Bongo Tuner
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
Bongo Tuner
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT

ধাতু ও অধাতু কাকে বলে? বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার জানুন!

Mushfiqur Rahman by Mushfiqur Rahman
February 24, 2025
in Education
0
ধাতু ও অধাতু কাকে বলে? বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার জানুন!

ধাতু ও অধাতু কাকে বলে? বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার জানুন!

0
SHARES
14
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter
ADVERTISEMENT
Get Latest Updates

প্রিয় পাঠক, কখনো কি ভেবে দেখেছেন আপনার হাতের সোনার আংটি আর রান্নাঘরের সিলভারের বাসন একই গোত্রের কিনা? কিংবা শ্বাস নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন আর বিদ্যুতের তারে ব্যবহৃত তামা কিভাবে আলাদা? এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতু (Metal) ও অধাতুর (Non-metal) সংজ্ঞায়। চলুন, আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা ধাতু ও অধাতু সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।

ধাতু ও অধাতু আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এদের বৈশিষ্ট্য, ব্যবহার এবং আমাদের জীবনে এদের প্রভাব সম্পর্কে জানাটা খুব দরকারি। তাই, আর দেরি না করে শুরু করা যাক!

Table of Contents

Toggle
  • ধাতু (Metal) কাকে বলে?
    • ধাতুর কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য:
    • কয়েকটি পরিচিত ধাতু:
    • ধাতু কিভাবে গঠিত হয়?
  • অধাতু (Non-metal) কাকে বলে?
    • অধাতুর কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য:
    • কয়েকটি পরিচিত অধাতু:
    • অধাতু কিভাবে গঠিত হয়?
  • ধাতু ও অধাতুর মধ্যে পার্থক্য
  • ধাতু ও অধাতুর ব্যবহার
    • ধাতুর ব্যবহার:
    • অধাতুর ব্যবহার:
  • ধাতু ও অধাতু নিয়ে কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ):
  • ধাতুকল্প (Metalloids): ধাতু ও অধাতুর মাঝে সেতুবন্ধন
    • ধাতুকল্পের কিছু উদাহরণ:
    • ধাতুকল্পের ব্যবহার:
  • আমাদের জীবনে ধাতু ও অধাতুর প্রভাব

ধাতু (Metal) কাকে বলে?

ধাতু হলো সেইসব মৌলিক পদার্থ যাদের মধ্যে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এই বৈশিষ্ট্যগুলোই এদেরকে অন্য পদার্থ থেকে আলাদা করে। সাধারণভাবে, ধাতু বলতে আমরা বুঝি চকচকে ভাব, কঠিন অবস্থা, বিদ্যুৎ পরিবাহিতা এবং নমনীয়তা – এই বৈশিষ্ট্যগুলোর সমষ্টি।

ADVERTISEMENT

ধাতুর কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য:

ধাতুকে চেনার জন্য কিছু বৈশিষ্ট্য নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • চকচকে ভাব: ধাতুর একটি উজ্জ্বল ও চকচকে পৃষ্ঠ থাকে। এই বৈশিষ্ট্যকে ধাতব ঔজ্জ্বল্য বলা হয়। নতুন কাটলে বা ঘষলে এটি আরও স্পষ্ট হয়।

  • কঠিন অবস্থা: প্রায় সব ধাতু সাধারণ তাপমাত্রায় কঠিন অবস্থায় থাকে। তবে এর ব্যতিক্রমও আছে। যেমন, পারদ (Mercury) একটি ধাতু হওয়া সত্ত্বেও তরল।

  • বিদ্যুৎ পরিবাহিতা: ধাতু বিদ্যুৎ সুপরিবাহী। এর কারণ হলো ধাতুর মধ্যে মুক্ত ইলেকট্রন থাকে, যা সহজে বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে।

  • তাপ পরিবাহিতা: ধাতুর মধ্যে দিয়ে তাপ সহজে চলাচল করতে পারে। রান্নার বাসনপত্র তৈরিতে এই বৈশিষ্ট্য কাজে লাগে।

  • নমনীয়তা: ধাতুকে পিটিয়ে পাতলা পাতে পরিণত করা যায়। এই বৈশিষ্ট্যকে নমনীয়তা বা প্রসারণশীলতা বলে।

  • ঘাতসহতা: ধাতুকে আঘাত করলে তা সহজে ভেঙে যায় না। এই বৈশিষ্ট্যকে ঘাতসহতা বলে।

  • উচ্চ গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক: সাধারণত ধাতুর গলনাঙ্ক (Melting Point) এবং স্ফুটনাঙ্ক (Boiling Point) অনেক বেশি থাকে।

কয়েকটি পরিচিত ধাতু:

আমাদের চারপাশে অনেক ধাতু রয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকটির উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:

  • লোহা (Iron)
  • তামা (Copper)
  • সোনা (Gold)
  • রূপা (Silver)
  • অ্যালুমিনিয়াম (Aluminium)
  • জিঙ্ক (Zinc)
  • ক্যালসিয়াম (Calcium)
  • সোডিয়াম (Sodium)
  • পটাশিয়াম (Potassium)
Read More:  প্রতিস্থাপন পদ্ধতি কাকে বলে? জানুন সহজ উপায়

এই ধাতুগুলো বিভিন্ন শিল্প ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হয়।

ধাতু কিভাবে গঠিত হয়?

ধাতুর গঠন তার বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী। ধাতুর পরমাণুগুলো একটি বিশেষ কাঠামোতে সজ্জিত থাকে, যেখানে তারা সহজে ইলেকট্রন ত্যাগ করতে পারে। এই ইলেকট্রনগুলো ধাতুর মধ্যে মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ায় এবং বিদ্যুৎ পরিবহনে সাহায্য করে। ধাতব বন্ধন (Metallic Bond) নামক একটি বিশেষ ধরনের রাসায়নিক বন্ধন ধাতব পরমাণুগুলোকে একত্রিত রাখে।

অধাতু (Non-metal) কাকে বলে?

অধাতু হলো সেইসব মৌলিক পদার্থ যাদের মধ্যে ধাতুর বৈশিষ্ট্যগুলো সাধারণত দেখা যায় না। এরা বিদ্যুৎ এবং তাপের কুপরিবাহী এবং এদের মধ্যে নমনীয়তা ও ঘাতসহতাও কম থাকে।

অধাতুর কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য:

অধাতুকে চেনার জন্য কিছু বৈশিষ্ট্য নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • চকচকে নয়: অধাতুর পৃষ্ঠ সাধারণত চকচকে হয় না। এদের ঔজ্জ্বল্য কম থাকে।

  • কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় অবস্থা: অধাতু কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় – তিন অবস্থাতেই থাকতে পারে। যেমন, অক্সিজেন গ্যাসীয়, ব্রোমিন তরল এবং কার্বন কঠিন।

  • বিদ্যুৎ কুপরিবাহী: অধাতু বিদ্যুৎ পরিবাহী নয়। এদের মধ্যে মুক্ত ইলেকট্রন না থাকায় বিদ্যুৎ চলাচল করতে পারে না।

  • তাপ কুপরিবাহী: এরা তাপের কুপরিবাহী। তাই এদের মধ্যে দিয়ে তাপ সহজে চলাচল করতে পারে না।

  • নমনীয়তা ও ঘাতসহতার অভাব: অধাতুকে পিটিয়ে পাতলা করা বা আঘাত করে সহজে আকৃতি পরিবর্তন করা যায় না।

  • নিম্ন গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক: সাধারণত অধাতুর গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক কম থাকে।

কয়েকটি পরিচিত অধাতু:

আমাদের চারপাশে অনেক অধাতু রয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকটির উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:

  • অক্সিজেন (Oxygen)
  • নাইট্রোজেন (Nitrogen)
  • কার্বন (Carbon)
  • সালফার (Sulfur)
  • ফসফরাস (Phosphorus)
  • ক্লোরিন (Chlorine)
  • ব্রোমিন (Bromine)
  • আয়োডিন (Iodine)
  • হিলিয়াম (Helium)
  • নিওন (Neon)

এই অধাতুগুলো আমাদের জীবন এবং পরিবেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অধাতু কিভাবে গঠিত হয়?

অধাতুর গঠন ধাতুর থেকে ভিন্ন। অধাতুর পরমাণুগুলো সাধারণত ইলেকট্রন গ্রহণ করে স্থিতিশীল হতে চায় এবং সমযোজী বন্ধন (Covalent Bond) নামক বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত থাকে। এই কারণে এদের মধ্যে মুক্ত ইলেকট্রন কম থাকে এবং এরা বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে না।

ধাতু ও অধাতুর মধ্যে পার্থক্য

ধাতু ও অধাতুর মধ্যেকার প্রধান পার্থক্যগুলো নিচে একটি ছকের মাধ্যমে দেওয়া হলো:

বৈশিষ্ট্য ধাতু অধাতু
ঔজ্জ্বল্য চকচকে চকচকে নয়
অবস্থা কঠিন (পারদ ছাড়া) কঠিন, তরল বা গ্যাসীয়
বিদ্যুৎ পরিবাহিতা সুপরিবাহী কুপরিবাহী
তাপ পরিবাহিতা সুপরিবাহী কুপরিবাহী
নমনীয়তা নমনীয় নমনীয় নয়
ঘাতসহতা ঘাতসহ ঘাতসহ নয়
গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক উচ্চ নিম্ন
বন্ধন ধাতব বন্ধন সমযোজী বন্ধন

এই ছকটি ধাতু ও অধাতুর মধ্যেকার পার্থক্য বুঝতে সাহায্য করবে।

ধাতু ও অধাতুর ব্যবহার

ধাতু ও অধাতু উভয়ই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এবং শিল্পক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজে লাগে। নিচে তাদের কিছু ব্যবহার উল্লেখ করা হলো:

Read More:  ডিম পোনা কাকে বলে? জানুন বিস্তারিত তথ্য!

ধাতুর ব্যবহার:

  • নির্মাণ কাজে: লোহা, ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম বিভিন্ন কাঠামো নির্মাণে ব্যবহৃত হয়। যেমন, দালান, সেতু, এবং যানবাহন তৈরিতে এগুলো ব্যবহার করা হয়।

  • বৈদ্যুতিক কাজে: তামা এবং অ্যালুমিনিয়াম তার ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এদের উচ্চ বিদ্যুৎ পরিবাহিতা এই কাজে উপযুক্ত।

  • গহনা তৈরিতে: সোনা, রূপা এবং প্ল্যাটিনাম মূল্যবান গহনা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এদের ঔজ্জ্বল্য এবং স্থিতিশীলতা একে জনপ্রিয় করেছে।

  • পরিবহন: অ্যালুমিনিয়াম এবং ইস্পাত বিমান, ট্রেন এবং গাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, কারণ এগুলি হালকা এবং শক্তিশালী।

  • চিকিৎসা ক্ষেত্রে: টাইটানিয়াম এবং স্টেইনলেস স্টীল অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম এবং কৃত্রিম অঙ্গ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

  • রান্নার বাসনপত্র: অ্যালুমিনিয়াম, তামা ও স্টেইনলেস স্টীল রান্নার বাসনপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয় কারণ এগুলো তাপ সুপরিবাহী এবং সহজে গরম হয়।

অধাতুর ব্যবহার:

  • অক্সিজেন: শ্বাস-প্রশ্বাস এবং দহন প্রক্রিয়ার জন্য অপরিহার্য। এটি হাসপাতালে এবং ডুবুরিদের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডারে ব্যবহৃত হয়।

  • নাইট্রোজেন: সার তৈরিতে এবং খাদ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়। তরল নাইট্রোজেন শীতলীকরণেও ব্যবহৃত হয়।

  • কার্বন: পেন্সিল, ব্যাটারি এবং বিভিন্ন জৈব যৌগ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। হীরক কার্বনের একটি রূপ, যা গহনা এবং কাটার সরঞ্জাম হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

  • সালফার: সালফিউরিক অ্যাসিড (ব্যাটারি অ্যাসিড), সার এবং ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

  • ফসফরাস: দিয়াশলাই এবং কীটনাশক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

  • ক্লোরিন: পানি বিশুদ্ধকরণ এবং ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

  • আয়োডিন: এটি জীবাণুনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে কাজে লাগে।

  • হিলিয়াম: বেলুন এবং হালকা এয়ারশিপে ব্যবহৃত হয় কারণ এটি বাতাসের চেয়ে হালকা। এটি এমআরআই মেশিনের চুম্বক শীতল রাখতে ব্যবহৃত হয়।

এই ব্যবহারগুলো থেকে বোঝা যায় যে ধাতু ও অধাতু আমাদের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

ধাতু ও অধাতু নিয়ে কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ):

এখানে ধাতু ও অধাতু নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো, যা আপনাদের মনে প্রায়ই আসে:

  • প্রশ্ন: ধাতু কি সবসময় কঠিন হয়?

    উত্তর: সাধারণত ধাতু কঠিন হয়, তবে পারদ (Quicksilver/Mercury) এর ব্যতিক্রম। এটি সাধারণ তাপমাত্রায় তরল অবস্থায় থাকে।

  • প্রশ্ন: কোন ধাতু সবচেয়ে ভালো বিদ্যুৎ পরিবাহী?

    উত্তর: রূপা (Silver) হলো সবচেয়ে ভালো বিদ্যুৎ পরিবাহী ধাতু। তবে, দাম বেশি হওয়ার কারণে তামা (Copper) বেশি ব্যবহৃত হয়।

  • প্রশ্ন: অধাতু কি বিদ্যুৎ পরিবাহী হতে পারে?

উত্তর: সাধারণত অধাতু বিদ্যুৎ কুপরিবাহী। তবে গ্রাফাইট (Graphite), যা কার্বনের একটি রূপ, বিদ্যুৎ পরিবাহী।
  • প্রশ্ন: ধাতু এবং অধাতু কিভাবে বিক্রিয়া করে?

    উত্তর: ধাতু সাধারণত ইলেকট্রন ত্যাগ করে ক্যাটায়ন (ধনাত্মক আয়ন) তৈরি করে এবং অধাতু ইলেকট্রন গ্রহণ করে অ্যানায়ন (ঋণাত্মক আয়ন) তৈরি করে। এই ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নগুলো পরবর্তীতে আয়নিক বন্ধন (Ionic Bond) গঠনের মাধ্যমে যৌগ তৈরি করে। যেমন, সোডিয়াম (ধাতু) ও ক্লোরিন (অধাতু) বিক্রিয়া করে সোডিয়াম ক্লোরাইড (লবণ) উৎপন্ন করে।

  • প্রশ্ন: ধাতু সংকরের (Alloy) উপকারিতা কী?

    উত্তর: ধাতু সংকর তৈরি করার মাধ্যমে ধাতুর বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করা যায়। যেমন, স্টেইনলেস স্টিল (Stainless Steel), যা লোহা, কার্বন ও ক্রোমিয়ামের সংকর, এটি সহজে মরিচা ধরে না এবং এটি বেশি টেকসই হয়।

  • প্রশ্ন: ধাতু ক্ষয় (Corrosion) কিভাবে রোধ করা যায়?

উত্তর: ধাতু ক্ষয় রোধ করার জন্য বিভিন্ন উপায় আছে যেমন - পেইন্ট করা, গ্যালভানাইজিং (জিঙ্কের প্রলেপ দেওয়া), ইলেক্ট্রোপ্লেটিং (অন্য ধাতুর প্রলেপ দেওয়া) ইত্যাদি।
  • প্রশ্ন: কোন অধাতু আমাদের জীবনের জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি?

    উত্তর: অক্সিজেন (Oxygen) আমাদের জীবনের জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি। এটি শ্বাস-প্রশ্বাস এবং দহন প্রক্রিয়ার জন্য অপরিহার্য।

  • প্রশ্ন: ধাতু এবং অধাতু চেনার সহজ উপায় কী?

    উত্তর: এদের ভৌত বৈশিষ্ট্যগুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করলে চেনা যায়। ধাতুর ঔজ্জ্বল্য, পরিবাহিতা এবং কঠিন অবস্থা দেখে এদেরকে সহজেই শনাক্ত করা যায়। অন্যদিকে, অধাতুর বৈশিষ্ট্যগুলো ধাতুর বিপরীত হয়।

Read More:  শিল্পকলা কাকে বলে? জানুন খুঁটিনাটি তথ্য

এই প্রশ্নগুলো ধাতু ও অধাতু সম্পর্কে আপনার সাধারণ জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করবে আশা করি।

ধাতুকল্প (Metalloids): ধাতু ও অধাতুর মাঝে সেতুবন্ধন

ধাতু ও অধাতু ছাড়াও কিছু মৌলিক পদার্থ আছে যাদের মধ্যে ধাতু এবং অধাতু উভয়েরই কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এদেরকে ধাতুকল্প বা উপধাতু (Metalloids) বলা হয়। এদের বৈশিষ্ট্যগুলো সাধারণ ধাতু এবং অধাতুর মাঝামাঝি হয়ে থাকে।

ধাতুকল্পের কিছু উদাহরণ:

  • সিলিকন (Silicon)
  • জার্মেনিয়াম (Germanium)
  • আর্সেনিক (Arsenic)
  • অ্যান্টিমনি (Antimony)
  • টেলুরিয়াম (Tellurium)
  • বোরন (Boron)
  • পলোনিয়াম (Polonium)

ধাতুকল্পের ব্যবহার:

ধাতুকল্পগুলো সাধারণত সেমিকন্ডাক্টর (Semiconductor) হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এদের বিদ্যুৎ পরিবাহিতা সাধারণ ধাতু এবং অধাতুর মাঝামাঝি হওয়ায়, এদেরকে ইলেকট্রনিক্স শিল্পে ব্যবহার করা হয়। যেমন, সিলিকন কম্পিউটার চিপস (Computer Chips) তৈরিতে বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়।

আমাদের জীবনে ধাতু ও অধাতুর প্রভাব

ধাতু ও অধাতু আমাদের জীবনে নানাভাবে প্রভাব ফেলে। এদের ব্যবহার আমাদের জীবনযাত্রাকে সহজ ও উন্নত করেছে। নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:

  • স্বাস্থ্যখাতে: বিভিন্ন ধাতুর ব্যবহার হাড়ের চিকিৎসায়, দাঁতের চিকিৎসায় এবং ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, আয়োডিন, ফসফরাস জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে।

  • কৃষিক্ষেত্রে: নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ সার ব্যবহার করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করা যায়, যা খাদ্য উৎপাদনে সাহায্য করে।

  • পরিবেশ সুরক্ষায়: পানি বিশুদ্ধকরণে ক্লোরিন ব্যবহার করা হয়, যা পানিকে জীবাণুমুক্ত করে।

  • যোগাযোগ ব্যবস্থায়: তামা ও অ্যালুমিনিয়াম তার ব্যবহার করে বিদ্যুৎ পরিবহন করা হয়, যা আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সচল রাখে।

  • প্রযুক্তি ক্ষেত্রে: সিলিকন, জার্মেনিয়াম ব্যবহার করে কম্পিউটার চিপস তৈরি করা হয়, যা আধুনিক প্রযুক্তির ভিত্তি।

এভাবে ধাতু ও অধাতু আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পরিশেষে, ধাতু ও অধাতু আমাদের চারপাশের জগতের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এদের বৈশিষ্ট্য, ব্যবহার এবং আমাদের জীবনে এদের প্রভাব সম্পর্কে জানা আমাদের জন্য খুবই জরুরি। আশা করি, এই ব্লগ পোস্টটি আপনাদের ধাতু ও অধাতু সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দিতে পেরেছে। ভবিষ্যৎ এ নতুন কোন বিষয় নিয়ে আবার আলোচনা হবে, সেই পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

Previous Post

ডিম পোনা কাকে বলে? জানুন বিস্তারিত তথ্য!

Next Post

কোন ভেদে ত্রিভুজ কাকে বলে? প্রকারভেদ ও বৈশিষ্ট্য

Mushfiqur Rahman

Mushfiqur Rahman

I am Mushfiqur Rahman Swopnil, owner of Bongo Tuner and an experienced SEO and Digital Marketing professional with a deep understanding of affiliate marketing and link building. Running my own marketing agency, I offer strategic digital solutions to boost brand visibility and drive tangible results. My extensive experience covers all aspects of online marketing, helping businesses achieve their growth objectives through data-driven SEO and effective link-building strategies.

Next Post
কোন ভেদে ত্রিভুজ কাকে বলে? প্রকারভেদ ও বৈশিষ্ট্য

কোন ভেদে ত্রিভুজ কাকে বলে? প্রকারভেদ ও বৈশিষ্ট্য

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন
Education

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন

by Mushfiqur Rahman
May 5, 2025
0

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য মনে করুন, পরীক্ষার আগের রাতে আপনি সব পড়ে শেষ করেছেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে...

Read more
মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

May 5, 2025
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

May 5, 2025
ADVERTISEMENT
Bongo Tuner

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Navigate Site

  • Home
  • About Us
  • Privacy Policy
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy

Follow Us

No Result
View All Result
  • About Us
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy
  • Privacy Policy

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Table of Contents

×
  • ধাতু (Metal) কাকে বলে?
    • ধাতুর কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য:
    • কয়েকটি পরিচিত ধাতু:
    • ধাতু কিভাবে গঠিত হয়?
  • অধাতু (Non-metal) কাকে বলে?
    • অধাতুর কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য:
    • কয়েকটি পরিচিত অধাতু:
    • অধাতু কিভাবে গঠিত হয়?
  • ধাতু ও অধাতুর মধ্যে পার্থক্য
  • ধাতু ও অধাতুর ব্যবহার
    • ধাতুর ব্যবহার:
    • অধাতুর ব্যবহার:
  • ধাতু ও অধাতু নিয়ে কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ):
  • ধাতুকল্প (Metalloids): ধাতু ও অধাতুর মাঝে সেতুবন্ধন
    • ধাতুকল্পের কিছু উদাহরণ:
    • ধাতুকল্পের ব্যবহার:
  • আমাদের জীবনে ধাতু ও অধাতুর প্রভাব
← সূচিপত্র দেখুন