আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “
লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু “। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু
মূলভাব: লোভ মানুষকে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য করে দেয়। অসৎ উপায় অবলম্বন করতে প্ররোচিত করে।
সম্প্রসারিত ভাব : লোভী মানুষ পাপকার্য করতে দ্বিধাবোধ করে না। লোভের পরিণাম অতি ভয়াবহ, এমনকি মৃত্যুও বিচিত্র নয় । লোভ মানব চরিত্রের এক অন্ধকার দিক। লোভ থেকেই জাগতিক যাবতীয় পাপের উৎপত্তি। লোভের মায়ামোহে আচ্ছন্ন থেকে মানুষ সত্য ও সুন্দরকে অবজ্ঞা করে। সে বৈষয়িক বৃদ্ধির প্রেরণায় পার্থিব ধন-সম্পদ আহরণে ব্যস্ত হয়ে পড়ে । কিন্তু যখনই সে তার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়, তখন নির্দ্বিধায় নিমজ্জিত হয় পাপাচারে । সে ক্রমশ অবৈধ ও জঘন্য পথে অগ্রসর হয়। তাই লোভী মানুষ এ সময় হয়ে ওঠে পশুর মতো। সত্যের জয় আর অসত্যের বিনাশ অনিবার্য। লোভী মানুষ নিজের সেই পরিণতির কথা ভুলে যায়। আর এভাবেই লোভ মানুষকে ধ্বংসের পথে টেনে নেয়। অপরপক্ষে নির্লোভ ব্যক্তি পাপমুক্ত সত্য ও সুন্দর জীবন লাভ করে। তার জীবনে ভোগের তাড়না নেই। ফলে তার মাঝে লোভ এবং পাপের অস্তিত্বও নেই। লোভী ব্যক্তিরাই পথভ্রষ্ট হয়।
মন্তব্য : অন্যায়, অসত্য আর পাপের পথে ধাবিত হয়ে অকাল মৃত্যুর মুখোমুখি হয়। লোভ বর্জন না করলে জীবনকে সার্থক ও সুন্দর করা যায় না। নির্লোভ মানুষ সকলের শ্রদ্ধা ও ভক্তি অর্জন করে ।পুরুষের শৌর্য-বীর্য আর নারী হৃদয়ের সৌন্দর্য, প্রেম-ভালোবাসা এ দুয়ের মহিমা একত্রিত হয়েই বিশ্বের সকল উন্নতি সাধিত হয়েছে। নারী-পুরুষের পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়েই পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে গড়ে তোলা সম্ভব।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।