আচ্ছা, ভাবছেন তো, বাংলা ব্যাকরণে “ভাব বিশেষণ” জিনিসটা আসলে কী? ভয় নেই, আসুন, আমরা সহজ ভাষায়, একটু গল্প করে, আর কিছু মজার উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটা বুঝে নিই।
ভাব বিশেষণ: ক্রিয়ার বন্ধু, বাক্যের অলঙ্কার!
ভাব বিশেষণ, নামটা শুনে একটু কঠিন লাগলেও, আসলে এটা খুবই সহজ একটা বিষয়। একেবারে সহজ করে বলতে গেলে, ভাব বিশেষণ হলো সেই শব্দ, যা ক্রিয়া বা কাজের ধরন, সময়, স্থান, কারণ ইত্যাদি সম্পর্কে বিশেষ তথ্য দেয়। অনেকটা যেন আপনার বন্ধুর খবর নেওয়ার মতো! “কেমন আছিস?” – এই প্রশ্নের উত্তরে যেমন আপনি বলেন, “ভালো আছি” অথবা “মোটামুটি”, তেমনই ভাব বিশেষণ ক্রিয়াকে বিশেষিত করে।
তাহলে, ভাব বিশেষণ কী? উত্তর একটাই – ক্রিয়ার বন্ধু!
ভাব বিশেষণ: খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ
ভাব বিশেষণকে ভালোভাবে বুঝতে হলে, এর ভেতরের বিষয়গুলো একটু ঝালিয়ে নেওয়া যাক। ভাব বিশেষণ কিভাবে কাজ করে, এর প্রকারভেদগুলো কী কী, এবং বাক্যে এর ব্যবহার কেমন হয়, এইসব বিষয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
ভাব বিশেষণের সংজ্ঞা ও কাজ
ভাব বিশেষণ হলো সেই পদ বা শব্দ যা বাক্যের ক্রিয়া, বিশেষণ বা অন্য কোনো ভাব বিশেষণ পদকে বিশেষিত করে। এটি ক্রিয়াটি কীভাবে ঘটছে, কখন ঘটছে, কোথায় ঘটছে বা কেন ঘটছে, সেই সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য প্রদান করে। ভাব বিশেষণের মূল কাজ হলো ক্রিয়ার ভাব বা বৈশিষ্ট্যকে স্পষ্ট করা।
উদাহরণস্বরূপ:
- সে ধীরে ধীরে হাঁটে। (এখানে “ধীরে ধীরে” হাঁটার ধরণ বোঝাচ্ছে)
- আমি কাল বাড়ি যাব। (এখানে “কাল” যাওয়ার সময় বোঝাচ্ছে)
- বৃষ্টি জোরে পড়ছে। (এখানে “জোরে” পড়ার তীব্রতা বোঝাচ্ছে)
ভাব বিশেষণের প্রকারভেদ
ভাব বিশেষণকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন প্রকারে ভাগ করা যায়। এদের মধ্যে প্রধান কয়েকটি প্রকার হলো:
- কালবাচক ভাব বিশেষণ: এই প্রকার ভাব বিশেষণ ক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার সময় নির্দেশ করে।
- উদাহরণ: আমি এখন ভাত খাব। সে পরে আসবে।
- স্থানবাচক ভাব বিশেষণ: এই প্রকার ভাব বিশেষণ ক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার স্থান নির্দেশ করে।
- উদাহরণ: তারা সেখানে গিয়েছিল। তুমি কোথায় যাচ্ছ?
- প্রকার বা অবস্থাবাচক ভাব বিশেষণ: এই প্রকার ভাব বিশেষণ ক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার ধরণ বা অবস্থা নির্দেশ করে।
- উদাহরণ: সে দ্রুত দৌড়ায়। পাখিটি আস্তে উড়ছে।
- কারণবাচক ভাব বিশেষণ: এই প্রকার ভাব বিশেষণ ক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার কারণ নির্দেশ করে।
- উদাহরণ: জ্বরের জন্য আজ স্কুলে যাব না।
- পরিমাণবাচক ভাব বিশেষণ: এই প্রকার ভাব বিশেষণ ক্রিয়ার পরিমাণ বা মাত্রা নির্দেশ করে।
- উদাহরণ: আমি কম খাই। সে বেশি কথা বলে।
- নিশ্চয়তাবাচক ভাব বিশেষণ: এই প্রকার ভাব বিশেষণ ক্রিয়ার নিশ্চয়তা সম্পর্কে ধারণা দেয়।
- উদাহরণ: আমি অবশ্যই যাব। তিনি নিশ্চয়ই আসবেন।
- নঞর্থক ভাব বিশেষণ: এই প্রকার ভাব বিশেষণ ক্রিয়াটি না-বাচক অর্থে ব্যবহৃত হয়।
- উদাহরণ: আমি না যাব না। তিনি কখনও মিথ্যা বলেন না।
বাক্যে ভাব বিশেষণের ব্যবহার
আসুন, কয়েকটি উদাহরণের মাধ্যমে দেখা যাক বাক্যে ভাব বিশেষণ কীভাবে ব্যবহৃত হয়:
বাক্য | ভাব বিশেষণ | ভাব বিশেষণের প্রকার |
---|---|---|
লোকটি দ্রুত হেঁটে গেল। | দ্রুত | প্রকার বা অবস্থাবাচক ভাব বিশেষণ |
আমি আগামীকাল ঢাকা যাব। | আগামীকাল | কালবাচক ভাব বিশেষণ |
তোমরা কোথায় যাচ্ছ? | কোথায় | স্থানবাচক ভাব বিশেষণ |
তিনি অত্যন্ত ক্লান্ত। | অত্যন্ত | পরিমাণবাচক ভাব বিশেষণ |
লোকটি ধীরে ধীরে কথা বলছে। | ধীরে ধীরে | প্রকার বা অবস্থাবাচক ভাব বিশেষণ |
তুমি নিশ্চয়ই কাজটি পারবে। | নিশ্চয়ই | নিশ্চয়তাবাচক ভাব বিশেষণ |
ভাব বিশেষণ চেনার সহজ উপায়
ভাব বিশেষণ চেনার কিছু সহজ উপায় আছে। এই উপায়গুলো অনুসরণ করলে আপনি সহজেই বাক্যে ভাব বিশেষণ খুঁজে বের করতে পারবেন:
- ক্রিয়াকে প্রশ্ন করুন: ক্রিয়াকে “কখন”, “কোথায়”, “কীভাবে”, “কেন” ইত্যাদি প্রশ্ন করে উত্তর পাওয়া গেলে, সেই উত্তরটিই হলো ভাব বিশেষণ।
- বিশেষণের অবস্থান লক্ষ্য করুন: ভাব বিশেষণ সাধারণত ক্রিয়া, বিশেষণ বা অন্য কোনো ভাব বিশেষণের আগে বা পরে বসে।
- শব্দের অর্থ বিবেচনা করুন: ভাব বিশেষণ সাধারণত ক্রিয়ার ধরণ, স্থান, কাল, কারণ, পরিমাণ ইত্যাদি নির্দেশ করে।
উদাহরণ:
- সে গতকাল এসেছিল। (কখন এসেছিল? – গতকাল)
- তারা উপরে বসে আছে। (কোথায় বসে আছে? – উপরে)
- বৃষ্টি আস্তে পড়ছে। (কীভাবে পড়ছে? – আস্তে)
ভাব বিশেষণ এবং অন্যান্য পদের মধ্যে পার্থক্য
বাংলা ব্যাকরণে ভাব বিশেষণের পাশাপাশি অন্যান্য পদও রয়েছে, যেমন বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, অব্যয় ইত্যাদি। এই পদগুলোর মধ্যে ভাব বিশেষণকে আলাদাভাবে চেনাটা জরুরি।
ভাব বিশেষণ ও বিশেষণ
বিশেষণ পদ বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে। অন্যদিকে, ভাব বিশেষণ ক্রিয়া, বিশেষণ বা অন্য কোনো ভাব বিশেষণ পদকে বিশেষিত করে।
উদাহরণ:
- ভালো ছেলে (এখানে “ভালো” একটি বিশেষণ, যা “ছেলে” বিশেষ্য পদকে বিশেষিত করছে)
- সে ভালো গান গায় (এখানে “ভালো” একটি ভাব বিশেষণ, যা “গায়” ক্রিয়া পদকে বিশেষিত করছে)
ভাব বিশেষণ ও ক্রিয়া বিশেষণ
ক্রিয়া বিশেষণ এবং ভাব বিশেষণ মূলত একই জিনিস। ক্রিয়া বিশেষণ হলো সেই শব্দ যা ক্রিয়াকে বিশেষিত করে। ভাব বিশেষণও একই কাজ করে, তবে এটি শুধু ক্রিয়া নয়, অন্য বিশেষণ এবং ভাব বিশেষণকেও বিশেষিত করতে পারে।
ভাব বিশেষণ ও অব্যয়
অব্যয় পদ সাধারণত বাক্যের অন্য পদগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে বা কোনো ভাবের দ্যোতনা সৃষ্টি করে। অব্যয় পদের নিজস্ব কোনো অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু ভাব বিশেষণ পদের অর্থবাচকতা রয়েছে এবং এটি ক্রিয়াকে বিশেষিত করে।
উদাহরণ:
- এবং (অব্যয় পদ, যা দুটি বাক্যকে যুক্ত করে)
- সে দ্রুত দৌড়ায় (এখানে “দ্রুত” ভাব বিশেষণ, যা দৌড়ানোর ধরণ বোঝাচ্ছে)
বাস্তব জীবনে ভাব বিশেষণের ব্যবহার
ভাব বিশেষণ শুধু ব্যাকরণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও এর প্রচুর ব্যবহার রয়েছে। আমরা যখন কথা বলি বা কিছু লিখি, তখন ভাব বিশেষণ ব্যবহার করে আমাদের বক্তব্যকে আরও স্পষ্ট ও আকর্ষণীয় করে তুলি। কয়েকটা উদাহরণ দিলেই ব্যাপারটা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে:
- “আজ আকাশটা খুব সুন্দর লাগছে” – এখানে ‘খুব’ শব্দটি আকাশের সৌন্দর্যকে আরও বেশি করে প্রকাশ করছে।
- “ছেলেটি দ্রুত দৌড়াচ্ছে” – এই বাক্যে ‘দ্রুত’ শব্দটি দৌড়ানোর গতি বোঝাচ্ছে।
- “আমি ধীরে ধীরে কাজটি শেষ করব” – এখানে ‘ধীরে ধীরে’ কাজের গতি সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছে।
লক্ষ্য করে দেখুন, এই উদাহরণগুলোতে ভাব বিশেষণগুলো কীভাবে আমাদের কথা বলার ভঙ্গিকে আরও জীবন্ত করে তুলছে।
ভাব বিশেষণ নিয়ে কিছু সাধারণ ভুল ধারণা
ভাব বিশেষণ নিয়ে অনেকের মনে কিছু ভুল ধারণা কাজ করে। এই ভুল ধারণাগুলো দূর করা জরুরি, যাতে আপনারা এই বিষয়টি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারেন।
-
ভুল ধারণা ১: ভাব বিশেষণ শুধু ক্রিয়ার সঙ্গেই বসে।
-
আসলে, ভাব বিশেষণ শুধু ক্রিয়া নয়, অন্য বিশেষণ এবং ভাব বিশেষণকেও বিশেষিত করতে পারে।
-
উদাহরণ: “সে খুব ভালো গান গায়।” এখানে ‘খুব’ শব্দটি ‘ভালো’ বিশেষণকে বিশেষিত করছে।
-
-
ভুল ধারণা ২: সব বিশেষণই ভাব বিশেষণ।
-
সব বিশেষণ ভাব বিশেষণ নয়। বিশেষণ বিশেষ্য বা সর্বনামকে বিশেষিত করে, অন্যদিকে ভাব বিশেষণ ক্রিয়া, বিশেষণ বা অন্য ভাব বিশেষণকে বিশেষিত করে।
-
উদাহরণ: “সুন্দর ফুল।” এখানে ‘সুন্দর’ বিশেষণ, কিন্তু “সে সুন্দর গান গায়” এখানে ‘সুন্দর’ ভাব বিশেষণ।
-
-
ভুল ধারণা ৩: ভাব বিশেষণ চেনা খুব কঠিন।
* ভাব বিশেষণ চেনা কঠিন নয়। ক্রিয়াকে 'কখন', 'কোথায়', 'কীভাবে', 'কেন' ইত্যাদি প্রশ্ন করে উত্তর পাওয়া গেলে, সেটিই ভাব বিশেষণ।
ভাব বিশেষণ: কিছু মজার উদাহরণ
ব্যাকরণের জটিল বিষয়গুলো মজার ছলে শিখলে, তা সহজে মনে থাকে। তাই ভাব বিশেষণকে আরও একটু মজার করে দেখা যাক।
-
ধরুন, আপনি আপনার বন্ধুকে বলছেন, “দোস্ত, আজ আমি দারুণ একটা সিনেমা দেখলাম!” এখানে “দারুণ” শব্দটা ভাব বিশেষণ, যা সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতাকে বিশেষিত করছে।
-
কিংবা ধরুন, মা বলছেন, “বাবু, তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ো।” এখানে “তাড়াতাড়ি” শব্দটা ঘুমানোর সময়কে নির্দেশ করছে।
-
আবার, প্রেমিক প্রেমিকার উদ্দেশ্যে বলছে, “আমি তোমাকে অত্যন্ত ভালোবাসি।” এখানে “অত্যন্ত” শব্দটা ভালোবাসার গভীরতা বোঝাচ্ছে।
এই উদাহরণগুলো প্রমাণ করে, ভাব বিশেষণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কথাবার্তাকে কতটা প্রাণবন্ত করে তোলে।
ভাব বিশেষণ: পরীক্ষার প্রস্তুতি
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভাব বিশেষণ থেকে প্রশ্ন আসতে দেখা যায়। তাই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়াটাও জরুরি।
- প্রথমত, ভাব বিশেষণের সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ ভালোভাবে জানতে হবে।
- দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে বাক্য গঠন করে ভাব বিশেষণ চিহ্নিত করতে শিখতে হবে।
- তৃতীয়ত, বিগত বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান করে পরীক্ষার ধরণ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
কিছু নমুনা প্রশ্ন:
১. “সে ধীরে ধীরে হাঁটে” – এই বাক্যে ভাব বিশেষণ কোনটি?
* (ক) সে
* (খ) ধীরে ধীরে
* (গ) হাঁটে
* (ঘ) কোনোটিই নয়
২. “আমি কাল যাব” – এখানে “কাল” কোন প্রকার ভাব বিশেষণ?
* (ক) স্থানবাচক
* (খ) কালবাচক
* (গ) প্রকারবাচক
* (ঘ) কারণবাচক
ভাব বিশেষণ: মনে রাখার সহজ কৌশল
ভাব বিশেষণ মনে রাখার জন্য কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করতে পারেন:
-
ছন্দ তৈরি করুন: ভাব বিশেষণ দিয়ে ছোট ছোট ছন্দ তৈরি করে মুখস্থ করুন। যেমন, “আস্তে হাঁটো, ধীরে চলো, সাবধানে পথ দেখো।”
-
ছবি ব্যবহার করুন: ভাব বিশেষণের ধারণাগুলোকে ছবির মাধ্যমে মনে রাখার চেষ্টা করুন। যেমন, একটি দ্রুতগামী গাড়ির ছবি দিয়ে “দ্রুত” ভাব বিশেষণটি মনে রাখতে পারেন।
-
গল্প তৈরি করুন: ভাব বিশেষণ ব্যবহার করে মজার গল্প তৈরি করুন এবং সেই গল্পের মাধ্যমে ধারণাটি মনে রাখার চেষ্টা করুন।
ভাব বিশেষণ: আধুনিক ব্যবহার
আধুনিক যুগে ভাব বিশেষণের ব্যবহার আরও বেড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ভাব বিশেষণ ব্যবহার করে মানুষ তাদের মতামত ও অনুভূতি প্রকাশ করছে।
-
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার সময় আমরা লিখি, “আজ মনটা খুবই খারাপ লাগছে।” এখানে “খুবই” শব্দটি খারাপ লাগার তীব্রতা বোঝাচ্ছে।
-
টুইটারে কোনো বিষয়ে মন্তব্য করার সময় আমরা লিখি, “বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত।” এখানে “অবশ্যই” শব্দটি নিশ্চিতভাবে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছে।
এগুলো প্রমাণ করে, ভাব বিশেষণ আধুনিক জীবনেও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।
ভাব বিশেষণ – আপনার জিজ্ঞাস্য (FAQ)
ভাব বিশেষণ নিয়ে আপনাদের মনে কিছু প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি:
১. ভাব বিশেষণ কাকে বলে?
ভাব বিশেষণ হলো সেই শব্দ যা ক্রিয়া, বিশেষণ বা অন্য কোনো ভাব বিশেষণ পদকে বিশেষিত করে।
২. ভাব বিশেষণের প্রকারভেদগুলো কী কী?
ভাব বিশেষণকে প্রধানত কালবাচক, স্থানবাচক, প্রকারবাচক, কারণবাচক, পরিমাণবাচক, নিশ্চয়তাবাচক এবং নঞর্থক এই কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়।
৩. বাক্যে ভাব বিশেষণ চেনার উপায় কী?
ক্রিয়াকে “কখন”, “কোথায়”, “কীভাবে”, “কেন” ইত্যাদি প্রশ্ন করে উত্তর পাওয়া গেলে, সেই উত্তরটিই হলো ভাব বিশেষণ।
৪. ক্রিয়া বিশেষণ ও ভাব বিশেষণের মধ্যে পার্থক্য কী?
ক্রিয়া বিশেষণ শুধু ক্রিয়াকে বিশেষিত করে, অন্যদিকে ভাব বিশেষণ ক্রিয়া, বিশেষণ ও অন্য ভাব বিশেষণকেও বিশেষিত করতে পারে। তবে, সাধারণভাবে এদের একই অর্থে ব্যবহার করা হয়।
৫. ভাব বিশেষণ কি শুধু ব্যাকরণে ব্যবহৃত হয়?
না, ভাব বিশেষণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও ব্যবহৃত হয় এবং আমাদের বক্তব্যকে আরও স্পষ্ট ও আকর্ষণীয় করে তোলে।
শেষ কথা: ভাবুক হোন, ভাব বিশেষণ চিনুন!
ভাব বিশেষণ নিয়ে এতক্ষণের আলোচনা নিশ্চয়ই আপনার কাছে বিষয়টি সহজ করে দিয়েছে। বাংলা ব্যাকরণের এই মজার অংশটি ভালোভাবে বুঝলে, আপনার ভাষার ব্যবহার আরও সুন্দর ও সমৃদ্ধ হবে। তাই, ভাবুক হোন, ভাব বিশেষণ চিনুন, আর ভাষাকে আরও ভালোবাসুন!