Bongo Tuner
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
Bongo Tuner
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT

আয়নিক ও সমযোজী বন্ধন কাকে বলে? উদাহরণ সহ!

Mushfiqur Rahman by Mushfiqur Rahman
February 23, 2025
in Education
0
আয়নিক ও সমযোজী বন্ধন কাকে বলে? উদাহরণ সহ!

আয়নিক ও সমযোজী বন্ধন কাকে বলে? উদাহরণ সহ!

0
SHARES
1
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter
ADVERTISEMENT
Get Latest Updates

আয়নিক ও সমযোজী বন্ধন: রসায়নের মজার খেলা!

কেমিস্ট্রি ক্লাসে বন্ধন (Bonding) শব্দটা শুনলেই কেমন যেন একটা জটিল অনুভূতি হয়, তাই না? মনে হয় যেন কত কঠিন একটা বিষয়! কিন্তু বিশ্বাস করুন, আয়নিক ও সমযোজী বন্ধন আসলে তেমন কঠিন কিছুই নয়। বরং এগুলো যেন রসায়নের মজার খেলা! আসুন, সহজ ভাষায় এই বন্ধনগুলো সম্পর্কে জেনে নিই। আপনি যদি রসায়নের ছাত্র হন বা রসায়নের প্রতি আগ্রহী হন, তাহলে এই ব্লগ পোস্টটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

Table of Contents

Toggle
  • আয়নিক বন্ধন (Ionic Bond) কি?
    • আয়নিক বন্ধন কিভাবে গঠিত হয়?
      • উদাহরণ: সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)
    • আয়নিক যৌগের বৈশিষ্ট্য
  • সমযোজী বন্ধন (Covalent Bond) কি?
    • সমযোজী বন্ধন কিভাবে গঠিত হয়?
      • উদাহরণ: পানি (H₂O)
    • সমযোজী যৌগের বৈশিষ্ট্য
  • আয়নিক ও সমযোজী বন্ধনের মধ্যে পার্থক্য
  • আয়নিক ও সমযোজী বন্ধনের গুরুত্ব
  • কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)
    • আয়নিক বন্ধন কখন গঠিত হয়?
    • সমযোজী বন্ধন কখন গঠিত হয়?
    • কোন বন্ধন বেশি শক্তিশালী?
    • পোলার সমযোজী বন্ধন (Polar Covalent Bond) কি?
    • ধাতব বন্ধন (Metallic Bond) কি?
  • আয়নিক ও সমযোজী বন্ধন চেনার উপায় কি?
    • তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য (Electronegativity Difference):
    • গলনাঙ্ক এবং স্ফুটনাঙ্ক (Melting and Boiling Points):
    • দ্রবণীয়তা (Solubility):
    • বিদ্যুৎ পরিবাহিতা (Electrical Conductivity):
  • আয়নিক ও সমযোজী যৌগের নামকরণ কিভাবে করা হয়?
    • আয়নিক যৌগের নামকরণ:
    • সমযোজী যৌগের নামকরণ:
  • শেষ কথা

আয়নিক বন্ধন (Ionic Bond) কি?

আয়নিক বন্ধন হলো দুটি বিপরীত চার্জযুক্ত আয়ন (Ion) এর মধ্যে তৈরি হওয়া আকর্ষণ বলের মাধ্যমে গঠিত রাসায়নিক বন্ধন। সোজা ভাষায় বললে, যখন একটি পরমাণু (Atom) অন্য পরমাণুকে ইলেক্ট্রন দেয় এবং দুজনের মধ্যে একটা ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়, সেটাই আয়নিক বন্ধন। এই ভালোবাসার কারণ হলো একটি পজিটিভ (+) এবং অন্যটি নেগেটিভ (-) চার্জে চার্জিত হওয়া।

আয়নিক বন্ধন কিভাবে গঠিত হয়?

আয়নিক বন্ধন সাধারণত ধাতু (Metal) এবং অধাতু (Non-metal) এর মধ্যে গঠিত হয়। ধাতুগুলো সাধারণত ইলেক্ট্রন ত্যাগ করে পজিটিভ আয়নে পরিণত হয়, আর অধাতুগুলো ইলেক্ট্রন গ্রহণ করে নেগেটিভ আয়নে পরিণত হয়। এই পজিটিভ ও নেগেটিভ আয়নের মধ্যে আকর্ষণ বলের সৃষ্টি হয়, যা আয়নিক বন্ধন তৈরি করে।

উদাহরণ: সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)

সোডিয়াম (Na) একটি ধাতু এবং ক্লোরিন (Cl) একটি অধাতু। সোডিয়ামের শেষ কক্ষপথে একটি ইলেক্ট্রন থাকে, যা সে সহজে ত্যাগ করতে পারে। ক্লোরিনের শেষ কক্ষপথে সাতটি ইলেক্ট্রন থাকে, তাই তার একটি ইলেক্ট্রন প্রয়োজন। যখন সোডিয়াম একটি ইলেক্ট্রন ক্লোরিনকে দেয়, তখন সোডিয়াম পজিটিভ আয়ন (Na+) এবং ক্লোরিন নেগেটিভ আয়ন (Cl-) এ পরিণত হয়। এই Na+ এবং Cl- এর মধ্যে আকর্ষণ বলের ফলে সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) গঠিত হয়। আর আমরা সবাই জানি, NaCl হলো আমাদের খাবার লবণ!

Read More:  [মরীচিকা কাকে বলে] - রহস্যভেদ! জানুন এখানে

আয়নিক যৌগের বৈশিষ্ট্য

আয়নিক যৌগের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা এদেরকে অন্যান্য যৌগ থেকে আলাদা করে:

  • উচ্চ গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক: আয়নিক যৌগের কণাগুলোর মধ্যে শক্তিশালী আকর্ষণ বল থাকায় এদের গলতে বা ফুটতে অনেক বেশি তাপের প্রয়োজন হয়।
  • কঠিন অবস্থা: সাধারণ তাপমাত্রায় আয়নিক যৌগগুলো কঠিন অবস্থায় থাকে।
  • পানিতে দ্রবণীয়: অনেক আয়নিক যৌগ পানিতে সহজে দ্রবীভূত হতে পারে।
  • বিদ্যুৎ পরিবাহী: গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় আয়নিক যৌগ বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে, কিন্তু কঠিন অবস্থায় পারে না।

সমযোজী বন্ধন (Covalent Bond) কি?

সমযোজী বন্ধন হলো দুটি পরমাণু (Atom) এর মধ্যে ইলেক্ট্রন শেয়ার করার মাধ্যমে গঠিত রাসায়নিক বন্ধন। এখানে কেউ কাউকে ইলেক্ট্রন দেয় না, বরং দুজনেই সমানভাবে ইলেক্ট্রন ব্যবহার করে। মনে করুন, আপনার কাছে একটি চকলেট আছে এবং আপনার বন্ধুর কাছেও একটি চকলেট আছে। আপনারা যদি চান, তাহলে দুজন মিলে একটি চকলেট শেয়ার করে খেতে পারেন। সমযোজী বন্ধন অনেকটা সেরকমই!

সমযোজী বন্ধন কিভাবে গঠিত হয়?

সমযোজী বন্ধন সাধারণত দুটি অধাতু (Non-metal) পরমাণুর মধ্যে গঠিত হয়। উভয় পরমাণুই তাদের শেষ কক্ষপথ (Outer Shell) পূরণ করার জন্য ইলেক্ট্রন শেয়ার করে।

উদাহরণ: পানি (H₂O)

জলের অণু (Molecule) কিভাবে গঠিত হয়, জানেন তো? অক্সিজেনের (O) শেষ কক্ষপথে ৬টি ইলেক্ট্রন থাকে, আর হাইড্রোজেনের (H) শেষ কক্ষপথে ১টি ইলেক্ট্রন থাকে। অক্সিজেনের ২টি ইলেক্ট্রন প্রয়োজন, যা সে ২টি হাইড্রোজেন পরমাণুর সাথে শেয়ার করে নেয়। ফলে অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন উভয়েরই শেষ কক্ষপথ পূর্ণ হয় এবং H₂O গঠিত হয়।

সমযোজী যৌগের বৈশিষ্ট্য

সমযোজী যৌগের কিছু বৈশিষ্ট্য নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • নিন্ম গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক: এদের মধ্যে আকর্ষণ বল তুলনামূলকভাবে দুর্বল হওয়ায় এদের গলতে বা ফুটতে কম তাপের প্রয়োজন হয়।
  • নরম অবস্থা: অনেক সমযোজী যৌগ সাধারণ তাপমাত্রায় গ্যাসীয় বা তরল অবস্থায় থাকে। কিছু কঠিন পদার্থও নরম প্রকৃতির হয়।
  • পানিতে অদ্রবণীয়: বেশিরভাগ সমযোজী যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হয় না, তবে কিছু কিছু যৌগ যেমন চিনি (Sugar) পানিতে দ্রবীভূত হতে পারে।
  • বিদ্যুৎ অপরিবাহী: সাধারণত সমযোজী যৌগ বিদ্যুৎ পরিবহন করে না।

আয়নিক ও সমযোজী বন্ধনের মধ্যে পার্থক্য

আয়নিক বন্ধন এবং সমযোজী বন্ধনের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে, যা নিচে একটি টেবিলের মাধ্যমে দেখানো হলো:

Read More:  বাহু কাকে বলে (চিত্রসহ)? প্রকারভেদ ও ব্যবহার জানুন!
বৈশিষ্ট্য আয়নিক বন্ধন সমযোজী বন্ধন
গঠন প্রক্রিয়া ইলেক্ট্রন আদান-প্রদানের মাধ্যমে গঠিত ইলেক্ট্রন শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে গঠিত
পরমাণুর ধরন ধাতু ও অধাতুর মধ্যে গঠিত অধাতুগুলোর মধ্যে গঠিত
আকর্ষণ বল শক্তিশালী স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বল তুলনামূলকভাবে দুর্বল আকর্ষণ বল
গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক উচ্চ নিন্ম
দ্রবণীয়তা পানিতে দ্রবণীয় হতে পারে সাধারণত পানিতে অদ্রবণীয়
বিদ্যুৎ পরিবাহিতা গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় পরিবাহী, কঠিন অবস্থায় নয় সাধারণত অপরিবাহী

আয়নিক ও সমযোজী বন্ধনের গুরুত্ব

আমাদের জীবনে আয়নিক এবং সমযোজী বন্ধনের গুরুত্ব অনেক। এদের কারণেই পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের যৌগ গঠিত হতে পারে, যা আমাদের জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য। নিচে এদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার উল্লেখ করা হলো:

  • খাবার লবণ: খাদ্য এবং শরীরের জন্য অপরিহার্য। (আয়নিক যৌগ)
  • পানি: জীবনের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। (সমযোজী যৌগ)
  • চিনি: খাদ্য এবং শক্তির উৎস। (সমযোজী যৌগ)
  • ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (CaCO3 ): যা আমাদের হাড় ও দাঁতের অন্যতম উপাদান। (আয়নিক যৌগ)
  • মিথেন (CH4): যা প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান এবং জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। (সমযোজী যৌগ)

কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)

আয়নিক ও সমযোজী বন্ধন নিয়ে আপনাদের মনে কিছু প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। নিচে কয়েকটি সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:

আয়নিক বন্ধন কখন গঠিত হয়?

আয়নিক বন্ধন সাধারণত ধাতু এবং অধাতুর মধ্যে গঠিত হয়, যখন একটি পরমাণু অন্য পরমাণুকে ইলেক্ট্রন দিয়ে দেয়।

সমযোজী বন্ধন কখন গঠিত হয়?

সমযোজী বন্ধন সাধারণত দুটি অধাতু পরমাণুর মধ্যে গঠিত হয়, যখন তারা ইলেক্ট্রন শেয়ার করে নিজেদের শেষ কক্ষপথ পূর্ণ করে।

কোন বন্ধন বেশি শক্তিশালী?

সাধারণভাবে, আয়নিক বন্ধন সমযোজী বন্ধনের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়, কারণ এখানে ইলেক্ট্রন সম্পূর্ণরূপে আদান-প্রদান হয় এবং শক্তিশালী স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বল কাজ করে। তবে, কিছু ব্যতিক্রমও আছে।

পোলার সমযোজী বন্ধন (Polar Covalent Bond) কি?

পোলার সমযোজী বন্ধন হলো সেই বন্ধন, যেখানে ইলেক্ট্রনগুলো সমানভাবে শেয়ার করা হয় না। একটি পরমাণু ইলেক্ট্রনগুলোকে নিজের দিকে বেশি টানে, ফলে আংশিক চার্জের সৃষ্টি হয়। যেমন, জলের অণুতে অক্সিজেন হাইড্রোজেনের চেয়ে বেশি তড়িৎ ঋণাত্মক হওয়ায় ইলেক্ট্রনগুলো অক্সিজেনের দিকে বেশি আকৃষ্ট হয়।

ADVERTISEMENT

ধাতব বন্ধন (Metallic Bond) কি?

ধাতব বন্ধন হলো ধাতব পরমাণুগুলোর মধ্যে গঠিত এক ধরনের রাসায়নিক বন্ধন। এখানে পরমাণুগুলো তাদের ভ্যালেন্স ইলেক্ট্রনগুলোকে একটি “ইলেক্ট্রনের সমুদ্র”-এ ছেড়ে দেয়, যা সমস্ত পরমাণুকে একত্রে ধরে রাখে।

আয়নিক ও সমযোজী বন্ধন চেনার উপায় কি?

তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য (Electronegativity Difference):

দুটি পরমাণুর মধ্যে তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য দেখে বোঝা যায় সেটি আয়নিক নাকি সমযোজী বন্ধন। যদি এই পার্থক্য 1.7 এর বেশি হয়, তবে সেটি সাধারণত আয়নিক বন্ধন হয়। আর যদি পার্থক্য কম হয়, তবে সেটি সমযোজী বন্ধন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

  • যেমন, সোডিয়াম ক্লোরাইডের (NaCl) ক্ষেত্রে সোডিয়ামের তড়িৎ ঋণাত্মকতা 0.93 এবং ক্লোরিনের 3.16। পার্থক্য হলো 2.23, যা 1.7 এর বেশি। তাই এটি আয়নিক বন্ধন।
  • অন্যদিকে, জলের (H₂O) ক্ষেত্রে অক্সিজেনের তড়িৎ ঋণাত্মকতা 3.44 এবং হাইড্রোজেনের 2.20। পার্থক্য হলো 1.24, যা 1.7 এর কম। তাই এটি সমযোজী বন্ধন।
Read More:  সমিতি কাকে বলে? প্রকারভেদ ও গঠনতন্ত্র জানুন!

গলনাঙ্ক এবং স্ফুটনাঙ্ক (Melting and Boiling Points):

আয়নিক যৌগের গলনাঙ্ক এবং স্ফুটনাঙ্ক সাধারণত সমযোজী যৌগের চেয়ে বেশি হয়। এর কারণ হলো আয়নিক বন্ধন অনেক শক্তিশালী হয়, যা ভাঙতে বেশি তাপশক্তির প্রয়োজন।

দ্রবণীয়তা (Solubility):

আয়নিক যৌগ সাধারণত পোলার দ্রাবকে (যেমন পানি) দ্রবণীয় হয়, কিন্তু অপোলার দ্রাবকে (যেমন বেনজিন) দ্রবণীয় নয়। অন্যদিকে, সমযোজী যৌগ অপোলার দ্রাবকে দ্রবণীয় হতে পারে, কিন্তু পোলার দ্রাবকে তেমন দ্রবণীয় হয় না।

বিদ্যুৎ পরিবাহিতা (Electrical Conductivity):

আয়নিক যৌগ কঠিন অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে না, কিন্তু গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে। সমযোজী যৌগ সাধারণত বিদ্যুৎ পরিবহন করে না।

আয়নিক ও সমযোজী যৌগের নামকরণ কিভাবে করা হয়?

আয়নিক ও সমযোজী যৌগের নামকরণের নিয়মগুলো নিচে দেওয়া হলো:

আয়নিক যৌগের নামকরণ:

  • ধাতুর নাম অপরিবর্তিত থাকে: প্রথমে ধাতুর নাম লিখতে হয়। যেমন: সোডিয়াম ক্লোরাইড (Sodium Chloride) এর ক্ষেত্রে সোডিয়ামের নাম অপরিবর্তিত আছে।
  • অধাতুর নামের শেষে “াইড” (-ide) যুক্ত হয়: অধাতুর নামের শেষে “াইড” যুক্ত করতে হয়। যেমন: ক্লোরিন থেকে ক্লোরাইড (Chloride), অক্সিজেন থেকে অক্সাইড (Oxide)।
  • বহু-পারমাণবিক আয়ন: যদি যৌগে বহু-পারমাণবিক আয়ন থাকে, তবে তাদের নাম অপরিবর্তিত থাকে। যেমন: সোডিয়াম সালফেট (Sodium Sulfate), পটাশিয়াম নাইট্রেট (Potassium Nitrate)।
  • ধাতুর একাধিক জারণ অবস্থা: যদি কোনো ধাতুর একাধিক জারণ অবস্থা থাকে, তবে তার জারণ সংখ্যা বন্ধনীর মধ্যে রোমান সংখ্যায় লিখতে হয়। যেমন: আয়রন(II) ক্লোরাইড (Iron(II) Chloride) – FeCl2, আয়রন(III) ক্লোরাইড (Iron(III) Chloride) – FeCl3।

সমযোজী যৌগের নামকরণ:

  • উপসর্গ ব্যবহার: যৌগের নামকরণে পরমাণুর সংখ্যা বোঝানোর জন্য কিছু উপসর্গ ব্যবহার করা হয়। নিচে কয়েকটি উপসর্গ দেওয়া হলো:

    • 1 – মনো (Mono)
    • 2 – ডাই (Di)
    • 3 – ট্রাই (Tri)
    • 4 – টেট্রা (Tetra)
    • 5 – পেন্টা (Penta)
  • প্রথম মৌলের নাম: সাধারণত, যে মৌলটি তুলনামূলকভাবে কম তড়িৎ ঋণাত্মক, সেটির নাম প্রথমে লিখতে হয়।

  • দ্বিতীয় মৌলের নামের শেষে “াইড” যুক্ত হয়: দ্বিতীয় মৌলের নামের শেষে “াইড” যুক্ত করতে হয়। যেমন: ডাইহাইড্রোজেন মনোক্সাইড (Dihydrogen Monoxide) – H2O, কার্বন ডাইঅক্সাইড (Carbon Dioxide) – CO2।

  • মনো উপসর্গ প্রথম মৌলের ক্ষেত্রে সাধারণত ব্যবহার করা হয় না: যদি প্রথম মৌলের পরমাণুর সংখ্যা ১ হয়, তবে “মনো” উপসর্গ ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। যেমন: কার্বন মনোক্সাইড না লিখে শুধু কার্বন অক্সাইড (Carbon Oxide) লেখা হয়।

আশা করি, এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই আয়নিক ও সমযোজী যৌগের নামকরণ করতে পারবেন।

শেষ কথা

আয়নিক ও সমযোজী বন্ধন রসায়নের একেবারে বেসিক বিষয়। এই বন্ধনগুলো কিভাবে গঠিত হয়, এদের বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি, এবং এদের ব্যবহার সম্পর্কে জানলে রসায়ন বুঝতে অনেক সুবিধা হবে।

কেমিস্ট্রি নিয়ে আরও জানতে চান? তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন। আর হ্যাঁ, আপনার বন্ধুদের সাথে এই ব্লগ পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না! কারণ জ্ঞান বিতরণে বাড়ে!

Previous Post

গদ্য কাকে বলে? সহজ ভাষায় গদ্যের সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ

Next Post

সার্কিট কাকে বলে? প্রকারভেদ ও ব্যবহার জানুন!

Mushfiqur Rahman

Mushfiqur Rahman

I am Mushfiqur Rahman Swopnil, owner of Bongo Tuner and an experienced SEO and Digital Marketing professional with a deep understanding of affiliate marketing and link building. Running my own marketing agency, I offer strategic digital solutions to boost brand visibility and drive tangible results. My extensive experience covers all aspects of online marketing, helping businesses achieve their growth objectives through data-driven SEO and effective link-building strategies.

Next Post
সার্কিট কাকে বলে? প্রকারভেদ ও ব্যবহার জানুন!

সার্কিট কাকে বলে? প্রকারভেদ ও ব্যবহার জানুন!

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন
Education

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন

by Mushfiqur Rahman
May 5, 2025
0

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য মনে করুন, পরীক্ষার আগের রাতে আপনি সব পড়ে শেষ করেছেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে...

Read more
মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

May 5, 2025
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

May 5, 2025
ADVERTISEMENT
Bongo Tuner

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Navigate Site

  • Home
  • About Us
  • Privacy Policy
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy

Follow Us

No Result
View All Result
  • About Us
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy
  • Privacy Policy

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Table of Contents

×
  • আয়নিক বন্ধন (Ionic Bond) কি?
    • আয়নিক বন্ধন কিভাবে গঠিত হয়?
      • উদাহরণ: সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)
    • আয়নিক যৌগের বৈশিষ্ট্য
  • সমযোজী বন্ধন (Covalent Bond) কি?
    • সমযোজী বন্ধন কিভাবে গঠিত হয়?
      • উদাহরণ: পানি (H₂O)
    • সমযোজী যৌগের বৈশিষ্ট্য
  • আয়নিক ও সমযোজী বন্ধনের মধ্যে পার্থক্য
  • আয়নিক ও সমযোজী বন্ধনের গুরুত্ব
  • কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)
    • আয়নিক বন্ধন কখন গঠিত হয়?
    • সমযোজী বন্ধন কখন গঠিত হয়?
    • কোন বন্ধন বেশি শক্তিশালী?
    • পোলার সমযোজী বন্ধন (Polar Covalent Bond) কি?
    • ধাতব বন্ধন (Metallic Bond) কি?
  • আয়নিক ও সমযোজী বন্ধন চেনার উপায় কি?
    • তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য (Electronegativity Difference):
    • গলনাঙ্ক এবং স্ফুটনাঙ্ক (Melting and Boiling Points):
    • দ্রবণীয়তা (Solubility):
    • বিদ্যুৎ পরিবাহিতা (Electrical Conductivity):
  • আয়নিক ও সমযোজী যৌগের নামকরণ কিভাবে করা হয়?
    • আয়নিক যৌগের নামকরণ:
    • সমযোজী যৌগের নামকরণ:
  • শেষ কথা
← সূচিপত্র দেখুন