বৃষ্টি নেই! মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির! খাঁ খাঁ করছে চারদিক! কেমন যেন দমবন্ধ করা একটা অবস্থা, তাই না? এই পরিস্থিতিটাকেই আমরা সাধারণত খরা বলি। কিন্তু, খরা আসলে কী, কেন হয়, আর এর প্রভাবটাই বা কেমন—এসব নিয়ে নিশ্চয়ই আপনার মনে অনেক প্রশ্ন ঘোরাঘুরি করছে। আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা খরা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। যেন খরা বিষয়ক আপনার মনের সব প্রশ্নের উত্তর একবারে পেয়ে যান।
খরা কী? (What is Drought?)
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, খরা হলো দীর্ঘ সময় ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হওয়া। এর ফলে মাটি শুকিয়ে যায়, জলাশয়গুলোয় পানি কমে যায়, ফসলের ক্ষতি হয় এবং পরিবেশের ওপর একটা মারাত্মক প্রভাব পড়ে। শুধু বৃষ্টি কম হলেই খরা হয়, তা কিন্তু নয়। এর পেছনে আরও অনেক কারণ থাকে।
খরার সংজ্ঞা (Definition of Drought)
আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা খরাকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। সাধারণভাবে, খরা হলো এমন একটি পরিস্থিতি যখন কোনো অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম বৃষ্টিপাত হয়, যার ফলে পানি সরবরাহ কমে যায় এবং পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO) অনুসারে, এটি একটি “প্রলম্বিত অস্বাভাবিক ঘাটতি যা পৃষ্ঠ এবং ভূগর্ভস্থ জলের সরবরাহের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে”।
খরার প্রকারভেদ (Types of Droughts)
খরা শুধু এক ধরনের হয় না। একে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়, যেমন:
আবহাওয়াগত খরা (Meteorological Drought)
যখন কোনো অঞ্চলে দীর্ঘ সময় ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম বৃষ্টিপাত হয়, তখন তাকে আবহাওয়াগত খরা বলা হয়। ধরুন, আপনার এলাকায় প্রতি বছর জুন মাসে গড়ে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। কিন্তু, এ বছর জুন মাসে বৃষ্টি হলো মাত্র ৫০ মিলিমিটার। তাহলে এটা আবহাওয়াগত খরার একটা উদাহরণ।
কৃষি খরা (Agricultural Drought)
কৃষি খরা দেখা যায় যখন মাটিতে প্রয়োজনীয় জলের অভাবে ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। বৃষ্টির অভাবে মাটি শুকিয়ে গেলে, ফসলের জন্য প্রয়োজনীয় রসদ কমে যায়। এর ফলে ফলন কমে যায়, কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।
জলতাত্ত্বিক খরা (Hydrological Drought)
নদী, পুকুর, হ্রদ এবং ভূগর্ভস্থ জলের স্তর যখন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে নেমে যায়, তখন জলতাত্ত্বিক খরা দেখা দেয়। এর প্রধান কারণ হলো দীর্ঘ দিন ধরে বৃষ্টি না হওয়া। এর ফলে শুধু কৃষিকাজ নয়, দৈনন্দিন জীবনেও জলের অভাব দেখা দেয়।
সামাজিক-অর্থনৈতিক খরা (Socioeconomic Drought)
সামাজিক-অর্থনৈতিক খরা হলো যখন খরার কারণে সমাজের অর্থনীতি এবং মানুষের জীবনযাত্রার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফসলের ক্ষতি হলে বাজারে খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে যায়, মানুষের আয় কমে যায় এবং জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়ে।
খরা কেন হয়? (Causes of Drought)
খরার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে কিছু প্রাকৃতিক, আবার কিছু মানুষের তৈরি। চলুন, কারণগুলো একটু বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক:
প্রাকৃতিক কারণসমূহ (Natural Causes)
- বৃষ্টিপাতের অভাব: খরার প্রধান কারণ হলো বৃষ্টিপাতের অভাব। যখন কোনো অঞ্চলে দীর্ঘ সময় ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হয়, তখন খরা দেখা দেয়।
- এল নিনো এবং লা নিনা: এল নিনো এবং লা নিনা হলো প্রশান্ত মহাসাগরের জলবায়ুগত ঘটনা। এগুলো বিশ্বজুড়ে আবহাওয়ার ওপর প্রভাব ফেলে। কোনো কোনো বছর এল নিনোর কারণে বৃষ্টি কম হয়, আবার কোনো বছর লা নিনার কারণে অতিরিক্ত বৃষ্টি হতে পারে।
- ভূ-প্রাকৃতিক কারণ: কোনো অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতিও খরার কারণ হতে পারে। পাহাড় বা অন্য কোনো কারণে যদি মেঘ আটকে যায়, তাহলে বৃষ্টি কম হতে পারে।
- উচ্চ তাপমাত্রা: অতিরিক্ত গরমের কারণে মাটি থেকে দ্রুত পানি বাষ্প হয়ে যায়। এর ফলে মাটি আরও শুষ্ক হয়ে যায় এবং খরার সৃষ্টি হয়।
মানবসৃষ্ট কারণসমূহ (Human-Induced Causes)
- বনভূমি ধ্বংস: গাছপালা বৃষ্টি আনতে সাহায্য করে এবং মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখে। বনভূমি ধ্বংসের কারণে বৃষ্টি কমে যায় এবং খরা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
- অপরিকল্পিত জল ব্যবস্থাপনা: অতিরিক্ত জল ব্যবহারের কারণে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নিচে নেমে যায়। এর ফলে খরা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
- দূষণ: পরিবেশ দূষণের কারণে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়, যা খরার কারণ হতে পারে।
- কৃষি পদ্ধতি: ভুল কৃষি পদ্ধতির কারণে মাটির উর্বরতা কমে যায় এবং মাটি শুষ্ক হয়ে যায়, যা খরার সৃষ্টি করে।
খরার প্রভাব (Impacts of Drought)
খরা শুধু পরিবেশের ওপর নয়, মানুষের জীবন এবং অর্থনীতির ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলে। নিচে কিছু প্রধান প্রভাব আলোচনা করা হলো:
কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা (Agriculture and Food Security)
- ফসলহানি: খরার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষিখাত। জলের অভাবে ফসল নষ্ট হয়ে যায়, যার ফলে খাদ্য উৎপাদন কমে যায়।
- খাদ্য সংকট: ফসল উৎপাদন কম হলে বাজারে খাদ্যদ্রব্যের অভাব দেখা দেয়। দাম বেড়ে যায় এবং সাধারণ মানুষের জন্য খাবার জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়ে।
- পশুপাখির ক্ষতি: জলের অভাবে পশুপাখি মারা যেতে পারে। ঘাস এবং অন্য খাদ্য কমে যাওয়ায় তাদের জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়ে।
পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্য (Water Supply and Health)
- পানির অভাব: খরার কারণে নদী, পুকুর, এবং কুয়াগুলো শুকিয়ে যায়। ফলে খাবার পানি এবং দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য জলের অভাব দেখা দেয়।
- স্বাস্থ্য সমস্যা: দূষিত জল ব্যবহার করার কারণে পেটের রোগ, ডায়রিয়া, এবং অন্যান্য পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
- পরিচ্ছন্নতার অভাব: জলের অভাবে মানুষজন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে পারে না, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়।
অর্থনীতি ও সমাজ (Economy and Society)
- অর্থনৈতিক ক্ষতি: কৃষিখাত ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশের অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কৃষকের আয় কমে যায় এবং দারিদ্র্য বাড়ে।
- কর্মসংস্থান সংকট: কৃষিকাজ কমে গেলে অনেক মানুষ কাজ হারায়। এর ফলে বেকারত্ব বাড়ে এবং সামাজিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
- ** migration:** জলের অভাব এবং খাদ্যসংকটের কারণে মানুষজন গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে যেতে বাধ্য হয়। এতে শহরের ওপর চাপ বাড়ে।
পরিবেশের উপর প্রভাব (Enviromental effects):
- মাটি দূষণ: মাটি তার পুষ্টিগুণ হারাতে পারে।
- জীববৈচিত্র্য হ্রাস: অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতি বিলুপ্তপ্রায় হতে পারে।
বাংলাদেশে খরা (Drought in Bangladesh)
বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। তাই এখানে খরার প্রভাব অনেক বেশি। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে খরা বেশি দেখা যায়।
বাংলাদেশের খরা প্রবণ এলাকা (Drought Prone Areas of Bangladesh)
বাংলাদেশের কিছু এলাকা খরাপ্রবণ। নিচে এলাকাগুলোর একটি তালিকা দেওয়া হলো:
- উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল: রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, পাবনা এই জেলাগুলোতে খরা প্রায়ই দেখা যায়।
- দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল: খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট এই জেলাগুলোতেও খরার প্রকোপ দেখা যায়।
- অন্যান্য অঞ্চল: এছাড়া দেশের অন্যান্য কিছু স্থানেও স্থানীয়ভাবে খরা দেখা যেতে পারে।
বাংলাদেশে খরার কারণ (Causes of Drought in Bangladesh)
বাংলাদেশে খরার কিছু বিশেষ কারণ রয়েছে:
- বৃষ্টিপাতের পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাতের ধরনে পরিবর্তন এসেছে। আগে যেখানে নিয়মিত বৃষ্টি হতো, এখন সেখানে অনিয়মিত বৃষ্টি হয়।
- নদীর নাব্যতা হ্রাস: অনেক নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় বর্ষাকালে পানি ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে। ফলে শুষ্ক মৌসুমে জলের অভাব দেখা দেয়।
- উজানের প্রভাব: উজানে বাঁধ নির্মাণের কারণে বাংলাদেশে জলের প্রবাহ কমে গেছে, যা খরার তীব্রতা বাড়িয়েছে।
- ভূগর্ভস্থ জলের অতিরিক্ত ব্যবহার: বাংলাদেশে কৃষি এবং শিল্পক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ জলের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে জলের স্তর নিচে নেমে গেছে, যা খরা পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করেছে।
- বনভূমি ধ্বংস: দেশের উত্তরাঞ্চলে বনভূমি কমে যাওয়ায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে গেছে, যা খরা সৃষ্টি করছে।
বাংলাদেশে খরার প্রভাব (Impacts of Drought in Bangladesh)
বাংলাদেশে খরার কারণে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়:
- কৃষি উৎপাদন হ্রাস: খরার কারণে ফসল উৎপাদন কমে যায়, যার ফলে খাদ্য সংকট দেখা দেয়।
- পানির অভাব: খাবার পানি এবং সেচের জন্য জলের অভাব দেখা দেয়, যা জনজীবনে দুর্ভোগ নিয়ে আসে।
- স্বাস্থ্য সমস্যা: জলবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ে এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা কঠিন হয়ে পড়ে।
- অর্থনৈতিক ক্ষতি: কৃষকের আয় কমে যায় এবং দারিদ্র্য বাড়ে, যা দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
- পরিবেশের অবনতি: মাটি শুকিয়ে যায়, গাছপালা মারা যায় এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
খরা মোকাবিলায় করণীয় (What to Do to Combat Drought)
খরা মোকাবিলা করার জন্য কিছু জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এগুলো একদিকে যেমন প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করবে, তেমনই অন্যদিকে আমাদের জীবনযাত্রাকেও সুরক্ষিত রাখবে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ আলোচনা করা হলো:
স্বল্পমেয়াদী পদক্ষেপ (Short-Term Measures)
- পানি সরবরাহ: খরা কবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে পানি সরবরাহ করতে হবে। ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে বা অন্য কোনো উপায়ে খাবার পানি পৌঁছে দিতে হবে।
- বিশেষ বীজ ব্যবহার: খরা সহনশীল বীজ ব্যবহার করতে হবে, যা কম পানিতেও ভালো ফলন দিতে পারে।
- কৃত্রিম বৃষ্টি: মেঘ তৈরি করার মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরি করার চেষ্টা করতে হবে।
- সচেতনতা বৃদ্ধি: মানুষকে খরার কারণ, প্রভাব এবং প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।
দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ (Long-Term Measures)
- বৃষ্টির জল সংরক্ষণ: বৃষ্টির জল ধরে রাখার জন্য পুকুর, জলাধার তৈরি করতে হবে। ছাদের জল সংরক্ষণ করে ব্যবহার করতে হবে।
- নদী খনন: নদী এবং খাল খনন করে জলের প্রবাহ বাড়াতে হবে। এতে বর্ষাকালে অতিরিক্ত জল ধরে রাখা যাবে এবং শুষ্ক মৌসুমে ব্যবহার করা যাবে।
- ভূগর্ভস্থ জলের সঠিক ব্যবহার: ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার কমিয়ে উপরিস্থ জলের ব্যবহার বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করে নদীর জল ব্যবহার উপযোগী করতে হবে।
- বনসৃজন: বেশি করে গাছ লাগাতে হবে, যাতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ে এবং মাটির ক্ষয়রোধ হয়।
- ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের ব্যবহার: সৌরবিদ্যুৎচালিত পাম্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প তৈরি করতে হবে। এর মাধ্যমে কৃষকরা সহজে জমিতে জল দিতে পারবে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন (Frequently Asked Questions – FAQs)
এখানে খরা নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:
-
খরার কারণ কী?
বৃষ্টিপাতের অভাব, এল নিনো, বনভূমি ধ্বংস, অপরিকল্পিত জল ব্যবস্থাপনা এবং দূষণ খরার প্রধান কারণ। -
বাংলাদেশের কোন জেলাগুলোতে খরা বেশি হয়?
রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, পাবনা, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা এবং বাগেরহাট জেলাগুলোতে খরা বেশি হয়। -
খরা মোকাবিলায় আমরা কী করতে পারি?
বৃষ্টির জল সংরক্ষণ, নদী খনন, গাছের পরিচর্যা, খরা সহনশীল শস্য ব্যবহার এবং পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহার করে খরা মোকাবিলা করা যায়।
-
কৃষি খরা বলতে কী বোঝায়?
মাটিতে জলের অভাবে ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে তাকে কৃষি খরা বলে। বৃষ্টির অভাবে মাটি শুকিয়ে গেলে, ফসলের জন্য প্রয়োজনীয় রসদ কমে যায়। -
খরা প্রতিরোধের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা কী হওয়া উচিত?
বনসৃজন, নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, ভূগর্ভস্থ জলের সঠিক ব্যবহার, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।
উপসংহার (Conclusion)
খরা একটি জটিল সমস্যা, যা পরিবেশ, অর্থনীতি এবং সমাজের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এই সমস্যার সমাধান করতে হলে আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে শুরু করে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বৃষ্টির জল সংরক্ষণ, গাছ লাগানো, নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, এবং পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি সুরক্ষিত পৃথিবী উপহার দিতে পারি। তাই, আসুন, সবাই মিলে খরার বিরুদ্ধে লড়াই করি এবং একটি সুন্দর, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি। আপনার কি মনে হয়, আর কি কি পদক্ষেপ নিলে খরা মোকাবেলা করা সম্ভব? আপনার মতামত কমেন্ট করে জানান।