আচ্ছা, সর্বনাম! ব্যাকরণ বইয়ের শুকনো পাতা উল্টানোর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে, তাই না? কিন্তু একটু অন্যভাবে ভাবুন তো। সর্বনাম কিন্তু ভাষার অলঙ্কার। বাক্যের সৌন্দর্য বাড়ায়, কথাকে সহজ করে তোলে। “প্রনউন কাকে বলে কত প্রকার” – এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমরা আজ ব্যাকরণের অলিগলি ঘুরে আসব, তবে একটু মজা করে, গল্পচ্ছলে।
তাহলে চলুন, শুরু করা যাক!
সর্বনাম: নামের বদলে যে আসে
নামের বদলে যে শব্দ ব্যবহার করা হয়, তাকেই আমরা সাধারণত সর্বনাম বলি। ধরুন, আপনি আপনার বন্ধু রনির কথা বলছেন। প্রতিবার “রনি”, “রনি” না বলে আপনি “সে”, “ও” এই শব্দগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এতে কথা বলাটা সহজ হয়, শুনতে ভালো লাগে। এই “সে” বা “ও” হল সর্বনাম।
ব্যাপারটা অনেকটা এরকম, রান্নার সময় সব মশলার কৌটো হাতের কাছে গুছিয়ে রাখলে যেমন সুবিধা হয়, তেমনি সর্বনাম ব্যবহার করলে ভাষাকে সুন্দর ও গোছানো লাগে।
সর্বনাম কত প্রকার ও কী কী? (Pronoun er prokarভেদ)
বাংলা ব্যাকরণে সর্বনামকে প্রধানত ১০টি ভাগে ভাগ করা যায়। প্রত্যেক প্রকার সর্বনামের নিজস্ব কাজ আছে, যা বাক্যকে ভিন্নতা দেয়। নিচে এই প্রকারভেদগুলো আলোচনা করা হলো:
ব্যক্তিবাচক সর্বনাম (Personal Pronoun)
যে সর্বনাম ব্যক্তি, প্রাণী বা বস্তুর পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়, তাকে ব্যক্তিবাচক সর্বনাম বলে।
- উদাহরণ: আমি, তুমি, সে, তিনি, তারা, আমরা, তোমরা, আপনি, ইনি, উনি ইত্যাদি।
- ব্যবহারিক উদাহরণ:
- আমি ভাত খাই।
- তুমি কি আজ আসবে?
- সে খুব ভালো ছেলে।
আত্মবাচক সর্বনাম (Reflexive Pronoun)
যে সর্বনাম নিজের বা আত্মের প্রতি নির্দেশ করে, তাকে আত্মবাচক সর্বনাম বলে।
- উদাহরণ: স্বয়ং, নিজ, আপনি ইত্যাদি।
- ব্যবহারিক উদাহরণ:
- সে স্বয়ং কাজটি করেছে।
- আমি নিজ হাতে বাগান তৈরি করেছি।
- আপনি ভালো আছেন তো? (এখানে ‘আপনি’ সম্মানার্থে ব্যবহৃত)
সামীপ্যবাচক সর্বনাম (Proximate Pronoun)
নিকটবর্তী কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করতে যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয়, তাকে সামীপ্যবাচক সর্বনাম বলে।
- উদাহরণ: এই, ইনি, এটা ইত্যাদি।
- ব্যবহারিক উদাহরণ:
- এই আমার বই।
- ইনি আমার শিক্ষক।
- এটা কী?
দূরত্ববাচক সর্বনাম (Remote Pronoun)
দূরবর্তী কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করতে যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয়, তাকে দূরত্ববাচক সর্বনাম বলে।
- উদাহরণ: ঐ, উনি, ওটা ইত্যাদি।
- ব্যবহারিক উদাহরণ:
- ঐ তো আকাশ দেখা যায়।
- উনি আমার গ্রামের মানুষ।
- ওটা কার ব্যাগ?
প্রশ্নবাচক সর্বনাম (Interrogative Pronoun)
কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার জন্য যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয়, তাকে প্রশ্নবাচক সর্বনাম বলে।
- উদাহরণ: কে, কী, কাকে, কার, কীসের ইত্যাদি।
- ব্যবহারিক উদাহরণ:
- কে ওখানে দাঁড়িয়ে আছে?
- তুমি কী চাও?
- কাকে ডাকছ?
অনির্দিষ্টবাচক সর্বনাম (Indefinite Pronoun)
কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দিষ্টভাবে না বুঝিয়ে সাধারণভাবে বোঝাতে যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয়, তাকে অনির্দিষ্টবাচক সর্বনাম বলে।
- উদাহরণ: কেউ, কিছু, একজন, অনেকে, যে কেউ ইত্যাদি।
- ব্যবহারিক উদাহরণ:
- কেউ একজন দরজা ধাক্কাচ্ছে।
- আমার কিছু টাকা দরকার।
- এখানে অনেকে এসেছে।
সাপেক্ষবাচক সর্বনাম (Relative Pronoun)
দুটি বাক্যকে সংযোগ করার জন্য যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয়, তাকে সাপেক্ষবাচক সর্বনাম বলে।
- উদাহরণ: যে, যিনি, যা, যারা, যাদের ইত্যাদি।
- ব্যবহারিক উদাহরণ:
- যে পরিশ্রম করে, সে সফল হয়।
- যিনি সৎ, তাকে সবাই ভালোবাসে।
- যা কিছু হারিয়ে যায়, তার মূল্য বাড়ে।
ব্যতিহারিক সর্বনাম (Reciprocal Pronoun)
যখন দুটি ব্যক্তি বা বস্তু একে অপরের মধ্যে কোনো কাজ বোঝায়, তখন ব্যতিহারিক সর্বনাম ব্যবহৃত হয়।
- উদাহরণ: পরস্পর, নিজেরা, অনেকে ইত্যাদি।
- ব্যবহারিক উদাহরণ:
- তারা পরস্পরের সাথে কথা বলছে।
- আমরা নিজেরা কাজটি করেছি।
- অনেকে মিলেমিশে কাজ করে।
সংজ্ঞাবাচক সর্বনাম (Definitive Pronoun)
সংজ্ঞা বা পরিচয় প্রদানের জন্য যে সর্বনাম ব্যবহৃত হয়, তাকে সংজ্ঞাবাচক সর্বনাম বলে।
- উদাহরণ: জন, রহিম, করিম (নামবাচক শব্দ)।
- ব্যবহারিক উদাহরণ:
- জন একজন ভালো ছাত্র।
- রহিম আমার বন্ধু।
- করিম একজন শিক্ষক।
অনাদিবাচক সর্বনাম (Anadi Pronoun)
যে সর্বনাম অন্য কোনো সর্বনামের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু সরাসরি কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝায় না, তাকে অনাদিবাচক সর্বনাম বলে।
- উদাহরণ: ওর, এর, কিসে ইত্যাদি।
- ব্যবহারিক উদাহরণ:
- ওর কী হয়েছে?
- এর সমাধান কী?
- কিসে ভালো হবে?
বিভিন্ন প্রকার সর্বনামের বিস্তারিত আলোচনা
আমরা এতক্ষণে সর্বনামের প্রকারভেদগুলো জানলাম। এবার একটু গভীরে যাওয়া যাক, যাতে বিষয়গুলো আরও স্পষ্ট হয়।
১. ব্যক্তিবাচক সর্বনাম (ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণীর পরিবর্তে)
ব্যক্তিবাচক সর্বনামগুলো আমরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি। “আমি”, “তুমি”, “সে” – এগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই সর্বনামগুলো পুরুষভেদে ভিন্ন হয়।
পুরুষ (Person) ভেদে ব্যক্তিবাচক সর্বনামের প্রকারভেদ:
পুরুষ | একবচন | বহুবচন |
---|---|---|
উত্তম পুরুষ | আমি, আমরা | আমরা, মোরা |
মধ্যম পুরুষ | তুমি, আপনি | তোমরা, আপনারা |
প্রথম পুরুষ | সে, তিনি, এটা | তারা, ওগুলো |
- উত্তম পুরুষ: আমি, আমরা ( বক্তা নিজেকে বোঝালে )
- মধ্যম পুরুষ: তুমি, তোমরা ( শ্রোতাকে বোঝালে )
- প্রথম পুরুষ: সে, তারা ( বক্তা ও শ্রোতা ছাড়া অন্য কাউকে বোঝালে )
২. আত্মবাচক সর্বনাম (নিজেকে নির্দেশ করে)
“নিজ”, “স্বয়ং” – এই শব্দগুলো আত্মবাচক সর্বনামের উদাহরণ। যখন কোনো কাজ নিজে করি বা নিজের সম্পর্কে বলি, তখন এই সর্বনামগুলো ব্যবহার করা হয়।
- আমি নিজেই কাজটি করেছি।
- সে স্বয়ং সেখানে গিয়েছিল।
৩. সামীপ্যবাচক ও দূরত্ববাচক সর্বনাম (কাছ ও দূরের নির্দেশক)
কাছের কিছু বোঝাতে “এই”, “এটা” আর দূরের কিছু বোঝাতে “ঐ”, “ওটা” ব্যবহার করি। এই সর্বনামগুলো স্থান এবং দূরত্ব বোঝাতে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
- সামীপ্যবাচক: এই কলমটি আমার।
- দূরত্ববাচক: ঐ বাড়িটি আমাদের।
৪. প্রশ্নবাচক সর্বনাম (প্রশ্ন করার জন্য)
“কে”, “কী”, “কেন” – এই শব্দগুলো প্রশ্ন করার জন্য ব্যবহার করা হয়। প্রশ্নবাচক সর্বনাম ছাড়া আমরা কোনো প্রশ্নই করতে পারতাম না!
- কে এসেছে?
- তোমার নাম কী?
৫. অনির্দিষ্টবাচক সর্বনাম (অনির্দিষ্ট করে বোঝাতে)
“কেউ”, “কিছু” – এই শব্দগুলো দিয়ে যখন আমরা কাউকে বা কোনো কিছুকে নির্দিষ্ট করে না বুঝিয়ে সাধারণভাবে বোঝাই, তখন সেটা অনির্দিষ্টবাচক সর্বনাম হয়।
- কেউ একজন ডাকছে।
- আমার কিছু টাকা দরকার।
৬. সাপেক্ষবাচক সর্বনাম (দুটি বাক্যকে জুড়ে দেয়)
সাপেক্ষবাচক সর্বনামগুলো দুটি বাক্যকে জুড়ে একটি সম্পর্ক তৈরি করে। “যে”, “যিনি”, “যা” – এই শব্দগুলো দুটি অংশের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে।
- যে ভালো কাজ করে, সে পুরস্কৃত হয়।
- যা হারিয়ে গেছে, তা আর ফিরে পাব না।
৭. ব্যতিহারিক সর্বনাম (পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝায়)
যখন একাধিক ব্যক্তি বা বস্তু একে অপরের সাথে সম্পর্কিত কোনো কাজ করে, তখন ব্যতিহারিক সর্বনাম ব্যবহৃত হয়। “পরস্পর”, “নিজেদের” – এই শব্দগুলো পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝাতে সাহায্য করে।
- তারা পরস্পরের সাথে ঝগড়া করছে।
- আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি।
৮. সংজ্ঞাবাচক সর্বনাম (সংজ্ঞা বা পরিচয় দেয়)
সংজ্ঞাবাচক সর্বনাম মূলত কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর পরিচয় প্রদান করে। এটি বিশেষ্য পদের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়ে সেই বিশেষ্য পদটিকে নির্দিষ্ট করে তোলে।
- করিম একজন সৎ মানুষ।
- ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী।
৯. অনাদিবাচক সর্বনাম (অন্য সর্বনামের পরিবর্তক)
অনাদিবাচক সর্বনাম অন্য কোনো সর্বনামের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু সরাসরি কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করে না। এটি মূলত একটি বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
- ওর নাম কী?
- এর দাম কত?
সর্বনাম ব্যবহারের কিছু টিপস (Tips for Using Pronouns)
- সঠিক সর্বনাম নির্বাচন: বাক্যের সাথে সঙ্গতি রেখে সঠিক সর্বনাম ব্যবহার করুন।
- লিঙ্গ ও বচন: সর্বনাম ব্যবহারের সময় লিঙ্গ (Gender) ও বচন (Number) এর দিকে খেয়াল রাখুন।
- পুনরাবৃত্তি পরিহার: একই বিশেষ্য বারবার ব্যবহার না করে সর্বনাম ব্যবহার করুন, এতে বাক্য শ্রুতিমধুর হবে।
- সাপেক্ষ সর্বনামের সঠিক ব্যবহার: সাপেক্ষ সর্বনাম ব্যবহার করে দুটি বাক্যকে সুন্দরভাবে সংযুক্ত করুন।
সর্বনাম নিয়ে কিছু মজার উদাহরণ (Fun Examples of Pronouns)
- আমি: আমি আজ বিরিয়ানি খাব। (নিজেকে নিয়ে)
- তুমি: তুমি কি আজ খেলতে যাবে? (কাউকে প্রশ্ন করে)
- সে: সে খুব ভালো গান গায়। (অন্য কাউকে নিয়ে)
- এটা: এটা আমার নতুন ফোন। (কোনো জিনিস দেখিয়ে)
- ওরা: ওরা সবাই মিলে পিকনিক করছে। (বহুজনকে নিয়ে)
“প্রনউন কাকে বলে কত প্রকার” – কিছু সাধারণ জিজ্ঞাস্য (FAQs)
এখানে কিছু সাধারণ প্রশ্ন এবং তাদের উত্তর দেওয়া হলো, যা সর্বনাম সম্পর্কে আপনার ধারণা আরও স্পষ্ট করবে:
প্রশ্ন ১: সর্বনাম ব্যবহারের উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: সর্বনাম ব্যবহারের প্রধান উদ্দেশ্য হলো বাক্যে বিশেষ্য পদের পুনরাবৃত্তি কমানো এবং ভাষাকে আরও সুন্দর ও সাবলীল করা। এছাড়া, এটি বাক্যকে সংক্ষিপ্ত ও সহজবোধ্য করতেও সাহায্য করে।
প্রশ্ন ২: ব্যক্তিবাচক ও আত্মবাচক সর্বনামের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: ব্যক্তিবাচক সর্বনাম ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণীর পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়, যেমন: আমি, তুমি, সে। অন্যদিকে, আত্মবাচক সর্বনাম নিজের বা আত্মের প্রতি নির্দেশ করে, যেমন: নিজ, স্বয়ং।
প্রশ্ন ৩: অনির্দিষ্টবাচক সর্বনামের উদাহরণ দিন।
উত্তর: অনির্দিষ্টবাচক সর্বনামের উদাহরণ হলো: কেউ, কিছু, একজন, অনেকে। এগুলো কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুকে না বুঝিয়ে সাধারণভাবে বোঝায়।
প্রশ্ন ৪: সাপেক্ষবাচক সর্বনাম কীভাবে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: সাপেক্ষবাচক সর্বনাম দুটি বাক্যকে সংযোগ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ: যে পরিশ্রম করে, সে সফল হয়। এখানে “যে” এবং “সে” দুটি বাক্যকে যুক্ত করেছে।
প্রশ্ন ৫: সর্বনাম চেনার সহজ উপায় কী?
উত্তর: সর্বনাম চেনার সহজ উপায় হলো বাক্যে দেখা যে, কোনো বিশেষ্য পদের পরিবর্তে কোনো শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে কিনা। যদি কোনো শব্দ বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়, তবে সেটিই সর্বনাম।
সর্বনামের ভুল ব্যবহার ও তার প্রতিকার (Common Mistakes and Solutions)
অনেক সময় আমরা সর্বনাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু ভুল করে থাকি। নিচে কয়েকটি সাধারণ ভুল এবং তার প্রতিকার আলোচনা করা হলো:
-
লিঙ্গ এবং বচনের ভুল: সর্বনাম ব্যবহারের সময় লিঙ্গ এবং বচন ঠিক না রাখলে বাক্যটি ভুল হতে পারে।
- ভুল: “ছেলেটি বলল যে সে যাবে।” (এখানে “সে” এর জায়গায় “তিনি” হওয়া উচিত ছিল যদি ছেলেটি সম্মানী ব্যক্তি হয়)
- সঠিক: “ছেলেটি বলল যে তিনি যাবেন।”
-
সাপেক্ষ সর্বনামের ভুল ব্যবহার: সাপেক্ষ সর্বনামের সঠিক ব্যবহার না জানলে বাক্যটি অসম্পূর্ণ মনে হতে পারে।
- ভুল: “যে কাজটি করেছে, সে ভালো।”
- সঠিক: “যে কাজটি করেছে, সে ভালো ছেলে।”
-
অপ্রয়োজনীয় সর্বনাম ব্যবহার: অনেক সময় বাক্যে অপ্রয়োজনীয় সর্বনাম ব্যবহার করলে বাক্যটি জটিল হয়ে যায়।
* *ভুল:* "আমি নিজে কাজটি করেছি।"
* *সঠিক:* "আমি কাজটি করেছি।" (এখানে "নিজে" শব্দটি অপ্রয়োজনীয়)
শেষ কথা
“প্রনউন কাকে বলে কত প্রকার” – এই আলোচনা থেকে আমরা জানলাম, সর্বনাম ভাষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শুধু ব্যাকরণের নিয়ম নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কথা বলার এবং লেখার ক্ষেত্রে অপরিহার্য। সর্বনামের সঠিক ব্যবহার ভাষাকে সুন্দর ও সহজ করে তোলে।
আশা করি, এই ব্লগ পোস্টটি আপনাকে সর্বনাম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিতে পেরেছে। ব্যাকরণের এই মজার জগতে আরও কিছু জানতে চান? নিচে কমেন্ট করে জানান, আর হ্যাঁ, লেখাটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না!