ভাই, আসুন এখন আমরা একটু জেনে নেই “সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকেট প্রাইস কত“। বাংলাদেশের মানুষজন আজকাল বেশ কিছু ট্রাভেল করছেন সৌদি আরবে। কেউ কাজের খাতিরে, আবার কেউ বা হজ্জ করার জন্য সেদিকে রওনা হচ্ছেন। যে কারণেই হোক না কেন, সৌদি যাওয়ার সময় একটা জিনিস যার উপর নজর রাখতে হবে সেটা হলো এয়ারলাইন্স টিকেটের প্রাইস।
সৌদি এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের মানুষদের কাছে একটা জনপ্রিয় নাম। এই এয়ারলাইন্সের টিকেট প্রাইস জানা থাকলে মানুষজন সহজেই তাদের বাজেটিং করতে পারবেন সৌদি ট্রাভেলের জন্য। তাই আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব “সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকেট দাম কত” নিয়ে। জেনে নেব বর্তমান এবং আগের প্রাইস রেট, কত খরচ পড়ে বিভিন্ন গন্তব্যগুলোতে পৌঁছাতে, এবং আরো অনেক কিছু।
সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিটের দাম
সৌদি এয়ারলাইন্স নিজেদের টিকেটের দাম নিয়ে খুব একটা স্পষ্ট নয়। তাদের এই অস্পষ্টতার কারণে অনেক সময় যাত্রীদের মনে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। এই বিভ্রান্তি দূর করতে হলে আগে বুঝতে হবে কি রকম প্রাইস রেঞ্জে সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকেট পাওয়া যায়।
বর্তমানে সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকেটের মূল্য শুরু হয় ৪৫ হাজার টাকা থেকে। যদিও এই মূল্য সবচেয়ে কম হলেও অনেক সময়ই দেখা যায় যে, টিকেটের দাম প্রায় ৬০ হাজার টাকার কাছাকাছি পৌঁছে যায়। আর যদি আপনি একটু উচ্চ মানের টিকেট কিনতে চান, তাহলে প্রতি টিকেটের জন্য ৮০ হাজার টাকার মতো অর্থও খরচ করতে হবে।
এখন প্রশ্ন হতে পারে, আগে কি এতটাই দাম ছিল সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকেটের? উত্তরটা হচ্ছে না। করোনা পন্ডেমিকের আগে সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকেট মূল্য ছিল অনেক কম। সেই সময় টিকেট পাওয়া যেত মাত্র ২৫-৩৫ হাজার টাকায়। কিন্তু বর্তমানে এই মূল্য প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই বেশি মূল্যের কারণগুলো খুঁজতে গেলে দেখা যাবে বেশ কিছু ফ্যাক্টর এর প্রভাব রয়েছে। প্রথমত, করোনা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বিমান কোম্পানিগুলোকে বেশ খরচ করতে হয়েছে। সেই খরচ তারা যাত্রীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয়ত, জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধির কারণেও টিকেটের দাম বেড়েছে। তৃতীয়ত, বিভিন্ন সরকারী শুল্ক ও কর বৃদ্ধি পেয়েছে বলে টিকেটের দাম বেড়েছে।
সুতরাং, এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকেট প্রাইস একেবারে সস্তা নয়। তবে তারপরও বাংলাদেশের মানুষজন সৌদি যাওয়ার লোভে এই এয়ারলাইন্সের টিকেট কিনতে বাধ্য হন। কারণ তাদের কাছে বিকল্পও বেশি নেই।
টিকিট বুকিং প্রক্রিয়া
সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিট বুকিং করার সময় আপনাকে বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ ঠিক মতো প্রক্রিয়াটা না মানলে আপনার টিকিট বুকিং বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি পদ্ধতিতে সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিট বুক করা যায়।
অনলাইন বুকিং
বর্তমান যুগে অনলাইন বুকিং সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ উপায়। আপনি যদি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে অনলাইনে সৌদি এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে গিয়ে সহজেই টিকিট বুক করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে আপনার ভ্রমণের তারিখ এবং গন্তব্য নির্বাচন করতে হবে। তারপর আপনার ব্যক্তিগত তথ্যাদি দিতে হবে। শেষ পর্যায়ে আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে বিভিন্ন ভুগতান পদ্ধতির মাধ্যমে। ভুগতান সম্পন্ন হলেই আপনার টিকিট বুক হয়ে যাবে।
অফিস থেকে বুকিং
অনলাইন বুকিং না করতে চাইলে আপনি সৌদি এয়ারলাইন্সের নিজস্ব অফিস থেকেও টিকিট বুক করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে সেই অফিসে যেতে হবে। অফিসের কাউন্টারে আপনার ভ্রমণের গন্তব্য ও তারিখ জানাতে হবে। এরপর তারা আপনার সব তথ্য নিয়ে টিকিট বুক করে দেবে। টিকিটের মূল্য আপনাকে সেখানেই পরিশোধ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিট বুকিং করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র থাকা জরুরি। প্রথমত, আপনার ভ্রমণের লক্ষ্য স্পষ্ট করার জন্য ভিসা এবং অন্যান্য কাগজপত্র লাগবে। দ্বিতীয়ত, আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের ফটোকপি লাগবে। তৃতীয়ত, শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় নথি যেমন জন্মনিবন্ধন সনদ ইত্যাদি লাগবে। চতুর্থত, যদি আপনি গ্রুপ ভ্রমণ করেন, তাহলে গ্রুপটির তথ্যাদি লাগবে। সবশেষে টিকিটের ভুগতানের প্রমাণ রাখতে হবে।
সুতরাং, সঠিকভাবে নথিপত্র আর ভুগতান সম্পন্ন করলে সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিট বুক করা যেতে পারে সহজেই। তবে এসব বিষয়গুলো না মানলে টিকিট বুকিং বাতিল করার ঝুঁকি থাকবে। গতকাল না হোক, আজই টিকিট বুক করুন আপনার আগামী সৌদি ট্রিপের জন্য!
বিভিন্ন গন্তব্যের টিকিট মূল্য
সৌদি এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে ভ্রমণ করার সুযোগ দিয়ে থাকে। তবে প্রতিটি গন্তব্যের জন্য টিকিটের মূল্য ভিন্ন হতে পারে। এখন আমরা জেনে নেব বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহরে যাওয়ার টিকিট মূল্য কত।
বাংলাদেশ থেকে রিয়াদ
রিয়াদ হচ্ছে সৌদি আরবের রাজধানী এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর। বাংলাদেশ থেকে রিয়াদ যেতে সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিট মূল্য পড়বে প্রায় ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে টিকিটের মূল্য নির্ভর করে আপনি কোন ক্লাসে ভ্রমণ করছেন এবং কখন বুকিং করছেন তার উপর।
বাংলাদেশ থেকে জেদ্দাহ
জেদ্দাহ সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর। বাংলাদেশ থেকে জেদ্দাহ যেতে সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিট খরচ হবে ৮৫ হাজার থেকে ৯৫ হাজার টাকার মধ্যে। ফ্লাইটের সংখ্যা এবং সময়সূচি অনুযায়ী দাম কম বেশি হতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে কাতার
কাতার একটি আরব আমিরাত রাষ্ট্র যদিও তা সৌদি আরবের ভূখন্ডের অংশ নয়। তবুও বাংলাদেশ থেকে সৌদি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে কাতারে যাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে টিকিট মূল্য পড়বে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে।
বাংলাদেশ থেকে ওমান
ওমান সৌদি আরবের কাছে অবস্থিত আরেকটি আরব রাষ্ট্র। বাংলাদেশ থেকে সৌদি এয়ারলাইন্সে ওমানের রাজধানী মাসকাট যেতে টিকিট কাটতে পারে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত
কুয়েত সৌদি আরব উপদ্বীপের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত আরেকটি আরব আমিরাত রাষ্ট্র। বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটি যেতে সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিটের মূল্য ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে দুবাই
যদিও দুবাই সৌদি আরবের শহর না, কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতের অংশ। তারপরেও সৌদি এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ থেকে দুবাই রুটে ভ্রমণ সেবা দিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে গুনতে হবে ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার মতো।
তাই দেখা যাচ্ছে, সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিটের দাম গন্তব্য ভেদে অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। শুধু তাই না, ক্লাস আর বুকিং টাইম অনুসারেও দাম বদলে যেতে পারে। সুতরাং টিকিট কেনার আগে ভালো করে খোঁজ খবর নিতে ভুলবেন না। নাহলে মোটা অংকের টাকা ঢেলে দিতে হতে পারে!
ফ্লাইট রেট এবং বিমান ভাড়া
সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিট কেনার আগে শুধু গন্তব্য নয়, ফ্লাইট রেট ও বিমান ভাড়া সম্পর্কেও ধারণা রাখা জরুরি। কারণ এগুলোর উপর ভিত্তি করেই আসলে টিকিটের মূল্য নির্ধারিত হয়। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বিভিন্ন এয়ারপোর্টের ফ্লাইট রেট
সৌদি আরবের বিভিন্ন এয়ারপোর্টে নামার জন্য সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট রেট আলাদা হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, রিয়াদ বা জেদ্দাহ এয়ারপোর্টে নামলে যে রেট প্রযোজ্য, দাম্মাম বা মাদিনাতে তা আলাদা হবে। এই রেট এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত এবং নানা কারণে পরিবর্তিত হতে পারে।
উচ্চ মূল্যের কারণসমূহ
সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিট অন্যান্য এয়ারলাইন্সের তুলনায় বেশ দামি। এর পেছনে রয়েছে কিছু কারণ। প্রথমত, তারা বিলাসবহুল ও আধুনিক সুবিধা প্রদান করে থাকে। দ্বিতীয়ত, ইন-ফ্লাইট বিনোদন, খাবার এবং অন্যান্য পরিষেবার মান অনেক উন্নত। তৃতীয়ত, তাদের ফ্লাইটগুলো বেশ নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ। সবমিলিয়ে এসব সুবিধার জন্যই সৌদি এয়ারলাইন্সের ভাড়া একটু বেশি।
বিমান ভাড়ার পরিমাণ
আপনার যাত্রার সময় ও টিকিট টাইপ অনুসারে সৌদি এয়ারলাইন্সের বিমান ভাড়ার পরিমাণ কম বেশি হতে পারে। সাধারণত ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া বিজনেস ক্লাসের তুলনায় কম থাকে। তবে ফেস্টিভ সিজনে বা গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময় যে কোনো ক্লাসেরই ভাড়া বেড়ে যায়। অন্যদিকে অফ-পিক মৌসুমে বা আগাম বুকিং করলে ভাড়া কিছুটা কমানো সম্ভব।
ধরা যাক, বাংলাদেশ থেকে জেদ্দাহ যাওয়ার জন্য সৌদি এয়ারলাইন্সের ইকোনমি ক্লাসের টিকিট কাটলে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা পড়তে পারে। অন্যদিকে একই রুটে বিজনেস ক্লাসের টিকিট কাটলে ভাড়া ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি হতে পারে। তাই টিকিট কাটার আগে বিমান ভাড়ার পরিমাণ ভালোভাবে যাচাই করে নেওয়া উচিত।
অবশ্যই মনে রাখবেন, শুধুমাত্র বিমান ভাড়াই নয়, ফ্লাইট চার্জ, ফিউয়েল সারচার্জ, এয়ারপোর্ট ট্যাক্স ইত্যাদি মিলিয়েই আপনার মোট ভাড়া নির্ধারিত হবে। কোন কোন সময় এসব অতিরিক্ত চার্জের কারণে বিমান ভাড়ার পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে।
তাই সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিট বুক করার আগে ফ্লাইট রেট ও বিমান ভাড়ার খুঁটিনাটি ভালো করে খতিয়ে দেখুন। প্রয়োজনে বিভিন্ন তারিখের ভাড়া তুলনা করে সবচেয়ে সুবিধাজনক অপশনটি বেছে নিন। ভাড়ার পাশাপাশি আপনার সময়, প্রয়োজন ও আরামের দিকটাও খেয়াল রাখতে ভুলবেন না।
সৌদি থেকে বাংলাদেশে ফেরার টিকিট মূল্য
সৌদি আরবে অনেক বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মরত আছেন। তারা দেশে ফেরার সময় সৌদি এয়ারলাইন্সকেই বেছে নেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। কিন্তু তখন তাদের জানা থাকে না সৌদি থেকে বাংলাদেশ ফেরার টিকিটের দাম কত। চলুন সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
সৌদি প্রবাসীদের ফেরার টিকিট মূল্য
সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে ফিরতে গেলে সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিট কাটতে হবে আপনাকে। সাধারণত এই রুটের টিকিটের মূল্য একটু কম। তবে সিজন আর টিকিটের ধরন অনুসারে দাম আলাদা হতে পারে। বেশিরভাগ সময়ই এই রুটের ইকোনমি ক্লাসের টিকিট পাবেন ২৮ হাজার থেকে ৩২ হাজার টাকার মধ্যে।
তবে কিছু প্রবাসী বিলাসবহুল সফরের স্বাদ নিতে চান। তাদের জন্য রয়েছে সৌদি এয়ারলাইন্সের বিজনেস ক্লাসের টিকিট। সেক্ষেত্রে আপনার গুনতে হবে প্রায় ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকার মতো। অবশ্য আপনি পাবেন আরও বেশি পরিসেবা ও সুবিধা।
রিয়াল থেকে বাংলাদেশি টাকায় মূল্য
অনেক সৌদি প্রবাসী হয়তো জানেন না কিভাবে রিয়াল থেকে বাংলাদেশি টাকায় টিকিটের মূল্য হিসাব করতে হয়। মোটামুটি ধরা যায়, ১ সৌদি রিয়াল = ২২ থেকে ২৫ বাংলাদেশি টাকা। তাহলে যদি কোনো টিকিটের দাম ১৫০০ রিয়াল হয়, সেটার দাম বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়াবে প্রায় ৩৩ হাজার থেকে ৩৭ হাজার টাকার মধ্যে।
যদিও এই রূপান্তর হারটা সবসময় একরকম থাকে না। বাজারদর আর মুদ্রা বিনিময় হারের উপর ভিত্তি করে টিকিটের মূল্য কম-বেশি হতে পারে। তবে সাধারণ ধারণা হিসেবে উপরের হিসাবটা মাথায় রাখতে পারেন।
প্রবাসীর সংখ্যা আর ছুটির মৌসুম
সৌদি থেকে বাংলাদেশ ফেরার টিকিটের দাম নির্ভর করে মৌসুম এবং যাত্রীর সংখ্যার উপর। সাধারণত গ্রীষ্মকালীন ছুটি আর ঈদের সময় যাত্রীর সংখ্যা থাকে সবচেয়ে বেশি। ফলে তখন টিকিটের দাম অনেকটাই বেড়ে যায়।
আবার অফ-সিজনে বা কম যাত্রী থাকলে দাম কিছুটা কমে আসতে পারে। সেজন্য যারা লম্বা ছুটির পরিকল্পনা করছেন, তাদের উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকিট বুক করে ফেলা। অন্যথায় শেষ মুহূর্তে অনেক বেশি দাম দিয়ে টিকিট কিনতে হতে পারে।
সুতরাং, প্রবাসী ভাইয়েরা যেন টিকিটের দাম নিয়ে বিভ্রান্ত না হন সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সময়মত টিকিট কেটে, আগে থেকে প্ল্যান করে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করবেন। তাহলে পকেটের টানটাও কম লাগবে, আপনার সফরও হবে আরামদায়ক।
উপসংহার
আমাদের এই বিস্তারিত আলোচনা থেকে আশা করি সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিটের দাম নিয়ে আপনাদের ধারণা অনেক পরিষ্কার হয়েছে। যদিও দাম নিয়ে সবসময় একটু ভয় থাকে, কিন্তু ঠিক পরিকল্পনা আর সঠিক সময়ে টিকিট কাটলে অনেকটাই সাশ্রয় করা সম্ভব।
সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিট মূল্যের সারসংক্ষেপ:
- বর্তমানে ইকোনমি ক্লাসের সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিটের দাম প্রায় ৪৫ হাজার থেকে শুরু হয়ে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত যেতে পারে।
- বিজনেস ক্লাসের টিকিট আরও দামি, প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত।
- করোনার আগে টিকিটের দাম অনেক কম ছিল, মাত্র ২৫-৩৫ হাজার টাকার মধ্যে।
- গন্তব্য ভেদে দাম আলাদা হয়। রিয়াদ, জেদ্দাহ, দাম্মাম, মাদিনাহ সবার জন্য আলাদা ভাড়া প্রযোজ্য।
- ছুটির মৌসুম বা উচ্চ যাত্রীর সংখ্যার সময় ভাড়া বেড়ে যায়, আর কম ডিমান্ডের সময় কমে আসে।
- সৌদি থেকে বাংলাদেশ ফেরার টিকিটের দাম তুলনামূলক কম, প্রায় ২৮-৩২ হাজার টাকা।
মূল্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি
আমাদের এই লেখার মূল উদ্দেশ্য ছিল আপনাদের মাঝে সৌদি এয়ারলাইন্স টিকিটের মূল্য নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। অনেকেই জানেন না, বা ভুল ধারণা পোষণ করেন দাম নিয়ে। ফলে শেষমেশ বেশি টাকা ঢালতে হয়, অথবা ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
তাই সব পরিস্থিতি মাথায় রেখে, এবং নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী টিকিট বুক করাটাই শ্রেয়। উৎসবের সময় এড়িয়ে চলুন, কম ডিমান্ডের সময় ভ্রমণের প্ল্যান করুন। এককভাবে নয়, বরং পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে একসাথে বুকিং দিন, ডিসকাউন্টের সুযোগ নিন। এসব ছোটখাট টিপস মেনে চললে কিছুটা হলেও মূল্য কমানো যাবে।
সবশেষে মনে রাখবেন, সৌদি এয়ারলাইন্স বিশ্বমানের পরিষেবা দিয়ে থাকে। তাদের পুরোনো ও নির্ভরযোগ্য ফ্লিট, পেশাদার কর্মীবাহিনী এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। তাই দামের সাথে আপনি যথাযথ পরিষেবাও পেয়ে থাকেন। সুতরাং মূল্যের চেয়ে গুণগত মান এবং নিরাপদ যাত্রাকে প্রাধান্য দিন।
আমরা আশা করি, এই সচেতনতা আপনাদের সৌদি ভ্রমণ প্ল্যান করতে সহায়ক হবে। নতুন কিছু জানলে সেটা অন্যের সাথেও শেয়ার করুন। একে অপরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা সবাই মিলে সাশ্রয়ী কিন্তু মানসম্মত ভ্রমণের অংশীদার হতে পারব।