আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “
বাংলার ইতিহাস এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস “। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
বাংলার ইতিহাস এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস
মূলভাব: অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের অধিকারী বাঙালি জাতি । অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে ঝরেছে অনেক রক্ত, বাঙালি এগিয়ে গিয়েছে দৃপ্তপদে।
সম্প্রসারিত ভাব : স্বাধীনচেতা বাঙালি জাতি কোনোদিন কারো অধীনতা মেনে নেয়নি। যতবারই তারা শোষণের শিকার হয়েছে, ততবারই সংগ্রামের মাধ্যমে সেই শেকল ভেঙেছে। বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিতে কখনো পিছপা হয়নি। দীর্ঘ বেনিয়াদের হাত থেকে মুক্তি পেলেও বাঙালির মুক্তি মেলেনি। পাকিস্তানি শোষকদের বিরুদ্ধে তারা আবার দুইশ’ বছরের ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে তারা বিদ্রোহে লিপ্ত হয়েছে। ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশের মানুষ ব্রিটিশ আন্দোলন-সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি সাম্প্রদায়িক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা করেছে। বাংলার রাজপথ রঞ্জিত করে বাংলা ভাষাকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসন দিয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে ৫৮, ৬৬ ও ৬৯-এ সামরিক শাসকের বুলেট বুক পেতে গ্রহণ করেছে। শোষকের নির্যাতন তাদের স্বাধীনতার দাবিকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। সবশেষে ১৯৭১ সালে বাঙালির ওপর চূড়ান্ত আঘাত হানে হানাদার বাহিনী। মুক্তিকামী বাঙালি জনতা তাদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের শেষে বাঙালি ছিনিয়ে আনে লাল-সবুজের পতাকা।
মন্তব্য : দীর্ঘকালের রক্তক্ষরণের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। অসংখ্য সাহসী মানুষের আত্মত্যাগের দৃষ্টান্তে ভাস্বর বাংলার ইতিহাস। বাঙালি যে বীরের জাতি তার প্রমাণ রয়েছে ইতিহাসের পাতায়।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।