জীবনটা অনেকটা নদীর মতো, আপন গতিতে বয়ে চলে। মাঝে মাঝে স্রোত কমে যায়, আসে উদাসীনতার ঢেউ। এই ঢেউগুলো যেমন কষ্টের, তেমনই জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। চারপাশের সবকিছু যখন মলিন লাগে, কোনো কিছুতেই মন বসে না, তখনই যেন উদাসীনতা গ্রাস করে। কিন্তু এই অনুভূতিকে জয় করে আবার নতুন করে শুরু করার মধ্যেই জীবনের আসল মাহাত্ম্য। চলুন, আজ আমরা উদাসীনতা নিয়ে কিছু কথা বলি, খুঁজি জীবনের নতুন মানে।
১০০+উদাসীনতা নিয়ে উক্তি ও স্ট্যাটাস
“কিছু ব্যথা নীরবে সইতে হয়, কিছু অনুভূতি লুকোতে হয়। এটাই জীবন, মাঝে মাঝে উদাসীনতার চাদরে মুখ ঢাকতে হয়।”
“পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো নিজেকে পরিবর্তন করা, আর সবচেয়ে সহজ কাজ হলো অন্যের সমালোচনা করা।”
“জীবনে যদি শান্তি চাও, তাহলে অন্যের কথা শুনে চলো না, নিজের মন যা বলে তাই শোনো।”
“কাউকে ভালোবাসার আগে নিজেকে ভালোবাসতে শেখো, কারণ তুমি ভালো না থাকলে অন্যকে ভালো রাখতে পারবে না।”
“মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল হলো, সে মনে করে তার সময় আছে।”
“স্বপ্ন সেটা নয় যেটা তুমি ঘুমিয়ে দেখো, স্বপ্ন সেটা যেটা তোমাকে ঘুমাতে দেয় না।”
“যে মানুষ কখনো ভুল করে না, সে জীবনে কিছুই নতুন করে চেষ্টা করে না।”
“নিজেকে দুর্বল ভেবো না, তোমার মধ্যে অসীম সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে।”
“সময় এবং স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না।”
“জীবনে সুখী হতে চাও? তাহলে অন্যের সুখ দেখে হিংসা না করে আনন্দিত হতে শেখো।”
“যার মনে শান্তি নেই, তার কাছে পৃথিবীর সব সুখও মূল্যহীন।”
“জীবনে একা হাঁটা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়।”
“নিজেকে জানো, তবে জাহির করো না।”
“সবাই তোমাকে কষ্ট দেবে, কিন্তু তোমাকে বেছে নিতে হবে কার কষ্ট তুমি সহ্য করবে।”
“পৃথিবীতে স্থায়ী বলতে কিছুই নেই, তাই কোনো কিছু নিয়ে বেশি চিন্তা করে লাভ নেই।”
“জীবনে ঝুঁকি নিতে শেখো, কারণ যে ঝুঁকি নেয় না, সে কখনো জেতে না।”
“নিজেকে ভালোবাসো, নিজের যত্ন নাও, কারণ তুমিই তোমার জীবনের সেরা বন্ধু।”
“আলো আসবেই, অন্ধকার যতই গভীর হোক না কেন।”
“জীবনে সবকিছু সহজে পাওয়া যায় না, কিছু জিনিস অর্জন করতে হয়।”
“তুমি যদি বিশ্বাস করো তুমি পারবে, তাহলে তুমি পারবেই।”
“মনের জোর থাকলে পাহাড়ও সরানো যায়।”
“নিজের উপর বিশ্বাস রাখো, একদিন তুমি সফল হবেই।”
“জীবনে হাসি-খুশি থাকাটা খুব জরুরি, তাই মন খুলে হাসো।”
“কাউকে ছোট করে দেখো না, কারণ সবাই নিজের জায়গায় সেরা।”
“জীবন একটাই, তাই এটাকে উপভোগ করো।”
“যা হারিয়ে গেছে, তা নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই, ভবিষ্যতের দিকে তাকাও।”
“তুমি যা ভাবছো, তুমি তার থেকেও অনেক বেশি শক্তিশালী।”
“জীবনে কখনো হাল ছেড়ো না।”
“সফলতা একদিনে আসে না, এর জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।”
“অন্যের জন্য বাঁচো, দেখবে জীবনটা কত সুন্দর।”
“সব কষ্ট দূর হয়ে যাবে, শুধু একটু ধৈর্য ধরো।”
“তুমি একা নও, আমি আছি তোমার সাথে।”
“নিজের স্বপ্নকে সত্যি করার জন্য সবকিছু করতে রাজি থাকো।”
“জীবন মানেই যুদ্ধ, আর এই যুদ্ধে তোমাকে জিততেই হবে।”
“কাউকে ঘৃণা করে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করো না।”
“সবাইকে ক্ষমা করে দাও, দেখবে মন হালকা হয়ে গেছে।”
“তুমি যেমন, তেমনই সুন্দর।”
“নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নাও।”
“অতীতকে ভুলে যাও, ভবিষ্যতের দিকে তাকাও।”
“নিজেকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করো, দেখবে সবকিছু বদলে গেছে।”
“জীবনে নতুন কিছু করার চেষ্টা করো।”
“অন্যের সাহায্য করো, দেখবে তোমার মন ভরে গেছে।”
“সব সময় ইতিবাচক থেকো।”
“জীবনে আনন্দ খুঁজে বের করো।”
“নিজের প্রতি সৎ থেকো।”
“কাউকে ঠকিও না।”
“সবাইকে সম্মান করো।”
“নিজের কাজটা মন দিয়ে করো।”
“জীবনে বড় হও।”
“সফলতা তোমার কাছে আসবেই।”
“স্বপ্ন দেখো, স্বপ্ন পূরণ করো।”
“জীবন সুন্দর, উপভোগ করো।”
“নিজেকে ভালোবাসো, ভালো থেকো।”
“একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।”
“তুমি পারবেই, এগিয়ে যাও।”
“হাল ছেড়ো না বন্ধু।”
“আলো আসবেই।”
“নতুন দিনের অপেক্ষায় থাকো।”
“সব বাধা পেরিয়ে যাবে।”
“তুমিই সেরা।”
“নিজের উপর বিশ্বাস রাখো।”
“হাসিমুখে বাঁচো।”
“মনের কথা শোনো।”
“নিজেকে সময় দাও।”
“জীবনকে ভালোবাসো।”
“একদিন তুমিও হাসবে।”
“কষ্টগুলো ভুলে যাও।”
“নতুন করে শুরু করো।”
“তুমি একা নও।”
“আমি আছি তোমার সাথে।”
“আমরা সবাই আছি তোমার সাথে।”
“ভয় পেয়ো না।”
“সাহস রাখো।”
“এগিয়ে যাও।”
“জয় তোমার হবেই।”
“আলো ঝলমল দিন তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।”
“তুমি শুধু এগিয়ে যাও।”
“আমরা সবাই তোমার পাশে আছি।”
“তোমাকে পারতেই হবে।”
“নিজের জন্য বাঁচো।”
“নিজের স্বপ্নগুলো পূরণ করো।”
“দেখবে জীবনটা কত সুন্দর।”
“তুমি অনেক শক্তিশালী।”
“নিজেকে কখনো দুর্বল ভেবো না।”
“তুমিই পারবে সব।”
“আমরা বিশ্বাস করি তুমি পারবে।”
“এগিয়ে চলো, বন্ধু।”
“পথ তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।”
“আলো আসবেই, বিশ্বাস রাখো।”
“একদিন সব কষ্ট দূর হয়ে যাবে।”
“তুমি হাসবে, মন খুলে হাসবে।”
“সেই দিনের অপেক্ষায় থাকো।”
“আমরা সবাই সেই দিনের অপেক্ষায় আছি।”
“তোমার জয় অনিবার্য।”
“এগিয়ে যাও, জয় তোমার নিশ্চিত।”
“আমরা সবাই তোমার সাথে আছি।”
“তুমি পারবেই, এটা আমাদের বিশ্বাস।”
“নিজের উপর বিশ্বাস রাখো, আর এগিয়ে যাও।”
“সফলতা তোমার কাছে আসবেই।”
“জীবন সুন্দর, উপভোগ করো।”
উদাসীনতা কি এবং কেন হয়?
উদাসীনতা, সহজ ভাষায়, মনের মধ্যে কোনো কিছুতেই আগ্রহ বা উৎসাহ না থাকা। যখন কোনো কাজে আনন্দ পাওয়া যায় না, সবকিছু একঘেয়ে লাগে, তখন বুঝতে হবে আপনি উদাসীনতায় ভুগছেন।
এর কারণগুলো কি কি?
উদাসীনতার অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন:
- মানসিক চাপ: অতিরিক্ত কাজের চাপ বা দুশ্চিন্তা থেকে এটা হতে পারে।
- শারীরিক অসুস্থতা: দীর্ঘমেয়াদী কোনো রোগ বা শারীরিক দুর্বলতা থেকেও এমনটা হতে পারে।
- একাকীত্ব: বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের সদস্যদের থেকে দূরে থাকলে একাকীত্ব গ্রাস করে, যা উদাসীনতার জন্ম দেয়।
- ঘুমের অভাব: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর ও মন দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে কোনো কিছুতেই মনোযোগ থাকে না।
- নেতিবাচক চিন্তা: সবসময় খারাপ চিন্তা করলে মন খারাপ থাকে এবং ধীরে ধীরে আগ্রহ হারিয়ে যায়।
উদাসীনতা থেকে মুক্তির উপায়
উদাসীনতা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন মনে হলেও, কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করে আপনি এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন।
কিছু কার্যকরী উপায় নিচে দেওয়া হলো:
- নিজের জন্য সময় বের করুন: প্রতিদিন কিছু সময় নিজের জন্য রাখুন। পছন্দের কাজ করুন, যেমন বই পড়া, গান শোনা বা ছবি আঁকা।
- শারীরিক ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর ও মন সতেজ থাকে। যোগা, দৌড়ানো বা যেকোনো শারীরিক কার্যকলাপ আপনাকে চাঙ্গা রাখতে পারে।
- পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। ঘুমের অভাব শরীরকে দুর্বল করে তোলে।
- বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান: আপনজনদের সঙ্গে গল্প করুন, তাদের সঙ্গে ঘুরতে যান। এতে মন হালকা হবে এবং একাকীত্ব দূর হবে।
- নতুন কিছু শিখুন: নতুন কোনো ভাষা শিখতে পারেন, ছবি আঁকা শিখতে পারেন বা যেকোনো নতুন কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। নতুন কিছু শেখা মনকে ব্যস্ত রাখে এবং আগ্রহ বাড়ায়।
table উদাহরণ: দৈনন্দিন জীবনে পরিবর্তন এনে কিভাবে উদাসীনতা দূর করা যায়
উপায় | কিভাবে করবেন | উপকারিতা |
---|---|---|
নিজের জন্য সময় বের করা | প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট নিজের পছন্দের কাজ করুন। | মানসিক শান্তি ও আনন্দ দেয়। |
শারীরিক ব্যায়াম | প্রতিদিন সকালে বা বিকালে ৩০ মিনিটের জন্য হাঁটুন বা যোগা করুন। | শরীর ও মন সতেজ রাখে, ঘুমের উন্নতি ঘটায়। |
পর্যাপ্ত ঘুম | প্রতিদিন রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। | শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর করে। |
সামাজিক সম্পর্ক তৈরি করা | বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন এবং তাদের সঙ্গে সময় কাটান। | একাকীত্ব দূর করে এবং মানসিক সমর্থন জোগায়। |
নতুন কিছু শেখা | নতুন কোনো ভাষা, গান, বা যেকোনো শখের ক্লাসে ভর্তি হন। | মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং নতুন কিছু করার আগ্রহ তৈরি হয়। |
“মন খারাপ থাকলে কি করা উচিত?”
মন খারাপ থাকাটা স্বাভাবিক। মানুষের জীবনে হাসি-কান্না দুটোই থাকে। কিন্তু মন খারাপ থাকলে নিজেকে গুটিয়ে না নিয়ে কিছু কাজ করতে পারেন।
মন ভালো করার কিছু টিপস:
- প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলুন: আপনার কাছের বন্ধু বা পরিবারের কারো সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। এতে মনের ভেতরের কষ্ট হালকা হবে।
- গান শুনুন বা সিনেমা দেখুন: পছন্দের গান শুনলে বা সিনেমা দেখলে মন ভালো হয়ে যায়।
- প্রকৃতির কাছে যান: সবুজ গাছপালা ও প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখলে মন শান্ত হয়।
- ডায়েরি লিখুন: মনের কথাগুলো ডায়েরিতে লিখলে নিজেকে হালকা মনে হয়।
“কিভাবে নিজেকে শান্ত রাখা যায়?”
জীবনে চলার পথে অনেক বাধা আসে, যা মনকে অশান্ত করে তোলে। কিন্তু নিজেকে শান্ত রাখাটা খুব জরুরি।
- মেডিটেশন করুন: প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট মেডিটেশন করলে মন শান্ত হয় এবং মানসিক চাপ কমে।
- দীর্ঘ শ্বাস নিন: যখন মন খারাপ লাগে, তখন কয়েকবার গভীর শ্বাস নিন। এতে শরীর ও মন শান্ত হয়।
- ইতিবাচক চিন্তা করুন: নেতিবাচক চিন্তাগুলো মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন এবং ইতিবাচক চিন্তা করার চেষ্টা করুন।
- বর্তমান পরিস্থিতিতে মনোযোগ দিন: ভবিষ্যতের চিন্তা না করে বর্তমানে কী করতে পারেন, সেদিকে মনোযোগ দিন।
“জীবনে সুখী হওয়ার উপায়”
সুখী হওয়াটা আপেক্ষিক। কারো কাছে অনেক টাকা-পয়সা সুখ, আবার কারো কাছে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোই সুখ। তবে কিছু সাধারণ উপায় আছে, যা অবলম্বন করে আপনি জীবনে সুখী হতে পারেন।
সুখী হওয়ার কিছু টিপস:
- কৃতজ্ঞ থাকুন: আপনার জীবনে যা কিছু আছে, তার জন্য কৃতজ্ঞ থাকুন।
- অন্যকে সাহায্য করুন: অন্যের উপকার করলে মনে শান্তি আসে এবং ভালো লাগা কাজ করে।
- নিজের স্বপ্ন পূরণ করুন: নিজের লক্ষ্য স্থির করে সে অনুযায়ী কাজ করুন। স্বপ্ন পূরণ হলে মনে আনন্দ আসে।
- বর্তমানকে উপভোগ করুন: ভবিষ্যতের চিন্তা না করে বর্তমান মুহূর্তকে উপভোগ করুন।
“উদাসীনতা এবং বিষণ্ণতার মধ্যে পার্থক্য”
উদাসীনতা (Apathy) এবং বিষণ্ণতা (Depression) – এই দুটি অবস্থাকে অনেকেই গুলিয়ে ফেলেন, কিন্তু এদের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য আছে।
বৈশিষ্ট্য | উদাসীনতা (Apathy) | বিষণ্ণতা (Depression) |
---|---|---|
অনুভূতির অভাব | কোনো কিছুতে আগ্রহ বা অনুভূতির অভাব। | দুঃখ, হতাশা এবং আনন্দ বা আগ্রহ হারিয়ে ফেলা। |
কারণ | মস্তিষ্কের কার্যকারিতা, শারীরিক অসুস্থতা, মানসিক চাপ। | জিনগত কারণ, মস্তিষ্কের রাসায়নিক পরিবর্তন, আঘাতমূলক ঘটনা। |
দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব | কাজ বা শখের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া, সামাজিক সম্পর্ক থেকে দূরে থাকা। | দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে অসুবিধা, ঘুমের সমস্যা, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, আত্মহত্যার চিন্তা। |
চিকিৎসা | অন্তর্নিহিত কারণের চিকিৎসা, জীবনযাত্রার পরিবর্তন, থেরাপি। | ওষুধ, সাইকোথেরাপি (যেমন কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি), জীবনযাত্রার পরিবর্তন। |
উদাসীনতা সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট কারণের ফলস্বরূপ হতে পারে এবং এটি সাময়িক হতে পারে। অন্যদিকে, বিষণ্ণতা একটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, যা দীর্ঘস্থায়ী এবং চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। যদি আপনি মনে করেন আপনি বিষণ্ণতায় ভুগছেন, তবে একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
“স্ট্যাটাস দেওয়ার জন্য কিছু লাইন”
ফেসবুক বা অন্য কোনো সামাজিক মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেওয়ার জন্য কিছু লাইন নিচে দেওয়া হলো:
- “আজ মনটা একটু মেঘলা, কিন্তু জানি সূর্যের আলো আবার ফুটবেই।”
- “জীবনের পথে হাঁটতে গিয়ে মাঝে মাঝে থমকে যেতে হয়, কিন্তু থেমে থাকা নয়, আবার শুরু করাই জীবন।”
- “কিছু কথা বলার নেই, শুধু অনুভব করার আছে।”
- “একা থাকার মধ্যে এক ধরনের শান্তি আছে, যা ভিড়ে পাওয়া যায় না।”
- “নিজেকে ভালোবাসো, কারণ তুমিই তোমার জীবনের সেরা বন্ধু।”
- “পরিবর্তন প্রকৃতির নিয়ম, তাই সময়ের সঙ্গে নিজেকে બદલોতে শেখো।”
- “স্বপ্ন দেখতে ভয় পেয়ো না, কারণ স্বপ্নই তোমাকে বাঁচিয়ে রাখে।”
- “জীবনে হাসি-খুশি থাকাটা খুব জরুরি, তাই মন খুলে হাসো।”
- “কাউকে ছোট করে দেখো না, কারণ সবাই নিজের জায়গায় সেরা।”
- “জীবন একটাই, তাই এটাকে উপভোগ করো।”
“উদাসীনতা নিয়ে কিছু ছোট গল্প”
একদিন শুভ্র তার ঘরে বসে ছিল। চারপাশের সবকিছু তার কাছে অর্থহীন লাগছিল। কোনো কিছুতেই তার মন বসছিল না। অফিসের কাজ, বন্ধুদের আড্ডা, পরিবারের সঙ্গে গল্প – সবকিছুই তার কাছে বিরক্তিকর মনে হচ্ছিল।
শুভ্র বুঝতে পারছিল, সে উদাসীনতায় ভুগছে। সে ভাবল, এভাবে চললে তার জীবনটা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই সে সিদ্ধান্ত নিল, সে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসবে।
প্রথমত, শুভ্র নিজের জন্য সময় বের করা শুরু করল। সে প্রতিদিন সকালে পার্কে হাঁটতে যেত, গান শুনত এবং পছন্দের বই পড়ত। ধীরে ধীরে তার মনে পরিবর্তন আসতে শুরু করল।
এরপর, শুভ্র তার পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করল এবং তাদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া শুরু করল। বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করে তার মন হালকা হলো।
সবশেষে, শুভ্র একটি নতুন শখের ক্লাসে ভর্তি হলো। সে গিটার বাজানো শিখতে শুরু করল। নতুন কিছু শেখা তার মনকে ব্যস্ত রাখল এবং তার আগ্রহ ফিরে আসতে শুরু করল।
কিছুদিনের মধ্যেই শুভ্র বুঝতে পারল, সে আবার আগের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। তার মনে আর কোনো উদাসীনতা নেই। সে এখন প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছে।
এই গল্প থেকে আমরা শিখতে পারি, উদাসীনতা জীবনের একটি অংশ। কিন্তু চেষ্টা করলে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।
“উদাসীনতা কমাতে খাদ্য ও পানীয়”
খাদ্য ও পানীয়ের সঠিক নির্বাচন আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং উদাসীনতা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এখানে কিছু খাদ্য ও পানীয়ের তালিকা দেওয়া হলো যা আপনার জন্য উপকারী হতে পারে:
- ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড: মাছ (স্যালমন, টুনা), ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়া সিড এবং আখরোট ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস। এগুলো মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন ডি: ডিমের কুসুম, দুধ এবং মাশরুম ভিটামিন ডি-এর উৎস। ভিটামিন ডি-এর অভাব উদাসীনতার কারণ হতে পারে। সূর্যের আলো ভিটামিন ডি তৈরির অন্যতম উৎস।
- ফল ও সবজি: রঙিন ফল ও সবজিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা মানসিক চাপ কমাতে এবং মন ভালো রাখতে সহায়ক।
- গ্রিন টি: গ্রিন টি-তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যামিনো অ্যাসিড এল-থিয়ানিন মানসিক চাপ কমায় এবং মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
- ডার্ক চকোলেট: ডার্ক চকোলেটে থাকা কোকো মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন নিঃসরণে সাহায্য করে, যা মনকে আনন্দিত করে তোলে।
- প্রোবায়োটিক খাবার: দই এবং অন্যান্য প্রোবায়োটিক খাবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত।
- পর্যাপ্ত পানি: ডিহাইড্রেশন বা শরীরে জলের অভাব ক্লান্তি ও উদাসীনতা বাড়াতে পারে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা জরুরি।
উপসংহার
জীবনে উদাসীনতা আসাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে এই অনুভূতিকে প্রশ্রয় না দিয়ে, এর থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। নিজের প্রতি যত্নশীল হন, বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, নতুন কিছু শিখুন এবং ইতিবাচক চিন্তা করুন। দেখবেন, জীবন আবার আগের মতো সুন্দর হয়ে উঠবে। মনে রাখবেন, আপনি একা নন, আমরা সবাই আপনার পাশে আছি।