আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই?
ছোটবেলায় ব্যাকরণ ক্লাসে “পার্টস অফ স্পিচ” (Parts of Speech) নামটা শুনে নিশ্চয়ই কিছুটা ভড়কে গিয়েছিলেন, তাই না? মনে হচ্ছিলো, এ আবার কী নতুন জিনিস! কিন্তু বিশ্বাস করুন, এটা আসলে তেমন কঠিন কিছু না। বরং, ইংরেজি ভাষার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেটা ভালোভাবে বুঝলে আপনার ইংরেজি লেখা ও বলার দক্ষতা অনেক বেড়ে যাবে। আজকের ব্লগ পোস্টে, আমরা একদম সহজ ভাষায় “পার্টস অফ স্পিচ কাকে বলে” সেটা জানবো। শুধু তাই নয়, এর প্রকারভেদ, ব্যবহার এবং কিছু মজার উদাহরণ নিয়েও আলোচনা করবো। তাহলে চলুন, দেরি না করে শুরু করা যাক!
পার্টস অফ স্পিচ: শব্দের শ্রেণীবিভাগ
“পার্টস অফ স্পিচ” মানে হলো বাক্যের অংশ। একটা বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটা শব্দ কোনো না কোনো কাজ করে। এই কাজ অনুযায়ী শব্দগুলোকে আলাদা আলাদা শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। এই শ্রেণীগুলোকেই একত্রে পার্টস অফ স্পিচ বলা হয়। সহজভাবে বললে, একটি বাক্যের প্রতিটি শব্দ তার অবস্থান ও কাজ অনুযায়ী যে শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত হয়, তাকেই পার্টস অফ স্পিচ বলে। প্রত্যেকটি পার্টস অফ স্পিচের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে, যা তাদের একে অপরের থেকে আলাদা করে।
ব্যাকরণে, পার্টস অফ স্পিচ হলো একটি শব্দকে তার প্রকার বা কাজ অনুসারে শ্রেণীবদ্ধ করার একটি পদ্ধতি। ইংরেজি ব্যাকরণে আট প্রকার পার্টস অফ স্পিচ রয়েছে। আমরা নিচে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পার্টস অফ স্পিচ কত প্রকার ও কি কি?
ইংরেজি ব্যাকরণে পার্টস অফ স্পিচ আট প্রকার। নিচে এদের নাম এবং সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো:
- বিশেষ্য (Noun): কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, ধারণা বা গুণের নাম বোঝায়। যেমন: ঢাকা, মানুষ, বই, সততা ইত্যাদি।
- সর্বনাম (Pronoun): বিশেষ্যের পরিবর্তে যে শব্দ ব্যবহৃত হয়। যেমন: আমি, তুমি, সে, এটা ইত্যাদি।
- বিশেষণ (Adjective): যে শব্দ বিশেষ্য বা সর্বনামের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা বা পরিমাণ প্রকাশ করে। যেমন: ভালো, খারাপ, সুন্দর, দুইটি ইত্যাদি।
- ক্রিয়া (Verb): কোনো কাজ করা বা হওয়া বোঝায়। যেমন: করা, যাওয়া, খাওয়া, ঘুমানো ইত্যাদি।
- ক্রিয়া বিশেষণ (Adverb): যে শব্দ ক্রিয়া, বিশেষণ বা অন্য কোনো ক্রিয়া বিশেষণকে বিশেষিত করে। যেমন: দ্রুত, ধীরে, খুব, প্রায় ইত্যাদি।
- পদান্বয় অব্যয় (Preposition): যে শব্দ বিশেষ্য বা সর্বনামের আগে বসে বাক্যের অন্য শব্দের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে। যেমন: এ, তে, থেকে, জন্য ইত্যাদি।
- সংযোজক অব্যয় (Conjunction): যে শব্দ দুই বা ততোধিক শব্দ, বাক্যাংশ বা বাক্যকে যুক্ত করে। যেমন: এবং, কিন্তু, অথবা, কারণ ইত্যাদি।
- বিস্ময়সূচক অব্যয় (Interjection): যে শব্দ মনের আবেগ বা অনুভূতি প্রকাশ করে। যেমন: আহ, ওহ, বাহ, ছিঃ ইত্যাদি।
এইবার চলুন, এই প্রকারভেদগুলো একটু বিস্তারিতভাবে জেনে নেয়া যাক।
বিভিন্ন প্রকার পার্টস অফ স্পিচ এর বিস্তারিত আলোচনা
আমরা উপরে পার্টস অফ স্পিচের প্রকারভেদগুলো সংক্ষেপে জেনেছি। এই অংশে, আমরা প্রত্যেকটি প্রকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব এবং উদাহরণ দেখব।
১. বিশেষ্য (Noun)
বিশেষ্য (Noun) হলো সেই শব্দ যা কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, ধারণা বা গুণের নাম বোঝায়। আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে, তার সবকিছুই কোনো না কোনো বিশেষ্য।
উদাহরণ:
- ব্যক্তি: আরিফ, শিক্ষক, জন
- বস্তু: বই, কলম, টেবিল
- স্থান: ঢাকা, লন্ডন, মাঠ
- গুণ: সততা, দয়া, সৌন্দর্য
- ধারণা: সময়, স্বাধীনতা, ভালবাসা
বিশেষ্য চেনার উপায়:
- ‘কে’ বা ‘কি’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যদি উত্তর পাওয়া যায়, তবে সেটি বিশেষ্য। যেমন: “টেবিলে কী আছে?” উত্তর: “বই”। সুতরাং, “বই” একটি বিশেষ্য।
- বিশেষ্য সাধারণত বাক্যের শুরুতে, মাঝে বা শেষে বসতে পারে।
বিশেষ্যর প্রকারভেদ: বিশেষ্যকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন প্রকারে ভাগ করা যায়। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকার উল্লেখ করা হলো:
- নামবাচক বিশেষ্য (Proper Noun): নির্দিষ্ট নাম বোঝায়। যেমন: রহিম, পদ্মা, ঢাকা।
- জাতিবাচক বিশেষ্য (Common Noun): একই জাতীয় সকলকে বোঝায়। যেমন: মানুষ, নদী, শহর।
- বস্তুবাচক বিশেষ্য (Material Noun): কোনো বস্তুর নাম বোঝায়। যেমন: সোনা, পানি, চাল।
- সংগ্রহবাচক বিশেষ্য (Collective Noun): দল বা সমষ্টি বোঝায়। যেমন: দল, শ্রেণি, কমিটি।
- গুণবাচক বিশেষ্য (Abstract Noun): কোনো গুণের নাম বোঝায়। যেমন: দয়া, সততা, বুদ্ধি।
২. সর্বনাম (Pronoun)
বিশেষ্যের পরিবর্তে যে শব্দ ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম (Pronoun) বলে। বিশেষ্যের পুনরাবৃত্তি এড়ানোর জন্য সর্বনাম ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণ:
- আমি (I), তুমি (You), সে (He/She), এটা (It), আমরা (We), তারা (They)
বাক্যে ব্যবহার:
- আরিফ একজন ভালো ছেলে। সে প্রতিদিন স্কুলে যায়। (এখানে “সে” শব্দটি “আরিফ”-এর পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়েছে।)
- তোমরা কোথায় যাচ্ছ? (এখানে “তোমরা” একটি সর্বনাম।)
সর্বনাম চেনার উপায়:
- সর্বনাম সাধারণত বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়।
- এগুলো বাক্যের কর্তা (Subject) বা কর্ম (Object) হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
সর্বনামের প্রকারভেদ:
- ব্যক্তিবাচক সর্বনাম (Personal Pronoun): ব্যক্তি বা বস্তুর পরিবর্তে বসে। যেমন: আমি, তুমি, সে।
- নির্দেশক সর্বনাম (Demonstrative Pronoun): কোনো কিছুকে নির্দিষ্ট করে বোঝায়। যেমন: এই, ঐ, এটা।
- আত্মবাচক সর্বনাম (Reflexive Pronoun): নিজেকে বোঝায়। যেমন: নিজেকে, স্বয়ং।
- অনির্দিষ্ট সর্বনাম (Indefinite Pronoun): অনির্দিষ্ট কাউকে বোঝায়। যেমন: কেউ, কিছু, সকলে।
- প্রশ্নবোধক সর্বনাম (Interrogative Pronoun): প্রশ্ন করতে ব্যবহৃত হয়। যেমন: কে, কি, কাকে।
- সম্বন্ধবাচক সর্বনাম (Relative Pronoun): সম্পর্ক স্থাপন করে। যেমন: যে, যিনি, যাদের।
৩. বিশেষণ (Adjective)
যে শব্দ বিশেষ্য বা সর্বনামের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা বা পরিমাণ প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণ (Adjective) বলে।
উদাহরণ:
- গুণ: ভালো (Good), সুন্দর (Beautiful)
- দোষ: খারাপ (Bad), দুষ্ট (Naughty)
- অবস্থা: অসুস্থ (Sick), গরিব (Poor)
- সংখ্যা: এক (One), কিছু (Few)
- পরিমাণ: অনেক (Much), কম (Little)
বাক্যে ব্যবহার:
- এটি একটি সুন্দর ফুল। (এখানে “সুন্দর” শব্দটি “ফুল”-এর গুণ বোঝাচ্ছে।)
- আমার কাছে পাঁচটি কলম আছে। (এখানে “পাঁচটি” কলমের সংখ্যা বোঝাচ্ছে।)
বিশেষণ চেনার উপায়:
- বিশেষণ সাধারণত বিশেষ্য বা সর্বনামের পূর্বে বসে সেগুলোকে বিশেষিত করে।
- “কেমন” বা “কয়টি” দিয়ে প্রশ্ন করলে বিশেষণ পাওয়া যায়। যেমন: “ফুলটি কেমন?” উত্তর: “সুন্দর”।
বিশেষণের প্রকারভেদ:
- গুণবাচক বিশেষণ (Qualitative Adjective): গুণ বোঝায়। যেমন: ভালো, খারাপ।
- সংখ্যাবাচক বিশেষণ (Quantitative Adjective): সংখ্যা বোঝায়। যেমন: এক, দুই, কিছু।
- পরিমাণবাচক বিশেষণ (Numeral Adjective): পরিমাণ বোঝায়। যেমন: অনেক, কম।
- নির্দেশক বিশেষণ (Demonstrative Adjective): নির্দিষ্ট করে বোঝায়। যেমন: এই, ঐ।
৪. ক্রিয়া (Verb)
ক্রিয়া (Verb) হলো সেই শব্দ যা কোনো কাজ করা বা হওয়া বোঝায়। একটি বাক্য ক্রিয়া ছাড়া সম্পূর্ণ হতে পারে না।
উদাহরণ:
- করা (Do), যাওয়া (Go), খাওয়া (Eat), ঘুমানো (Sleep), হওয়া (Be)
বাক্যে ব্যবহার:
- আমি ভাত খাই। (এখানে “খাই” একটি ক্রিয়া।)
- সে স্কুলে যায়। (এখানে “যায়” একটি ক্রিয়া।)
ক্রিয়া চেনার উপায়:
- ক্রিয়া সাধারণত বাক্যের উদ্দেশ্য (Subject) এর পরে বসে।
- এটি কোনো কাজ করা বা হওয়া বোঝায়।
ক্রিয়ার প্রকারভেদ:
- সকর্মক ক্রিয়া (Transitive Verb): যে ক্রিয়ার কর্ম (Object) থাকে। যেমন: আমি ভাত খাই। (এখানে “ভাত” কর্ম।)
- অকর্মক ক্রিয়া (Intransitive Verb): যে ক্রিয়ার কর্ম থাকে না। যেমন: সে হাসে।
- সহায়ক ক্রিয়া (Auxiliary Verb): মূল ক্রিয়াকে সাহায্য করে। যেমন: আমি যাচ্ছি। (এখানে “যাচ্ছি” মূল ক্রিয়া এবং “আছি” সহায়ক ক্রিয়া।)
- সংযোগমূলক ক্রিয়া (Linking Verb): বিশেষ্য বা বিশেষণের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে। যেমন: সে একজন ছাত্র। (এখানে “হওয়া” ক্রিয়াটি “সে” এবং “ছাত্র”-এর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেছে।)
৫. ক্রিয়া বিশেষণ (Adverb)
যে শব্দ ক্রিয়া, বিশেষণ বা অন্য কোনো ক্রিয়া বিশেষণকে বিশেষিত করে, তাকে ক্রিয়া বিশেষণ (Adverb) বলে।
উদাহরণ:
- দ্রুত (Quickly), ধীরে (Slowly), খুব (Very), প্রায় (Almost), এখানে (Here), সেখানে (There)
বাক্যে ব্যবহার:
- সে দ্রুত দৌড়ায়। (এখানে “দ্রুত” শব্দটি “দৌড়ায়” ক্রিয়াটিকে বিশেষিত করছে।)
- তিনি খুব ভালো গান গান। (এখানে “খুব” শব্দটি “ভালো” বিশেষণটিকে বিশেষিত করছে।)
ক্রিয়া বিশেষণ চেনার উপায়:
- ক্রিয়া বিশেষণ সাধারণত ক্রিয়া, বিশেষণ বা অন্য কোনো ক্রিয়া বিশেষণের আগে বা পরে বসে।
- “কিভাবে”, “কোথায়”, “কখন” বা “কতটা” দিয়ে প্রশ্ন করলে ক্রিয়া বিশেষণ পাওয়া যায়। যেমন: “সে কিভাবে দৌড়ায়?” উত্তর: “দ্রুত”।
ক্রিয়া বিশেষণের প্রকারভেদ:
- সময়বাচক ক্রিয়া বিশেষণ (Adverb of Time): সময় বোঝায়। যেমন: আজ, কাল, এখন।
- স্থানবাচক ক্রিয়া বিশেষণ (Adverb of Place): স্থান বোঝায়। যেমন: এখানে, ওখানে, কাছে।
- পদ্ধতিবাচক ক্রিয়া বিশেষণ (Adverb of Manner): পদ্ধতি বোঝায়। যেমন: ধীরে, দ্রুত, সাবধানে।
- পরিমাণবাচক ক্রিয়া বিশেষণ (Adverb of Degree): পরিমাণ বোঝায়। যেমন: খুব, বেশি, কম।
৬. পদান্বয় অব্যয় (Preposition)
পদান্বয় অব্যয় (Preposition) হলো সেই শব্দ যা বিশেষ্য বা সর্বনামের আগে বসে বাক্যের অন্য শব্দের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে।
উদাহরণ:
- এ (In), তে (At), থেকে (From), জন্য (For), উপরে (On), নিচে (Under)
বাক্যে ব্যবহার:
- বইটি টেবিলের উপরে আছে। (এখানে “উপরে” শব্দটি “বই” এবং “টেবিল”-এর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেছে।)
- আমি ঢাকা থেকে এসেছি। (এখানে “থেকে” শব্দটি “আমি” এবং “ঢাকা”-এর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেছে।)
পদান্বয় অব্যয় চেনার উপায়:
- পদান্বয় অব্যয় সাধারণত বিশেষ্য বা সর্বনামের আগে বসে।
- এগুলো বাক্যের অন্য শব্দের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে।
পদান্বয় অব্যয়ের প্রকারভেদ:
- সরল পদান্বয় অব্যয় (Simple Preposition): একটি শব্দ দিয়ে গঠিত। যেমন: in, on, at।
- যৌগিক পদান্বয় অব্যয় (Compound Preposition): একাধিক শব্দ দিয়ে গঠিত। যেমন: on behalf of, in front of।
৭. সংযোজক অব্যয় (Conjunction)
সংযোজক অব্যয় (Conjunction) হলো সেই শব্দ যা দুই বা ততোধিক শব্দ, বাক্যাংশ বা বাক্যকে যুক্ত করে।
উদাহরণ:
- এবং (And), কিন্তু (But), অথবা (Or), কারণ (Because), যদি (If)
বাক্যে ব্যবহার:
- আমি এবং তুমি বন্ধু। (এখানে “এবং” শব্দটি “আমি” এবং “তুমি”-কে যুক্ত করেছে।)
- আমি যাব কিন্তু দেরি হবে। (এখানে “কিন্তু” শব্দটি দুটি বাক্যকে যুক্ত করেছে।)
সংযোজক অব্যয় চেনার উপায়:
- সংযোজক অব্যয় সাধারণত দুটি শব্দ, বাক্যাংশ বা বাক্যকে যুক্ত করে।
- এগুলো বাক্যের অর্থকে সুস্পষ্ট করে।
সংযোজক অব্যয়ের প্রকারভেদ:
- সংযোজনবাচক সংযোজক (Coordinating Conjunction): সমজাতীয় শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করে। যেমন: and, or, but।
- অধীনবাচক সংযোজক (Subordinating Conjunction): একটি বাক্যকে অন্য বাক্যের উপর নির্ভরশীল করে তোলে। যেমন: because, if, when।
৮. বিস্ময়সূচক অব্যয় (Interjection)
বিস্ময়সূচক অব্যয় (Interjection) হলো সেই শব্দ যা মনের আবেগ বা অনুভূতি প্রকাশ করে।
উদাহরণ:
- আহ (Alas), ওহ (Oh), বাহ (Wow), ছিঃ (Shame), হুররে (Hurrah)
বাক্যে ব্যবহার:
- আহ! কী সুন্দর দৃশ্য।
- ছিঃ! তুমি এটা কী করেছো?
বিস্ময়সূচক অব্যয় চেনার উপায়:
- বিস্ময়সূচক অব্যয় সাধারণত বাক্যের শুরুতে বসে এবং একটি বিস্ময়বোধক চিহ্ন (!) এর সাথে ব্যবহৃত হয়।
- এগুলো মনের আবেগ বা অনুভূতি প্রকাশ করে।
এখন, চলুন কিছু মজার উদাহরণ দেখি যেখানে বিভিন্ন পার্টস অফ স্পিচ একসাথে ব্যবহৃত হয়েছে:
“আহ! সোনালী সকালে পাখিগুলো মিষ্টি সুরে গান গাইছে, এবং বাতাস ধীরে ধীরে বইছে।”
এখানে:
- আহ! – বিস্ময়সূচক অব্যয় (Interjection)
- সোনালী – বিশেষণ (Adjective)
- সকাল – বিশেষ্য (Noun)
- পাখিগুলো – বিশেষ্য (Noun)
- মিষ্টি – বিশেষণ (Adjective)
- সুরে – বিশেষ্য (Noun)
- গান গাইছে – ক্রিয়া (Verb)
- এবং – সংযোজক অব্যয় (Conjunction)
- বাতাস – বিশেষ্য (Noun)
- ধীরে ধীরে – ক্রিয়া বিশেষণ (Adverb)
- বইছে – ক্রিয়া (Verb)
এই উদাহরণটি দেখালেই বোঝা যায়, কিভাবে বিভিন্ন পার্টস অফ স্পিচ একটি বাক্যে একসাথে কাজ করে এবং অর্থপূর্ণ করে তোলে।
পার্টস অফ স্পিচ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
পার্টস অফ স্পিচ শেখা কেন জরুরি, সেটা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে। নিচে এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ উল্লেখ করা হলো:
- সঠিক বাক্য গঠন: পার্টস অফ স্পিচ সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলে আপনি নির্ভুল এবং অর্থপূর্ণ বাক্য তৈরি করতে পারবেন।
- যোগাযোগের উন্নতি: সঠিক শব্দ ব্যবহার করে আপনি আপনার চিন্তা এবং মতামত স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারবেন, যা আপনার যোগাযোগের দক্ষতা বাড়াবে।
- লেখার মান বৃদ্ধি: পার্টস অফ স্পিচ এর সঠিক ব্যবহার আপনার লেখাকে আরও আকর্ষণীয় এবং পেশাদার করে তুলবে।
- ব্যাকরণের জ্ঞান: এটি ব্যাকরণের ভিত্তি, যা আপনাকে ইংরেজি ভাষা আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।
- পরীক্ষায় ভালো ফল: বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য পার্টস অফ স্পিচ এর জ্ঞান অপরিহার্য।
কিছু টিপস এবং ট্রিকস
পার্টস অফ স্পিচ শেখা এবং মনে রাখার জন্য কিছু টিপস নিচে দেওয়া হলো:
- নিয়মিত অনুশীলন: প্রতিদিন নতুন শব্দ শিখুন এবং তাদের পার্টস অফ স্পিচ সনাক্ত করার চেষ্টা করুন।
- বাক্য তৈরি: শেখা শব্দগুলো দিয়ে নিজের মতো করে বাক্য তৈরি করুন।
- পড়া এবং শোনা: ইংরেজি বই, পত্রিকা এবং অডিওবুক পড়ুন এবং শুনুন। এটি আপনাকে বিভিন্ন পার্টস অফ স্পিচের ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা দেবে।
- গেম খেলুন: অনলাইনে অনেক পার্টস অফ স্পিচ বিষয়ক গেম পাওয়া যায়। এগুলো খেলার মাধ্যমে আপনি মজা করে শিখতে পারবেন।
- শিক্ষকের সাহায্য: কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে শিক্ষকের সাহায্য নিন।
বহুল জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন (FAQ)
এই অংশে, পার্টস অফ স্পিচ নিয়ে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:
-
পার্টস অফ স্পিচ শেখা কি কঠিন?
মোটেই না! একটু মনোযোগ দিয়ে পড়লে এবং নিয়মিত অনুশীলন করলে এটা খুব সহজেই আয়ত্ত করা যায়।
-
পার্টস অফ স্পিচ কত প্রকার?
ইংরেজি ব্যাকরণে পার্টস অফ স্পিচ আট প্রকার: বিশেষ্য (Noun), সর্বনাম (Pronoun), বিশেষণ (Adjective), ক্রিয়া (Verb), ক্রিয়া বিশেষণ (Adverb), পদান্বয় অব্যয় (Preposition), সংযোজক অব্যয় (Conjunction) এবং বিস্ময়সূচক অব্যয় (Interjection)।
-
আমি কিভাবে পার্টস অফ স্পিচ চিনতে পারব?
প্রতিটি পার্টস অফ স্পিচের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে। এদের কাজ এবং ব্যবহার সম্পর্কে জানলে আপনি সহজেই চিনতে পারবেন।
-
একটি শব্দ কি একাধিক পার্টস অফ স্পিচ হতে পারে?
হ্যাঁ, একটি শব্দ বাক্যে তার অবস্থান ও কাজ অনুযায়ী বিভিন্ন পার্টস অফ স্পিচ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন, “water” শব্দটি বিশেষ্য (noun) এবং ক্রিয়া (verb) উভয় হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
- বিশেষ্য হিসেবে: I drink water. (আমি পানি পান করি।)
- ক্রিয়া হিসেবে: We need to water the plants. (আমাদের গাছগুলোতে পানি দিতে হবে।)
-
“ভাল” কোন পার্টস অফ স্পিচ?
“ভাল” একটি বিশেষণ (Adjective)। এটি কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর গুণ বোঝায়। যেমন: “সে একজন ভাল ছাত্র।”
- বিশেষণ (Adjective): সে ভাল গান গায়।
-
কোন পার্টস অফ স্পিচ দিয়ে প্রশ্ন করা হয়?
প্রশ্নবোধক সর্বনাম (Interrogative Pronoun) এবং প্রশ্নবোধক বিশেষণ (Interrogative Adjective) দিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
* সর্বনাম (Pronoun): **কে** ওখানে?
* বিশেষণ (Adjective): **কোন** বইটি তুমি চাও?
-
বাক্যে Noun কোথায় বসে?
বিশেষ্য (Noun) বাক্যের শুরুতে, মাঝে বা শেষে বসতে পারে। এটি বাক্যের কর্তা (Subject) বা কর্ম (Object) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
- কর্তা (Subject): রহিম স্কুলে যায়।
- কর্ম (Object): আমি বই পড়ি।
-
পার্টস অফ স্পিচ মনে রাখার সহজ উপায় কি?
পার্টস অফ স্পিচ মনে রাখার জন্য নিয়মিত অনুশীলন, বাক্য তৈরি এবং বিভিন্ন ধরনের গেম খেলা যেতে পারে। এছাড়া, প্রতিটি প্রকারের সংজ্ঞা এবং উদাহরণ ভালোভাবে মনে রাখলে এটি সহজে আয়ত্ত করা সম্ভব।
শেষ কথা
আশা করি, “পার্টস অফ স্পিচ কাকে বলে” এই বিষয়ে আপনাদের একটি স্পষ্ট ধারণা দিতে পেরেছি। ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য এর প্রতিটি বিষয় ভালোভাবে বোঝা জরুরি। নিয়মিত চর্চা এবং সঠিক দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে আপনিও পার্টস অফ স্পিচের উপর ভালো দখল নিতে পারবেন।
যদি এই বিষয়ে আপনার আরও কিছু জানার থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় কমেন্ট সেকশনে জিজ্ঞাসা করুন। আপনার যাত্রা সহজ হোক!