অধিকার কাকে বলে? জীবনের পথে নিজের দাবি আদায় করুন!
আচ্ছা, কখনো কি মনে হয়েছে, “এটা তো আমার প্রাপ্য!” অথবা, “আমারও তো এটা করার কথা!” – এই অনুভূতিগুলোই কিন্তু অধিকারের জন্ম দেয়। আমরা সবাই কোনো না কোনো অধিকার নিয়ে জন্মাই। সেগুলো জানা এবং আদায় করে নেওয়াটা জরুরি। আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা অধিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি, এই লেখাটি পড়ার পর অধিকার সম্পর্কে আপনার ধারণা আরও স্পষ্ট হবে।
অধিকার কী?
সহজ ভাষায়, অধিকার মানে হলো কোনো কিছু করার বা পাওয়ার আইনসম্মত বা ন্যায়সঙ্গত দাবি। এটা এমন একটি সুযোগ, যা সমাজ এবং রাষ্ট্র আপনাকে দেয়, যাতে আপনি ভালোভাবে বাঁচতে পারেন এবং নিজের বিকাশ ঘটাতে পারেন। অধিকার ছাড়া একজন মানুষ পরাধীন এবং অসহায়।
অধিকার শুধুমাত্র একটি ধারণা নয়, এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা – এগুলো যেমন বেঁচে থাকার জন্য জরুরি, তেমনি বাকস্বাধীনতা, চলাফেরার স্বাধীনতা, আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকারও একজন মানুষের মর্যাদা নিয়ে বাঁচার জন্য অপরিহার্য।
অধিকারের প্রকারভেদ
অধিকার বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এদের মধ্যে কয়েকটি প্রধান অধিকার নিচে উল্লেখ করা হলো:
-
মানবাধিকার: মানবাধিকার হলো সেইসব মৌলিক অধিকার যা একজন মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহণের সূত্রে আপনি পেয়ে থাকেন। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, ভাষা, রাজনৈতিক বা অন্য কোনো মতাদর্শ নির্বিশেষে পৃথিবীর সকল মানুষের এসব অধিকার আছে। জীবনের অধিকার, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার ইত্যাদি মানবাধিকারের অন্তর্ভুক্ত। এগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং প্রতিটি দেশের সংবিধানে সন্নিবেশিত।
-
মৌলিক অধিকার: মৌলিক অধিকারগুলো দেশের সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত এবং সুরক্ষিত। এই অধিকারগুলো নাগরিকের জীবন এবং স্বাধীনতা রক্ষার জন্য অত্যাবশ্যক। বাংলাদেশে সংবিধানের তৃতীয় ভাগে মৌলিক অধিকারগুলো লিপিবদ্ধ আছে। উদাহরণস্বরূপ, আইনের দৃষ্টিতে সমতা, বাক ও চিন্তা স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা, চলাফেরার স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সম্পত্তি লাভের অধিকার উল্লেখযোগ্য।
-
সামাজিক অধিকার: সামাজিক অধিকারগুলো সমাজে ভালোভাবে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয়। এগুলো নিশ্চিত করে যে সমাজের সকল সদস্যের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার সুযোগ আছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান এবং বাসস্থানের অধিকার সামাজিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত।
- রাজনৈতিক অধিকার: রাজনৈতিক অধিকার নাগরিকদের রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়। ভোটাধিকার, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার, রাজনৈতিক দল গঠন করার অধিকার, সরকারের সমালোচনা করার অধিকার রাজনৈতিক অধিকারের অংশ। এই অধিকারগুলো গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করে।
অধিকার কেন প্রয়োজন?
অধিকার মানুষের জীবনে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ, তা কয়েকটি যুক্তির মাধ্যমে আলোচনা করা হলো:
-
মর্যাদাপূর্ণ জীবন: অধিকার মানুষকে একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবন ধারণ করতে সাহায্য করে। যখন একজন মানুষ তার মৌলিক অধিকারগুলো ভোগ করতে পারে, তখন সে সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে।
-
ব্যক্তিত্বের বিকাশ: অধিকার মানুষের ব্যক্তিত্বের বিকাশে সাহায্য করে। যখন একজন মানুষ শিক্ষা, সংস্কৃতি, এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা পায়, তখন তার ভেতরের সম্ভাবনাগুলো বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায়।
-
বৈষম্য হ্রাস: অধিকার সমাজে বৈষম্য কমাতে সাহায্য করে। যখন আইন সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করে, তখন সমাজের দুর্বল এবং প্রান্তিক মানুষগুলো উপকৃত হয়।
-
গণতন্ত্রের সুরক্ষা: অধিকার গণতন্ত্রকে রক্ষা করে। নাগরিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা গেলে সরকারের স্বৈরাচারী হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
-
উন্নয়ন: অধিকার দেশের উন্নয়নে সাহায্য করে। যখন মানুষ নিরাপদে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, তখন অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন দ্রুত হয়।
কীভাবে নিজের অধিকার সম্পর্কে জানবেন?
অধিকার সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে সচেতন হতে হবে। এখানে কিছু উপায় আলোচনা করা হলো:
-
সংবিধান পড়ুন: আপনার দেশের সংবিধান হলো আপনার অধিকারের মূল উৎস। সংবিধানের মৌলিক অধিকারের অংশটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
-
আইন সম্পর্কে জানুন: বিভিন্ন আইন ও বিধি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থা জনগণের জন্য কী কী সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, সে সম্পর্কে খবর রাখুন।
-
সচেতনতামূলক কার্যক্রম: বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অধিকার নিয়ে কাজ করে। তাদের সভা, সেমিনার ও ওয়ার্কশপে অংশ নিন।
-
গণমাধ্যম: সংবাদপত্র, টেলিভিশন এবং অনলাইন পোর্টালগুলোতে অধিকার বিষয়ক খবর এবং নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। এগুলো নিয়মিত পড়ুন।
-
শিক্ষা: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধিকার বিষয়ক আলোচনা ও বিতর্কে অংশ নিন।
অধিকার আদায়ে আমাদের করণীয়
অধিকার শুধু জানলেই হবে না, তা আদায় করতেও জানতে হবে। নিচে কিছু উপায় আলোচনা করা হলো:
-
সচেতনতা তৈরি: নিজের অধিকার সম্পর্কে জানার পাশাপাশি অন্যদেরকেও জানাতে হবে। সমাজে অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
-
সংগঠিত হওয়া: অধিকার আদায়ের জন্য সংঘবদ্ধ হওয়া জরুরি। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনে যুক্ত হয়ে নিজের आवाज তুলুন।
-
আইনগত পদক্ষেপ: কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা যদি আপনার অধিকার লঙ্ঘন করে, তাহলে আইনের আশ্রয় নিন। প্রয়োজনে আদালতের শরণাপন্ন হন।
-
আন্দোলন ও প্রতিবাদ: শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন ও প্রতিবাদ করার মাধ্যমে অধিকার আদায় করা যায়।
-
জনমত গঠন: গণমাধ্যমের সাহায্যে জনমত গঠন করে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যায়।
অধিকার এবং দায়িত্ব: একটি ভারসাম্য
অধিকারের পাশাপাশি আমাদের কিছু দায়িত্বও আছে। অধিকার ভোগ করার সময় অন্যের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। নিজের দায়িত্ব পালন না করে শুধু অধিকার দাবি করলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।
অধিকার ও দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার কিছু উপায়:
-
আইন মেনে চলুন।
-
অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন।
-
পরিবেশের সুরক্ষা করুন।
-
নিয়মিত কর পরিশোধ করুন।
-
সামাজিক কাজকর্মে অংশ নিন।
অধিকার নিয়ে কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (Frequently Asked Questions – FAQs)
অধিকার নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছু সাধারণ প্রশ্ন প্রায়ই দেখা যায়। এখানে তেমনই কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:
১. মানবাধিকার কী?
মানবাধিকার হলো সেইসব মৌলিক অধিকার, যা একজন মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহণের সূত্রে আপনি পেয়ে থাকেন। এগুলো জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, ভাষা, রাজনৈতিক বা অন্য কোনো মতাদর্শ নির্বিশেষে পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য।
২. মৌলিক অধিকার বলতে কী বোঝায়?
মৌলিক অধিকারগুলো দেশের সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত এবং সুরক্ষিত। এই অধিকারগুলো নাগরিকের জীবন এবং স্বাধীনতা রক্ষার জন্য অত্যাবশ্যক।
৩. ভোটাধিকার কি ধরনের অধিকার?
ভোটাধিকার একটি রাজনৈতিক অধিকার। এর মাধ্যমে নাগরিকরা নির্বাচনে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।
৪. বাকস্বাধীনতা বলতে কী বোঝায়?
বাকস্বাধীনতা মানে হলো নিজের চিন্তা ও মতামত প্রকাশ করার অধিকার। তবে এর মানে এই নয় যে আপনি যা খুশি তাই বলতে পারবেন। বাকস্বাধীনতার সীমা আছে এবং অন্যের সম্মান ও নিরাপত্তার প্রতি খেয়াল রাখা উচিত।
৫. আমার অধিকার কেউ কেড়ে নিলে আমি কী করব?
যদি কেউ আপনার অধিকার কেড়ে নেয়, তাহলে আপনি আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। প্রথমে আপনি স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাতে পারেন। এরপর প্রয়োজন হলে আদালতে মামলা করতে পারেন।
৬. শিশুদের অধিকারগুলো কী কী?
জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ী, প্রত্যেক শিশুর বেঁচে থাকার, বেড়ে ওঠার, সুরক্ষা পাওয়ার এবং অংশগ্রহণের অধিকার আছে। শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, বাসস্থান এবং বিনোদনের অধিকারও নিশ্চিত করতে হবে।
৭. নারী অধিকার কী?
নারীর অধিকার হলো সমাজে পুরুষের সমান সুযোগ ও মর্যাদা পাওয়ার অধিকার। এর মধ্যে শিক্ষা, কর্মসংস্থান, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ এবং সম্পত্তির অধিকার অন্তর্ভুক্ত।
৮. সংখ্যালঘুদের অধিকারগুলো কী কী?
সংখ্যালঘুদের তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা ও ধর্ম পালনের অধিকার আছে। তাদের নিরাপত্তা এবং সমাজে সমান সুযোগ পাওয়াও নিশ্চিত করতে হবে।
৯. মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে কোথায় অভিযোগ করা যায়?
মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে আপনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করতে পারেন। এছাড়া, বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংগঠনও এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে।
১০. অধিকার এবং সুযোগের মধ্যে পার্থক্য কী?
অধিকার হলো আইনগতভাবে নিশ্চিত এবং সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। অন্যদিকে, সুযোগ হলো বিশেষ সুবিধা যা কিছু মানুষ পেয়ে থাকে, কিন্তু সবার জন্য সবসময় উপলব্ধ নাও হতে পারে।
বাংলাদেশের সংবিধানে মৌলিক অধিকার: এক ঝলক
বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিকদের জন্য কিছু মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। নিচে সেগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:
অধিকার | ধারা | সংক্ষিপ্ত বিবরণ |
---|---|---|
আইনের দৃষ্টিতে সমতা | ২৭ | সকল নাগরিক আইনের চোখে সমান এবং সমানভাবে আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারী। |
জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার | ৩২ | আইন অনুযায়ী ব্যতীত কোনো ব্যক্তিকে জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। |
গ্রেফতার ও আটক বিষয়ে সুরক্ষা | ৩৩ | গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের কারণ জানাতে হবে এবং আইনজীবীর সাথে পরামর্শের সুযোগ দিতে হবে। |
জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধকরণ | ৩৪ | কোনো ব্যক্তিকে জোর করে কোনো কাজ করানো যাবে না। |
চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা | ৩৯(১) | প্রত্যেক নাগরিকের চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা রয়েছে। |
বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা | ৩৯(২) | প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। |
ধর্মীয় স্বাধীনতা | ৪১ | প্রত্যেক নাগরিকের নিজ নিজ ধর্ম পালন, প্রচার ও প্রসারের অধিকার রয়েছে। |
সম্পত্তির অধিকার | ৪২ | আইনের দ্বারা আরোপিত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের সম্পত্তি অর্জন, ধারণ, হস্তান্তর বা বিলিবন্দোবস্ত করার অধিকার রয়েছে। |
পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতা | ৪০ | আইনের দ্বারা আরোপিত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের যে কোনো আইনসঙ্গত পেশা বা বৃত্তি গ্রহণের এবং ব্যবসা বা কারবার চালাবার অধিকার রয়েছে। |
অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক সংস্থা
অধিকার রক্ষায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সংস্থা হলো:
- জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল (UNHRC)
- অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
- হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
এই সংস্থাগুলো বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে এবং এ ব্যাপারে সরকারকে সহযোগিতা করে।
বাস্তব জীবনে অধিকার: কিছু উদাহরণ
আসুন, বাস্তব জীবনের কিছু উদাহরণের মাধ্যমে অধিকারের ধারণাটি আরও স্পষ্ট করি:
১. ধরুন, আপনি একটি চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। ইন্টারভিউ দেওয়ার পর জানতে পারলেন, আপনাকে শুধুমাত্র আপনার লিঙ্গের কারণে চাকরিটি দেওয়া হয়নি। এটি একটি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং আপনার “সমান সুযোগ” পাওয়ার অধিকার এখানে লঙ্ঘিত হয়েছে।
২. আপনি একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিতে চান। কিন্তু পুলিশ আপনাকে বাধা দিল এবং মিছিলটি পণ্ড করে দিল। এখানে আপনার “সমাবেশ করার স্বাধীনতা” লঙ্ঘিত হয়েছে।
৩. আপনি একটি অনলাইন ফোরামে সরকারের সমালোচনা করে একটি পোস্ট করেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার পোস্টটি মুছে দেওয়া হলো এবং আপনাকে ভবিষ্যতে আর কোনো পোস্ট করতে নিষেধ করা হলো। এখানে আপনার “বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা” লঙ্ঘিত হয়েছে।
এই উদাহরণগুলো থেকে বোঝা যায়, অধিকার আমাদের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার
অধিকার আমাদের জন্মগত এবং আইনগত প্রাপ্য। এগুলো আমাদের ভালোভাবে বাঁচতে এবং নিজের সম্ভাবনাগুলো বিকশিত করতে সাহায্য করে। অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং এগুলো আদায়ে সোচ্চার হওয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব। মনে রাখবেন, অধিকার আদায় না করলে তা দুর্বল হয়ে যায়। তাই, নিজের অধিকার সম্পর্কে জানুন, অন্যদের জানান এবং একটি সুন্দর, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে অংশ নিন।
আপনার অধিকার সম্পর্কে আরও কিছু জানার থাকলে, নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে। আর যদি এই লেখাটি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই শেয়ার করুন!