স্রষ্টার অপার মহিমায় এই বিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে প্রতিটি সৃষ্টিই এক একটি নিদর্শন। প্রকৃতির মাঝে লুকানো সৌন্দর্য, মানুষের জীবনযাত্রা, সবকিছুতেই আল্লাহর অসীম ক্ষমতার প্রকাশ। তাই, আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে উক্তি শুধু কিছু শব্দ নয়, এগুলো আমাদের বিশ্বাস ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। চলুন, এই ব্লগ পোস্টে আমরা আল্লাহর সৃষ্টির সৌন্দর্য এবং তাৎপর্য নিয়ে কিছু আলোচনা করি।
১০০+আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে উক্তি
“আসমান ও জমিনের সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের ভিন্নতা তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে অন্যতম। নিশ্চয় এতে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।” (সূরা আর-রুম, আয়াত ২২)
“তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা; তাঁর সুন্দর নামসমূহ রয়েছে। নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে, সবই তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।” (সূরা হাশর, আয়াত ২৪)
“নিশ্চয়ই নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের পরিবর্তনে বুদ্ধিমানদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৯০)
“আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।” (সূরা আম্বিয়া, আয়াত ৩৩)
“তিনি দুই সাগরকে মিলিতভাবে প্রবাহিত করেছেন। উভয়ের মধ্যে আছে এক অন্তরায়, যা তারা অতিক্রম করে না।” (সূরা আর-রহমান, আয়াত ১৯-২০)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদের জন্য ভূমিকে করেছেন বাসোপযোগী এবং আকাশকে ছাদস্বরূপ। আর তিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা দ্বারা তোমাদের জীবিকার জন্য ফল উৎপাদন করেন।” (সূরা বাকারা, আয়াত ২২)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর শুক্রাণু থেকে, অতঃপর জমাট রক্ত থেকে, অতঃপর তোমাদেরকে শিশুরূপে বের করেন, অতঃপর তোমরা যৌবনে পদার্পণ কর, অতঃপর তোমরা বার্ধক্যে উপনীত হও। তোমাদের মধ্যে কারও কারও মৃত্যু হয় পূর্বেই এবং তোমরা নির্ধারিত কালে পৌঁছ, যাতে তোমরা অনুধাবন করতে পার।” (সূরা মুমিন, আয়াত ৬৭)
“আর আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের নিজ হতেই জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের যুগল থেকে তোমাদের পুত্র ও পৌত্রাদি সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ দিয়েছেন। তবে কি তারা মিথ্যা বস্তুতে বিশ্বাস করে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ অস্বীকার করে?” (সূরা নাহল, আয়াত ৭২)
“বলুন, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর, অতঃপর দেখ স্রষ্টা কিভাবে সৃষ্টি করেছেন। তারপর আল্লাহ পুনরায় সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।” (সূরা আনকাবুত, আয়াত ২০)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা আর-রুম, আয়াত ২১)
“তিনিই আল্লাহ যিনি মেঘমালা সঞ্চালিত করেন, অতঃপর তাকে স্তরে স্তরে রাখেন, এরপর তাকে পুঞ্জীভূত করেন, তখন তুমি তার মধ্য থেকে বৃষ্টি নির্গত হতে দেখ। আর তিনি আকাশ থেকে শিলা বর্ষণ করেন, অতঃপর যাকে ইচ্ছা তা দ্বারা আঘাত করেন এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা ফিরিয়ে দেন। তার বিদ্যুৎ ঝলক প্রায় দৃষ্টি কেড়ে নেয়।” (সূরা নূর, আয়াত ৪৩)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি এই যে, তিনি তোমাদেরকে নিদ্রা দেন রাতে ও দিনে এবং তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান কর। নিশ্চয় এতে শ্রবণকারী সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা আর-রুম, আয়াত ২৩)
“আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন জীবজন্তু, এর মধ্যে কিছু বুকে ভর দিয়ে চলে, কিছু দুই পায়ে চলে এবং কিছু চার পায়ে চলে। আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।” (সূরা নূর, আয়াত ৪৫)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি এই যে, তিনি বাতাস প্রেরণ করেন সুসংবাদ দেয়ার জন্য এবং যাতে তিনি তোমাদেরকে তাঁর অনুগ্রহ আস্বাদন করান এবং যাতে তাঁর নির্দেশে জাহাজ চলাচল করে এবং যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ অন্বেষণ করতে পার এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।” (সূরা আর-রুম, আয়াত ৪৬)
“তিনিই আল্লাহ যিনি মৃত্তিকা থেকে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর শুক্রাণু থেকে, অতঃপর জমাট রক্ত থেকে। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে শিশুরূপে বের করেন, অতঃপর তোমরা যৌবনে পদার্পণ কর, অতঃপর তোমরা বার্ধক্যে উপনীত হও। তোমাদের মধ্যে কারও কারও মৃত্যু হয় পূর্বেই এবং তোমরা নির্ধারিত কালে পৌঁছ, যাতে তোমরা অনুধাবন করতে পার।” (সূরা গাফির, আয়াত ৬৭)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদের জন্য রাতকে করেছেন বিশ্রামস্বরূপ এবং দিনকে করেছেন আলোকময়। নিশ্চয় এতে শ্রবণকারী সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা ইউনুস, আয়াত ৬১)
“আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন সবকিছু এবং প্রত্যেককে যথাযথ আকৃতি দিয়েছেন।” (সূরা ফুরকান, আয়াত ২)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি এই যে, তোমরা ভূমিকে পতিত দেখতে পাও, অতঃপর যখন আমি তাতে বৃষ্টি বর্ষণ করি, তখন তা সজীব ও শস্যশ্যামল হয়ে ওঠে। নিশ্চয় যিনি একে জীবিত করেন, তিনি মৃতকেও জীবিত করবেন। নিশ্চয় তিনি সবকিছু করতে সক্ষম।” (সূরা ফুসসিলাত, আয়াত ৩৯)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদের জন্য চক্ষু, কর্ণ ও হৃদয় সৃষ্টি করেছেন। তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।” (সূরা মুলক, আয়াত ২৩)
“আর আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের ঘরকে করেন আবাসস্থল এবং তিনি তোমাদের জন্য পশুর চামড়া দ্বারা তাঁবু তৈরি করার ব্যবস্থা করেন, যা তোমরা হালকা মনে করো ভ্রমণকালে ও অবস্থানকালে। আর তাদের পশম, লোম ও চুল দ্বারা বহুবিধ ব্যবহারের বস্তু ও ভোগের সামগ্রী তৈরি করেন এক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।” (সূরা নাহল, আয়াত ৮০)
“তিনিই আল্লাহ যিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা দ্বারা তোমাদের জন্য ফল-ফলাদি ও শাক-সবজি উৎপাদন করেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা নাহল, আয়াত ১১)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি এই যে, তিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমরা মানুষ হয়ে ছড়িয়ে পড়েছ।” (সূরা রূম, আয়াত ২০)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদেরকে দুর্বল অবস্থায় সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর দুর্বলতার পর শক্তি দিয়েছেন, অতঃপর শক্তির পর দুর্বলতা ও বার্ধক্য দিয়েছেন। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং তিনিই সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান।” (সূরা রূম, আয়াত ৫৪)
“আর আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের নিজেদের মধ্যে জোড়া বানিয়েছেন এবং তোমাদের স্ত্রীদের থেকে তোমাদের পুত্র ও পৌত্রাদি দিয়েছেন এবং তোমাদেরকে উত্তম রিজিক দিয়েছেন। তবে কি তারা মিথ্যার উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং আল্লাহর নিয়ামত অস্বীকার করে?” (সূরা নাহল, আয়াত ৭২)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হলো এই যে, তিনি তোমাদেরকে নিদ্রা দেন রাতে ও দিনে এবং তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করো। নিশ্চয়ই এতে শ্রবণকারী সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা রূম, আয়াত ২৩)
“আর তিনিই পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে পর্বত ও নদ-নদী স্থাপন করেছেন এবং প্রত্যেক ফল থেকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন। তিনি রাত দিয়ে দিনকে ঢেকে দেন। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা রাদ, আয়াত ৩)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হলো এই যে, তিনি তোমাদেরকে দেখান বিদ্যুৎ চমক ভয় ও আগ্রহের জন্য এবং তিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা দ্বারা ভূমিকে তার মৃত্যুর পর সঞ্জীবিত করেন। নিশ্চয়ই এতে বুদ্ধিমান লোকদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা রাদ, আয়াত ১২)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদের জন্য শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি এবং হৃদয় সৃষ্টি করেছেন। তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো।” (সূরা সাজদাহ, আয়াত ৯)
“আর তিনিই সমুদ্রকে অধীন করেছেন, যাতে তোমরা তা থেকে তাজা মাছ আহার করতে পারো এবং তোমরা তা থেকে রত্ন ও অলঙ্কার বের করতে পারো যা তোমরা পরিধান করো। এবং তোমরা দেখ যে, জাহাজগুলো সমুদ্র বক্ষে চিরে চলে এবং যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ অন্বেষণ করতে পারো এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হতে পারো।” (সূরা নাহল, আয়াত ১৪)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হলো এই যে, তিনি তোমাদের জন্য নৌযানকে করেছেন পর্বতের ন্যায় সমুদ্রে চলমান। নিশ্চয়ই এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা আশ-শুরা, আয়াত ৩২)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি তা থেকে তার সঙ্গিনী তৈরি করেছেন, যাতে সে তার কাছে শান্তি পায়। অতঃপর যখন সে তার সাথে মিলিত হয়, তখন সে হালকা গর্ভ ধারণ করে এবং তা নিয়ে চলাফেরা করে। অতঃপর যখন তা ভারী হয়ে যায়, তখন তারা উভয়েই তাদের রব আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে যে, ‘যদি আপনি আমাদেরকে একটি ভাল সন্তান দেন, তবে আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞ থাকব।” (সূরা আল-আরাফ, আয়াত ১৮৯)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হলো এই যে, তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী দেখান এবং তিনি তোমাদেরকে তাঁর অনুগ্রহ আস্বাদন করান, যাতে তোমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হতে পারো।” (সূরা আল-আরাফ, আয়াত ৫৪)
“আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন জিন ও মানুষ যাতে তারা আমার ইবাদত করে।” (সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত ৫৬)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হলো এই যে, তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী দেখান এবং তিনি তোমাদেরকে তাঁর অনুগ্রহ আস্বাদন করান, যাতে তোমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হতে পারো।” (সূরা আল-আরাফ, আয়াত ৫৪)
“আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন জিন ও মানুষ যাতে তারা আমার ইবাদত করে।” (সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত ৫৬)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদেরকে মায়ের গর্ভে যেভাবে ইচ্ছা আকার দেন। তিনি ব্যতীত অন্য কোনো উপাস্য নেই। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।” (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ৬)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হলো এই যে, তিনি মৃত ভূমিকে জীবিত করেন। নিশ্চয়ই যিনি একে জীবিত করেন, তিনি মৃতকেও জীবিত করবেন। নিশ্চয়ই তিনি সবকিছু করতে সক্ষম।” (সূরা ফুসসিলাত, আয়াত ৩৯)
“আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন সবকিছু এবং প্রত্যেককে যথাযথ আকৃতি দিয়েছেন।” (সূরা ফুরকান, আয়াত ২)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হলো এই যে, তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি তোমাদেরকে তাঁর রহমত থেকে দান করেন।” (সূরা আর-রুম, আয়াত ৪৬)
“আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন সবকিছু এবং প্রত্যেককে যথাযথ আকৃতি দিয়েছেন।” (সূরা ফুরকান, আয়াত ২)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হলো এই যে, তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি তোমাদেরকে তাঁর রহমত থেকে দান করেন।” (সূরা আর-রুম, আয়াত ৪৬)
“তিনিই আল্লাহ যিনি মেঘমালা সঞ্চালিত করেন, অতঃপর তাকে স্তরে স্তরে রাখেন, এরপর তাকে পুঞ্জীভূত করেন, তখন তুমি তার মধ্য থেকে বৃষ্টি নির্গত হতে দেখ। আর তিনি আকাশ থেকে শিলা বর্ষণ করেন, অতঃপর যাকে ইচ্ছা তা দ্বারা আঘাত করেন এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা ফিরিয়ে দেন। তার বিদ্যুৎ ঝলক প্রায় দৃষ্টি কেড়ে নেয়।” (সূরা আন-নূর, আয়াত ৪৩)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হলো এই যে, তিনি বাতাস প্রেরণ করেন সুসংবাদ দেওয়ার জন্য এবং যাতে তিনি তোমাদেরকে তাঁর অনুগ্রহ আস্বাদন করান এবং যাতে তাঁর নির্দেশে জাহাজ চলাচল করে এবং যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ অন্বেষণ করতে পারো এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।” (সূরা আর-রুম, আয়াত ৪৬)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদের জন্য চক্ষু, কর্ণ ও হৃদয় সৃষ্টি করেছেন। তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।” (সূরা আল-মুলক, আয়াত ২৩)
“আর আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের ঘরকে করেন আবাসস্থল এবং তিনি তোমাদের জন্য পশুর চামড়া দ্বারা তাঁবু তৈরি করার ব্যবস্থা করেন, যা তোমরা হালকা মনে করো ভ্রমণকালে ও অবস্থানকালে। আর তাদের পশম, লোম ও চুল দ্বারা বহুবিধ ব্যবহারের বস্তু ও ভোগের সামগ্রী তৈরি করেন এক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।” (সূরা আন-নাহল, আয়াত ৮০)
“তিনিই আল্লাহ যিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা দ্বারা তোমাদের জন্য ফল-ফলাদি ও শাক-সবজি উৎপাদন করেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা আন-নাহল, আয়াত ১১)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হলো এই যে, তিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমরা মানুষ হয়ে ছড়িয়ে পড়েছ।” (সূরা আর-রুম, আয়াত ২০)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদেরকে দুর্বল অবস্থায় সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর দুর্বলতার পর শক্তি দিয়েছেন, অতঃপর শক্তির পর দুর্বলতা ও বার্ধক্য দিয়েছেন। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং তিনিই সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান।” (সূরা আর-রুম, আয়াত ৫৪)
“আর আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের নিজেদের মধ্যে জোড়া বানিয়েছেন এবং তোমাদের স্ত্রীদের থেকে তোমাদের পুত্র ও পৌত্রাদি দিয়েছেন এবং তোমাদেরকে উত্তম রিযিক দিয়েছেন। তবে কি তারা মিথ্যার উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং আল্লাহর নিয়ামত অস্বীকার করে?” (সূরা আন-নাহল, আয়াত ৭২)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হলো এই যে, তিনি তোমাদেরকে নিদ্রা দেন রাতে ও দিনে এবং তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করো। নিশ্চয়ই এতে শ্রবণকারী সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা আর-রুম, আয়াত ২৩)
“আর তিনিই পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে পর্বত ও নদ-নদী স্থাপন করেছেন এবং প্রত্যেক ফল থেকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন। তিনি রাত দিয়ে দিনকে ঢেকে দেন। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা আর-রাদ, আয়াত ৩)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হলো এই যে, তিনি তোমাদেরকে দেখান বিদ্যুৎ চমক ভয় ও আগ্রহের জন্য এবং তিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা দ্বারা ভূমিকে তার মৃত্যুর পর সঞ্জীবিত করেন। নিশ্চয়ই এতে বুদ্ধিমান লোকদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা আর-রাদ, আয়াত ১২)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদের জন্য শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি এবং হৃদয় সৃষ্টি করেছেন। তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো।” (সূরা আস-সাজদাহ, আয়াত ৯)
“আর তিনিই সমুদ্রকে অধীন করেছেন, যাতে তোমরা তা থেকে তাজা মাছ আহার করতে পারো এবং তোমরা তা থেকে রত্ন ও অলঙ্কার বের করতে পারো যা তোমরা পরিধান করো। এবং তোমরা দেখ যে, জাহাজগুলো সমুদ্র বক্ষে চিরে চলে এবং যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ অন্বেষণ করতে পারো এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হতে পারো।” (সূরা আন-নাহল, আয়াত ১৪)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হলো এই যে, তিনি তোমাদের জন্য নৌযানকে করেছেন পর্বতের ন্যায় সমুদ্রে চলমান। নিশ্চয়ই এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা আশ-শুরা, আয়াত ৩২)
“আসমান ও জমিনের সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের ভিন্নতা তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে অন্যতম। নিশ্চয় এতে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।” (সূরা আর-রুম, আয়াত ২২)
“তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা; তাঁর সুন্দর নামসমূহ রয়েছে। নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে, সবই তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।” (সূরা হাশর, আয়াত ২৪)
“নিশ্চয়ই নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের পরিবর্তনে বুদ্ধিমানদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৯০)
“আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।” (সূরা আম্বিয়া, আয়াত ৩৩)
“তিনি দুই সাগরকে মিলিতভাবে প্রবাহিত করেছেন। উভয়ের মধ্যে আছে এক অন্তরায়, যা তারা অতিক্রম করে না।” (সূরা আর-রহমান, আয়াত ১৯-২০)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদের জন্য ভূমিকে করেছেন বাসোপযোগী এবং আকাশকে ছাদস্বরূপ। আর তিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা দ্বারা তোমাদের জীবিকার জন্য ফল উৎপাদন করেন।” (সূরা বাকারা, আয়াত ২২)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর শুক্রাণু থেকে, অতঃপর জমাট রক্ত থেকে, অতঃপর তোমাদেরকে শিশুরূপে বের করেন, অতঃপর তোমরা যৌবনে পদার্পণ কর, অতঃপর তোমরা বার্ধক্যে উপনীত হও। তোমাদের মধ্যে কারও কারও মৃত্যু হয় পূর্বেই এবং তোমরা নির্ধারিত কালে পৌঁছ, যাতে তোমরা অনুধাবন করতে পার।” (সূরা মুমিন, আয়াত ৬৭)
“আর আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের নিজ হতেই জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের যুগল থেকে তোমাদের পুত্র ও পৌত্রাদি সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ দিয়েছেন। তবে কি তারা মিথ্যা বস্তুতে বিশ্বাস করে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ অস্বীকার করে?” (সূরা নাহল, আয়াত ৭২)
“বলুন, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর, অতঃপর দেখ স্রষ্টা কিভাবে সৃষ্টি করেছেন। তারপর আল্লাহ পুনরায় সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।” (সূরা আনকাবুত, আয়াত ২০)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা আর-রুম, আয়াত ২১)
“তিনিই আল্লাহ যিনি মেঘমালা সঞ্চালিত করেন, অতঃপর তাকে স্তরে স্তরে রাখেন, এরপর তাকে পুঞ্জীভূত করেন, তখন তুমি তার মধ্য থেকে বৃষ্টি নির্গত হতে দেখ। আর তিনি আকাশ থেকে শিলা বর্ষণ করেন, অতঃপর যাকে ইচ্ছা তা দ্বারা আঘাত করেন এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা ফিরিয়ে দেন। তার বিদ্যুৎ ঝলক প্রায় দৃষ্টি কেড়ে নেয়।” (সূরা নূর, আয়াত ৪৩)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি এই যে, তিনি তোমাদেরকে নিদ্রা দেন রাতে ও দিনে এবং তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান কর। নিশ্চয় এতে শ্রবণকারী সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা আর-রুম, আয়াত ২৩)
“আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন জীবজন্তু, এর মধ্যে কিছু বুকে ভর দিয়ে চলে, কিছু দুই পায়ে চলে এবং কিছু চার পায়ে চলে। আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।” (সূরা নূর, আয়াত ৪৫)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি এই যে, তিনি বাতাস প্রেরণ করেন সুসংবাদ দেয়ার জন্য এবং যাতে তিনি তোমাদেরকে তাঁর অনুগ্রহ আস্বাদন করান এবং যাতে তাঁর নির্দেশে জাহাজ চলাচল করে এবং যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ অন্বেষণ করতে পার এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।” (সূরা আর-রুম, আয়াত ৪৬)
“তিনিই আল্লাহ যিনি মৃত্তিকা থেকে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর শুক্রাণু থেকে, অতঃপর জমাট রক্ত থেকে। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে শিশুরূপে বের করেন, অতঃপর তোমরা যৌবনে পদার্পণ কর, অতঃপর তোমরা বার্ধক্যে উপনীত হও। তোমাদের মধ্যে কারও কারও মৃত্যু হয় পূর্বেই এবং তোমরা নির্ধারিত কালে পৌঁছ, যাতে তোমরা অনুধাবন করতে পার।” (সূরা গাফির, আয়াত ৬৭)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদের জন্য রাতকে করেছেন বিশ্রামস্বরূপ এবং দিনকে করেছেন আলোকময়। নিশ্চয় এতে শ্রবণকারী সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা ইউনুস, আয়াত ৬১)
“আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন সবকিছু এবং প্রত্যেককে যথাযথ আকৃতি দিয়েছেন।” (সূরা ফুরকান, আয়াত ২)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি এই যে, তোমরা ভূমিকে পতিত দেখতে পাও, অতঃপর যখন আমি তাতে বৃষ্টি বর্ষণ করি, তখন তা সজীব ও শস্যশ্যামল হয়ে ওঠে। নিশ্চয় যিনি একে জীবিত করেন, তিনি মৃতকেও জীবিত করবেন। নিশ্চয় তিনি সবকিছু করতে সক্ষম।” (সূরা ফুসসিলাত, আয়াত ৩৯)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদের জন্য চক্ষু, কর্ণ ও হৃদয় সৃষ্টি করেছেন। তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।” (সূরা মুলক, আয়াত ২৩)
“আর আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের ঘরকে করেন আবাসস্থল এবং তিনি তোমাদের জন্য পশুর চামড়া দ্বারা তাঁবু তৈরি করার ব্যবস্থা করেন, যা তোমরা হালকা মনে করো ভ্রমণকালে ও অবস্থানকালে। আর তাদের পশম, লোম ও চুল দ্বারা বহুবিধ ব্যবহারের বস্তু ও ভোগের সামগ্রী তৈরি করেন এক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।” (সূরা নাহল, আয়াত ৮০)
“তিনিই আল্লাহ যিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা দ্বারা তোমাদের জন্য ফল-ফলাদি ও শাক-সবজি উৎপাদন করেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা নাহল, আয়াত ১১)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি এই যে, তিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমরা মানুষ হয়ে ছড়িয়ে পড়েছ।” (সূরা রূম, আয়াত ২০)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদেরকে দুর্বল অবস্থায় সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর দুর্বলতার পর শক্তি দিয়েছেন, অতঃপর শক্তির পর দুর্বলতা ও বার্ধক্য দিয়েছেন। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং তিনিই সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান।” (সূরা রূম, আয়াত ৫৪)
“আর আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের নিজেদের মধ্যে জোড়া বানিয়েছেন এবং তোমাদের স্ত্রীদের থেকে তোমাদের পুত্র ও পৌত্রাদি দিয়েছেন এবং তোমাদেরকে উত্তম রিজিক দিয়েছেন। তবে কি তারা মিথ্যার উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং আল্লাহর নিয়ামত অস্বীকার করে?” (সূরা নাহল, আয়াত ৭২)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হলো এই যে, তিনি তোমাদেরকে নিদ্রা দেন রাতে ও দিনে এবং তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করো। নিশ্চয়ই এতে শ্রবণকারী সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা রূম, আয়াত ২৩)
“আর তিনিই পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে পর্বত ও নদ-নদী স্থাপন করেছেন এবং প্রত্যেক ফল থেকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন। তিনি রাত দিয়ে দিনকে ঢেকে দেন। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা রাদ, আয়াত ৩)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হলো এই যে, তিনি তোমাদেরকে দেখান বিদ্যুৎ চমক ভয় ও আগ্রহের জন্য এবং তিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা দ্বারা ভূমিকে তার মৃত্যুর পর সঞ্জীবিত করেন। নিশ্চয়ই এতে বুদ্ধিমান লোকদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা রাদ, আয়াত ১২)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদের জন্য শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি এবং হৃদয় সৃষ্টি করেছেন। তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো।” (সূরা সাজদাহ, আয়াত ৯)
“আর তিনিই সমুদ্রকে অধীন করেছেন, যাতে তোমরা তা থেকে তাজা মাছ আহার করতে পারো এবং তোমরা তা থেকে রত্ন ও অলঙ্কার বের করতে পারো যা তোমরা পরিধান করো। এবং তোমরা দেখ যে, জাহাজগুলো সমুদ্র বক্ষে চিরে চলে এবং যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ অন্বেষণ করতে পারো এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হতে পারো।” (সূরা নাহল, আয়াত ১৪)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হলো এই যে, তিনি তোমাদের জন্য নৌযানকে করেছেন পর্বতের ন্যায় সমুদ্রে চলমান। নিশ্চয়ই এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা আশ-শুরা, আয়াত ৩২)
“আসমান ও জমিনের সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের ভিন্নতা তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে অন্যতম। নিশ্চয় এতে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।” (সূরা আর-রুম, আয়াত ২২)
“তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা; তাঁর সুন্দর নামসমূহ রয়েছে। নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে, সবই তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।” (সূরা হাশর, আয়াত ২৪)
“নিশ্চয়ই নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের পরিবর্তনে বুদ্ধিমানদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৯০)
“আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।” (সূরা আম্বিয়া, আয়াত ৩৩)
“তিনি দুই সাগরকে মিলিতভাবে প্রবাহিত করেছেন। উভয়ের মধ্যে আছে এক অন্তরায়, যা তারা অতিক্রম করে না।” (সূরা আর-রহমান, আয়াত ১৯-২০)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদের জন্য ভূমিকে করেছেন বাসোপযোগী এবং আকাশকে ছাদস্বরূপ। আর তিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা দ্বারা তোমাদের জীবিকার জন্য ফল উৎপাদন করেন।” (সূরা বাকারা, আয়াত ২২)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর শুক্রাণু থেকে, অতঃপর জমাট রক্ত থেকে, অতঃপর তোমাদেরকে শিশুরূপে বের করেন, অতঃপর তোমরা যৌবনে পদার্পণ কর, অতঃপর তোমরা বার্ধক্যে উপনীত হও। তোমাদের মধ্যে কারও কারও মৃত্যু হয় পূর্বেই এবং তোমরা নির্ধারিত কালে পৌঁছ, যাতে তোমরা অনুধাবন করতে পার।” (সূরা মুমিন, আয়াত ৬৭)
“আর আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের নিজ হতেই জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের যুগল থেকে তোমাদের পুত্র ও পৌত্রাদি সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ দিয়েছেন। তবে কি তারা মিথ্যা বস্তুতে বিশ্বাস করে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ অস্বীকার করে?” (সূরা নাহল, আয়াত ৭২)
“বলুন, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর, অতঃপর দেখ স্রষ্টা কিভাবে সৃষ্টি করেছেন। তারপর আল্লাহ পুনরায় সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।” (সূরা আনকাবুত, আয়াত ২০)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা আর-রুম, আয়াত ২১)
“তিনিই আল্লাহ যিনি মেঘমালা সঞ্চালিত করেন, অতঃপর তাকে স্তরে স্তরে রাখেন, এরপর তাকে পুঞ্জীভূত করেন, তখন তুমি তার মধ্য থেকে বৃষ্টি নির্গত হতে দেখ। আর তিনি আকাশ থেকে শিলা বর্ষণ করেন, অতঃপর যাকে ইচ্ছা তা দ্বারা আঘাত করেন এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা ফিরিয়ে দেন। তার বিদ্যুৎ ঝলক প্রায় দৃষ্টি কেড়ে নেয়।” (সূরা নূর, আয়াত ৪৩)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি এই যে, তিনি তোমাদেরকে নিদ্রা দেন রাতে ও দিনে এবং তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান কর। নিশ্চয় এতে শ্রবণকারী সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা আর-রুম, আয়াত ২৩)
“আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন জীবজন্তু, এর মধ্যে কিছু বুকে ভর দিয়ে চলে, কিছু দুই পায়ে চলে এবং কিছু চার পায়ে চলে। আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।” (সূরা নূর, আয়াত ৪৫)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি এই যে, তিনি বাতাস প্রেরণ করেন সুসংবাদ দেয়ার জন্য এবং যাতে তিনি তোমাদেরকে তাঁর অনুগ্রহ আস্বাদন করান এবং যাতে তাঁর নির্দেশে জাহাজ চলাচল করে এবং যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ অন্বেষণ করতে পারো এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।” (সূরা আর-রুম, আয়াত ৪৬)
“তিনিই আল্লাহ যিনি মৃত্তিকা থেকে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর শুক্রাণু থেকে, অতঃপর জমাট রক্ত থেকে। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে শিশুরূপে বের করেন, অতঃপর তোমরা যৌবনে পদার্পণ কর, অতঃপর তোমরা বার্ধক্যে উপনীত হও। তোমাদের মধ্যে কারও কারও মৃত্যু হয় পূর্বেই এবং তোমরা নির্ধারিত কালে পৌঁছ, যাতে তোমরা অনুধাবন করতে পার।” (সূরা গাফির, আয়াত ৬৭)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদের জন্য রাতকে করেছেন বিশ্রামস্বরূপ এবং দিনকে করেছেন আলোকময়। নিশ্চয় এতে শ্রবণকারী সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা ইউনুস, আয়াত ৬১)
“আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন সবকিছু এবং প্রত্যেককে যথাযথ আকৃতি দিয়েছেন।” (সূরা ফুরকান, আয়াত ২)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি এই যে, তোমরা ভূমিকে পতিত দেখতে পাও, অতঃপর যখন আমি তাতে বৃষ্টি বর্ষণ করি, তখন তা সজীব ও শস্যশ্যামল হয়ে ওঠে। নিশ্চয় যিনি একে জীবিত করেন, তিনি মৃতকেও জীবিত করবেন। নিশ্চয় তিনি সবকিছু করতে সক্ষম।” (সূরা ফুসসিলাত, আয়াত ৩৯)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদের জন্য চক্ষু, কর্ণ ও হৃদয় সৃষ্টি করেছেন। তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।” (সূরা মুলক, আয়াত ২৩)
“আর আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের ঘরকে করেন আবাসস্থল এবং তিনি তোমাদের জন্য পশুর চামড়া দ্বারা তাঁবু তৈরি করার ব্যবস্থা করেন, যা তোমরা হালকা মনে করো ভ্রমণকালে ও অবস্থানকালে। আর তাদের পশম, লোম ও চুল দ্বারা বহুবিধ ব্যবহারের বস্তু ও ভোগের সামগ্রী তৈরি করেন এক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।” (সূরা নাহল, আয়াত ৮০)
“তিনিই আল্লাহ যিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা দ্বারা তোমাদের জন্য ফল-ফলাদি ও শাক-সবজি উৎপাদন করেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা নাহল, আয়াত ১১)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি এই যে, তিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমরা মানুষ হয়ে ছড়িয়ে পড়েছ।” (সূরা রূম, আয়াত ২০)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদেরকে দুর্বল অবস্থায় সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর দুর্বলতার পর শক্তি দিয়েছেন, অতঃপর শক্তির পর দুর্বলতা ও বার্ধক্য দিয়েছেন। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং তিনিই সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান।” (সূরা রূম, আয়াত ৫৪)
“আর আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের নিজেদের মধ্যে জোড়া বানিয়েছেন এবং তোমাদের স্ত্রীদের থেকে তোমাদের পুত্র ও পৌত্রাদি দিয়েছেন এবং তোমাদেরকে উত্তম রিজিক দিয়েছেন। তবে কি তারা মিথ্যার উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং আল্লাহর নিয়ামত অস্বীকার করে?” (সূরা নাহল, আয়াত ৭২)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হলো এই যে, তিনি তোমাদেরকে নিদ্রা দেন রাতে ও দিনে এবং তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করো। নিশ্চয়ই এতে শ্রবণকারী সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা রূম, আয়াত ২৩)
“আর তিনিই পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে পর্বত ও নদ-নদী স্থাপন করেছেন এবং প্রত্যেক ফল থেকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন। তিনি রাত দিয়ে দিনকে ঢেকে দেন। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা রাদ, আয়াত ৩)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হলো এই যে, তিনি তোমাদেরকে দেখান বিদ্যুৎ চমক ভয় ও আগ্রহের জন্য এবং তিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা দ্বারা ভূমিকে তার মৃত্যুর পর সঞ্জীবিত করেন। নিশ্চয়ই এতে বুদ্ধিমান লোকদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা রাদ, আয়াত ১২)
“তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদের জন্য শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি এবং হৃদয় সৃষ্টি করেছেন। তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো।” (সূরা সাজদাহ, আয়াত ৯)
“আর তিনিই সমুদ্রকে অধীন করেছেন, যাতে তোমরা তা থেকে তাজা মাছ আহার করতে পারো এবং তোমরা তা থেকে রত্ন ও অলঙ্কার বের করতে পারো যা তোমরা পরিধান করো। এবং তোমরা দেখ যে, জাহাজগুলো সমুদ্র বক্ষে চিরে চলে এবং যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ অন্বেষণ করতে পারো এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হতে পারো।” (সূরা নাহল, আয়াত ১৪)
“আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হলো এই যে, তিনি তোমাদের জন্য নৌযানকে করেছেন পর্বতের ন্যায় সমুদ্রে চলমান। নিশ্চয়ই এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে।” (সূরা আশ-শুরা, আয়াত ৩২)
আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে কিছু কথা
আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে, প্রথমেই আমাদের মনে আসে এই বিশাল মহাবিশ্বের কথা। আকাশ, বাতাস, মেঘ, বৃষ্টি, পাহাড়, নদ-নদী, গাছপালা, পশুপাখি—সবকিছুই তাঁর সৃষ্টি। এই সবকিছুর মধ্যেই লুকিয়ে আছে অসংখ্য নিদর্শন, যা আমাদের মনকে বিস্ময়ে ভরিয়ে তোলে।
প্রকৃতির নিদর্শন
প্রকৃতি আল্লাহর এক বিশাল দান। এর প্রতিটি উপাদান মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত। সূর্য আমাদের আলো দেয়, মেঘ বৃষ্টি ঝরায়, গাছপালা অক্সিজেন সরবরাহ করে। এই সবকিছুই আল্লাহর অসীম দয়ার প্রমাণ। আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, কিভাবে একটি ছোট বীজ থেকে বিশাল গাছ জন্ম নেয়? এটা সত্যিই এক বিস্ময়কর ব্যাপার, তাই না?
নদ-নদী ও পাহাড়
নদ-নদীগুলো আমাদের জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য। এগুলো শুধু পানি সরবরাহ করে না, সেই সাথে আমাদের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পাহাড়গুলো প্রকৃতির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে।
জীবনের সৃষ্টি
মানুষ আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। তিনি মানুষকে বিবেক ও বুদ্ধি দিয়েছেন, যা দিয়ে তারা ভালো-মন্দ বিচার করতে পারে। মানুষের জীবনযাত্রা, তাদের চিন্তা-ভাবনা, সবকিছুই আল্লাহর ইচ্ছার প্রতিফলন।
মানবদেহ: এক জটিল সৃষ্টি
আমাদের শরীর একটি জটিল যন্ত্রের মতো। প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয়েছে। হৃদপিণ্ড অবিরাম রক্ত সঞ্চালন করে, মস্তিষ্ক চিন্তা করে, কিডনি রক্ত পরিশোধন করে। এই সবকিছুই আল্লাহর অসীম জ্ঞানের পরিচয় বহন করে। সত্যিই, আমাদের শরীরের প্রতিটি অংশ যেন এক একটি শিল্পকর্ম।
কুরআনের আলোকে আল্লাহর সৃষ্টি
কুরআনে আল্লাহ তায়ালা তাঁর সৃষ্টির বিভিন্ন নিদর্শন সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি মানুষকে তাঁর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করতে এবং এর মাধ্যমে তাঁর পরিচয় জানতে উৎসাহিত করেছেন৷ কুরআন আমাদের শেখায়, এই বিশ্বজগৎ কোনো উদ্দেশ্য ছাড়া সৃষ্টি হয়নি; বরং এর প্রতিটি সৃষ্টির পেছনে রয়েছে গভীর তাৎপর্য।
কুরআনে বর্ণিত কিছু নিদর্শন
কুরআনে আকাশ, পৃথিবী, চন্দ্র, সূর্য, তারা, পর্বত, সমুদ্র, নদ-নদী, গাছপালা, পশু-পাখি এবং মানুষের সৃষ্টি নিয়ে অনেক আয়াত রয়েছে। এই আয়াতগুলোতে আল্লাহ তাআলা তাঁর ক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছেন এবং মানুষকে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
সূরা আর-রহমান: এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত
সূরা আর-রহমানে আল্লাহ তাআলা তাঁর সৃষ্টির বিভিন্ন নেয়ামতের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, “তিনি দয়াময়, তিনি কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন, তিনি তাকে স্পষ্টভাবে কথা বলা শিখিয়েছেন।” (সূরা আর-রহমান, আয়াত ১-৪)
বিজ্ঞান ও আল্লাহর সৃষ্টি
বিজ্ঞান আমাদের আল্লাহর সৃষ্টির রহস্য আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে। বিজ্ঞানীরা যখন প্রকৃতির নিয়মাবলী আবিষ্কার করেন, তখন তারা আল্লাহর অসীম জ্ঞানের পরিচয় পান।
বিজ্ঞান কিভাবে সাহায্য করে?
বিজ্ঞান আমাদের জানায় কিভাবে এই বিশ্বজগৎ চলছে, কিভাবে গাছপালা খাদ্য তৈরি করছে, কিভাবে প্রাণীরা জীবন ধারণ করছে। এই জ্ঞান আমাদের আল্লাহর প্রতি আরও বেশি কৃতজ্ঞ করে তোলে।
মহাবিশ্বের সৃষ্টি: বিগ ব্যাং
বিগ ব্যাং তত্ত্ব অনুযায়ী, আজ থেকে প্রায় ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে মহাবিশ্বের শুরু হয়েছিল একটি বিশাল বিস্ফোরণের মাধ্যমে। বিজ্ঞানীরা এই বিস্ফোরণের কারণ এবং এর পরবর্তী ঘটনাগুলো নিয়ে গবেষণা করছেন। এই গবেষণাগুলো আমাদের আল্লাহর সৃষ্টি রহস্যের কাছাকাছি নিয়ে যায়।
আল্লাহর সৃষ্টির উদ্দেশ্য
আল্লাহ তাআলা এই বিশ্বজগৎ অনর্থক সৃষ্টি করেননি। এর পেছনে অবশ্যই কোনো মহৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। প্রধান উদ্দেশ্য হলো মানুষ আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে।
ইবাদতের গুরুত্ব
ইবাদত শুধু নামাজ, রোজা, হজ, যাকাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর আদেশ মেনে চলা এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করাই ইবাদত। আপনি যখন কোনো ভালো কাজ করেন, তখন সেটিও ইবাদতের অংশ।
কৃতজ্ঞতা: জীবনের মূল ভিত্তি
আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আমরা যা কিছু পাই, সবই তাঁর দয়া। তাই সবসময় তাঁর শুকরিয়া আদায় করা উচিত। কৃতজ্ঞতা আমাদের জীবনকে আরও সুন্দর ও সুখী করে তোলে।
আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন (FAQ)
আল্লাহর সৃষ্টি সেরা কেন?
আল্লাহর সৃষ্টি সেরা হওয়ার কারণ হলো এর নিখুঁত পরিকল্পনা ও সৌন্দর্য। প্রতিটি জিনিস তিনি অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে তৈরি করেছেন, যা মানুষের জ্ঞান ও বুদ্ধিকে হতবাক করে দেয়।
আল্লাহর সবচেয়ে সুন্দর সৃষ্টি কি?
এ বিষয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে, তবে মানুষ সাধারণত আল্লাহর সবচেয়ে সুন্দর সৃষ্টি হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ মানুষকে তিনি বিবেক, বুদ্ধি ও সৃজনশীলতা দিয়েছেন, যা অন্য কোনো সৃষ্টিকে দেননি। মানুষ সৃষ্টির সেরা, “আশরাফুল মাখলুকাত”।
আল্লাহ আমাদের কেন সৃষ্টি করেছেন?
আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য। এর মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারে এবং পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে পারে।
আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে আমরা কিভাবে চিন্তা করব?
আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করার জন্য প্রথমে প্রকৃতির দিকে তাকানো উচিত। আকাশ, বাতাস, মেঘ, বৃষ্টি, গাছপালা, পশুপাখি সবকিছুতেই আল্লাহর নিদর্শন বিদ্যমান। এরপর কোরআন ও হাদিসের আলোকে এই সৃষ্টি রহস্য অনুধাবন করার চেষ্টা করতে হবে।
সৃষ্টির সেরা জীব কোনটি?
কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী, সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। আল্লাহ মানুষকে জ্ঞান, বুদ্ধি ও বিবেক দিয়েছেন, যা দিয়ে তারা তাঁর সৃষ্টিকে বুঝতে পারে এবং তাঁর ইবাদত করতে পারে।
আল্লাহর সৃষ্টি বিষয়ক কিছু ক্যাপশন
- প্রকৃতির প্রতিটি রঙে আল্লাহর অপার সৃষ্টি, মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে দেখো, জীবন ভরে উঠবে আনন্দে। 🌿
- আসমানের তারারা যেন আল্লাহর হাতের নকশা, রাতের নীরবতায় খুঁজে পাই তাঁর অসীম মহিমা। ✨
- বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা আল্লাহর রহমত, হৃদয় দিয়ে অনুভব করো, শান্তি খুঁজে পাবে জীবনে। 🌧️
- পাহাড়ের উচ্চতা যেন আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক, মাথা নত করে তাঁর কাছে, খুঁজে নাও পথের দিশা। 🏔️
- সাগরের ঢেউয়ে ঢেউয়ে আল্লাহর কুদরত, প্রতিটি মুহূর্তে তিনি আছেন তোমার সাথে। 🌊
- শিশুর হাসি আল্লাহর দেওয়া পবিত্র উপহার, নিষ্পাপ মনে খুঁজে নাও জীবনের আসল মানে। 👶
- ফুলের সুবাসে আল্লাহর মহিমা, প্রতিটি পাপড়ি যেন তাঁর সৌন্দর্যের প্রকাশ। 🌸
- পাখির কলকাকলিতে আল্লাহর সৃষ্টি, মুক্ত মনে উড়তে শেখো, জীবন হবে সুন্দর। 🐦
- চাঁদের আলোয় আল্লাহর নূর, রাতের আঁধারেও তিনি পথ দেখান। 🌙
- প্রতিটি জীবের মধ্যে আল্লাহর জীবন, ভালোবাসতে শেখো, দয়া দেখাতে শেখো। 🐾
- সূর্যের আলোয় আল্লাহর উষ্ণতা, প্রতিদিন নতুন করে বাঁচতে শেখো। ☀️
- বাতাসের স্পর্শে আল্লাহর অনুভব, শান্ত হয়ে মনকে বিশ্রাম দাও। 🌬️
- তারাদের মিটিমিটি আলোয় আল্লাহর ইশারা, বিশ্বাস রাখো, তিনি আছেন সবসময়। 💫
- নদীর স্রোতে আল্লাহর গতি, জীবনকে প্রবহমান রাখো। 🏞️
- মেঘের ভেলায় আল্লাহর বার্তা, জীবনের রংধনু খুঁজে নাও। 🌈
- সবুজ ঘাসে আল্লাহর শান্তি, প্রকৃতির কোলে নিজেকে বিলীন করো। 🍀
- পাহাড়ের নীরবতায় আল্লাহর গভীরতা, নিজেকে খুঁজে বের করো। ⛰️
- সাগরের বিশালতায় আল্লাহর ক্ষমতা, সবকিছু তাঁর নিয়ন্ত্রণে। 🌍
- ফুলের সৌন্দর্যে আল্লাহর রুচি, জীবনকে সুন্দর করে সাজাও। 🌺
- পাখির ডানায় আল্লাহর মুক্তি, সকল বাধা পেরিয়ে উড়তে শেখো। 🕊️
- চাঁদের মায়ায় আল্লাহর সান্ত্বনা, দুঃখগুলো ভুলে যাও। 🌛
- প্রতিটি মানুষের মধ্যে আল্লাহর প্রতিচ্ছবি, সম্মান করতে শেখো। 👤
- নতুন দিনের শুরুতে আল্লাহর রহমত, কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলো না। 🙏
- রাতের তারায় আল্লাহর ঠিকানা, খুঁজে নাও তোমার পথ। ⭐
- বৃষ্টির গানে আল্লাহর সুর, মন ভরে শান্তি নাও। 🎶
- প্রকৃতির মাঝে আল্লাহর রূপ, মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকো। 🍃
- পাহাড়ের চূড়ায় আল্লাহর আহ্বান, সাহস করে এগিয়ে যাও। 🏞️
2