শুরু করছি টারশিয়ারি যুগের রোমাঞ্চকর যাত্রা!
আচ্ছা, আপনি কি কখনো ভেবেছেন, এই যে পাহাড়, পর্বত, আর আমাদের চারপাশের ভূ-প্রকৃতি, এগুলো কীভাবে তৈরি হলো? অথবা, ডাইনোসরদের রাজত্বের পর পৃথিবীতে কী কী পরিবর্তন এসেছিল? এই সব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে এক বিশেষ ভূতাত্ত্বিক সময়ে – টারশিয়ারি যুগে। চলুন, আজ আমরা টারশিয়ারি যুগ (Tertiary Jug) নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি।
টারশিয়ারি যুগ: পৃথিবীর ইতিহাসে এক সোনালী অধ্যায়
টারশিয়ারি যুগ হলো সেই সময়, যখন পৃথিবী ধীরে ধীরে আধুনিক রূপ নিতে শুরু করে। প্রায় ৬ কোটি ৬০ লক্ষ বছর আগে ক্রিটেসিয়াস যুগের শেষ হওয়ার পর থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ বছর আগে কোয়াটার্নারি যুগের শুরু পর্যন্ত এই সময়কাল বিস্তৃত। এই সময়টি ছিল স্তন্যপায়ী প্রাণীদের উত্থান এবং আধুনিক উদ্ভিদের বিকাশের যুগ। শুধু তাই নয়, আমাদের অতি পরিচিত হিমালয় পর্বতমালার সৃষ্টিও এই সময়েই শুরু হয়েছিল!
টারশিয়ারি যুগ আসলে কী?
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, টারশিয়ারি যুগ হলো ভূতত্ত্বের ইতিহাসে সেই অধ্যায়, যেখানে ডাইনোসরদের যুগ শেষ হওয়ার পর স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বিকাশ শুরু হয়। এই সময়কালে পৃথিবীর জলবায়ু, ভূ-প্রকৃতি এবং জীববৈচিত্র্যে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে।
সময়কাল এবং বিভাজন
টারশিয়ারি যুগকে কয়েকটি উপযুগে ভাগ করা হয়েছে, যা নিচে দেওয়া হলো:
- প্যালিওসিন (Paleocene): ৬.৬ কোটি বছর থেকে ৫.৬ কোটি বছর আগে।
- ইওসিন (Eocene): ৫.৬ কোটি বছর থেকে ৩.৪ কোটি বছর আগে।
- অলিগোসিন (Oligocene): ৩.৪ কোটি বছর থেকে ২.৩ কোটি বছর আগে।
- মায়োসিন (Miocene): ২.৩ কোটি বছর থেকে ৫৩ লক্ষ বছর আগে।
- প্লায়োসিন (Pliocene): ৫৩ লক্ষ বছর থেকে ২৫ লক্ষ বছর আগে।
এই প্রতিটি উপযুগে পৃথিবীর বুকে ঘটেছে নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
টারশিয়ারি যুগের প্রধান বৈশিষ্ট্য
টারশিয়ারি যুগকে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়? এর কিছু কারণ আলোচনা করা যাক:
- ভূ-আলোড়ন: এই সময়ে আল্পস, হিমালয়ের মতো বিশাল পর্বতমালা গঠিত হয়। পৃথিবীর ভূ-ত্বকে ব্যাপক পরিবর্তন আসে।
- জলবায়ুর পরিবর্তন: তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে, যা আধুনিক জলবায়ুর ভিত্তি স্থাপন করে।
- উদ্ভিদের বিকাশ: ঘাস এবং অন্যান্য আধুনিক উদ্ভিদের বিস্তার ঘটে, যা তৃণভোজী প্রাণীদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে।
- স্তন্যপায়ী প্রাণীদের উত্থান: ডাইনোসরদের বিলুপ্তির পর স্তন্যপায়ী প্রাণীরা দ্রুত বিকশিত হতে শুরু করে। ঘোড়া, হাতি, বানরসহ বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণীর উদ্ভব হয় এই সময়ে।
ভূ-আলোড়ন এবং পর্বতমালা সৃষ্টি
টারশিয়ারি যুগে পৃথিবীর টেকটোনিক প্লেটগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের ফলে অনেক নতুন পর্বতমালা সৃষ্টি হয়। ভারতীয় প্লেট এবং ইউরেশীয় প্লেটের সংঘর্ষের ফলে হিমালয় পর্বতমালা গঠিত হয়। আপনি যদি হিমালয়ের দিকে তাকান, তবে বুঝবেন প্রকৃতির কী বিশাল কর্মযজ্ঞ এই সময়কালে ঘটেছিল।
জলবায়ুর পরিবর্তন
এই সময়ে পৃথিবীর জলবায়ু ধীরে ধীরে শীতল হতে শুরু করে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে আসে এবং শীতপ্রধান অঞ্চলের বিস্তার ঘটে। এই পরিবর্তন উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
উদ্ভিদের বিস্তার
টারশিয়ারি যুগে ঘাস এবং অন্যান্য আধুনিক উদ্ভিদের বিস্তার ঘটে। এই পরিবর্তন তৃণভোজী প্রাণীদের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। কারণ, তারা ঘাস এবং অন্যান্য উদ্ভিদ খাওয়ার সুযোগ পায়।
টারশিয়ারি যুগে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বিপ্লব
ডাইনোসরদের বিলুপ্তির পর স্তন্যপায়ী প্রাণীরা দ্রুত বিকশিত হতে শুরু করে। এই সময়ে বিভিন্ন ধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণীর উদ্ভব হয়, যা পরবর্তীতে আধুনিক প্রাণীকুলের জন্ম দেয়।
বিভিন্ন প্রকার স্তন্যপায়ী প্রাণী
টারশিয়ারি যুগে ঘোড়া, হাতি, বানর, এবং অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর উদ্ভব হয়। এই সময়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্তন্যপায়ী প্রাণী হলো:
- প্রাচীন ঘোড়া (ইওহিপ্পাস): এটি ছিল আধুনিক ঘোড়ার পূর্বপুরুষ, যা আকারে ছোট ছিল।
- ম্যামথ: এই বিশাল আকারের হাতিগুলো ছিল বরফ যুগের অন্যতম প্রতিনিধি।
- বিভিন্ন প্রকার প্রাইমেট: এই সময়ে বানর এবং অন্যান্য প্রাইমেটদের উদ্ভব হয়, যা পরবর্তীতে মানুষের বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বিবর্তন এবং অভিযোজন
স্তন্যপায়ী প্রাণীরা তাদের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তন আনে। যেমন, তৃণভোজী প্রাণীরা শক্তিশালী দাঁত এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে, যা তাদের ঘাস এবং অন্যান্য উদ্ভিদ হজম করতে সাহায্য করে।
কেন টারশিয়ারি যুগ এত গুরুত্বপূর্ণ?
টারশিয়ারি যুগ আমাদের জন্য কেন এত গুরুত্বপূর্ণ, তা কয়েকটি পয়েন্টের মাধ্যমে আলোচনা করা হলো:
- আধুনিক ভূ-প্রকৃতির সৃষ্টি: এই সময়ে গঠিত পর্বতমালা এবং অন্যান্য ভূ-গঠন আজকের পৃথিবীর প্রাকৃতিক দৃশ্য তৈরি করেছে।
- জীববৈচিত্র্যের বিকাশ: স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং উদ্ভিদের বিকাশ আজকের জীববৈচিত্র্যের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
- জলবায়ু পরিবর্তন: টারশিয়ারি যুগের জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের আধুনিক জলবায়ু সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে।
- জীবাশ্মের সন্ধান: এই যুগের শিলাস্তরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জীবাশ্ম পাওয়া যায়, যা আমাদের পৃথিবীর ইতিহাস বুঝতে সাহায্য করে।
জীবাশ্মের গুরুত্ব
জীবাশ্ম (Fossils) হলো প্রাচীনকালের উদ্ভিদ ও প্রাণীর পাথর হয়ে যাওয়া দেহ বা তাদের ছাপ। টারশিয়ারি যুগের জীবাশ্মগুলো আমাদের সেই সময়ের জীবন এবং পরিবেশ সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। বিজ্ঞানীরা জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করে জানতে পারেন, সেই সময়কার প্রাণীরা কেমন ছিল, কী খেত এবং কীভাবে তারা পরিবর্তিত হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে টারশিয়ারি যুগ
বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতিতেও টারশিয়ারি যুগের প্রভাব বিদ্যমান। আমাদের দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের পাহাড়গুলো এই সময়েই গঠিত হয়েছে।
পাহাড় এবং টারশিয়ারি শিলা
সিলেট, চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়গুলো টারশিয়ারি যুগের শিলা দিয়ে গঠিত। এই শিলাগুলোতে বিভিন্ন প্রকার জীবাশ্ম পাওয়া যায়, যা আমাদের অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস জানতে সাহায্য করে।
প্রাকৃতিক সম্পদ
টারশিয়ারি যুগের শিলাস্তরে বাংলাদেশে কয়লা, গ্যাস এবং অন্যান্য খনিজ সম্পদ পাওয়া যায়। এই সম্পদগুলো আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কিছু সাধারণ প্রশ্ন (FAQ)
টারশিয়ারি যুগ নিয়ে মানুষের মনে কিছু সাধারণ প্রশ্ন প্রায়ই দেখা যায়। নিচে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:
টারশিয়ারি যুগের সময়কাল কত ছিল?
টারশিয়ারি যুগের সময়কাল ছিল প্রায় ৬ কোটি ৬৬ লক্ষ বছর থেকে ২৫ লক্ষ বছর আগে পর্যন্ত।
টারশিয়ারি যুগে কী কী প্রধান ঘটনা ঘটেছিল?
এই যুগে প্রধান ঘটনাগুলো হলো:
- হিমালয় এবং আল্পস পর্বতমালার সৃষ্টি।
- স্তন্যপায়ী প্রাণীদের দ্রুত বিকাশ।
- আধুনিক উদ্ভিদের বিস্তার।
- পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তন।
টারশিয়ারি যুগের গুরুত্বপূর্ণ স্তন্যপায়ী প্রাণী কী কী ছিল?
এই যুগের গুরুত্বপূর্ণ স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলো হলো:
- প্রাচীন ঘোড়া (ইওহিপ্পাস)।
- ম্যামথ।
- বিভিন্ন প্রকার প্রাইমেট (বানর)।
টারশিয়ারি যুগের জলবায়ু কেমন ছিল?
টারশিয়ারি যুগের শুরুতে জলবায়ু উষ্ণ ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে শীতল হতে শুরু করে।
টারশিয়ারি যুগের শিলার গুরুত্ব কী?
এই যুগের শিলাস্তরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জীবাশ্ম এবং খনিজ সম্পদ পাওয়া যায়, যা আমাদের পৃথিবীর ইতিহাস এবং অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কোয়াটার্নারি যুগ (Quaternary Period) কি?
কোয়াটার্নারি যুগ হলো টারশিয়ারি যুগের পরবর্তী সময়কাল, যা প্রায় ২৫ লক্ষ বছর আগে শুরু হয়েছে এবং এখনো চলছে। এই যুগে মানুষের উদ্ভব এবং বিকাশ ঘটে।
“টারশিয়ারি যুগে জলবায়ুর পরিবর্তনে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের উপর কেমন প্রভাব ফেলেছিল””?
টারশিয়ারি যুগে জলবায়ুর পরিবর্তনে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। এই সময়ে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে হ্রাস পাওয়ায় স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে অভিযোজন এবং বিবর্তন দেখা যায়। নিচে কয়েকটি প্রভাব উল্লেখ করা হলো:
১. শারীরিক পরিবর্তন: অনেক স্তন্যপায়ী প্রাণী তাদের শরীরে পরিবর্তন আনে, যেমন ঘন পশম গজানো বা শরীরে চর্বির স্তর তৈরি করা, যা তাদের ঠান্ডা আবহাওয়ায় টিকে থাকতে সাহায্য করে।
২. আকারের পরিবর্তন: কিছু স্তন্যপায়ী প্রাণী আকারে বড় হয়ে যায়, কারণ বড় শরীর তাপ ধরে রাখতে বেশি সক্ষম। আবার কিছু প্রাণী ছোট হয়ে যায় দ্রুত বংশবৃদ্ধির জন্য।
৩. অভিবাসন: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক স্তন্যপায়ী প্রাণী তাদের আবাসস্থল পরিবর্তন করে উষ্ণ অঞ্চলের দিকে চলে যায়।
৪. নতুন প্রজাতির উদ্ভব: প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার জন্য অনেক নতুন প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী উদ্ভব হয়।
৫. ** বিলুপ্তি:** যারা জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে পারেনি, তারা বিলুপ্ত হয়ে যায়।
“টারশিয়ারি যুগের শিলা কীভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধানে সাহায্য করে””?
টারশিয়ারি যুগের শিলা প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিচে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হলো:
১. কয়লা: টারশিয়ারি যুগের উদ্ভিদ ধীরে ধীরে পাথরের নিচে চাপা পড়ে কয়লায় রূপান্তরিত হয়। এই কারণে টারশিয়ারি শিলায় কয়লার স্তর পাওয়া যায়।
২. পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস: এই সময়ের সামুদ্রিক জীব এবং উদ্ভিদ শিলার নিচে চাপা পড়ে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসে রূপান্তরিত হয়। টারশিয়ারি শিলাস্তরে তাই তেল ও গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়।
৩. খনিজ সম্পদ: টারশিয়ারি শিলায় বিভিন্ন ধরনের খনিজ সম্পদ, যেমন চুনাপাথর, চীনামাটি, এবং অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী পাওয়া যায়।
৪. ভূগর্ভস্থ জল: টারশিয়ারি শিলাস্তর অনেক ক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ জলের ভাণ্ডার হিসেবে কাজ করে।
“টারশিয়ারি যুগে হিমালয় পর্বতমালা সৃষ্টির কারণ কী ছিল””?
টারশিয়ারি যুগে হিমালয় পর্বতমালা সৃষ্টির প্রধান কারণ ছিল ভারতীয় এবং ইউরেশীয় প্লেটের মধ্যে সংঘর্ষ। প্রায় ৫০ মিলিয়ন বছর আগে ভারতীয় প্লেট ইউরেশীয় প্লেটের সাথে ধাক্কা খায়। এই সংঘর্ষের ফলে শিলাস্তর ভাঁজ হয়ে উপরে উঠতে শুরু করে এবং হিমালয় পর্বতমালার সৃষ্টি হয়।
“টারশিয়ারি যুগে “ইওসিন” উপযুগের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী””?
ইওসিন (Eocene) উপযুগ টারশিয়ারি যুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
১. উষ্ণ জলবায়ু: ইওসিন যুগে পৃথিবীর তাপমাত্রা অনেক বেশি ছিল। মেরু অঞ্চলগুলোতেও বরফ ছিল না।
২. স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বিকাশ: এই সময়ে স্তন্যপায়ী প্রাণীরা দ্রুত বিকশিত হয় এবং বিভিন্ন প্রজাতিতে ছড়িয়ে পড়ে।
৩. প্রাচীন স্তন্যপায়ী প্রাণীর উদ্ভব: ঘোড়া, হাতি ও প্রাইমেটদের পূর্বপুরুষের উদ্ভব হয় এই সময়ে।
৪. উদ্ভিদের বিস্তার: গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের উদ্ভিদের বিস্তার ঘটে এবং নতুন প্রজাতির উদ্ভিদের উদ্ভব হয়।
৫. ভূ-আলোড়ন: এই সময়ে কিছু পর্বতমালা গঠিত হয় এবং পৃথিবীর ভূ-খণ্ডে পরিবর্তন আসে।
সুতরাং, টারশিয়ারি যুগ ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ।
উপসংহার
টারশিয়ারি যুগ আমাদের পৃথিবীর ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সময়ে পৃথিবীর ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু এবং জীববৈচিত্র্যে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছিল। এই পরিবর্তনগুলো আজকের আধুনিক পৃথিবীর ভিত্তি স্থাপন করেছে। আপনি যদি প্রকৃতি এবং পৃথিবীর ইতিহাস সম্পর্কে আগ্রহী হন, তবে টারশিয়ারি যুগ আপনার জন্য এক অসাধারণ জ্ঞানের ভান্ডার।
আশা করি, এই ব্লগ পোস্টটি আপনাকে টারশিয়ারি যুগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সাহায্য করেছে। আপনার যদি এই বিষয়ে আরও কিছু জানার থাকে, তবে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এছাড়াও, এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন, যাতে তারাও টারশিয়ারি যুগ সম্পর্কে জানতে পারে।
পরবর্তী ব্লগ পোস্টে আমরা অন্য কোনো ভূতাত্ত্বিক যুগ নিয়ে আলোচনা করব। ততদিন পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং প্রকৃতির রহস্য উদঘাটনে থাকুন!