Bongo Tuner
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
Bongo Tuner
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT

গলনাংক ও স্ফুটনাংক কাকে বলে? সহজ ভাষায় বুঝুন!

Mushfiqur Rahman by Mushfiqur Rahman
February 19, 2025
in Education
0
গলনাংক ও স্ফুটনাংক কাকে বলে? সহজ ভাষায় বুঝুন!

গলনাংক ও স্ফুটনাংক কাকে বলে? সহজ ভাষায় বুঝুন!

0
SHARES
13
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter
ADVERTISEMENT
Get Latest Updates

আচ্ছা, কখনো কি ভেবেছেন, বরফ কেন গলে যায়? পানি কেন ফুটে বাষ্প হয়? অথবা, সোনার গয়না বানাতে গেলে সোনাকে কেন গলাতে হয়? এই সবকিছুর মূলে রয়েছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস – গলনাংক (Melting Point) ও স্ফুটনাংক (Boiling Point)। আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা এই বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করব। একদম সহজ ভাষায়, যাতে আপনি সবকিছু জলের মতো পরিষ্কার বুঝতে পারেন!

Table of Contents

Toggle
  • গলনাংক (Melting Point) কী?
    • গলনাংকের বৈশিষ্ট্য
    • দৈনন্দিন জীবনে গলনাংকের ব্যবহার
  • স্ফুটনাংক (Boiling Point) কী?
    • স্ফুটনাংকের বৈশিষ্ট্য
    • দৈনন্দিন জীবনে স্ফুটনাংকের ব্যবহার
  • গলনাংক ও স্ফুটনাংকের মধ্যে পার্থক্য
  • কেন বিভিন্ন পদার্থের গলনাংক ও স্ফুটনাংক ভিন্ন হয়?
    • আণবিক গঠন (Molecular Structure)
    • আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল (Intermolecular Forces)
    • উদাহরণ
  • দৈনন্দিন জীবনে গলনাংক ও স্ফুটনাংকের প্রভাব
    • রান্নাবান্না
    • আবহাওয়া
    • শিল্প ও প্রযুক্তি
  • গলনাংক এবং স্ফুটনাংককে প্রভাবিত করার কারণগুলো কী কী?
    • চাপ (Pressure)
    • আন্তঃআণবিক শক্তি (Intermolecular Forces)
    • আণবিক ভর (Molecular Weight)
    • অশুচিতা (Impurities)
    • আয়নিক বনাম সমযোজী যৌগ (Ionic vs. Covalent Compounds)
  • কিছু সাধারণ পদার্থের গলনাংক এবং স্ফুটনাংকের তালিকা
  • গলনাংক ও স্ফুটনাংক নির্ণয়ের পদ্ধতি
    • গলনাংক নির্ণয়ের পদ্ধতি
    • স্ফুটনাংক নির্ণয়ের পদ্ধতি
  • FAQ (Frequently Asked Questions)
    • গলনাংক এবং স্ফুটনাংক কি পদার্থের বৈশিষ্ট্য?
    • চাপ বাড়লে গলনাংকের কি পরিবর্তন হয়?
    • পাহাড়ের উপরে পানি তাড়াতাড়ি ফোটে কেন?
    • শুষ্ক বরফের (Dry Ice) গলনাংক কত?
    • কোনো পদার্থের গলনাংক বেশি হওয়ার কারণ কী?
    • স্ফুটনাংকের উপর ভেজালের প্রভাব কী?

গলনাংক (Melting Point) কী?

সহজ ভাষায় গলনাংক হলো সেই তাপমাত্রা, যে তাপমাত্রায় কোনো কঠিন পদার্থ গলতে শুরু করে তরলে পরিণত হয়। ধরুন, আপনার কাছে এক টুকরো বরফ আছে। ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলে এটি গলতে শুরু করবে। কিন্তু বরফ গলতে শুরু করার আগে একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পৌঁছাতে হয় – ঠিক ০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বরফ গলতে শুরু করে। এই ০° সেলসিয়াস তাপমাত্রাই হলো বরফের গলনাংক।

গলনাংকের বৈশিষ্ট্য

  • নির্দিষ্ট তাপমাত্রা: প্রতিটি কঠিন পদার্থের গলনাংক নির্দিষ্ট। যেমন, বরফের গলনাংক ০° সেলসিয়াস, লোহার গলনাংক ১৫৩৫° সেলসিয়াস।
  • তাপমাত্রার স্থিরতা: গলন চলাকালীন তাপমাত্রা স্থির থাকে। যতক্ষণ না পুরো কঠিন পদার্থ গলে যায়, ততক্ষণ তাপমাত্রা বাড়ে না।
  • চাপের প্রভাব: চাপের পরিবর্তনে গলনাংকের সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

দৈনন্দিন জীবনে গলনাংকের ব্যবহার

  • ধাতু গলানো: স্বর্ণকারেরা সোনা গলিয়ে গয়না তৈরি করেন। বিভিন্ন ধাতু গলিয়ে শিল্প কারখানায় নানা জিনিস তৈরি করা হয়।
  • রান্নাকাজ: মাখন বা চকোলেট গলিয়ে বিভিন্ন রেসিপিতে ব্যবহার করা হয়।
  • বৈজ্ঞানিক গবেষণা: বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন পদার্থের গলনাংক পরীক্ষা করে তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পারেন।

স্ফুটনাংক (Boiling Point) কী?

স্ফুটনাংক হলো সেই তাপমাত্রা, যে তাপমাত্রায় কোনো তরল পদার্থ ফুটতে শুরু করে গ্যাসীয় পদার্থে পরিণত হয়। পানিকে যখন আপনি চুলায় গরম করেন, তখন একটা সময় পরে দেখবেন পানি ফুটতে শুরু করে এবং বাষ্প হয়ে উড়ে যায়। যে তাপমাত্রায় পানি ফুটতে শুরু করে, সেটাই হলো পানির স্ফুটনাংক। সাধারণভাবে পানির স্ফুটনাংক ১০০° সেলসিয়াস।

Read More:  তথ্য ও উপাত্ত কাকে বলে? জানুন বিস্তারিত!

স্ফুটনাংকের বৈশিষ্ট্য

  • নির্দিষ্ট তাপমাত্রা: প্রতিটি তরল পদার্থের স্ফুটনাংক নির্দিষ্ট। যেমন, পানির স্ফুটনাংক ১০০° সেলসিয়াস, অ্যালকোহলের স্ফুটনাংক ৭৮.৩৭° সেলসিয়াস।
  • তাপমাত্রার স্থিরতা: স্ফুটন চলাকালীন তাপমাত্রা স্থির থাকে। যতক্ষণ না পুরো তরল বাষ্পে পরিণত হয়, ততক্ষণ তাপমাত্রা বাড়ে না।
  • চাপের প্রভাব: চাপের পরিবর্তনে স্ফুটনাংকের পরিবর্তন হয়। চাপ বাড়লে স্ফুটনাংক বাড়ে, আর চাপ কমলে স্ফুটনাংক কমে।

দৈনন্দিন জীবনে স্ফুটনাংকের ব্যবহার

  • রান্নাকাজ: ভাত, ডাল বা সবজি সেদ্ধ করার জন্য পানি ফুটিয়ে ব্যবহার করা হয়।
  • জীবাণুনাশক: পানি ফুটিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হয়।
  • শিল্প-কারখানা: বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ তৈরি ও পরিশোধন করার জন্য স্ফুটনাংক ব্যবহার করা হয়।

গলনাংক ও স্ফুটনাংকের মধ্যে পার্থক্য

নিচে একটি টেবিলের মাধ্যমে গলনাংক ও স্ফুটনাংকের মূল পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো:

বৈশিষ্ট্য গলনাংক (Melting Point) স্ফুটনাংক (Boiling Point)
সংজ্ঞা যে তাপমাত্রায় কঠিন পদার্থ গলে তরলে পরিণত হয়। যে তাপমাত্রায় তরল পদার্থ ফুটে গ্যাসীয় পদার্থে পরিণত হয়।
পদার্থের অবস্থা কঠিন থেকে তরল তরল থেকে গ্যাসীয়
তাপমাত্রার পরিবর্তন গলনকালে স্থির থাকে স্ফুটনকালে স্থির থাকে
চাপের প্রভাব চাপের পরিবর্তনে সামান্য পরিবর্তন হয় চাপের পরিবর্তনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়
উদাহরণ বরফের গলনাংক ০° সেলসিয়াস পানির স্ফুটনাংক ১০০° সেলসিয়াস

কেন বিভিন্ন পদার্থের গলনাংক ও স্ফুটনাংক ভিন্ন হয়?

বিভিন্ন পদার্থের গলনাংক ও স্ফুটনাংক ভিন্ন হওয়ার প্রধান কারণ হলো তাদের আণবিক গঠন এবং আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বলের পার্থক্য। নিচে এই কারণগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

আণবিক গঠন (Molecular Structure)

  • বিভিন্ন প্রকার অণু: প্রতিটি পদার্থ ভিন্ন ভিন্ন অণু দিয়ে গঠিত। কোনো পদার্থের অণুগুলো ছোট এবং হালকা হতে পারে, আবার কোনো পদার্থের অণুগুলো বড় এবং ভারী হতে পারে।
  • আণবিক ভর: পদার্থের আণবিক ভর যত বেশি, সাধারণত তার গলনাংক ও স্ফুটনাংক তত বেশি হয়। কারণ ভারী অণুগুলোকে আলাদা করতে বেশি শক্তি প্রয়োজন।

আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল (Intermolecular Forces)

  • ভ্যান্ডার ওয়ালস বল (Van der Waals Force): দুর্বল আকর্ষণ বল, যা সাধারণত অধ্রুবীয় অণুগুলোর মধ্যে কাজ করে। এই বল দুর্বল হওয়ায় গলনাংক ও স্ফুটনাংক কম হয়।
  • ডাইপোল-ডাইপোল আকর্ষণ (Dipole-Dipole Attraction): ধ্রুবীয় অণুগুলোর মধ্যে এই আকর্ষণ দেখা যায়। এটি ভ্যান্ডার ওয়ালস বলের চেয়ে শক্তিশালী, তাই গলনাংক ও স্ফুটনাংক কিছুটা বেশি হয়।
  • হাইড্রোজেন বন্ধন (Hydrogen Bonding): যখন হাইড্রোজেন পরমাণু অক্সিজেন, নাইট্রোজেন বা ফ্লুরিনের মতো তীব্র তড়িৎ ঋণাত্মক মৌলের সাথে যুক্ত থাকে, তখন এই বন্ধন গঠিত হয়। এটি একটি শক্তিশালী আকর্ষণ বল, যা পদার্থের গলনাংক ও স্ফুটনাংক অনেক বাড়িয়ে দেয়। যেমন, পানির অণুগুলোর মধ্যে হাইড্রোজেন বন্ধন থাকার কারণে এর স্ফুটনাংক ১০০° সেলসিয়াস।

উদাহরণ

  • মিথেন (CH₄): মিথেনের অণুগুলো ছোট এবং এদের মধ্যে দুর্বল ভ্যান্ডার ওয়ালস বল কাজ করে। তাই এর গলনাংক ও স্ফুটনাংক অনেক কম।
  • পানি (H₂O): পানির অণুগুলোর মধ্যে হাইড্রোজেন বন্ধন বিদ্যমান। এই শক্তিশালী বন্ধনের কারণে পানির স্ফুটনাংক অনেক বেশি (১০০° সেলসিয়াস)।
  • সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl): এটি একটি আয়নিক যৌগ। এখানে সোডিয়াম আয়ন (Na⁺) এবং ক্লোরাইড আয়ন (Cl⁻) এর মধ্যে শক্তিশালী স্থির তড়িৎ আকর্ষণ বল কাজ করে। এই কারণে সোডিয়াম ক্লোরাইডের গলনাংক অনেক বেশি (৮০১° সেলসিয়াস)।
Read More:  অনু কাকে বলে? প্রকারভেদ ও ব্যবহার জানুন

দৈনন্দিন জীবনে গলনাংক ও স্ফুটনাংকের প্রভাব

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গলনাংক ও স্ফুটনাংকের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। নিচে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো:

রান্নাবান্না

রান্নাবান্নার ক্ষেত্রে গলনাংক ও স্ফুটনাংকের ধারণা অত্যন্ত জরুরি।

  • খাবার তৈরি: ডিম সেদ্ধ করতে বা মাংস রান্না করতে নির্দিষ্ট তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। পানি ১০০° সেলসিয়াসে ফুটে খাবার সেদ্ধ করে।
  • চিনি ও লবণের দ্রবণ: চিনি বা লবণ পানিতে মেশানোর সময় এদের দ্রবণীয়তা তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। গরম পানিতে চিনি দ্রুত গলে যায়, কারণ উচ্চ তাপমাত্রায় চিনির অণুগুলোর মধ্যে বন্ধন দুর্বল হয়ে যায়।

আবহাওয়া

আবহাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও গলনাংক ও স্ফুটনাংকের প্রভাব দেখা যায়।

  • বৃষ্টি ও তুষারপাত: জলীয় বাষ্প ঠান্ডা হয়ে যখন জমে বরফ হয়, তখন তা তুষাররূপে ঝরে পড়ে। আবার তাপমাত্রা বাড়লে বরফ গলে পানিতে পরিণত হয়।
  • সমুদ্রের জল: সমুদ্রের জলের লবণাক্ততার কারণে এর স্ফুটনাংক সাধারণ পানির চেয়ে সামান্য বেশি হয়।

শিল্প ও প্রযুক্তি

শিল্প ও প্রযুক্তিতে গলনাংক ও স্ফুটনাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

  • ধাতু নিষ্কাশন: বিভিন্ন খনিজ থেকে ধাতু নিষ্কাশন করতে উচ্চ তাপমাত্রা ব্যবহার করা হয়, যা ধাতুর গলনাংকের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়।
  • পেট্রোলিয়াম পরিশোধন: পেট্রোলিয়ামকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করার জন্য স্ফুটনাংকের পার্থক্যকে কাজে লাগানো হয়। ভিন্ন স্ফুটনাংকের কারণে পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন ইত্যাদি আলাদা করা সম্ভব হয়।
  • প্লাস্টিক তৈরি: বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক তৈরি করার সময় নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় গলিয়ে সেগুলোকে আকার দেওয়া হয়।

গলনাংক এবং স্ফুটনাংককে প্রভাবিত করার কারণগুলো কী কী?

গলনাংক এবং স্ফুটনাংক বিভিন্ন কারণে প্রভাবিত হতে পারে। নিচে প্রধান কারণগুলো আলোচনা করা হলো:

চাপ (Pressure)

চাপের পরিবর্তন গলনাংক এবং স্ফুটনাংককে প্রভাবিত করে।

  • স্ফুটনাংকের উপর প্রভাব: চাপ বাড়লে স্ফুটনাংক বাড়ে এবং চাপ কমলে স্ফুটনাংক কমে। এর কারণ হলো, উচ্চ চাপে তরল পদার্থের অণুগুলোর গ্যাসীয় অবস্থায় যেতে বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়।
  • গলনাংকের উপর প্রভাব: চাপের পরিবর্তনে গলনাংকের তেমন একটা পরিবর্তন হয় না, তবে খুব বেশি চাপ প্রয়োগ করলে গলনাংকের সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

আন্তঃআণবিক শক্তি (Intermolecular Forces)

আন্তঃআণবিক শক্তি গলনাংক এবং স্ফুটনাংক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

  • হাইড্রোজেন বন্ধন: যেসব পদার্থের অণুগুলোর মধ্যে হাইড্রোজেন বন্ধন থাকে, তাদের গলনাংক এবং স্ফুটনাংক বেশি হয়। কারণ হাইড্রোজেন বন্ধন ভাঙতে বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়।
  • ভ্যান্ডার ওয়ালস বল: দুর্বল ভ্যান্ডার ওয়ালস বলের কারণে পদার্থের গলনাংক এবং স্ফুটনাংক কম হয়।

আণবিক ভর (Molecular Weight)

সাধারণভাবে, আণবিক ভর বাড়লে গলনাংক এবং স্ফুটনাংক বাড়ে।

  • কারণ: ভারী অণুগুলোর মধ্যে আকর্ষণ বল বেশি থাকে, তাই তাদের আলাদা করতে বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়।

অশুচিতা (Impurities)

কোনো পদার্থে ভেজাল থাকলে তার গলনাংক এবং স্ফুটনাংকের পরিবর্তন হতে পারে।

  • গলনাংকের উপর প্রভাব: ভেজাল মেশানো হলে সাধারণত গলনাংক কমে যায়।
  • স্ফুটনাংকের উপর প্রভাব: ভেজাল মেশানো হলে স্ফুটনাংক বাড়তে পারে।
Read More:  যৌগিক কাকে বলে? প্রকারভেদ ও উদাহরণ জানুন

আয়নিক বনাম সমযোজী যৌগ (Ionic vs. Covalent Compounds)

আয়নিক যৌগের গলনাংক এবং স্ফুটনাংক সাধারণত সমযোজী যৌগের চেয়ে বেশি হয়।

  • আয়নিক যৌগ: আয়নিক যৌগে শক্তিশালী স্থির তড়িৎ আকর্ষণ বল থাকে, যা ভাঙতে বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়। যেমন, সোডিয়াম ক্লোরাইডের (NaCl) গলনাংক অনেক বেশি।
  • সমযোজী যৌগ: সমযোজী যৌগে দুর্বল আন্তঃআণবিক বল থাকে, তাই এদের গলনাংক এবং স্ফুটনাংক কম হয়। যেমন, মিথেনের (CH₄) গলনাংক অনেক কম।

কিছু সাধারণ পদার্থের গলনাংক এবং স্ফুটনাংকের তালিকা

এখানে কয়েকটি সাধারণ পদার্থের গলনাংক এবং স্ফুটনাংকের তালিকা দেওয়া হলো:

পদার্থ গলনাংক (°C) স্ফুটনাংক (°C)
পানি (H₂O) 0 100
ইথানল (C₂H₅OH) -114.1 78.37
সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) 801 1413
লোহা (Fe) 1535 2750
সোনা (Au) 1064 2856
কপার (Cu) 1085 2562
নাইট্রোজেন (N₂) -210 -196

গলনাংক ও স্ফুটনাংক নির্ণয়ের পদ্ধতি

গলনাংক ও স্ফুটনাংক নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি আলোচনা করা হলো:

গলনাংক নির্ণয়ের পদ্ধতি

  • কৈশিক নলের পদ্ধতি (Capillary Tube Method): এই পদ্ধতিতে একটি ছোট কৈশিক নলের মধ্যে কঠিন পদার্থের সামান্য পরিমাণ নমুনা নেওয়া হয়। তারপর নলটিকে ধীরে ধীরে উত্তপ্ত করা হয় এবং যে তাপমাত্রায় পদার্থটি গলতে শুরু করে, তা নোট করা হয়।
    • এই পদ্ধতিটি সহজ এবং বহুল ব্যবহৃত।
  • ডিফারেনশিয়াল স্ক্যানিং ক্যালোরিমিট্রি (Differential Scanning Calorimetry – DSC): এই আধুনিক পদ্ধতিতে, একটি রেফারেন্স নমুনার সাথে তুলনা করে পদার্থের তাপীয় পরিবর্তন পরিমাপ করা হয়। এটি গলনাংক নির্ণয়ের জন্য অত্যন্ত নির্ভুল একটি পদ্ধতি।

স্ফুটনাংক নির্ণয়ের পদ্ধতি

  • ডিস্টিলেশন পদ্ধতি (Distillation Method): এই পদ্ধতিতে তরল পদার্থকে একটি পাত্রে নিয়ে উত্তপ্ত করা হয়। যখন তরলটি ফুটতে শুরু করে, তখন বাষ্প সংগ্রহ করে ঠান্ডা করা হয় এবং যে তাপমাত্রায় বাষ্প তরলে পরিণত হয়, সেটি স্ফুটনাংক হিসেবে ধরা হয়।
    • এই পদ্ধতিটি সাধারণত ল্যাবরেটরিতে ব্যবহার করা হয়।
  • ইবুলিওস্কোপিক পদ্ধতি (Ebullioscopic Method): এই পদ্ধতিতে দ্রবণের স্ফুটনাংকের পরিবর্তন পরিমাপ করে দ্রবের আণবিক ভর নির্ণয় করা হয়। এটি সাধারণত দ্রবণের স্ফুটনাংক নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়।

FAQ (Frequently Asked Questions)

গলনাংক ও স্ফুটনাংক নিয়ে অনেকের মনে কিছু প্রশ্ন থাকে। নিচে কয়েকটি সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:

গলনাংক এবং স্ফুটনাংক কি পদার্থের বৈশিষ্ট্য?

হ্যাঁ, গলনাংক এবং স্ফুটনাংক প্রতিটি পদার্থের বৈশিষ্ট্য। এই মানগুলো পদার্থকে সনাক্ত করতে এবং এর বিশুদ্ধতা যাচাই করতে ব্যবহার করা হয়।

চাপ বাড়লে গলনাংকের কি পরিবর্তন হয়?

চাপ বাড়লে গলনাংকের তেমন কোনো পরিবর্তন হয় না, তবে অত্যাধিক চাপ প্রয়োগ করলে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

পাহাড়ের উপরে পানি তাড়াতাড়ি ফোটে কেন?

পাহাড়ের উপরে বায়ুমণ্ডলীয় চাপ কম থাকার কারণে পানি ১০০° সেলসিয়াসের আগেই ফুটতে শুরু করে। তাই, পাহাড়ের উপরে পানি তাড়াতাড়ি ফোটে।

শুষ্ক বরফের (Dry Ice) গলনাংক কত?

শুষ্ক বরফ হলো কঠিন কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂)। এর গলনাংক -৭৮.৫° সেলসিয়াস (-109.3° ফারেনহাইট)।

কোনো পদার্থের গলনাংক বেশি হওয়ার কারণ কী?

কোনো পদার্থের গলনাংক বেশি হওয়ার প্রধান কারণ হলো এর অণুগুলোর মধ্যে শক্তিশালী আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বলের উপস্থিতি। যেমন, হাইড্রোজেন বন্ধন বা আয়নিক বন্ধন।

ADVERTISEMENT

স্ফুটনাংকের উপর ভেজালের প্রভাব কী?

ভেজাল মেশানো হলে সাধারণত স্ফুটনাংক বৃদ্ধি পায়। কারণ ভেজাল মেশানোর ফলে দ্রবণের অণুগুলোর মধ্যে আকর্ষণ বলের পরিবর্তন হয়।

আশা করি, এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে গলনাংক ও স্ফুটনাংক সম্পর্কে আপনার ধারণা স্পষ্ট হয়েছে। এই বিষয়গুলো শুধু বিজ্ঞান বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও এদের অনেক প্রভাব রয়েছে। তাই, এই জ্ঞান আমাদের চারপাশের জগৎকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে।

যদি আপনার মনে আরও কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় কমেন্ট সেকশনে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আর যদি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না!

Previous Post

ব্যবসায় কাকে বলে? লাভজনক ব্যবসার সংজ্ঞা ও ধারণা

Next Post

ঘুড়ি কাকে বলে? প্রকারভেদ ও মজার তথ্য জানুন!

Mushfiqur Rahman

Mushfiqur Rahman

I am Mushfiqur Rahman Swopnil, owner of Bongo Tuner and an experienced SEO and Digital Marketing professional with a deep understanding of affiliate marketing and link building. Running my own marketing agency, I offer strategic digital solutions to boost brand visibility and drive tangible results. My extensive experience covers all aspects of online marketing, helping businesses achieve their growth objectives through data-driven SEO and effective link-building strategies.

Next Post
ঘুড়ি কাকে বলে? প্রকারভেদ ও মজার তথ্য জানুন!

ঘুড়ি কাকে বলে? প্রকারভেদ ও মজার তথ্য জানুন!

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন
Education

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন

by Mushfiqur Rahman
May 5, 2025
0

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য মনে করুন, পরীক্ষার আগের রাতে আপনি সব পড়ে শেষ করেছেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে...

Read more
মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

May 5, 2025
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

May 5, 2025
ADVERTISEMENT
Bongo Tuner

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Navigate Site

  • Home
  • About Us
  • Privacy Policy
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy

Follow Us

No Result
View All Result
  • About Us
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy
  • Privacy Policy

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Table of Contents

×
  • গলনাংক (Melting Point) কী?
    • গলনাংকের বৈশিষ্ট্য
    • দৈনন্দিন জীবনে গলনাংকের ব্যবহার
  • স্ফুটনাংক (Boiling Point) কী?
    • স্ফুটনাংকের বৈশিষ্ট্য
    • দৈনন্দিন জীবনে স্ফুটনাংকের ব্যবহার
  • গলনাংক ও স্ফুটনাংকের মধ্যে পার্থক্য
  • কেন বিভিন্ন পদার্থের গলনাংক ও স্ফুটনাংক ভিন্ন হয়?
    • আণবিক গঠন (Molecular Structure)
    • আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল (Intermolecular Forces)
    • উদাহরণ
  • দৈনন্দিন জীবনে গলনাংক ও স্ফুটনাংকের প্রভাব
    • রান্নাবান্না
    • আবহাওয়া
    • শিল্প ও প্রযুক্তি
  • গলনাংক এবং স্ফুটনাংককে প্রভাবিত করার কারণগুলো কী কী?
    • চাপ (Pressure)
    • আন্তঃআণবিক শক্তি (Intermolecular Forces)
    • আণবিক ভর (Molecular Weight)
    • অশুচিতা (Impurities)
    • আয়নিক বনাম সমযোজী যৌগ (Ionic vs. Covalent Compounds)
  • কিছু সাধারণ পদার্থের গলনাংক এবং স্ফুটনাংকের তালিকা
  • গলনাংক ও স্ফুটনাংক নির্ণয়ের পদ্ধতি
    • গলনাংক নির্ণয়ের পদ্ধতি
    • স্ফুটনাংক নির্ণয়ের পদ্ধতি
  • FAQ (Frequently Asked Questions)
    • গলনাংক এবং স্ফুটনাংক কি পদার্থের বৈশিষ্ট্য?
    • চাপ বাড়লে গলনাংকের কি পরিবর্তন হয়?
    • পাহাড়ের উপরে পানি তাড়াতাড়ি ফোটে কেন?
    • শুষ্ক বরফের (Dry Ice) গলনাংক কত?
    • কোনো পদার্থের গলনাংক বেশি হওয়ার কারণ কী?
    • স্ফুটনাংকের উপর ভেজালের প্রভাব কী?
← সূচিপত্র দেখুন