আসুন, গাছের হেঁয়ালি ভেদ করি: পত্ররন্ধ্র কী এবং কেন এটা এত গুরুত্বপূর্ণ?
সবুজ আর প্রাণবন্ত গাছপালা আমাদের চারপাশকে সুন্দর করে তোলে, তাই না? কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, গাছেরাও নিঃশ্বাস নেয়? আমাদের যেমন নাক আছে, তেমনি গাছেরও ছোট ছোট ‘নাক’ আছে। এদের নাম পত্ররন্ধ্র। তাহলে, পত্ররন্ধ্র আসলে কী? চলুন, এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে আসি!
পত্ররন্ধ্র: গাছের শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার জানালা
পত্ররন্ধ্র (Stomata) হলো গাছের পাতার উপরে বা অন্যান্য সবুজ অংশে থাকা ছোট ছোট ছিদ্র। এই ছিদ্রগুলো গাছের শ্বাস-প্রশ্বাস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শারীরবৃত্তীয় কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে। খুব সহজ ভাষায় বললে, পত্ররন্ধ্র হলো গাছের ত্বক বা পাতার উপরে থাকা ছোট ছোট মুখ, যা দিয়ে গাছ বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে। শুধু তাই নয়, এই রন্ধ্র দিয়ে গাছের শরীর থেকে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্পও বেরিয়ে যায়।
পত্ররন্ধ্রের গঠন
পত্ররন্ধ্র দেখতে কেমন, জানেন? এটি দুটি রক্ষীকোষ (Guard cell) দিয়ে ঘেরা থাকে। এই রক্ষীকোষগুলো দেখতে অনেকটা কিডনির মতো। এদের আকার পরিবর্তনের মাধ্যমে পত্ররন্ধ্র খোলে ও বন্ধ হয়। যখন রক্ষীকোষগুলো স্ফীত হয়, তখন পত্ররন্ধ্র খোলে, আর যখন চুপসে যায়, তখন বন্ধ হয়ে যায়।
- রক্ষীকোষ (Guard Cell): পত্ররন্ধ্রের খোলা ও বন্ধ হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
- পত্ররন্ধ্রীয় ছিদ্র (Stomatal Pore): এই ছিদ্র দিয়েই গ্যাসের আদান-প্রদান হয়।
- সহযোগী কোষ (Subsidiary Cell) : রক্ষীকোষগুলোকে সহায়তা করে।
পত্ররন্ধ্রের কাজ: কেন এটা এত গুরুত্বপূর্ণ?
পত্ররন্ধ্রের কাজগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো ছাড়া গাছের জীবন ধারণ করাই কঠিন হয়ে পড়বে। নিচে এর কয়েকটি প্রধান কাজ আলোচনা করা হলো:
গ্যাসীয় আদান-প্রদান
পত্ররন্ধ্রের প্রধান কাজ হলো গ্যাসীয় আদান-প্রদান করা। সালোকসংশ্লেষণের জন্য গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে। এই কাজটি পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়। মানুষ যেমন শ্বাস নেয়, তেমনি গাছও পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমে শ্বাস নেয়।
প্রস্বেদন (Transpiration)
প্রস্বেদন হলো গাছের শরীর থেকে জলীয় বাষ্প বের করে দেওয়া। পত্ররন্ধ্র এই কাজে সহায়তা করে। অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প বের করে দেওয়ার মাধ্যমে গাছ তার দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে। গরমের দিনে আমাদের যেমন ঘাম হয়, তেমনি গাছেরও প্রস্বেদন হয়।
জলের ভারসাম্য রক্ষা
পত্ররন্ধ্র গাছের জলের ভারসাম্য রক্ষা করে। যখন গাছের শরীরে জলের অভাব হয়, তখন পত্ররন্ধ্র বন্ধ হয়ে যায়, যাতে গাছের শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বের হতে না পারে। আবার যখন পর্যাপ্ত জল থাকে, তখন পত্ররন্ধ্র খোলে এবং প্রস্বেদন প্রক্রিয়া চলতে থাকে।
পত্ররন্ধ্র কিভাবে খোলে ও বন্ধ হয়?
পত্ররন্ধ্র খোলা ও বন্ধ হওয়া একটি জটিল প্রক্রিয়া। এটি আলো, তাপমাত্রা, জলের প্রাপ্যতা এবং অন্যান্য পরিবেশগত কারণের উপর নির্ভর করে।
আলোর প্রভাব
আলোর উপস্থিতিতে রক্ষীকোষগুলো শর্করা তৈরি করে, যা তাদের ভেতরের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। এর ফলে রক্ষীকোষগুলো স্ফীত হয় এবং পত্ররন্ধ্র খোলে। রাতের বেলায় আলো না থাকায় এই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় এবং পত্ররন্ধ্রও বন্ধ হয়ে যায়। তাই দিনের বেলায় পত্ররন্ধ্র সাধারণত খোলা থাকে এবং রাতের বেলায় বন্ধ থাকে।
জলের অভাব
যখন গাছের শরীরে জলের অভাব দেখা দেয়, তখন অ্যাবসিসিক অ্যাসিড (Abscisic Acid) নামক একটি হরমোন তৈরি হয়। এই হরমোন রক্ষীকোষগুলোকে সংকুচিত করে এবং পত্ররন্ধ্র বন্ধ করে দেয়। এর ফলে গাছের শরীর থেকে জলের অতিরিক্ত অপচয় রোধ করা যায়।
তাপমাত্রা
বেশি তাপমাত্রায় পত্ররন্ধ্র সাধারণত বন্ধ হয়ে যায়। কারণ, উচ্চ তাপমাত্রায় প্রস্বেদনের হার বেড়ে যায়, যা গাছের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই তাপমাত্রা বেড়ে গেলে গাছ পত্ররন্ধ্র বন্ধ করে দেয়, যাতে তার শরীর থেকে বেশি জল বেরিয়ে না যায়।
পত্ররন্ধ্র এবং পরিবেশ
পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান পত্ররন্ধ্রের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হলো:
কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘনত্ব
বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘনত্ব বেড়ে গেলে পত্ররন্ধ্র সাধারণত বন্ধ হয়ে যায়। কারণ, উচ্চ ঘনত্বের কার্বন ডাই অক্সাইড সালোকসংশ্লেষণের জন্য যথেষ্ট এবং অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণের প্রয়োজন হয় না।
দূষণ
দূষণ পত্ররন্ধ্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতায় বাধা দেয়। দূষিত বাতাস পত্ররন্ধ্রের ছিদ্র বন্ধ করে দিতে পারে, যার ফলে গাছের শ্বাস-প্রশ্বাস এবং সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।
আর্দ্রতা
আর্দ্রতা পত্ররন্ধ্রের খোলা ও বন্ধ হওয়ার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। উচ্চ আর্দ্রতায় প্রস্বেদনের হার কমে যায়, তাই পত্ররন্ধ্র সাধারণত বন্ধ থাকে। অন্যদিকে, কম আর্দ্রতায় প্রস্বেদনের হার বেড়ে যায় এবং পত্ররন্ধ্র খোলা থাকে।
পত্ররন্ধ্র নিয়ে কিছু মজার তথ্য
- সব গাছের পাতায় পত্ররন্ধ্র থাকে না। কিছু গাছের কান্ডেও পত্ররন্ধ্র দেখা যায়।
- জলে বাস করা গাছের পাতায় পত্ররন্ধ্রের সংখ্যা খুব কম থাকে বা একেবারেই থাকে না।
- মরুভূমির গাছের পাতা ছোট হয় এবং এদের পত্ররন্ধ্র পাতার ভেতরের দিকে লুকানো থাকে, যাতে জল কম অপচয় হয়।
পত্ররন্ধ্রের প্রকারভেদ (Types of Stomata)
পত্ররন্ধ্র বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে, যা তাদের গঠন এবং পার্শ্ববর্তী কোষগুলোর বিন্যাসের উপর ভিত্তি করে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। কিছু প্রধান প্রকারভেদ নিচে উল্লেখ করা হলো:
-
অ্যানোমোসাইটিক (Anomocytic): এই ধরনের পত্ররন্ধ্রে রক্ষীকোষগুলো অনিয়মিত আকারের অন্যান্য এপিডার্মাল কোষ দ্বারা বেষ্টিত থাকে। কোনো নির্দিষ্ট সহযোগী কোষ থাকে না। এটি সাধারণত রেনানকুলাসিয়ে (Ranunculaceae) গোত্রের উদ্ভিদে দেখা যায়।
-
অ্যানিসোসাইটিক (Anisocytic): এই পত্ররন্ধ্রে তিনটি সহযোগী কোষ থাকে, যাদের মধ্যে একটি অন্য দুটির চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট হয়। এটি ক্রুসিফেরি (Cruciferae) গোত্রের উদ্ভিদে দেখা যায়।
-
ডায়াসাইটিক (Diacytic): এই পত্ররন্ধ্রে রক্ষীকোষ দুটি একটি সাধারণ সহযোগী কোষ দ্বারা লম্বালম্বিভাবে বেষ্টিত থাকে। সহযোগী কোষগুলো রক্ষীকোষের সাথে সমান্তরালভাবে অবস্থান করে। এটি ক্যারিওফাইলাসিয়ে (Caryophyllaceae) গোত্রের উদ্ভিদে দেখা যায়।
-
গ্রামিনিয়াস (Gramineous): এই ধরণের রক্ষীকোষগুলো ডাম্বেল আকৃতির হয় এবং এদের চারপাশে সহযোগী কোষগুলো বিশেষভাবে সজ্জিত থাকে। এটি পোয়েসি (Poaceae) গোত্রের উদ্ভিদে দেখা যায়।
-
প্যারাসাইটিক (Paracytic): এই পত্ররন্ধ্রে প্রতিটি রক্ষীকোষের পাশে একটি বা একাধিক সহযোগী কোষ সমান্তরালভাবে অবস্থান করে। এটি রুবিয়াসি (Rubiaceae) গোত্রের উদ্ভিদে দেখা যায়।
এই প্রকারভেদগুলো উদ্ভিদের শ্রেণীবিন্যাস এবং তাদের পরিবেশগত অভিযোজন সম্পর্কে ধারণা দেয়।
পত্ররন্ধ্র কোথায় থাকে?
পত্ররন্ধ্র মূলত গাছের পাতায় অবস্থিত থাকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে কান্ড এবং অন্যান্য সবুজ অংশেও এটি দেখা যায়। পাতার উপরের এবং নিচের উভয় পৃষ্ঠেই পত্ররন্ধ্র থাকতে পারে, কিন্তু এদের সংখ্যা এবং ঘনত্ব বিভিন্ন উদ্ভিদে ভিন্ন হয়।
-
দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের (dicotyledonous plants) পাতায় পত্ররন্ধ্র সাধারণত নিচের পৃষ্ঠে বেশি থাকে।
-
একবীজপত্রী উদ্ভিদের (monocotyledonous plants) উভয় পৃষ্ঠেই প্রায় সমান সংখ্যক পত্ররন্ধ্র দেখা যায়।
জलीय উদ্ভিদের (aquatic plants) ক্ষেত্রে, যেগুলো জলের উপরে ভাসমান থাকে, তাদের পাতার উপরের পৃষ্ঠে পত্ররন্ধ্র থাকে, যা গ্যাসীয় আদান-প্রদান এবং প্রস্বেদনে সাহায্য করে।
পত্ররন্ধ্র চেনার উপায়
পত্ররন্ধ্র খালি চোখে দেখা যায় না, কারণ এগুলো খুবই ছোট হয়। তবে, কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করে আপনি পত্ররন্ধ্র দেখতে পারেন:
- অণুবীক্ষণ যন্ত্র (Microscope): সবচেয়ে ভালো উপায় হলো অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা। এর মাধ্যমে আপনি পত্ররন্ধ্রের গঠন এবং রক্ষীকোষগুলো স্পষ্টভাবে দেখতে পারবেন।
- ত্বকের কোষ পরীক্ষা: আপনি যদি একটি পাতা নিয়ে সেটিকে হালকাভাবে ঘষে দেখেন, তাহলে পাতার কোষগুলো আলাদা হয়ে যাবে। এরপর অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখলে পত্ররন্ধ্রের ছিদ্রগুলো দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- আলোর পরীক্ষা: পাতার উপর আলো ফেললে ছোট ছোট ছিদ্র দেখা যেতে পারে, যা পত্ররন্ধ্র হওয়ার সম্ভাবনা।
পত্ররন্ধ্র নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ):
পত্ররন্ধ্র নিয়ে আপনাদের মনে আসা কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর নিচে দেওয়া হলো:
-
প্রশ্ন: পত্ররন্ধ্র কি সবসময় খোলা থাকে?
উত্তর: না, পত্ররন্ধ্র সবসময় খোলা থাকে না। আলো, তাপমাত্রা এবং জলের প্রাপ্যতার উপর নির্ভর করে এটি খোলে ও বন্ধ হয়।
-
প্রশ্ন: পত্ররন্ধ্রের কাজ কী?
উত্তর: পত্ররন্ধ্রের প্রধান কাজ হলো গ্যাসীয় আদান-প্রদান এবং প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করা।
-
প্রশ্ন: কোন গাছের পাতায় পত্ররন্ধ্র বেশি থাকে?
উত্তর: সাধারণত, যেসব গাছের পাতায় আলোর প্রয়োজন বেশি, সেগুলোতে পত্ররন্ধ্রের সংখ্যা বেশি থাকে।
-
প্রশ্ন: পত্ররন্ধ্র বন্ধ হয়ে গেলে গাছের কী হয়?
উত্তর: পত্ররন্ধ্র বন্ধ হয়ে গেলে গাছের শ্বাস-প্রশ্বাস এবং সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, যা গাছের স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
-
প্রশ্ন: পত্ররন্ধ্রের আকার কেমন?
উত্তর: পত্ররন্ধ্র খুবই ছোট হয়, সাধারণত কয়েক মাইক্রোমিটার আকারের হয়ে থাকে। তাই এগুলো খালি চোখে দেখা যায় না।
-
প্রশ্ন: পত্ররন্ধ্র উদ্ভিদের কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তর: পত্ররন্ধ্র মূলত উদ্ভিদের পাতায় পাওয়া যায়। তবে কিছু উদ্ভিদের কান্ডেও এটি দেখা যায়।
-
প্রশ্ন: রক্ষীকোষের কাজ কী?
উত্তর: রক্ষীকোষ পত্ররন্ধ্র খোলা এবং বন্ধ করার মাধ্যমে গাছের জলীয় বাষ্প নির্গমন এবং গ্যাসীয় আদান-প্রদান নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
-
প্রশ্ন: পত্ররন্ধ্র কয় প্রকার?
উত্তর: গঠন ও বিন্যাসের উপর ভিত্তি করে পত্ররন্ধ্র বিভিন্ন প্রকার হতে পারে, যেমন – অ্যানোমোসাইটিক, অ্যানিসোসাইটিক, ডায়াসাইটিক, গ্রামিনিয়াস, প্যারাসাইটিক ইত্যাদি।
আশা করি, এই উত্তরগুলো আপনার জিজ্ঞাসু মনকে কিছুটা হলেও শান্ত করতে পারবে!
শেষ কথা
পত্ররন্ধ্র গাছের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এটি শুধু গাছের শ্বাস-প্রশ্বাসেই সাহায্য করে না, বরং গাছের জলের ভারসাম্য রক্ষা এবং পরিবেশের সাথে সংযোগ স্থাপনেও সহায়তা করে। তাই, গাছের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি পত্ররন্ধ্রের গুরুত্ব সম্পর্কে জানা আমাদের জরুরি।
যদি আপনার মনে পত্ররন্ধ্র নিয়ে আরও কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে নির্দ্বিধায় কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনার প্রতিটি জিজ্ঞাসাই আমাদের কাছে মূল্যবান। আর হ্যাঁ, আপনার বন্ধুদের সাথে এই ব্লগটি শেয়ার করতে ভুলবেন না! কারণ, জ্ঞান বিতরণের মধ্যেই আনন্দ।
সবুজময় হোক আপনার চারপাশ, সুস্থ থাকুক আমাদের গাছপালা!