বৃষ্টি! কারো জন্য আশীর্বাদ, কারো জন্য অভিশাপ। কল্পনা করুন তো, তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছেন, এক পশলা বৃষ্টির জন্য মনটা ব্যাকুল হয়ে আছে। আবার ভাবুন, টানা বৃষ্টিতে চারপাশ ডুবে গেছে, ঘর থেকে বের হওয়া দায়! এই যে বৃষ্টির তারতম্য, এটাই কিন্তু অতিবৃষ্টি আর অনাবৃষ্টির মূল কথা। ভাবছেন, “অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি কাকে বলে” – এই নিয়েই আজকের আলোচনা। চলুন, সহজ ভাষায় জেনে নিই এই দুটি বিষয় সম্পর্কে।
অতিবৃষ্টি কি? (What is Excessive Rainfall?)
অতিবৃষ্টি মানে হলো স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বৃষ্টি হওয়া। যখন কোনো অঞ্চলে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়, তখন তাকে অতিবৃষ্টি বলা হয়। এই অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বন্যা, ভূমিধস, এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিতে পারে। অতিবৃষ্টির ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে, ফসলের ক্ষতি হয় এবং অর্থনৈতিক অবস্থাও দুর্বল হয়ে যায়।
অতিবৃষ্টির কারণ (Causes of Excessive Rainfall)
অতিবৃষ্টির পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। কয়েকটি প্রধান কারণ আলোচনা করা হলো:
-
জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে। এতে করে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে, যা বেশি বৃষ্টিপাতের কারণ হতে পারে।
-
এল নিনো ও লা ন নিনা: এই দুটি সামুদ্রিক ঘটনাও বৃষ্টির ওপর প্রভাব ফেলে। এল নিনোর সময় প্রশান্ত মহাসাগরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, যা বিভিন্ন অঞ্চলে অতিবৃষ্টির কারণ হতে পারে। অন্যদিকে, লা নিনার প্রভাবে কোনো কোনো অঞ্চলে খরা দেখা দেয়।
-
ভূ-প্রাকৃতিক কারণ: কোনো অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতিও সেখানকার বৃষ্টিপাতের ওপর প্রভাব ফেলে। পাহাড়ী অঞ্চলে মেঘ আটকে গিয়ে বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- গাছপালা কমে যাওয়া: গাছপালা কমে গেলে মাটি পানি ধরে রাখতে পারে না, ফলে অল্প বৃষ্টিতেই বন্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
অতিবৃষ্টির প্রভাব (Effects of Excessive Rainfall)
অতিবৃষ্টির কারণে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। তার মধ্যে কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হলো:
-
বন্যা: অতিবৃষ্টির প্রধান ও অন্যতম ক্ষতিকর প্রভাব হলো বন্যা। নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
-
ভূমিধস: পাহাড়ী অঞ্চলে অতিবৃষ্টির কারণে ভূমিধস হতে পারে। মাটি নরম হয়ে গেলে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ক্ষতি করে।
-
ফসলের ক্ষতি: অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কৃষিজমি ডুবে গিয়ে ফসল নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে ধান ও অন্যান্য শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
-
রোগব্যাধি: বন্যার কারণে পানিবাহিত রোগ যেমন ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড ইত্যাদি ছড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়া ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের প্রকোপও বাড়ে।
-
যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়া: রাস্তাঘাট ডুবে গেলে বা ভেঙে গেলে এক এলাকার সাথে অন্য এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ ব্যাহত হয়।
অনাবৃষ্টি কি? (What is Drought?)
এবার আসা যাক অনাবৃষ্টির কথায়। অনাবৃষ্টি হলো স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হওয়া। যখন কোনো অঞ্চলে দীর্ঘ দিন ধরে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয় না, তখন সেখানে খরা বা অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। এর ফলে মাটি শুকিয়ে যায়, জলের অভাব দেখা দেয় এবং পরিবেশের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে।
অনাবৃষ্টির কারণ (Causes of Drought)
অনাবৃষ্টিরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ আলোচনা করা হলো:
-
বৃষ্টিপাতের অভাব: প্রধান কারণ হলো পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়া। কোনো অঞ্চলে যদি দীর্ঘ সময় ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হয়, তাহলে সেখানে খরা দেখা দেয়।
-
জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তিত হয়ে যায়। কোনো অঞ্চলে হয়তো বৃষ্টি কমে যায়, আবার কোনো অঞ্চলে বেড়ে যায়।
-
বনভূমি ধ্বংস: গাছপালা কমে গেলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়। গাছপালা বাতাস থেকে জলীয় বাষ্প টেনে এনে বৃষ্টিপাত ঘটাতে সাহায্য করে।
- অপরিকল্পিত জল ব্যবস্থাপনা: অতিরিক্ত জল ব্যবহারের কারণে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নিচে নেমে যায়। এর ফলে কুয়া ও অন্যান্য জলের উৎস শুকিয়ে যায়, যা খরা পরিস্থিতি তৈরি করে।
অনাবৃষ্টির প্রভাব (Effects of Drought)
অনাবৃষ্টির কারণে অনেক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায়। কয়েকটি প্রধান প্রভাব নিচে উল্লেখ করা হলো:
-
কৃষি উৎপাদন হ্রাস: জলের অভাবে ফসল ফলাতে অসুবিধা হয়, যার ফলে খাদ্য উৎপাদন কমে যায়। কৃষকরা চরম ক্ষতির শিকার হন।
-
পানির সংকট: জলের অভাবে মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ে। খাবার জল ও ব্যবহারের জলের অভাব দেখা দেয়।
-
পরিবেশের ক্ষতি: খরা পরিস্থিতি গাছের ক্ষতি করে এবং বন্যপ্রাণীদের জীবন বিপন্ন করে তোলে। মাটি শুকিয়ে যাওয়ায় ধুলোঝড় বেড়ে যায়, যা পরিবেশ দূষিত করে।
-
অর্থনৈতিক সংকট: কৃষি উৎপাদন কমে গেলে অর্থনীতিতে এর খারাপ প্রভাব পড়ে। খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে যায় এবং মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়।
-
স্বাস্থ্য সমস্যা: জলের অভাবে স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। ডিহাইড্রেশন, হিট স্ট্রোকের মতো সমস্যাগুলো দেখা যেতে পারে।
অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টির মধ্যে পার্থক্য (Difference Between Excessive Rainfall and Drought)
অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি দুটোই বিপরীতমুখী ঘটনা। একটিতে অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়, অন্যটিতে বৃষ্টির অভাব থাকে। নিচে একটি ছকের মাধ্যমে এই দুটি ঘটনার মধ্যেকার পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো:
বৈশিষ্ট্য | অতিবৃষ্টি (Excessive Rainfall) | অনাবৃষ্টি (Drought) |
---|---|---|
সংজ্ঞা | স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হওয়া | স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হওয়া |
প্রধান সমস্যা | বন্যা, ভূমিধস | জলের অভাব, খরা |
প্রভাব | ফসলের ক্ষতি, রোগব্যাধি, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন | কৃষি উৎপাদন হ্রাস, পরিবেশের ক্ষতি, অর্থনৈতিক সংকট |
কারণ | জলবায়ু পরিবর্তন, এল নিনো | বৃষ্টিপাতের অভাব, বনভূমি ধ্বংস |
সমাধান | বাঁধ নির্মাণ, জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করা | জল সংরক্ষণ, বৃষ্টির জল ধরে রাখা |
অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টির মোকাবিলা (Strategies to Combat Excessive Rainfall and Drought)
তাহলে বুঝতেই পারছেন, অতিবৃষ্টি আর অনাবৃষ্টি দুটোই আমাদের জন্য কত বড় সমস্যা। কিন্তু এই সমস্যাগুলো থেকে বাঁচতে আমাদের কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। আসুন, জেনে নিই কী কী করা যেতে পারে:
অতিবৃষ্টি মোকাবিলায় করণীয় (Measures to Combat Excessive Rainfall):
-
বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার: নদীর ধারে শক্তিশালী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে, যাতে বন্যার জল লোকালয়ে প্রবেশ করতে না পারে। পুরনো বাঁধগুলো নিয়মিত মেরামত করতে হবে।
-
নদী খনন: নদী খনন করে নদীর গভীরতা বাড়াতে হবে, যাতে অতিরিক্ত জল সহজে প্রবাহিত হতে পারে।
-
জলাধার তৈরি: বৃষ্টির জল ধরে রাখার জন্য জলাধার তৈরি করতে হবে। এই জল পরে ব্যবহার করা যাবে।
-
সঠিক জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা: শহরের জল দ্রুত সরানোর জন্য ভালো নিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে জল জমে না যায়।
-
পূর্বাভাস ব্যবস্থা উন্নত করা: আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস যেন আরো নির্ভুল হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। তাহলে আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া সহজ হবে।
অনাবৃষ্টি মোকাবিলায় করণীয় (Measures to Combat Drought):
-
বৃষ্টির জল সংরক্ষণ: বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে পরে ব্যবহার করতে হবে। বাড়ির ছাদে বা উঠানে ট্যাঙ্ক বসিয়ে জল ধরে রাখা যেতে পারে।
-
ভূগর্ভস্থ জল রিচার্জ: বৃষ্টির জল ভূগর্ভে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে জলের স্তর আবার বেড়ে যায়।
-
কম জল লাগে এমন ফসল চাষ: এমন ফসল চাষ করতে হবে, যাতে কম জল লাগে। যেমন – ভুট্টা, জোয়ার, বাজরা ইত্যাদি।
-
জল সাশ্রয়ী সেচ পদ্ধতি: জমিতে জল দেওয়ার জন্য ফোয়ারা বা ড্রিপ ইরিগেশন (Drip Irrigation) ব্যবহার করতে হবে। এতে জলের অপচয় কম হবে।
-
বনসৃজন: বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। গাছপালা বৃষ্টিপাত বাড়াতে সাহায্য করে এবং মাটিকে রক্ষা করে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং আমাদের ভূমিকা (Impact of Climate Change and Our Role)
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টির প্রকোপ বাড়ছে। তাই আমাদের পরিবেশের সুরক্ষায় মনোযোগ দিতে হবে। কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে, গাছ লাগাতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন করতে হবে। মনে রাখবেন, আমাদের ছোট ছোট পদক্ষেপই ভবিষ্যতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
কিছু বাস্তব উদাহরণ (Case Studies)
- ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যা: ২০১৭ সালে বাংলাদেশে অতিবৃষ্টির কারণে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। উত্তরবঙ্গের অনেক জেলা প্লাবিত হয়েছিল, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল এবং বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছিল।
- ২০১৯ সালের খরা: ২০১৯ সালে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে ভয়াবহ খরা দেখা দিয়েছিল। জলের অভাবে কৃষিকাজ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং বহু মানুষকে অন্য জায়গায় চলে যেতে হয়েছিল।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন (Frequently Asked Questions – FAQs)
এখানে অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:
-
অতিবৃষ্টি কেন হয়?
জলবায়ু পরিবর্তন, এল নিনো, লা নিনা, এবং ভূ-প্রাকৃতিক কারণে অতিবৃষ্টি হতে পারে। -
অনাবৃষ্টির প্রধান কারণ কী?
বৃষ্টিপাতের অভাব, বনভূমি ধ্বংস, এবং অপরিকল্পিত জল ব্যবস্থাপনা অনাবৃষ্টির প্রধান কারণ। -
অতিবৃষ্টি হলে কী কী ক্ষতি হতে পারে?
অতিবৃষ্টির কারণে বন্যা, ভূমিধস, ফসলের ক্ষতি, এবং রোগব্যাধি দেখা দিতে পারে।
-
অনাবৃষ্টির ফলে কী সমস্যা হয়?
অনাবৃষ্টির কারণে কৃষি উৎপাদন কমে যায়, পানির সংকট দেখা দেয়, এবং পরিবেশের ক্ষতি হয়। -
অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টির মোকাবিলায় আমরা কী করতে পারি?
বাঁধ নির্মাণ, নদী খনন, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ, এবং জল সাশ্রয়ী সেচ পদ্ধতির মাধ্যমে এই সমস্যা মোকাবিলা করা যায়। -
বৃষ্টি পরিমাপ করার একক কি?
বৃষ্টি সাধারণত মিলিমিটার (mm) এককে পরিমাপ করা হয়। একটি রেইন গেজ ব্যবহার করে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাপা হয়।
-
বৃষ্টি না হওয়ার কারণ কি?
বৃষ্টি না হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে, যেমন বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের অভাব, মেঘ তৈরি হওয়ার মতো অনুকূল পরিবেশের অভাব, অথবা কোনো অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থান। -
বৃষ্টির প্রকারভেদ কি কি?
বৃষ্টি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন পরিচলন বৃষ্টি (Convectional rain), শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি (Orographic rain), এবং ঘূর্ণাবর্ত বৃষ্টি (Cyclonic rain)। -
বৃষ্টির জল সংরক্ষণে কিভাবে সাহায্য করে?
বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে আমরা আমাদের জলের চাহিদা পূরণ করতে পারি, ভূগর্ভস্থ জলের স্তর বাড়াতে পারি এবং খরার সময় ব্যবহারের জন্য জল সঞ্চয় করতে পারি।
-
বৃষ্টির গুরুত্ব কি?
বৃষ্টি আমাদের জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের খাদ্য উৎপাদন, পানীয় জলের সরবরাহ এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। বৃষ্টি ছাড়া আমাদের জীবন ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।অতিরিক্ত কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর (Additional Questions and Answers)
-
বৃষ্টি কম হলে কি সমস্যা হয়?
বৃষ্টি কম হলে খরা হতে পারে, যা কৃষি, পরিবেশ এবং অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। -
বৃষ্টির আরেক নাম কি?
বৃষ্টির অনেক নাম আছে, যেমন বর্ষা, বারি, নীর, জল, পয়ঃ ইত্যাদি।
-
বৃষ্টির উপাদান কি?
বৃষ্টির প্রধান উপাদান হল জল। এছাড়াও, বৃষ্টির জলে সামান্য পরিমাণে অ্যাসিড ও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান থাকতে পারে। -
বৃষ্টির দেবতা কে?
হিন্দুধর্মে বৃষ্টির দেবতার নাম ইন্দ্র। -
কোথায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়?
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে।
-
বৃষ্টির পূর্বাভাস কিভাবে দেওয়া হয়?
বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য আবহাওয়াবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন মডেল, স্যাটেলাইট ডেটা, এবং রাডার ব্যবহার করেন। -
বৃষ্টির গান কবিতা অথবা গল্প কোথায় পাব?
বৃষ্টি নিয়ে অসংখ্য গান, কবিতা এবং গল্প বিভিন্ন সাহিত্য মাধ্যমে পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম থেকে শুরু করে আধুনিক অনেক কবি-সাহিত্যিক বৃষ্টির রূপ ও প্রভাব নিয়ে লিখেছেন। -
বৃষ্টির উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি?
বৃষ্টির উপকারিতা হল এটি আমাদের জলের চাহিদা মেটায়, ফসল উৎপাদনে সাহায্য করে, এবং পরিবেশকে সতেজ রাখে। অপকারিতা হল অতিবৃষ্টির কারণে বন্যা ও ভূমিধস হতে পারে, যা জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি করে।
-
বৃষ্টির প্রকারভেদ কিভাবে হয়?
বৃষ্টির প্রকারভেদ নির্ভর করে মেঘের গঠন, তাপমাত্রা এবং বায়ুমণ্ডলের পরিস্থিতির ওপর। -
বৃষ্টির দিনে কি কি করা যায়?
বৃষ্টির দিনে ঘরে বসে বই পড়া, গান শোনা, মুভি দেখা, অথবা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও, বৃষ্টির দিনে গরম চা অথবা কফি উপভোগ করাটাও দারুণ একটা অভিজ্ঞতা।
শেষ কথা (Conclusion)
তাহলে, “অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি কাকে বলে” – আশা করি এই বিষয়ে আপনারা ভালো করে জানতে পারলেন। অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি দুটোই প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আমাদের জীবনে এর অনেক খারাপ প্রভাব আছে। তাই, এই সমস্যাগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং এগুলো মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব।
আসুন, আমরা সবাই মিলে পরিবেশের যত্ন নিই, গাছ লাগাই এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করি। আপনার মতামত বা কোনো প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এই লেখাটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।