Bongo Tuner
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
Bongo Tuner
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT

Cell কাকে বলে? গঠন ও প্রকারভেদ জানুন

Mushfiqur Rahman by Mushfiqur Rahman
February 24, 2025
in Education
0
Cell কাকে বলে? গঠন ও প্রকারভেদ জানুন

Cell কাকে বলে? গঠন ও প্রকারভেদ জানুন

0
SHARES
0
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter
ADVERTISEMENT
Get Latest Updates

শুরুতেই একটা প্রশ্ন করি, আপনি কি কখনও Lego দিয়ে কিছু বানিয়েছেন? ছোট ছোট ব্লক জুড়ে যেমন একটা বিশাল structure তৈরি হয়, অনেকটা তেমনই আমাদের শরীর তৈরি হয়েছে অসংখ্য ছোট ছোট জিনিস দিয়ে। এদেরকেই আমরা বলি কোষ বা cell। আসুন, কোষের এই মজার জগতে একটু ঘুরে আসি!

Table of Contents

Toggle
  • কোষ কী? (Cell Kake Bole?)
    • কোষের সংজ্ঞা (Definition of Cell)
    • কোষের আবিষ্কারের ইতিহাস (History of Cell Discovery)
  • কোষের প্রকারভেদ (Types of Cells)
    • প্রোক্যারিওটিক কোষ (Prokaryotic Cell)
      • প্রোক্যারিওটিক কোষের বৈশিষ্ট্য (Features of Prokaryotic Cell)
    • ইউক্যারিওটিক কোষ (Eukaryotic Cell)
      • ইউক্যারিওটিক কোষের বৈশিষ্ট্য (Features of Eukaryotic Cell)
    • প্রোক্যারিওটিক ও ইউক্যারিওটিক কোষের মধ্যে পার্থক্য (Difference Between Prokaryotic and Eukaryotic Cells)
  • কোষের গঠন (Cell Structure)
    • কোষ প্রাচীর (Cell Wall)
    • কোষ ঝিল্লি (Cell Membrane)
    • সাইটোপ্লাজম (Cytoplasm)
    • নিউক্লিয়াস (Nucleus)
    • মাইটোকন্ড্রিয়া (Mitochondria)
    • গলগি বডি (Golgi Body)
    • এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম (Endoplasmic Reticulum)
    • রাইবোসোম (Ribosome)
    • লাইসোসোম (Lysosome)
    • ভ্যাকুওল (Vacuole)
  • কোষের কাজ (Functions of Cell)
  • মানবদেহে কোষ (Cells in Human Body)
  • উদ্ভিদ কোষ (Plant Cell) বনাম প্রাণী কোষ (Animal Cell)
  • কোষ বিভাজন (Cell Division)
    • কোষ বিভাজনের গুরুত্ব (Importance of Cell Division)
  • কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (Frequently Asked Questions – FAQs)
    • ১. কোষ কি খালি চোখে দেখা যায়?
    • ২. সবচেয়ে ছোট কোষ কোনটি?
    • ৩. মানবদেহের বৃহত্তম কোষ কোনটি?
    • ৪. কোষের প্রকারভেদগুলো কী কী?
    • ৫. কোষের প্রধান কাজগুলো কী?
    • ৬. কোষ বিভাজন কত প্রকার ও কী কী?
    • ৭. কোষের আবিষ্কারক কে?
    • ৮. কোষ তত্ত্বের মূল কথাগুলো কী কী?
    • ৯. মানব শরীরে কত প্রকার কোষ আছে?
    • ১০. কোষের মধ্যে DNA কোথায় থাকে?
  • উপসংহার (Conclusion)

কোষ কী? (Cell Kake Bole?)

কোষ হলো জীবন্ত সত্তার মৌলিক একক। সহজ ভাষায়, আপনার শরীর, আমার শরীর, একটা গাছের শরীর – সবকিছুই অসংখ্য ছোট ছোট কোষ দিয়ে তৈরি। এগুলো এতটাই ছোট যে খালি চোখে দেখা যায় না, দেখতে মাইক্রোস্কোপ লাগে। কোষগুলো শরীরের গঠন তৈরি করে, শক্তি উৎপাদন করে, বংশগতি ধরে রাখে – মানে জীবনের সবকিছুই এদের নিয়ন্ত্রণে!

কোষের সংজ্ঞা (Definition of Cell)

জীবনের গঠন ও কার্যকরী একককে কোষ বলে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজের প্রতিরূপ তৈরি করতে পারে এবং বংশগতির তথ্য ধারণ করে।

কোষের আবিষ্কারের ইতিহাস (History of Cell Discovery)

১৬৬৫ সালে রবার্ট হুক (Robert Hooke) নামে একজন বিজ্ঞানী প্রথম কোষ আবিষ্কার করেন। তিনি একটি cork-এর পাতলা slice মাইক্রোস্কোপের নিচে দেখতে গিয়ে ছোট ছোট ঘর এর মতো কিছু দেখতে পান, যা দেখতে অনেকটা মৌমাছির চাকের মতো। এই ঘরগুলোকেই তিনি “cell” নাম দেন। তবে, হুক যে কোষগুলো দেখেছিলেন, সেগুলো আসলে মৃত কোষ ছিল।

Read More:  সংখ্যা রেখা কাকে বলে? ব্যবহার ও প্রকারভেদ জানুন!

তারপর Antonie van Leeuwenhoek জীবিত কোষ পর্যবেক্ষণ করেন এবং কোষের ভেতরের অনেক কিছু আবিষ্কার করেন। এরপর Matthias Schleiden এবং Theodor Schwann ১৮৩৯ সালে সেল থিওরি (Cell Theory) দেন, যা কোষ নিয়ে আমাদের ধারণাকে আরও স্পষ্ট করে।

ADVERTISEMENT

কোষের প্রকারভেদ (Types of Cells)

কোষ প্রধানত দুই প্রকার:

  • প্রোক্যারিওটিক কোষ (Prokaryotic Cell)
  • ইউক্যারিওটিক কোষ (Eukaryotic Cell)

প্রোক্যারিওটিক কোষ (Prokaryotic Cell)

প্রোক্যারিওটিক কোষ হলো সেই কোষ, যেখানে কোনো সুগঠিত নিউক্লিয়াস (Nucleus) থাকে না। এদের DNA সাইটোপ্লাজমে ছড়ানো থাকে। ব্যাকটেরিয়া (Bacteria) এবং আর্কিয়া (Archaea) এই ধরনের কোষের উদাহরণ। এরা আকারে ছোট হয় এবং এদের গঠন বেশ সরল।

প্রোক্যারিওটিক কোষের বৈশিষ্ট্য (Features of Prokaryotic Cell)

  • নিউক্লিয়াস অনুপস্থিত।
  • DNA সাইটোপ্লাজমে থাকে।
  • সাধারণত ছোট এবং সরল গঠনযুক্ত।
  • কোষ অঙ্গাণু (Cell organelles) তেমন развитый না।
  • উদাহরণ: ব্যাকটেরিয়া (Bacteria)।

ইউক্যারিওটিক কোষ (Eukaryotic Cell)

ইউক্যারিওটিক কোষ হলো সেই কোষ, যেখানে একটি সুস্পষ্ট নিউক্লিয়াস থাকে এবং DNA নিউক্লিয়াসের মধ্যে আবদ্ধ থাকে। মানুষ, গাছপালা, পশু-পাখি – এদের সবার শরীর ইউক্যারিওটিক কোষ দিয়ে তৈরি। এই কোষগুলো প্রোক্যারিওটিক কোষের চেয়ে জটিল এবং উন্নত।

ইউক্যারিওটিক কোষের বৈশিষ্ট্য (Features of Eukaryotic Cell)

  • সুগঠিত নিউক্লিয়াস (Nucleus) বিদ্যমান।
  • DNA নিউক্লিয়াসের মধ্যে আবদ্ধ থাকে।
  • আকারে বড় এবং জটিল গঠনযুক্ত।
  • বিভিন্ন প্রকার কোষীয় অঙ্গাণু (Cell organelles) উপস্থিত, যেমন মাইটোকন্ড্রিয়া (Mitochondria), গলগি বডি (Golgi body), এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম (Endoplasmic reticulum) ইত্যাদি।
  • উদাহরণ: উদ্ভিদ কোষ (Plant cell) এবং প্রাণী কোষ (Animal cell)।

প্রোক্যারিওটিক ও ইউক্যারিওটিক কোষের মধ্যে পার্থক্য (Difference Between Prokaryotic and Eukaryotic Cells)

নিচে একটি ছকের মাধ্যমে এই দুই ধরনের কোষের পার্থক্য তুলে ধরা হলো:

বৈশিষ্ট্য প্রোক্যারিওটিক কোষ ইউক্যারিওটিক কোষ
নিউক্লিয়াস অনুপস্থিত উপস্থিত
DNA অবস্থান সাইটোপ্লাজম নিউক্লিয়াসের মধ্যে
কোষের আকার ছোট (০.১ – ৫ মাইক্রোমিটার) বড় (১০ – ১০০ মাইক্রোমিটার)
কোষীয় অঙ্গাণু সীমিত অনেক প্রকার কোষীয় অঙ্গাণু বিদ্যমান
উদাহরণ ব্যাকটেরিয়া উদ্ভিদ কোষ, প্রাণী কোষ

কোষের গঠন (Cell Structure)

একটা কোষের মধ্যে অনেকগুলো অংশ থাকে, যা বিভিন্ন কাজ করে। এদের প্রত্যেকটিকে কোষীয় অঙ্গাণু (Cell organelles) বলে। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে আলোচনা করা হলো:

কোষ প্রাচীর (Cell Wall)

কোষ প্রাচীর হলো উদ্ভিদ কোষের সবচেয়ে বাইরের স্তর। এটা সেলুলোজ (Cellulose) দিয়ে তৈরি, যা কোষকে সুরক্ষা দেয় এবং আকৃতি বজায় রাখতে সাহায্য করে। প্রাণী কোষে কোষ প্রাচীর থাকে না।

কোষ ঝিল্লি (Cell Membrane)

কোষ ঝিল্লি প্রতিটি কোষের বাইরের আবরণ। এটা লিপিড (Lipid) এবং প্রোটিন (Protein) দিয়ে তৈরি। কোষ ঝিল্লি কোষের ভেতরে এবং বাইরের মধ্যে বিভিন্ন পদার্থের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। অনেকটা gatekeeper-এর মতো, যা ঠিক করে দেয় কে ভেতরে ঢুকবে আর কে বেরোবে।

Read More:  জীবন বদলে দেওয়া ৫টি বই! (যে ৫টি বই আপনার জীবন দর্শন বদলে দেবে।)

সাইটোপ্লাজম (Cytoplasm)

কোষের ভেতরের জেলির মতো অংশকে সাইটোপ্লাজম বলে। এর মধ্যে বিভিন্ন কোষীয় অঙ্গাণু (Cell organelles) ভাসতে থাকে এবং বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া (Chemical reactions) ঘটে।

নিউক্লিয়াস (Nucleus)

নিউক্লিয়াস হলো কোষের মস্তিষ্ক। এটি কোষের সব কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। এর মধ্যে DNA (Deoxyribonucleic acid) থাকে, যা বংশগতির ধারক ও বাহক। নিউক্লিয়াসের ভেতরে নিউক্লিওলাস (Nucleolus) থাকে, যা রাইবোসোম (Ribosome) তৈরি করে।

মাইটোকন্ড্রিয়া (Mitochondria)

মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের পাওয়ার হাউস বলা হয়। এখানে খাদ্য থেকে শক্তি (ATP) তৈরি হয়, যা কোষের বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়।

গলগি বডি (Golgi Body)

গলগি বডি প্রোটিন (Protein) এবং লিপিড (Lipid) প্রক্রিয়াকরণ ও প্যাকেজিং করে কোষের মধ্যে এবং বাইরে পাঠাতে সাহায্য করে।

এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম (Endoplasmic Reticulum)

এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম (ER) হলো নিউক্লিয়াসের চারদিকে জালের মতো ছড়ানো একটি অঙ্গাণু। এটা দুই ধরনের হয়: মসৃণ ER (Smooth ER) এবং অমসৃণ ER (Rough ER)। অমসৃণ ER প্রোটিন তৈরি করে এবং মসৃণ ER লিপিড তৈরি করে।

রাইবোসোম (Ribosome)

রাইবোসোম হলো প্রোটিন তৈরির কারখানা। এরা সাইটোপ্লাজমে (Cytoplasm) মুক্তভাবে অথবা এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামের (Endoplasmic Reticulum) সাথে লেগে থাকতে পারে।

লাইসোসোম (Lysosome)

লাইসোসোম হলো কোষের পরিচ্ছন্নতাকর্মী। এরা পুরনো এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষীয় অঙ্গাণু (Cell organelles) হজম করে কোষকে পরিষ্কার রাখে।

ভ্যাকুওল (Vacuole)

ভ্যাকুওল হলো কোষের ধারক বা storage। এরা পানি, খাদ্য এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ জমা রাখে। উদ্ভিদ কোষে ভ্যাকুওল (Vacuole) আকারে বড় হয়।

কোষের কাজ (Functions of Cell)

কোষ আমাদের শরীরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। নিচে কয়েকটি প্রধান কাজ উল্লেখ করা হলো:

  • গঠন তৈরি: কোষ শরীরের গঠন তৈরি করে। ত্বক, হাড়, মাংসপেশি – সবকিছুই কোষ দিয়ে তৈরি।
  • শক্তি উৎপাদন: মাইটোকন্ড্রিয়া (Mitochondria) কোষের জন্য শক্তি তৈরি করে। এই শক্তি আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্মের জন্য প্রয়োজন।
  • পরিবহন: কোষ শরীরের মধ্যে বিভিন্ন পদার্থ পরিবহন করে। রক্ত কোষ অক্সিজেন (Oxygen) এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে দেয়।
  • প্রতিরক্ষা: কিছু কোষ আমাদের শরীরকে রোগ থেকে রক্ষা করে। যেমন, শ্বেত রক্ত কণিকা (White blood cells) জীবাণু ধ্বংস করে।
  • বংশগতি: কোষের মধ্যে থাকা DNA বংশগতির তথ্য বহন করে, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে স্থানান্তরিত হয়।

মানবদেহে কোষ (Cells in Human Body)

আমাদের শরীরে প্রায় ৩৭ trillion (37 লক্ষ কোটি) কোষ আছে! বিভিন্ন ধরনের কোষ বিভিন্ন কাজ করে। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কোষের উদাহরণ দেওয়া হলো:

  • রক্ত কোষ (Blood Cells): অক্সিজেন পরিবহন, রোগ প্রতিরোধ এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
  • স্নায়ু কোষ (Nerve Cells): মস্তিষ্কে তথ্য আদান প্রদানে সাহায্য করে।
  • পেশী কোষ (Muscle Cells): শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নড়াচড়া করতে সাহায্য করে।
  • ত্বকের কোষ (Skin Cells): শরীরকে বাইরের আঘাত এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
  • হাড়ের কোষ (Bone Cells): শরীরের কাঠামো তৈরি করে এবং সুরক্ষা দেয়।
Read More:  স্কেলার ভেক্টর কাকে বলে? সহজ ভাষায় উদাহরণ!

উদ্ভিদ কোষ (Plant Cell) বনাম প্রাণী কোষ (Animal Cell)

উদ্ভিদ কোষ (Plant Cell) এবং প্রাণী কোষের (Animal Cell) মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। নিচে একটি ছকের মাধ্যমে তা দেখানো হলো:

বৈশিষ্ট্য উদ্ভিদ কোষ (Plant Cell) প্রাণী কোষ (Animal Cell)
কোষ প্রাচীর উপস্থিত (সেলুলোজ দিয়ে তৈরি) অনুপস্থিত
ক্লোরোপ্লাস্ট উপস্থিত (সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি করে) অনুপস্থিত
সেন্ট্রোজোম অনুপস্থিত সাধারণত উপস্থিত
ভ্যাকুওল বড় এবং সংখ্যায় কম ছোট এবং সংখ্যায় বেশি
আকৃতি প্রায় গোলাকার বা বহুভুজাকৃতির অনির্দিষ্ট আকারের
খাদ্য সঞ্চয় শ্বেতসার (Starch) গ্লাইকোজেন (Glycogen)

কোষ বিভাজন (Cell Division)

কোষ বিভাজন হলো সেই প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে একটি কোষ থেকে দুটি নতুন কোষ তৈরি হয়। এটি জীবন্ত বস্তুর বৃদ্ধি এবং পুনরুৎপাদনের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। কোষ বিভাজন প্রধানত দুই প্রকার:

  • মাইটোসিস (Mitosis): এই প্রক্রিয়ায় একটি কোষ বিভাজিত হয়ে দুটি অভিন্ন কোষ তৈরি করে। এটি সাধারণত দৈহিক কোষের (Somatic cells) বিভাজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়।
  • মিওসিস (Meiosis): এই প্রক্রিয়ায় একটি কোষ বিভাজিত হয়ে চারটি ভিন্ন কোষ তৈরি করে। এটি জনন কোষের (Sex cells) (যেমন শুক্রাণু ও ডিম্বাণু) বিভাজনের ক্ষেত্রে ঘটে এবং বংশগতির ধারা অক্ষুণ্ণ রাখে।

কোষ বিভাজনের গুরুত্ব (Importance of Cell Division)

কোষ বিভাজন জীবজগতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো:

  • বৃদ্ধি (Growth): কোষ বিভাজনের মাধ্যমে জীবের আকার বৃদ্ধি পায়।
  • ক্ষয়পূরণ (Repair): শরীরের কোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে, কোষ বিভাজনের মাধ্যমে তা পূরণ করা হয়।
  • প্রজনন (Reproduction): কোষ বিভাজনের মাধ্যমে জীবের বংশবৃদ্ধি ঘটে।
  • বংশগতি রক্ষা (Maintaining Heredity): কোষ বিভাজনের মাধ্যমে DNA সঠিকভাবে নতুন কোষে স্থানান্তরিত হয়, যা বংশগতির ধারা অক্ষুণ্ণ রাখে।

কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (Frequently Asked Questions – FAQs)

কোষ নিয়ে অনেকের মনে কিছু প্রশ্ন থাকে। নিচে কয়েকটি সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:

১. কোষ কি খালি চোখে দেখা যায়?

সাধারণত কোষ খালি চোখে দেখা যায় না। তবে কিছু ব্যতিক্রম আছে, যেমন ডিমের কুসুম একটি বড় আকারের কোষ।

২. সবচেয়ে ছোট কোষ কোনটি?

সবচেয়ে ছোট কোষ হলো মাইকোপ্লাজমা (Mycoplasma)।

৩. মানবদেহের বৃহত্তম কোষ কোনটি?

মানবদেহের বৃহত্তম কোষ হলো ডিম্বাণু (Ovum)।

৪. কোষের প্রকারভেদগুলো কী কী?

কোষ প্রধানত দুই প্রকার: প্রোক্যারিওটিক কোষ (Prokaryotic cell) এবং ইউক্যারিওটিক কোষ (Eukaryotic cell)।

৫. কোষের প্রধান কাজগুলো কী?

কোষের প্রধান কাজগুলো হলো গঠন তৈরি, শক্তি উৎপাদন, পরিবহন, প্রতিরক্ষা এবং বংশগতি রক্ষা করা।

৬. কোষ বিভাজন কত প্রকার ও কী কী?

কোষ বিভাজন প্রধানত দুই প্রকার: মাইটোসিস (Mitosis) এবং মিওসিস (Meiosis)।

৭. কোষের আবিষ্কারক কে?

১৬৬৫ সালে রবার্ট হুক (Robert Hooke) প্রথম কোষ আবিষ্কার করেন।

৮. কোষ তত্ত্বের মূল কথাগুলো কী কী?

কোষ তত্ত্বের মূল কথাগুলো হলো:

  • জীবন্ত সত্তা এক বা একাধিক কোষ দ্বারা গঠিত।
  • কোষ হলো জীবনের গঠন ও কাজের একক।
  • নতুন কোষ পূর্বের কোষ থেকে তৈরি হয়।

৯. মানব শরীরে কত প্রকার কোষ আছে?

মানব শরীরে প্রায় ২০০ প্রকার কোষ আছে।

১০. কোষের মধ্যে DNA কোথায় থাকে?

ইউক্যারিওটিক কোষে DNA নিউক্লিয়াসের মধ্যে থাকে, আর প্রোক্যারিওটিক কোষে DNA সাইটোপ্লাজমে ছড়ানো থাকে।

উপসংহার (Conclusion)

কোষ আমাদের জীবনের ভিত্তি। ছোট এই এককগুলোই আমাদের শরীরকে সচল রাখে, শক্তি যোগায় এবং বংশ পরম্পরায় টিকিয়ে রাখে। কোষের গঠন, প্রকারভেদ এবং কাজ সম্পর্কে জানাটা তাই খুবই জরুরি। আশা করি, এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার পর কোষ নিয়ে আপনার মনে আর কোনো ধোঁয়াশা নেই।

যদি আপনার মনে কোষ নিয়ে আরও কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর হ্যাঁ, এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না! কারণ জ্ঞান শেয়ার করলেই বাড়ে!

Previous Post

বিশ্লেষণ বিক্রিয়া কাকে বলে? প্রকারভেদ ও উদাহরণ

Next Post

আর্থিক ব্যবস্থাপনা কাকে বলে? উপায় ও সুবিধা জানুন

Mushfiqur Rahman

Mushfiqur Rahman

I am Mushfiqur Rahman Swopnil, owner of Bongo Tuner and an experienced SEO and Digital Marketing professional with a deep understanding of affiliate marketing and link building. Running my own marketing agency, I offer strategic digital solutions to boost brand visibility and drive tangible results. My extensive experience covers all aspects of online marketing, helping businesses achieve their growth objectives through data-driven SEO and effective link-building strategies.

Next Post
আর্থিক ব্যবস্থাপনা কাকে বলে? উপায় ও সুবিধা জানুন

আর্থিক ব্যবস্থাপনা কাকে বলে? উপায় ও সুবিধা জানুন

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন
Education

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন

by Mushfiqur Rahman
May 5, 2025
0

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য মনে করুন, পরীক্ষার আগের রাতে আপনি সব পড়ে শেষ করেছেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে...

Read more
মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

May 5, 2025
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

May 5, 2025
ADVERTISEMENT
Bongo Tuner

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Navigate Site

  • Home
  • About Us
  • Privacy Policy
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy

Follow Us

No Result
View All Result
  • About Us
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy
  • Privacy Policy

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Table of Contents

×
  • কোষ কী? (Cell Kake Bole?)
    • কোষের সংজ্ঞা (Definition of Cell)
    • কোষের আবিষ্কারের ইতিহাস (History of Cell Discovery)
  • কোষের প্রকারভেদ (Types of Cells)
    • প্রোক্যারিওটিক কোষ (Prokaryotic Cell)
      • প্রোক্যারিওটিক কোষের বৈশিষ্ট্য (Features of Prokaryotic Cell)
    • ইউক্যারিওটিক কোষ (Eukaryotic Cell)
      • ইউক্যারিওটিক কোষের বৈশিষ্ট্য (Features of Eukaryotic Cell)
    • প্রোক্যারিওটিক ও ইউক্যারিওটিক কোষের মধ্যে পার্থক্য (Difference Between Prokaryotic and Eukaryotic Cells)
  • কোষের গঠন (Cell Structure)
    • কোষ প্রাচীর (Cell Wall)
    • কোষ ঝিল্লি (Cell Membrane)
    • সাইটোপ্লাজম (Cytoplasm)
    • নিউক্লিয়াস (Nucleus)
    • মাইটোকন্ড্রিয়া (Mitochondria)
    • গলগি বডি (Golgi Body)
    • এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম (Endoplasmic Reticulum)
    • রাইবোসোম (Ribosome)
    • লাইসোসোম (Lysosome)
    • ভ্যাকুওল (Vacuole)
  • কোষের কাজ (Functions of Cell)
  • মানবদেহে কোষ (Cells in Human Body)
  • উদ্ভিদ কোষ (Plant Cell) বনাম প্রাণী কোষ (Animal Cell)
  • কোষ বিভাজন (Cell Division)
    • কোষ বিভাজনের গুরুত্ব (Importance of Cell Division)
  • কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (Frequently Asked Questions – FAQs)
    • ১. কোষ কি খালি চোখে দেখা যায়?
    • ২. সবচেয়ে ছোট কোষ কোনটি?
    • ৩. মানবদেহের বৃহত্তম কোষ কোনটি?
    • ৪. কোষের প্রকারভেদগুলো কী কী?
    • ৫. কোষের প্রধান কাজগুলো কী?
    • ৬. কোষ বিভাজন কত প্রকার ও কী কী?
    • ৭. কোষের আবিষ্কারক কে?
    • ৮. কোষ তত্ত্বের মূল কথাগুলো কী কী?
    • ৯. মানব শরীরে কত প্রকার কোষ আছে?
    • ১০. কোষের মধ্যে DNA কোথায় থাকে?
  • উপসংহার (Conclusion)
← সূচিপত্র দেখুন