্য করা যাবে না।
- ক্ষতিপূরণ: কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটলে বা অসুস্থ হলে শ্রমিক ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী।
শ্রমজীবী মানুষের অধিকার রক্ষায় আইন
বাংলাদেশ সরকার শ্রমজীবী মানুষের অধিকার রক্ষায় বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছে। এই আইনগুলোর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হলো:
- বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬: এই আইনটি শ্রমিকদের চাকরির শর্তাবলী, মজুরি, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, কল্যাণ এবং ট্রেড ইউনিয়ন সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করে।
- ন্যূনতম মজুরি আইন, ২০১৩: এই আইনের মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়।
- কর্মপরিবেশ আইন, ২০১৩: এই আইন কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত করে।
- শিশু শ্রম নিরসন আইন, ২০১৩: ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশু শ্রমিক নিয়োগ নিষিদ্ধ করে এই আইন।
- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০: এই আইন নারী শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে ট্রেড ইউনিয়নের ভূমিকা
ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ট্রেড ইউনিয়ন হলো শ্রমিকদের সম্মিলিত সংগঠন, যা তাদের স্বার্থ রক্ষা ও কল্যাণের জন্য কাজ করে। ট্রেড ইউনিয়ন নিম্নলিখিত কাজগুলো করে থাকে:
- মালিকপক্ষের সাথে আলোচনা করে শ্রমিকদের জন্য ন্যায্য মজুরি ও সুযোগ-সুবিধা আদায় করা।
- শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখার জন্য চাপ সৃষ্টি করা।
- শ্রমিকদের আইনগত অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা এবং অধিকার রক্ষায় সহায়তা করা।
- শ্রমিকদের যেকোনো সমস্যায় পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করা।
- শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করা।
শ্রমজীবীদের উন্নয়নে আমাদের করণীয়
শ্রমজীবী মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে আমাদের সকলের কিছু না কিছু করার আছে।
- সচেতনতা সৃষ্টি: শ্রমজীবীদের অধিকার সম্পর্কে সমাজে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তাদের প্রতি সম্মান ও সহানুভূতি তৈরি করতে হবে।
- শিক্ষা: শ্রমজীবী শিশুদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। তাদের জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে তারা ভবিষ্যতে ভালো কাজ করতে পারে।
- স্বাস্থ্যসেবা: শ্রমজীবীদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনতে হবে।
- আশ্রয়: শ্রমজীবীদের জন্য স্বল্পমূল্যে বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
- কর্মসংস্থান সৃষ্টি: নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে, যাতে বেকার শ্রমজীবীরা কাজ খুঁজে নিতে পারেন।
- সামাজিক নিরাপত্তা: বয়স্ক ও অক্ষম শ্রমজীবীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ব্যবস্থা করতে হবে।
শ্রমজীবী দিবসের তাৎপর্য
প্রতি বছর ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী দিবস পালিত হয়। এই দিনটি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রতীক। ১৮৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকেরা দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সেই আন্দোলনের স্মরণে এই দিনটি পালিত হয়। শ্রমজীবী দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, শ্রমজীবী মানুষের অবদান ছাড়া কোনো সমাজ বা দেশ উন্নতি করতে পারে না।
শ্রমজীবী দিবসের উদ্দেশ্য
শ্রমজীবী দিবস পালনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো:
- শ্রমিকদের অধিকার ও দাবি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।
- শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ উন্নত করার জন্য উৎসাহিত করা।
- শ্রমিকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মর্যাদা বৃদ্ধি করা।
- শ্রমিকদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি গড়ে তোলা।
- শ্রমিক আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করা।
শ্রমজীবী দিবস উদযাপন
শ্রমজীবী দিবস সারা বিশ্বে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়। এই দিনে শ্রমিক সংগঠনগুলো র্যালি, শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। এছাড়া, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শ্রমিক মেলা অনুষ্ঠিত হয়। অনেক দেশে এই দিনে সরকারি ছুটি থাকে।
শ্রমজীবী শ্রেণী: কিছু প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)
এখানে কিছু অতি প্রয়োজনীয় প্রশ্ন এবং তাদের উত্তর দেওয়া হলো:
-
শ্রমজীবী কারা?
উত্তর: যারা শারীরিক ও মানসিক শ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন, তারাই শ্রমজীবী।
-
শ্রমিক ও শ্রমজীবীর মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: শ্রমিক শব্দটি সাধারণত কায়িকশ্রম প্রদানকারীদের বোঝায়, অন্যদিকে শ্রমজীবী শব্দটি আরও ব্যাপক। এখানে কায়িক ও মানসিক উভয় প্রকার শ্রম প্রদানকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
-
শ্রমজীবী নারীদের সমস্যাগুলো কী কী?
উত্তর: কম মজুরি, মাতৃত্বকালীন সুবিধার অভাব, কর্মস্থলে যৌন হয়রানির ঝুঁকি ইত্যাদি।
-
শ্রমিক অধিকারগুলো কী কী?
উত্তর: ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, ছুটি, সংগঠন করার অধিকার, ইত্যাদি।
-
শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সরকারের ভূমিকা কী?
উত্তর: সরকার শ্রম আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে, ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করে এবং কর্মপরিবেশ নিরাপদ রাখার চেষ্টা করে।
-
Unskilled worker কারা?
উত্তর: যাদের কোনো বিশেষ কাজের জন্য প্রশিক্ষণ বা দক্ষতা নেই, তারাই মূলত অদক্ষ শ্রমিক। যেমন: ক্লিনার, হেল্পার ইত্যাদি।
-
শ্রম আইন কি?
উত্তর: শ্রম আইন হলো শ্রমিকদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য প্রণীত বিধিবিধান।
-
শ্রম আদালতের কাজ কি?
উত্তর: শ্রম আদালত শ্রমিক ও মালিকপক্ষের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করে এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের বিচার করে।
উপসংহার
শ্রমজীবী মানুষ আমাদের সমাজের মেরুদণ্ড। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আমাদের জীবনযাত্রা সহজ ও সুন্দর হয়। তাদের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আসুন, আমরা সবাই মিলে শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়াই এবং একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি। আপনি কি একজন শ্রমিকের পাশে দাড়াতে প্রস্তুত?