Bongo Tuner
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
Bongo Tuner
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT

পাঠ্যক্রম কাকে বলে? সহজ ভাষায় সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ!

Mushfiqur Rahman by Mushfiqur Rahman
February 24, 2025
in Education
0
পাঠ্যক্রম কাকে বলে? সহজ ভাষায় সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ!

পাঠ্যক্রম কাকে বলে? সহজ ভাষায় সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ!

0
SHARES
1
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter
ADVERTISEMENT
Get Latest Updates

আজ আমরা কথা বলবো শিক্ষা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে – পাঠ্যক্রম। কি এই পাঠ্যক্রম? এটা কেন এত জরুরি? চলুন, সহজ ভাষায় জেনে নেয়া যাক!

Table of Contents

Toggle
  • পাঠ্যক্রম: শিক্ষার মূল ভিত্তি
    • পাঠ্যক্রমের সংজ্ঞা
    • পাঠ্যক্রম কেন গুরুত্বপূর্ণ?
  • পাঠ্যক্রমের প্রকারভেদ
    • বিষয়ভিত্তিক পাঠ্যক্রম (Subject-Centered Curriculum)
    • শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক পাঠ্যক্রম (Student-Centered Curriculum)
    • সমস্যাভিত্তিক পাঠ্যক্রম (Problem-Based Curriculum)
  • একটি ভালো পাঠ্যক্রমের বৈশিষ্ট্য
  • বাংলাদেশে পাঠ্যক্রম: একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র
    • বাংলাদেশে প্রচলিত পাঠ্যক্রমের স্তর
  • পাঠ্যক্রম উন্নয়নের প্রক্রিয়া
  • পাঠ্যক্রম এবং সিলেবাসের মধ্যে পার্থক্য
  • পাঠ্যক্রম নিয়ে কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
  • উপসংহার

পাঠ্যক্রম: শিক্ষার মূল ভিত্তি

পাঠ্যক্রম (Curriculum) হলো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধীনে শিক্ষার্থীদের জন্য পরিকল্পিত শিক্ষার একটি সামগ্রিক রূপ। এটা একটা রাস্তার মতো, যা ধরে একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষাগত লক্ষ্য অর্জন করে। পাঠ্যক্রমের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান, দক্ষতা, এবং দৃষ্টিভঙ্গি যা একজন শিক্ষার্থীকে একটি নির্দিষ্ট স্তরের শিক্ষা সম্পন্ন করতে অর্জন করতে হয়। অর্থাৎ, আপনি কি পড়বেন, কেন পড়বেন, কিভাবে পড়বেন এবং পড়ার পর কি করতে পারবেন – সবকিছুই পাঠ্যক্রমের অংশ।

পাঠ্যক্রমের সংজ্ঞা

সহজ ভাষায়, পাঠ্যক্রম হলো শিক্ষার একটি নকশা। এই নকশায় লেখা থাকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষার্থীরা কী শিখবে, কীভাবে শিখবে এবং তাদের অর্জিত জ্ঞানের মূল্যায়ন কিভাবে করা হবে।

ADVERTISEMENT

আরও একটু গভীরে বলতে গেলে, পাঠ্যক্রম হলো সেই সমস্ত অভিজ্ঞতার সমষ্টি যা একজন শিক্ষার্থী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে অর্জন করে। এর মধ্যে শুধু ক্লাসরুমের শিক্ষাই নয়, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, বিতর্ক, বক্তৃতা – সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত।

পাঠ্যক্রম কেন গুরুত্বপূর্ণ?

পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীদের একটি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেয়। এর মাধ্যমেই জানা যায়, কোন বিষয়ে কতটা গুরুত্ব দিতে হবে এবং কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। পাঠ্যক্রমের গুরুত্বগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • লক্ষ্য নির্ধারণ: একটি ভালো পাঠ্যক্রম শিক্ষার লক্ষ্য স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করে, যা শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক উভয়ের জন্যই সহায়ক।
  • সুসংগঠিত শিক্ষা: পাঠ্যক্রম শিক্ষাকে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসে, ফলে শিক্ষার্থীরা একটি পরিকল্পিত উপায়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে।
  • দক্ষতা বৃদ্ধি: যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করে, যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য প্রস্তুত করে।
  • মূল্যায়ন: পাঠ্যক্রম শিক্ষার অগ্রগতি মূল্যায়ন করার জন্য সুস্পষ্ট মানদণ্ড তৈরি করে। এর মাধ্যমে শিক্ষক বুঝতে পারেন, শিক্ষার্থীদের কোথায় দুর্বলতা আছে এবং কিভাবে তা দূর করতে হবে।

পাঠ্যক্রমের প্রকারভেদ

পাঠ্যক্রম বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যা শিক্ষার উদ্দেশ্য, শিক্ষার্থীদের চাহিদা এবং প্রতিষ্ঠানের দর্শনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। নিচে কয়েকটি প্রধান প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো:

Read More:  পিটি কাকে বলে? জানুন খুঁটিনাটি তথ্য এখনই!

বিষয়ভিত্তিক পাঠ্যক্রম (Subject-Centered Curriculum)

এই ধরনের পাঠ্যক্রমে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়কে কেন্দ্র করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। যেমন – বিজ্ঞান, গণিত, সাহিত্য, ইতিহাস ইত্যাদি। প্রতিটি বিষয়ের নিজস্ব সিলেবাস থাকে এবং শিক্ষার্থীরা সেই অনুযায়ী জ্ঞান অর্জন করে।

  • সুবিধা: বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান গভীরভাবে অর্জনে সাহায্য করে।
  • অসুবিধা: বিষয়গুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা যেতে পারে, যা বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানে বাধা সৃষ্টি করে।

শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক পাঠ্যক্রম (Student-Centered Curriculum)

এই পাঠ্যক্রমে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ, চাহিদা এবং অভিজ্ঞতার উপর বেশি জোর দেওয়া হয়। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এখানে মুখস্থ বিদ্যার চেয়ে হাতে-কলমে শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।

  • সুবিধা: শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ ও উদ্দীপনা বাড়ে, তারা নিজেরাই শিখতে আগ্রহী হয়।
  • অসুবিধা: সময় বেশি লাগতে পারে এবং সব শিক্ষার্থীর জন্য সমানভাবে কার্যকর নাও হতে পারে।

সমস্যাভিত্তিক পাঠ্যক্রম (Problem-Based Curriculum)

এই পাঠ্যক্রমে শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানের জন্য উৎসাহিত করা হয়। শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধভাবে কাজ করে এবং শিক্ষকের সহায়তায় সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করে।

  • সুবিধা: শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ে এবং তারা বাস্তব জীবনের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।
  • অসুবিধা: শিক্ষকের জন্য এটি পরিচালনা করা কঠিন হতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলে সমস্যা হতে পারে।

এই প্রকারভেদগুলো ছাড়াও আরও অনেক ধরনের পাঠ্যক্রম প্রচলিত আছে, যেমন – কর্মভিত্তিক পাঠ্যক্রম (Activity-Based Curriculum), সমন্বিত পাঠ্যক্রম (Integrated Curriculum) ইত্যাদি।

একটি ভালো পাঠ্যক্রমের বৈশিষ্ট্য

একটি ভালো পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার সঠিক পথ দেখাতে সক্ষম। এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হলো:

  • বাস্তবভিত্তিক: পাঠ্যক্রমকে বাস্তব জীবনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা অর্জিত জ্ঞান বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারে। শুধু থিওরি নয়, হাতে-কলমে কাজের সুযোগ থাকতে হবে।
  • নমনীয়: পাঠ্যক্রমকে নমনীয় হতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীদের চাহিদা ও আগ্রহ অনুযায়ী পরিবর্তন করা যায়। সময়ের সাথে সাথে পাঠ্যক্রমে নতুনত্ব আনা জরুরি।
  • যুগোপযোগী: পাঠ্যক্রমকে অবশ্যই আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও অন্যান্য ক্ষেত্রের নতুন আবিষ্কার এবং উন্নয়নের সাথে সঙ্গতি রেখে পাঠ্যক্রম তৈরি করতে হবে।
  • সুষম: পাঠ্যক্রমকে সুষম হতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, আবেগিক এবং নৈতিক বিকাশের সুযোগ থাকে। খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং সমাজসেবামূলক কাজ পাঠ্যক্রমের অংশ হওয়া উচিত।
  • মূল্যায়নযোগ্য: একটি ভাল পাঠ্যক্রম এমনভাবে তৈরি করা উচিত যা শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারে। পরীক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য পদ্ধতি যেমন – প্রোজেক্ট, অ্যাসাইনমেন্ট, ভাইভা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
Read More:  হাসান হাদিস কাকে বলে? সহজ ভাষায় সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ

বাংলাদেশে পাঠ্যক্রম: একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র

বাংলাদেশে পাঠ্যক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জনের দায়িত্ব ন্যাশনাল কারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সটবুক বোর্ড (NCTB)-এর উপর ন্যস্ত। NCTB সময়ের চাহিদা অনুযায়ী পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করে থাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পাঠ্যক্রমের কিছু উল্লেখযোগ্য দিক নিচে তুলে ধরা হলো:

  • শিক্ষানীতি: বাংলাদেশের শিক্ষানীতি ২০১০-এর আলোকে NCTB পাঠ্যক্রম তৈরি করে। এই শিক্ষানীতিতে শিক্ষার স্তর, উদ্দেশ্য এবং শিক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
  • পর্যায়ক্রমিক উন্নয়ন: NCTB নিয়মিতভাবে পাঠ্যক্রম পর্যালোচনা করে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন আনে। সর্বশেষ ২০১২ সালে পাঠ্যক্রমের বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে।
  • চ্যালেঞ্জ: বাংলাদেশে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পাঠ্যক্রম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, কিছু চ্যালেঞ্জ এখনো বিদ্যমান, যেমন – শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষা উপকরণের অভাব, এবং অবকাঠামোগত দুর্বলতা।

বাংলাদেশে প্রচলিত পাঠ্যক্রমের স্তর

বাংলাদেশে সাধারণত চারটি স্তরের পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়:

  1. প্রাথমিক স্তর (Primary Level): প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত।
  2. নিম্ন মাধ্যমিক স্তর (Lower Secondary Level): ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত।
  3. মাধ্যমিক স্তর (Secondary Level): নবম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত।
  4. উচ্চ মাধ্যমিক স্তর (Higher Secondary Level): একাদশ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত।

পাঠ্যক্রম উন্নয়নের প্রক্রিয়া

পাঠ্যক্রম উন্নয়ন একটি জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় অনেকগুলো বিষয় বিবেচনা করতে হয়। নিচে পাঠ্যক্রম উন্নয়নের মূল ধাপগুলো আলোচনা করা হলো:

  1. চাহিদা নির্ধারণ: প্রথমে সমাজের চাহিদা, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন এবং শিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয়। এর জন্য বিভিন্ন গবেষণা এবং জরিপ চালানো হয়।
  2. লক্ষ্য নির্ধারণ: এরপর শিক্ষার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এই লক্ষ্যগুলো পাঠ্যক্রমের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
  3. বিষয়বস্তু নির্বাচন: লক্ষ্য অনুযায়ী বিষয়বস্তু নির্বাচন করা হয়। বিষয়বস্তু এমন হতে হবে, যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, দক্ষতা এবং মূল্যবোধের বিকাশে সাহায্য করে।
  4. শিখন পদ্ধতি নির্ধারণ: কিভাবে শিক্ষার্থীরা শিখবে, তার পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়। এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে মিথস্ক্রিয়া, হাতে-কলমে কাজ, প্রোজেক্ট এবং অন্যান্য শিক্ষণ কৌশল অন্তর্ভুক্ত থাকে।
  5. মূল্যায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ: শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞান এবং দক্ষতা কিভাবে মূল্যায়ন করা হবে, তা নির্ধারণ করা হয়। পরীক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য মূল্যায়ন পদ্ধতিও ব্যবহার করা হয়।
  6. বাস্তবায়ন: এরপর পাঠ্যক্রমটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করা হয়। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করা হয়।
  7. মূল্যায়ন ও পরিমার্জন: পাঠ্যক্রম বাস্তবায়নের পর এর কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা হয়। মূল্যায়ন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পাঠ্যক্রমের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে তা পরিমার্জন করা হয়।
Read More:  Conjunction কাকে বলে কত প্রকার? সহজ ভাষায়!

পাঠ্যক্রম এবং সিলেবাসের মধ্যে পার্থক্য

অনেকেই পাঠ্যক্রম এবং সিলেবাসকে একই মনে করেন, তবে এই দুটির মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। চলুন জেনে নেই:

বৈশিষ্ট্য পাঠ্যক্রম (Curriculum) সিলেবাস (Syllabus)
পরিধি এটি একটি ব্যাপক ধারণা, যা শিক্ষার সামগ্রিক পরিকল্পনাকে অন্তর্ভুক্ত করে। এটি একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা কোর্সের বিষয়বস্তুর তালিকা।
উদ্দেশ্য শিক্ষার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা। একটি নির্দিষ্ট কোর্সের জন্য পঠন-পাঠনের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা।
সময়কাল এটি একটি নির্দিষ্ট শিক্ষা স্তরের জন্য প্রযোজ্য (যেমন – মাধ্যমিক স্তর)। এটি একটি নির্দিষ্ট সেমিস্টার বা শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য।
পরিবর্তনশীলতা সাধারণত দীর্ঘ সময় পর পরিবর্তন করা হয়। প্রায়শই পরিবর্তন করা যায়, কারণ এটি বিষয়ভিত্তিক চাহিদার ওপর নির্ভরশীল।
অন্তর্ভুক্ত বিষয় শিক্ষার উদ্দেশ্য, বিষয়বস্তু, শিক্ষণ পদ্ধতি, মূল্যায়ন পদ্ধতি ইত্যাদি। কোর্সের বিষয়বস্তু, পঠন সামগ্রী, পরীক্ষার ধরণ এবং নম্বর বিভাজন ইত্যাদি।

পাঠ্যক্রম নিয়ে কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

এখানে পাঠ্যক্রম নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো, যা আপনাদের আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে:

  • প্রশ্ন: পাঠ্যক্রম কেন পরিবর্তন করা হয়?

    • উত্তর: সময়ের সাথে সাথে সমাজের চাহিদা এবং প্রযুক্তির পরিবর্তন হয়। তাই, শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের জন্য পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করা জরুরি।
  • প্রশ্ন: একটি ভালো পাঠ্যক্রমের মূল উপাদানগুলো কি কি?

    • উত্তর: একটি ভালো পাঠ্যক্রমের মূল উপাদানগুলো হলো – বাস্তবভিত্তিকতা, নমনীয়তা, যুগোপযোগীতা, সুষম এবং মূল্যায়নযোগ্য।
  • প্রশ্ন: বাংলাদেশের পাঠ্যক্রম কোন সংস্থা তৈরি করে?

*   **উত্তর:** বাংলাদেশের পাঠ্যক্রম ন্যাশনাল কারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সটবুক বোর্ড (NCTB) তৈরি করে।
  • প্রশ্ন: শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক পাঠ্যক্রম বলতে কী বোঝায়?

    • উত্তর: শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক পাঠ্যক্রম হলো যেখানে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ, চাহিদা এবং অভিজ্ঞতার উপর বেশি জোর দেওয়া হয়।
  • প্রশ্ন: পাঠ্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য কী?

    • উত্তর: পাঠ্যক্রমের প্রধান উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের একটি নির্দিষ্ট স্তরের শিক্ষা সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় জ্ঞান, দক্ষতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করতে সাহায্য করা। এছাড়াও, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য প্রস্তুত করা এবং তাদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করাও এর উদ্দেশ্য।

উপসংহার

পাঠ্যক্রম একটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণের মূল ভিত্তি। যুগোপযোগী এবং মানসম্মত পাঠ্যক্রম প্রণয়নের মাধ্যমে একটি দেশ তার শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে পারে। তাই, পাঠ্যক্রমের উন্নয়ন এবং বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা এবং সচেতনতা প্রয়োজন।

আপনার শিক্ষা জীবনের অভিজ্ঞতা কেমন? পাঠ্যক্রম নিয়ে আপনার কোনো মতামত থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন! এছাড়াও, শিক্ষা বিষয়ক যে কোন প্রশ্ন করতে পারেন। আমি চেষ্টা করবো উত্তর দিতে।

Previous Post

স্থানীয় শাসন কাকে বলে? জানুন সহজ ভাষায়!

Next Post

হুজ্জাতুল ইসলাম কাকে বলা হয়? জানুন বিস্তারিত!

Mushfiqur Rahman

Mushfiqur Rahman

I am Mushfiqur Rahman Swopnil, owner of Bongo Tuner and an experienced SEO and Digital Marketing professional with a deep understanding of affiliate marketing and link building. Running my own marketing agency, I offer strategic digital solutions to boost brand visibility and drive tangible results. My extensive experience covers all aspects of online marketing, helping businesses achieve their growth objectives through data-driven SEO and effective link-building strategies.

Next Post
হুজ্জাতুল ইসলাম কাকে বলা হয়? জানুন বিস্তারিত!

হুজ্জাতুল ইসলাম কাকে বলা হয়? জানুন বিস্তারিত!

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন
Education

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন

by Mushfiqur Rahman
May 5, 2025
0

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য মনে করুন, পরীক্ষার আগের রাতে আপনি সব পড়ে শেষ করেছেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে...

Read more
মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

May 5, 2025
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

May 5, 2025
ADVERTISEMENT
Bongo Tuner

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Navigate Site

  • Home
  • About Us
  • Privacy Policy
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy

Follow Us

No Result
View All Result
  • About Us
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy
  • Privacy Policy

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Table of Contents

×
  • পাঠ্যক্রম: শিক্ষার মূল ভিত্তি
    • পাঠ্যক্রমের সংজ্ঞা
    • পাঠ্যক্রম কেন গুরুত্বপূর্ণ?
  • পাঠ্যক্রমের প্রকারভেদ
    • বিষয়ভিত্তিক পাঠ্যক্রম (Subject-Centered Curriculum)
    • শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক পাঠ্যক্রম (Student-Centered Curriculum)
    • সমস্যাভিত্তিক পাঠ্যক্রম (Problem-Based Curriculum)
  • একটি ভালো পাঠ্যক্রমের বৈশিষ্ট্য
  • বাংলাদেশে পাঠ্যক্রম: একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র
    • বাংলাদেশে প্রচলিত পাঠ্যক্রমের স্তর
  • পাঠ্যক্রম উন্নয়নের প্রক্রিয়া
  • পাঠ্যক্রম এবং সিলেবাসের মধ্যে পার্থক্য
  • পাঠ্যক্রম নিয়ে কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
  • উপসংহার
← সূচিপত্র দেখুন