আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “
সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে“। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে
মূলভাব: কেবল নিজের স্বার্থরক্ষাই মানবজীবনের লক্ষ্য নয়। পারস্পরিক সহযোগিতা ও কল্যাণসাধনের মাধ্যমেই গড়ে উঠেছে মানব সভ্যতা। স্বার্থমগ্ন না থেকে অন্যকে সাহায্য করাই মানবজীবনের মূল লক্ষ্য।
সম্প্রসারিত ভাব : মানুষ প্রাণীজগতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। এ শ্রেষ্ঠত্বের মূল কারণ সে কেবল নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত নয়। অন্যান্য প্রাণীর মতো কেবল নিজের প্রাণ ও বংশধারা রক্ষা করাই মানুষের একমাত্র কাজ নয় । সমাজ-সভ্যতার অগ্রগতিতেও তাকে ভূমিকা পালন করতে হয়। সমাজজীবনই ব্যক্তি মানুষের জীবনকে নিরাপদ, সুগম ও উন্নয়নমুখী করার নিশ্চয়তা দেয়। তাই সমাজের প্রতিটি মানুষ যদি বৃহত্তর স্বার্থে নিজ নিজ যোগ্যতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী মেধা ও শ্রম না দেয়, তবে সমাজের অগ্রগতি ব্যাহত হয় এবং তা শেষ পর্যন্ত ব্যক্তির জীবনেও সংকট বয়ে আনে। সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা সমাজের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতার কথা ভুলে গিয়ে কেবল নিজ স্বার্থ উদ্ধারে মগ্ন থাকে। এরা সমাজ থেকে এক সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এদের বেঁচে থাকা কখনোই প্রকৃত বেঁচে থাকা নয় । পরের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করাতেই মানবজীবনের সার্থকতা নিহিত । তাই আত্মকেন্দ্রিকতা পরিহার করে পরের স্বার্থে নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। পরের কল্যাণের নিমিত্তে আত্মত্যাগের আনন্দ জীবনকে স্নিগ্ধ করে।
মন্তব্য : পরস্পরের মঙ্গলের চেষ্টাতেই সমাজের কল্যাণ হয়, মানুষের জীবন হয় সার্থক।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।