Bongo Tuner
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
Bongo Tuner
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT

ভাইরাস কাকে বলে? জানুন খুঁটিনাটি!

Mushfiqur Rahman by Mushfiqur Rahman
February 18, 2025
in Education
0
ভাইরাস কাকে বলে? জানুন খুঁটিনাটি!

ভাইরাস কাকে বলে? জানুন খুঁটিনাটি!

0
SHARES
3
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter
ADVERTISEMENT
Get Latest Updates

ভাইরাস! ছোটবেলার সেই জ্বর থেকে শুরু করে আজকের কোভিড-১৯ – সব কিছুর পেছনেই এই ভাইরাসদের হাত আছে। কিন্তু ভাইরাস আসলে কী, কীভাবে কাজ করে, আর কেনই বা এরা এত ভয়ঙ্কর, তা নিয়ে আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করে। আসুন, ভাইরাসের অন্দরমহলে ঢুঁ মেরে এর রহস্য ভেদ করি!

ভাইরাস নিয়ে আলোচনা করার আগে, একটা গল্প বলি। ধরুন, আপনি একটা জটিল ধাঁধা সমাধানের চেষ্টা করছেন। ধাঁধাটা এতটাই কঠিন যে একা সমাধান করা সম্ভব নয়। তখন আপনি কী করবেন? নিশ্চয়ই বন্ধুদের সাহায্য চাইবেন, তাই না? ভাইরাসও অনেকটা সেরকম। একা বাঁচতে পারে না, তাই অন্যের শরীরে ঢুকে বংশবৃদ্ধি করে!

Table of Contents

Toggle
  • ভাইরাস কী? (What is a Virus?)
    • ভাইরাসের গঠন (Structure of Virus)
    • ভাইরাস কিভাবে কাজ করে? (How Viruses Work?)
  • ভাইরাসের প্রকারভেদ (Types of Viruses)
    • নিউক্লিক অ্যাসিডের প্রকারভেদ অনুসারে:
    • আকৃতির ওপর ভিত্তি করে:
    • সংক্রমণের ধরনের ওপর ভিত্তি করে:
  • ভাইরাসজনিত রোগ (Viral Diseases)
    • ভাইরাসজনিত রোগের লক্ষণ (Symptoms of Viral Diseases)
    • ভাইরাসজনিত রোগের চিকিৎসা (Treatment of Viral Diseases)
      • ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কিছু টিপস (Tips to Prevent Viral Infections)
  • ভাইরাস নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন (Frequently Asked Questions about Viruses)
    • ভাইরাস কি জীবন্ত? (Are Viruses Alive?)
    • ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়? (How do Viruses Spread?)
    • ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে পার্থক্য কী? (What is the Difference Between Viruses and Bacteria?)
    • ভাইরাসের উপকারিতা আছে কি? (Are There Any Benefits of Viruses?)
    • নতুন ভাইরাস কিভাবে সৃষ্টি হয়? (How Do New Viruses Emerge?)
    • ভাইরাস সংক্রমণ কমাতে মাস্ক কতটা জরুরি? (How Important is Mask to Reduce Viral Infection?)
    • ভাইরাস নিয়ে গবেষণা কোথায় হয়? (Where Does Research on Viruses Take Place?)
    • ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কী? (What is the Body’s Defense System Against Viruses?)

ভাইরাস কী? (What is a Virus?)

ভাইরাস হলো অতি-আণুবীক্ষণিক (ultramicroscopic) রোগ সৃষ্টিকারী বস্তু। এদের মধ্যে নিউক্লিক অ্যাসিড (DNA বা RNA) একটি প্রোটিন শেলের (capsid) মধ্যে আবদ্ধ থাকে। এটি জীবন্ত কোষের বাইরে নিষ্ক্রিয় থাকে, কিন্তু যখন কোনো জীবন্ত কোষের সংস্পর্শে আসে, তখন সেটিকে ব্যবহার করে নিজের সংখ্যাবৃদ্ধি করতে শুরু করে। সহজ ভাষায়, ভাইরাস হলো এক ধরনের পরজীবী, যারা জীবন্ত কোষের বাইরে মৃত এবং কোষের ভিতরে প্রবেশ করার পরেই জীবন্তের মতো আচরণ শুরু করে, সংখ্যাবৃদ্ধি করে এবং রোগ সৃষ্টি করে।

ভাইরাসের গঠন (Structure of Virus)

ভাইরাসের গঠন বেশ সরল। মূলত দুটি জিনিস থাকে:

  • নিউক্লিক অ্যাসিড: ভাইরাসের জেনেটিক উপাদান, যা DNA অথবা RNA হতে পারে। এই নিউক্লিক অ্যাসিড ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য বহন করে।
  • ক্যাপসিড: এটি প্রোটিন দিয়ে তৈরি একটি খোলস, যা নিউক্লিক অ্যাসিডকে রক্ষা করে। ক্যাপসিডের আকার বিভিন্ন ভাইরাসের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হতে পারে। কোনোটা গোলাকার, কোনোটা ডিম্বাকার, আবার কোনোটা জটিল আকারেরও হতে পারে।

ভাইরাস কিভাবে কাজ করে? (How Viruses Work?)

ভাইরাসের কর্মপদ্ধতি বেশ মজার। ভাইরাসের জীবনচক্রকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করা যায়:

  1. সংযুক্তি (Attachment): প্রথমে ভাইরাস একটি জীবন্ত কোষের (host cell) সাথে লেগে থাকে। এটি অনেকটা চাবির সাথে তালার মতো। ভাইরাসের ক্যাপসিডের সাথে কোষের রিসেপ্টরের একটি বিশেষ মিল থাকে, যার ফলে তারা একে অপরের সাথে যুক্ত হতে পারে।
  2. প্রবেশ (Entry): এরপর ভাইরাস কোষের মধ্যে প্রবেশ করে। এটি বিভিন্ন উপায়ে হতে পারে। কিছু ভাইরাস সরাসরি কোষের মধ্যে তাদের নিউক্লিক অ্যাসিড প্রবেশ করায়, আবার কিছু ভাইরাস পুরো ভাইরাস কণাকেই কোষের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়।
  3. অনুলিপি তৈরি (Replication): কোষের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার পর ভাইরাস তার নিউক্লিক অ্যাসিড ব্যবহার করে নিজের অসংখ্য অনুলিপি তৈরি করে। এটি করার জন্য ভাইরাস কোষের নিজস্ব উপাদান এবং পদ্ধতি ব্যবহার করে। অনেকটা যেন অন্যের রান্নাঘরে ঢুকে নিজের পছন্দের খাবার বানিয়ে নেওয়া!
  4. সমাবেশ (Assembly): নতুন ভাইরাস কণাগুলো তৈরি হওয়ার পর সেগুলো একত্রিত হয়ে নতুন ভাইরাসের গঠন তৈরি করে।
  5. মুক্তি (Release): সবশেষে, নতুন ভাইরাস কণাগুলো কোষ থেকে বেরিয়ে আসে এবং অন্যান্য কোষকে আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত হয়। এই প্রক্রিয়ায় কোষটি মারাও যেতে পারে।
Read More:  বাওর কাকে বলে? জানুন বাওরের খুঁটিনাটি তথ্য!

ভাইরাসের প্রকারভেদ (Types of Viruses)

ভাইরাসকে বিভিন্নভাবে ক্লাসিফাই করা যায়। এদের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকারভেদ নিচে আলোচনা করা হলো:

নিউক্লিক অ্যাসিডের প্রকারভেদ অনুসারে:

  • DNA ভাইরাস: এই ভাইরাসগুলোর জেনেটিক উপাদান হলো DNA (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড)। যেমন: হার্পিস ভাইরাস, পক্স ভাইরাস।
  • RNA ভাইরাস: এই ভাইরাসগুলোর জেনেটিক উপাদান হলো RNA (রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড)। যেমন: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী সার্স-কোভ-২ ভাইরাস।

আকৃতির ওপর ভিত্তি করে:

  • হেলিক্যাল ভাইরাস: এই ভাইরাসগুলোর আকার অনেকটা স্প্রিংয়ের মতো পেঁচানো থাকে।
  • আইকোসাহেড্রাল ভাইরাস: এদের ২০-পার্শ্বযুক্ত একটি প্রতিসম গঠন থাকে।
  • কমপ্লেক্স ভাইরাস: এই ভাইরাসগুলোর গঠন বেশ জটিল এবং এদের মধ্যে হেলিক্যাল ও আইকোসাহেড্রাল উভয় বৈশিষ্ট্যই দেখা যায়।

সংক্রমণের ধরনের ওপর ভিত্তি করে:

  • ব্যাকটেরিওফাজ: এই ভাইরাসগুলো ব্যাকটেরিয়াকে আক্রমণ করে।
  • উদ্ভিদ ভাইরাস: এই ভাইরাসগুলো উদ্ভিদকে আক্রমণ করে।
  • প্রাণী ভাইরাস: এই ভাইরাসগুলো প্রাণীদের আক্রমণ করে।

ভাইরাসজনিত রোগ (Viral Diseases)

ভাইরাস আমাদের শরীরে নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। কিছু সাধারণ ভাইরাসজনিত রোগ হলো:

  • ঠাণ্ডা লাগা (Common Cold): রাইনোভাইরাস নামক এক ধরনের ভাইরাস এই রোগের জন্য দায়ী।
  • ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza): এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ।
  • হাম (Measles): এটি অত্যন্ত সংক্রামক একটি রোগ, যা হাম ভাইরাস দ্বারা হয়ে থাকে।
  • জলবসন্ত (Chickenpox): ভেরিসেলা জোস্টার ভাইরাস এই রোগের কারণ।
  • পোলিও (Polio): পোলিওভাইরাস নামক ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট মারাত্মক রোগ, যা পঙ্গুত্ব বরণ করতে পারে।
  • এইডস (AIDS): হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (HIV) দ্বারা সৃষ্ট একটি মারাত্মক রোগ, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
  • কোভিড-১৯ (COVID-19): সার্স-কোভ-২ নামক ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, যা বিশ্বব্যাপী মহামারী সৃষ্টি করেছে।

ভাইরাসজনিত রোগের লক্ষণ (Symptoms of Viral Diseases)

ভাইরাসজনিত রোগের লক্ষণগুলো রোগের ধরনের ওপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো:

  • জ্বর
  • কাশি
  • গলা ব্যথা
  • নাক দিয়ে পানি পড়া
  • মাথাব্যথা
  • শরীর ব্যথা
  • ক্লান্তি
  • বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
  • ডায়রিয়া

ভাইরাসজনিত রোগের চিকিৎসা (Treatment of Viral Diseases)

ভাইরাসজনিত রোগের চিকিৎসায় সাধারণত লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে:

  • বিশ্রাম: পর্যাপ্ত বিশ্রাম শরীরকে রোগের সাথে লড়তে সাহায্য করে।
  • প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা: এটি শরীরকে ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করে।
  • ব্যথানাশক ওষুধ: জ্বর ও ব্যথার উপশমের জন্য প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • ভাইরালরোধী ওষুধ: কিছু বিশেষ ভাইরাসের জন্য অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ পাওয়া যায়, যা ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি কমিয়ে রোগ সারাতে সাহায্য করে। যেমন: ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য ওসেলটামিভির এবং এইডসের জন্য অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (ART)।
Read More:  Past perfect tense কাকে বলে? সহজ উদাহরণ!

ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কিছু টিপস (Tips to Prevent Viral Infections)

ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কিছু সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারে:

  • নিয়মিত হাত ধোয়া: সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে ভাইরাস সংক্রমণ কমানো যায়। বিশেষ করে খাবার আগে ও পরে, এবং টয়লেট ব্যবহারের পরে হাত ধোয়া জরুরি।
  • মাস্ক ব্যবহার করা: জনাকীর্ণ স্থানে মাস্ক ব্যবহার করে শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে ভাইরাসের সংক্রমণ কমানো যায়।
  • টিকা নেওয়া: বিভিন্ন ভাইরাসজনিত রোগের জন্য টিকা পাওয়া যায়। সময়মতো টিকা নিলে রোগের ঝুঁকি কমানো যায়।
  • শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা: অসুস্থ ব্যক্তি থেকে দূরে থেকে ভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানো যায়।
  • স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত ব্যায়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ভাইরাস রোগ প্রতিরোধের উপায়
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা, মাস্ক ব্যবহার
রাইনোভাইরাস ঠাণ্ডা লাগা নিয়মিত হাত ধোয়া
হাম ভাইরাস হাম টিকা
ভেরিসেলা জোস্টার ভাইরাস জলবসন্ত টিকা
পোলিওভাইরাস পোলিও টিকা
এইচআইভি এইডস নিরাপদ যৌন সম্পর্ক, স্ক্রিনিং
সার্স-কোভ-২ কোভিড-১৯ টিকা, মাস্ক ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব

ভাইরাস নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন (Frequently Asked Questions about Viruses)

ভাইরাস নিয়ে আমাদের মনে নানা প্রশ্ন জাগে। এখানে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:

ভাইরাস কি জীবন্ত? (Are Viruses Alive?)

ভাইরাস জীবন্ত নাকি মৃত, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। কারণ, ভাইরাসের মধ্যে জীবন্ত কোষের মতো নিজস্ব সেলুলার কাঠামো নেই। এটি জীবন্ত কোষের বাইরে নিষ্ক্রিয় থাকে এবং কোনো জীবন্ত কোষের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার পরেই সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাই একে সম্পূর্ণরূপে জীবন্ত বা মৃত বলা যায় না। বরং বলা যায় এটি জীবন্ত এবং মৃতের মাঝে একটি অবস্থা।

ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়? (How do Viruses Spread?)

ভাইরাস বিভিন্ন উপায়ে ছড়াতে পারে, যেমন:

  • হাঁচি-কাশির মাধ্যমে: শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাসগুলো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়।
  • শারীরিক স্পর্শের মাধ্যমে: দূষিত স্থান স্পর্শ করার পর হাত না ধুয়ে মুখ, চোখ বা নাকে স্পর্শ করলে ভাইরাস ছড়াতে পারে।
  • সংক্রমিত খাদ্য ও পানির মাধ্যমে: কিছু ভাইরাস দূষিত খাদ্য ও পানির মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
  • ** insects বা প্রাণী থেকে:** কিছু ভাইরাস মশা, মাছি বা অন্যান্য প্রাণীর মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে পার্থক্য কী? (What is the Difference Between Viruses and Bacteria?)

ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে:

  • আকার: ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার চেয়ে অনেক ছোট। ভাইরাসকে দেখতে ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের প্রয়োজন হয়, যেখানে ব্যাকটেরিয়াকে সাধারণ মাইক্রোস্কোপে দেখা যায়।
  • গঠন: ভাইরাসের গঠন বেশ সরল, যেখানে ব্যাকটেরিয়ার গঠন জটিল। ব্যাকটেরিয়ার নিজস্ব সেলুলার কাঠামো রয়েছে, কিন্তু ভাইরাসের নেই।
  • প্রজনন: ভাইরাস জীবন্ত কোষের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বংশবৃদ্ধি করে, যেখানে ব্যাকটেরিয়া নিজেরাই বিভাজিত হয়ে বংশবৃদ্ধি করতে পারে।
  • চিকিৎসা: ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়, কিন্তু ভাইরাসের সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্রয়োজন হয়।
Read More:  এলগরিদম কাকে বলে? সহজ ভাষায় বুঝুন + টিপস

ভাইরাসের উপকারিতা আছে কি? (Are There Any Benefits of Viruses?)

ভাইরাস সাধারণত ক্ষতিকর হলেও কিছু ক্ষেত্রে এদের উপকারিতাও রয়েছে:

  • ব্যাকটেরিওফাজ থেরাপি: কিছু ভাইরাস (ব্যাকটেরিওফাজ) ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের চিকিৎসায় কাজে লাগে।
  • ক্যান্সার থেরাপি: কিছু ভাইরাস ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করতে সক্ষম, যা ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
  • জিন থেরাপি: ভাইরাসকে ব্যবহার করে ত্রুটিপূর্ণ জিন প্রতিস্থাপন করা যায়, যা জিনগত রোগের চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে।

নতুন ভাইরাস কিভাবে সৃষ্টি হয়? (How Do New Viruses Emerge?)

নতুন ভাইরাস বিভিন্ন কারণে সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে কয়েকটি প্রধান কারণ হলো:

ADVERTISEMENT
  • মিউটেশন: ভাইরাসের জেনেটিক উপাদানে পরিবর্তন বা মিউটেশনের মাধ্যমে নতুন ভাইরাস সৃষ্টি হতে পারে। RNA ভাইরাসের ক্ষেত্রে মিউটেশনের হার বেশি থাকে, তাই এদের মধ্যে দ্রুত পরিবর্তন দেখা যায়।
  • পুনর্গঠন (Recombination): যখন দুটি ভিন্ন ভাইরাস একই কোষে প্রবেশ করে, তখন তাদের জেনেটিক উপাদান মিশ্রিত হয়ে নতুন ভাইরাস তৈরি হতে পারে।
  • প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রমণ (Zoonotic Transfer): অনেক ভাইরাস প্রথমে প্রাণীদের মধ্যে থাকে, কিন্তু পরবর্তীতে তারা মানুষে সংক্রমিত হতে শুরু করে। যেমন: কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী সার্স-কোভ-২ ভাইরাস।
  • পরিবেশগত পরিবর্তন: পরিবেশের পরিবর্তন, যেমন বনভূমি উজাড় হওয়া বা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নতুন ভাইরাস ছড়ানোর সুযোগ পায়।

ভাইরাস সংক্রমণ কমাতে মাস্ক কতটা জরুরি? (How Important is Mask to Reduce Viral Infection?)

ভাইরাস সংক্রমণ কমাতে মাস্কের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাস্ক পরিধান করার মাধ্যমে হাঁচি, কাশি বা কথা বলার সময় নির্গত হওয়া ড্রপলেট (droplets) এবং এরোসল (aerosols) ছড়ানো কমানো যায়। এর ফলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। বিশেষ করে জনাকীর্ণ স্থানে এবং যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়, সেখানে মাস্ক ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে মাস্ক পরিধান করলে কোভিড-১৯, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাস সংক্রমণের হার কমে যায়।

ভাইরাস নিয়ে গবেষণা কোথায় হয়? (Where Does Research on Viruses Take Place?)

ভাইরাস নিয়ে গবেষণা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে হয়ে থাকে। কিছু উল্লেখযোগ্য গবেষণা কেন্দ্র হলো:

  • বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO): এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী ভাইরাস সংক্রমণ এবং মহামারী নিয়ে গবেষণা করে এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করে।
  • সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান জনস্বাস্থ্য সংস্থা, যা ভাইরাস সংক্রমণ এবং রোগ প্রতিরোধ নিয়ে গবেষণা করে।
  • ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ হেলথ (NIH), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা ভাইরাস সম্পর্কিত বিভিন্ন মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণা পরিচালনা করে।
  • বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা ইনস্টিটিউট: বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউটগুলোতে ভাইরাস নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা চলছে।

ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কী? (What is the Body’s Defense System Against Viruses?)

আমাদের শরীরের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, যা ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়:

  • জন্মগত অনাক্রম্যতা (Innate Immunity): এটি আমাদের শরীরের প্রথম সারির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এর মধ্যে রয়েছে ত্বক, শ্লেষ্মা ঝিল্লী (mucous membrane), এবং কিছু বিশেষ কোষ, যেমন ম্যাক্রোফেজ (macrophage) ও ন্যাচারাল কিলার সেল (natural killer cell)। এই কোষগুলো ভাইরাসকে দ্রুত শনাক্ত করে ধ্বংস করতে পারে।
  • অর্জিত অনাক্রম্যতা (Adaptive Immunity): এটি আমাদের শরীরের দ্বিতীয় সারির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা ভাইরাস সংক্রমণের পরে ধীরে ধীরে তৈরি হয়। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবডি (antibody) এবং টি-সেল (T-cell)। অ্যান্টিবডি ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে এবং টি-সেল সংক্রমিত কোষগুলোকে ধ্বংস করে।

ভাইরাস নিয়ে আলোচনা চলতেই থাকবে, কারণ প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ভাইরাস আবিষ্কৃত হচ্ছে, আর তাদের সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান বাড়ছে।

ভাইরাস ভয়ঙ্কর হলেও, এদের সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান আমাদের সুরক্ষিত থাকতে সাহায্য করতে পারে। তাই, ভয় না পেয়ে, সচেতন থাকুন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। আজকের মতো এই ভাইরাস বৃত্তান্ত এখানেই শেষ। কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না! আর ভাইরাস নিয়ে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে, নির্দ্বিধায় কমেন্ট বক্সে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

Previous Post

সঞ্চয় কাকে বলে? লাভজনক উপায় জানুন!

Next Post

আয়তন কাকে বলে? জানুন + সহজ উপায়!

Mushfiqur Rahman

Mushfiqur Rahman

I am Mushfiqur Rahman Swopnil, owner of Bongo Tuner and an experienced SEO and Digital Marketing professional with a deep understanding of affiliate marketing and link building. Running my own marketing agency, I offer strategic digital solutions to boost brand visibility and drive tangible results. My extensive experience covers all aspects of online marketing, helping businesses achieve their growth objectives through data-driven SEO and effective link-building strategies.

Next Post
আয়তন কাকে বলে? জানুন + সহজ উপায়!

আয়তন কাকে বলে? জানুন + সহজ উপায়!

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন
Education

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন

by Mushfiqur Rahman
May 5, 2025
0

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য মনে করুন, পরীক্ষার আগের রাতে আপনি সব পড়ে শেষ করেছেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে...

Read more
মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

May 5, 2025
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

May 5, 2025
ADVERTISEMENT
Bongo Tuner

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Navigate Site

  • Home
  • About Us
  • Privacy Policy
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy

Follow Us

No Result
View All Result
  • About Us
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy
  • Privacy Policy

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Table of Contents

×
  • ভাইরাস কী? (What is a Virus?)
    • ভাইরাসের গঠন (Structure of Virus)
    • ভাইরাস কিভাবে কাজ করে? (How Viruses Work?)
  • ভাইরাসের প্রকারভেদ (Types of Viruses)
    • নিউক্লিক অ্যাসিডের প্রকারভেদ অনুসারে:
    • আকৃতির ওপর ভিত্তি করে:
    • সংক্রমণের ধরনের ওপর ভিত্তি করে:
  • ভাইরাসজনিত রোগ (Viral Diseases)
    • ভাইরাসজনিত রোগের লক্ষণ (Symptoms of Viral Diseases)
    • ভাইরাসজনিত রোগের চিকিৎসা (Treatment of Viral Diseases)
      • ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কিছু টিপস (Tips to Prevent Viral Infections)
  • ভাইরাস নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন (Frequently Asked Questions about Viruses)
    • ভাইরাস কি জীবন্ত? (Are Viruses Alive?)
    • ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়? (How do Viruses Spread?)
    • ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে পার্থক্য কী? (What is the Difference Between Viruses and Bacteria?)
    • ভাইরাসের উপকারিতা আছে কি? (Are There Any Benefits of Viruses?)
    • নতুন ভাইরাস কিভাবে সৃষ্টি হয়? (How Do New Viruses Emerge?)
    • ভাইরাস সংক্রমণ কমাতে মাস্ক কতটা জরুরি? (How Important is Mask to Reduce Viral Infection?)
    • ভাইরাস নিয়ে গবেষণা কোথায় হয়? (Where Does Research on Viruses Take Place?)
    • ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কী? (What is the Body’s Defense System Against Viruses?)
← সূচিপত্র দেখুন