শুরু করছি বাংলা ব্যাকরণের একটি মজার এবং গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নিয়ে আলোচনা। আপনি যদি বাংলা ভাষা শিখতে বা ভালো করে বুঝতে চান, তাহলে Parts of Speech সম্পর্কে আপনার স্বচ্ছ ধারণা থাকা আবশ্যক। এই ব্লগ পোস্টে আমরা Parts of Speech কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। তাহলে চলুন, দেরি না করে শুরু করা যাক!
ব্যাকরণের প্রাণভোমরা: Parts of Speech এর সহজপাঠ
আমরা যখন কথা বলি বা কিছু লিখি, তখন অনেকগুলো শব্দ ব্যবহার করি। এই শব্দগুলো বাক্যে বিভিন্ন কাজ করে থাকে। কোনোটা বিশেষ্য, কোনোটা বিশেষণ, আবার কোনোটা ক্রিয়া। Parts of Speech হলো এই শব্দগুলোর শ্রেণিবিভাগ। ইংরেজি ব্যাকরণে যেমন Parts of Speech আছে, তেমনি বাংলা ব্যাকরণেও এর গুরুত্ব অপরিসীম।
Parts of Speech কাকে বলে?
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, একটি বাক্যের অন্তর্গত প্রতিটি শব্দ যখন তার কাজ অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত হয়, তখন তাকে Parts of Speech বলে। অর্থাৎ, বাক্যের প্রতিটি অর্থবোধক শব্দ এক একটি Parts of Speech।
আরও একটু বুঝিয়ে বলা যাক। ধরুন, আপনি একটি বাক্য লিখলেন: “ছেলেটি দ্রুত দৌড়াচ্ছে”। এখানে “ছেলেটি” একটি শব্দ, যা বিশেষ্য (Noun) এবং বাক্যের কর্তা। “দৌড়াচ্ছে” একটি ক্রিয়া (Verb), যা ছেলেটির কাজ বোঝাচ্ছে। “দ্রুত” শব্দটি ক্রিয়াটিকে বিশেষিত করছে, তাই এটি বিশেষণ (Adjective)। এই প্রতিটি শব্দই কোনো না কোনো Parts of Speech এর অন্তর্ভুক্ত।
Parts of Speech কত প্রকার ও কি কি?
বাংলা ব্যাকরণে Parts of Speech আট প্রকার। নিচে এদের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
বিশেষ্য (Noun)
কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, জাতি, সমষ্টি, ধারণা বা গুণের নাম বোঝায়, তাকে বিশেষ্য পদ বলে। বিশেষ্য পদ বাক্যটির মূল ভিত্তি স্থাপন করে।
বিশেষ্য পদের প্রকারভেদ
বিশেষ্য পদকে প্রধানত ছয় ভাগে ভাগ করা যায়:
-
নামবাচক বিশেষ্য (Proper Noun): কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, স্থান বা বস্তুর নাম বোঝায়। যেমন: ঢাকা, রবীন্দ্রনাথ, পদ্মা।
-
জাতিবাচক বিশেষ্য (Common Noun): কোনো জাতি বা শ্রেণির সাধারণ নাম বোঝায়। যেমন: মানুষ, নদী, পাখি।
-
বস্তুবাচক বিশেষ্য (Material Noun): কোনো বস্তু বা পদার্থের নাম বোঝায়। যেমন: চাল, চিনি, সোনা।
-
সমষ্টিবাচক বিশেষ্য (Collective Noun): কোনো দল বা সমষ্টির নাম বোঝায়। যেমন: সমিতি, দল, মাহফিল।
-
গুণবাচক বিশেষ্য (Abstract Noun): কোনো গুণ, অবস্থা বা ধারণার নাম বোঝায়। যেমন: সুখ, দুঃখ, তারুণ্য।
-
ক্রিয়া বাচক বিশেষ্য (Verbal Noun): যখন কোনো ক্রিয়া বিশেষ্যের মতো ব্যবহৃত হয়। যেমন: ভোজন, শয়ন।
<table>
<tr>
<th>প্রকারভেদ</th>
<th>সংজ্ঞা</th>
<th>উদাহরণ</th>
</tr>
<tr>
<td>নামবাচক বিশেষ্য</td>
<td>নির্দিষ্ট নাম</td>
<td>রবি, মেঘনা</td>
</tr>
<tr>
<td>জাতিবাচক বিশেষ্য</td>
<td>জাতি বা শ্রেণি</td>
<td>মানুষ, পাখি</td>
</tr>
<tr>
<td>বস্তুবাচক বিশেষ্য</td>
<td>বস্তু বা উপাদান</td>
<td>পানি, মাটি</td>
</tr>
<tr>
<td>সমষ্টিবাচক বিশেষ্য</td>
<td>সমষ্টি বা দল</td>
<td>বাহিনী, দল</td>
</tr>
<tr>
<td>গুণবাচক বিশেষ্য</td>
<td>গুণ বা ধারণা</td>
<td>দয়া, মায়া</td>
</tr>
<tr>
<td>ক্রিয়া বাচক বিশেষ্য</td>
<td>ক্রিয়া পদের নাম</td>
<td>গমন, দর্শন</td>
</tr>
</table>
সর্বনাম (Pronoun)
বিশেষ্যের পরিবর্তে যে শব্দ ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম পদ বলে। সর্বনাম পদ ব্যবহার করার মূল উদ্দেশ্য হলো, বারবার বিশেষ্য পদের ব্যবহার পরিহার করে বাক্যকে শ্রুতিমধুর করা।
সর্বনাম পদের প্রকারভেদ
বাংলা ব্যাকরণে সর্বনাম পদকে সাধারণত ১০ ভাগে ভাগ করা হয়:
-
ব্যক্তিবাচক সর্বনাম (Personal Pronoun): আমি, তুমি, সে, তারা ইত্যাদি।
-
আত্মবাচক সর্বনাম (Reflexive Pronoun): আপনি, স্বয়ং, নিজ ইত্যাদি।
-
নির্দেশক সর্বনাম (Demonstrative Pronoun): এই, ঐ, সে, ইনি ইত্যাদি।
-
অনির্দিষ্ট সর্বনাম (Indefinite Pronoun): কেউ, কিছু, কোনো ইত্যাদি।
-
প্রশ্নবোধক সর্বনাম (Interrogative Pronoun): কে, কি, কারা, কী ইত্যাদি।
-
সম্বন্ধবাচক সর্বনাম (Relative Pronoun): যে, যিনি, যা, যারা ইত্যাদি।
-
সংখ্যাবাচক সর্বনাম (Numerical Pronoun): এক, দুই, উভয়, কয়েক ইত্যাদি।
-
ক্রমবাচক সর্বনাম (Ordinal Pronoun): প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ইত্যাদি।
-
পূরণবাচক সর্বনাম (Fulfillment Pronoun): সম্পূর্ণ, অর্ধেক, সিকি ইত্যাদি।
-
অব্যয় সর্বনাম (Indeclinable Pronoun): তবে, ও, সুতরাং ইত্যাদি।
প্রকারভেদ সংজ্ঞা উদাহরণ ব্যক্তিবাচক ব্যক্তির পরিবর্তে আমি, তুমি আত্মবাচক নিজেকে বোঝায় আপনি, স্বয়ং নির্দেশক নির্দেশ করে এই, ঐ অনির্দিষ্ট অনির্দিষ্টতা বোঝায় কেউ, কিছু প্রশ্নবোধক প্রশ্ন করতে ব্যবহৃত কে, কি সম্বন্ধবাচক সম্পর্ক স্থাপন করে যে, যিনি
বিশেষণ (Adjective)
যে পদ বিশেষ্য, সর্বনাম ও क्रिया পদের দশ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণ পদ বলে। বিশেষণ পদ বাক্যের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং শব্দকে আরও সুস্পষ্ট করে তোলে।
বিশেষণ পদের প্রকারভেদ
বিশেষণ পদকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়:
-
নাম বিশেষণ (Attributive Adjective): যে বিশেষণ কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদকে বিশেষিত করে, তাকে নাম বিশেষণ বলে। যেমন: ভালো ছেলে, সুন্দর ফুল।
-
ভাব বিশেষণ (Adverbial Adjective): যে বিশেষণ কোনো ক্রিয়া, বিশেষণ বা অব্যয় পদকে বিশেষিত করে, তাকে ভাব বিশেষণ বলে। ভাব বিশেষণ চার প্রকার:
- ক্রিয়া বিশেষণ: ধীরে ধীরে হাঁটো।
- বিশেষণের বিশেষণ: খুব ভালো।
- অব্যয়ের বিশেষণ: অতি শীঘ্রই।
- নাম বিশেষণের বিশেষণ: হালকা সবুজ।
প্রকারভেদ সংজ্ঞা উদাহরণ নাম বিশেষণ বিশেষ্য ও সর্বনামকে বিশেষিত করে ভালো ছেলে ভাব বিশেষণ ক্রিয়া, বিশেষণ ও অব্যয়কে বিশেষিত করে দ্রুত হাঁটো
ক্রিয়া (Verb)
যে পদ দ্বারা কোনো কাজ করা বোঝায়, তাকে ক্রিয়া পদ বলে। ক্রিয়া পদ ছাড়া কোনো বাক্য সম্পূর্ণ হতে পারে না।
ক্রিয়া পদের প্রকারভেদ
ক্রিয়া পদকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো:
-
সমাপিকা ক্রিয়া (Finite Verb): যে ক্রিয়া দ্বারা বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়। যেমন: আমি ভাত খাই।
-
অসমাপিকা ক্রিয়া (Non-Finite Verb): যে ক্রিয়া দ্বারা বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায় না। যেমন: আমি ভাত খাইতে যাই।
-
সকর্মক ক্রিয়া (Transitive Verb): যে ক্রিয়ার কর্মপদ থাকে। যেমন: সে বই পড়ে।
-
অকর্মক ক্রিয়া (Intransitive Verb): যে ক্রিয়ার কর্মপদ থাকে না। যেমন: সে হাসে।
-
যৌগিক ক্রিয়া (Compound Verb): যখন দুটি ক্রিয়া একসাথে একটি বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে। যেমন: তিনি যেতে লাগলেন।
-
প্রযোজক ক্রিয়া (Causative Verb): যখন কর্তা নিজে কাজ না করে অন্যকে দিয়ে করায়। যেমন: মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন।
<table>
<tr>
<th>প্রকারভেদ</th>
<th>সংজ্ঞা</th>
<th>উদাহরণ</th>
</tr>
<tr>
<td>সমাপিকা</td>
<td>বাক্য সম্পূর্ণ করে</td>
<td>আমি যাই</td>
</tr>
<tr>
<td>অসমাপিকা</td>
<td>বাক্য অসম্পূর্ণ রাখে</td>
<td>যেতে যেতে</td>
</tr>
<tr>
<td>সকর্মক</td>
<td>কর্মপদ আছে</td>
<td>বই পড়ি</td>
</tr>
<tr>
<td>অকর্মক</td>
<td>কর্মপদ নেই</td>
<td>আমি হাসি</td>
</tr>
<tr>
<td>যৌগিক</td>
<td>দুই ক্রিয়া একসাথে</td>
<td>যেতে লাগলেন</td>
</tr>
<tr>
<td>প্রযোজক</td>
<td>অন্যকে দিয়ে করানো</td>
<td>মা শিশুকে খাওয়ান</td>
</tr>
</table>
অব্যয় (Adverb)
যে পদের কোনো পরিবর্তন হয় না এবং যা বাক্যের অন্যান্য পদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে, তাকে অব্যয় পদ বলে।
অব্যয় পদের প্রকারভেদ
অব্যয় পদ প্রধানত চার প্রকার:
-
সংযোজক অব্যয় (Conjunctive Adverb): দুটি শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করে। যেমন: এবং, ও, কিন্তু।
-
বিয়োজক অব্যয় (Disjunctive Adverb): দুটি বিকল্পের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে সাহায্য করে। যেমন: অথবা, কিংবা।
-
অনন্বয়ী অব্যয় (Interjection): আবেগ, অনুভূতি বা বিস্ময় প্রকাশ করে। যেমন: वाह!, ছিঃ!, হায়!
-
অনুসর্গ অব্যয় (Preposition): বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে বসে তাদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে। যেমন: দ্বারা, দিয়া, হতে, থেকে।
প্রকারভেদ সংজ্ঞা উদাহরণ সংযোজক সংযুক্ত করে এবং, কিন্তু বিয়োজক বিকল্প বোঝায় অথবা, নতুবা অনন্বয়ী আবেগ প্রকাশ করে আহ!, ছিঃ! অনুসর্গ সম্পর্ক স্থাপন করে দ্বারা, হতে
অনুসর্গ (Postposition)
অনুসর্গ হলো সেই শব্দ বা শব্দাংশ, যা বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে বসে শব্দগুলোর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে। এগুলো বিভক্তির মতো কাজ করে।
অনুসর্গের ব্যবহার
“দিয়ে”, “জন্য”, “থেকে”, “চেয়ে” ইত্যাদি অনুসর্গের উদাহরণ। যেমন: “কলম দিয়ে লিখি”, “আমার জন্য একটি বই আনো”। অনুসর্গের ব্যবহার বাক্যকে সুস্পষ্ট করে তোলে।
যোজক (Conjunction)
যোজক হলো সেই শব্দ, যা দুই বা ততোধিক শব্দ, বাক্য বা বাক্যাংশকে যুক্ত করে। যোজক বাক্যের গঠনকে সহজ করে এবং অর্থপূর্ণ করে তোলে।
যোজকের প্রকারভেদ
যোজককে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়:
-
সংযোজক যোজক: এবং, ও, আর – এই যোজকগুলো দুটি বাক্যকে সাধারণভাবে যুক্ত করে।
-
বিকল্প যোজক: অথবা, কিংবা, না হয় – এই যোজকগুলো দুটি বিকল্পের মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়ার সুযোগ দেয়।
-
বিরোধমূলক যোজক: কিন্তু, তবে, তথাপি – এই যোজকগুলো দুটি বাক্যের মধ্যে বৈপরীত্য বা ভিন্নতা প্রকাশ করে।
interjection (Interjection) বা আবেগসূচক শব্দ
Interjections বা আবেগসূচক শব্দ আমাদের মনের আকস্মিক আবেগ প্রকাশ করে। এগুলো সাধারণত কোনো বাক্য গঠন করে না, বরং সরাসরি মনের ভাব প্রকাশ করে।
Interjection এর ব্যবহার
“আহ!”, “বাহ!”, “উহ!”, “হায়!” – এই শব্দগুলো Interjection এর উদাহরণ। এই শব্দগুলো আনন্দ, বেদনা, বিস্ময়, ঘৃণা ইত্যাদি বিভিন্ন আবেগ প্রকাশে ব্যবহৃত হয়।
Parts of Speech চেনার সহজ উপায়
Parts of Speech চেনার জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন:
- বাক্যে শব্দটির অবস্থান লক্ষ্য করুন।
- শব্দটি কী কাজ করছে, তা বোঝার চেষ্টা করুন।
- শব্দের অর্থ এবং প্রকৃতির দিকে খেয়াল রাখুন।
- বিভিন্ন প্রকার Parts of Speech এর সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য ভালোভাবে মনে রাখুন।
Parts of Speech কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ব্যাকরণে Parts of Speech এর গুরুত্ব অপরিসীম। নিচে এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনা করা হলো:
- ভাষার সঠিক ব্যবহার: Parts of Speech সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে ভাষায় সঠিক শব্দ ব্যবহার করা যায়।
- বাক্য গঠন: বাক্য গঠনের নিয়ম এবং কোন শব্দ কোথায় বসবে, তা জানতে Parts of Speech সাহায্য করে।
- যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি: সঠিক শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে স্পষ্ট ও কার্যকরী যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।
- ব্যাকরণগত ত্রুটি দূর: Parts of Speech সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলে ব্যাকরণগত ভুলগুলো সহজেই সংশোধন করা যায়।
কিছু সাধারণ ভুল ও তার সমাধান
Parts of Speech শেখার সময় কিছু সাধারণ ভুল হতে পারে। নিচে কয়েকটি ভুল ও তার সমাধান দেওয়া হলো:
- বিশেষণ ও ক্রিয়া বিশেষণ গুলিয়ে ফেলা: বিশেষণ বিশেষ্য বা সর্বনামকে বিশেষিত করে, আর ক্রিয়া বিশেষণ ক্রিয়াকে বিশেষিত করে।
- সর্বনামের সঠিক ব্যবহার না জানা: কোন বিশেষ্যের পরিবর্তে কোন সর্বনাম বসবে, তা খেয়াল রাখতে হবে।
- অব্যয়ের ব্যবহারবিধি সম্পর্কে অজ্ঞতা : কোথায় সংযোজক, কোথায় বিয়োজক অব্যয় বসবে, তা জানতে হবে।
এই ভুলগুলো এড়ানোর জন্য নিয়মিত অনুশীলন এবং ব্যাকরণের নিয়মগুলো ভালোভাবে জানা জরুরি।
বাস্তব জীবনে Parts of Speech এর প্রয়োগ
Parts of Speech শুধু ব্যাকরণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর বাস্তব জীবনেও অনেক প্রয়োগ আছে। নিচে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো:
- লেখালেখি: সুন্দর ও সঠিক ভাষায় লেখার জন্য Parts of Speech এর জ্ঞান অপরিহার্য।
- যোগাযোগ: স্পষ্ট এবং কার্যকরভাবে কথা বলার জন্য সঠিক শব্দ নির্বাচন করতে হয়, যা Parts of Speech এর জ্ঞান থেকে আসে।
- পেশাগত জীবন: কর্মক্ষেত্রে সঠিক ভাষায় যোগাযোগ এবং চিঠিপত্র লেখার জন্য এটি খুব দরকারি।
- শিক্ষা: যেকোনো ভাষা শেখার জন্য Parts of Speech একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।
FAQ: Parts of Speech নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন
এখানে Parts of Speech নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:
-
Parts of Speech শেখা কি খুব কঠিন?
উত্তর: Parts of Speech শেখা কঠিন নয়। একটু মনোযোগ দিয়ে পড়লে এবং নিয়মিত অনুশীলন করলে সহজেই এটি বোঝা যায়। -
বাংলা ব্যাকরণে Parts of Speech এর প্রকারভেদগুলো কি ইংরেজি ব্যাকরণের মতো?
উত্তার: কিছু মিল থাকলেও বাংলা ও ইংরেজি ব্যাকরণের Parts of Speech এর প্রকারভেদে ভিন্নতা রয়েছে। -
Parts of Speech মনে রাখার সহজ উপায় কি?
উত্তর: Parts of Speech মনে রাখার জন্য এদের সংজ্ঞা, উদাহরণ এবং ব্যবহার ভালোভাবে মনে রাখতে হবে। এছাড়া, নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমেও এটি আয়ত্ত করা যায়।
-
ক্রিয়াপদ চেনার সহজ উপায় কী
উত্তর: বাক্যে কোনো কাজ করা বোঝালে সেটি ক্রিয়াপদ। এটি চেনার সবচেয়ে সহজ উপায়। -
বিশেষণ পদ কিভাবে চিনব?
উত্তর: বিশেষণ পদ বিশেষ্য বা সর্বনামের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে। -
অব্যয় পদের কাজ কী?
উত্তর: অব্যয় পদ বাক্যের অন্যান্য পদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে এবং বাক্যের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
-
একটি শব্দ কি একাধিক Parts of Speech হতে পারে?
উত্তর: হ্যাঁ, একটি শব্দ বাক্যে তার ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে একাধিক Parts of Speech হতে পারে। -
কীভাবে Parts of Speech এর দক্ষতা বাড়ানো যায়?
উত্তর: নিয়মিত বাংলা ব্যাকরণ অধ্যয়ন, বিভিন্ন ধরণের লেখা পড়া এবং অনুশীলনের মাধ্যমে Parts of Speech এর দক্ষতা বাড়ানো যায়।
উপসংহার
আশা করি, Parts of Speech নিয়ে এই আলোচনা আপনার জন্য ফলপ্রসূ হয়েছে। বাংলা ব্যাকরণের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশটি ভালোভাবে বুঝতে পারলে আপনার ভাষার জ্ঞান আরও সমৃদ্ধ হবে। নিয়মিত অনুশীলন করুন এবং নতুন কিছু শিখতে থাকুন। যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার বাংলা ভাষা শেখার যাত্রা শুভ হোক!