আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আত্মীয়-স্বজন! শব্দটা শুনলেই যেন একটা মায়া, একটা ভালোবাসার অনুভূতি হয়, তাই না? কিন্তু সব আত্মীয় তো আর একরকম হয় না। কিছু আত্মীয় আছেন, যারা শুধু নিজের স্বার্থ বোঝেন। তাদের কাছে সম্পর্কের চেয়ে নিজের লাভটাই বড়। এমন স্বার্থপর আত্মীয়-স্বজন নিয়ে আমরা অনেকেই কম-বেশি ভুক্তভোগী। এই অভিজ্ঞতাগুলো খুবই কষ্টের, তাই না? আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা স্বার্থপর আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে কিছু কথা বলবো, তাদের চেনার উপায় জানবো এবং এই পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেওয়া যায়, সে সম্পর্কেও আলোচনা করবো। তাহলে, চলুন শুরু করা যাক!
১০০+স্বার্থপর আত্মীয় স্বজন নিয়ে উক্তি
কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস কোরো না। এমনকি তোমার ছায়াও অন্ধকারে তোমাকে ছেড়ে যায়।
আপন যখন পর হয়, তখন নীরবতাই শ্রেয়।
স্বার্থ যেখানে শেষ, ভালবাসা সেখানে বন্দী।
কিছু মানুষ আছে যারা মিষ্টি কথা বলে আপন করে, আবার তারাই সুযোগ বুঝে আঘাত করে।
যাদের কাছে আপনি মূল্যহীন, তাদের পেছনে সময় দেওয়া বোকামি।
পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো, স্বার্থপর মানুষের মন বোঝা।
কিছু সম্পর্কের সংজ্ঞা শুধু প্রয়োজন আর সুযোগ।
নীরবতাই সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ, যখন কেউ তোমার মূল্য বোঝে না।
স্বার্থপর মানুষেরা শুধু নিজের জয় চায়, অন্যের পরাজয় দেখে আনন্দ পায়।
জীবনে কিছু মানুষ আসে শুধু ব্যবহার করতে, ভালোবাসতে নয়।
আপন মানুষ যখন স্বার্থপর হয়, তখন বেঁচে থাকাটাই কঠিন হয়ে যায়।
যাদের মনে স্বার্থ, তাদের মিষ্টি কথায় ভুলবেন না।
কিছু আত্মীয় শুধু রক্তের সম্পর্কে বাঁধা, মনের সম্পর্কে নয়।
স্বার্থপরতা মানুষের ভেতরের রূপ দেখিয়ে দেয়।
কাছের মানুষের কাছ থেকে পাওয়া আঘাত সহজে ভোলা যায় না।
যারা শুধু প্রয়োজনে আপন, তারা আসলে কেউ নয়।
স্বার্থপর মানুষগুলো সম্পর্কের মর্যাদা দিতে জানে না।
আপনজনের খারাপ ব্যবহার মনে অনেক কষ্ট দেয়।
কিছু মানুষ নিজের প্রয়োজনে অন্যকে ব্যবহার করে ফেলে দেয়।
স্বার্থপর আত্মীয়ের চেয়ে একা থাকা অনেক ভালো।
যে সবসময় নিজের সুবিধা খোঁজে, সে কখনো আপন হতে পারে না।
যাদের মনে অন্যের জন্য ভালোবাসা নেই, তারা শুধু অভিনয় করে।
স্বার্থপর মানুষেরা সবসময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকে।
কিছু সম্পর্ক শুধু নামে আপন, আসলে তারা অনেক দূরের।
আপন মানুষ যখন পর হয়ে যায়, তখন সবকিছু অর্থহীন লাগে।
স্বার্থপরতা একটি বিষ, যা সম্পর্ককে নষ্ট করে দেয়।
যাদের মনে ভালোবাসা কম, স্বার্থ বেশি, তাদের থেকে দূরে থাকুন।
কিছু মানুষ শুধু আপনার দুর্বলতার সুযোগ নেবে, সাহায্য করবে না।
স্বার্থপর আত্মীয়ের মিষ্টি কথা বিশ্বাস করা বোকামি।
আপন মানুষ যখন কষ্ট দেয়, তখন নিজেকে অসহায় লাগে।
যারা শুধু নিজের কথা ভাবে, তারা কখনো ভালো বন্ধু হতে পারে না।
স্বার্থপরতা মানুষকে অন্ধ করে দেয়।
কিছু সম্পর্ক শুধু দেওয়ার জন্য, পাওয়ার জন্য নয়।
আপন মানুষ যখন আঘাত করে, তখন কোথায় যাবো খুঁজে পাওয়া যায় না।
স্বার্থপর মানুষেরা কখনো সুখী হতে পারে না।
যাদের মনে দয়া নেই, তারা শুধু স্বার্থ বোঝে।
কিছু মানুষ শুধু আপনার সাফল্যের গল্প শুনতে চায়, কষ্টের নয়।
স্বার্থপর আত্মীয়ের সাথে সম্পর্ক রাখা কঠিন।
আপন মানুষ যখন বদলে যায়, তখন খুব কষ্ট হয়।
যারা শুধু নিজের লাভ খোঁজে, তারা কখনো আপন নয়।
স্বার্থপরতা একটি অভিশাপ।
কিছু সম্পর্ক শুধু অভিনয়, বাস্তবতা নয়।
আপন মানুষ যখন দূরে চলে যায়, তখন জীবনটা ফাঁকা লাগে।
স্বার্থপর মানুষেরা কখনো কারো আপন হতে পারে না।
যাদের মনে হিংসা, তারা কখনো ভালোবাসতে পারে না।
কিছু মানুষ শুধু আপনার ভালো সময়ে পাশে থাকবে, খারাপ সময়ে নয়।
স্বার্থপর আত্মীয়ের সাথে কথা বলাও কষ্টের।
আপন মানুষ যখন বিশ্বাসঘাতকতা করে, তখন বিশ্বাস ভেঙে যায়।
যারা শুধু নিজের স্বার্থ দেখে, তারা কখনো মানুষ হতে পারে না।
স্বার্থপরতা একটি রোগ, যা মনকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়।
কিছু সম্পর্ক শুধু নামে সম্পর্ক, আসলে তা বোঝা।
আপন মানুষ যখন ভুল বোঝে, তখন নিজেকে একা লাগে।
স্বার্থপর মানুষেরা কখনো ক্ষমা করতে জানে না।
যাদের মনে ঘৃণা, তারা কখনো শান্তি পায় না।
কিছু মানুষ শুধু আপনার দুর্বলতার সুযোগ নেবে, এগিয়ে যেতে দেবে না।
স্বার্থপর আত্মীয়ের সাথে হাসি মুখে কথা বলাও কষ্টের।
আপন মানুষ যখন পর হয়ে যায়, তখন সবকিছু এলোমেলো লাগে।
যারা শুধু নিজের জয় চায়, অন্যের পরাজয় দেখে খুশি হয়, তারা স্বার্থপর।
স্বার্থপরতা একটি অন্ধকার, যা সবকিছু গ্রাস করে।
কিছু সম্পর্ক শুধু স্বার্থের জাল, ভালোবাসার বাঁধন নয়।
আপন মানুষ যখন কষ্ট দেয়, তখন কোথায় পালাবো খুঁজে পাওয়া যায় না।
স্বার্থপর মানুষেরা কখনো সম্মান পেতে পারে না।
যাদের মনে লোভ, তারা কখনো সুখী হতে পারে না।
কিছু মানুষ শুধু আপনার সম্পদ চায়, সম্পর্ক নয়।
স্বার্থপর আত্মীয়ের সাথে বসবাস করা কষ্টের।
আপন মানুষ যখন আঘাত করে, তখন বেঁচে থাকাই দায় হয়ে পড়ে।
যারা শুধু নিজের কথা ভাবে, তারা কখনো ভালো মানুষ হতে পারে না।
স্বার্থপরতা একটি পাপ।
কিছু সম্পর্ক শুধু দেখানোর জন্য, ভালোবাসার জন্য নয়।
আপন মানুষ যখন দূরে সরে যায়, তখন জীবনটা থেমে যায়।
স্বার্থপর মানুষেরা কখনো কারো উপকার করতে পারে না।
যাদের মনে অহংকার, তারা কখনো ছোট হতে পারে না।
কিছু মানুষ শুধু আপনার ভুল ধরতে পারে, ভালো কিছু দেখতে পায় না।
স্বার্থপর আত্মীয়ের সাথে সময় কাটানোও বিরক্তিকর।
আপন মানুষ যখন ছেড়ে যায়, তখন সবকিছু শূন্য লাগে।
যারা শুধু নিজের স্বার্থ বোঝে, তারা কখনো বন্ধু হতে পারে না।
স্বার্থপরতা একটি ছলনা।
কিছু সম্পর্ক শুধু প্রয়োজন মেটানোর জন্য, হৃদয়ের টানে নয়।
আপন মানুষ যখন কষ্ট দেয়, তখন কান্না ছাড়া আর কিছু করার থাকে না।
স্বার্থপর মানুষেরা কখনো দয়া দেখাতে জানে না।
যাদের মনে হিংসা, তারা কখনো শান্তি দিতে পারে না।
কিছু মানুষ শুধু আপনার পেছনে কথা বলবে, সামনে নয়।
স্বার্থপর আত্মীয়ের সাথে হাসিমুখে কথা বলাও অভিনয়।
আপন মানুষ যখন বিশ্বাসঘাতকতা করে, তখন জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
যারা শুধু নিজের স্বার্থ দেখে, তারা কখনো মানুষের মতো মানুষ হতে পারে না।
স্বার্থপরতা একটি অন্ধকার গর্ত।
কিছু সম্পর্ক শুধু বাধ্যবাধকতা, ভালোবাসার উৎস নয়।
আপন মানুষ যখন দূরে সরে যায়, তখন সবকিছু মূল্যহীন মনে হয়।
স্বার্থপর মানুষেরা কখনো কারো বিশ্বাস অর্জন করতে পারে না।
যাদের মনে লোভ, তারা কখনো তৃপ্ত হতে পারে না।
কিছু মানুষ শুধু আপনার কাছ থেকে নিতে জানে, দিতে নয়।
স্বার্থপর আত্মীয়ের সাথে বসবাস করা নরকের সমান।
আপন মানুষ যখন আঘাত করে, তখন মনে হয় যেন মৃত্যু কাছাকাছি।
যারা শুধু নিজের কথা ভাবে, তারা কখনো অন্যের কষ্ট বোঝে না।
স্বার্থপরতা একটি ধ্বংসাত্মক শক্তি।
কিছু সম্পর্ক শুধু লোক দেখানো, আন্তরিকতা নেই।
আপন মানুষ যখন ছেড়ে যায়, তখন সবকিছু অন্ধকার লাগে।
স্বার্থপর মানুষেরা কখনো কারো স্বপ্ন পূরণ করতে সাহায্য করে না।
যাদের মনে অহংকার, তারা কখনো কারো কাছে প্রিয় হতে পারে না।
কিছু মানুষ শুধু আপনার ভুল খুঁজে বের করে, ভালো কাজের প্রশংসা করে না।
স্বার্থপর আত্মীয়ের সাথে সময় কাটানো অর্থহীন।
আপন মানুষ যখন বিশ্বাসঘাতকতা করে, তখন জীবনের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে যায়।
স্বার্থপর আত্মীয় স্বজন: চেনার উপায় এবং বাঁচার কৌশল
স্বার্থপর আত্মীয়-স্বজন চেনা কিন্তু খুব কঠিন কিছু না। একটু খেয়াল করলেই তাদের কিছু বৈশিষ্ট্য ধরা পড়ে।
স্বার্থপর আত্মীয় চেনার কয়েকটি উপায়
- সব সময় নিজের সুবিধা খোঁজা: এই ধরনের আত্মীয়রা সবসময় নিজেদের সুবিধা আগে দেখেন। তারা কোনো কাজ করার আগে ভাবেন, এতে তাদের কী লাভ হবে।
- শুধু প্রয়োজনে যোগাযোগ: তারা শুধু প্রয়োজনে আপনার সাথে যোগাযোগ করবেন। যখন তাদের কিছু দরকার হবে, তখন তারা খুব মিষ্টি করে কথা বলবেন, কিন্তু কাজ শেষ হয়ে গেলে আর খবর নেবেন না।
- অন্যের অনুভূতিকে পাত্তা না দেওয়া: তারা অন্যের কষ্ট বা সমস্যা বুঝতেই চান না। সবসময় নিজেদের কথা বলেন এবং অন্যের কথা শুনতে তাদের কোনো আগ্রহ থাকে না।
- সব বিষয়ে অভিযোগ করা: এই ধরনের আত্মীয়রা সব কিছু নিয়েই অভিযোগ করেন। কোনো কিছুতেই তারা খুশি হতে পারেন না এবং সবসময় অন্যদের দোষ দেন।
- শুধু নিতে চাওয়া, দিতে নয়: তারা সবসময় আপনার কাছ থেকে কিছু না কিছু আশা করেন, কিন্তু বিনিময়ে কিছুই দিতে চান না।
স্বার্থপর আত্মীয়দের কারণে কি কি সমস্যা হতে পারে?
স্বার্থপর আত্মীয়-স্বজন আমাদের জীবনে অনেক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাদের কারণে মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং হতাশা বাড়তে পারে। এছাড়াও, তারা আমাদের আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে এবং সম্পর্কের প্রতি বিতৃষ্ণা তৈরি করতে পারে।
- মানসিক অশান্তি সৃষ্টি করে।
- সম্পর্কের প্রতি অনীহা তৈরি হয়।
- আত্মবিশ্বাসে আঘাত হানে।
- সবসময় একটা নেতিবাচক চিন্তা থাকে।
- নিজের ভালো লাগা, খারাপ লাগাগুলো শেয়ার করা যায় না।
স্বার্থপর আত্মীয় স্বজন নিয়ে কিছু প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন (FAQs)
স্বার্থপর আত্মীয় স্বজন নিয়ে আমাদের মনে অনেক প্রশ্ন জাগে। এখানে কয়েকটি সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:
“কিভাবে বুঝবো আমার আত্মীয় স্বার্থপর?”
তাদের আচরণ এবং ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার আত্মীয় স্বার্থপর কিনা। যদি দেখেন তারা কেবল নিজের স্বার্থের কথা ভাবেন, প্রয়োজনে ছাড়া আপনার সাথে যোগাযোগ করেন না, এবং আপনার অনুভূতিকে সম্মান করেন না, তাহলে বুঝবেন তারা স্বার্থপর।
“স্বার্থপর আত্মীয়দের সাথে কেমন ব্যবহার করা উচিত?”
তাদের সাথে একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখুন। তাদের থেকে বেশি কিছু আশা করবেন না এবং তাদের সাথে খুব বেশি ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা থেকে বিরত থাকুন।
“আমি কি আমার স্বার্থপর আত্মীয়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবো?”
এটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। যদি সেই সম্পর্কের কারণে আপনার জীবনে খুব বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, তাহলে সম্পর্ক ছিন্ন করাই ভালো। তবে সম্পর্ক ছিন্ন করার আগে ভালোভাবে চিন্তা করে দেখুন।
“স্বার্থপর আত্মীয়দের পরিবর্তন করা কি সম্ভব?”
সাধারণত স্বার্থপর মানুষদের পরিবর্তন করা খুব কঠিন। কারণ তারা নিজেদের ভুল বুঝতে চান না। তবে আপনি চেষ্টা করতে পারেন তাদের সাথে সরাসরি কথা বলে আপনার অনুভূতির কথা জানাতে। কিন্তু খুব বেশি আশা না করাই ভালো।
“কিভাবে আমি নিজেকে স্বার্থপর আত্মীয়দের থেকে রক্ষা করবো?”
নিজেকে রক্ষা করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন। যেমন – নিজের মানসিক স্বাস্থ্যকে prioritise করা, তাদের থেকে দূরে থাকা এবং নিজের জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখা।
স্বার্থপর আত্মীয় স্বজনের সাথে সম্পর্ক সামলানোর কিছু টিপস
স্বার্থপর আত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা কঠিন, কিন্তু কিছু কৌশল অবলম্বন করলে এই পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব। এখানে কিছু টিপস দেওয়া হলো:
- সীমানা নির্ধারণ করুন: আপনার ব্যক্তিগত এবং মানসিক শান্তির জন্য একটা সীমা নির্ধারণ করুন। তাদের অযৌক্তিক দাবি বা অনুরোধগুলো সরাসরি প্রত্যাখ্যান করুন।
- কম যোগাযোগ রাখুন: তাদের সাথে কম যোগাযোগ রাখলে আপনার মানসিক চাপ কমবে। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় বিষয়েই কথা বলুন।
- নিজের অনুভূতি প্রকাশ করুন: যদি তাদের কোনো আচরণে আপনি কষ্ট পান, তবে তা সরাসরি তাদের জানান। তবে শান্তভাবে এবং যুক্তি দিয়ে কথা বলুন।
- আশা কম রাখুন: তাদের কাছ থেকে বেশি কিছু আশা করবেন না। তারা হয়তো আপনার প্রয়োজনে এগিয়ে আসবেন না, তাই নিজের কাজ নিজেকেই করতে হবে, সেই প্রস্তুতি রাখুন।
- মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিন: নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। নিয়মিত বিশ্রাম নিন, নিজের পছন্দের কাজ করুন এবং প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
টেবিল: স্বার্থপর আত্মীয় এবং অ-স্বার্থপর আত্মীয়ের মধ্যে পার্থক্য
বৈশিষ্ট্য | স্বার্থপর আত্মীয় | অ-স্বার্থপর আত্মীয় |
---|---|---|
যোগাযোগের উদ্দেশ্য | শুধু নিজের প্রয়োজনে যোগাযোগ করে | নিয়মিত যোগাযোগ রাখে, খোঁজ খবর নেয় |
অন্যের প্রতি সহানুভূতি | অন্যের অনুভূতি বোঝে না | অন্যের দুঃখে সমব্যথী হয় |
সাহায্য করার মনোভাব | শুধু নিজের স্বার্থ দেখলে সাহায্য করে, না হলে না | সবসময় সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকে |
অভিযোগ করার প্রবণতা | সবসময় অভিযোগ করে, কোনো কিছুতেই সন্তুষ্ট নয় | ইতিবাচক মনোভাব রাখে, সহজে অভিযোগ করে না |
দেওয়ার মানসিকতা | শুধু নিতে চায়, দিতে চায় না | সবসময় দিতে প্রস্তুত থাকে |
বাস্তব জীবনে স্বার্থপর আত্মীয় স্বজন: একটি উদাহরণ
ধরুন, আপনার এক চাচা আছেন, যিনি শুধুমাত্র আপনার পরিবারের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য চান। যখন তার টাকার দরকার হয়, তখন তিনি খুব মিষ্টি করে কথা বলেন এবং নানা ধরনের গল্প তৈরি করেন। কিন্তু যখন আপনার পরিবারের কোনো সমস্যা হয়, তখন তিনি কোনো সাহায্য করেন না, এমনকি খবরও নেন না। এই ধরনের আচরণ দেখলে বোঝা যায় তিনি একজন স্বার্থপর আত্মীয়।
এই পরিস্থিতিতে আপনার করণীয় কি?
- প্রথমে, তার সাথে সরাসরি কথা বলুন এবং আপনার অনুভূতির কথা জানান।
- দ্বিতীয়ত, তাকে আর্থিক সাহায্য করার আগে ভালোভাবে চিন্তা করুন এবং দেখুন আপনার সামর্থ্য আছে কিনা।
- তৃতীয়ত, তার থেকে একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখুন, যাতে তিনি আপনার জীবনের উপর বেশি প্রভাব ফেলতে না পারেন।
স্বার্থপর আত্মীয় স্বজন থেকে দূরে থাকার কিছু উপায়
স্বার্থপর আত্মীয়-স্বজন থেকে দূরে থাকা সবসময় সম্ভব না হলেও, কিছু কৌশল অবলম্বন করে আপনি তাদের নেতিবাচক প্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন।
- নিজের একটি শক্তিশালী মানসিক গণ্ডি তৈরি করুন: নিজের চারপাশে এমন একটা মানসিক গণ্ডি তৈরি করুন, যাতে তাদের নেতিবাচক কথা বা আচরণ আপনাকে স্পর্শ করতে না পারে।
- ইতিবাচক মানুষের সাথে সময় কাটান: এমন বন্ধুদের সাথে সময় কাটান, যারা আপনাকে ভালোবাসে এবং আপনার মূল্য দেয়।
- নিজের শখগুলো পূরণ করুন: নিজের পছন্দের কাজগুলো করুন, যা আপনাকে আনন্দ দেয় এবং মানসিক শান্তি এনে দেয়।
- ব্যায়াম এবং যোগা করুন: নিয়মিত ব্যায়াম এবং যোগা করলে আপনার মন ও শরীর ভালো থাকবে, যা আপনাকে মানসিক চাপ মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে।
টেবিল: কিভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন
পদক্ষেপ | বিবরণ |
---|---|
মানসিক গণ্ডি তৈরি | নিজের চারপাশে একটি অদৃশ্য দেয়াল তৈরি করুন, যা আপনাকে নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষা করবে |
ইতিবাচক মানুষের সাথে মেশা | এমন বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটান, যারা আপনাকে উৎসাহিত করে এবং আপনার পাশে থাকে |
শখ পূরণ করা | নিজের পছন্দের কাজগুলো করুন, যেমন – বই পড়া, গান শোনা, ছবি আঁকা অথবা বাগান করা |
ব্যায়াম এবং যোগা | নিয়মিত ব্যায়াম এবং যোগা করলে মানসিক চাপ কমে এবং মন শান্ত থাকে |
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ | যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তবে একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন |
শেষ কথা
স্বার্থপর আত্মীয়-স্বজন আমাদের জীবনের একটা কঠিন বাস্তবতা। তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা বা না রাখা একটি জটিল সিদ্ধান্ত। তবে নিজের মানসিক শান্তি এবং সুখের জন্য সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। মনে রাখবেন, আপনি একা নন। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই পড়েন। তাই হতাশ না হয়ে নিজের জন্য সঠিক পথটি বেছে নিন।
আশা করি, আজকের ব্লগ পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং কিছুটা হলেও সাহায্য করতে পেরেছে। আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন কমেন্ট বক্সে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ!