ছাত্র রাজনীতি – এই শব্দটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে মিছিল, স্লোগান, আর তারুণ্যের উদ্দামতা। কেউ বলেন, ছাত্র রাজনীতি দেশ গড়ার হাতিয়ার, কেউ আবার দেখেন ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে। কিন্তু সত্যিটা কী? আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা ছাত্র রাজনীতির নানা দিক নিয়ে কথা বলব, কিছু বিখ্যাত উক্তি জানব, আর দেখব এই বিষয়ে কিছু স্ট্যাটাস। তাই, যদি ছাত্র রাজনীতি আপনার মনেও দোলা দিয়ে থাকে, তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য!
ছাত্রজীবন হল ভবিষ্যৎ জীবনের প্রস্তুতিপর্ব। – জন মিল্টন
ছাত্রনং অধ্যয়নং তপঃ। – প্রাচীন প্রবাদ
রাজনীতি ছাত্রদের জন্য নয়, তবে ছাত্ররা রাজনীতির জন্য। – শেখ মুজিবুর রহমান
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, আর ছাত্ররাই সেই মেরুদণ্ডের ধারক। – কাজী নজরুল ইসলাম
ছাত্রসমাজ মানেই নতুন কিছু করার আকাঙ্ক্ষা। – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১০০+ছাত্র রাজনীতি নিয়ে উক্তি এবং স্ট্যাটাস
ছাত্ররাজনীতি একটি আদর্শ, একটি সংগ্রাম, একটি স্বপ্ন। তারুণ্যের এই শক্তি দেশের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলুক।
ছাত্রজীবনে রাজনীতির হাতেখড়ি, দেশপ্রেমের প্রথম পাঠ। এই পথ যেন হয় জনকল্যাণের, ক্ষমতার নয়।
রাজনীতি মানে শুধু স্লোগান নয়, মানুষের জন্য কাজ করা। ছাত্ররাজনীতি হোক সেই অঙ্গীকারের শুরু।
ছাত্রদের হাতেই দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের রাজনীতি যেন হয় দেশ গড়ার হাতিয়ার, ধ্বংসের নয়।
ছাত্ররাজনীতি একটি বিপ্লব, একটি পরিবর্তন। এই পরিবর্তন আনুক নতুন দিনের আলো।
দেশ ও দশের সেবায় ছাত্ররাজনীতি, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিমুক্ত হোক আমাদের ছাত্রসমাজ।
শিক্ষা, সংস্কৃতি, আর রাজনীতি – এই তিনের মেলবন্ধনেই গড়ে উঠবে সোনার বাংলা।
ছাত্ররাজনীতি হোক তারুণ্যের প্রতিচ্ছবি, যেখানে স্বপ্নগুলো ডানা মেলে উড়বে অবাধে।
ছাত্রলীগের পতাকা হাতে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে, এগিয়ে চলো দেশের পথে।
দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে পারাই হলো সত্যিকারের ছাত্ররাজনীতি।
মেধাবী ছাত্ররাই গড়বে দেশ, ছাত্ররাজনীতি তাদের পথ দেখাবে সঠিক নির্দেশ।
ছাত্ররাজনীতি মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, ন্যায়ের পক্ষে থাকা।
নতুন প্রজন্ম মানেই নতুন আশা, ছাত্ররাজনীতি তাদের স্বপ্ন পূরণের ভাষা।
স্লোগান নয়, কাজে প্রমাণ করো তোমরা দেশের ভবিষ্যৎ।
ছাত্রজীবনে শেখা রাজনীতি, দেশ গড়ার পথে দিকনির্দেশক।
ছাত্ররাজনীতি হোক সমাজের দর্পণ, যেখানে প্রতিফলিত হবে তারুণ্যের স্পন্দন।
অত্যাচার আর অবিচারের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ চিরকাল সোচ্চার।
তারুণ্যের শক্তি, ছাত্ররাজনীতি, দেশের মুক্তি।
শিক্ষা ও রাজনীতির সমন্বয়েই মুক্তি, ছাত্রসমাজ গড়বে নতুন এক ছবি।
ছাত্ররাজনীতি মানে দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি ভালোবাসা।
ছাত্রজীবনে রাজনীতির চর্চা, ভবিষ্যতে দেশ গড়ার দৃঢ়তা।
স্লোগানে নয়, ছাত্ররাজনীতি হোক কর্মে উজ্জ্বল।
দেশ গড়ার স্বপ্ন বুকে, ছাত্রসমাজ চলুক মুক্তিকে ডেকে।
অসত্যের কাছে নত না হয়ে, সত্যের পথে চলো।
ছাত্ররাজনীতি মানে অন্যায়ের প্রতিবাদ, ন্যায়ের জয়গান।
শিক্ষা আনে মুক্তি, রাজনীতি দেয় পথের দিশা।
তারুণ্যের জয়গান, ছাত্রসমাজ আনবে পরিবর্তন।
ছাত্ররাজনীতি মানে মানবতা, দেশের প্রতি আনুগত্য।
নবীনদের হাতেই দেশ, ছাত্ররাজনীতি তাদের পথ দেখায় বিশেষ।
ছাত্ররাজনীতি হোক দুর্নীতিমুক্ত, তবেই আসবে সমৃদ্ধির যুগ।
দেশপ্রেমের মন্ত্রে দীক্ষিত ছাত্রসমাজ, গড়বে এক নতুন ইতিহাস।
অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও, ছাত্ররাজনীতি তোমায় পথ দেখাও।
শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি – এই হোক ছাত্রজীবনের ব্রত।
তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাও, দেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাও।
ছাত্ররাজনীতি মানে শোষণমুক্ত সমাজ গড়া, এটাই হোক জীবনের পাথেয়।
দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে আজকের ছাত্রদের উপর।
ছাত্ররাজনীতি হোক আদর্শের প্রতীক, যেখানে নেই কোনো বিভেদ।
মেধা আর মনন দিয়ে জয় করো বিশ্ব, ছাত্ররাজনীতি হোক সেই শিক্ষার ভিত্তি।
ছাত্রসমাজ জেগেছে, এবার দেশ গড়বেই।
দেশের প্রয়োজনে ছাত্ররা எப்போதும் ছিল, আছে, থাকবে।
ছাত্ররাজনীতি মানে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা, মানুষের প্রতি ভালোবাসা।
শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে ভালোবেসে, দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে এসো।
ছাত্ররাজনীতি মানে নতুন দিনের আহ্বান, যেখানে সবাই সমান।
তারুণ্যের শক্তি, ছাত্ররাজনীতি, এটাই আমাদের মুক্তি।
শিক্ষা আর রাজনীতি হাতে হাত ধরে চলুক, দেশটা আরও সুন্দর হোক।
ছাত্ররা জেগেছে দেশ জাগবে, নতুন এক সূর্য উঠবে।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলো, ছাত্ররাজনীতি তোমায় সাহস জোগাবে।
ছাত্ররাজনীতি মানে দেশের জন্য ভালোবাসা, মানুষের জন্য আশা।
শিক্ষা ও সততা, এই দুটিই ছাত্রজীবনের মূল কথা।
তারুণ্যের স্বপ্ন, ছাত্রসমাজ গড়বে উন্নত এক দেশ।
ছাত্ররাজনীতি মানে শোষণহীন সমাজ, যেখানে সবাই বাঁচবে আজ।
দেশের সেবা করাই হোক জীবনের লক্ষ্য, ছাত্ররাজনীতি দেবে সেই পথের সাক্ষ্য।
শিক্ষা ও প্রগতি, এই হোক ছাত্রজীবনের ভিত্তি।
তারুণ্যের জাগরণ, ছাত্রসমাজ আনবে নতুন এক ভুবন।
ছাত্ররাজনীতি মানে দেশের প্রতি আনুগত্য, মানুষের প্রতি মমতা।
নবীনরাই গড়বে দেশ, ছাত্ররাজনীতি তাদের দেবে সঠিক নির্দেশ।
দুর্নীতিমুক্ত ছাত্ররাজনীতি, গড়বে এক সোনালী স্মৃতি।
দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ ছাত্রসমাজ, গড়বে এক নতুন দিগন্ত আজ।
অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করো, ছাত্ররাজনীতি তোমায় পথ দেখাবে ধরো।
শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি – এই হোক ছাত্রজীবনের প্রতিজ্ঞা।
তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাও, দেশ গড়ার পথে এগিয়ে চলো সবাই।
ছাত্ররাজনীতি মানে শোষণমুক্ত সমাজ গড়া, এটাই হোক জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া।
দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে ছাত্রদের উপর, তাই তাদের গড়তে হবে নিজেদের ভেতর।
ছাত্ররাজনীতি হোক আদর্শের প্রতীক, যেখানে সবাই হবে ঠিক।
মেধা আর মনন দিয়ে জয় করো পৃথিবী, ছাত্ররাজনীতি দেখাবে ভবিষ্যতের ছবি।
ছাত্রসমাজ জেগেছে, এবার দেশ গড়বেই হেসে খেলে।
দেশের প্রয়োজনে ছাত্ররা সবসময় ছিল, আছে, থাকবে সকলে মিলে।
ছাত্ররাজনীতি মানে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা, মানুষের প্রতি অগাধ ভালোবাসা।
শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে ভালোবেসে, দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে এসো হেসে হেসে।
ছাত্ররাজনীতি মানে নতুন দিনের আহ্বান, যেখানে সবাই হবে মহান।
তারুণ্যের শক্তি, ছাত্ররাজনীতি, এটাই আমাদের মুক্তি।
শিক্ষা আর রাজনীতি হাতে হাত ধরে চলুক, দেশটা আরও সুন্দর হয়ে উঠুক।
ছাত্ররা জেগেছে দেশ জাগবে, নতুন এক আলোয় সব ভরে উঠবে।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলো, ছাত্ররাজনীতি তোমায় সাহস জোগাবে চলো।
ছাত্ররাজনীতি মানে দেশের জন্য ভালোবাসা, মানুষের জন্য প্রাণে আশা।
শিক্ষা ও সততা, এই দুটিই ছাত্রজীবনের চলার পথ।
তারুণ্যের স্বপ্ন, ছাত্রসমাজ গড়বে উন্নত এক দেশ আপন।
ছাত্ররাজনীতি মানে শোষণহীন সমাজ, যেখানে সবাই বাঁচবে আজীবন।
দেশের সেবা করাই হোক জীবনের লক্ষ্য, ছাত্ররাজনীতি দেবে সেই পথের দেয় সাক্ষ্য।
শিক্ষা ও প্রগতি, এই হোক ছাত্রজীবনের মূল ভিত্তি।
তারুণ্যের জাগরণ, ছাত্রসমাজ আনবে নতুন এক ভুবন আপন।
ছাত্ররাজনীতি মানে দেশের প্রতি আনুগত্য, মানুষের প্রতি প্রাণে মমতা।
নবীনরাই গড়বে দেশ, ছাত্ররাজনীতি তাদের দেবে সঠিক পথের নির্দেশ।
দুর্নীতিমুক্ত ছাত্ররাজনীতি, গড়বে এক সোনালী দিনের স্মৃতি।
দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ ছাত্রসমাজ, গড়বে এক নতুন দিগন্ত আজ আমাদের মাঝ।
অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করো, ছাত্ররাজনীতি তোমায় পথ দেখাবে ধরো।
শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি – এই হোক ছাত্রজীবনের প্রতিজ্ঞা সকলের।
তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাও, দেশ গড়ার পথে এগিয়ে চলো সবাই চল।
ছাত্ররাজনীতি মানে শোষণমুক্ত সমাজ গড়া, এটাই হোক জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া।
দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে ছাত্রদের উপর, তাই তাদের গড়তে হবে নিজেদের ভেতর সুন্দর।
ছাত্ররাজনীতি হোক আদর্শের প্রতীক, যেখানে সবাই হবে ঠিক সঠিক।
মেধা আর মনন দিয়ে জয় করো পৃথিবী, ছাত্ররাজনীতি দেখাবে ভবিষ্যতের ছবি আরও নতুন।
ছাত্রসমাজ জেগেছে, এবার দেশ গড়বেই হেসে খেলে সকলে।
দেশের প্রয়োজনে ছাত্ররা সবসময় ছিল, আছে, থাকবে সকলে মিলে মিশে।
ছাত্ররাজনীতি মানে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা, মানুষের প্রতি অগাধ ভালোবাসা প্রাণে মিশে।
ছাত্র রাজনীতি কী?
ছাত্র রাজনীতি হলো ছাত্র সমাজের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি এবং নিজেদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সংগঠিত হওয়া। এর মাধ্যমে ছাত্ররা বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুতে নিজেদের মতামত প্রকাশ করে এবং সমাজের পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে।
ছাত্র রাজনীতির ইতিহাস
আমাদের দেশে ছাত্র রাজনীতির ইতিহাস বেশ পুরোনো। ব্রিটিশ era থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ছাত্ররা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। তারা শুধু নিজেদের অধিকারের জন্য নয়, দেশের মানুষের অধিকারের জন্যও সংগ্রাম করেছে।
ছাত্র রাজনীতির উদ্দেশ্য
ছাত্র রাজনীতির মূল উদ্দেশ্যগুলো হলো:
- ছাত্রদের অধিকার রক্ষা করা
- শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা
- সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা
- গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রসার ঘটানো
- দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করা
ছাত্র রাজনীতির ভালো দিক গুলো
ছাত্র রাজনীতির অনেক ভালো দিক আছে। এটি ছাত্রদের মধ্যে নেতৃত্বগুণাবলী বিকাশে সাহায্য করে, তাদের মধ্যে সামাজিক সচেতনতা বাড়ায়, এবং দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মতামত দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে।
নেতৃত্ব বিকাশে সহায়তা
ছাত্র রাজনীতিতে অংশ নিলে একজন ছাত্রের মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা তৈরি হয়। তারা নিজেদের সংগঠন পরিচালনা করতে শেখে, অন্যদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের মতামত জানতে পারে, এবং নিজেদের চিন্তা প্রকাশ করতে সক্ষম হয়। এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে তাদের কর্মজীবনেও কাজে লাগে।
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি
ছাত্র রাজনীতি ছাত্রদেরকে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। তারা দরিদ্রতা, বৈষম্য, দুর্নীতি ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করতে শুরু করে এবং এগুলো সমাধানের উপায় খুঁজতে চেষ্টা করে।
অধিকার আদায়ে ভূমিকা
ছাত্র রাজনীতি ছাত্রদের অধিকার রক্ষার জন্য একটি শক্তিশালী মাধ্যম। যখন কোনো ছাত্র বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর কোনো অন্যায় হয়, তখন ছাত্র সংগঠনগুলো এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এবং ন্যায়বিচার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করে।
ছাত্র রাজনীতির খারাপ দিক গুলো
তবে, ছাত্র রাজনীতির কিছু খারাপ দিকও আছে। অনেক সময় দেখা যায়, ছাত্ররা মূল পড়াশোনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে এবং রাজনৈতিক দলাদলিতে জড়িয়ে পড়ছে। এছাড়া, ক্যাম্পাসে মারামারি, হানাহানি, এবং সহিংসতার ঘটনাও ঘটে, যা ছাত্র রাজনীতির একটি কলঙ্কজনক দিক।
পড়াশোনায় অমনোযোগ
অনেক ছাত্র রাজনীতিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণে তাদের পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে যায়। তারা ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত থাকে না, পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয় না, এবং ফলে তাদের শিক্ষাগত জীবনে খারাপ প্রভাব পড়ে।
দলাদলি ও সহিংসতা
ছাত্র রাজনীতির কারণে ক্যাম্পাসে প্রায়ই দলাদলি ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে মারামারি, ভাঙচুর, এবং হানাহানির ঘটনা সাধারণ হয়ে দাঁড়ায়, যা ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করে।
ক্ষমতার অপব্যবহার
কিছু ছাত্র রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অন্যায় কাজে জড়িয়ে পরে। তারা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, এবং ভর্তি বাণিজ্যের মতো কাজে লিপ্ত হয়, যা ছাত্র রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে আসা।
ছাত্র রাজনীতি বর্তমানে কেমন?
বর্তমানে ছাত্র রাজনীতির চরিত্র অনেকখানি পরিবর্তিত হয়ে গেছে। আগের মতো আদর্শভিত্তিক রাজনীতি এখন অনেকটাই কমে গেছে। এখন অনেক ছাত্র রাজনীতিকে career গড়ার সিঁড়ি হিসেবে দেখে।
আদর্শের অভাব
আগের দিনে ছাত্র রাজনীতি চলত একটা নির্দিষ্ট আদর্শের ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু বর্তমানে অনেক ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সেই আদর্শের অভাব দেখা যায়। তারা ব্যক্তিগত স্বার্থ এবং দলীয় স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেয়।
পেশিশক্তির ব্যবহার
বর্তমানে ছাত্র রাজনীতিতে পেশিশক্তির ব্যবহার বাড়ছে। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন তাদের ক্ষমতা দেখানোর জন্য পেশিশক্তির ব্যবহার করে, যা সাধারণ ছাত্রদের জন্য ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে।
ছাত্র রাজনীতি নিয়ে কিছু বিতর্কিত বিষয়
ছাত্র রাজনীতি নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। কেউ বলেন এটা ছাত্রদের জন্য ভালো, কেউ বলেন খারাপ। এখানে কিছু বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো:
ছাত্র রাজনীতি কি থাকা উচিত?
এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন। অনেকে মনে করেন ছাত্র রাজনীতি ছাত্রদের অধিকার রক্ষা এবং নেতৃত্ব বিকাশের জন্য জরুরি। আবার অনেকে মনে করেন এটা ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করে এবং ছাত্রদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটায়।
ছাত্ররা কি রাজনীতিতে জড়িত হওয়া উচিত?
ছাত্রদের রাজনীতিতে জড়িত হওয়া উচিত কিনা, তা নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। কেউ বলেন ছাত্রদের সমাজের সমস্যা সম্পর্কে জানা উচিত এবং পরিবর্তনে অংশ নেওয়া উচিত। আবার কেউ বলেন ছাত্রদের মূল কাজ পড়ালেখা করা এবং রাজনীতি থেকে দূরে থাকা।
ছাত্র রাজনীতি নিয়ে কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
এখানে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো:
-
ছাত্র রাজনীতি কী?
উত্তর: ছাত্র রাজনীতি হলো ছাত্র সমাজের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি এবং নিজেদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সংগঠিত হওয়া। -
ছাত্র রাজনীতির উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: ছাত্র রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো ছাত্রদের অধিকার রক্ষা করা, শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রসার ঘটানো, এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করা। -
ছাত্র রাজনীতি কি ভালো?
উত্তর: ছাত্র রাজনীতির কিছু ভালো দিক আছে, যেমন নেতৃত্ব বিকাশ, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখা। তবে এর কিছু খারাপ দিকও আছে, যেমন পড়াশোনায় অমনোযোগ, দলাদলি ও সহিংসতা, এবং ক্ষমতার অপব্যবহার।
- ছাত্র রাজনীতি বর্তমানে কেমন?
উত্তর: বর্তমানে ছাত্র রাজনীতির চরিত্র অনেকখানি পরিবর্তিত হয়ে গেছে। আগের মতো আদর্শভিত্তিক রাজনীতি এখন অনেকটাই কমে গেছে। এখন অনেক ছাত্র রাজনীতিকে career গড়ার সিঁড়ি হিসেবে দেখে।
টেবিল: ছাত্র রাজনীতির ভালো ও খারাপ দিক
ভালো দিক | খারাপ দিক |
---|---|
নেতৃত্ব বিকাশে সহায়তা | পড়াশোনায় অমনোযোগ |
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি | দলাদলি ও সহিংসতা |
অধিকার আদায়ে ভূমিকা | ক্ষমতার অপব্যবহার |
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রসার ঘটানো | আদর্শের অভাব |
দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করা | পেশী শক্তির ব্যবহার |
শেষ কথা
ছাত্র রাজনীতি আমাদের সমাজের একটা অংশ। এর ভালো ও খারাপ দুটো দিকই আছে। আমাদের উচিত ছাত্র রাজনীতিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা, যাতে এটি ছাত্রদের এবং দেশের কল্যাণে কাজ করে। ছাত্ররা যেন আদর্শের পথে চলে এবং দেশের উন্নয়নে নিজেদের অবদান রাখতে পারে, সেটাই কাম্য। আপনি কি ছাত্র রাজনীতি সমর্থন করেন? আপনার মতামত কমেন্টে জানাতে পারেন।