Bongo Tuner
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
Bongo Tuner
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT

কুফরি কাকে বলে? কুফরির প্রকারভেদ ও লক্ষণ জানুন

Mushfiqur Rahman by Mushfiqur Rahman
February 23, 2025
in Education
0
কুফরি কাকে বলে? কুফরির প্রকারভেদ ও লক্ষণ জানুন

কুফরি কাকে বলে? কুফরির প্রকারভেদ ও লক্ষণ জানুন

0
SHARES
2
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter
ADVERTISEMENT
Get Latest Updates

আচ্ছালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আজকের বিষয় কুফরি। ভাবছেন, হঠাৎ করে এই কঠিন বিষয় নিয়ে কেন কথা বলছি, তাই না? আসলে, আমাদের সমাজে কুফরি নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। অনেকে না জেনেই এমন কিছু কাজ করে ফেলেন, যা কুফরির পর্যায়ে পড়ে। তাই, আসুন আজকে আমরা সহজ ভাষায় কুফরি কী, এর প্রকারভেদ, কুফরির কারণ এবং বাঁচার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আমি চেষ্টা করবো বিষয়টিকে আপনাদের কাছে সহজভাবে তুলে ধরতে।

Table of Contents

Toggle
  • কুফরি কী? একটি সহজ ব্যাখ্যা
  • কুফরি কত প্রকার ও কী কী?
    • কুফরে আকবর (Kufr-e-Akbar): বড় কুফরি
      • অস্বীকার করা (Denial)
      • সন্দেহ পোষণ করা (Doubting)
      • অবজ্ঞা করা (Disbelief out of arrogance and pride)
      • দ্বিধা করা (Turning away, Evading)
      • ভণ্ডামি করা (Hypocrisy)
    • কুফরে আসগর (Kufr-e-Asghar): ছোট কুফরি
      • লোক দেখানো ইবাদত (Showing off)
      • আল্লাহর নামে মিথ্যা শপথ করা (False oath)
      • নিয়তের দুর্বলতা
  • কুফরির কারণগুলো কী কী?
  • কুফরি থেকে বাঁচার উপায় কী?
  • কিছু সাধারণ ভুল ধারণা ও তার সমাধান
  • কুফরি সম্পর্কিত কিছু জরুরি প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)
  • কুফরি থেকে বাঁচতে কিছু বাস্তব উদাহরণ
  • উপসংহার

কুফরি কী? একটি সহজ ব্যাখ্যা

কুফরি শব্দটা এসেছে আরবি “কুফর” থেকে, যার অর্থ “অস্বীকার করা” বা “ঢেকে রাখা”। ইসলামে কুফরি মানে হলো আল্লাহকে (সৃষ্টিকর্তা) অস্বীকার করা অথবা ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসগুলোকে অস্বীকার করা। সহজ ভাষায়, আল্লাহ, ফেরেশতা, কিতাব, নবী-রাসূল, তাকদীর এবং পরকালের ওপর বিশ্বাস না রাখা অথবা এই বিশ্বাসগুলোর কোনো একটিকে অস্বীকার করাই কুফরি।

বিষয়টা আরেকটু বুঝিয়ে বলি। ধরুন, আপনি জানেন যে সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে। কিন্তু আপনি যদি বলেন, “না, সূর্য পশ্চিম দিকে ওঠে”, তাহলে আপনি সত্যকে অস্বীকার করছেন। কুফরি অনেকটা তেমনই – আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সাঃ) যা বলেছেন, সেটাকে অস্বীকার করা।

কুফরি শুধু মুখে অস্বীকার করা নয়, কাজেকর্মেও প্রকাশ পেতে পারে। যেমন, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে সাহায্য চাওয়া, অন্য কোনো মূর্তির পূজা করা, অথবা এমন কোনো কাজ করা যা সরাসরি ইসলামের শিক্ষার বিরোধী।

কুফরি কত প্রকার ও কী কী?

ইসলামী পণ্ডিতগণ কুফরিকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করেছেন। প্রধানত কুফরি দুই প্রকার:

  • কুফরে আকবর (Kufr-e-Akbar): বড় কুফরি
  • কুফরে আসগর (Kufr-e-Asghar): ছোট কুফরি

চলুন, এই প্রকারভেদগুলো একটু বিস্তারিত জেনে নেই:

কুফরে আকবর (Kufr-e-Akbar): বড় কুফরি

কুফরে আকবর হলো সবচেয়ে বড় ধরনের কুফরি। এর মাধ্যমে একজন মানুষ ইসলাম থেকে সম্পূর্ণভাবে বের হয়ে যায়। কুফরে আকবর আবার কয়েক প্রকার হতে পারে:

অস্বীকার করা (Denial)

আল্লাহর অস্তিত্বকে অস্বীকার করা অথবা ইসলামের কোনো মৌলিক বিশ্বাসকে সরাসরি অস্বীকার করা। যেমন, কেউ যদি বলে যে আল্লাহ নেই, অথবা বলে যে কুরআন আল্লাহর বাণী নয়, তাহলে সেটি কুফরে আকবর হবে।

সন্দেহ পোষণ করা (Doubting)

ইসলামের কোনো বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করা। যেমন, কেউ যদি মনে মনে সন্দেহ করে যে পরকাল বলে কিছু আছে কিনা, অথবা নবী মুহাম্মদ (সাঃ) সত্যিই আল্লাহর রাসূল ছিলেন কিনা, তাহলে সেটিও কুফরে আকবর হতে পারে। তবে, শয়তানের ওয়াসওয়াসা বা কুমন্ত্রণা থেকে মনে আসা সন্দেহ কুফরি নয়, যদি না সেগুলোকে বিশ্বাস করা হয়।

Read More:  সবুজ বিপ্লব কাকে বলে? জানুন খুঁটিনাটি তথ্য!

অবজ্ঞা করা (Disbelief out of arrogance and pride)

আল্লাহর হুকুমকে অবজ্ঞা করা অথবা রাসূল (সাঃ)-এর সুন্নতকে তুচ্ছ মনে করা। যেমন, কেউ যদি জানে যে নামাজ পড়া ফরজ, কিন্তু অহংকার করে নামাজ না পড়ে, তাহলে সেটি কুফরে আকবর হতে পারে।

দ্বিধা করা (Turning away, Evading)

ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া অথবা ইসলামী শিক্ষা থেকে দূরে সরে যাওয়া। যেমন, কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ইসলাম সম্পর্কে জানার চেষ্টা না করে এবং ইসলামী জীবনযাপন থেকে দূরে থাকে, তাহলে সেটিও কুফরে আকবর হতে পারে।

ভণ্ডামি করা (Hypocrisy)

মুখে ইসলামকে বিশ্বাস করার কথা বলা, কিন্তু মনে মনে অবিশ্বাস রাখা। মুনাফিকদের এই কাজ কুফরে আকবরের অন্তর্ভুক্ত। তারা সমাজে নিজেদের মুসলিম হিসেবে জাহির করে, কিন্তু গোপনে ইসলামের ক্ষতি করার চেষ্টা করে।

কুফরে আসগর (Kufr-e-Asghar): ছোট কুফরি

কুফরে আসগর হলো ছোট ধরনের কুফরি। এই ধরনের কুফরি করলে একজন মানুষ ইসলাম থেকে বের হয়ে যায় না, তবে এটি খুবই গুনাহের কাজ। কুফরে আসগরকে ছোট শিরকও বলা হয়। এর কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:

লোক দেখানো ইবাদত (Showing off)

মানুষকে দেখানোর জন্য ইবাদত করা। যেমন, কেউ যদি শুধু মানুষকে দেখানোর জন্য নামাজ পড়ে অথবা দান করে, তাহলে সেটি কুফরে আসগর হবে। এক্ষেত্রে নিয়ত হতে হবে একমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা।

আল্লাহর নামে মিথ্যা শপথ করা (False oath)

আল্লাহর নামে মিথ্যা শপথ করা অথবা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে শপথ করা। ইসলামে শুধু আল্লাহর নামে শপথ করার অনুমতি আছে।

নিয়তের দুর্বলতা

ভালো কাজের নিয়ত করার পরেও তা বাস্তবায়ন না করা অথবা অলসতা করা।

ADVERTISEMENT

এগুলো সবই ছোট কুফরি। এর থেকে তওবা করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। কারণ, ছোট গুনাহগুলো একত্রিত হয়ে বড় গুনাহের রূপ নিতে পারে।

কুফরির কারণগুলো কী কী?

কুফরি করার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। কিছু প্রধান কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • অজ্ঞতা (Ignorance): ইসলামের সঠিক জ্ঞান না থাকা।
  • অহংকার (Pride): নিজেকে বড় মনে করা এবং সত্যকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করা।
  • খারাপ সঙ্গ (Bad company): খারাপ বন্ধুদের প্রভাবে প্রভাবিত হওয়া।
  • দুনিয়া লোভ (Love for the world): দুনিয়ার প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসা এবং আখিরাতকে ভুলে যাওয়া।
  • শয়তানের প্ররোচনা (Satan’s temptation): শয়তানের ওয়াসওয়াসা বা কুমন্ত্রণায় পড়ে বিভ্রান্ত হওয়া।
  • কুসংস্কার (Superstition): ভিত্তিহীন কুসংস্কারে বিশ্বাস করা।
  • পার্থিব স্বার্থ (Material Benefits): পার্থিব লাভের আশায় সত্যকে গোপন করা অথবা অস্বীকার করা।

কুফরি থেকে বাঁচার উপায় কী?

কুফরি থেকে বাঁচতে হলে আমাদের কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় আলোচনা করা হলো:

  1. ইসলামের সঠিক জ্ঞান অর্জন (Acquiring knowledge): কুরআন ও হাদিস থেকে ইসলামের সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। নিয়মিত ইসলামিক বই পড়া, ইসলামিক লেকচার শোনা এবং নির্ভরযোগ্য আলেমের কাছ থেকে মাসআলা-মাসায়েল জেনে নিতে হবে।
  2. আল্লাহর কাছে দোয়া (Praying to Allah): সবসময় আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে, যাতে তিনি আমাদেরকে কুফরি থেকে রক্ষা করেন এবং সঠিক পথে রাখেন।
  3. ভালো সঙ্গ নির্বাচন (Choosing good company): সৎ ও ধার্মিক বন্ধুদের সঙ্গে থাকতে হবে, যারা আমাদেরকে ভালো কাজের উপদেশ দেবে এবং খারাপ কাজ থেকে দূরে রাখবে।
  4. নিয়মিত ইবাদত করা (Performing regular worship): নিয়মিত নামাজ পড়া, রোজা রাখা, দান করা এবং অন্যান্য ইবাদতগুলো যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
  5. অহংকার ত্যাগ করা (Avoiding pride): নিজের মধ্যে থাকা অহংকারকে দূর করতে হবে এবং সবসময় নিজেকে আল্লাহর কাছে ছোট মনে করতে হবে।
  6. দুনিয়ার প্রতি মোহ ত্যাগ (Reducing love for the world): দুনিয়ার প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসা কমিয়ে আখিরাতের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী এবং আখিরাত চিরস্থায়ী।
  7. শয়তানের প্ররোচনা থেকে সাবধান (Beware of Satan): শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচতে সবসময় আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হবে। নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত এবং জিকির-আজকার করতে হবে।
  8. বেশি বেশি ইস্তেগফার করা (Seeking forgiveness): প্রতিনিয়ত নিজের গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ইস্তেগফার করার মাধ্যমে অন্তর পরিশুদ্ধ হয় এবং আল্লাহর রহমত লাভ করা যায়।
Read More:  স্থূলকোণী ত্রিভুজ কাকে বলে? চেনার সহজ উপায়!

কিছু সাধারণ ভুল ধারণা ও তার সমাধান

আমাদের সমাজে কুফরি নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। অনেকে না জেনেই এমন কিছু কথা বলেন বা কাজ করেন, যা কুফরির পর্যায়ে পড়ে। নিচে কয়েকটি সাধারণ ভুল ধারণা এবং তার সমাধান আলোচনা করা হলো:

  1. ভুল ধারণা: কোনো খারাপ কথা বললেই কুফরি হয়ে যায়।

    • সমাধান: খারাপ কথা বলা গুনাহের কাজ, তবে সব খারাপ কথা কুফরি নয়। কুফরি হতে হলে ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসকে অস্বীকার করতে হবে অথবা এমন কোনো কাজ করতে হবে যা সরাসরি ইসলামের শিক্ষার বিরোধী।
  2. ভুল ধারণা: শুধু কাফেররাই কুফরি করে।

    • সমাধান: কুফরি শুধু কাফেররাই করে না, মুসলিমদের মধ্যেও অনেকে না জেনে কুফরি করে ফেলতে পারে। তাই, সবসময় সতর্ক থাকতে হবে এবং ইসলামের সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
  3. ভুল ধারণা: কুফরি করলে ক্ষমা পাওয়া যায় না।

*   **সমাধান:** কুফরি মারাত্মক গুনাহ হলেও আল্লাহ তাআলা ক্ষমাশীল। যদি কেউ অনুতপ্ত হয়ে আন্তরিকভাবে তওবা করে এবং ভবিষ্যতে আর কুফরি না করার প্রতিজ্ঞা করে, তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।
  1. ভুল ধারণা: ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তাবিজ ব্যবহার করা কুফরি নয়।

    • সমাধান: ইসলামে তাবিজ ব্যবহার করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। ভাগ্য একমাত্র আল্লাহ্‌র হাতে।
  2. ভুল ধারণা: পীর-বুজুর্গদের সম্মান করা কুফরি।

    • সমাধান: পীর-বুজুর্গদের সম্মান করা ভালো কাজ। তবে, তাঁদের আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা অথবা তাঁদের কাছে কিছু চাওয়া কুফরি।

কুফরি সম্পর্কিত কিছু জরুরি প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)

এখানে কুফরি সম্পর্কিত কিছু সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো, যা আপনাদের মনে প্রায়ই উদয় হয়:

  • প্রশ্ন: কুফরি করলে কি বিয়ে ভেঙে যায়?

    • উত্তর: হ্যাঁ, যদি স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে কেউ কুফরি করে, তাহলে তাদের বিয়ে ভেঙে যায়। তবে, এক্ষেত্রে ইসলামী শরিয়তের বিধান অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে।
  • প্রশ্ন: কুফরি করার পর করণীয় কী?

    • উত্তর: কুফরি করার পর দ্রুত তওবা করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। সেই সাথে, ভবিষ্যতে আর কুফরি না করার প্রতিজ্ঞা করতে হবে।
  • প্রশ্ন: কুফরি থেকে বাঁচার দোয়া কী?

*   **উত্তর:** কুফরি থেকে বাঁচার জন্য কুরআন ও হাদিসে অনেক দোয়া আছে। তার মধ্যে একটি হলো: "আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন উশরিকাবিকা ওয়া আনা আ'লামু ওয়া আস্তাগফিরুকা লিমা লা আ'লামু"। এই দোয়ার অর্থ হলো, "হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই যেন আমি জেনে শুনে আপনার সাথে শরিক না করি এবং না জেনে যে শিরক করি তার জন্য ক্ষমা চাই।"
  • প্রশ্ন: ইচ্ছাকৃতভাবে কুফরি করলে কি ক্ষমা পাওয়া যায়?

    • উত্তর: ইচ্ছাকৃতভাবে কুফরি করা মারাত্মক গুনাহ। তবে, যদি কেউ আন্তরিকভাবে তওবা করে এবং ভবিষ্যতে আর কুফরি না করার প্রতিজ্ঞা করে, তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। আল্লাহর রহমত অসীম।
  • প্রশ্ন: কুফরি কথা শুনলে আমাদের কী করা উচিত?

    • উত্তর: কুফরি কথা শুনলে প্রতিবাদ করা উচিত এবং সম্ভব হলে সেই ব্যক্তিকে বোঝানো উচিত। যদি প্রতিবাদ করা সম্ভব না হয়, তাহলে সেখান থেকে দূরে সরে যাওয়া উচিত।
Read More:  কাব্য কাকে বলে? জানুন কবিতার সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ

কুফরি থেকে বাঁচতে কিছু বাস্তব উদাহরণ

আসুন, বাস্তব জীবনের কিছু উদাহরণ দেখি, যা থেকে আমরা বুঝতে পারব কীভাবে কুফরি থেকে বাঁচা যায়:

  • উদাহরণ ১: একজন ব্যক্তি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার সময় আল্লাহ সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করলো। সাথে সাথে অন্য একজন বন্ধু তাকে থামিয়ে দিয়ে সঠিক কথাটি বুঝিয়ে বললো।

  • উদাহরণ ২: একজন মুসলিম ব্যক্তি আর্থিক কষ্টের কারণে হতাশ হয়ে আল্লাহর প্রতি অভিযোগ করা শুরু করলো। তখন তার পরিবারের একজন সদস্য তাকে ধৈর্য ধরতে এবং আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে উৎসাহিত করলো।

  • উদাহরণ ৩: একজন মহিলা জ্যোতিষীর কাছে ভাগ্য জানতে গিয়েছিল। পরে সে বুঝতে পারলো যে এটা ইসলাম বিরোধী কাজ। তাই সে দ্রুত তওবা করলো এবং ভবিষ্যতে আর কখনো এমন কাজ করবে না বলে প্রতিজ্ঞা করলো।

এই উদাহরণগুলো থেকে আমরা শিখতে পারি যে, সবসময় সচেতন থাকতে হবে এবং কোনো ভুল হয়ে গেলে দ্রুত আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

বিষয় কুফরে আকবর কুফরে আসগর
সংজ্ঞা ইসলাম থেকে সম্পূর্ণভাবে বের করে দেয়। ইসলাম থেকে বের করে না, তবে গুনাহের কাজ।
ক্ষমা পাওয়ার সম্ভাবনা তওবা ছাড়া ক্ষমা নেই। তওবার মাধ্যমে ক্ষমা পাওয়া যায়।
উদাহরণ আল্লাহর অস্তিত্ব অস্বীকার করা। লোক দেখানো ইবাদত করা।
পরিণতি চিরস্থায়ী জাহান্নাম। গুনাহের কারণে শাস্তি হতে পারে।

উপসংহার

কুফরি একটি মারাত্মক বিষয়। এটি আমাদের ঈমানকে ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই, আমাদের সকলের উচিত কুফরি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা, কুফরির কারণগুলো জানা এবং তা থেকে বাঁচার চেষ্টা করা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কুফরি থেকে হেফাজত করুন এবং সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমিন।

আশা করি আজকের আলোচনা আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। কুফরি নিয়ে যদি আরও কিছু জানার থাকে, তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনাদের মতামত আমাদের কাছে খুবই মূল্যবান। ধন্যবাদ।

Previous Post

কেয়ার গিভিং কাকে বলে? জানুন বিস্তারিত তথ্য

Next Post

কুরবানী কাকে বলে? নিয়ম, ইতিহাস ও তাৎপর্য জানুন!

Mushfiqur Rahman

Mushfiqur Rahman

I am Mushfiqur Rahman Swopnil, owner of Bongo Tuner and an experienced SEO and Digital Marketing professional with a deep understanding of affiliate marketing and link building. Running my own marketing agency, I offer strategic digital solutions to boost brand visibility and drive tangible results. My extensive experience covers all aspects of online marketing, helping businesses achieve their growth objectives through data-driven SEO and effective link-building strategies.

Next Post
কুরবানী কাকে বলে? নিয়ম, ইতিহাস ও তাৎপর্য জানুন!

কুরবানী কাকে বলে? নিয়ম, ইতিহাস ও তাৎপর্য জানুন!

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন
Education

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন

by Mushfiqur Rahman
May 5, 2025
0

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য মনে করুন, পরীক্ষার আগের রাতে আপনি সব পড়ে শেষ করেছেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে...

Read more
মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

May 5, 2025
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

May 5, 2025
ADVERTISEMENT
Bongo Tuner

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Navigate Site

  • Home
  • About Us
  • Privacy Policy
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy

Follow Us

No Result
View All Result
  • About Us
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy
  • Privacy Policy

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Table of Contents

×
  • কুফরি কী? একটি সহজ ব্যাখ্যা
  • কুফরি কত প্রকার ও কী কী?
    • কুফরে আকবর (Kufr-e-Akbar): বড় কুফরি
      • অস্বীকার করা (Denial)
      • সন্দেহ পোষণ করা (Doubting)
      • অবজ্ঞা করা (Disbelief out of arrogance and pride)
      • দ্বিধা করা (Turning away, Evading)
      • ভণ্ডামি করা (Hypocrisy)
    • কুফরে আসগর (Kufr-e-Asghar): ছোট কুফরি
      • লোক দেখানো ইবাদত (Showing off)
      • আল্লাহর নামে মিথ্যা শপথ করা (False oath)
      • নিয়তের দুর্বলতা
  • কুফরির কারণগুলো কী কী?
  • কুফরি থেকে বাঁচার উপায় কী?
  • কিছু সাধারণ ভুল ধারণা ও তার সমাধান
  • কুফরি সম্পর্কিত কিছু জরুরি প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)
  • কুফরি থেকে বাঁচতে কিছু বাস্তব উদাহরণ
  • উপসংহার
← সূচিপত্র দেখুন