Bongo Tuner
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
Bongo Tuner
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT

অটিস্টিক শিশু কাকে বলে? লক্ষণ ও সমাধান জেনেনিন

Mushfiqur Rahman by Mushfiqur Rahman
February 21, 2025
in Education
0
অটিস্টিক শিশু কাকে বলে? লক্ষণ ও সমাধান জেনেনিন

অটিস্টিক শিশু কাকে বলে? লক্ষণ ও সমাধান জেনেনিন

0
SHARES
2
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter
ADVERTISEMENT
Get Latest Updates

অটিস্টিক শিশু: চিনে নিন আপনার কাছের মানুষটিকে

আচ্ছা, কখনো কি মনে হয়েছে আপনার পাশের শিশুটি একটু অন্যরকম? হয়তো তার কিছু বিশেষ আচরণ আছে, যা অন্যদের থেকে আলাদা। হতে পারে, সেই শিশুই অটিজমের শিকার। অটিজম নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। তাই, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রথম কাজ হলো এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা এবং অন্যদের জানাতে সাহায্য করা। আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করব “অটিস্টিক শিশু কাকে বলে” এবং এই সম্পর্কিত কিছু জরুরি বিষয় নিয়ে। তাহলে চলুন, শুরু করা যাক!

Table of Contents

Toggle
  • অটিজম কী?
    • অটিজমের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?
  • অটিস্টিক শিশু কাকে বলে?
    • অটিজম নির্ণয় করা কি জরুরি?
  • অটিজমের কারণ
    • অটিজমের জিনগত কারণ
    • পরিবেশগত কারণ
  • অটিজমের লক্ষণ ও উপসর্গ
    • বিভিন্ন বয়সে অটিজমের লক্ষণ
  • অটিজম নির্ণয় প্রক্রিয়া
    • কীভাবে অটিজম নির্ণয় করা হয়?
    • অটিজম নির্ণয়ের গুরুত্ব
  • অটিস্টিক শিশুদের জন্য পরিচর্যা ও থেরাপি
    • বিভিন্ন ধরনের থেরাপি
    • পরিবারের ভূমিকা
  • অটিজম নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা
    • কিছু সাধারণ ভুল ধারণা এবং তাদের সঠিক ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো:
  • অটিজম সচেতনতা এবং আমাদের দায়িত্ব
    • কীভাবে সচেতনতা বাড়াতে পারেন?
  • অটিস্টিক শিশুদের জন্য বাংলাদেশে সুযোগ-সুবিধা
    • বর্তমানে কী কী সুযোগ-সুবিধা আছে?
    • আরও কী করা যেতে পারে?
  • উপসংহার

অটিজম কী?

অটিজম বা অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার (Autism Spectrum Disorder – ASD) হলো মস্তিষ্কের বিকাশজনিত একটি জটিল অবস্থা। এটি কোনো রোগ নয়, বরং একটি নিউরোলজিক্যাল পার্থক্য। অটিজমের কারণে একজন ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ, আচরণ এবং আগ্রহের ক্ষেত্রে ভিন্নতা প্রদর্শন করে। “স্পেকট্রাম” শব্দটি ব্যবহার করার কারণ হলো, এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে লক্ষণ ও তীব্রতার ভিন্নতা দেখা যায়। কেউ হয়তো খুব সামান্য সমস্যায় ভুগছে, আবার কারো ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো বেশ প্রকট হতে পারে।

অটিজমের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?

অটিজমের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলোকে মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়:

  • সামাজিক যোগাযোগের দুর্বলতা: অটিস্টিক শিশুরা অন্যদের সাথে সহজে মিশতে পারে না। তারা চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে দ্বিধা বোধ করে এবং সামাজিক সম্পর্ক তৈরি করতে তাদের অসুবিধা হয়।

  • আচরণের পুনরাবৃত্তি: একই কাজ বারবার করা বা কোনো একটি জিনিসের প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ থাকা অটিজমের একটি উল্লেখযোগ্য লক্ষণ। যেমন, একটানা হাত নাড়ানো, একই শব্দ বারবার বলা অথবা বিশেষ কোনো খেলনার প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়া।

  • যোগাযোগের সমস্যা: কথা বলতে অসুবিধা হওয়া অথবা কথা বলতে না চাওয়া অটিজমের একটি সাধারণ লক্ষণ। কিছু শিশু হয়তো কথা বলতে পারলেও অন্যদের সাথে সঠিকভাবে যোগাযোগ করতে পারে না।

Read More:  প্রকল্প কাকে বলে? সহজ ভাষায় জানুন!

অটিস্টিক শিশু কাকে বলে?

এবার আসা যাক মূল প্রসঙ্গে – অটিস্টিক শিশু কাকে বলে? যে শিশুর মধ্যে অটিজমের বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যমান, তাকেই অটিস্টিক শিশু বলা হয়। তবে, একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা থেরাপিস্ট বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করেন যে শিশুটি সত্যিই অটিজমে আক্রান্ত কিনা। শুধু কয়েকটি লক্ষণ দেখে নিজে থেকে কোনো সিদ্ধান্তে আসা উচিত নয়।

অটিজম নির্ণয় করা কি জরুরি?

অবশ্যই! যত দ্রুত সম্ভব অটিজম নির্ণয় করা গেলে, সেই শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় থেরাপি এবং সহযোগিতা শুরু করা যায়। আর্লি ইন্টারভেনশন (Early Intervention) বা প্রাথমিক পরিচর্যা শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে অনেকটা এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।

অটিজমের কারণ

অটিজমের প্রকৃত কারণ এখনো পর্যন্ত স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে, বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে জিনগত এবং পরিবেশগত কারণগুলোর একটি জটিল মিশ্রণ এর জন্য দায়ী।

অটিজমের জিনগত কারণ

গবেষণায় দেখা গেছে, অটিজমের সাথে সম্পর্কিত বেশ কিছু জিন রয়েছে। যদি পরিবারের ইতিহাসে কারো অটিজম থাকে, তাহলে শিশুর মধ্যে এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

পরিবেশগত কারণ

গর্ভাবস্থায় মায়ের স্বাস্থ্য, কিছু বিশেষ সংক্রমণ এবং অন্যান্য পরিবেশগত কারণও অটিজমের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তবে, এই বিষয়ে আরো অনেক গবেষণা প্রয়োজন।

অটিজমের লক্ষণ ও উপসর্গ

অটিজমের লক্ষণগুলো শিশুদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন রূপে দেখা দিতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ লক্ষণ উল্লেখ করা হলো:

  • সামাজিক দুর্বলতা:

    • অন্যের সাথে চোখ না মেলানো।
    • নাম ধরে ডাকলে সাড়া না দেওয়া।
    • অন্য শিশুদের সাথে খেলতে না চাওয়া।
    • অনুভূতি বুঝতে না পারা।
  • যোগাযোগের সমস্যা:

    • দেরিতে কথা বলা শুরু করা অথবা কথা বলতে না পারা।
    • একই কথা বারবার বলা।
    • শারীরিক ভাষা বুঝতে অসুবিধা হওয়া।
    • অন্যের কথা বুঝতে না পারা।
  • পুনরাবৃত্তিমূলক আচরণ:

*   একই কাজ বারবার করা।
*   বিশেষ কোনো জিনিসের প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ থাকা।
*   শরীরের কোনো অংশ বারবার নাড়ানো (যেমন হাত বা আঙুল)।
*   রুটিন পরিবর্তনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানো।

বিভিন্ন বয়সে অটিজমের লক্ষণ

অটিজমের লক্ষণগুলো বিভিন্ন বয়সে বিভিন্নভাবে প্রকাশ পায়। নিচে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো:

  • শিশুকাল (০-৩ বছর):

    • চোখের দিকে না তাকানো।
    • হাসি না দেওয়া।
    • ডাকলে সাড়া না দেওয়া।
    • খেলনা দিয়ে খেলার আগ্রহ কম থাকা।
  • শৈশব (৪-১১ বছর):

    • বন্ধুত্ব করতে অসুবিধা হওয়া।
    • সামাজিক নিয়ম বুঝতে না পারা।
    • নির্দিষ্ট বিষয়ে অতিরিক্ত আগ্রহ দেখানো।
    • একই প্রশ্ন বারবার করা।
  • কৈশোর (১২-১৮ বছর):

*   সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখতে অসুবিধা হওয়া।
*   নিজেকে গুটিয়ে রাখা।
*   মানসিক চাপ সহ্য করতে না পারা।
*   আবেগ প্রকাশে সমস্যা হওয়া।

অটিজম নির্ণয় প্রক্রিয়া

অটিজম নির্ণয়ের জন্য কোনো একটি নির্দিষ্ট পরীক্ষা নেই। একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা থেরাপিস্ট শিশুর আচরণ, বিকাশ এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে অটিজম নির্ণয় করেন।

Read More:  জাবেদা কাকে বলে কত প্রকার? সহজ ভাষায় বুঝুন!

কীভাবে অটিজম নির্ণয় করা হয়?

অটিজম নির্ণয়ের জন্য সাধারণত নিম্নলিখিত প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করা হয়:

  1. পর্যবেক্ষণ: চিকিৎসক বা থেরাপিস্ট শিশুর আচরণ এবং কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করেন।
  2. সাক্ষাৎকার: বাবা-মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে কথা বলে শিশুর ইতিহাস জানা হয়।
  3. শারীরিক পরীক্ষা: শিশুর শারীরিক কোনো সমস্যা আছে কিনা, তা দেখা হয়।
  4. মানসিক পরীক্ষা: বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে শিশুর মানসিক বিকাশের স্তর মূল্যায়ন করা হয়।
  5. বিশেষজ্ঞ মতামত: প্রয়োজন অনুযায়ী নিউরোলজিস্ট (Neurologist), সাইকোলজিস্ট (Psychologist) বা স্পিচ থেরাপিস্টের (Speech Therapist) মতামত নেওয়া হয়।

অটিজম নির্ণয়ের গুরুত্ব

অটিজম নির্ণয় করা জরুরি, কারণ এর মাধ্যমে শিশুটির জন্য সঠিক পরিচর্যা এবং থেরাপির ব্যবস্থা করা যায়। দ্রুত নির্ণয় করা গেলে, শিশুর সামাজিক, আবেগিক এবং শিক্ষাগত বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলা সম্ভব।

অটিস্টিক শিশুদের জন্য পরিচর্যা ও থেরাপি

অটিস্টিক শিশুদের জন্য সঠিক পরিচর্যা এবং থেরাপি তাদের স্বাভাবিক জীবনে উন্নতি আনতে সহায়ক হতে পারে।

বিভিন্ন ধরনের থেরাপি

অটিস্টিক শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের থেরাপি রয়েছে, যা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করা হয়। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য থেরাপি উল্লেখ করা হলো:

  • স্পিচ থেরাপি (Speech Therapy): এই থেরাপি শিশুদের কথা বলা এবং যোগাযোগ করার দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • অকুপেশনাল থেরাপি (Occupational Therapy): দৈনন্দিন জীবনের কাজগুলো (যেমন: খাওয়া, পরা, লেখা) শেখানোর জন্য এই থেরাপি ব্যবহার করা হয়।
  • বিহেভিয়ার থেরাপি (Behavior Therapy): অবাঞ্ছিত আচরণ কমানো এবং ভালো আচরণ শেখানোর জন্য এই থেরাপি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, অ্যাप्लाइड বিহেভিয়ার অ্যানালাইসিস (Applied Behavior Analysis – ABA) একটি বহুল ব্যবহৃত বিহেভিয়ার থেরাপি।
  • প্লে থেরাপি (Play Therapy): খেলার মাধ্যমে শিশুদের আবেগ এবং অনুভূতি প্রকাশ করতে সাহায্য করা হয়।

পরিবারের ভূমিকা

অটিস্টিক শিশুদের পরিচর্যায় পরিবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা, ভালোবাসা এবং ধৈর্য শিশুদের উন্নতিতে সহায়ক হতে পারে।

  • ধৈর্যশীল হোন: অটিস্টিক শিশুদের শেখাতে এবং বুঝতে সময় লাগতে পারে। তাই ধৈর্য ধরে তাদের পাশে থাকুন।
  • ভালোবাসা ও সমর্থন: তাদের প্রতি আপনার ভালোবাসা এবং সমর্থন দেখান। তাদের ছোট ছোট সাফল্যেও উৎসাহিত করুন।
  • যোগাযোগ রক্ষা করুন: থেরাপিস্ট এবং শিক্ষকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন, যাতে শিশুর উন্নতি সম্পর্কে জানতে পারেন।
  • রুটিন মেনে চলুন: অটিস্টিক শিশুরা রুটিন পছন্দ করে। তাই তাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলতে সাহায্য করুন।
Read More:  নৃগোষ্ঠী কাকে বলে? সহজ ভাষায় বুঝুন!

অটিজম নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা

আমাদের সমাজে অটিজম নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। এই ভুল ধারণাগুলো দূর করা জরুরি, যাতে আমরা অটিস্টিক শিশুদের প্রতি আরও সংবেদনশীল হতে পারি।

কিছু সাধারণ ভুল ধারণা এবং তাদের সঠিক ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো:

  • ভুল ধারণা: অটিজম একটি মানসিক রোগ।

    • সঠিক ব্যাখ্যা: অটিজম কোনো মানসিক রোগ নয়, এটি মস্তিষ্কের বিকাশজনিত একটি নিউরোলজিক্যাল অবস্থা।
  • ভুল ধারণা: অটিস্টিক শিশুরা বোকা বা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হয়।

    • সঠিক ব্যাখ্যা: অটিস্টিক শিশুদের বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিক বা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশিও হতে পারে। তাদের শেখার পদ্ধতি ভিন্ন হওয়ার কারণে কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।
  • ভুল ধারণা: অটিজম ছোঁয়াচে।

*   **সঠিক ব্যাখ্যা:** অটিজম কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। এটি জিনগত এবং পরিবেশগত কারণে হতে পারে।
  • ভুল ধারণা: অটিজমের কোনো চিকিৎসা নেই।
    • সঠিক ব্যাখ্যা: অটিজমের কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকলেও, সঠিক থেরাপি এবং পরিচর্যার মাধ্যমে শিশুদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা সম্ভব।

অটিজম সচেতনতা এবং আমাদের দায়িত্ব

অটিজম নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো আমাদের সকলের দায়িত্ব। অটিস্টিক শিশুদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া এবং তাদের সমাজের মূল স্রোতে অন্তর্ভুক্ত করতে সাহায্য করা আমাদের কর্তব্য।

ADVERTISEMENT

কীভাবে সচেতনতা বাড়াতে পারেন?

  • অটিজম সম্পর্কে জানুন: নিজে জানুন এবং অন্যদের জানাতে সাহায্য করুন।
  • সংবেদনশীল হোন: অটিস্টিক শিশুদের প্রতি সংবেদনশীল হন এবং তাদের প্রয়োজনগুলো বোঝার চেষ্টা করুন।
  • সহযোগিতা করুন: অটিস্টিক শিশুদের এবং তাদের পরিবারকে সহায়তা করুন।
  • সামাজিক অনুষ্ঠানে অন্তর্ভুক্ত করুন: অটিস্টিক শিশুদের সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করুন।
  • ভুল ধারণা দূর করুন: অটিজম সম্পর্কে প্রচলিত ভুল ধারণাগুলো দূর করতে এগিয়ে আসুন।

অটিস্টিক শিশুদের জন্য বাংলাদেশে সুযোগ-সুবিধা

বাংলাদেশে অটিস্টিক শিশুদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, তবে তা যথেষ্ট নয়। এই বিষয়ে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।

বর্তমানে কী কী সুযোগ-সুবিধা আছে?

  • বিশেষ শিক্ষা স্কুল: কিছু বিশেষ শিক্ষা স্কুল রয়েছে, যেখানে অটিস্টিক শিশুদের জন্য বিশেষ শিক্ষা প্রদান করা হয়।
  • থেরাপি সেন্টার: বিভিন্ন শহরে থেরাপি সেন্টার রয়েছে, যেখানে স্পিচ থেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি এবং বিহেভিয়ার থেরাপির ব্যবস্থা আছে।
  • সরকারি উদ্যোগ: সরকার অটিস্টিক শিশুদের কল্যাণে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যেমন: বিশেষ ভাতা প্রদান এবং শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা।

আরও কী করা যেতে পারে?

  • আরও বেশি বিশেষ শিক্ষা স্কুল তৈরি করা প্রয়োজন।
  • প্রত্যেক জেলায় থেরাপি সেন্টার স্থাপন করা উচিত।
  • অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে আরও বেশি প্রচার চালানো দরকার।
  • অটিস্টিক শিশুদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা উচিত।

উপসংহার

অটিস্টিক শিশুরা আমাদের সমাজেরই অংশ। তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া, তাদের সাহায্য করা এবং তাদের সমাজের মূল স্রোতে অন্তর্ভুক্ত করতে সাহায্য করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আসুন, আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তুলি, যেখানে প্রতিটি শিশু তার সম্ভাবনা বিকাশের সুযোগ পায়। আপনার একটুখানি সহযোগিতা একটি শিশুর জীবন বদলে দিতে পারে।

যদি আপনার পরিচিত কোনো শিশুর মধ্যে অটিজমের লক্ষণ দেখেন, তাহলে দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিলে, জীবন অনেক সহজ হয়ে যায়। আর এই লেখাটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই শেয়ার করুন, যাতে অন্যরা উপকৃত হতে পারে। আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে ভুলবেন না!

Previous Post

ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তন কাকে বলে? উদাহরণ সহ!

Next Post

জুল কাকে বলে? ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা জানুন!

Mushfiqur Rahman

Mushfiqur Rahman

I am Mushfiqur Rahman Swopnil, owner of Bongo Tuner and an experienced SEO and Digital Marketing professional with a deep understanding of affiliate marketing and link building. Running my own marketing agency, I offer strategic digital solutions to boost brand visibility and drive tangible results. My extensive experience covers all aspects of online marketing, helping businesses achieve their growth objectives through data-driven SEO and effective link-building strategies.

Next Post
জুল কাকে বলে? ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা জানুন!

জুল কাকে বলে? ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা জানুন!

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন
Education

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন

by Mushfiqur Rahman
May 5, 2025
0

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য মনে করুন, পরীক্ষার আগের রাতে আপনি সব পড়ে শেষ করেছেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে...

Read more
মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

May 5, 2025
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

May 5, 2025
ADVERTISEMENT
Bongo Tuner

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Navigate Site

  • Home
  • About Us
  • Privacy Policy
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy

Follow Us

No Result
View All Result
  • About Us
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy
  • Privacy Policy

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Table of Contents

×
  • অটিজম কী?
    • অটিজমের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?
  • অটিস্টিক শিশু কাকে বলে?
    • অটিজম নির্ণয় করা কি জরুরি?
  • অটিজমের কারণ
    • অটিজমের জিনগত কারণ
    • পরিবেশগত কারণ
  • অটিজমের লক্ষণ ও উপসর্গ
    • বিভিন্ন বয়সে অটিজমের লক্ষণ
  • অটিজম নির্ণয় প্রক্রিয়া
    • কীভাবে অটিজম নির্ণয় করা হয়?
    • অটিজম নির্ণয়ের গুরুত্ব
  • অটিস্টিক শিশুদের জন্য পরিচর্যা ও থেরাপি
    • বিভিন্ন ধরনের থেরাপি
    • পরিবারের ভূমিকা
  • অটিজম নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা
    • কিছু সাধারণ ভুল ধারণা এবং তাদের সঠিক ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো:
  • অটিজম সচেতনতা এবং আমাদের দায়িত্ব
    • কীভাবে সচেতনতা বাড়াতে পারেন?
  • অটিস্টিক শিশুদের জন্য বাংলাদেশে সুযোগ-সুবিধা
    • বর্তমানে কী কী সুযোগ-সুবিধা আছে?
    • আরও কী করা যেতে পারে?
  • উপসংহার
← সূচিপত্র দেখুন