আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রচনা শেয়ার করব “দৈনন্দিন কাজে বিজ্ঞান“। এই রচনাটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই রচনাটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
দৈনন্দিন কাজে বিজ্ঞান
ভূমিকা : আধুনিক সভ্যতা মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ও সাধনার ক্রমপরিণতি। মানুষ তার যুগ-যুগান্তরের স্বপ্ন ও সাধনার ফসল দিয়ে নির্মাণ করেছে এ সভ্যতা। এ সভ্যতার মতো বিজ্ঞানও মানুষের কঠোর সাধনার ফসল। প্রাচীন যুগের আগুন আবিষ্কার থেকে শুরু করে বর্তমান যুগের বিস্ময়কর আবিষ্কার কম্পিউটার সবই বিজ্ঞানের কল্যাণে সম্ভব হয়েছে। বিজ্ঞান আমাদের জীবনযাত্রায় এনেছে অভূতপূর্ব পরিবর্তন। আমাদের প্রতিটি কাজের চালিকাশক্তি হলো এই বিজ্ঞান । ইউরোপের শিল্পবিপ্লবের মাধ্যমে সারাবিশ্বে বিজ্ঞানের অভাবনীয় বিস্তৃতি ঘটে। সে সময়ই মানুষ প্রথম বাষ্পশক্তিকে কাজে ব্যবহার করতে শিখে। ক্রমে ক্রমে আসে বিদ্যুৎশক্তি, পেট্রোলিয়াম, পারমাণবিক শক্তি, প্রাকৃতিক শক্তি প্রভৃতি। বিজ্ঞানের সব আবিষ্কার আমাদের জীবনযাত্রায় এনে দিয়েছে গতি, দিয়েছে শক্তি । তাই বিজ্ঞান ছাড়া আধুনিক জীবনের কথা ভাবাই যায় না ।
বিজ্ঞান কী : ‘বিজ্ঞান’ বা ‘Science’ শব্দটির উৎপত্তি ‘Scio’ শব্দ থেকে। ‘Scio’ অর্থ জানা বা শিক্ষা করা । শাব্দিক অর্থে বিশেষ জ্ঞানই হলো বিজ্ঞান । বিজ্ঞানের, দর্শনের, পার্থিব জগতের নানা বিষয় নিয়ে গড়ে উঠেছে বিজ্ঞানের জগৎ। বিজ্ঞান মানুষকে সংস্কার থেকে দিয়েছে মুক্তি, এনেছে অন্ধকার থেকে আলোকে, দিয়েছে নতুন জীবন। মানুষের অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টি বিজ্ঞানের বিচিত্র পথে গমন করে মানবজীবনের জন্য এনেছে পরম কল্যাণ, সমৃদ্ধি ।
দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান : আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের বহুমুখী ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব অনস্বীকার্য। পথে-ঘাটে, অফিস- আদালতে, অনুষ্ঠানে, সংবাদে-সংলাপে সর্বত্রই বিজ্ঞান পরিব্যাপ্ত। দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের অবদান মানুষকে দিয়েছে অপরিমিত সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য। টুথপেস্ট, ব্রাশ, স্টোভ, হিটার, বৈদ্যুতিক পাখা, বিজলি বাতি, ফ্রিজ, এয়ারকুলার, লিফট, কম্পিউটার, তেল, সাবান, পাউডার, পারফিউম, আয়না, চিরুনি, ইস্ত্রি প্রভৃতি ছাড়া দৈনন্দিন জীবনের কথা চিন্তাই করা যায় না। মোট কথা, বিজ্ঞানকে মানুষ দৈনন্দিন জীবনে নানাভাবে ব্যবহার করছে। নিচে এ সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করা হলো-
ক. কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞান : সভ্যতার সূচনালগ্নে বৈজ্ঞানিক চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ কৃষির উদ্ভাবন করে। কৃষিবিজ্ঞানীরা বর্তমান শতাব্দীতে কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ব্যবহারকে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছেন। অল্প জমিতে অধিক ফসল উৎপাদনের প্রয়াসে যান্ত্রিক সরঞ্জামের আবিষ্কার কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লবের সূচনা করেছে। ট্রাক্টর, পাওয়ার ট্রিলারের সাথে আরও নানা ধরনের যান্ত্রিক সরঞ্জামের আবিষ্কার মানুষকে শ্রমের হাত থেকে মুক্তি দিয়েছে। পাম্প, গভীর নলকূপের মাধ্যমে তারা এখন সহজেই জমিতে সেচ দিতে পারছে। একই সঙ্গে গোবর সার, কম্পোস্ট সার ও সবুজ সারের স্থলে রাসায়নিক সার আবিষ্কারের ফলে উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ধান ও গমের ক্ষেত্রে উচ্চফলনশীল বীজ উদ্ভাবিত হয়েছে। অনেক সবজি ও ফলেরও উন্নত জাত উদ্ভাবনের ফলে কৃষিক্ষেত্রে সম্ভাবনার দুয়ার উন্মুক্ত হয়েছে।
খ. যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিজ্ঞান : বিজ্ঞানের কল্যাণে পথের দূরত্ব মানুষের কাছে এখন আর কোনো কঠিন বিষয় নয়। দ্রুতগামী যানবাহন আবিষ্কারের ফলে আমরা সহজেই পৌঁছতে পারছি আমাদের গন্তব্যে। উড়োজাহাজ আবিষ্কারের মাধ্যমে এক দেশের সাথে অন্য দেশের যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। মোবাইল, টেলিফোন, ফ্যাক্স, রেডিও, ই-মেইল ইত্যাদির মাধ্যমে এক মুহূর্তেই বিশ্বের যেকোনো খবর আমাদের কাছে পৌঁছে যায়। শুধু তাই নয়, রকেটে করে মানুষ এখন মহাকাশে ভ্রমণ করছে। পৃথিবীর বাইরে মহাকাশে স্থাপন করা হয়েছে কৃত্রিম উপগ্রহ। আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন নামক এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্যাটেলাইট ব্যবহার করে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করা যায়। ফাইবার অপটিক্স-এর মাধ্যমে মোবাইলে কথা বলার পাশাপাশি পরস্পরের ছবিও দেখা যাচ্ছে । কম্পিউটারের বিভিন্ন তথ্যাবলি আদান-প্রদান করা যাচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ।
গ. গৃহকার্যে বিজ্ঞান : প্রভাতের শয্যাত্যাগ থেকে শুরু করে রাত্রির শয্যাগ্রহণ পর্যন্ত বিজ্ঞান মানুষের অত্যন্ত অনুগত অনুচর। আমাদের রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহৃত স্টোভ, গ্যাসের চুলা, হিটার প্রভৃতি বিজ্ঞানেরই দান। বৈদ্যুতিক চুলা থেকে শুরু করে টেলিভিশন, ফ্যান, টেপ রেকর্ডার, ফ্রিজ, পানি তোলার যন্ত্র, ওয়াশিং মেশিন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ইত্যাদি সবই চলে বিদ্যুতের সাহায্যে। বৈদ্যুতিক বাতির আলোয় আলোকিত হয় আমাদের ঘর। বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার টেলিভিশন। আধুনিক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসে দেখতে পারছি বিশ্বের বিভিন্ন খেলাধুলা, অনুষ্ঠান প্রভৃতি। বিজ্ঞানের আরেকটি আবিষ্কার হলো ফ্রিজ। এতে অনেক দিনের খাবার সংরক্ষণ করে রাখা যায়। বৈদ্যুতিক পাখার মাধ্যমে আমরা গরমের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। প্রতিদিন সকালবেলা সংবাদপত্র না হলে আমাদের চলে না। এর মাধ্যমে ঘরে বসে আমরা প্রতিদিনের বিশ্ব পরিস্থিতি, বাজার দর, খেলার খবর, চাকরির খবর প্রভৃতি জানতে পারি। আজ শহরের প্রতিটি বাড়িতেই ব্যবহৃত হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাসের চুলা। এই গ্যাসের আবিষ্কার এবং গ্যাসকে জ্বালানির উপযোগী করে তোলা বিজ্ঞানই সম্ভব করেছে ।
ঘ. চিকিৎসার কাজে বিজ্ঞান : বিজ্ঞানের কল্যাণে মানুষ দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি পেয়েছে। প্রাচীনকালে মানুষ কবিরাজ, ওঝা, পীর, ফকির ও তাদের দেওয়া গাছগাছড়া, তাবিজ, পানিপড়া, ঝাড়ফুক প্রভৃতির ওপর একান্ত নির্ভরশীল ছিল। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রাচীন ধ্যানধারণাকে পেছনে ফেলে নতুন সব ধ্যানধারণা ও প্রযুক্তি চিকিৎসাজগতকে দান করে সেক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে। যুগান্তকারী সব ওষুধপত্র মৃত্যুপথযাত্রী রোগীকে নতুন জীবনের আলো দেখিয়েছে। কর্নিয়া সংযোজন, অস্থিমজ্জা, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস ও বৃক্কের মতো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনে চিকিৎসাশাস্ত্র বিজ্ঞানের অবদানে সমৃদ্ধ। অতিকম্পনশীল শব্দ এবং লেজার রশ্মিকে কাজে লাগিয়ে রেডিয়াম আবিষ্কার করে, তাকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞান চিকিৎসাক্ষেত্রে এমন এক বিপ্লব এনেছে যার দ্বারা শরীরের অভ্যন্তরে কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে জানা যাচ্ছে। সবশেষে চিকিৎসাক্ষেত্রে যুক্ত হয়েছে কম্পিউটার প্রযুক্তি।
ঙ. শিক্ষাক্ষেত্রে বিজ্ঞান : শিক্ষাক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান অনস্বীকার্য। শিক্ষাক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো বিজ্ঞানই আবিষ্কার করেছে। মুদ্রণযন্ত্র, ক্যালকুলেটর, কাগজ, জ্ঞান আহরণের জন্য সংবাদপত্র ও বইপত্র সবই বিজ্ঞানের দান। বেতারযন্ত্র, টেলিভিশন, কম্পিউটার প্রভৃতি যেমন মানুষকে অফুরন্ত আনন্দ দিচ্ছে তেমনি শিক্ষাক্ষেত্রেও এনেছে বিপ্লব। কম্পিউটার বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থায় বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম ব্যবহার করে যুক্ত করেছে নতুন এক শিক্ষাপদ্ধতি। তাছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন বিখ্যাত লাইব্রেরি, বই, জার্নাল, বিখ্যাত শহর-বন্দর, বাণিজ্য, দেশ ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন উপাত্ত মুহূর্তেই সংগ্রহ করা যাচ্ছে ।
চ. আবহাওয়ায় বিজ্ঞান : আমাদের জীবনযাত্রার অনেক কাজই নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপর। বিজ্ঞানীরা মহাকাশে প্রেরণ করেছেন কৃত্রিম উপগ্রহ। যার ফলে আবহাওয়ার খবরাখবর মুহূর্তেই নির্ভুলভাবে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। ৭/৮ দিন আগে থেকেই আমরা এখন ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস জানতে পারছি। এতে করে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণের ফলে জীবন ও সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। ভূ-উপগ্রহের মাধ্যমে খনিজ সম্পদ, তেল ও গ্যাসের উৎস, মাটির উপাদান ও জলজ সম্পদ সম্পর্কে সব কিছু সহজেই জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের আক্রমণের আশঙ্কা সম্পর্কে। বিজ্ঞানের কল্যাণে মানুষ এখন কৃত্রিম বৃষ্টি নামাতে পারে এবং রঙিন ধোঁয়ার সাহায্যে আকাশের গায়ে রংধনুও সৃষ্টি করতে পারে।
ছ. শিল্পক্ষেত্রে বিজ্ঞান : শিল্পক্ষেত্রেও বিজ্ঞান যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধন করেছে। বিদ্যুৎ আবিষ্কারের ফলে বড় বড় শিল্প-কারখানা স্থাপন সম্ভব হয়েছে। কেবল একটি সুইচের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে উৎপাদন কার্যক্রম। অল্প সময়ে পাওয়া যাচ্ছে অধিক উৎপাদন । ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লবের মূলে ছিল বিজ্ঞান
জ. বিনোদনের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান : বিজ্ঞান বহুমুখী সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে মানুষের জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে। বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে টেলিভিশন, রেডিও, চলচ্চিত্র প্রভৃতি যন্ত্রণাক্লিষ্ট মানুষের একঘেয়ে জীবনে এনে দিয়েছে বিচিত্র অনাবিল আনন্দ। গানে, নাচে, নাটকে বিজ্ঞানের বিনোদনযন্ত্র ভরিয়ে রাখছে মানুষের প্রাণ।
বিজ্ঞানের কুফল : প্রাত্যহিক জীবনে অতিমাত্রায় যন্ত্রনির্ভরতার কুফলও কম নয়। বিজ্ঞান মানুষের প্রাণচাঞ্চল্যকে হরণ করেছে, তার সহজ ও স্বাভাবিক অনায়াস জীবনচর্চাকে করেছে ব্যাহত। তার শরীর ও মন যেন প্রকৃতির আনন্দময় সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যন্ত্রকে মানুষ যতই প্রশ্রয় দিচ্ছে ততই তার জীবনে কৃত্রিমতা, অবসাদ বাড়ছে। গত শতাব্দীতে সংঘটিত বিশ্বযুদ্ধের বিভীষিকা এখনও বোমা এবং অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র । মানুষকে আতঙ্কিত করে রেখেছে। বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে মানুষ আজ তৈরি করছে আণবিক বোমা, হাইড্রোজেন বোমা, জীবাণু।
উপসংহার : আধুনিক মানুষ জীবনে চলার প্রতিটি ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক সুযোগ-সুবিধাকে ব্যবহার করছে। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সাথে বিজ্ঞান ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিজ্ঞান কেবল মানুষকে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যই দিচ্ছে না, জীবনের প্রতি মুহূর্তে বিজ্ঞানের প্রয়োগ তার মনকে করেছে পরিশীলিত। কিন্তু আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে যে, বিজ্ঞানের অকল্যাণকর কিছু দিক আছে। সে দিকগুলো অবশ্যই আমরা বর্জন করব। বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি আমাদের জীবনে আরাম-আয়েশ এনে দিয়েছে ঠিকই কিন্তু মানুষকে করেছে অলস। তাই যন্ত্র ব্যবহারের পাশাপাশি নিজেদের শক্তিকেই কাজে লাগাতে হবে ।. তবেই বিজ্ঞান আমাদের জন্য সর্বাংশে মঙ্গলজনক হয়ে উঠবে।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে রচনা যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই রচনা নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।