শুরুতেই একটা প্রশ্ন করি, বাংলা ব্যাকরণে পদ নিয়ে আপনার কি ভীতি আছে? নাকি পদ জিনিসটা জলের মতো সোজা লাগে? যদি প্রথমটা হয়, তাহলে এই ব্লগ পোস্ট আপনার জন্যই! আর যদি দ্বিতীয়টা হয়, তাহলেও চোখ বুলিয়ে যেতে পারেন, নতুন কিছু তথ্য হয়তো পেয়েও যেতে পারেন। আজ আমরা কথা বলবো “পদ কাকে বলে কয় প্রকার” সেই সম্পর্কে। ব্যাকরণের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশটি সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো, যাতে পরীক্ষার হলে আর আটকে না যান।
পদ: ব্যাকরণের প্রাণ
বাংলা ব্যাকরণে পদ একটা ভাইটাল জিনিস। একটা বাক্যে শব্দগুলো কী কাজ করছে, সেটাই পদ দিয়ে বোঝা যায়। ধরুন, আপনি একটা sentence লিখলেন, “আমি ভাত খাই”। এখানে “আমি”, “ভাত”, “খাই” – এই প্রত্যেকটা শব্দ এক একটা পদ। এদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা কাজ আছে। কারো কাজ কর্তা হওয়া, কারো কর্ম, আবার কারো কাজ ক্রিয়া।
পদ কাকে বলে? (Pod Kake Bole?)
সহজ ভাষায়, বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি অর্থবোধক শব্দই এক একটি পদ। একটি শব্দ যখন বাক্যে বসে অন্য শব্দের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে, তখন তার পরিচয় হয় পদ হিসেবে। পদ ছাড়া একটি বাক্য প্রাণহীন।
আরও একটু যদি গভীরে যাই, তাহলে বলতে হয়, “বিভক্তিযুক্ত শব্দ বা ধাতুকে পদ বলে।” বিভক্তি মানে কী? বিভক্তি হলো সেই বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যা শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাকে বাক্যে ব্যবহার করার উপযোগী করে তোলে।
পদের প্রকারভেদ: কত রকমের পদ হয়? (Poder Prokarved: Koto Rokomer Pod Hoy?)
বাংলা ব্যাকরণে পদ প্রধানত পাঁচ প্রকার:
- বিশেষ্য পদ (Bishesyo Pod)
- সর্বনাম পদ (Sarbonam Pod)
- বিশেষণ পদ (Biseshon Pod)
- অব্যয় পদ ( অব্যয় Pod)
- ক্রিয়া পদ (Kriya Pod)
বিশেষ্য পদ (Bishesyo Pod)
কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, জাতি, গুণ, অবস্থা বা কাজের নাম বোঝায়, তাকে বিশেষ্য পদ বলে। সোজা কথায়, যা কিছুর নাম আছে, সেটাই বিশেষ্য।
বিশেষ্য পদের প্রকারভেদ (Bishesyo Poder Prokarved):
- নামবাচক বিশেষ্য (Nambachok Bishesyo): কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, স্থান, নদী, পর্বত, গ্রন্থ ইত্যাদির নাম। যেমন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ঢাকা, পদ্মা, হিমালয়, গীতাঞ্জলি।
- জাতিবাচক বিশেষ্য (Jatibachok Bishesyo): কোনো জাতি বা সম্প্রদায়কে বোঝায়। যেমন: মানুষ, গরু, পাখি, নদী, পর্বত।
- বস্তুবাচক বিশেষ্য (Bastubachok Bishesyo): কোনো বস্তু বা জিনিসকে বোঝায়। যেমন: বই, খাতা, কলম, টেবিল, পানি, চিনি।
- গুণবাচক বিশেষ্য (Gunbachok Bishesyo): কোনো গুণ বা অবস্থাকে বোঝায়। যেমন: তারুণ্য, শৈশব, তারল্য, সৌরভ, মাধুর্য।
- ভাববাচক বিশেষ্য (Bhabbachok Bishesyo): কোনো কাজের ভাব বা অবস্থাকে বোঝায়। যেমন: গমন, ভোজন, দর্শন, শয়ন, কান্না, হাসি।
- সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য (Songgabachok )-: যে শব্দ দিয়ে কোনো ব্যক্তি, জাতি, স্থান, নদী, সমুদ্র, পর্বত,গ্রন্থ, দিন, মাস, তারিখ বা অন্য বিষয়ের নাম বোঝানো হয়।
সর্বনাম পদ (Sarbonam Pod)
বিশেষ্য পদের পরিবর্তে যে পদ ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম পদ বলে। বিশেষ্য পদকে বারবার ব্যবহার না করে তার বদলে সর্বনাম ব্যবহার করলে বাক্য শ্রুতিমধুর হয়।
সর্বনাম পদের প্রকারভেদ (Sarbonam Poder Prokarved):
- ব্যক্তিবাচক সর্বনাম (Byaktibachok Sarbonam): ব্যক্তি বা পুরুষ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন: আমি, তুমি, সে, তিনি, আমরা, তোমরা, তারা।
- আত্মবাচক সর্বনাম (Atmabachok Sarbonam): নিজেকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন: স্বয়ং, নিজ, আপনি (নিজেকে সম্মান করে বললে)।
- নির্দেশক সর্বনাম (Nirdeshok Sarbonam): কোনো কিছু নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়। যেমন: এই, ঐ, ইনি, উনি।
- প্রশ্নবাচক সর্বনাম (Proshnobachok Sarbonam): প্রশ্ন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন: কে, কী, কাকে, কার, কোথায়।
- অনির্দিষ্ট সর্বনাম (Onirdisto Sarbonam): অনির্দিষ্ট কাউকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন: কেউ, কিছু, একজন, কোনো।
- সাপেক্ষ সর্বনাম (Sapekkhyo Sarbonam): একটি সর্বনাম অন্যটির উপর নির্ভরশীল। যেমন: যে সে, যিনি তিনি, যেমন তেমন।
- সম্বন্ধবাচক সর্বনাম (Sombandhobachok sarbonam)- : যখন সর্বনাম পদ বাক্যের অন্য পদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে তাহলে তাকে সম্বন্ধবাচক সর্বনাম বলে। যেমন: যার যা প্রয়োজন, তাকে তাই দাও।
- ব্যতিহারিক সর্বনাম (Byatiharik Sarbonam)- : যখন দুটি সর্বনাম পদ একইসাথে দুইয়ের মধ্যে ক্রিয়া বোঝায়, তখন তাকে ব্যতিহারিক সর্বনাম বলে। যেমন: তারা নিজেরা নিজেরা কথা বলছে।
বিশেষণ পদ (Biseshon Pod)
যে পদ বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়া পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণ পদ বলে।
বিশেষণ পদের প্রকারভেদ (Biseshon Poder Prokarved):
-
নাম-বিশেষণ (Nam-biseshon): যে বিশেষণ পদ বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে।
- রূপবাচক: নীল আকাশ, সবুজ ঘাস।
- গুণবাচক: দক্ষ খেলোয়াড়, সৎ মানুষ।
- অবস্থাবাচক: তাজা মাছ, রোগা শরীর।
- সংখ্যাবাচক: এক জন, দশটি বই।
- পরিমাণবাচক: অল্প জল, অনেক চিনি।
- উপমা বাচক (Upma Bachok ): চাঁদের মত মুখ।
- অনুকার বাচক (Onukar Bachok): ধিকিধিকি আগুন।
-
ক্রিয়া বিশেষণ (Kriya Biseshon): যে বিশেষণ পদ ক্রিয়া পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে। যেমন: ধীরে ধীরে হাঁটো, তাড়াতাড়ি এসো, জোরে বলো।
-
বিশেষণের বিশেষণ (Biseshoner Biseshon): যে বিশেষণ পদ অন্য কোনো বিশেষণ পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে। যেমন: খুব ভালো, বেশি মিষ্টি, অল্প গরম।
অব্যয় পদ (Abbay Pod)
যে পদের কোনো পরিবর্তন হয় না, অর্থাৎ লিঙ্গ, বচন, কারক ভেদে যার রূপের কোনো বদল হয় না, তাকে অব্যয় পদ বলে। এগুলো বাক্যের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং পদগুলোর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে।
অব্যয় পদের প্রকারভেদ (Abbay Poder Prokarved):
- সংযোজক অব্যয় (Sanjojok Abbay): দুটি শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করে। যেমন: এবং, ও, আর, কিন্তু, অথবা, নতুবা।
- বিয়োজক অব্যয় (Bijojok Abbay): দুটি বিকল্পের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে সাহায্য করে। যেমন: হয়…নয়, অথবা, না হয়।
- অনুসর্গ অব্যয় (Onusorgo Abbay): বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে বসে তাদের অর্থকে বিশেষভাবে প্রকাশ করে। যেমন: দ্বারা, দিয়ে, হতে, থেকে, চেয়ে, প্রতি, জন্য, নিমিত্ত। এগুলো সাধারণত বিভক্তির মতো কাজ করে।
- অনুকার অব্যয় (Onukar Abbay): কোনো ধ্বনির অনুকরণে তৈরি হয়। যেমন: ঝমঝম, টুপটাপ, হিহি, খিলখিল।
- সম্বোধনবাচক অব্যয় (Sambodhanbachok অব্যয়)- : যে অব্যয় পদ কাউকে সম্বোধন করতে ব্যবহৃত হয়। যেমন: ওহে, এহে, আরে।
- প্রশ্নবোধক অব্যয় (Proshnobodok Abbay)-: যে অব্যয় পদ প্রশ্ন করতে ব্যবহৃত হয়। যেমন: তবে, না, কি।
- আবেগবাচক অব্যয় ( আবেগোদ্দিপক অব্যয়) ( আবেগোদ্দিপক অব্যয়) (Abegbachok Abbay)-: মনের আবেগ, অনুভূতি, আনন্দ, বেদনা, ঘৃণা, ইত্যাদি প্রকাশের জন্য যে অব্যয় পদ ব্যবহৃত হয়। যেমন: মরি মরি ! কী সুন্দর প্রভাত।
ক্রিয়া পদ (Kriya Pod)
যে পদ দ্বারা কোনো কাজ করা বোঝায়, তাকে ক্রিয়া পদ বলে। একটি বাক্যে ক্রিয়া পদ ছাড়া অন্য পদগুলো তেমন অর্থ প্রকাশ করতে পারে না।
ক্রিয়া পদের প্রকারভেদ (Kriya Poder Prokarved):
- সমাপিকা ক্রিয়া (Samapika Kriya): যে ক্রিয়া পদের দ্বারা বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়। যেমন: আমি ভাত খাই। এখানে “খাই” ক্রিয়াটি বাক্যটিকে সম্পূর্ণতা দিয়েছে।
- অসমাপিকা ক্রিয়া (Asamapika Kriya): যে ক্রিয়া পদের দ্বারা বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায় না, আরও কিছু শোনার বা বলার অপেক্ষা রাখে। যেমন: আমি ভাত খেয়ে… (তারপর কী?)
- সকর্মক ক্রিয়া (Sakarmak Kriya): যে ক্রিয়ার কর্ম থাকে, অর্থাৎ ক্রিয়াটি কাকে বা কীসের উপর করা হচ্ছে তা উল্লেখ থাকে। যেমন: আমি বই পড়ি। (কী পড়ি? – বই)
- অকর্মক ক্রিয়া (Akarmak Kriya): যে ক্রিয়ার কোনো কর্ম থাকে না। যেমন: আমি ঘুমাই। (এখানে “ঘুমাই” ক্রিয়াটি কোনো কিছুর উপর করা হচ্ছে না)
- দ্বিকর্মক ক্রিয়া (Dwikarmak Kriya): যে ক্রিয়ার দুটি কর্ম থাকে। একটি মুখ্য কর্ম (প্রাণী বা ব্যক্তিবাচক) এবং অন্যটি গৌণ কর্ম (বস্তুবাচক)। যেমন: শিক্ষক ছাত্রদের ব্যাকরণ পড়াচ্ছেন। (ছাত্রদের – মুখ্য কর্ম, ব্যাকরণ – গৌণ কর্ম)
- প্রযোজক ক্রিয়া (Projojok Kriya): যখন কোনো কর্তা নিজে কাজ না করে অন্যকে দিয়ে করায়। যেমন: মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন।
- যৌগিক ক্রিয়া (Jougi Kriya): যখন একটি সমাপিকা ক্রিয়া ও একটি অসমাপিকা ক্রিয়া একসঙ্গে মিলিত হয়ে বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে। যেমন: তিনি বলতে লাগলেন, সাইরেন বেজে উঠল।
- মিশ্র ক্রিয়া (Misra Kriya): বিশেষ্য, বিশেষণ বা অনুকার অব্যয়ের সঙ্গে √কর্, √দে, √পা, √খা, √যা, √হ ইত্যাদি ধাতুযোগে গঠিত ক্রিয়াকে মিশ্র ক্রিয়া বলে। যেমন: ভয় কর, দুঃখ দিও না, উত্তর দাও, বিদায় হ, ভালো হ।
ছোট্ট টেবিলে পদের প্রকারভেদ
পদের নাম | সংজ্ঞা | উদাহরণ |
---|---|---|
বিশেষ্য | কোনো কিছুর নাম | মানুষ, ঢাকা, বই |
সর্বনাম | বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় | আমি, তুমি, সে |
বিশেষণ | বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়ার দোষগুণ প্রকাশ করে | ভালো, সুন্দর, দ্রুত |
অব্যয় | যার কোনো পরিবর্তন হয় না | এবং, কিন্তু, অথবা |
ক্রিয়া | কোনো কাজ করা বোঝায় | যায়, খায়, করে |
কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (Frequently Asked Questions – FAQs)
-
প্রশ্ন: পদ কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: পদ প্রধানত পাঁচ প্রকার: বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয়, ও ক্রিয়া। -
প্রশ্ন: বিশেষ্য পদ কাকে বলে উদাহরণ দাও।
উত্তর: কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, জাতি, গুণ বা অবস্থার নামকে বিশেষ্য পদ বলে। উদাহরণ: মানুষ (জাতি), ঢাকা (স্থান), বই (বস্তু), তারুণ্য (গুণ)। -
প্রশ্ন: সর্বনাম পদের কাজ কী?
উত্তর: সর্বনাম পদের কাজ হলো বিশেষ্য পদের পুনরাবৃত্তি কমানো এবং বাক্যকে শ্রুতিমধুর করা।।
-
প্রশ্ন: অব্যয় পদের বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: অব্যয় পদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর কোনো পরিবর্তন হয় না। লিঙ্গ, বচন বা কারক ভেদে এর রূপ বদলায় না। -
প্রশ্ন: ক্রিয়া পদের মূল কাজ কী?
উত্তর: ক্রিয়া পদের মূল কাজ হলো কোনো কাজ সম্পন্ন হওয়া বোঝানো। -
প্রশ্ন : বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের মধ্যে পার্থক্য কি ?
উত্তর : বিশেষ্য কোনো কিছুর নাম বোঝায়, সর্বনাম নামের পরিবর্তে বসে।
- প্রশ্ন : ক্রিয়া বিশেষণ ও বিশেষণের মধ্যে পার্থক্য কি ?
উত্তর : ক্রিয়া বিশেষণ ক্রিয়ার ধরন বর্ণনা করে, বিশেষণ বিশেষ্যের।
বাস্তব জীবনে পদের ব্যবহার (Practical Usage of Pod)
এবার একটু অন্যরকম আলোচনা করা যাক। আমরা তো পদের সংজ্ঞা আর প্রকারভেদ জানলাম। কিন্তু এগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কীভাবে কাজে লাগে?
- যোগাযোগে স্পষ্টতা: সঠিক পদ ব্যবহার করে আমরা নিজেদের বক্তব্যকে আরও স্পষ্ট করে প্রকাশ করতে পারি।
- লেখার মান উন্নয়ন: সুন্দর ও সঠিক পদ ব্যবহার আপনার লেখাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
- ব্যাকরণ ভীতি দূর: পদের সঠিক ব্যবহার জানলে ব্যাকরণের জটিলতাগুলো সহজ হয়ে যায়।
শেষ কথা (Conclusion)
আশা করি, “পদ কাকে বলে কয় প্রকার” এই বিষয়ে একটি স্পষ্ট ধারণা দিতে পেরেছি। ব্যাকরণের অন্যান্য বিষয়গুলোও সহজভাবে জানার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। আর হ্যাঁ, কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট সেকশনে জানাতে ভুলবেন না! ব্যাকরণকে ভয় নয়, জয় করুন!