আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রচনা শেয়ার করব “বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ুর পরিবর্তন“। এই রচনাটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই রচনাটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ুর পরিবর্তন
ভূমিকা : বিশ্বের মানুষ তার চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে সমন্বয় করে সুপ্রাচীনকাল থেকে জীবনযাপন করে আসছে। পরিবেশ বলতে চারপাশের আলো-বাতাস, মাটি-পানি, পাহাড়-পর্বত, সাগর-নদী, উদ্ভিদ, প্রাণিজগৎ সবকিছুর সম্মিলিত রূপ বুঝায় । মানুষ আর তার পরিবেশের মধ্যে যতদিন সমন্বয় বিদ্যমান ছিল ততদিন মানুষ নির্ভাবনায় ছিল। কিন্তু সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে পরিবেশেও পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। তার মধ্যে আশঙ্কাজনক হয়ে উঠেছে জলবায়ুর পরিবর্তন। এতে সারা বিশ্বে বড় ধরনের পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বনেতৃবৃন্দ সচেতন ও কার্যকর পদক্ষেপ গৃহীত না হলে সভ্যতার বিনাশ অনিবার্য। এই লক্ষ্য নিয়েই ২০০৯ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর ২০০৯ পর্যন্ত ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে ১৯২টি দেশের প্রতিনিধির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন। ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়ে সম্মেলনে অচলাবস্থা সৃষ্টির পরও শেষ পর্যন্ত কিছু সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত ও স্বাক্ষরিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। তাই জলবায়ুর পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন ২০০৯ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক চিত্র : বিশ শতকের আশির দশক থেকে গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাবে প্রতিবছর পৃথিবীর তাপমাত্রা গড়ে ০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। এ হারে পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়তে থাকলে বর্তমান শতকের শেষের দিকে কুমেরু অঞ্চলের প্রচুর বরফ গলে যাবে। আমাদের কাছাকাছি হিমালয় অঞ্চলেও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে। আইপিসিসি (ইন্টার গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ), অর্থাৎ জলবায়ু পরিবর্তন পর্যবেক্ষণের জন্য ৬২০ জন বিশিষ্ট বিজ্ঞানীর সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ দল সমর্থন করেছে যে, “গত শতকেই পৃথিবীর তাপমাত্রা ০.৭৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের কাছে এ বৃদ্ধি সামান্য মনে হলেও আবহাওয়া জগতে এ বৃদ্ধি অসামান্য গুরুত্ব বহন করে।” এভাবে বাড়তে থাকলে ২০৫০ সালে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১৫৩ সেন্টিমিটার বেড়ে যাবে এবং ২১০০ সালে তা পৌছে যাবে ৪৬০ সেন্টিমিটারে। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে স্থল ও জলজ জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিভিন্ন প্রতিবেশের ওপর পড়বে নেতিবাচক প্রভাব। যেমন- শুষ্ক এবং প্রায় শুষ্কভূমির প্রতিবেশ, অভ্যন্তরীণ জলজ প্রতিবেশ, সামুদ্রিক ও উপকূলীয় প্রতিবেশ, কৃষি প্রতিবেশ, বন প্রতিবেশ, দ্বীপাঞ্চলের প্রতিবেশ, পার্বত্য প্রতিবেশ, মেরু প্রতিবেশ ইত্যাদি। সুমেরু অঞ্চলে বরফ গলার পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে। গ্রিনল্যান্ডের বরফের ছাদ গলে যাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সাগরের উচ্চতা কয়েক মিটার বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশে নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটবে। এই পরিবর্তনে প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের প্রায় ২৫ ভাগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে এবং প্লাবিত হবে উপকূলীয় অঞ্চল । অতিবর্ষণ দেখা দেবে পৃথিবীর নিম্নতর অক্ষাংশের দেশসমূহে। পক্ষান্তরে পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে চলবে খরা, তাপপ্রবাহ এবং অনাবৃষ্টি। পরিবর্তিত সেই আবহাওয়ায় ফসল উৎপাদনে দেখা দেবে চরম বিপর্যয় ও অরণ্য সম্পদের প্রাচুর্য থাকবে না। বাংলাদেশের মতো বৃষ্টিনির্ভর অঞ্চলে ফসলহানির পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে ৫০ ভাগে দাঁড়াবে। ইতোমধ্যে যেসব পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে তাতে আশঙ্কার প্রতিফলন ঘটার সম্ভাবনাই বেশি। উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ০.৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বৃদ্ধি পেয়েছে, যার প্রভাব পড়ছে সারা বিশ্বে। বিশ শতকে পৃথিবীর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১০-২০ সেন্টিমিটার বেড়েছে, সুইজারল্যান্ডের জমাটবাঁধা বরফের সামগ্রিক আয়তন হ্রাস পেয়েছে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ, সুমেরু অঞ্চলে গ্রীষ্ম-পরবর্তী সময়ে এবং প্রাক শরৎকালে বরফের পুরুত্ব প্রায় ৪০ ভাগ কমেছে এবং কেনিয়ার পর্বতমালা থেকে বরফ হারিয়ে গেছে শতকরা ৯২ ভাগ, আর কিলিমানজারো থেকে শতকরা ৮২ ভাগ হারিয়ে গেছে। আলাস্কার উত্তরাঞ্চলের বনভূমির প্রতি ১০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্যে ১০০ কিলোমিটার উত্তর দিকে স্থানচ্যুত হয়েছে। সম্প্রতি বিলুপ্ত সোনালি ব্যাঙ ও হারলেকুইন ব্যাঙকে ইতোমধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রথম শিকার হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন-২০০৯ : বিশ্বের অধিকাংশ দেশের সরকারই এখন স্বীকার করছে, জলবায়ু পরিবর্তন মানবসভ্যতা ও প্রকৃতির জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। শুধু ইন্টার গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)-এর গবেষণা নয়, বরং অনেক আগে থেকে বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদনগুলো উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাবের বিষয়টি বলে আসছে। দু বছর আগে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে জলবায়ু বিষয়ক জাতিসংঘ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে একটি চুক্তি নিয়ে কাজ করতে একমত হয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হয় কোপেনহেগেন জলবায়ু সম্মেলন-২০০৯। জলবায়ু নিয়ে পঞ্চদশ এ বিশ্ব সম্মেলন ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি) সমিট বা Conference of the Parties (COP) 15 সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। নামে পরিচিত। এই সম্মেলনে জলবায়ুর পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বিষয়ে মানবসভ্যতার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়
পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ : জলবায়ুর পরিবর্তন বৈশ্বিক বিষয় হলেও বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশগুলো এর পরিণতি অধিক মাত্রায় ভোগ করে থাকে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাতজন নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে এ বলে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন যে, বিশ্বের অন্যতম নিচু এলাকায় বাংলাদেশের মানুষের বসবাস। বিশ্বের ক্রমবর্ধমান উষ্ণতায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ২০ শতাংশ এলাকা ডুবে যাবে। কোটি কোটি মানুষ হবে পরিবেশ শরণার্থী। ক্ষতি হবে ফসলের, বৃদ্ধি পাবে খাদ্যাভাব ও রোগশোক, বাধাগ্রস্ত হবে উন্নয়ন উদ্যোগ । সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্লাবনজনিত ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বাংলাদেশের প্রায় ১২০ হাজার বর্গকিলোমিটার অঞ্চল। এই উচ্চতা যদি ১ মিটারও বৃদ্ধি পায় তবু দক্ষিণের দ্বীপগুলো এবং সুন্দরবনের ২০ শতাংশ চলে যাবে পানির নিচে। এতে করে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রাণী এবং উদ্ভিদ প্রজাতি ধ্বংস হয়ে যাবে। জলবায়ু পরিবর্তিত হলে দেশব্যাপী বর্ষার সময় বৃষ্টিপাত বাড়বে, ফলে বেড়ে যাবে বন্যার প্রকোপ। পক্ষান্তরে শুকনো মৌসুমে দেশের প্রধান প্রধান নদীর প্রবাহ আরও অনেক কমে যাবে। নদীর ক্ষীণপ্রবাহের কারণে সামুদ্রিক লোনাপানি দেশের ভেতরে এসে নদনদীর পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি করবে। বর্তমানে উপকূলীয় অঞ্চল এবং দূরবর্তী দ্বীপগুলোর ১.৪ মিলিয়ন হেক্টর এলাকায় লোনাপানি প্রবেশ করায় উন্মুক্ত জলাশয় ও ভূগর্ভস্থ পানি লবণাক্ত হয়ে পড়েছে। পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি মাটির উর্বরাশক্তিকে হ্রাস করে, এতে ফসলের উৎপাদন অনেক কমে যায় এবং সামগ্রিকভাবে কৃষি ও অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জলবায়ু পরিবর্তিত হলে এ ক্ষতির পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাবে। শুধু তাই নয়, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে আকস্মিকভাবে বন্যা দেখা দেবে এবং ক্ষতি হবে অসংখ্য প্রাণের। আবার শুকনো মৌসুমে বৃষ্টিপাতের অভাবে দেখা দেবে খরা। বেড়ে যাবে উষ্ণতার প্রকোপ। উত্তপ্ত বাতাস ও ঘূর্ণিবায়ু থেকে সৃষ্টি হবে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাস। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে, তবু পানির উত্তাপ বেড়ে যাওয়াই সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের অন্যতম প্রধান কারণ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা বাড়বে এবং সেই সাথে বেড়ে যাবে সামুদ্রিক ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের তীব্রতা। এতে উপকূলীয় জেলাগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং বিপন্ন লোকের সংখ্যাও বেড়ে যাবে আনুপাতিক হারে। বাংলাদেশে মোট ৬৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র তটরেখা রয়েছে। এর মধ্যে সুন্দরবন উপকূল ঘিরে আছে ১২৫ কিলোমিটার, আর কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত হলো ৮৫ কিলোমিটার। হাজার হাজার বছর ধরে উপকূলীয় এলাকায় ভাঙাগড়া চলছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভাঙাগড়ার এ ভারসাম্য বিনষ্ট হবে এবং অকল্পনীয় ক্ষতি হবে মানুষের। বিশ্বের বহু দেশই আজ এ ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ জলবায়ুর পরিবর্তন। এ থেকে মুক্তির উপায় উদ্ভাবন ও তা কার্যকরের উদ্দেশ্য নিয়েই কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন ২০০৯।
জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের চুক্তি : কোপেনহেগেনে জলবায়ু সম্মেলনের চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির মাত্রা প্রাক শিল্প পর্যায়ের তুলনায় অতিরিক্ত ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (৩.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) মধ্যে সীমিত রাখার প্রস্তাবকে স্বীকৃতি দান এবং আগামী ৩ বছর উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ৩০ বিলিয়ন ডলার (দু লাখ দশ হাজার কোটি টাকা) সাহায্যের অঙ্গীকার করা হয়। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য দরিদ্র দেশগুলোকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার (সাত লাখ কোটি টাকা) সাহায্যের একটি রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়। চুক্তিতে শিল্পোন্নত দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পর্যবেক্ষণের একটি প্রক্রিয়াও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে ২০২০ ও ২০৫০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণের কোনো লক্ষ্যমাত্রা চুক্তিতে নির্ধারণ করা হয়নি।
জলবায়ু সম্মেলন থেকে আমাদের প্রাপ্তি : ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে ২০০৯ সালের ৭ ডিসেম্বর শুরু হওয়া জলবায়ু সম্মেলন শেষ হয়েছে ১৮ ডিসেম্বর। সম্মেলনে ১৯২টি দেশ অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো একটি সমঝোতায় পৌঁছতে সক্ষম হয় এবং ৩ পৃষ্ঠার একটি অঙ্গীকারনামা তৈরি করে। এ অঙ্গীকারনামার ১২টি শর্তকে বাংলাদেশ অনুমোদন দেয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আফ্রিকা, ক্ষুদ্র-দ্বীপপুঞ্জ এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই সম্মেলনে বাংলাদেশ দাবি করেছে, তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। কিন্তু খাপ খাওয়ানোর তহবিলের ১৫ শতাংশ পাওয়ার আশায় গুড়েবালি পড়তে পারে, কারণ আফ্রিকার শক্তিশালী অবস্থানের কারণে তহবিলের প্রায় ৮৭ শতাংশ সেখানেই দিতে হবে। কাজেই বাংলাদেশের প্রাপ্তি কতটুকু হবে এবং এ সম্মেলনের সাফল্য বাংলাদেশের দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়ক হবে কি না তা এখন দেখার বিষয়
উপসংহার : বাংলাদেশ এমনিতেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। এ দেশে প্রতিবছর নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটিত হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ দুর্যোগ আরও ভয়াবহ রূপ লাভ করবে। কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের প্রাপ্তি যাই হোক না কেন, ভবিষ্যতে এ দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য এখন থেকেই আমাদের সচেতন হতে হবে, এখনই গ্রহণ করতে হবে উপযুক্ত প্রস্তুতি।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে রচনা যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই রচনা নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।