আচ্ছালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? বাংলা ব্যাকরণের এক মজার অধ্যায় নিয়ে আজ আমরা কথা বলবো। কারক! নামটা শুনে হয়তো একটু কঠিন মনে হচ্ছে, কিন্তু বিশ্বাস করুন, আজকের পর থেকে কারক আপনার কাছে জলের মতো সহজ হয়ে যাবে। তাহলে চলুন, দেরি না করে শুরু করা যাক!
কারক! এই শব্দটি শুনলেই অনেকের মনে একটা ভয়ের সঞ্চার হয়, তাই না? কিন্তু ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি আপনাদের সাথে আছি, কারকের জট খুলে দিতে। ভাবুন তো, প্রতিদিন কত কথা বলি, কত বাক্য ব্যবহার করি। সেই বাক্যগুলোর মধ্যেই লুকিয়ে আছে কারকের রহস্য। আসুন, সেই রহস্য ভেদ করি!
কারক কাকে বলে? (Karok Kake Bole?)
সহজ ভাষায় যদি বলি, বাক্যের মধ্যে ক্রিয়াপদের (verb) সঙ্গে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক, তাকেই কারক বলে। মানে, বাক্যের অন্যান্য পদগুলো ক্রিয়াকে কীভাবে সাহায্য করছে, সেটাই কারক। “k কে করছে, কী দিয়ে করছে, কোথায় করছে, কখন করছে” – এই প্রশ্নগুলোর উত্তরই হলো কারক।
একটু বুঝিয়ে বলা যাক। ধরুন, একটা বাক্য: “নাসিমা কলম দিয়ে চিঠি লেখে।” এই বাক্যে “লেখে” হলো ক্রিয়া। এখন, “কে লেখে?” – উত্তর “নাসিমা”। “কী দিয়ে লেখে?” – উত্তর “কলম দিয়ে”। তাহলে, “নাসিমা” এবং “কলম দিয়ে” এই পদগুলোর সাথে “লেখে” ক্রিয়ার একটা সম্পর্ক আছে। এই সম্পর্কগুলোই হলো কারক।
তাহলে কারকের সংজ্ঞাটা দাঁড়াচ্ছে:
বাক্যের অন্তর্গত ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদ বা সর্বনাম পদের যে সম্পর্ক থাকে, তাকে কারক বলে।
আশা করি, কারক জিনিসটা কী, তা বুঝতে পেরেছেন। এবার চলুন, কারকের প্রকারভেদগুলো জেনে নেওয়া যাক।
কারক কত প্রকার ও কি কি? (Karok Koto Prokar o Ki Ki?)
কারক প্রধানত ছয় প্রকার। মনে রাখার জন্য একটা ছড়া মনে রাখতে পারেন: “কর্তা কর্ম করণ নিমিত্ত, অপাদান আর অধিকরণ – এই ছয় কারক ব্যাকরণ।”
- কর্তৃকারক (Kortri Karok)
- কর্মকারক (Karma Karok)
- করণ কারক (Karon Karok)
- সম্প্রদান কারক (Sampradan Karok)
- অপাদান কারক (Apadan Karok)
- অধিকরণ কারক (Adhikaran Karok)
এবার এই প্রকারভেদগুলো একটু বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক, কেমন?
কর্তৃকারক (Kortri Karok)
ক্রিয়াকে যে বা যারা সম্পন্ন করে, তারাই হলো কর্তা এবং সেই কর্তাই কর্তৃকারকের অন্তর্ভুক্ত। কর্তৃকারক মানে হলো, “কে” বা “কারা” কাজটি করছে, তার উত্তর।
- সংজ্ঞা: বাক্যের মধ্যে যে পদ ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে কর্তৃকারক বলে।
- মনে রাখার উপায়: ক্রিয়াকে “কে” বা “কারা” দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটাই কর্তৃকারক।
কর্তৃকারকের উদাহরণ:
- নাসিমা চিঠি লেখে। (কে লেখে? উত্তর: নাসিমা)
- ছেলেরা ফুটবল খেলছে। (কারা খেলছে? উত্তর: ছেলেরা)
- পাখি উড়ে যায়। (কে উড়ে যায়? উত্তর: পাখি)
কর্তৃকারকের প্রকারভেদও আছে। এগুলো হলো:
- মুখ্য কর্তা (ক্রিয়া সরাসরি যে করে)
- প্রযোজক কর্তা (অন্যকে দিয়ে কাজ করায়)
- প্রযোজ্য কর্তা (যার দ্বারা কাজ করানো হয়)
- ব্যতিহার কর্তা (দুজন মিলে একসাথে কাজ করে)
উদাহরণ:
- মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন। এখানে ‘মা’ প্রযোজক কর্তা এবং ‘শিশু’ প্রযোজ্য কর্তা।
কর্মকারক (Karma Karok)
কর্তা যাকে আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাই হলো কর্ম। অর্থাৎ, কর্তা যা করে, সেটাই কর্মকারক।
- সংজ্ঞা: কর্তা যাকে অবলম্বন করে ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে কর্মকারক বলে।
- মনে রাখার উপায়: ক্রিয়াকে “কী” বা “কাকে” দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটাই কর্মকারক।
কর্মকারকের উদাহরণ:
- আমি ভাত খাই। (আমি কী খাই? উত্তর: ভাত)
- বাবা আমাকে একটি কলম কিনে দিয়েছেন। (বাবা কাকে কলম কিনে দিয়েছেন? উত্তর: আমাকে)
- শিক্ষক ছাত্রদের ব্যাকরণ পড়াচ্ছেন। (শিক্ষক কাদের পড়াচ্ছেন? উত্তর: ছাত্রদের)
কর্মকারক দুই প্রকার:
- মুখ্য কর্ম (বস্তুবাচক)
- গৌণ কর্ম (প্রাণিবাচক)
উদাহরণ:
- বাবা আমাকে একটি কলম কিনে দিয়েছেন। এখানে, ‘কলম’ মুখ্য কর্ম এবং ‘আমাকে’ গৌণ কর্ম।
করণ কারক (Karon Karok)
করণ মানে হলো “উপকরণ” বা “সহায়ক”। ক্রিয়া সম্পাদনের জন্য যা ব্যবহার করা হয়, তাই হলো করণ কারক।
- সংজ্ঞা: ক্রিয়া সম্পাদনের উপকরণ, মাধ্যম বা সহায়ককে করণ কারক বলে।
- মনে রাখার উপায়: ক্রিয়াকে “কী দিয়ে” বা “কীভাবে” দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটাই করণ কারক।
করণ কারকের উদাহরণ:
- নাসিমা কলম দিয়ে চিঠি লেখে। (কী দিয়ে লেখে? উত্তর: কলম দিয়ে)
- শিকারি বন্দুক দিয়ে পাখি শিকার করে। (কী দিয়ে শিকার করে? উত্তর: বন্দুক দিয়ে)
- আমরা চোখ দিয়ে দেখি। (কী দিয়ে দেখি? উত্তর: চোখ দিয়ে)
সম্প্রদান কারক (Sampradan Karok)
কাউকে স্বত্ব ত্যাগ করে দান করা বা কোনো কিছু উৎসর্গ করা বোঝালে, সেটি সম্প্রদান কারক।
- সংজ্ঞা: যখন কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে নিঃস্বার্থভাবে দান করা হয়, তখন তাকে সম্প্রদান কারক বলে।
- মনে রাখার উপায়: “কাকে দান করা হচ্ছে” – এই প্রশ্নের উত্তরে সম্প্রদান কারক পাওয়া যায়। তবে, মনে রাখতে হবে, দানের ক্ষেত্রে স্বত্ব ত্যাগ করা আবশ্যক।
সম্প্রদান কারকের উদাহরণ:
- ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও। (কাকে দাও? উত্তর: ভিক্ষুককে)
- অন্ধজনে আলো দাও। (কাকে দাও? উত্তর: অন্ধজনে)
- দরিদ্রদের সাহায্য করো। (কাদের সাহায্য করো? উত্তর: দরিদ্রদের)
বর্তমানে, সম্প্রদান কারকের ব্যবহার কমে গেছে। কর্মকারক দিয়েই সম্প্রদান কারকের কাজ চালানো হয়।
অপাদান কারক (Apadan Karok)
অপাদান মানে হলো “যা থেকে কিছু বিচ্যুত, গৃহীত, জাত, উৎপন্ন, দূরীভূত, রক্ষিত, ভীত” হয়। কোনো কিছু থেকে কিছু আলাদা হলে, ভয় পেলে বা কোনো উৎস থেকে কিছু এলে, সেটাই অপাদান কারক।
- সংজ্ঞা: যা থেকে কিছু বিচ্যুত, গৃহীত, জাত, উৎপন্ন, দূরীভূত ও রক্ষিত হয়, তাকে অপাদান কারক বলে।
- মনে রাখার উপায়: ক্রিয়াকে “কোথা থেকে”, “কী হতে” বা “কী থেকে” দিয়ে প্রশ্ন করলে যদি উত্তর পাওয়া যায়, সেটাই অপাদান কারক।
অপাদান কারকের উদাহরণ:
- গাছ থেকে পাতা পড়ে। (কোথা থেকে পড়ে? উত্তর: গাছ থেকে)
- মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়। (কোথা থেকে হয়? উত্তর: মেঘ থেকে)
- বিপদ থেকে রক্ষা করো। (কী থেকে রক্ষা করো? উত্তর: বিপদ থেকে)
- বাবা বাড়ি থেকে অফিসে গিয়েছেন। (কোথা থেকে গিয়েছেন? উত্তর: বাড়ি থেকে)
অধিকরণ কারক (Adhikaran Karok)
অধিকরণ মানে হলো স্থান, কাল বা পাত্র। ক্রিয়া কোথায়, কখন বা কোন বিষয়ে সম্পন্ন হয়েছে, তা বোঝালে অধিকরণ কারক হয়।
- সংজ্ঞা: ক্রিয়া সম্পাদনের স্থান, কাল ও বিষয়কে অধিকরণ কারক বলে।
- মনে রাখার উপায়: ক্রিয়াকে “কোথায়”, “কখন” বা “কী বিষয়ে” দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটাই অধিকরণ কারক।
অধিকরণ কারকের উদাহরণ:
- আমরা বাড়িতে থাকি। (কোথায় থাকি? উত্তর: বাড়িতে)
- শীতকালে কুয়াশা পড়ে। (কখন কুয়াশা পড়ে? উত্তর: শীতকালে)
- তিনি ব্যাকরণে পণ্ডিত। (কী বিষয়ে পণ্ডিত? উত্তর: ব্যাকরণে)
- পুকুরে মাছ আছে। (কোথায় মাছ আছে? উত্তর: পুকুরে)
অধিকরণ কারক তিন প্রকার:
- কালাধিকরণ (সময় বোঝালে)
- স্থানাধিকরণ (স্থান বোঝালে)
- ভাবাধিকরণ (ক্রিয়ার ভাব বোঝালে)
উদাহরণ:
- সূর্যাদয়ে অন্ধকার দূরীভূত হয়। – কালাধিকরণ (সময়)
- নদীতে মাছ আছে। – স্থানাধিকরণ (স্থান)
বিভিন্ন কারকের উদাহরণ এবং মনে রাখার সহজ উপায়
কারক | প্রশ্ন করার শব্দ | উদাহরণ | মনে রাখার উপায় |
---|---|---|---|
কর্তৃকারক | কে/কারা | নাসিমা চিঠি লেখে। | ক্রিয়াকে “কে” বা “কারা” দিয়ে প্রশ্ন করুন। |
কর্মকারক | কী/কাকে | আমি ভাত খাই। | ক্রিয়াকে “কী” বা “কাকে” দিয়ে প্রশ্ন করুন। |
করণ কারক | কী দিয়ে/কীভাবে | নাসিমা কলম দিয়ে চিঠি লেখে। | ক্রিয়াকে “কী দিয়ে” বা “কীভাবে” দিয়ে প্রশ্ন করুন। |
সম্প্রদান কারক | কাকে | ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও। | “কাকে দান করা হচ্ছে” – এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজুন এবং স্বত্ব ত্যাগ নিশ্চিত করুন। |
অপাদান কারক | কোথা থেকে/কী হতে | গাছ থেকে পাতা পড়ে। | ক্রিয়াকে “কোথা থেকে”, “কী হতে” বা “কী থেকে” দিয়ে প্রশ্ন করুন। |
অধিকরণ কারক | কোথায়/কখন/কী বিষয়ে | আমরা বাড়িতে থাকি। | ক্রিয়াকে “কোথায়”, “কখন” বা “কী বিষয়ে” দিয়ে প্রশ্ন করুন। |
কারক বিভক্তি (Karok Bibhokti)
বিভক্তি মানে হলো কিছু বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি, যা শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শব্দকে পদে পরিণত করে এবং কারক নির্ণয়ে সাহায্য করে। বিভক্তিগুলো হলো:
- প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি (০)
- দ্বিতীয়া বিভক্তি (কে, রে)
- তৃতীয়া বিভক্তি (দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক)
- চতুর্থী বিভক্তি (কে, রে – সম্প্রদান কারকে)
- পঞ্চমী বিভক্তি (হতে, থেকে, চেয়ে)
- ষষ্ঠী বিভক্তি (র, এর)
- সপ্তমী বিভক্তি (এ, য়, তে)
বিভক্তি চেনার উপায় হলো, শব্দটির শেষে যুক্ত হওয়া বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি দেখে বোঝা যায় এটি কোন বিভক্তি।
উদাহরণ:
- ছেলেকে কাজটি দাও – দ্বিতীয়া বিভক্তি
- লাঠিদ্বারা সাপটি মার – তৃতীয়া বিভক্তি
- ঘোড়ার ডিম – ষষ্ঠী বিভক্তি
- বনে বাঘ আছে – সপ্তমী বিভক্তি
কিছু জটিল উদাহরণ এবং তাদের বিশ্লেষণ
কখনো কখনো কারক নির্ণয় করা একটু কঠিন হয়ে পড়ে। আসুন, কিছু জটিল উদাহরণ দেখে সেগুলো বিশ্লেষণ করি:
- “দুধ থেকে দই হয়” – এখানে “দুধ” অপাদান কারক। কারণ, দুধ থেকে রূপান্তরিত হয়ে দই হচ্ছে, অর্থাৎ দুধের উপাদান পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে।
- “বাবা বাড়ি থেকে বাজারে গেলেন” – এখানে “বাড়ি” অপাদান কারক (কোথা থেকে গেলেন?) এবং “বাজারে” অধিকরণ কারক (কোথায় গেলেন?)।
- “টাকায় টাকা হয়” – এখানে “টাকায়” করণ কারক (কী দিয়ে হয়?) এবং “টাকা” কর্তৃকারক (কী হয়?)।
- “লোকটি চোখে দেখে না”- এখানে ‘চোখে’ করণ কারক।
কারক নিয়ে কিছু টিপস এবং ট্রিকস
- কারক চেনার জন্য প্রথমে ক্রিয়া খুঁজে বের করুন।
- তারপর ক্রিয়াকে প্রশ্ন করে উত্তর বের করার চেষ্টা করুন।
- বিভক্তিগুলো মনে রাখুন, এগুলো কারক নির্ণয়ে সাহায্য করবে।
- নিয়মিত অনুশীলন করুন, তাহলে কারক আপনার হাতের মুঠোয় চলে আসবে!
কারক মনে রাখার সহজ উপায়
কারক মনে রাখার জন্য একটা মজার গল্প তৈরি করতে পারেন অথবা ছড়া ব্যবহার করতে পারেন। যেমন:
“কর্তা নিজে কাজ করে, কর্মকে আশ্রয় করে।
করণ হলো সহায়, সম্প্রদান দেয় সবারে।
অপাদান দূরে যায়, অধিকরণ স্থান দেখায়।”
এই ছড়াটি মনে রাখলে কারকের সংজ্ঞা এবং কাজ অনেকটা মনে রাখা যায়।
প্রায়শ জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন (Frequently Asked Questions – FAQs)
এই অংশে, কারক নিয়ে আপনাদের মনে আসা কিছু সাধারণ প্রশ্ন এবং তার উত্তর দেওয়া হলো:
-
প্রশ্ন: কারক এবং বিভক্তি কি একই জিনিস?
- উত্তর: না, কারক এবং বিভক্তি এক জিনিস নয়। কারক হলো ক্রিয়ার সঙ্গে অন্যান্য পদের সম্পর্ক, আর বিভক্তি হলো সেই সম্পর্ক বোঝানোর জন্য শব্দের সঙ্গে যুক্ত হওয়া বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি।
-
প্রশ্ন: সম্প্রদান কারক এখন ব্যবহার করা হয় না কেন?
- উত্তর: বর্তমানে, দানের ক্ষেত্রে স্বত্ব ত্যাগ করে দেওয়া হয় না। তাই, সম্প্রদান কারকের ব্যবহার কমে গেছে এবং কর্মকারক দিয়েই সেই কাজ চালানো হয়।
-
প্রশ্ন: একটি বাক্যে কি একাধিক কারক থাকতে পারে?
* **উত্তর:** হ্যাঁ, একটি বাক্যে একাধিক কারক থাকতে পারে। যেমন: "বাবা বাড়ি থেকে কলম দিয়ে আমাকে চিঠি লিখেছেন।" এখানে "বাবা" কর্তৃকারক, "কলম দিয়ে" করণ কারক, "আমাকে" কর্মকারক এবং "বাড়ি থেকে" অপাদান কারক।
- প্রশ্ন: কারক শেখা কেন জরুরি?
- উত্তর: কারক শেখা ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি বাক্য গঠন এবং ভাষার সঠিক ব্যবহারে সাহায্য করে।
কারক চর্চা: আপনার জন্য কিছু অনুশীলন
নিচের বাক্যগুলোর কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করুন:
- ছাত্ররা বই পড়ে।
- লোকটি লাঠি দিয়ে হাঁটে।
- মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন।
- মেঘ থেকে বৃষ্টি পড়ে।
- নদীতে মাছ আছে।
উত্তরগুলো মিলিয়ে নিন এবং দেখুন আপনি কতটুকু বুঝতে পেরেছেন।
উপসংহার
আজ আমরা কারক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। কারক কী, কত প্রকার, তাদের সংজ্ঞা, উদাহরণ এবং মনে রাখার সহজ উপায়গুলো জানলাম। আশা করি, এই ব্লগ পোস্টটি আপনাদের কারক সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দিতে পেরেছে।
ব্যাকরণ ভীতি নয়, ব্যাকরণ হোক আনন্দের উৎস। নিয়মিত চর্চা করুন, নতুন নতুন বাক্য তৈরি করুন এবং কারকের ব্যবহার দেখুন। তাহলেই কারক আপনার কাছে সহজ হয়ে যাবে।
যদি এই ব্লগ পোস্টটি ভালো লাগে, তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করে জানান আপনার মতামত। আপনার যেকোনো প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থাকলে, নির্দ্বিধায় কমেন্ট বক্সে লিখতে পারেন।
ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।