Bongo Tuner
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
Bongo Tuner
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT

যৌগিক কাকে বলে? প্রকারভেদ ও উদাহরণ জানুন

Mushfiqur Rahman by Mushfiqur Rahman
February 24, 2025
in Education
0
যৌগিক কাকে বলে? প্রকারভেদ ও উদাহরণ জানুন

যৌগিক কাকে বলে? প্রকারভেদ ও উদাহরণ জানুন

0
SHARES
3
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter
ADVERTISEMENT
Get Latest Updates

আসসালামু আলাইকুম! কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আজকে আমরা রসায়নের খুব মজার একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করব – যৌগিক পদার্থ। “যৌগিক কাকে বলে?” এই প্রশ্নটা অনেকের মনেই ঘোরে। তাই, আসুন, একদম সহজ ভাষায় উত্তরটা জেনে নেই, যেন রসায়ন ভীতি দূর হয়ে যায়!

যৌগিক পদার্থ: বন্ধনে আবদ্ধ একাধিক ভিন্ন মৌল

যৌগিক হলো সেই বস্তু, যা দুই বা ততোধিক ভিন্ন মৌলের পরমাণু একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে রাসায়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে গঠিত হয়। বিষয়টা একটু জটিল মনে হচ্ছে, তাই না? চলুন, একটা উদাহরণ দেই।

যেমন, পানি (H₂O) একটি যৌগিক পদার্থ। এখানে হাইড্রোজেন (H) এবং অক্সিজেন (O) দুইটি ভিন্ন মৌল একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে (২:১) রাসায়নিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পানির অণু তৈরি করেছে। তার মানে, পানির মধ্যে শুধু হাইড্রোজেন বা অক্সিজেন আলাদাভাবে নেই, তারা একসাথে “সংসার” পেতেছে!

Table of Contents

Toggle
  • যৌগিকের বৈশিষ্ট্য
  • যৌগ ও মিশ্রণের মধ্যে পার্থক্য কী?
  • যৌগের প্রকারভেদ
    • আয়নিক যৌগ (Ionic Compound)
    • সমযোজী যৌগ (Covalent Compound)
    • জৈব যৌগ (Organic Compound)
    • অজৈব যৌগ (Inorganic Compound)
  • আমাদের জীবনে যৌগের ব্যবহার
  • যৌগ নিয়ে কিছু মজার তথ্য
  • যৌগ চেনার উপায়
  • যৌগ নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন (FAQ)
  • যৌগ গঠনে রাসায়নিক বন্ধনের ভূমিকা
    • আয়নিক বন্ধন (Ionic Bond) :
    • সমযোজী বন্ধন (Covalent Bond) :
    • ধাতব বন্ধন (Metallic Bond) :
  • যৌগের নামকরণ পদ্ধতি
  • যৌগ এবং আমাদের ভবিষ্যৎ
  • শেষ কথা

যৌগিকের বৈশিষ্ট্য

যৌগিকের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে, যা একে অন্যান্য পদার্থ থেকে আলাদা করে। আসুন, সেই বৈশিষ্ট্যগুলো একটু দেখে নেই:

  • নির্দিষ্ট রাসায়নিক সংকেত: প্রতিটি যৌগের একটি নির্দিষ্ট রাসায়নিক সংকেত থাকে। এই সংকেত দিয়ে বোঝানো হয় যে যৌগটিতে কোন কোন মৌল কী অনুপাতে আছে। যেমন, কার্বন ডাই অক্সাইডের (Carbon Dioxide) রাসায়নিক সংকেত CO₂। এর মানে একটি কার্বন (C) পরমাণু এবং দুইটি অক্সিজেন (O) পরমাণু মিলে কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
  • রাসায়নিক বন্ধন: যৌগের পরমাণুগুলো রাসায়নিক বন্ধনের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে। এই বন্ধনগুলো সাধারণত আয়নিক বন্ধন (Ionic Bond) বা সমযোজী বন্ধন (Covalent Bond) হয়ে থাকে।
  • ভৌত ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য: একটি যৌগের ভৌত (Physical) ও রাসায়নিক (Chemical) বৈশিষ্ট্য তার উপাদান মৌলগুলোর থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়। যেমন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন – উভয়ই গ্যাস, কিন্তু তারা যখন মিলিত হয়ে পানি তৈরি করে, তখন সেটি তরল পদার্থ।
  • নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক: প্রতিটি যৌগের একটি নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক (Melting Point) এবং স্ফুটনাঙ্ক (Boiling Point) থাকে। এই তাপমাত্রাগুলোতে যৌগটি গলতে বা ফুটতে শুরু করে। যেমন, পানির গলনাঙ্ক 0° সেলসিয়াস এবং স্ফুটনাঙ্ক 100° সেলসিয়াস।
Read More:  Tense কাকে বলে? প্রকারভেদ ও উদাহরণ জানুন!

যৌগ ও মিশ্রণের মধ্যে পার্থক্য কী?

অনেকেই যৌগ (Compound) এবং মিশ্রণ (Mixture) গুলিয়ে ফেলেন। এদের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য আছে। আসুন, সেগুলো জেনে নেই:

বৈশিষ্ট্য যৌগ মিশ্রণ
গঠন রাসায়নিক বন্ধনের মাধ্যমে গঠিত ভৌতভাবে মিশ্রিত
অনুপাত উপাদানগুলোর অনুপাত নির্দিষ্ট উপাদানের অনুপাত পরিবর্তনশীল
বৈশিষ্ট্য নতুন বৈশিষ্ট্য তৈরি হয় উপাদানগুলোর বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে
পৃথকীকরণ রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে উপাদানগুলো আলাদা করা যায় ভৌত প্রক্রিয়ায় উপাদানগুলো আলাদা করা যায়

যৌগের প্রকারভেদ

যৌগ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এদের মধ্যে প্রধান কয়েকটি প্রকারভেদ নিচে আলোচনা করা হলো:

আয়নিক যৌগ (Ionic Compound)

আয়নিক যৌগগুলো সাধারণত ধাতু (Metal) এবং অধাতু (Non-Metal) এর মধ্যে ইলেকট্রন স্থানান্তরের মাধ্যমে গঠিত হয়। এই যৌগে আয়নগুলো স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণের মাধ্যমে যুক্ত থাকে। যেমন, সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) একটি আয়নিক যৌগ। এখানে সোডিয়াম (Na) একটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক আয়নে (Na⁺) পরিণত হয় এবং ক্লোরিন (Cl) সেই ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আয়নে (Cl⁻) পরিণত হয়। এরপর Na⁺ এবং Cl⁻ আয়নগুলো একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বন্ধন তৈরি করে।

সমযোজী যৌগ (Covalent Compound)

সমযোজী যৌগগুলো অধাতুগুলোর মধ্যে ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে গঠিত হয়। এই যৌগে পরমাণুগুলো তাদের শেষ কক্ষপথের ইলেকট্রনগুলো একে অপরের সাথে শেয়ার করে স্থিতিশীল হয়। যেমন, মিথেন (CH₄) একটি সমযোজী যৌগ। এখানে কার্বন (C) চারটি হাইড্রোজেন (H) পরমাণুর সাথে চারটি ইলেকট্রন শেয়ার করে স্থিতিশীল অবস্থা লাভ করে।

জৈব যৌগ (Organic Compound)

জৈব যৌগগুলো কার্বন এবং হাইড্রোজেনের সমন্বয়ে গঠিত। এই যৌগগুলোতে কার্বন পরমাণুগুলো একে অপরের সাথে যুক্ত হয়ে লম্বা শিকল বা বলয় তৈরি করে। জৈব যৌগ আমাদের চারপাশে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান। যেমন, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, লিপিড ইত্যাদি জৈব যৌগ।

অজৈব যৌগ (Inorganic Compound)

জৈব যৌগ ছাড়া বাকি সব যৌগই অজৈব যৌগ। এই যৌগগুলো সাধারণত খনিজ পদার্থ থেকে পাওয়া যায়। যেমন, পানি, লবণ, অ্যাসিড, ক্ষার ইত্যাদি অজৈব যৌগ।

আমাদের জীবনে যৌগের ব্যবহার

যৌগের ব্যবহার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক। আমাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা – সব ক্ষেত্রেই যৌগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ব্যবহার উল্লেখ করা হলো:

  • খাদ্য: আমাদের খাদ্য তালিকায় থাকা প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ভিটামিন – সবই বিভিন্ন ধরনের যৌগ। এগুলো আমাদের শরীরের বৃদ্ধি এবং শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। লবণ (NaCl) খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়।
  • কৃষি: ইউরিয়া (Urea), অ্যামোনিয়াম সালফেট ((NH₄)₂SO₄) এর মতো যৌগ সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়, যা উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক। কীটনাশক (Pesticides) পোকামাকড় থেকে ফসল রক্ষা করে।
  • শিল্প: বিভিন্ন শিল্প কারখানায় যৌগ ব্যবহার করা হয়। যেমন, প্লাস্টিক, রং, কাগজ, ওষুধ ইত্যাদি তৈরিতে বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগ ব্যবহার করা হয়।
  • চিকিৎসা: বিভিন্ন ঔষধ তৈরিতে যৌগ ব্যবহার করা হয়। অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics), ব্যথানাশক (Painkillers), অ্যান্টিসেপটিক (Antiseptics) ইত্যাদি জীবন রক্ষাকারী ঔষধ তৈরিতে রাসায়নিক যৌগ ব্যবহৃত হয়।
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা: সাবান, ডিটারজেন্ট, ক্লিনার ইত্যাদি পরিষ্কারক দ্রব্য তৈরিতে বিভিন্ন যৌগ ব্যবহার করা হয়। এগুলো আমাদের ঘরবাড়ি, কাপড় চোপড় পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
Read More:  বাক্যতত্ত্ব কাকে বলে? সহজ ভাষায় উদাহরণসহ জানুন!

যৌগ নিয়ে কিছু মজার তথ্য

  • ডায়মন্ড (Diamond) এবং গ্রাফাইট (Graphite) দুটোই কার্বনের তৈরি, কিন্তু তাদের গঠন ভিন্ন হওয়ার কারণে তাদের বৈশিষ্ট্যও ভিন্ন। ডায়মন্ড খুব কঠিন এবং গ্রাফাইট নরম।
  • পানির অণুগুলো একে অপরের সাথে হাইড্রোজেন বন্ধন (Hydrogen Bond) দ্বারা যুক্ত থাকে, যা পানির অসাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য তৈরি করে, যেমন উচ্চ পৃষ্ঠ টান (High Surface Tension)।
  • ভিনেগার (Vinegar) বা সিরকা হলো অ্যাসিটিক অ্যাসিডের (Acetic Acid) জলীয় দ্রবণ, যা খাবার সংরক্ষণে এবং পরিষ্কারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

যৌগ চেনার উপায়

কীভাবে বুঝবেন যে একটি পদার্থ যৌগিক নাকি অন্য কিছু? সহজ কিছু উপায় নিচে দেওয়া হলো:

ADVERTISEMENT
  • রাসায়নিক সংকেত: যদি কোনো পদার্থের রাসায়নিক সংকেত থাকে, তবে সেটি যৌগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যেমন, H₂O, NaCl, CO₂ ইত্যাদি।
  • উপাদান বিশ্লেষণ: পরীক্ষাগারে কোনো পদার্থকে বিশ্লেষণ করে যদি একাধিক মৌল পাওয়া যায়, তবে সেটি যৌগ।
  • বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা: যৌগের বৈশিষ্ট্য তার উপাদান মৌলগুলোর থেকে ভিন্ন হবে। যদি দেখেন কোনো পদার্থের বৈশিষ্ট্য তার উপাদানগুলোর বৈশিষ্ট্যের সাথে মেলে না, তবে সেটি যৌগ হতে পারে।

যৌগ নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন (FAQ)

যৌগ নিয়ে অনেকের মনে কিছু প্রশ্ন থাকে। এখানে কয়েকটি সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:

  • প্রশ্ন: মৌলিক পদার্থ (Element) এবং যৌগের মধ্যে পার্থক্য কী?
    • উত্তর: মৌলিক পদার্থ হলো সেই পদার্থ, যা একটি মাত্র পরমাণু দিয়ে গঠিত, যেমন অক্সিজেন (O₂), নাইট্রোজেন (N₂), সোনা (Au) ইত্যাদি। অন্যদিকে, যৌগ হলো দুই বা ততোধিক ভিন্ন মৌলের পরমাণু রাসায়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে গঠিত হওয়া পদার্থ।
  • প্রশ্ন: সব যৌগ কি রাসায়নিক বিক্রিয়া (Chemical Reaction) করে?
    • উত্তর: হ্যাঁ, যৌগ রাসায়নিক বিক্রিয়া করতে পারে। রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে যৌগ নতুন পদার্থ তৈরি করতে পারে অথবা ভেঙে গিয়ে সরল পদার্থে পরিণত হতে পারে।
  • প্রশ্ন: খাদ্য লবণ (Table Salt) কি একটি যৌগ?
    • উত্তর: হ্যাঁ, খাদ্য লবণ একটি যৌগ। এর রাসায়নিক নাম সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)। এটি সোডিয়াম (Na) এবং ক্লোরিন (Cl) নামক দুটি মৌলের সমন্বয়ে গঠিত।
  • প্রশ্ন: পানি (Water) কি একটি মৌলিক পদার্থ নাকি যৌগিক পদার্থ?
    • উত্তর: পানি একটি যৌগিক পদার্থ। এটি হাইড্রোজেন (H) এবং অক্সিজেন (O) নামক দুটি মৌলিক পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত। পানির রাসায়নিক সংকেত হলো H₂O, যেখানে দুইটি হাইড্রোজেন পরমাণু এবং একটি অক্সিজেন পরমাণু থাকে।
  • প্রশ্ন: অ্যাসিড (Acid) কি যৌগ?
    • উত্তর: হ্যাঁ, অ্যাসিড একটি যৌগ। যেমন, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl), সালফিউরিক অ্যাসিড (H₂SO₄) ইত্যাদি। এগুলি হাইড্রোজেন এবং অন্য কয়েকটি মৌলের সমন্বয়ে গঠিত।
Read More:  টেস্টটিউব বেবি কাকে বলে? জানুন খুঁটিনাটি!

যৌগ গঠনে রাসায়নিক বন্ধনের ভূমিকা

আমরা জেনেছি যে যৌগ গঠিত হয় রাসায়নিক বন্ধনের মাধ্যমে। এখন বুঝবো এই বন্ধনগুলো কিভাবে কাজ করে:

আয়নিক বন্ধন (Ionic Bond) :

ধাতু এবং অধাতুর মধ্যে ইলেকট্রন আদান প্রদানের মাধ্যমে এই বন্ধন গঠিত হয়। ধাতু ইলেকট্রন ত্যাগ করে ক্যাটায়ন (ধনাত্মক আয়ন) এ পরিণত হয় এবং অধাতু ইলেকট্রন গ্রহণ করে অ্যানায়ন (ঋণাত্মক আয়ন) এ পরিণত হয়। এই বিপরীত চার্জযুক্ত আয়নগুলোর মধ্যে আকর্ষণ বলের মাধ্যমে যে বন্ধন সৃষ্টি হয়, তাকে আয়নিক বন্ধন বলে।

সমযোজী বন্ধন (Covalent Bond) :

দুটি অধাতু পরমাণু যখন ইলেকট্রন শেয়ারের (ভাগাভাগি) মাধ্যমে বন্ধন গঠন করে, তখন তাকে সমযোজী বন্ধন বলে। এখানে কোনো পরমাণুই ইলেকট্রন ত্যাগ বা গ্রহণ করে না, বরং উভয়েই ইলেকট্রন শেয়ার করে স্থিতিশীল হয়।

ধাতব বন্ধন (Metallic Bond) :

ধাতব পরমাণুগুলোর মধ্যে এই বন্ধন দেখা যায়। ধাতব পরমাণুগুলো তাদের যোজ্যতা ইলেকট্রন (Valence electron) ত্যাগ করে ধনাত্মক আয়নে পরিণত হয় এবং ইলেকট্রনগুলো মুক্তভাবে ধাতব কেলাসের (Crystal) মধ্যে বিচরণ করে। এই মুক্ত ইলেকট্রনগুলো ধনাত্মক আয়নগুলোকে একত্রে ধরে রাখে, যা ধাতব বন্ধন নামে পরিচিত।

যৌগের নামকরণ পদ্ধতি

যৌগের নামকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। IUPAC (International Union of Pure and Applied Chemistry) নামক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যৌগের নামকরণের জন্য কিছু নিয়ম তৈরি করেছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, যৌগের গঠন এবং উপাদান বিবেচনা করে নামকরণ করা হয়।

যৌগ এবং আমাদের ভবিষ্যৎ

যৌগ নিয়ে গবেষণা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন নতুন যৌগ আবিষ্কারের মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনযাত্রার মানকে আরও উন্নত করতে পারি। ঔষধ শিল্প, কৃষি, জ্বালানি, পরিবেশ – সব ক্ষেত্রেই যৌগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

শেষ কথা

আশা করি, “যৌগ কাকে বলে” এবং যৌগ সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়গুলো আপনারা সহজভাবে বুঝতে পেরেছেন। রসায়ন ভীতি দূর করতে হলে, বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে হবে এবং নিয়মিত চর্চা করতে হবে। যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন!

Previous Post

আত্মমর্যাদা কাকে বলে? জানুন সঠিক সংজ্ঞা ও উপায়

Next Post

ত্রিভুজ কাকে বলে সংজ্ঞা? প্রকারভেদ ও বৈশিষ্ট্য জানুন!

Mushfiqur Rahman

Mushfiqur Rahman

I am Mushfiqur Rahman Swopnil, owner of Bongo Tuner and an experienced SEO and Digital Marketing professional with a deep understanding of affiliate marketing and link building. Running my own marketing agency, I offer strategic digital solutions to boost brand visibility and drive tangible results. My extensive experience covers all aspects of online marketing, helping businesses achieve their growth objectives through data-driven SEO and effective link-building strategies.

Next Post
ত্রিভুজ কাকে বলে সংজ্ঞা? প্রকারভেদ ও বৈশিষ্ট্য জানুন!

ত্রিভুজ কাকে বলে সংজ্ঞা? প্রকারভেদ ও বৈশিষ্ট্য জানুন!

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন
Education

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন

by Mushfiqur Rahman
May 5, 2025
0

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য মনে করুন, পরীক্ষার আগের রাতে আপনি সব পড়ে শেষ করেছেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে...

Read more
মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

May 5, 2025
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

May 5, 2025
ADVERTISEMENT
Bongo Tuner

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Navigate Site

  • Home
  • About Us
  • Privacy Policy
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy

Follow Us

No Result
View All Result
  • About Us
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy
  • Privacy Policy

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Table of Contents

×
  • যৌগিকের বৈশিষ্ট্য
  • যৌগ ও মিশ্রণের মধ্যে পার্থক্য কী?
  • যৌগের প্রকারভেদ
    • আয়নিক যৌগ (Ionic Compound)
    • সমযোজী যৌগ (Covalent Compound)
    • জৈব যৌগ (Organic Compound)
    • অজৈব যৌগ (Inorganic Compound)
  • আমাদের জীবনে যৌগের ব্যবহার
  • যৌগ নিয়ে কিছু মজার তথ্য
  • যৌগ চেনার উপায়
  • যৌগ নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন (FAQ)
  • যৌগ গঠনে রাসায়নিক বন্ধনের ভূমিকা
    • আয়নিক বন্ধন (Ionic Bond) :
    • সমযোজী বন্ধন (Covalent Bond) :
    • ধাতব বন্ধন (Metallic Bond) :
  • যৌগের নামকরণ পদ্ধতি
  • যৌগ এবং আমাদের ভবিষ্যৎ
  • শেষ কথা
← সূচিপত্র দেখুন