আচ্ছালামু আলাইকুম! কেমন আছেন সবাই? ব্যাকরণের কচকচিতে ভয় পান? বিশেষ করে Part of Speech এর নাম শুনলেই যেন সব গুলিয়ে যায়? তাহলে আজকের ব্লগ পোস্টটি আপনার জন্যই। আজ আমরা Part of Speech নিয়ে সহজ ভাষায় আলোচনা করব, যেন এই বিষয়টি আপনার কাছে একেবারে জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায়। তাহলে চলুন, দেরি না করে শুরু করা যাক!
ব্যাকরণ ভীতি দূর করতে, Part of Speech এর গভীরে ডুব দিতে এবং বিষয়টিকে ভালোভাবে বুঝতে, আমার সাথে থাকুন। এই ব্লগপোস্টটি পড়ার পরে, Part of Speech নিয়ে আপনার আর কোনো প্রশ্ন থাকবে না, আশা করি।
Part of Speech কাকে বলে? (Part of Speech Kake Bole?)
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, একটি বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি শব্দ এক একটি Part of Speech। প্রত্যেকটি শব্দের নিজস্ব কাজ এবং ভূমিকা আছে। এই ভূমিকা অনুযায়ী শব্দগুলোকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। এই শ্রেণীগুলোকেই Part of Speech বলা হয়। অর্থাৎ, একটি বাক্যের প্রতিটি অর্থবোধক শব্দকে এক একটি Part of Speech বলে।
যেমন:
- বাক্য: “আমি ভাত খাই।”
- এখানে, “আমি” একটি Part of Speech, “ভাত” একটি Part of Speech, এবং “খাই” একটি Part of Speech।
ইংরেজি ব্যাকরণেও Part of Speech একই ধারণা বহন করে।
Part of Speech কত প্রকার ও কি কি? (Part of Speech Koto Prokar o Ki Ki?)
Part of Speech প্রধানত আট প্রকার। নিচে এদের নাম এবং উদাহরণ দেওয়া হলো:
- বিশেষ্য (Noun): কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, বা গুণের নাম বোঝায়।
- উদাহরণ: মানুষ (Manush), বই (Boi), ঢাকা (Dhaka), সততা (Sotota)
- সর্বনাম (Pronoun): বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়।
- উদাহরণ: আমি (Ami), তুমি (Tumi), সে (She), তারা (Tara)
- বিশেষণ (Adjective): বিশেষ্য বা সর্বনামের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে।
- উদাহরণ: ভালো (Bhalo), খারাপ (Kharap), সুন্দর (Sundor), দশ (Dosh)
- ক্রিয়া (Verb): কোনো কাজ করা বা হওয়া বোঝায়।
- উদাহরণ: করি (Kori), যাই (Jai), খাই (Khai), ঘুমাই (Ghumai)
- ক্রিয়া বিশেষণ (Adverb): ক্রিয়া, বিশেষণ বা অন্য কোনো ক্রিয়া বিশেষণকে বিশেষিত করে।
- উদাহরণ: ধীরে (Dhire), দ্রুত (Druto), খুব (Khub), প্রায় (Pray)
- অব্যয় (Preposition): বিশেষ্য বা সর্বনামের পূর্বে বসে অন্য শব্দের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে।
- উদাহরণ: তে (Te), এ (E), দিকে (Dike), জন্য (Jonno)
- সংযোজক অব্যয় (Conjunction): দুটি শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করে।
- উদাহরণ: এবং (Ebong), অথবা (Othoba), কিন্তু (Kintu), কারণ (Karon)
- অনুসর্গ (Interjection): আবেগ, উল্লাস, বা বিস্ময় প্রকাশ করে।
- উদাহরণ: বাহ! (Bah!), ছি! (Chi!), হায়! (Hai!), উফ! (Uff!)
এই আট প্রকার Part of Speech আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার হওয়া প্রতিটি বাক্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এদের সঠিক ব্যবহার বাক্যকে অর্থপূর্ণ করে তোলে।
Noun (বিশেষ্য) এর বিস্তারিত আলোচনা
বিশেষ্য বা Noun হলো সেই শব্দ যা কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, ধারণা বা গুণের নাম বোঝায়। আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে, তার সবকিছুই কোনো না কোনো বিশেষ্য পদ।
বিশেষ্য কত প্রকার? (Bisheshh Koto Prokar?)
বিশেষ্য প্রধানত ছয় প্রকার:
- নামবাচক বিশেষ্য (Proper Noun): নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি, স্থান বা বস্তুর নাম বোঝায়।
- উদাহরণ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore), পদ্মা (Podda), ঢাকা (Dhaka), কোরআন (Quran)
- জাতিবাচক বিশেষ্য (Common Noun): একই জাতীয় ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝায়।
- উদাহরণ: মানুষ (Manush), নদী (Nodi), শহর (Shohor), বই (Boi)
- বস্তুবাচক বিশেষ্য (Material Noun): কোনো বস্তু বা পদার্থের নাম বোঝায়।
- উদাহরণ: সোনা (Sona), রুপা (Rupa), পানি (Pani), মাটি (Mati)
- সমষ্টিবাচক বিশেষ্য (Collective Noun): কোনো দল বা সমষ্টিকে বোঝায়।
- উদাহরণ: দল (Dol), সমিতি (Somiti), পরিবার (Poribar), সেনাবাহিনী (Senabahini)
- গুণবাচক বিশেষ্য (Abstract Noun): কোনো গুণ, অবস্থা বা ধারণাকে বোঝায়।
- উদাহরণ: সততা (Sotota), দয়া (Doya), তারুণ্য (Tarunno), সুখ (Sukh)
- ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য (Verbal Noun): কোনো ক্রিয়ার নামকে বোঝায়।
- উদাহরণ: গমন (Gomon), ভোজন (Bhojon), দর্শন (Dorshon), শয়ন (Shoyon)
বিশেষ্য ব্যবহারের কিছু উদাহরণ
- “ঢাকা একটি সুন্দর শহর।” – এখানে “ঢাকা” (Dhaka) নামবাচক বিশেষ্য এবং “শহর” (Shohor) জাতিবাচক বিশেষ্য।
- “সোনা খুব মূল্যবান ধাতু।” – এখানে “সোনা” (Sona) বস্তুবাচক বিশেষ্য।
- “আমাদের পরিবারে পাঁচ জন সদস্য আছে।” – এখানে “পরিবার” (Poribar) সমষ্টিবাচক বিশেষ্য।
- “সততা একটি মহৎ গুণ।” – এখানে “সততা” (Sotota) গুণবাচক বিশেষ্য।
Pronoun (সর্বনাম) এর বিস্তারিত আলোচনা
বিশেষ্যের পরিবর্তে যে শব্দ ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম বলে। বারবার একই বিশেষ্য ব্যবহার না করে, সর্বনাম ব্যবহার করলে বাক্য শ্রুতিমধুর হয় এবং লেখার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
সর্বনাম কত প্রকার? (Sorbonam Koto Prokar?)
সর্বনাম প্রধানত নয় প্রকার:
- ব্যক্তিবাচক সর্বনাম (Personal Pronoun): ব্যক্তি বা পুরুষের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়।
- উদাহরণ: আমি (Ami), তুমি (Tumi), সে (She), আমরা (Amra), তোমরা (Tomra), তারা (Tara)
- আত্মবাচক সর্বনাম (Reflexive Pronoun): নিজেকে বা নিজের প্রতি নির্দেশ করে।
- উদাহরণ: নিজেকে (Nijeke), স্বয়ং (Swoyong), আপনি (Apni)
- নির্দেশক সর্বনাম (Demonstrative Pronoun): কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দিষ্ট করে বোঝায়।
- উদাহরণ: এই (Ei), ঐ (Oi), এটা (Eta), ওটা (Ota)
- অনির্দিষ্ট সর্বনাম (Indefinite Pronoun): অনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝায়।
- উদাহরণ: কেউ (Keu), কিছু (Kichu), সকলে (Sokole), অনেকে (Oneke)
- প্রশ্নবাচক সর্বনাম (Interrogative Pronoun): প্রশ্ন করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- উদাহরণ: কে (Ke), কি (Ki), কাকে (Kake), কোথায় (Kothay)
- সম্বন্ধবাচক সর্বনাম (Relative Pronoun): দুটি বাক্যের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে।
- উদাহরণ: যে (Je), যিনি (Jini), যা (Ja), যারা (Jara)
- ব্যতিহারিক সর্বনাম (Reciprocal Pronoun): পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝায়।
- উদাহরণ: পরস্পর (Porospor), নিজেদের মধ্যে (Nijeder Moddhe)
- সাকুল্যবাচক সর্বনাম (Distributive Pronoun): সমষ্টির প্রত্যেকটিকে আলাদাভাবে বোঝায়।
- উদাহরণ: প্রত্যেক (Protek), সব (Sob), প্রতিটি (Protiti)
- রূপান্তরবাচক সর্বনাম (Impersonal Pronoun): বাক্যে শুধুমাত্র কর্তা হিসেবে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝায় না।
- উদাহরণ: ইহা (Iha)
সর্বনাম ব্যবহারের কিছু উদাহরণ
- “রহিম একজন ভালো ছেলে। সে নিয়মিত স্কুলে যায়।” – এখানে “সে” (She) ব্যক্তিবাচক সর্বনাম, যা রহিমের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়েছে।
- “আমি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি।” – এখানে “নিজেকে” (Nijeke) আত্মবাচক সর্বনাম।
- “এই বইটি আমার খুব প্রিয়।” – এখানে “এই” (Ei) নির্দেশক সর্বনাম।
- “কেউ কি আমাকে সাহায্য করতে পারবে?” – এখানে “কেউ” (Keu) অনির্দিষ্ট সর্বনাম।
- “তোমার নাম কি?” – এখানে “কি” (Ki) প্রশ্নবাচক সর্বনাম।
Adjective (বিশেষণ) এর বিস্তারিত আলোচনা
বিশেষণ বা Adjective হলো সেই শব্দ যা বিশেষ্য (Noun) বা সর্বনাম (Pronoun) এর দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে। বিশেষণ পদ বিশেষ্য বা সর্বনামকে বিশেষিত করে, অর্থাৎ তাদের সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য দেয়।
বিশেষণ কত প্রকার? (Bisheshon Koto Prokar?)
বিশেষণ প্রধানত দুই প্রকার:
- নাম বিশেষণ (Attributive Adjective) বা বিশেষ্যের বিশেষণ: যে বিশেষণ সরাসরি বিশেষ্যের পূর্বে বসে বিশেষ্যকে বিশেষিত করে, তাকে নাম বিশেষণ বলে।
- উদাহরণ: ভালো ছেলে (Bhalo Chele), সুন্দর পাখি (Sundor Pakhi), দশ টাকা (Dosh Taka)
- ভাব বিশেষণ (Predicate Adjective) বা ক্রিয়ার বিশেষণ: যে বিশেষণ বিশেষ্যের পরে বসে ক্রিয়ার মাধ্যমে বিশেষ্যকে বিশেষিত করে, তাকে ভাব বিশেষণ বলে।
- উদাহরণ: ছেলেটি ভালো (Cheleti Bhalo), পাখিটি সুন্দর (Pakhiti Sundor), আকাশটা নীল (Akashta Nil)
নাম বিশেষণকে আবার কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়:
- গুণবাচক বিশেষণ: গুণ বোঝায়। যেমন: ভালো, খারাপ, সুন্দর, মিষ্টি।
- অবস্থাবাচক বিশেষণ: অবস্থা বোঝায়। যেমন: জীবিত, মৃত, অসুস্থ, তাজা।
- সংখ্যাবাচক বিশেষণ: সংখ্যা বোঝায়। যেমন: এক, দুই, দশ, প্রথম, দ্বিতীয়।
- পরিমাণবাচক বিশেষণ: পরিমাণ বোঝায়। যেমন: অনেক, কিছু, সামান্য, বেশি।
- ক্রমবাচক বিশেষণ: ক্রম বা সিরিয়াল বোঝায়। যেমন: প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়।
- প্রশ্নবাচক বিশেষণ: প্রশ্ন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন: কেমন, কত, কি।
- নির্দেশক বিশেষণ: নির্দেশ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন: এই, ঐ, সেই।
বিশেষণ ব্যবহারের কিছু উদাহরণ
- “সে একজন ভালো ছাত্র।” – এখানে “ভালো” (Bhalo) গুণবাচক বিশেষণ, যা ছাত্রের গুণ বোঝাচ্ছে।
- “আমার কাছে দশ টাকা আছে।” – এখানে “দশ” (Dosh) সংখ্যাবাচক বিশেষণ, যা টাকার সংখ্যা বোঝাচ্ছে।
- “আজ আকাশটা খুব নীল দেখাচ্ছে।” – এখানে “নীল” (Nil) অবস্থাবাচক বা ভাব বিশেষণ, যা আকাশের অবস্থা বোঝাচ্ছে।
- “কিছু চাল দাও।” – এখানে “কিছু” (Kichu) পরিমাণবাচক বিশেষণ, যা চালের পরিমাণ বোঝাচ্ছে।
- “এই বইটি আমার।” – এখানে “এই” (Ei) নির্দেশক বিশেষণ, যা বইটিকে নির্দিষ্ট করে বোঝাচ্ছে।
Verb (ক্রিয়া) এর বিস্তারিত আলোচনা
ক্রিয়া বা Verb হলো সেই শব্দ যা কোনো কাজ করা বা হওয়া বোঝায়। এটি বাক্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা ছাড়া বাক্য সম্পূর্ণ হতে পারে না।
ক্রিয়া কত প্রকার? (Kriya Koto Prokar?)
ক্রিয়াকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। নিচে কয়েকটি প্রধান ভাগ আলোচনা করা হলো:
-
অর্থ অনুসারে ক্রিয়া (According to Meaning):
- সমাপিকা ক্রিয়া (Finite Verb): যে ক্রিয়া দ্বারা বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়।
- উদাহরণ: আমি ভাত খাই। (Ami Bhat Khai)
- অসমাপিকা ক্রিয়া (Non-finite Verb): যে ক্রিয়া দ্বারা বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায় না।
- উদাহরণ: আমি ভাত খাইতে… (Ami Bhat Khaite…) (বাক্যটি সম্পূর্ণ নয়)
- সমাপিকা ক্রিয়া (Finite Verb): যে ক্রিয়া দ্বারা বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়।
-
গঠন অনুসারে ক্রিয়া (According to Formation):
- মৌলিক ক্রিয়া (Simple Verb): যে ক্রিয়াকে ভাঙা যায় না।
- উদাহরণ: খা (Kha), যা (Ja), দে (De)।
- যৌগিক ক্রিয়া (Compound Verb): যখন দুইটি ধাতু বা ক্রিয়া একসঙ্গে মিলিত হয়ে একটি নতুন ক্রিয়া গঠন করে।
- উদাহরণ: যেতে দাও (Jete Dao), মারি ধর (Mari Dhor)।
- মৌলিক ক্রিয়া (Simple Verb): যে ক্রিয়াকে ভাঙা যায় না।
-
কর্ম অনুসারে ক্রিয়া (According to Object):
* **সকর্মক ক্রিয়া (Transitive Verb):** যে ক্রিয়ার কর্ম (Object) আছে।
* উদাহরণ: আমি বই পড়ি। (Ami Boi Pori) (এখানে "বই (Boi)" কর্ম)
* **অকর্মক ক্রিয়া (Intransitive Verb):** যে ক্রিয়ার কর্ম নেই।
* উদাহরণ: আমি যাই। (Ami Jai) (এখানে কোনো কর্ম নেই)।
* **দ্বিকর্মক ক্রিয়া (Ditransitive Verb):** যে ক্রিয়ার দুইটি কর্ম থাকে।
* উদাহরণ: শিক্ষক ছাত্রকে ব্যাকরণ পড়াচ্ছেন। (Shikkhok Chatroke Bব্যাকরণ Porachhen) (এখানে "ছাত্রকে (Chatroke)" এবং "ব্যাকরণ (ব্যকরণ)" দুটি কর্ম)।
- প্রযোজক ক্রিয়া (Causative Verb): যখন কর্তা নিজে কাজ না করে অন্যকে দিয়ে করায়।
- উদাহরণ: মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন। (Ma Shishuke Chand Dekhachhen)।
ক্রিয়া ব্যবহারের কিছু উদাহরণ
- “আমি গান গাই।” – এখানে “গাই” (Gai) সমাপিকা ক্রিয়া।
- “সে পড়তে ভালোবাসে।” – এখানে “ভালোবাসে” (Bhalobashe) সমাপিকা ক্রিয়া এবং “পড়তে” (Porte) অসমাপিকা ক্রিয়া।
- “বাবা আমাকে একটি কলম কিনে দিয়েছেন।” – এখানে “কিনে দিয়েছেন” (Kine Diyechen) যৌগিক ক্রিয়া।
- “আমি একটি চিঠি লিখছি।” – এখানে “লিখছি” (Likhchi) সকর্মক ক্রিয়া, কারণ “চিঠি” (Chithi) কর্ম।
- “পাখি উড়ে।” – এখানে “উড়ে” (Ure) অকর্মক ক্রিয়া, কারণ কোনো কর্ম নেই।
Adverb (ক্রিয়া বিশেষণ) এর বিস্তারিত আলোচনা
ক্রিয়া বিশেষণ বা Adverb হলো সেই শব্দ যা ক্রিয়া (Verb), বিশেষণ (Adjective) বা অন্য কোনো ক্রিয়া বিশেষণকে বিশেষিত করে। এটি বাক্যের অন্য অংশের অর্থকে আরও স্পষ্ট করে তোলে।
ক্রিয়া বিশেষণ কত প্রকার? (Kriya Bisheshon Koto Prokar?)
ক্রিয়া বিশেষণকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। নিচে কয়েকটি প্রধান ভাগ আলোচনা করা হল:
- সময়বাচক ক্রিয়া বিশেষণ (Adverb of Time): যা ক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার সময় নির্দেশ করে।
- উদাহরণ: এখন (Ekhon), পরে (Pore), শীঘ্রই (Shighrai), গতকাল (Gotokal)।
- “আমি এখন ভাত খাব।” – এখানে “এখন” ক্রিয়াটি কখন ঘটবে তা বোঝাচ্ছে।
- স্থানবাচক ক্রিয়া বিশেষণ (Adverb of Place): যা ক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার স্থান নির্দেশ করে।
- উদাহরণ: এখানে (Ekhane), ওখানে (Okhane), সর্বত্র (Sarbottro), কাছে (Kache)।
- “এখানে বসো।” – এখানে “এখানে” বসার স্থান নির্দেশ করছে।
- কারণবাচক ক্রিয়া বিশেষণ (Adverb of Reason): যা ক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার কারণ নির্দেশ করে।
- উদাহরণ: সুতরাং ( সুতরাং ), অতএব (অতএব), যেহেতু (যেহেতু)।
- “বৃষ্টি হওয়ার কারণে আমি যায়নি।” – এখানে “বৃষ্টি হওয়ার কারণে” না যাওয়ার কারণ বোঝাচ্ছে।
- প্রকার বা ধরণবাচক ক্রিয়া বিশেষণ (Adverb of Manner): যা ক্রিয়াটি কিভাবে সংঘটিত হয়েছে তা নির্দেশ করে।
- উদাহরণ: ধীরে (Dhire), দ্রুত (Druto), মনোযোগ দিয়ে (Monojog Diye)।
- “সে ধীরে ধীরে হাঁটে।” – এখানে “ধীরে ধীরে” হাঁটার ধরণ বোঝাচ্ছে।
- পরিমাণবাচক ক্রিয়া বিশেষণ (Adverb of Quantity): যা ক্রিয়ার পরিমাণ বা মাত্রা নির্দেশ করে।
- উদাহরণ: খুব (Khub), বেশি (Beshi), কম (Kom), যথেষ্ট (Jothesto)।
- “আমি খুব ক্লান্ত।” – এখানে “খুব” ক্লান্তির পরিমাণ বোঝাচ্ছে।
- সংখ্যাত্মক ক্রিয়া বিশেষণ (Adverb of Number): যা ক্রিয়া কতবার সংঘটিত হয়েছে তা নির্দেশ করে।
- উদাহরণ: একবার (Ekbar), দুবার (Dubar), বহুবার (Bohubar)।
- “আমি সেখানে একবার গিয়েছিলাম।” – এখানে “একবার” যাওয়ার সংখ্যা বোঝাচ্ছে।
- নঞর্থক ক্রিয়া বিশেষণ (Negative Adverb): যা ক্রিয়াটি না বোধক অর্থে ব্যবহৃত হয়।
- উদাহরণ: না (Na), নয় (Noy)।
- “আমি যাব না।” – এখানে “না” যাওয়াটা নিষেধ করছে।
- প্রশ্নবোধক ক্রিয়া বিশেষণ (Interrogative Adverb): যা প্রশ্ন করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- উদাহরণ: কেন (Keno), কখন (Kokhono), কোথায় (Kothai)।
- “তুমি কেন যাচ্ছ?” – এখানে “কেন” যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে।
ক্রিয়া বিশেষণ ব্যবহারের কিছু উদাহরণ
- “সে দ্রুত দৌড়ায়।” – এখানে “দ্রুত” (Druto) ক্রিয়া বিশেষণ, যা দৌড়ানোর ধরণ বোঝাচ্ছে।
- “আমি খুব ক্লান্ত।” – এখানে “খুব” (Khub) ক্রিয়া বিশেষণ, যা ক্লান্তির পরিমাণ বোঝাচ্ছে।
- “তিনি প্রায়ই এখানে আসেন।” – এখানে “প্রায়ই” (Prayi) ক্রিয়া বিশেষণ, যা আসার পুনরাবৃত্তি বোঝাচ্ছে।
- “বৃষ্টি হওয়ার কারণে আমি আজ স্কুলে যাইনি।” – এখানে “বৃষ্টি হওয়ার কারণে” (Brishti Howar Karone) ক্রিয়া বিশেষণ, যা স্কুলে না যাওয়ার কারণ বোঝাচ্ছে।
- “তুমি কোথায় যাচ্ছ?” – এখানে “কোথায়” (Kothai) প্রশ্নবোধক ক্রিয়া বিশেষণ, যা স্থান জানতে চাওয়া হচ্ছে।
Preposition (অব্যয়) এর বিস্তারিত আলোচনা
অব্যয় বা Preposition হলো সেই শব্দ যা বিশেষ্য (Noun) বা সর্বনাম (Pronoun)-এর পূর্বে বসে ওই বিশেষ্য বা সর্বনামের সঙ্গে বাক্যের অন্য অংশের সম্পর্ক স্থাপন করে। এটি বাক্যের অর্থকে স্পষ্ট করতে সাহায্য করে।
অব্যয় কত প্রকার? (Abboi Koto Prokar?)
অব্যয়কে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা যায়:
- অবস্থানবাচক অব্যয় (Preposition of Place): যা কোনো কিছুর অবস্থান বোঝায়।
- উদাহরণ: মধ্যে (Moddhe), উপরে (Upore), নিচে (Niche), পাশে (Pashe), সামনে (Samne), পিছনে (Pichone)।
- “বইটি টেবিলের উপরে আছে।” – এখানে “উপরে” টেবিলের সাপেক্ষে বইটির অবস্থান বোঝাচ্ছে।
- সময়বাচক অব্যয় (Preposition of Time): যা কোনো সময়কাল বোঝায়।
- উদাহরণ: আগে (Age), পরে (Pore), মধ্যে (Moddhe), পর্যন্ত (Porjonto), ধরে (Dhore)।
- “আমি সকাল থেকে কাজ করছি।” – এখানে “থেকে” সময়কাল বোঝাচ্ছে।
- দিকবাচক অব্যয় (Preposition of Direction): যা কোনো দিকের ধারণা দেয়।
- উদাহরণ: দিকে (Dike), অভিমুখে (Abhimukhe), বরাবর (Borabor)।
- “আমরা সমুদ্রের দিকে যাচ্ছি।” – এখানে “দিকে” সমুদ্রের অভিমুখ বোঝাচ্ছে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ অব্যয়ের উদাহরণ:
- On: উপরে (স্পর্শ করে)। উদাহরণ: The book is on the table.
- In: মধ্যে। উদাহরণ: I live in Dhaka.
- At: কোনো নির্দিষ্ট স্থানে। উদাহরণ: I am at the bus stop.
- To: দিকে, প্রতি। উদাহরণ: I am going to school.
- From: থেকে, হতে। উদাহরণ: I am coming from school.
- With: সাথে, সঙ্গে। উদাহরণ: I am with my friend.
- By: দ্বারা, পাশে। উদাহরণ: The letter was sent by post.
- For: জন্য, কারণে। উদাহরণ: This is for you.
- About: সম্পর্কে, বিষয়ে। উদাহরণ: Tell me about yourself.
- Above: উপরে (স্পর্শ না করে)। উদাহরণ: The bird is flying above the tree.
- Below: নিচে (স্পর্শ না করে)। উদাহরণ: The water is below the bridge.
অব্যয় ব্যবহারের কিছু উদাহরণ
- “বিড়ালটি টেবিলের নিচে ঘুমোচ্ছে।” – এখানে “নিচে” (Niche) অবস্থানবাচক অব্যয়।
- “আমি পাঁচটা পর্যন্ত কাজ করব।” – এখানে “পর্যন্ত” (Porjonto) সময়বাচক অব্যয়।
- “আমরা নদীর দিকে হেঁটে গেলাম।” – এখানে “দিকে” (Dike) দিকবাচক অব্যয়।
- “কলমটি টেবিলের উপরে রাখো।” – এখানে “উপরে(Upore)” অবস্থানবাচক অব্যয়।
- “আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।” – এখানে “জন্য” (Jonno) নিমিত্তবাচক অব্যয়।
Conjunction (সংযোজক অব্যয়) এর বিস্তারিত আলোচনা
সংযোজক অব্যয় বা Conjunction হলো সেই শব্দ যা দুই বা ততোধিক শব্দ, শব্দগুচ্ছ, বাক্য বা বাক্যংশকে যুক্ত করে। এটি বাক্যকে আরও সুস্পষ্ট এবং সাবলীল করে তোলে।
সংযোজক অব্যয় কত প্রকার? (Sonjojok Obboi Koto Prokar?)
সংযোজক অব্যয় প্রধানত তিন প্রকার:
- সংযোজক (Coordinating Conjunction): সমজাতীয় শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করে।
- উদাহরণ: এবং (Ebong), ও (O), কিন্তু (Kintu), অথবা (Othoba), নতুবা (Notuba), তথাপি (Tothapi)।
- “আমি এবং আমার বন্ধু সিনেমা দেখতে যাব।” – এখানে “এবং” দুটি শব্দকে যুক্ত করেছে।
- “সে গরিব, কিন্তু সৎ।” – এখানে “কিন্তু” দুটি বাক্যকে যুক্ত করেছে।
- বিয়োজক (Disordinating Conjunction): বিকল্প বা বৈপরীত্য বোঝায়।
- উদাহরণ: না (Na)…না (Na), হয় (Hoy)…নয় (Noy), নইলে (Noile)।
- “হয় তুমি যাবে, নয় আমি যাব।” – এখানে “নয়” বিকল্প বোঝাচ্ছে।
- সাপেক্ষ (Correlative Conjunction): জোড়ায় ব্যবহৃত হয়ে দুটি অংশের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে।
- উদাহরণ: যদি (Jodi)…তবে (Tobe), যেমন (Jemon)…তেমন (Temon), যখন (Jokhon)…তখন (Tokhon), যদিও (Jodio)… তথাপি (Tothapi)।
- “যদি তুমি আসো তবে আমি যাব।” – এখানে “যদি…তবে” দুটি অংশের মধ্যে শর্ত বোঝাচ্ছে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংযোজক অব্যয়ের উদাহরণ:
- And: এবং। উদাহরণ: I like tea and coffee.
- But: কিন্তু। উদাহরণ: He is poor but honest.
- Or: অথবা। উদাহরণ: Do you want tea or coffee?
- So: তাই। উদাহরণ: He was tired, so he went to bed.
- Because: কারণ। উদাহরণ: I am happy because you are here.
- Although/Though: যদিও। উদাহরণ: Although it was raining, we went out.
- If: যদি। উদাহরণ: If it rains, we will stay home.
- Unless: যদি না। উদাহরণ: Unless you study, you will fail.
- When: যখন। উদাহরণ: I will call you when I arrive.
- While: যখন, যতক্ষণ। উদাহরণ: I read while he watched TV.
সংযোজক অব্যয় ব্যবহারের কিছু উদাহরণ
- “বৃষ্টি হচ্ছে এবং বাতাস বইছে।” – এখানে “এবং” (Ebong) দুটি বাক্যকে যুক্ত করেছে।
- “তুমি কি চা খাবে নাকি কফি?” – এখানে “নাকি” (Naki) বিকল্প বোঝাচ্ছে।
- “যদিও সে গরিব, তথাপি সে সুখী।” – এখানে “যদিও…তথ্যাপি” দুটি অংশের মধ্যে বৈপরীত্য বোঝাচ্ছে।
- “রাম এবং শ্যাম দুই ভাই।” – এখানে “এবং” (Ebong) দুটি শব্দকে একসাথে যুক্ত করেছে।
- “কাজটি দ্রুত করো, নতুবা দেরি হয়ে যাবে।” – এখানে “নতুবা” (Notuba) অন্য একটি পরিস্থিতির সম্ভাবনা বোঝাচ্ছে।
Interjection (অনুসর্গ) এর বিস্তারিত আলোচনা
অনুসর্গ বা Interjection হলো সেই শব্দ যা মনের আকস্মিক আবেগ, অনুভূতি, উল্লাস, বিষাদ, বিস্ময়, ঘৃণা ইত্যাদি প্রকাশ করে। অনুসর্গের পরে সাধারণত বিস্ময়সূচক চিহ্ন (!) ব্যবহৃত হয়।
অনুসর্গ চেনার উপায়
- অনুসর্গগুলো সাধারণত বাক্যের শুরুতে অথবা মধ্যে বসে।
- এগুলো কোনো ব্যাকরণগত সম্পর্কে আবদ্ধ থাকে না।
- এগুলো মনের আবেগ সরাসরি প্রকাশ করে।
কিছু সাধারণ অনুসর্গের উদাহরণ:
- আহ! (Ah!): আনন্দ, বেদনা বা অনুভূতির প্রকাশ।
- উদাহরণ: আহ! কি সুন্দর দৃশ্য!
- ওহ! (Oh!): বিস্ময়, দুঃখ বা অনুশোচনার প্রকাশ।
- উদাহরণ: ওহ! আমি এটা জানতাম না।
- হায়! (Hai!): দুঃখ, কষ্ট বা হতাশার প্রকাশ।
- উদাহরণ: হায়! আমার কী হবে!
- ছি! (Chi!): ঘৃণা, বিরক্তি বা অবজ্ঞার প্রকাশ।
- উদাহরণ: ছি! তুমি এটা কী করে করলে!
- বাহ! (Bah!): প্রশংসা, আনন্দ বা উল্লাসের প্রকাশ।
- উদাহরণ: বাহ! তুমি তো খুব ভালো গেয়েছ!
- উহ! (Uff!): বিরক্তি বা কষ্টের প্রকাশ।
- উদাহরণ: উফ! আর ভালো লাগছে না।
- সাবাশ! (Shabash!): উৎসাহ, প্রশংসা বা স্বীকৃতির প্রকাশ।
- উদাহরণ: সাবাশ! তোমরা খুব ভালো খেলেছ।
- এলাহি! (Elahi!): বিস্ময় বা আকস্মিক অনুভূতির প্রকাশ।
- উদাহরণ: এলাহি! এ কী কাণ্ড!
অনুসর্গ ব্যবহারের কিছু উদাহরণ
- “বাহ! কী চমৎকার ছবি!” – এখানে “বাহ!” শব্দটি আনন্দ ও প্রশংসা প্রকাশ করছে।
- “হায়! আমার পরীক্ষাটা খারাপ হয়েছে।” – এখানে “হায়!” শব্দটি দুঃখ ও হতাশা প্রকাশ করছে।
- “ছি! তুমি এত নোংরা কেন?” – এখানে “ছি!” শব্দটি ঘৃণা ও বিরক্তি প্রকাশ করছে।
- “আহ! কী শান্তি!” – এখানে “আহ!” শব্দটি আরাম ও স্বস্তি প্রকাশ করছে।
- “সাবাশ! তোমরা পরীক্ষায় ভালো ফল করেছ।” – এখানে “সাবাশ!” শব্দটি উৎসাহ ও স্বীকৃতি প্রকাশ করছে।
এই ছিল Part of Speech নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। আশা করি, এই ব্লগপোস্টটি আপনাকে Part of Speech সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে পেরেছে।
Part of Speech নিয়ে কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
আশা করি, Part of Speech নিয়ে আপনার মনে আর কোনো প্রশ্ন নেই। তবুও, কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো:
- প্রশ্ন: Part of Speech শেখা কেন জরুরি?
- উত্তর: Part of Speech শেখা সঠিক বাক্য গঠন এবং ভাষার সঠিক ব্যবহারের জন্য জরুরি। এটি ছাড়া আপনি ত্রুটিপূর্ণ বাক্য তৈরি করতে পারেন।
- প্রশ্ন: একটি বাক্যে কি একাধিক Part of Speech থাকতে পারে?
- উত্তর: হ্যাঁ, একটি বাক্যে একাধিক Part of Speech থাকতে পারে। একটি বাক্য বিভিন্ন শব্দ দিয়ে গঠিত হয় এবং প্রতিটি শব্দের আলাদা কাজ থাকে।
- প্রশ্ন: Part of Speech কিভাবে চিনতে পারব?
- উত্তর: Part of Speech চেনার জন্য শব্দটির কাজ এবং বাক্যে এর অবস্থান লক্ষ্য করতে হবে। নিয়মিত অনুশীলন এবং পড়ার মাধ্যমে এটি সহজে চেনা যায়।
- প্রশ্ন: ক্রিয়া বিশেষণ (Adverb) এবং বিশেষণ (Adjective) এর মধ্যে পার্থক্য কী?
- উত্তর: বিশেষণ বিশেষ্য বা সর্বনামকে বিশেষিত করে, অন্যদিকে ক্রিয়া বিশেষণ ক্রিয়া, বিশেষণ বা অন্য কোনো ক্রিয়া বিশেষণকে বিশেষিত করে।
Part of Speech মনে রাখার সহজ উপায়
Part of Speech মনে রাখাটা অনেকের কাছে কঠিন মনে হতে পারে, কিন্তু কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করলে এটা সহজ হয়ে যায়। নিচে কয়েকটি টিপস দেওয়া হলো:
- নিয়মিত অনুশীলন: প্রতিদিন কিছু বাক্য নিয়ে Part of Speech চিহ্নিত করার অনুশীলন করুন।
- শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি: নতুন শব্দ শিখুন এবং তাদের ব্যবহার জানুন। এতে আপনি সহজেই Part of Speech চিনতে পারবেন।
- চার্ট ব্যবহার: Part of Speech-এর একটি চার্ট তৈরি করে দেয়ালে লাগিয়ে রাখুন এবং নিয়মিত দেখুন।
- উদাহরণসহ পড়ুন: প্রতিটি Part of Speech-এর উদাহরণসহ সংজ্ঞা পড়ুন এবং মনে রাখার চেষ্টা করুন।
- গেম খেলুন: অনলাইন বা অফলাইনে Part of Speech নিয়ে বিভিন্ন গেম খেলতে পারেন। এটি শেখাকে আরও মজাদার করে তুলবে।
Part of Speech | কাজ | উদাহরণ |
---|---|---|
Noun (বিশেষ্য) | কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান বা ধারণা বোঝায়। | মানুষ, বই, ঢাকা, সততা |
Pronoun (সর্বনাম) | বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়। | আমি, তুমি, সে, আমরা |
Adjective (বিশেষণ) | বিশেষ্য বা সর্বনামের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে। | ভালো, খারাপ, সুন্দর, দশ |
Verb (ক্রিয়া) | কোনো কাজ করা বা হওয়া বোঝায়। | করি, যাই, খাই, ঘুমাই |
Adverb (ক্রিয়া বিশেষণ) | ক্রিয়া, বিশেষণ বা অন্য কোনো ক্রিয়া বিশেষণকে বিশেষিত করে। | ধীরে, দ্রুত, খুব, প্রায় |
Preposition(অব্যয়) | বিশেষ্য বা সর্বনামের পূর্বে বসে অন্য শব্দের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে। | তে, এ, দিকে, জন্য |
Conjunction(সংযোজক অব্যয়) | দুটি শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করে। | এবং, অথবা, কিন্তু, কারণ |
Interjection(অনুসর্গ) | আবেগ, উল্লাস, বা বিস্ময় প্রকাশ করে। | বাহ!, ছি!, হায়!, উফ! |
উপসংহার
Part of Speech ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি ভালোভাবে বুঝতে পারলে বাংলা ভাষার ব্যবহার আরও নির্ভুল এবং সুন্দর হবে। এই ব্লগপোস্টে আমরা Part of Speech কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি, এবং এদের ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি, এই আলোচনা আপনার জন্য ফলপ্রসূ হবে।
যদি আপনার Part of Speech নিয়ে আরও কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আর হ্যাঁ, এই ব্লগপোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
ধন্যবাদ! শুভকামনা রইল।