আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা যেন তারে তৃণ সম দহে“। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা যেন তারে তৃণ সম দহে
মূলভাব:অন্যায় করা যেমন সমাজের চোখে অপরাধ তেমনই অন্যায় হতে দেখে তা নীরবে সহ্য করাও ও বেড়ে যায়।
সম্প্রসারিত ভাব : অন্যায়কারী ও অন্যায় সহ্যকারী উভয়ই সমানভাবে নিন্দনীয় ।কেননা, অন্যায়ের প্রতিবাদ না করার ফলে অন্যায়কারী প্রশ্রয় পেয়ে অধিকতর সক্রিয় হয়। ফলে অন্যায়ের সমাজে অন্যায়কারীর সংখ্যা খুব বেশি নয়। কিন্তু উপযুক্ত সাজা না হলে কিংবা প্রশ্রয় পেলে এ সীমিত সংখকদের কাছেই পুরো সমাজ জিম্মি হয়ে পড়ে। সমাজে একশ্রেণির মানুষ আছে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্যে অন্যায় পথ বেছে নেয়। তারা দুর্নীতি করে, অন্যকে ঠকায়, আইনকে অবজ্ঞা করে । এভাবে তারা প্রভাব-প্রতিপত্তি আর অর্থ-বিত্তের অধিকারী হয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনমত গঠিত না হলে এবং অন্যায়কারীর শাস্তি না হলে এ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে পড়ে। আমরা অন্যায় সহ্য করি বলেই অন্যায়কারীরা সুযোগ পায়। তাদের মনে অন্যায় সম্পর্কে অনুশোচনা বা ভীতি জাগে না; বরং শক্তির দম্ভে দাপট দেখাতে থাকে তারা। সমাজে এমন অবস্থা কখনো কাম্য নয়। অন্যায় দেখে নীরব থাকা উচিত নয়। সুস্থ, বিবেকবান মানুষের উচিত বলিষ্ঠভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা। তা না হলে আমাদের নীরবতার সুযোগ নিয়ে অন্যায়ের শক্তি প্রবল আকার ধারণ করতে পারে। তখন তাকে নিয়ন্ত্রণ করা যে প্রায় দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে সে কথা বলাই বাহুল্য।
মন্তব্য : অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ না করে যদি আপস করি, তবে আমাদের ভবিষ্যৎ সুস্থ সমাজ পাবে না । অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্যে তাদের চোখে আমরা অপরাধী বলে গণ্য হব ।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।