আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আজকে আমরা বাংলা ব্যাকরণের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করব – ক্রিয়া বা action verb। ভাবছেন, “action verb কাকে বলে” – এটা আবার নতুন কি? আসলে, ক্রিয়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এতটাই জড়িয়ে আছে যে, আমরা অনেক সময় এর গুরুত্বটা সেভাবে উপলব্ধি করি না।
তাহলে চলুন, দেরি না করে আজকের আলোচনা শুরু করা যাক। একদম সহজ ভাষায়, মজার কিছু উদাহরণের মাধ্যমে আমরা ক্রিয়া সম্পর্কে সবকিছু জেনে নেব।
ক্রিয়া (Action Verb) কাকে বলে?
ক্রিয়া মানে কাজ। যে শব্দ বা পদ দিয়ে কোনো কাজ করা বোঝায়, তাকে ক্রিয়া (action verb) বলে। আরও সহজ করে বললে, কোনো sentence-এ যদি কিছু করা বা হওয়া বোঝায় তাহলে সেটাই ক্রিয়া।
যেমন:
- আমি ভাত খাই। (এখানে ‘খাই’ একটি কাজ, তাই এটি ক্রিয়া।)
- পাখি আকাশে ওড়ে। (এখানে ‘ওড়ে’ একটি কাজ, তাই এটি ক্রিয়া।)
- ছেলেটি গান গাইছে। (এখানে ‘গাইছে’ একটি কাজ, তাই এটি ক্রিয়া।)
ক্রিয়া ছাড়া কোনো বাক্য সম্পূর্ণ হতে পারে না। ক্রিয়া বাক্যের প্রাণ।
ক্রিয়ার প্রকারভেদ
ক্রিয়াকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। চলুন, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকারভেদ দেখে নেই:
গঠন অনুসারে ক্রিয়া
গঠন অনুসারে ক্রিয়া দুই প্রকার:
-
মৌলিক ক্রিয়া বা সিদ্ধ ক্রিয়া: যে ক্রিয়াকে ভাঙা যায় না, তাকে মৌলিক ক্রিয়া বলে। এগুলো সাধারণত একটি মাত্র শব্দ দিয়ে গঠিত হয়।
যেমন: খা, যা, দেখ, শো, কর, ইত্যাদি।
- আমি যাব।
- তুমি কি খাচ্ছ?
- সে দেখছে।
-
যৌগিক ক্রিয়া: যখন দুই বা ততোধিক ধাতু (verb root) মিলিত হয়ে একটি ক্রিয়া গঠন করে, তখন তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে।
যেমন: যা + করা = যা করা, দেখিতে + লাগ = দেখিতে লাগা, বলতে + থাক = বলতে থাকা, ইত্যাদি।
- তাকে যেতে হবে /হয়েছিল ।
- বৃষ্টি আসতে শুরু করলো ।
- রোগীটি হাঁটতে শুরু করলো ।
কর্মের ভিত্তিতে ক্রিয়া
কর্মের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি অনুসারে ক্রিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়:
-
সকর্মক ক্রিয়া: যে ক্রিয়ার কর্ম (object) থাকে, তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে। এক্ষেত্রে, ক্রিয়াকে “কি” বা “কাকে” দিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায়।
যেমন:
- আমি বই পড়ি। (কী পড়ি? – বই। সুতরাং, এটি সকর্মক ক্রিয়া।)
- বাবা আমাকে একটি কলম কিনে দিয়েছেন। (কাকে দিয়েছেন? – আমাকে। কী দিয়েছেন? – কলম। সুতরাং, এটি সকর্মক ক্রিয়া।)
নিচের টেবিলে কয়েকটি সকর্মক ক্রিয়ার উদাহরণ দেওয়া হলো:
বাক্য ক্রিয়া কর্ম আমি ভাত খাই। খাই ভাত সে গান গায়। গায় গান তারা ফুটবল খেলছে। খেলছে ফুটবল -
অকর্মক ক্রিয়া: যে ক্রিয়ার কর্ম থাকে না, তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে। এক্ষেত্রে, ক্রিয়াকে “কী” বা “কাকে” দিয়ে প্রশ্ন করলে কোনো উত্তর পাওয়া যায় না।
যেমন:
- পাখি ওড়ে। (কী ওড়ে? – উত্তর নেই। সুতরাং, এটি অকর্মক ক্রিয়া।)
- ছেলেটি হাসে। (কী হাসে? – উত্তর নেই। সুতরাং, এটি অকর্মক ক্রিয়া।)
নিচের টেবিলে কয়েকটি অকর্মক ক্রিয়ার উদাহরণ দেওয়া হলো:
বাক্য ক্রিয়া কর্ম আমি ঘুমাই। ঘুমাই নেই সে দৌড়ায়। দৌড়ায় নেই বৃষ্টি পড়ছে । পড়ছে নেই -
দ্বিকর্মক ক্রিয়া:
যে ক্রিয়ার দুটি কর্ম থাকে তাকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া বলে। এদের মধ্যে একটি মুখ্য কর্ম এবং অন্যটি গৌণ কর্ম। মুখ্য কর্মটি সাধারণত বস্তুবাচক এবং গৌণ কর্মটি ব্যক্তিবাচক হয়।
যেমন: বাবা আমাকে একটি কলম কিনে দিয়েছেন।
এখানে ‘কলম’ হল মুখ্য কর্ম এবং ‘আমাকে’ হল গৌণ কর্ম।
ভাব প্রকাশের দিক থেকে ক্রিয়া
ভাব প্রকাশের দিক থেকে ক্রিয়া দুই প্রকার:
-
সমাপিকা ক্রিয়া: যে ক্রিয়া দ্বারা বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে। অর্থাৎ, এই ক্রিয়াটি বাক্য শেষ করতে সাহায্য করে।
যেমন:
- আমি বাড়ি যাই। (এখানে ‘যাই’ ক্রিয়াটি বাক্যটিকে সম্পূর্ণ করছে।)
- সে গান গাইছে। (এখানে ‘গাইছে’ ক্রিয়াটি বাক্যটিকে সম্পূর্ণ করছে।)
-
অসমাপিকা ক্রিয়া: যে ক্রিয়া দ্বারা বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায় না, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। এই ক্রিয়া বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণ করার জন্য অন্য ক্রিয়ার উপর নির্ভরশীল থাকে।
যেমন:
- আমি ভাত খেয়ে স্কুলে যাব। (এখানে ‘খেয়ে’ অসমাপিকা ক্রিয়া, কারণ এটি ‘যাব’ ক্রিয়ার উপর নির্ভরশীল।)
- গান গেয়ে আমি শান্তি পাই। (এখানে ‘গেয়ে’ অসমাপিকা ক্রিয়া, কারণ এটি ‘পাই’ ক্রিয়ার উপর নির্ভরশীল।)
অসমাপিকা ক্রিয়া চেনার উপায়: সাধারণত, অসমাপিকা ক্রিয়ার শেষে “ইয়া”, “ইতে”, “লে” ইত্যাদি যুক্ত থাকে।
কালের ভিত্তিতে ক্রিয়া
কালের ভিত্তিতে ক্রিয়া তিন প্রকার:
-
বর্তমান কাল: যে ক্রিয়া বর্তমানে কোনো কাজ করা বা হওয়া বোঝায়, তাকে বর্তমান কালের ক্রিয়া বলে।
যেমন:
- আমি পড়ি।
- সে গান গায়।
- তারা খেলে।
- মা রান্না করেন।
বর্তমান কাল চেনার সহজ উপায়: সাধারণত, ক্রিয়ার শেষে “ই”, “এ”, “ও”, “ন” ইত্যাদি যুক্ত থাকে।
-
অতীত কাল: যে ক্রিয়া অতীতে কোনো কাজ করা বা হওয়া বুঝিয়েছিল, তাকে অতীত কালের ক্রিয়া বলে।
যেমন:
- আমি পড়েছিলাম।
- সে গান গেয়েছিল।
- তারা খেলেছিল।
- মা রান্না করেছিলেন।
অতীত কাল চেনার সহজ উপায়: সাধারণত, ক্রিয়ার শেষে “ছিলাম”, “ছিলেন”, “ল”, “তাম”, “তেন” ইত্যাদি যুক্ত থাকে।
-
ভবিষ্যৎ কাল: যে ক্রিয়া ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা হওয়া বোঝাবে, তাকে ভবিষ্যৎ কালের ক্রিয়া বলে।
যেমন:
* আমি পড়ব।
* সে গান গাইবে।
* তারা খেলবে।
* মা রান্না করবেন।
ভবিষ্যৎ কাল চেনার সহজ উপায়: সাধারণত, ক্রিয়ার শেষে "ব", "বে", "বেন" ইত্যাদি যুক্ত থাকে।
সংযোগমূলক ক্রিয়া
এই প্রকার ক্রিয়া বিশেষ্য, বিশেষণ বা ক্রিয়া-বিশেষণের সাথে যুক্ত হয়ে একটি বাক্য গঠন করে।
যেমন: তিনি একজন শিক্ষক ছিলেন।
এখানে ‘ছিলেন’ হল সংযোগমূলক ক্রিয়া।
ক্রিয়ার পদ
ক্রিয়া সাধারণত বাক্যে পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ক্রিয়া পদ বাক্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা কর্তা (subject)-এর কাজ বা অবস্থা প্রকাশ করে।
- আমি লিখি। (এখানে ‘লিখি’ ক্রিয়া পদ।)
- সে যাচ্ছে। (এখানে ‘যাচ্ছে’ ক্রিয়া পদ।)
ক্রিয়া চেনার সহজ উপায়
- বাক্যে কোনো কাজ করা বোঝালেই সেটি ক্রিয়া।
- ক্রিয়া সাধারণত বাক্যের শেষে থাকে (তবে সবসময় নয়)।
- ক্রিয়াকে “কী”, “কাকে” বা “কোথায়” দিয়ে প্রশ্ন করলে যদি উত্তর পাওয়া যায়, তাহলে সেটি সকর্মক ক্রিয়া।
ক্রিয়া ব্যবহারের কিছু নিয়ম
- কর্তার বচন ও লিঙ্গ অনুসারে ক্রিয়ার রূপ পরিবর্তিত হয়।
- কালের পরিবর্তনে ক্রিয়ার রূপ পরিবর্তিত হয়।
- ভাব প্রকাশের ধরণ অনুসারে ক্রিয়ার রূপ পরিবর্তিত হয়।
কিছু সাধারণ ভুল ধারণা ও তার সমাধান
অনেকেই ক্রিয়া पहचानने নিয়ে কিছু ভুল করে থাকেন। নিচে কয়েকটি সাধারণ ভুল ধারণা ও তার সমাধান দেওয়া হলো:
-
ভুল ধারণা: ক্রিয়া সবসময় বাক্যের শেষে থাকে।
সমাধান: ক্রিয়া বাক্যের যেকোনো স্থানে থাকতে পারে, তবে সাধারণত শেষে থাকে। যেমন: “আমি পড়ি” এই বাক্যে ক্রিয়া শেষে থাকলেও, “যাচ্ছি আমি” – এই বাক্যে ক্রিয়া প্রথমে আছে।
-
ভুল ধারণা: সব কাজই ক্রিয়া।
সমাধান: কাজ বোঝানো ছাড়াও, কোনো কিছু হওয়া বা থাকা বোঝাতেও ক্রিয়া ব্যবহৃত হয়। যেমন: “আমি ভালো আছি” – এখানে “আছি” ক্রিয়াটি একটি অবস্থা বোঝাচ্ছে।
-
ভুল ধারণা: অসমাপিকা ক্রিয়া বাক্য শেষ করতে পারে।
**সমাধান:** অসমাপিকা ক্রিয়া কখনো একা বাক্য শেষ করতে পারে না। এটি অন্য একটি সমাপিকা ক্রিয়ার উপর নির্ভরশীল।
“Action verb কাকে বলে” – এই বিষয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQs)
-
প্রশ্ন: ক্রিয়া কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: ক্রিয়াকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। গঠন অনুসারে ক্রিয়া দুই প্রকার: মৌলিক ক্রিয়া ও যৌগিক ক্রিয়া। কর্মের ভিত্তিতে ক্রিয়া তিন প্রকার: সকর্মক, অকর্মক ও দ্বিকর্মক ক্রিয়া।
-
প্রশ্ন: সকর্মক ক্রিয়া চেনার উপায় কী?
উত্তর: ক্রিয়াকে “কী” বা “কাকে” দিয়ে প্রশ্ন করলে যদি উত্তর পাওয়া যায়, তাহলে সেটি সকর্মক ক্রিয়া।
-
প্রশ্ন: অসমাপিকা ক্রিয়া চেনার উপায় কী?
**উত্তর:** অসমাপিকা ক্রিয়া সাধারণত বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণ করে না এবং এর শেষে "ইয়া", "ইতে", "লে" ইত্যাদি যুক্ত থাকে।
-
প্রশ্ন: ক্রিয়ার কাল বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: ক্রিয়ার কাল বলতে ক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার সময়কে বোঝায়। এটি বর্তমান, অতীত বা ভবিষ্যৎ হতে পারে।
-
প্রশ্ন: মৌলিক ক্রিয়া ও যৌগিক ক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: মৌলিক ক্রিয়াকে ভাঙা যায় না, এটি একটি মাত্র শব্দ দিয়ে গঠিত। অন্যদিকে, যৌগিক ক্রিয়া দুই বা ততোধিক ধাতু (verb root) মিলিত হয়ে গঠিত হয়।
-
ক্রিয়া পদের উদাহরণ কি কি?
উত্তর: ক্রিয়া পদের উদাহরণ: খায়, যায়, করে, হবে,িতেছিল, বলিবে ইত্যাদি।
-
বাংলা ভাষায় ক্রিয়ার গুরুত্ব কি?
উত্তর: ক্রিয়া ছাড়া কোনো বাক্য তৈরি করা সম্ভব নয়।
-
ক্রিয়া কিভাবে বাক্যকে সম্পূর্ণ করে?
উত্তর: ক্রিয়া বাক্যের অর্থ প্রকাশ করে এবং বাক্যটিকে একটি সুস্পষ্ট বার্তা দেয়।
-
ক্রিয়া এবং কালের মধ্যে সম্পর্ক কি?
উত্তর: ক্রিয়ার কাল ক্রিয়াটি কখন সংঘটিত হয়েছে তা নির্দেশ করে।
-
ক্রিয়ার প্রকারভেদগুলো কিভাবে বাক্য গঠনে প্রভাব ফেলে?
উত্তর: ক্রিয়ার ভিন্ন প্রকারভেদ ভিন্ন ভিন্ন ধরণের বাক্য গঠনে সাহায্য করে, যেমন সরল, জটিল ও যৌগিক বাক্য।
বাস্তব জীবনে ক্রিয়ার ব্যবহার
ক্রিয়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা প্রতি মুহূর্তে কোনো না কোনো কাজ করছি, এবং সেই কাজগুলোই ক্রিয়া। নিচে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো:
- সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত আমরা অসংখ্য কাজ করি।
- আমরা খাই, পড়ি, লিখি, খেলি, কথা বলি – এই সবকিছুই ক্রিয়া।
- আমাদের জীবনে যা কিছু ঘটছে, তার সবকিছুই কোনো না কোনো ক্রিয়ার ফল।
সুতরাং, ক্রিয়া শুধু ব্যাকরণের একটি অংশ নয়, এটি আমাদের জীবনের প্রতিচ্ছবি।ক্রিয়া আমাদের জীবনে গতি দেয়। আমরা যখন হাঁটি, দৌড়াই, কথা বলি বা লিখি, তখন আমরা ক্রিয়া ব্যবহার করি। আমাদের চিন্তা-ভাবনা এবং অনুভূতির প্রকাশও ক্রিয়ার মাধ্যমে সম্ভব হয়।
আধুনিক সংস্কৃতিতে ক্রিয়া
বর্তমান যুগে, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ক্রিয়ার ব্যবহার আরও বেড়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত ‘লাইক’, ‘কমেন্ট’, ‘শেয়ার’ করছি, যা সবই ক্রিয়া। এছাড়াও, বিভিন্ন অনলাইন গেমসে অংশগ্রহণ করা, ভিডিও দেখা, গান শোনা – এগুলোও ক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত।
ক্রিয়া আমাদের জীবনকে আরও সহজ ও গতিশীল করে তুলেছে। তাই, ক্রিয়ার সঠিক ব্যবহার জানা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
লেখকের মন্তব্য
আমি আশা করি, আজকের আলোচনার মাধ্যমে “action verb কাকে বলে” এই বিষয়ে আপনাদের ধারণা স্পষ্ট হয়েছে। ক্রিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকরণিক বিষয়, যা আমাদের ভাষার ব্যবহারকে আরও সমৃদ্ধ করে। যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।