Bongo Tuner
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
Bongo Tuner
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT

পদ কাকে বলে কত প্রকার? সহজ ভাষায়!

Mushfiqur Rahman by Mushfiqur Rahman
February 24, 2025
in Education
0
পদ কাকে বলে কত প্রকার? সহজ ভাষায়!

পদ কাকে বলে কত প্রকার? সহজ ভাষায়!

0
SHARES
0
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter
ADVERTISEMENT
Get Latest Updates

আজ আমরা ব্যাকরণের এক মজার জগতে ডুব দেব! পদ – এই শব্দটা শুনলেই কেমন যেন গুরুগম্ভীর মনে হয়, তাই না? কিন্তু বিশ্বাস করুন, এটা মোটেও কঠিন কিছু নয়। বরং, পদ কী, কত প্রকার, এবং এদের কাজ কী, সেটা জেনে নিলে বাংলা ভাষার সৌন্দর্য আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন। তাহলে চলুন, দেরি না করে শুরু করা যাক!

ভাষা একটি প্রবাহমান নদীর মতো, যেখানে প্রতিটি শব্দ একে অপরের সাথে বাঁধা। এই শব্দগুলোই বাক্যে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করে। এই ভূমিকাগুলোকেই ব্যাকরণে ‘পদ’ বলা হয়।

Table of Contents

Toggle
  • পদ কাকে বলে? (Pod Kake Bole?)
  • বিশেষ্য পদ (Bisheshya Pod)
    • বিশেষ্য পদের প্রকারভেদ (Bisheshya Pader Prokarভেদ)
  • সর্বনাম পদ (Sarbonam Pod)
    • সর্বনাম পদের প্রকারভেদ (Sarbonam Pader Prokarভেদ)
  • বিশেষণ পদ (Bisheshon Pod)
    • বিশেষণ পদের প্রকারভেদ (Bisheshon Pader Prokarভেদ)
  • অব্যয় পদ ( অব্যয় পদ কাকে বলে )
    • অব্যয় পদের প্রকারভেদ ( অব্যয় পদের প্রকারভেদ )
  • ক্রিয়া পদ ( Kriya Pod )
    • ক্রিয়া পদের প্রকারভেদ ( Kriya Pader Prokarভেদ )
  • কিছু সাধারণ প্রশ্ন (Frequently Asked Questions – FAQs)
  • শেষ কথা

পদ কাকে বলে? (Pod Kake Bole?)

সহজ ভাষায়, বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি অর্থবোধক শব্দই এক একটি পদ। একটি বাক্যকে সুন্দর ও অর্থপূর্ণ করে তোলার জন্য পদ অপরিহার্য। পদ ছাড়া কোনো বাক্য তৈরি হতে পারে না।

ধরুন, আপনি বলছেন “আমি ভাত খাই”। এখানে “আমি”, “ভাত”, এবং “খাই” – এই তিনটি শব্দই একেকটি পদ। কারণ, এই শব্দগুলো একটি বাক্যের অংশ এবং এদের নিজস্ব অর্থ আছে।

ব্যাকরণে, পদ প্রধানত পাঁচ প্রকার:

  1. বিশেষ্য পদ ( বিশেষ্য পদ কাকে বলে )
  2. সর্বনাম পদ ( সর্বনাম পদ কাকে বলে )
  3. বিশেষণ পদ ( বিশেষণ পদ কাকে বলে )
  4. অব্যয় পদ ( অব্যয় পদ কাকে বলে )
  5. ক্রিয়া পদ ( ক্রিয়া পদ কাকে বলে )

আমরা এখন প্রত্যেকটি পদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

ADVERTISEMENT

বিশেষ্য পদ (Bisheshya Pod)

কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, জাতি, সমষ্টি, ভাব, কর্ম বা গুণের নাম বোঝায়, তাকে বিশেষ্য পদ বলে।

একদম সহজ ভাষায় বললে, যা কিছুর নাম আছে, সেটাই বিশেষ্য পদ। যেমন:

  • ব্যক্তি: রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, আপনি, আমি।
  • বস্তু: বই, খাতা, টেবিল, ল্যাপটপ।
  • স্থান: ঢাকা, লন্ডন, আমেরিকা, গ্রাম।
  • জাতি: মানুষ, পাখি, গরু, বাঙালি।
  • সমষ্টি: দল, সমিতি, পরিবার, জনতা।
  • ভাব: সুখ, দুঃখ, আনন্দ, বেদনা।
  • কর্ম: দেখা, শোনা, বলা, হাঁটা।
  • গুণ: তারুণ্য, সাহস, মাধুর্য, তারল্য।

বিশেষ্য পদের প্রকারভেদ (Bisheshya Pader Prokarভেদ)

বিশেষ্য পদকে সাধারণত ছয় ভাগে ভাগ করা যায়:

  1. নামবাচক বা সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য (Proper Noun): কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, স্থান, নদী, পর্বত, সমুদ্র, বা গ্রন্থের নাম বোঝায়। যেমন: ঢাকা (শহর), পদ্মা (নদী), হিমালয় (পর্বত), গীতাঞ্জলি (গ্রন্থ)।

  2. জাতিবাচক বিশেষ্য (Common Noun): যখন কোনো পদ একটি বিশেষ শ্রেণির সকল সদস্যকে বোঝায়, তখন তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: মানুষ (পুরো মানবজাতি), পাখি (সকল প্রকার পাখি), নদী (সকল নদী)।

  3. বস্তুবাচক বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য (Material Noun): যে পদ দ্বারা কোনো বস্তু বা পদার্থের নাম বোঝানো হয়, এবং যা গণনা করা যায় না, শুধুমাত্র পরিমাপ করা যায়। যেমন: চাল, ডাল, চিনি, পানি, সোনা, রুপা।

  1. সমষ্টিবাচক বিশেষ্য (Collective Noun): যখন কোনো পদ কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর সমষ্টিকে বোঝায়। যেমন: দল (খেলোয়াড়দের দল), সভা (মানুষের সভা), কমিটি, পঞ্চায়েত, বহর, ঝাক, Staff.

  2. ভাববাচক বিশেষ্য (Abstract Noun): যে পদ দ্বারা কোনো গুণ, অবস্থা বা কাজের ভাব প্রকাশ পায়। এগুলো ধরা বা ছোঁয়া যায় না, শুধু অনুভব করা যায়। যেমন: তারুণ্য, সুখ, দুঃখ, সাহস, শৈশব, যৌবন, বীরত্ব, দয়া, মায়া, লজ্জা, ক্রোধ, ভয়, ঘৃণা, ভক্তি, ইত্যাদি।

  3. গুণবাচক বিশেষ্য: কোনো কিছুর দোষ বা গুণ বোঝাতে এই বিশেষ্য ব্যবহৃত হয়। যেমন: লবণাক্ত, তিক্ততা, শীতল, উষ্ণতা, মধুরতা, তারল্য ইত্যাদি।

*   **কর্মবাচক বিশেষ্য:** ক্রিয়ামূল বা ধাতুর সঙ্গে প্রত্যয় যোগ করে যখন কোনো বিশেষ্য পদ গঠিত হয়, তখন তাকে কর্মবাচক বিশেষ্য বলে। এটি একটি কাজের নাম বোঝায়। যেমন- দর্শন, ভোজন, শয়ন, গমন, শ্রবণ,কথন, লিখন, দেখা, শোনা, বলা, হাঁটা।
বিশেষ্যের প্রকার উদাহরণ
নামবাচক রবীন্দ্রনাথ, পদ্মা, ঢাকা
জাতিবাচক মানুষ, পাখি, নদী
বস্তুবাচক চাল, ডাল, সোনা
সমষ্টিবাচক দল, সভা, কমিটি
ভাববাচক সুখ, দুঃখ, সাহস
গুণবাচক লবণাক্ত, তিক্ততা, শীতল
Read More:  দেশবন্ধু উপাধি দেওয়া হয় কাকে? জানুন বিস্তারিত!

সর্বনাম পদ (Sarbonam Pod)

“সর্বনাম” মানে “সকল নামের প্রতিনিধি”। বিশেষ্য পদের পরিবর্তে যে পদ ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম পদ বলে।

যেমন:

  • আমি ভাত খাই। – এখানে “আমি” একটি সর্বনাম পদ, যা কোনো ব্যক্তির নামের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়েছে।
  • রিতা একজন ভালো মেয়ে। সে সবসময় সত্যি কথা বলে। – এখানে “সে” রিতার পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়েছে।

সর্বনাম পদের প্রকারভেদ (Sarbonam Pader Prokarভেদ)

সর্বনাম পদ সাধারণত ১০ প্রকার:

  1. ব্যক্তিবাচক সর্বনাম (Personal Pronoun): ব্যক্তি বা পুরুষ বোঝাতে এই সর্বনাম ব্যবহৃত হয়। যেমন: আমি, তুমি, সে, তিনি, তারা, আমরা, আপনারা।
  2. আত্মবাচক সর্বনাম (Reflexive/Emphatic Pronoun): যে সর্বনাম পদ কর্তা নিজে কাজ করছে বোঝালে ব্যবহৃত হয়। যেমন: স্বয়ং, নিজ, আপনি। উদাহরণ: সে স্বয়ং কাজটি করেছে।
  3. নির্দেশক সর্বনাম (Demonstrative Pronoun): কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করতে এই সর্বনাম ব্যবহৃত হয়। যেমন: এই, ঐ, ইনি, উনি, এটা, ওটা।
  4. আত্মীয়বাচক বা সম্বন্ধবাচক সর্বনাম (Relative Pronoun): দুটি বাক্যকে যুক্ত করতে যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয়। যেমন: যে, যিনি, যা, যারা, যাহারা।
  5. প্রশ্নবাচক সর্বনাম (Interrogative Pronoun): প্রশ্ন করার জন্য যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয়। যেমন: কে, কী, কাকে, কার, কোথায়, কখন, কেন।
  6. অনির্দিষ্টবাচক সর্বনাম (Indefinite Pronoun): কোনো অনির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝাতে এই সর্বনাম ব্যবহৃত হয়। যেমন: কেউ, কিছু, একজন, অনেকে, সব।
  7. সংখ্যাবাচক সর্বনাম (Numerical Pronoun): সংখ্যা বোঝাতে যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয়। যেমন: এক, দুই, দশ, শত।
  8. পূরণবাচক সর্বনাম (Ordinal Pronoun): ক্রম বা পর্যায় বোঝাতে যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয়। যেমন: প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, দশম।
  9. ঘটনা বাচক সর্বনাম (Event Pronoun): যখন কোনো ঘটনার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করা হয় তখন এই ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়। এটা অনেকটা বিশেষ্য পদের মতন কাজ করে। ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এর প্রচলন নেই বললেই চলে।
  10. ব্যতিহারিক সর্বনাম (Reciprocal Pronoun): যখন দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বা বস্তু পরস্পর সম্পর্ক বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন: আপনারা- আপনারা, আমরা -আমরা, তুমি-তুমি।
সর্বনামের প্রকার উদাহরণ
ব্যক্তিবাচক আমি, তুমি, সে
আত্মবাচক স্বয়ং, নিজ, আপনি
নির্দেশক এই, ঐ, এটা
আত্মীয়বাচক যে, যিনি, যা
প্রশ্নবাচক কে, কী, কেন
অনির্দিষ্টবাচক কেউ, কিছু, অনেকে

বিশেষণ পদ (Bisheshon Pod)

যে পদ বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়া পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণ পদ বলে। তাহলে বিশেষণ পদ কাকে বলে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন।

সোজা কথায়, বিশেষণ পদ হল সেই শব্দ, যা অন্য কোনো পদের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। যেমন:

  • ভালো ছেলে (এখানে “ভালো” ছেলেটির গুণ বোঝাচ্ছে)
  • পাঁচটি কলম (এখানে “পাঁচটি” কলমের সংখ্যা বোঝাচ্ছে)
  • লম্বা গাছ (এখানে “লম্বা” গাছটির অবস্থা বোঝাচ্ছে)

বিশেষণ পদের প্রকারভেদ (Bisheshon Pader Prokarভেদ)

বিশেষণ পদকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়:

  1. নাম-বিশেষণ: যে বিশেষণ পদ বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে।

    • রূপবাচক বিশেষণ: রং, আকার, আকৃতি ইত্যাদি বোঝায়। যেমন: নীল আকাশ, গোল টেবিল, লম্বা মানুষ।
    • গুণবাচক বিশেষণ: দোষ বা গুণ বোঝায়। যেমন: ভালো ছেলে, খারাপ কাজ, সৎ মানুষ।
    • সংখ্যাবাচক বিশেষণ: সংখ্যা বোঝায়। যেমন: একটি বই, দশ জন, প্রথম শ্রেণি।
    • পরিমাণবাচক বিশেষণ: পরিমাণ বা মাত্রা বোঝায়। যেমন: অনেক চিনি, অল্প জল, কিছু চাল।
    • অবস্থানবাচক বিশেষণঃ অবস্থান বা স্থান বোঝায়। যেমন: দেশী, বিদেশী, গ্রাম্য, শহরতলী।
  2. ভাব-বিশেষণ: যে বিশেষণ পদ ক্রিয়া, বিশেষণ বা অন্য কোনো ভাববাচক পদের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে।

    • ক্রিয়া বিশেষণ: ক্রিয়া সংঘটনের ধরণ, স্থান, কাল বা কারণ নির্দেশ করে। যেমন: ধীরে হাঁটে, দ্রুত চলে, এখানে এসো, কাল যাব।
    • বিশেষণের বিশেষণ: বিশেষণের তীব্রতা বা মাত্রা বাড়ায়। যেমন: খুব ভালো, অতি সুন্দর, বেশি খারাপ।
    • **অব্যয়ের বিশেষণঃ **অন্য কোনো অব্যয় পদকে বিশেষিত করে। যেমন: দূর হতে চেয়ে ভালোবেসেছি তোমারে।
Read More:  নাগরিক সেবা কাকে বলে? সহজ ভাষায় জানুন!
বিশেষণের প্রকার উদাহরণ
নাম-বিশেষণ নীল আকাশ, ভালো ছেলে, একটি বই, অনেক চিনি
ভাব-বিশেষণ ধীরে হাঁটে, খুব ভালো

অব্যয় পদ ( অব্যয় পদ কাকে বলে )

অব্যয় ( অব্যয় পদ কাকে বলে ) মানে হল যা ব্যয় বা পরিবর্তন হয় না। যে পদের কোনো পরিবর্তন হয় না, অর্থাৎ লিঙ্গ, বচন, বা কারক ভেদে যার রূপের কোনো বদল হয় না, তাকে অব্যয় পদ বলে। অব্যয় পদগুলি সাধারণত দুটি শব্দ বা বাক্যকে সংযোগ করে।

সহজভাবে বললে, অব্যয় পদ সব সময় একই রকম থাকে। এর কোনো পরিবর্তন হয় না। যেমন:

  • এবং, ও, কিন্তু, অথবা, তথাপি, সুতরাং, অতএব, যদি, তবে, যদিও, এমনকি, বরং, যেন, সদা, দ্রুত, ধীরে, আজ, কাল, খুব, বেশ, হায়!, ছি!, ওহো, মরি মরি! বাহবা!, ইত্যাদি।

অব্যয় পদের প্রকারভেদ ( অব্যয় পদের প্রকারভেদ )

অব্যয় পদ মূলত চার প্রকার:

  1. সংযোজক অব্যয়: দুটি শব্দ, বাক্য বা বাক্যাংশকে যুক্ত করে। যেমন: এবং, ও, কিন্তু, অথবা। উদাহরণ: রহিম এবং করিম দুই ভাই।
  2. বিয়োজক অব্যয়: দুটি শব্দ বা বাক্যের মধ্যে বৈপরীত্য বা বিকল্প বোঝায়। যেমন: অথবা, নতুবা, কিংবা। উদাহরণ: তুমি চা খাবে অথবা কফি?
  3. অনুসর্গ অব্যয়: যে অব্যয় পদ বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে বসে তাদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে। যেমন: দ্বারা, দিয়া, হতে, থেকে, চেয়ে, প্রতি, জন্য, নিমিত্ত। উদাহরণ: টাকার জন্য মানুষ কত কষ্ট করে।
  4. অনুকার বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয়: কোনো শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে তৈরি হয়। যেমন: ঝমঝম, টুপটাপ, হিহি, ফিকফিক। উদাহরণ: বৃষ্টিতে টুপটাপ শব্দ হচ্ছে।
  5. সম্বোধনবাচক অব্যয়: কাউকে সম্বোধন করতে ব্যবহৃত হয়। যেমন: ওহে, এহে, আরে। উদাহরণ: ওহে, তোমরা কোথায় যাচ্ছ?
  6. প্রশ্নবোধক অব্যয়: বাক্যে প্রশ্ন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন: নাকি, না, কি। উদাহরণ: তুমি কি আজ আসবে?
  7. আবেগসূচক বা বিস্ময়সূচক অব্যয়: মনের আবেগ, আনন্দ, বেদনা, ঘৃণা ইত্যাদি প্রকাশ করে। যেমন: বাহ!, ছি!, উঃ, হায়!। উদাহরণ: ছি!, তুমি এটা কী করেছ?
  8. অন্বয়ী অব্যয়: যে অব্যয় পদ বাক্যের অন্য পদের সাথে কোনো সম্পর্ক না রেখে স্বাধীনভাবে অর্থ প্রকাশ করে। যেমন: হ্যাঁ, না, অবশ্যই, নিশ্চয়ই। উদাহরণ: হ্যাঁ, আমি যাব।
অব্যয়ের প্রকার উদাহরণ
সংযোজক এবং, ও, কিন্তু
বিয়োজক অথবা, নতুবা
অনুসর্গ দ্বারা, হতে, জন্য
অনুকার বা ধ্বন্যাত্মক ঝমঝম, টুপটাপ
সম্বোধনবাচক ওহে, এহে
প্রশ্নবোধক নাকি, না, কি
আবেগসূচক বা বিস্ময়সূচক বাহ!, ছি!, উঃ
অন্বয়ী হ্যাঁ, না, অবশ্যই

ক্রিয়া পদ ( Kriya Pod )

ক্রিয়া (Kriya) মানে কাজ। যে পদ দ্বারা কোনো কাজ করা বোঝায়, তাকে ক্রিয়া পদ বলে। ক্রিয়া পদ ( kriya pod kake bole ) ছাড়া কোনো বাক্য সম্পূর্ণ হতে পারে না।

যেমন:

  • আমি ভাত খাই। – এখানে “খাই” একটি ক্রিয়া পদ।
  • তারা গান গাইছে। – এখানে “গাইছে” একটি ক্রিয়া পদ।
  • বৃষ্টি হচ্ছে। – এখানে “হচ্ছে” একটি ক্রিয়া পদ।

ক্রিয়া পদের প্রকারভেদ ( Kriya Pader Prokarভেদ )

ক্রিয়া পদকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো:

  1. কর্মের ভিত্তিতে ক্রিয়া:

    • সকর্মক ক্রিয়া (Transitive Verb): যে ক্রিয়ার কর্ম থাকে, অর্থাৎ ক্রিয়াটি অন্য কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর উপর কাজ করে। উদাহরণ: আমি বই পড়ি। (এখানে “বই” হল কর্ম)
    • অকর্মক ক্রিয়া (Intransitive Verb): যে ক্রিয়ার কোনো কর্ম থাকে না, অর্থাৎ ক্রিয়াটি কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর উপর কাজ করে না। উদাহরণ: সে হাসে। (এখানে “হাসে” ক্রিয়ার কোনো কর্ম নেই)
    • দ্বিকর্মক ক্রিয়া (Di-transitive Verb): যে ক্রিয়ার দুটি কর্ম থাকে। এদের মধ্যে একটি মুখ্য কর্ম (বস্তুবাচক) এবং অন্যটি গৌণ কর্ম (ব্যক্তিবাচক)। উদাহরণ: শিক্ষক ছাত্রদের ব্যাকরণ পড়াচ্ছেন। (এখানে “ব্যাকরণ” মুখ্য কর্ম এবং “ছাত্রদের” গৌণ কর্ম)
  2. গঠন অনুসারে ক্রিয়া:

    • সরল বা মৌলিক ক্রিয়া (Simple Verb): যে ক্রিয়া একটি মাত্র ধাতু দিয়ে গঠিত। উদাহরণ: যা, খা, বস।
    • যৌগিক ক্রিয়া (Compound Verb): যখন দুটি ধাতু মিলিত হয়ে একটি ক্রিয়া গঠন করে। একটি ক্রিয়া বিশেষণ রূপে এবং অন্যটি ক্রিয়া রূপে কাজ করে। উদাহরণ: যেতে দাও, বলতে থাকো।
    • মিশ্র ক্রিয়া (Mixed Verb): বিশেষ্য, বিশেষণ বা অনুকার অব্যয়ের সঙ্গে ধাতু যুক্ত হয়ে যে ক্রিয়া গঠিত হয়। উদাহরণ: ভয় কর, ভালো হ, ঘুম দে।
  3. ভাব প্রকাশের দিক থেকে ক্রিয়া:

*   **সমাপিকা ক্রিয়া (Finite Verb):** যে ক্রিয়া দ্বারা বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়। উদাহরণ: আমি ভাত খাই।
*   **অসমাপিকা ক্রিয়া (Non-finite Verb):** যে ক্রিয়া দ্বারা বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায় না, আরও কিছু শোনার বা জানার অপেক্ষা থাকে। উদাহরণ: আমি ভাত খেতে... (এখানে "খেতে" ক্রিয়াটি অসমাপিকা, কারণ এর পরে আরও কিছু শব্দ প্রয়োজন)
  1. অন্যান্য প্রকার:
    • প্রযোজক ক্রিয়া (Causative Verb): যখন কর্তা নিজে কাজ না করে অন্যকে দিয়ে করায়। উদাহরণ: মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন।
    • নামধাতুর ক্রিয়া (Denominative Verb): বিশেষ্য, বিশেষণ বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয়ের পরে ক্রিয়া বিভক্তি যুক্ত হয়ে যে ক্রিয়া গঠিত হয়। উদাহরণ: ঘুমা, বেতা।
    • সকর্মক ক্রিয়া (Active Verb): যখন ক্রিয়াটি কর্তা দ্বারা সরাসরি সম্পাদিত হয়। উদাহরণ: সে গান গায়।
    • অকর্মক ক্রিয়া (Passive Verb): যখন কর্মটি কর্তার ভূমিকায় আসে এবং ক্রিয়াটি তার দ্বারা সম্পাদিত হয়েছে বোঝায়। উদাহরণ: তার দ্বারা গান গাওয়া হয়।
Read More:  প্রতিসরাঙ্ক কাকে বলে? জানুন +আলোর সংজ্ঞা
ক্রিয়ার প্রকার উদাহরণ
সকর্মক আমি বই পড়ি
অকর্মক সে হাসে
দ্বিকর্মক শিক্ষক ছাত্রদের ব্যাকরণ পড়াচ্ছেন
সরল বা মৌলিক যা, খা, বস
যৌগিক যেতে দাও, বলতে থাকো
মিশ্র ভয় কর, ভালো হ
সমাপিকা আমি ভাত খাই
অসমাপিকা আমি ভাত খেতে…
প্রযোজক মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন
নামধাতুর ঘুমা, বেতা

আশা করি, পদ নিয়ে আপনার মনে আর কোনো দ্বিধা নেই। ব্যাকরণের এই অংশটি ভালোভাবে বুঝতে পারলে বাংলা ভাষার সৌন্দর্য আপনার কাছে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে।

কিছু সাধারণ প্রশ্ন (Frequently Asked Questions – FAQs)

এখানে পদ সম্পর্কিত কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:

  • প্রশ্ন: পদ কত প্রকার ও কী কী?

    • উত্তর: পদ প্রধানত পাঁচ প্রকার: বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয় ও ক্রিয়া।
  • প্রশ্ন: বিশেষ্য পদের কাজ কী?

    • উত্তর: বিশেষ্য পদ কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান বা ভাবের নাম বোঝায়।
  • প্রশ্ন: সর্বনাম পদ কেন ব্যবহার করা হয়?

*   **উত্তর:** বিশেষ্য পদের পুনরাবৃত্তি এড়ানোর জন্য সর্বনাম পদ ব্যবহার করা হয়।
  • প্রশ্ন: বিশেষণ পদের উদাহরণ দিন।

    • উত্তর: ভালো, সুন্দর, লম্বা, ছোট – এগুলো বিশেষণ পদের উদাহরণ।
  • প্রশ্ন: অব্যয় পদের গুরুত্ব কী?

    • উত্তর: অব্যয় পদ দুটি শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করে এবং বাক্যের অর্থকে স্পষ্ট করে।
  • প্রশ্ন: ক্রিয়া পদ ছাড়া কি বাক্য গঠিত হতে পারে?

*   **উত্তর:** না, ক্রিয়া পদ ছাড়া কোনো বাক্য গঠিত হতে পারে না।

শেষ কথা

আজ আমরা “পদ কাকে বলে” ( Pod kake bole ) এবং পদের প্রকারভেদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। বাংলা ব্যাকরণের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারলে আপনার ভাষার জ্ঞান আরও সমৃদ্ধ হবে। নিয়মিত চর্চা করুন এবং নতুন নতুন বাক্য তৈরি করার চেষ্টা করুন। তাহলেই দেখবেন, পদ আপনার কাছে আর কঠিন কিছু নয়, বরং ভাষার এক মজার খেলা!

এই ব্লগ পোস্টটি আপনার কেমন লাগলো, তা জানাতে ভুলবেন না। আর যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে কমেন্ট সেকশনে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আপনার বাংলা ভাষা শেখার পথ আরও সহজ হোক, এই কামনা করি।

Previous Post

সামাজিক কাঠামো কাকে বলে? সহজ ভাষায় সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ

Next Post

অন্তরক পদার্থ কাকে বলে? প্রকারভেদ ও ব্যবহার জানুন!

Mushfiqur Rahman

Mushfiqur Rahman

I am Mushfiqur Rahman Swopnil, owner of Bongo Tuner and an experienced SEO and Digital Marketing professional with a deep understanding of affiliate marketing and link building. Running my own marketing agency, I offer strategic digital solutions to boost brand visibility and drive tangible results. My extensive experience covers all aspects of online marketing, helping businesses achieve their growth objectives through data-driven SEO and effective link-building strategies.

Next Post
অন্তরক পদার্থ কাকে বলে? প্রকারভেদ ও ব্যবহার জানুন!

অন্তরক পদার্থ কাকে বলে? প্রকারভেদ ও ব্যবহার জানুন!

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন
Education

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন

by Mushfiqur Rahman
May 5, 2025
0

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য মনে করুন, পরীক্ষার আগের রাতে আপনি সব পড়ে শেষ করেছেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে...

Read more
মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

May 5, 2025
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

May 5, 2025
ADVERTISEMENT
Bongo Tuner

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Navigate Site

  • Home
  • About Us
  • Privacy Policy
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy

Follow Us

No Result
View All Result
  • About Us
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy
  • Privacy Policy

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Table of Contents

×
  • পদ কাকে বলে? (Pod Kake Bole?)
  • বিশেষ্য পদ (Bisheshya Pod)
    • বিশেষ্য পদের প্রকারভেদ (Bisheshya Pader Prokarভেদ)
  • সর্বনাম পদ (Sarbonam Pod)
    • সর্বনাম পদের প্রকারভেদ (Sarbonam Pader Prokarভেদ)
  • বিশেষণ পদ (Bisheshon Pod)
    • বিশেষণ পদের প্রকারভেদ (Bisheshon Pader Prokarভেদ)
  • অব্যয় পদ ( অব্যয় পদ কাকে বলে )
    • অব্যয় পদের প্রকারভেদ ( অব্যয় পদের প্রকারভেদ )
  • ক্রিয়া পদ ( Kriya Pod )
    • ক্রিয়া পদের প্রকারভেদ ( Kriya Pader Prokarভেদ )
  • কিছু সাধারণ প্রশ্ন (Frequently Asked Questions – FAQs)
  • শেষ কথা
← সূচিপত্র দেখুন