Bongo Tuner
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
Bongo Tuner
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT

(consonant কাকে বলে) সহজ ভাষায়! উদাহরণ সহ জানুন

Mushfiqur Rahman by Mushfiqur Rahman
February 19, 2025
in Education
0
(consonant কাকে বলে) সহজ ভাষায়! উদাহরণ সহ জানুন

(consonant কাকে বলে) সহজ ভাষায়! উদাহরণ সহ জানুন

0
SHARES
10
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter
ADVERTISEMENT
Get Latest Updates

যদি কেউ consonant বা ব্যঞ্জনবর্ণ নিয়ে চিন্তা করে থাকে, তাহলে আজকের লেখাটি আপনার জন্য! বাংলা ব্যাকরণে ব্যঞ্জনবর্ণের গুরুত্ব অপরিসীম। এই বর্ণগুলো স্বরবর্ণের সাহায্য নিয়ে শব্দ তৈরি করে, যা আমাদের মনের ভাব প্রকাশ করতে সাহায্য করে। তাহলে চলুন, দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক consonant বা ব্যঞ্জনবর্ণ কাকে বলে, এর প্রকারভেদ, এবং বাংলা ভাষায় এর ব্যবহার সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Table of Contents

Toggle
  • ব্যঞ্জনবর্ণ (Consonant) কাকে বলে?
    • ব্যঞ্জনবর্ণের সংজ্ঞা
    • ব্যঞ্জনবর্ণের বৈশিষ্ট্য
  • বাংলা বর্ণমালায় ব্যঞ্জনবর্ণের তালিকা
  • ব্যঞ্জনবর্ণের প্রকারভেদ
    • স্পর্শ ব্যঞ্জন (Stop Consonants)
    • নাসিক্য ব্যঞ্জন (Nasal Consonants)
    • উষ্ম ব্যঞ্জন (Fricative Consonants)
    • অন্তঃস্থ ব্যঞ্জন (Approximant Consonants)
    • পার্শ্বিক ব্যঞ্জন (Lateral Consonant)
    • কম্পনজাত ব্যঞ্জন (Trill Consonant)
    • তাড়নজাত ব্যঞ্জন (Tap Consonant)
  • ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণস্থান
  • বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জনবর্ণের গুরুত্ব
  • ব্যঞ্জনবর্ণ মনে রাখার সহজ উপায়
  • ব্যঞ্জনবর্ণ নিয়ে কিছু মজার তথ্য
  • ব্যঞ্জনবর্ণ শেখার অনলাইন রিসোর্স
  • ব্যঞ্জনবর্ণ এবং শব্দগঠন: একটি উদাহরণ
  • ব্যঞ্জনবর্ণের ব্যবহার: কবিতা ও গানে
  • ব্যঞ্জনবর্ণ: কিছু সাধারণ ভুল এবং তার সমাধান
  • ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প উচ্চারণ
  • ব্যঞ্জনবর্ণের কুইজ
  • ব্যঞ্জনবর্ণ: আধুনিক ব্যবহার
  • প্রায়শই জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন (FAQ):

ব্যঞ্জনবর্ণ (Consonant) কাকে বলে?

সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ব্যঞ্জনবর্ণ হলো সেইসব বর্ণ যেগুলো স্বরবর্ণের সাহায্য ছাড়া নিজে নিজে উচ্চারিত হতে পারে না। “ক” একটি ব্যঞ্জনবর্ণ। এটি উচ্চারণ করতে হলে একটি স্বরবর্ণ, যেমন “অ”-এর সাহায্য নিতে হয়। তাই, ব্যঞ্জনবর্ণগুলো হলো সেই ধ্বনিগুলোর প্রতীক, যা উচ্চারণের সময় মুখগহ্বরের বাতাস বাধা পায়।

ব্যঞ্জনবর্ণের সংজ্ঞা

ব্যাকরণ অনুযায়ী, যে বর্ণ অন্য বর্ণের সাহায্য ছাড়া উচ্চারিত হতে পারে না, তাকে ব্যঞ্জনবর্ণ বলে। এই বর্ণগুলো বাক্য গঠনে এবং শব্দ তৈরিতে অপরিহার্য।

ব্যঞ্জনবর্ণের বৈশিষ্ট্য

  • এগুলো স্বরবর্ণের সাহায্য ছাড়া উচ্চারিত হতে পারে না।
  • উচ্চারণের সময় মুখগহ্বরের বাতাস বাধা পায়।
  • বাংলা বর্ণমালায় এর সংখ্যা ৩৯টি।

বাংলা বর্ণমালায় ব্যঞ্জনবর্ণের তালিকা

বাংলা বর্ণমালায় মোট ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ রয়েছে। নিচে এদের তালিকা দেওয়া হলো:

ক, খ, গ, ঘ, ঙ
চ, ছ, জ, ঝ, ঞ
ট, ঠ, ড, ঢ, ণ
ত, থ, দ, ধ, ন
প, ফ, ব, ভ, ম
য, র, ল, শ
ষ, স, হ, ড়, ঢ়, য়, ৎ

এই প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণ বাংলা শব্দ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ব্যঞ্জনবর্ণের প্রকারভেদ

ব্যঞ্জনবর্ণগুলোকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। এদের উচ্চারণ স্থান, উচ্চারণ ভঙ্গি এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে এই ভাগগুলো করা হয়। নিচে কয়েকটি প্রধান প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো:

স্পর্শ ব্যঞ্জন (Stop Consonants)

এই ব্যঞ্জনগুলো উচ্চারণের সময় জিভ মুখগহ্বরের কোনো না কোনো অংশকে স্পর্শ করে। ক থেকে ম পর্যন্ত ২৫টি বর্ণই স্পর্শ ব্যঞ্জন। এই বর্ণগুলোকে আবার পাঁচটি বর্গে ভাগ করা হয়:

  • ক-বর্গ: ক, খ, গ, ঘ, ঙ
  • চ-বর্গ: চ, ছ, জ, ঝ, ঞ
  • ট-বর্গ: ট, ঠ, ড, ঢ, ণ
  • ত-বর্গ: ত, থ, দ, ধ, ন
  • প-বর্গ: প, ফ, ব, ভ, ম
Read More:  গোসল কাকে বলে? কখন ফরজ? নিয়ম ও উপকারিতা

নাসিক্য ব্যঞ্জন (Nasal Consonants)

নাসিক্য ব্যঞ্জন উচ্চারণের সময় বাতাস নাকের মধ্যে দিয়ে বের হয়। ঙ, ঞ, ণ, ন, ম – এই পাঁচটি বর্ণ নাসিক্য ব্যঞ্জন। আপনি যদি নাক চেপে ধরে এই বর্ণগুলো উচ্চারণ করতে চান, দেখবেন ঠিকমতো উচ্চারণ করতে পারছেন না!

উষ্ম ব্যঞ্জন (Fricative Consonants)

উষ্ম ব্যঞ্জন উচ্চারণের সময় বাতাস মুখগহ্বরের মধ্যে সামান্য ঘষা খেয়ে বের হয় এবং গরম বাতাসের মতো অনুভূতি হয়। শ, ষ, স, হ – এই চারটি বর্ণ উষ্ম ব্যঞ্জন। “শিস” দেওয়ার সময় যেমন বাতাস বের হয়, অনেকটা সেই রকম।

অন্তঃস্থ ব্যঞ্জন (Approximant Consonants)

অন্তঃস্থ ব্যঞ্জনগুলো স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকে। য, র, ল – এই তিনটি বর্ণ অন্তঃস্থ ব্যঞ্জন। এদের উচ্চারণ কিছুটা স্বরবর্ণের মতো শোনালেও এরা আসলে ব্যঞ্জনবর্ণ।

পার্শ্বিক ব্যঞ্জন (Lateral Consonant)

এই ব্যঞ্জন ধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের দুপাশ দিয়ে বাতাস বের হয়। বাংলা বর্ণমালায় “ল” হলো পার্শ্বিক ব্যঞ্জন।

কম্পনজাত ব্যঞ্জন (Trill Consonant)

এই ব্যঞ্জন ধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বা দ্রুত কাঁপে। বাংলা বর্ণমালায় “র” হলো কম্পনজাত ব্যঞ্জন।

তাড়নজাত ব্যঞ্জন (Tap Consonant)

এই ব্যঞ্জন ধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বা একবারের জন্য উপরের দাঁতের পাটিকে স্পর্শ করে। বাংলা বর্ণমালায় “ড়” এবং “ঢ়” হলো তাড়নজাত ব্যঞ্জন।

ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণস্থান

উচ্চারণস্থানের ওপর ভিত্তি করেও ব্যঞ্জনবর্ণগুলোকে ভাগ করা যায়। কোন বর্ণ মুখের কোন অংশ ব্যবহার করে উচ্চারিত হচ্ছে, তার ওপর ভিত্তি করে এই ক্লাসিফিকেশন করা হয়।

  • কণ্ঠ্য বর্ণ: এই বর্ণগুলো কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত হয়। যেমন: ক, খ, গ, ঘ, ঙ।
  • তালব্য বর্ণ: এই বর্ণগুলো তালু থেকে উচ্চারিত হয়। যেমন: চ, ছ, জ, ঝ, ঞ।
  • মূর্ধন্য বর্ণ: এই বর্ণগুলো মূর্ধা থেকে উচ্চারিত হয়। যেমন: ট, ঠ, ড, ঢ, ণ।
  • দন্ত্য বর্ণ: এই বর্ণগুলো দাঁতের কাছাকাছি থেকে উচ্চারিত হয়। যেমন: ত, থ, দ, ধ, ন।
  • ওষ্ঠ্য বর্ণ: এই বর্ণগুলো ঠোঁটের সাহায্যে উচ্চারিত হয়। যেমন: প, ফ, ব, ভ, ম।

এই ক্লাসিফিকেশনগুলো আমাদের সঠিক উচ্চারণ শিখতে সাহায্য করে।

বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জনবর্ণের গুরুত্ব

বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জনবর্ণের গুরুত্ব ভাষায় বলে বোঝানো যায় না। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনা করা হলো:

  • শব্দ গঠন: ব্যঞ্জনবর্ণ স্বরবর্ণের সাথে মিলিত হয়ে শব্দ তৈরি করে। বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার এই ব্যঞ্জনবর্ণের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।
  • বাক্য গঠন: শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি হয়, আর বাক্য দিয়েই আমরা মনের ভাব প্রকাশ করি। ব্যঞ্জনবর্ণ ছাড়া বাক্য গঠন করা সম্ভব নয়।
  • যোগাযোগ: মানুষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলো ভাষা। আর এই ভাষার মূল ভিত্তি হলো ব্যঞ্জনবর্ণ।

এক কথায়, বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জনবর্ণ ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়।

ব্যঞ্জনবর্ণ মনে রাখার সহজ উপায়

ব্যঞ্জনবর্ণ মনে রাখাটা অনেকের কাছে কঠিন মনে হতে পারে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের জন্য এটা একটা চ্যালেঞ্জ। তাহলে চলুন, কিছু সহজ উপায় জেনে নেওয়া যাক:

  • ছড়া তৈরি করুন: প্রতিটি বর্গের বর্ণ দিয়ে ছড়া তৈরি করে মুখস্থ করতে পারেন। যেমন, “কাকা খায় গরম খিচুড়ি, গেলে পেটে ঘুসঘুসানি”।
  • ছবি ব্যবহার করুন: প্রতিটি বর্ণের সাথে সম্পর্কিত ছবি ব্যবহার করে মনে রাখতে পারেন। যেমন, “ক”-এর সাথে “কলম”-এর ছবি।
  • গেম খেলুন: বর্ণ দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষামূলক গেম খেলতে পারেন। এতে খেলাচ্ছলে বর্ণগুলো মনে থাকবে।
  • বারবার লিখুন: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে বর্ণগুলো লিখলে ধীরে ধীরে তা মস্তিষ্কে গেঁথে যাবে।
Read More:  নাম পদ কাকে বলে? সহজ ভাষায় উদাহরণ সহ জানুন

মনে রাখবেন, শেখার কোনো শর্টকাট নেই। নিয়মিত চর্চা করে গেলেই সবকিছু সহজ হয়ে যাবে।

ব্যঞ্জনবর্ণ নিয়ে কিছু মজার তথ্য

  • বাংলা বর্ণমালায় “ক্ষ” একটি যুক্তব্যঞ্জন। এটি “ক” এবং “ষ” এই দুটি বর্ণ দিয়ে তৈরি।
  • “হ” একটি উষ্ম ব্যঞ্জন এবং এর উচ্চারণ অনেকটা গরম বাতাসের মতো।
  • “ড়” এবং “ঢ়” এই দুটি বর্ণ বাংলা ভাষার নিজস্ব বর্ণ, যা অন্য অনেক ভাষায় পাওয়া যায় না।
  • “য়” একটি অন্তঃস্থ ব্যঞ্জন, যা স্বরবর্ণের মতো শোনালেও ব্যঞ্জনবর্ণ।

এই মজার তথ্যগুলো জানার মাধ্যমে ব্যঞ্জনবর্ণ সম্পর্কে আপনার আগ্রহ আরও বাড়বে।

ব্যঞ্জনবর্ণ শেখার অনলাইন রিসোর্স

বর্তমানে অনলাইনে ব্যঞ্জনবর্ণ শেখার জন্য অনেক রিসোর্স পাওয়া যায়। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য রিসোর্স উল্লেখ করা হলো:

  • ইউটিউব চ্যানেল: অনেক ইউটিউব চ্যানেল আছে যেখানে ব্যঞ্জনবর্ণ শেখানো হয়। Khan Academy Bangla একটি ভালো উদাহরণ।
  • অ্যাপস: গুগল প্লে স্টোরে অনেক শিক্ষামূলক অ্যাপস পাওয়া যায়, যা ব্যঞ্জনবর্ণ শিখতে সাহায্য করে।
  • ওয়েবসাইট: বিভিন্ন শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে ব্যঞ্জনবর্ণের ওপর অনেক আর্টিকেল এবং কুইজ পাওয়া যায়।

এই রিসোর্সগুলো ব্যবহার করে আপনি ঘরে বসেই ব্যঞ্জনবর্ণ শিখতে পারবেন।

ব্যঞ্জনবর্ণ এবং শব্দগঠন: একটি উদাহরণ

ব্যঞ্জনবর্ণ কিভাবে শব্দ গঠনে সাহায্য করে, তা একটি উদাহরণের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়া হলো:

ধরুন, আমরা “ক”, “ল”, “ম” এই তিনটি ব্যঞ্জনবর্ণ নিলাম।

  • “ক” এর সাথে একটি স্বরবর্ণ “অ” যোগ করে “ক” তৈরি হলো।
  • “ল” এর সাথে একটি স্বরবর্ণ “অ” যোগ করে “ল” তৈরি হলো।
  • “ম” এর সাথে একটি স্বরবর্ণ “অ” যোগ করে “ম” তৈরি হলো।

এখন এই তিনটি বর্ণ একসাথে করে আমরা পেলাম “কলম”। এখানে ব্যঞ্জনবর্ণগুলো স্বরবর্ণের সাথে মিলিত হয়ে একটি নতুন শব্দ তৈরি করলো।

এইভাবে ব্যঞ্জনবর্ণগুলো শব্দ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ব্যঞ্জনবর্ণের ব্যবহার: কবিতা ও গানে

বাংলা কবিতা ও গানে ব্যঞ্জনবর্ণের ব্যবহার বিশেষভাবে লক্ষণীয়। অনেক বিখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক তাদের লেখায় ব্যঞ্জনবর্ণ ব্যবহার করে নান্দনিকতা সৃষ্টি করেছেন।

উদাহরণস্বরূপ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “সোনার তরী” কবিতায় ব্যঞ্জনবর্ণের ব্যবহার দেখুন:

ADVERTISEMENT

“গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।
কুলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা।”

এখানে “গ”, “ঘ”, “ব” ইত্যাদি ব্যঞ্জনবর্ণ ব্যবহার করে কবিতার ছন্দ এবং সুর সৃষ্টি করা হয়েছে।

গানেও ব্যঞ্জনবর্ণের ব্যবহার একইরকম গুরুত্বপূর্ণ। ব্যঞ্জনবর্ণ গানের কথাগুলোকে স্পষ্ট এবং শ্রুতিমধুর করে তোলে।

ব্যঞ্জনবর্ণ: কিছু সাধারণ ভুল এবং তার সমাধান

ব্যঞ্জনবর্ণ শেখার সময় অনেকে কিছু সাধারণ ভুল করে থাকে। নিচে কয়েকটি ভুল এবং তার সমাধান আলোচনা করা হলো:

  • উচ্চারণে ভুল: অনেক সময় শিক্ষার্থীরা ব্যঞ্জনবর্ণের সঠিক উচ্চারণ করতে পারে না। এর প্রধান কারণ হলো পর্যাপ্ত অনুশীলনের অভাব। সমাধানের জন্য, সঠিক উচ্চারণ শোনার জন্য অডিও রিসোর্স ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত অনুশীলন করুন।
  • বর্ণের আকৃতিতে ভুল: অনেক শিক্ষার্থী ব্যঞ্জনবর্ণের আকৃতি লিখতে ভুল করে। এর জন্য, বর্ণগুলো বারবার লিখুন এবং সঠিক আকৃতি মনে রাখার চেষ্টা করুন।
  • মিশ্রণে ভুল: যুক্তব্যঞ্জন লেখার সময় অনেকে ভুল করে। যুক্তব্যঞ্জন লেখার নিয়ম ভালোভাবে জেনে নিয়মিত অনুশীলন করুন।
Read More:  বাংলা ভাষা কাকে বলে? জানুন + উদাহরণ!

এই ভুলগুলো এড়িয়ে চললে ব্যঞ্জনবর্ণ শেখা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প উচ্চারণ

কিছু ব্যঞ্জনবর্ণের একাধিক উচ্চারণ রয়েছে, যা অনেক সময় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। নিচে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো:

“জ”: “জ” বর্ণটি কখনো “জ” আবার কখনো “য”-এর মতো উচ্চারিত হয়। যেমন, “জীবন” শব্দে “জ”-এর উচ্চারণ “জ”, কিন্তু “জ্ঞান” শব্দে “জ”-এর উচ্চারণ “য”।

“শ”, “ষ”, “স”: এই তিনটি বর্ণের উচ্চারণ প্রায় একই রকম। তবে এদের ব্যবহারের ভিন্নতা রয়েছে। বানানের নিয়ম ভালোভাবে জেনে এদের সঠিক ব্যবহার শিখতে হবে।

এই বিকল্প উচ্চারণগুলো ভালোভাবে জানতে পারলে বাংলা ভাষা আরও সহজে ব্যবহার করা যায়।

ব্যঞ্জনবর্ণের কুইজ

আপনার ব্যঞ্জনবর্ণ শেখা কতটা সফল হয়েছে, তা যাচাই করার জন্য একটি ছোট কুইজ নিচে দেওয়া হলো:

১. বাংলা বর্ণমালায় মোট কয়টি ব্যঞ্জনবর্ণ আছে?

(ক) ৩৯ (খ) ১১ (গ) ৫০ (ঘ) ২৫

২. নিচের কোনটি উষ্ম ব্যঞ্জন?

(ক) ক (খ) চ (গ) শ (ঘ) ট

৩. “ম” বর্ণটি কোন বর্গের অন্তর্ভুক্ত?

(ক) ক-বর্গ (খ) চ-বর্গ (গ) ট-বর্গ (ঘ) প-বর্গ

উত্তরগুলো মিলিয়ে দেখুন এবং দেখুন আপনি কতটুকু শিখেছেন।

ব্যঞ্জনবর্ণ: আধুনিক ব্যবহার

আধুনিক যুগেও ব্যঞ্জনবর্ণের ব্যবহার সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল মাধ্যমে বাংলা লেখার জন্য ব্যঞ্জনবর্ণের সঠিক জ্ঞান থাকা অপরিহার্য।

  • সোশ্যাল মিডিয়া: ফেসবুকে বাংলা স্ট্যাটাস দেওয়া থেকে শুরু করে টুইটারে বাংলা টুইট করা, সব ক্ষেত্রেই ব্যঞ্জনবর্ণের ব্যবহার প্রয়োজন।
  • ব্লগিং: বাংলা ব্লগে লেখার জন্য ব্যঞ্জনবর্ণের সঠিক জ্ঞান থাকা দরকার।
  • ইমেইল: বাংলা ইমেইল লেখার জন্য ব্যঞ্জনবর্ণের ব্যবহার অপরিহার্য।

তাই, আধুনিক জীবনেও ব্যঞ্জনবর্ণের গুরুত্ব কম নয়।

কনসোনেন্ট বা ব্যঞ্জনবর্ণ বাংলা ভাষার অন্যতম ভিত্তি। এই বর্ণগুলো শুধু শব্দ তৈরিতেই সাহায্য করে না, বরং আমাদের মনের ভাব প্রকাশ করতেও সাহায্য করে। তাই, এই বর্ণগুলোর সঠিক ব্যবহার জানা আমাদের সকলের জন্য জরুরি। আশা করি, আজকের এই লেখাটি আপনাদের ব্যঞ্জনবর্ণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে পেরেছে। যদি আপনার আরও কিছু জানার থাকে, তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন (FAQ):

এখন কিছু সাধারণ প্রশ্ন এবং তাদের উত্তর দেওয়া হলো:

  • প্রশ্ন: ব্যঞ্জনবর্ণ কি স্বরবর্ণের সাহায্য ছাড়া উচ্চারিত হতে পারে?

    উত্তর: না, ব্যঞ্জনবর্ণ স্বরবর্ণের সাহায্য ছাড়া উচ্চারিত হতে পারে না।

  • প্রশ্ন: বাংলা বর্ণমালায় কয়টি ব্যঞ্জনবর্ণ আছে?

    উত্তর: বাংলা বর্ণমালায় ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ আছে।

  • প্রশ্ন: স্পর্শ ব্যঞ্জনগুলোর নাম কি?

    উত্তর: ক থেকে ম পর্যন্ত ২৫টি বর্ণ স্পর্শ ব্যঞ্জন নামে পরিচিত।

  • প্রশ্ন: উষ্ম ব্যঞ্জন কোনগুলো?

    উত্তর: শ, ষ, স, হ – এই চারটি বর্ণ উষ্ম ব্যঞ্জন।

  • প্রশ্ন: নাসিক্য ব্যঞ্জন কাকে বলে?

    উত্তর: যে ব্যঞ্জন উচ্চারণের সময় বাতাস নাকের মধ্যে দিয়ে বের হয়, তাকে নাসিক্য ব্যঞ্জন বলে।

  • প্রশ্ন: অন্তঃস্থ ব্যঞ্জন কয়টি ও কি কি?

    উত্তর: অন্তঃস্থ ব্যঞ্জন তিনটি: য, র, ল।

  • প্রশ্ন: যুক্ত ব্যঞ্জন কিভাবে গঠিত হয়?

    উত্তর: যুক্ত ব্যঞ্জন দুটি বা তার বেশি ব্যঞ্জনবর্ণের সমন্বয়ে গঠিত হয়। যেমন: ক্ষ = ক + ষ।

আশা করি এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আপনাদের ব্যঞ্জনবর্ণ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা দিতে পেরেছে।

আজ এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং বাংলা ভাষার চর্চা চালিয়ে যাবেন।

Previous Post

অ্যানোড কাকে বলে? ব্যবহার ও চেনার সহজ উপায়!

Next Post

সুপ্ততাপ কাকে বলে? সহজ ভাষায় উদাহরণ সহ জানুন!

Mushfiqur Rahman

Mushfiqur Rahman

I am Mushfiqur Rahman Swopnil, owner of Bongo Tuner and an experienced SEO and Digital Marketing professional with a deep understanding of affiliate marketing and link building. Running my own marketing agency, I offer strategic digital solutions to boost brand visibility and drive tangible results. My extensive experience covers all aspects of online marketing, helping businesses achieve their growth objectives through data-driven SEO and effective link-building strategies.

Next Post
সুপ্ততাপ কাকে বলে? সহজ ভাষায় উদাহরণ সহ জানুন!

সুপ্ততাপ কাকে বলে? সহজ ভাষায় উদাহরণ সহ জানুন!

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন
Education

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন

by Mushfiqur Rahman
May 5, 2025
0

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য মনে করুন, পরীক্ষার আগের রাতে আপনি সব পড়ে শেষ করেছেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে...

Read more
মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

May 5, 2025
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

May 5, 2025
ADVERTISEMENT
Bongo Tuner

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Navigate Site

  • Home
  • About Us
  • Privacy Policy
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy

Follow Us

No Result
View All Result
  • About Us
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy
  • Privacy Policy

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Table of Contents

×
  • ব্যঞ্জনবর্ণ (Consonant) কাকে বলে?
    • ব্যঞ্জনবর্ণের সংজ্ঞা
    • ব্যঞ্জনবর্ণের বৈশিষ্ট্য
  • বাংলা বর্ণমালায় ব্যঞ্জনবর্ণের তালিকা
  • ব্যঞ্জনবর্ণের প্রকারভেদ
    • স্পর্শ ব্যঞ্জন (Stop Consonants)
    • নাসিক্য ব্যঞ্জন (Nasal Consonants)
    • উষ্ম ব্যঞ্জন (Fricative Consonants)
    • অন্তঃস্থ ব্যঞ্জন (Approximant Consonants)
    • পার্শ্বিক ব্যঞ্জন (Lateral Consonant)
    • কম্পনজাত ব্যঞ্জন (Trill Consonant)
    • তাড়নজাত ব্যঞ্জন (Tap Consonant)
  • ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণস্থান
  • বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জনবর্ণের গুরুত্ব
  • ব্যঞ্জনবর্ণ মনে রাখার সহজ উপায়
  • ব্যঞ্জনবর্ণ নিয়ে কিছু মজার তথ্য
  • ব্যঞ্জনবর্ণ শেখার অনলাইন রিসোর্স
  • ব্যঞ্জনবর্ণ এবং শব্দগঠন: একটি উদাহরণ
  • ব্যঞ্জনবর্ণের ব্যবহার: কবিতা ও গানে
  • ব্যঞ্জনবর্ণ: কিছু সাধারণ ভুল এবং তার সমাধান
  • ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প উচ্চারণ
  • ব্যঞ্জনবর্ণের কুইজ
  • ব্যঞ্জনবর্ণ: আধুনিক ব্যবহার
  • প্রায়শই জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন (FAQ):
← সূচিপত্র দেখুন