Bongo Tuner
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
Bongo Tuner
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT

রচনাঃ একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ

Fahim Raihan by Fahim Raihan
June 2, 2024
in নির্মিতি, বাংলা, রচনা
0
রচনাঃ একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ

একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ

0
SHARES
1
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter
ADVERTISEMENT
Get Latest Updates

আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রচনা শেয়ার করব “একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ“। এই রচনাটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই রচনাটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।

একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ

ভূমিকা : একুশ শতক মানবসভ্যতার জন্য বিব্রতকর বিড়ম্বনা এবং বিস্ময়কর উদ্ভাবনী চ্যালেঞ্জে ভাম্বর। একুশ শতক সংকট ও সম্ভাবনার, শ্রম ও বুদ্ধিমত্তার, সহিষ্ণুতা ও সৌভ্রাতৃত্বের, সুন্দর ধরিত্রীকে রক্ষার সুষম কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের শতক। এ শতক হবে মানবিক মূল্যবোধ পরিচর্যায় পারস্পরিক সমঝোতা, উদার সহযোগিতা ও সহমর্মিতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। একুশ শতকের এই অম্ল-মধুর-তিক্ত ঢেউয়ের দোলায় বাংলাদেশও আন্দোলিত হবে। পরিবর্তিত পরিবেশ, অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, সংস্কৃতি ও প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে।

একুশ শতকের সম্ভাবনা : বিশ শতক ছিল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর সভ্যতার প্রারম্ভকাল আর একুশ শতক তার বিকাশ ও উৎকর্ষকাল। এ সময় কৃষি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রয়োগে বৈপ্লবিক উন্নতি সাধিত হবে। বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির আরও উন্নয়নের মাধ্যমে মঙ্গল বা অন্য কোনো গ্রহে মানুষ বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হবে। পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশ বিদ্রোহী হয়ে উঠলেও মানুষের ভালোভাবে বেঁচে থাকার প্রচেষ্টায় নতুন নতুন আবিষ্কার ও উদ্ভাবন সম্ভব হবে। ফলে পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে টিকে থাকা সহজ হবে। পৃথিবীর কিছু স্থলভাগ ও বনাঞ্চল তলিয়ে যাবে এবং জীববৈচিত্র্য বিপন্ন অথবা ধ্বংস হবে। কিন্তু মানুষ চেষ্টা করবে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের। নতুন নতুন রোগ-ব্যাধির প্রাদুর্ভাবে বহু মানুষের মৃত্যু আবার সেসব রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তির প্রক্রিয়াও উদ্ভাবিত হবে। মানুষ লাভ করবে দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন। খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন হবে। মানুষ সহজপাচ্য খাদ্য গ্রহণ করবে। গড়ে উঠবে পানিতে ভাসমান বাড়িঘর। পানিতে ভাসমান খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়াও শুরু হবে। শারীরিক পরিশ্রমের কাজগুলো করবে রোবট। এরা সংসার বা অফিসের ফাই-ফরমাশও খাটবে। নারীরা কর্মক্ষেত্রের সর্বর প্রভাব বিস্তার করবে এবং তাদের হাতেই থাকবে সংসার, সরকার ও প্রশাসন। উগ্র মৌলবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অবসান ঘটবে অবধারিতভাবে। এ শতকে পারমাণবিক অস্ত্রের উৎপাদন বন্ধ হবে, পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংস করা হবে। ফলে পারমাণবিক যুদ্ধ বা বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হবে না। বরং পারমাণবিক শক্তি মানবকল্যাণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে। বাংলাদেশও এসব সম্ভাবনার ক্ষেত্রে নিজেকে সম্পৃক্ত করে উদ্ভাবনগুলোর প্রয়োগে যত্নবান হবে এবং নতুন কিছু উদ্ভাবনের প্রয়াস অব্যাহত রাখবে ।

একুশ শতকের বিড়ম্বনা : বাংলাদেশের এক-পঞ্চমাংশ এলাকা লোনা পানির কবলে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও উষ্ণায়নের কারণে বাংলাদেশের এক- পঞ্চমাংশ এলাকা এ শতকের পঞ্চাশের দশকের মধ্যে তলিয়ে যাবে। সমুদ্রের লোনা পানি গ্রাস করবে উপকূলের জেলাগুলোর বিশাল এলাকা। ফলে ধ্বংস হবে কৃষি উৎপাদন ও আবাসন। খাদ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপন্ন হবে। এজন্য বাংলাদেশ ক’বছর আগে থেকেই সর্বোচ্চ সতর্কতা ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপর হয়েছে।

Read More:  ভাবসম্প্রসারণঃ জাতীয় জীবনে সন্তোষ ও আকাঙ্ক্ষা দুয়েরই মাত্রা বাড়িয়া গেলে বিনাশের কারণ ঘটে

অতিবর্ষণ ও বন্যা : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে শুরু হবে অতিবর্ষণ ও ঝড়-ঝঞ্ঝা। আর এর ফলে বাংলাদেশের সিংহভাগ এলাকা বন্যাকবলিত হবে। এতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে কৃষি উৎপাদন। সৃষ্টি হবে খাদ্য সংকটসহ অন্যান্য সমস্যা। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে খাদ্য নিরাপত্তার ওপর জোর দিয়েছে।

সুপেয়/মিঠা পানির সংকট : মাটিতে পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাওয়ার কারণে সুপেয় পানির সংকট দেখা দেবে। নদীগুলোর পানিতে সমুদ্রের লোনা পানির প্রভাবে তা পানের অযোগ্য হয়ে পড়বে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় এ সংকট স্থায়ী রূপ নেবে । ভূউপরস্থ পানি ও অভিন্ন নদীগুলোর ন্যায্য হিস্যা আদায়ে বাংলাদেশ তৎপর রয়েছে।

ADVERTISEMENT

আবাসন ও কর্মসংস্থানের সংকট : আবাসন ও কর্মসংস্থানের সংকট তীব্র আকার ধারণ করবে। উঁচু বাড়ি ও গ্রামগুলো মনে হবে ছোট ছোট দ্বীপ। অধিকাংশ নিচু গ্রাম বা শহরের মানুষ অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকায় পাড়ি জমাবে। পানিতে ভাসমান ধান ও অন্যান্য ফসলের আবাদ শুরু হবে। আর এসব এলাকায় যোগাযোগ ও ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রচলন হবে নৌকায় । বড় আকারের নৌকায় আবাসনও শুরু হবে। মাছ ধরার মধ্যেই ডুবন্ত এলাকার কর্মসংস্থান সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে। বেকার ও ক্ষুধার্ত মানুষ ছুটবে শহরের দিকে অথবা পাড়ি জমাবে বিদেশে। বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ অগ্রাধিকার দিয়েছে।

খাদ্যসামগ্রীর সংকট : বিশাল এলাকার কৃষিজমি তলিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করবে। বিশেষ করে ডুবে যাওয়া এলাকার মানুষ এবং উদ্বাস্তু মানুষ খাদ্যাভাবে কষ্ট পাবে, ভুগবে অপুষ্টি ও স্বাস্থ্য সমস্যায়। জিন প্রযুক্তির মাধ্যমে অধিক খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা সৃষ্টিতে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট : বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের অধিকাংশ এলাকা ডুবে গেলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট তীব্র হবে। বিদ্যুৎ সংকটে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হবে। আর জ্বালানির অভাবে রান্না-বান্নায় মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হবে। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ ক্রয়, দেশে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যকর কার্যক্রমের পাশাপাশি জ্বালানি সংকট নিরসনেও বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে রয়েছে।

সুন্দরবন ও জীববৈচিত্র্য সংকট : পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন মারাত্মক অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। বিপুল সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যের আধার সুন্দরবন শুধু ডুবে যাবে তাই নয়, পাড় ভাঙতে ভাঙতে সমুদ্রগর্ভে এটি বিলীন হবে । তাছাড়া নতুন করে উঁচু চর না পড়ায় নতুন বনভূমিও সৃষ্টি হবে না। বিপন্ন হবে অথবা ধ্বংস হয়ে যাবে বিস্ময়কর জীববৈচিত্র্য। সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষ কর্মসংস্থানের অভাবে বেকার হয়ে যাবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।

Read More:  রচনাঃ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ও বাংলাদেশ

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি : কৃষিজমি হ্রাস পাওয়ায় কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে। আর এর ফলস্বরূপ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাবে। এতে সীমিত আয়ের মানুষের জীবনযাপনে দুর্ভোগ বেড়ে যাবে। দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য বাংলাদেশ আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়ন : সামাজিক উন্নয়নে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এখনও অন্তত ৪০ ভাগ মানুষ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশ প্রতিটি মানুষকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা, গণশিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, সাধারণ শিক্ষা ও মাদ্রাসা শিক্ষার মাধ্যমে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কেননা বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। কাজেই তাদেরকে প্রশাসন, বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সেনাবাহিনী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য সেক্টরে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাদের পদোন্নতি, পরিচালনা ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছে।

লোনা পানিতে অধিক উৎপাদনশীল ধান : বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে সারা পৃথিবীকে জানিয়ে দিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে কী ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় হতে পারে। আর সেসব বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশ সরকার BRRI-কে উদ্বুদ্ধ করেছে লোনা পানিতে এবং মিঠা পানিতে অধিক উৎপাদনশীল ধান উদ্ভাবনের জন্য। পানিতে উচ্চ ফলনশীল ধান উদ্ভাবিত হলে বাংলাদেশ খাদ্য সংকট উত্তরণে অনেকখানি সফল হবে।

সৌর জ্বালানি ব্যবহার : পৃথিবীর অভ্যন্তরে সঞ্জিত তেল ও গ্যাস ব্যাপকহারে উত্তোলনের ফলে ক্রমশ কমে আসছে। বনভূমি ও ভয়াবহ মাত্রায় হ্রাস পেয়েছে। খনিজ কয়লায় বেশিদিন চলবে না। এরপর সৌর জ্বালানি ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না । বিকল্প এখন পর্যন্ত উদ্ভাবিত হয়নি। তবে হতে পারে। আপাতত সৌর জ্বালানি ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে বাংলাদেশ ।

স্থল ও জলে ব্যবহারযোগ্য যান উদ্ভাবন : ইতোমধ্যে স্থল ও জলে ব্যবহারযোগ্য যান উদ্ভাবনের প্রক্রিয়া চলছে। এ শতকে এ রকম যানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ব্যবহার নিশ্চিত হবে। বাংলাদেশ এ ধরনের সৌরচালিত যানের প্রচলন করে আগামী দিনের যোগাযোগ সংকটের সমাধান করতে পারবে।

মিঠা পানির সংকট উত্তরণ : ভবিষ্যতে বাংলাদেশে মিঠা পানির সংকট প্রকট হবে। সে জন্য হয় বৃষ্টির পানি ব্যবহার করতে হবে, না হয় লোনা পানি শোধনের প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করতে হবে। পানি সংকট সমাধানে বাংলাদেশ উজানের দেশগুলোর সাথে অর্থবহ আলোচনার মাধ্যমে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে তৎপর রয়েছে।

Read More:  ভাবসম্প্রসারণঃ নানান দেশের নানান ভাষা বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা?

নতুন রোগ প্রতিরোধের উপায় উদ্ভাবন : জনসংখ্যার ভারে জর্জরিত এবং লোনা পানি কবলিত বাংলাদেশে নতুন নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে। বাংলাদেশ এসব রোগ প্রতিরোধের জন্য ওষুধ বা প্রতিষেধক উদ্ভাবনে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। পরীক্ষা- নিরীক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে এসব রোগের জীবাণু শনাক্তকরণ প্রক্রিয়াও নিশ্চিত করবে এ দেশ ।

কৃষিক্ষেত্রে উদ্ভাবন : অতিবৃষ্টি, খরা ও স্থায়ী পানিতে সহনীয় ও অধিক ফলনশীল ধান, পাট, আখ, ভুট্টা জাতীয় ফসল উদ্ভাবনে সচেষ্ট হবে বাংলাদেশ । আর এর মাধ্যমে খাদ্য ঘাটতিসহ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।

  • পানিতে ভাসমান স্থানান্তরযোগ্য ঘর উদ্ভাবন : জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম মধ্য ভূভাগ ডুবে যাবে। পৃথিবীর বেশকিছু দেশ এ অবস্থার মুখোমুখি হবে। বাংলাদেশ এসব বাস্তুচ্যুত অসহায় মানুষের জন্য উদ্ভাবন করবে একধরনের ঘর যা পানিতে স্থিরভাবে ভেসে থাকবে এবং প্রয়োজনে স্থানান্তর করা যাবে।
  • জনশক্তি প্রেরণ : কম জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশগুলোতে বাংলাদেশ জনশক্তি প্রেরণ করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে। জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে পরিণত করার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করবে দরকার মাফিক। এ ছাড়া ঐ দেশগুলোতে স্থায়ী হওয়ার জন্য জনশক্তিকে উৎসাহিত করবে।
  • জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ : জনসংখ্যাকে কাম্য জনসংখ্যায় ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষিত উন্নতি ও সমৃদ্ধি হবে না। কাজেই যেকোনো বৈধ ও বিজ্ঞানসম্মত কৌশলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করতে এ দেশকে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।
  • পারমাণবিক বোমা ধ্বংস : একুশের বড় অর্জন একুশ শতক হবে মানবিক মূল্যবোধ মূল্যায়ন ও কার্যকর প্রয়োগের শতক। এ কারণে মানবিকতা ও মানবাধিকারের বিপরীতে যা কিছু পৃথিবীর অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ তা প্রবলভাবে অনুৎসাহিত করা হবে। জাতিসংঘে এ প্রস্তাব উপস্থাপন করবে বাংলাদেশ।

উপসংহার : বিপুল সম্ভাবনা আর মারাত্মক আশঙ্কার বার্তা নিয়ে একুশ শতকের আবির্ভাব। নানা কারণে অস্থিরতা, অরাজকতা ও সমস্যা থাকলেও জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূল হবে এ শতকে । বিশ্ব হবে এক মানবিক বিশ্ব, হবে এক পরিবার। আর সেই পরিবারের সবাই হবে সুখী মানুষ । পৃথিবী গড়ে উঠবে এক অনাবিল শান্তির আবাসস্থল হিসেবে।

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে রচনা যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই রচনা নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Tags: একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশরচনা
Previous Post

রচনাঃ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীর ভূমিকা

Next Post

রচনাঃ ধান

Fahim Raihan

Fahim Raihan

Next Post
রচনাঃ ধান

রচনাঃ ধান

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন
Education

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন

by Mushfiqur Rahman
May 5, 2025
0

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য মনে করুন, পরীক্ষার আগের রাতে আপনি সব পড়ে শেষ করেছেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে...

Read more
মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

May 5, 2025
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

May 5, 2025
ADVERTISEMENT
Bongo Tuner

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Navigate Site

  • Home
  • About Us
  • Privacy Policy
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy

Follow Us

No Result
View All Result
  • About Us
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy
  • Privacy Policy

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.